মেহেরপুরের বাড়িবাঁকায় তারুণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করা হয়।

তিন দিনব্যাপী চলমান এই মেলায় বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন সংস্কৃতির নানা উপকরণ প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ দর্শকদের মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হযরত আলী। শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রদর্শনী দেখে তিনি অত্যন্ত খুশি হন এবং তাদের প্রশংসা করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতির প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।

এসময় বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাশ্বত নিপ্পন, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চান্দুসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মেলা ঘিরে পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও মেলায় অংশ নেন এবং শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন।




প্রেম করছেন করণ জোহর, বিল মেটায় তার সঙ্গী!

বলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা করণ জোহরকে আলোচনার কমতি নেই। তার প্রেম কিংবা সম্পর্ক সব কিছুতেই আগ্রহ দেখান ভক্তরা। এর বড় কারণ হচ্ছে, এখনও সিংগেল লাইফ কাটাচ্ছেন নামজাদা এ নির্মাতা। এবার বুঝি সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। করণ নিজেই জানালেন, প্রেম করছেন তিনি!

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় এসে নিজের ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ এর কথা জানালেন করণ জোহর। তিনি নাকি এমন একজনের সঙ্গে প্রেম করছেন, যে নাকি তার সমস্ত কথা শোনে। শুধু তাই নয়, আবার বিভিন্ন বিলও নাকি মিটিয়ে দেয়! তবে কে সেই করণের প্রেমিকা?

করণ জানান, তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ ‘ইনস্টাগ্রাম’-এর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে প্রেম করছি। ও আমার কথা শোনে। আমি যাতে নিজের স্বপ্ন সফল করতে উদ্যত হই, সেই দিকে নজর রাখে। কখনও আবার বিলও মিটিয়ে দেয়। ওকে ভালো না বেসে পারা যায়? করণের এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হতে দেখা যায়। এতে অবশ্য কিছুটা হতাশ হন তার ভক্তরা।

কিছুদিন আগেই বন্ধুদের নিয়ে এক পার্টিতে গিয়েছিলেন করণ। নজর কেড়েছিল তার টিশার্টে লেখা বার্তা। তার টিশার্টে লেখা ছিল ‘নেপো কিড। ‘নেপো’ আসলে নেপোটিজমের অপভ্রংশ, যার অর্থ ‘স্বজনপোষণ’।

পরিবারতন্ত্র নিয়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শুধু তারকা সন্তানদেরই তিনি সুযোগ দেন, এমন অভিযোগও রয়েছে তার দিকে। তবে সে সব নিয়ে নিজেই মশকরা করেন করণ। তাই এদিনও নিন্দুকদের খোঁচা দিতেই এমন টিশার্ট বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে এক রাতে সর্বহারা হলো ২৬ জন

ঝিনাইদহ সদরের সর্ব বৃহৎ বাজার হাটগোপালপুরে ২৬ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে দোকানগুলোর দরজার তালা কেটে চুরি ক্যাশবক্স ভেঙে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।

স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের কয়েকশ গজ দূরের বাজারে এ রকম চুরির ঘটনা জনমনে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ওই বাজারের মোট ২৬টি দোকানে চুরি হয়েছে। এসব দোকান থেকে ক্যাশবক্স ভেঙে নগদ টাকা, গামেন্টস সামগ্রী, ওষুধ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় চোরের দল।

স্থানীয় পদ্মকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় চুরি ডাকাতির কথা শুনে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সর্তক থাকতে বলেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত একই রাতে ২৬ টি দোকানে চুরি হয়ে গেল। দাগী অপরাধী ও মাদাকাসক্তদের গ্রেপ্তার না করলে চুরি-ডাকাতি আরো বেড়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই বাজারে চুরির ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যসহ বাজারের পাহারাদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চুরির রহস্য উন্মোচন করা হবে।




পেনাল্টি-লাল কার্ডের ফাইনালে রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

মরুর বুকে ফুলের সুবাস। সুপার কাপের এল ক্লাসিকোয় সেই সুবাস ছড়িয়ে বার্সেলোনাকে শিরোপা জেতালেন লামিনে ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। সৌদি আরবের মাঠে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ৫-২ ব্যবধানে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করেছে বার্সা।

এতে নিজেদের রেকর্ডটা আরো সমৃদ্ধ করেছে বার্সেলোনা।

আগেই সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সা এবার নামের পাশে ১৫ সংখ্যা বসাল। বার্সার রেকর্ড বাড়ানোর শিরোপা কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে প্রথম।
কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে শুরুতেই দুই দল আক্রমণের পসরা সাজাল। শুরুটা করেছিল বার্সেলোনা।

কিন্তু ফল ভোগ করে রিয়াল মাদ্রিদ। নির্দিষ্ট করে বললে কিলিয়ান এমবাপ্পে। বল নিয়ে যেভাবে নিজের ট্রেডমার্ক দৌড়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়াতে অভ্যস্ত তিনি, আজ ঠিক তেমনটাই দেখা গেছে। পঞ্চম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছ থেকে মাঝ মাঠে বল পেয়ে শুরু করলেন তার দৌড়।
প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার বালদেকে দুই পায়ের কারিকুরিতে কিছুটা পরাস্ত করে বার্সেলোনার ডি বক্সে প্রবেশ করে ডান পায়ে শেষে গোলরক্ষক ভয়েচেক সিঝনিকে করলেন পরাস্ত।
অথচ, কাউন্টার অ্যাটাকে পাওয়া এমবাপ্পের গোলের আগে দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পাওয়ার কথা ছিল লামিনে ইয়ামালের। তবে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার শট প্রতিহত করে দেন থিবো কোর্তয়া। এর দুই মিনিট পর রিয়ালকে আরেকবার বাঁচান বেলজিয়ামের সাবেক গোলরক্ষক। রাফিনিয়ার হেডকে জালে জড়াতে না দিয়ে।

তার এমন বীরত্বের পরেই এমবাপ্পের জাদুকরী গোল।
তবে এরপরের গল্পটা শুধুই বার্সেলোনার। পিছিয়ে পড়া বার্সা নিজেদের খেলা গুছিয়ে নিয়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে। তার ফল তারা পায় ম্যাচের ২২ মিনিটে। ১৭ বছর বয়সী লামিনে কি দুর্দান্ত গোলটাই না করলেন। শান্ত মাথায় বাঁ পায়ে পথ দেখিয়ে দিলেন বলকে। সমতায় ফেরা বার্সা চার্ম পেয়ে রিয়ালের বুকে পরে ছুরি চালিয়ে দেয়।

প্রথমার্ধে ৭৮ শতাংশ বল পজিশনই শুধু রাখেনি বার্সেলোনা, তিন মিনিটের মাথায় দুই গোল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৩৬ মিনিটে গাভীকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সা। ১১ গজ দূরত্ব থেকে গোল করতে ভুল করেননি রবার্ট লেভানডফস্কি। ২ মিনিট পরে রাফিনিয়া হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন। তার গোলের চেয়ে অবশ্য লম্বা থ্রু বলটা ছিল দেখার মতো। ডান দিকের প্রায় মাঝমাঠ থেকে মাপা এক লম্বা বল বাড়ান জুলেস কুন্দে, তাতে শুধু মাথাটা ছুঁয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

৯ মিনিটের যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল করে রিয়ালকে বলা যায় ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করেন ডিফেন্ডার বালদে। বিরতি শেষে ৪-১ ব্যবধানটা কমানোর বিপরীতে আরেকটি গোল হজম করে রিয়াল। ৪৮ মিনিটে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে অ্যান্তোনিও রুডিগার ও অঁরিলিয়ে চুয়ামেনিকে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া।

ফিরতি মিনিটেই অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে ৪৯ মিনিটে রদ্রিগোর নেওয়া শট জালে জড়ায়নি। বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। বাঁ পোস্টে গেলে চলে যায় গোল লাইনের বাইরে। ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা রিয়ালের ম্যাচে ফেরাটা যেন তখনই শেষ হয়ে যায়।

তবে ম্যাচে ফেরার দারুণ এক মঞ্চ পেয়েছিল রিয়াল। ৫৬ মিনিটে যখন ‍বক্সের বাইরে এসে এমবাপ্পেকে ফাউল করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক সিজনি। শুরুতে অবশ্য ফরাসি তারকাই ফাউল করেছে বলে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি গিল মানজানো। এর প্রতিবাদ করলে ভিনিও হলুদ কার্ড দেখেন। তবে ভিএআরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। এমবাপ্পে-ভিনির হলুদ কার্ড বাতিল করে রেফারি সিজনিকে লাল কার্ড দেখান। ওই ফাউলের ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক শটে ব্যবধান ৫-২ করেন রদ্রিগো।

বাকি ৩৪ মিনিটসহ যোগ করা সময়ে ১০ জনের বার্সেলোনাকে পেয়ে বসার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। গোলশোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠা কার্লো আনচেলত্তির দল ৯০ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল। এমবাপ্পের দারুণ ব্যাকহিলে অবশ্য যথাসময়ে বলকে সঠিক পথ দেখাতে পারেননি জুড বেলিংহাম। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু তার শটে বাধা হয়ে দাঁড়ান বদলি গোলরক্ষক ইনাকি পিনা। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। তার বীরত্বের পরেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। এতে করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই রিয়ালকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল বার্সা।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন

মেহেরপুরে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

পি আই ও সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার গাজী মূয়ীদুর রহমান, সহকারী কমিশনার মোঃ আবীর হোসেন, জেলা মাধ্যমিক অফিসার  মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রাথমিক অফিসার ফারুক উদ্দিন প্রমুখ।

মেহেরপুরে সদর উপজেলা ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় ১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।




জোর পূর্বক জমি দখল করে নেওয়াই ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

৩৩ বছর দখলে থাকা জমি জোর পূর্বক দখল করেছেন প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু। ওই জমি ফেরতের দাবীতে রবিবার কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী হাসান মোল্লা।

সংবাদ সম্মেলন হাসান মোল্লার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগীর ছোট ভাই আব্দুল বাশার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য অমেদুল ইসলাম, জমি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস, প্রতিবেশী আলমগীর বিশ্বাস, আব্দুর রশিদ ও রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, গেল ৩৩ বছর হল আমেনা খাতুন ও আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে ১৬৯ শতক জমির মধ্যে ৯৭৪, ৯৭৫, ১৬৬৭ দাগের ডাঙ্গা শ্রেণিভুক্ত ৮৮ (আটাশি) শতক জমির মধ্যে ৭১ (একাত্তর) শতক জমি ইং ১৭/১২/১৯৯১ তারিখে ২৯৫৯ নং দলিল মূলে ক্রয় করি। সে থেকে আমি ভোগ করে আসছি।

গেল ০৯-০১-২৫ তারিখে এলাকার কিছু ভাড়াটিয়া মানুষদের নিয়ে গিয়ে সে জমি দখল করেছেন। যার মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু, সাইফুল ইসলাম, আঃ ছাত্তার, আমির হোসেন।

তিনি আরো বলেন, তফসীল বর্ণিত জমি নিয়া বিবাদীরা ইতিপূর্বে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে পেক্ষিতে কোটচাঁদপুর থানা থেকে ঘটনাটি তদন্তে সরজমিনে যান। এরপর উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই অন্তে আমার জমির পরিমাণ ও ভোগ দখল সঠিক আছে বলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করিয়া দেন। বিবাদীরা ওই মিমাংসা অমান্য করে জোর পূর্বক অবৈধভাব ভাড়াটি সন্ত্রাসিদের সহযোগিতায় দখল করে নিয়েছেন।

বলেছেন, এরপরও যদি ওই জমির পাশে যায়,তাহলে তারা আমার ও আমার পরিবারের মানুষদেরকে মেরে ফেলবে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্তায় দিন যাপন করছি। এ ব্যাপারে তিনি সুষ্ট তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাথে সাথে ওই জমি ফেরত পেতে সহায়তা ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু বলেন, ওইটা আমার মায়ের জমি। ওয়ারিশ সুত্রে আমি পেয়েছি। আমি কারোর জমি দখল করি নাই। তারাই জমি দখল করে নিয়েছেন। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, সেটা মিথ্যা।




মেহেরপুরে নিখোঁজের দু’দিন পর মিললো বৃদ্ধ’র মরদেহ

দু’দিন নিখোঁজের পর স্থানীয় মাঠ থেকে জবেদ আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ’র মরদেহ উদ্ধার করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে জবেদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জবেদ আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাদল শেখের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে । মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মেসবাহ উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, নিশ্চিন্তপুর মাঠে ওই কৃষকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরোতহাল শেষে মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

তবে, নিহতের বড় ছেলে আসাদুল ইসলাম জানান , গত দু’দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের আশংকা তাকে কেউ হত্যা করে তাকে মাঠে ফেলে রাখতে পারে।




ঝিনাইদহে জুলাই ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের দাবিতে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

সেসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, জাতীয় নাগরিক কমিটি জেলা শাখার আহ্বায়ক নাসির আল সাদী, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম তারেকসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইদুর রহমান, রত্না খাতুন, তানাইম, সাব্বির আহমেদ জুয়েল, নাগরিক কমিটির এডভোকেট জাহিদুর রহমান, মুজাহিদুল হক, মনির হোসেন, তরিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সেসময় বক্তারা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে উল্লেখ করে দেশে আর কখনোই যেন ফ্যাসিবাদ কায়েম না হতে পারে সেজন্য ছাত্র জনতা এ বিষয়ে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজ, লুটপাট ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সমাবেশ শেষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকতি ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে জনমত গঠনের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।




সম্ভাবনার আকাশে বাধার মেঘ দেশে থমকে আছে ইভি বিপ্লব

পরিবেশবান্ধব যানবাহনের প্রসার এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ব্যবহারের প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বাড়ছে। তবে এ চিত্র বাংলাদেশে ভিন্ন। এখানে ইভি বিক্রি বাড়ানোর প্রচেষ্টা নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। উচ্চ নিবন্ধন ফি এবং আমদানি শুল্কের মতো আর্থিক বাধাগুলো এ সেক্টরের বিকাশে প্রধান অন্তরায়। দেশে ইভি বিপ্লবের পথে বাধা যেন সম্ভাবনার আকাশে মেঘের হাতছানি।

নিবন্ধন খরচে অস্বাভাবিকতা: বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন ফি নির্ধারণে একটি অস্বাভাবিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে বলে জানায় খাতসংশ্লিষ্টরা। প্রতি কিলোওয়াটকে ২০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার সমান ধরে নিবন্ধন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে একটি ১৫০ কিলোওয়াটের বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন ফি বিলাসবহুল পেট্রোলচালিত গাড়ির সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের বার্ষিক এক লাখ টাকা সারচার্জ দিতে হচ্ছে। এসব কারণে ইভি ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

উচ্চ আমদানি শুল্ক ও এলসি বিধিনিষেধ

সম্পূর্ণ নির্মিত বৈদ্যুতিক গাড়ির (সিবিইউ) আমদানিতে বর্তমানে ৮৯ দশমিক এক শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানিকারকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ শুল্ক কমিয়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি, ডলার সংকটের কারণে এলসি মার্জিন বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে, যা গাড়ি আমদানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে।

অবকাঠামোর অভাব : বাংলাদেশে ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চার্জিং স্টেশনের অভাব। বর্তমানে, চার্জ ইজি ব্র্যান্ডের অধীনে দেশে মাত্র ১৮টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে, যা খুবই কম। বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহণব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। চার্জিং স্টেশনের পরিসর বৃদ্ধি এবং এ খাতে বিনিয়োগ না হলে, ইভি সিস্টেমের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব নয়। তাই সরকারের সহায়তায় দ্রুত এ অবকাঠামো উন্নয়ন করা না গেলে ইভি পরিবহণব্যবস্থার ভবিষ্যৎ অন্ধকারেই থেকে যাবে।

ডিলার ও ক্রেতাদের হতাশা : বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উচ্চ নিবন্ধন ফি, শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করের কারণে এ খাতে ডিলার ও ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হওয়া সত্ত্বেও বাজার প্রসারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত খরচ। ডিলাররা মনে করছেন, নীতিমালা শিথিল না হলে ইভি বাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘ইভি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হলেও ক্রেতারা নিবন্ধন খরচ ও অগ্রিম আয়করের উচ্চ ব্যয়ের কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানান দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রেতা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা।’

সমাধানের প্রস্তাব : বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার সম্প্রসারণে ডিলাররা সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কাছে সম্পূর্ণ বিল্ট-আপ (সিবিইউ) বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে ৮৯.১ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩৭ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। ডিলাররা উল্লেখ করেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার চাঙা করতে চার্জ না নেওয়া বা ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমন উদ্যোগ নিলে গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে তারা মনে করেন।ডিলারদের মতে, শুল্ক কমানোর পাশাপাশি এলসি মার্জিন বিধিনিষেধ শিথিল করলে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। একইসঙ্গে চার্জিং স্টেশন বাড়ানো ও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

নতুন আশা: দেশে ইভির বাজার প্রসারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। জানা গেছে, পরিবেশের দিক বিবেচনায় বিআরটিএর পক্ষ থেকে নিবন্ধন খরচ কমাতে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫০ শতাংশ কমানোর সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর সারচার্জ কমানোর সুপারিশও করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ চার্জ মওকুফ করবে।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি শুরু হয়। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ নিবন্ধিত ইভির সংখ্যা ৩০০-এর কাছাকাছি। তবে এ গতি ধরে রাখতে হলে নীতিমালায় পরিবর্তন ও সমর্থনমূলক অবকাঠামো জরুরি।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের সুষ্টু বিচার ও চাকুরীচ্যুতদের পুর্ন:বহালসহ তিন দফা দাবীতে ঝিনাইদহে সাবেক বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে শহরের পায়রা চত্বরে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ঝিনাইদহ শাখার পক্ষ থেকে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

এতে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি বিএম কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ল্যান্স নায়েক আব্দুল কাদের, হাবিলদার আলিফ হোসেন, সিপাহী সেলিম হোসেন, নায়েক মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ল্যান্স নায়েক মোঃ আজিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ছাত্র শিবিরের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলমঙ্গীর হোসেনসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, যুগ্ম-আহবায়ক মনির হোসেন, সদস্য সচিব সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন বিডিআর সদস্যকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুতদের সকল সুযোগ সুবিধাসহ পুণরায় চাকুরীতে পুর্ন:বহালসহ তিন দফা দাবী তুলে ধরেন।