মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ৫ জন আটক

মেহেরপুর পুলিশের গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে নিয়মিত মামলায় ৫ জন আসামি আটক হয়েছে।

এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৪ জন ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ১ আসামি রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত সদর থানা ও গাংনী থানার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক অভিযানে এই আসামি গ্রেফতার করে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনোজ কুমার নন্দীর নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম অভিযানে অংশ নেন।

এসময় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৫ গ্রাম হেরোইন, ২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয় এছাড়া গাংনী থানায় ১৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। সদর থানায় ৩ টি ও গাংনী থানায় ২ টি সহ ৫ টি মামলা এফআইআরভূক্ত করা হয়।

আটকদের আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে বিজিবি

গাংনীর কাজিপুর সীমান্তের আলমবাজার এলাকায় ৪৭ বর্ডাগার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) কাজিপুর বিওপি অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করেছে।

আটকরা হলেন গাংনী উপজেলা শহরের উত্তরপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন (৩২) ও করমদি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে বাদল হোসেন (২০)।

তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ২ টি মোবাইল ফোন (৩টি সীমসহ) ১৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সীমান্ত পিলার ১৪৫/৫ এস হতে ৫ শ গজ দুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাজিপুর আলমবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি’র টহল দলটি।

রবিবার সন্ধ্যার দিকে কাজিপুর বিওপি’র কমান্ডার হাবিলদার মো: টিপু সুলতানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল এই অভিযানে অংশ নেন।
এঘটনায় মামলা দিয়ে দুজনকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আশিকি টুর জুটি

‘মেরি আশিকি অব তুম হি হো…’। কানে কানে পরস্পরকে এই কথাটা বহুদিন আগেই বলে দিয়েছিলেন। যদিও এই প্রেম কাহিনি খুব একটা জানাজানি হয়নি এতদিন।

প্রেম সবাইকে না জানিয়ে করলেও বিয়েটা করেছেন ধুমধাম করে। কথা হচ্ছে— সুরকার মিথুন ও গায়িকা পলক মুচ্ছলকে নিয়ে।

রোববার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ‘আশিকি ২’-এর জনপ্রিয় এই জুটি। দীর্ঘদিন ধরে চুটিয়ে প্রেম করেছেন তারা। এবার এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিয়ের প্রথম ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে দুজনে লিখেছেন— ‘আজ থেকে আমরা সদাসর্বদার জন্য এক হলাম, চিরন্তন পথচলার শুরু…’।

দুজনের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলমলে ছবি আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গায়েহলুদ থেকে মেহেদি বা সংগীত— সব অনুষ্ঠানেই জমকালো পোশাকে ঝলমল করেছেন পলক।

জীবনের বিশেষ দিনে লাল-সোনালি লেহেঙ্গায় সেজেছিলেন পলক। সঙ্গে কুন্দনের জড়োয়া হার, হাতে চূড়া, মাথায় মাংগটিকায় সুন্দরী কনে পলক। অন্যদিকে বেইজ রঙা শেরওয়ানিতে ধরা দিলেন মিথুন, বউয়ের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে লাল স্টোল নিয়েছিলেন মিথুন।

জানা গেছে, কাজের সূত্রেই পরিচয় হয় পলক ও মিথুনের। পরে আরও গভীর হয় সংগীত জগতের দুই মানুষের বন্ধন। ‘আশিকি ২’-এর ‘মেরি আশিকি’ এবং ‘চাহু ম্যায় ইয়া না’-র মতো জনপ্রিয় গানে প্রতিফলিত হয়েছে এ জুটির রসায়ন।




গাংনীতে কিশোরী সংঘের সদস্যদের প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মস্থান সহায়তা প্রকল্প-২ এর আওতায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে গাংনী উপজেলার এম,এইচ,এ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরী সংঘের সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার শাহ আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আদিলা আজহার আরশি।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি প্রোগ্রাম অফিসার (আইসিটি) আব্দুর রকিব।

এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি পল্লী উন্নয়ন অফিসার সাব্বির আহম্মেদ,এমএইচএ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মফিজুর রহমান ও মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি সাহাজুল সাজু প্রমুখ।




গাংনীতে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন

র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে গাংনীতে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

‘বছরে ইঁদুর খাচ্ছে শস্য লক্ষ লক্ষ টন , খাদ্যে ঘাটতি রুখতে দরকার ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ ’এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ইঁদুর পানিতে চুবিয়ে নিধন অভিযানের উদ্বোধনী শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম।

উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা মৎস্য অফিসার খোন্দকার সহিদুর রহমান, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার রাসেল রানা প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলম, গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম প্রমুখ।
এ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীন রেজা জুয়েলসহ কয়েকজন কৃষক ।

ইঁদুর নিধন নিয়ে বক্তারা বলেন, ইঁদুর আমাদের জাতীয় শত্রু। ইঁদুর প্রতি বছর চাষীদের উৎপাদিত ফসলের অনেকখানি ফসল নষ্ট করে দেয়।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এক সময় সাপ , পেঁচা , ঈগল পাখী, শকুন, চিল ইত্যাদি পাখী ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেসব প্রাণী বিলুপ্ত প্রায়্। তাই আমাদের সমন্বিত ভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে।

ইঁদুর এর ভয়াবহতাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন। বিভিন্ন ভাবে ইঁদুর নিধন করার কৌশল তুলে ধরেন তিনি। গ্যাস টোপ, নানা রকম ফাঁদ পেতে, গর্তে পানি ঢেলে ইঁদুর নিধন করার কৌশল তুলে ধরেন লাভলী খাতুন।‘জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে ইঁদুর নিধনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন’ শ্লোগানকে নিয়ে ইঁদুর নিধন অভিযান -২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ শতাধীক কৃষক অংশ নেয়।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠানটিতে নার্স (নারী) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে সহজেই আবেদন পারবেন।

পদের নাম
নার্স (নারী) – মেডিক্যাল সেন্টার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা
প্রার্থীকে নার্সিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি (৩ বছর) থাকতে হবে। নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। একজন আদর্শ প্রার্থীর শক্তিশালী যোগাযোগ এবং আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা থাকতে হবে। তাকে স্ব-চালিত, স্ব-প্রবর্তক এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তার পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। নতুন উদ্যোগ/ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তার দৃঢ় মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল
ঢাকা।

বেতন
যোগ্য প্রার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় পারিশ্রমিক প্যাকেজ দেওয়া হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ভিজিট করুন (লিংক: www.uiu.ac.bd/jobs)

আবেদনের শেষ তারিখ
১৫ নভেম্বর, ২০২২।

সূত্র : বিডিজবস




সাকিবের বিতর্কিত আউট নিয়ে যা বললেন শাদাব খান

বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। তবে এই ম্যাচের ফলকে ছাপিয়ে বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনায় সাকিব আল হাসানের আউট, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।

বাংলাদেশ ইনিংসের ১১তম ওভারে সাকিবের উইকেটটি পান পাকিস্তানের লেগস্পিনার শাদাব খান। এর পর বাংলাদেশের ইনিংস তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙে পড়লে বড় সংগ্রহ পাননি টাইগাররা।

বাংলাদেশি সমর্থকদের অভিযোগ— তৃতীয় আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরের ‘ভুল সিদ্ধান্তে’র জন্যই কপাল পুড়ল বাংলাদেশের। নয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। সেমিতেও উঠে যেতে পারতেন টাইগাররা।

এই আবহে বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন সাকিবের উইকেট পাওয়া স্পিনার শাদাব খান?

রোববার ইনিংসের মাঝেই শাদাব খান বলেন, ‘আম্পায়াররা আউট দিয়েছেন, তাই ওটা আউট (সাকিবের সিদ্ধান্ত)। বোলাররা তাদের কাজ করেছে। কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে বোলাররা বল করেছে। সাকিবের বেলায় আম্পায়ার আউট দিয়েছে, অর্থাৎ এটি আউট ছিল।’

এদিকে শাদাব সেটিকে আউট বলে মেনে নিলেও প্রায় সব ক্রিকেটবোদ্ধা এবং বিশেষজ্ঞেরই মত— সাকিব আউট ছিলেন না। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সাবেক ভারতীয় তারকা রবি শাস্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ব্যাটের সঙ্গে মাটির কোনো যোগ নেই। রিপ্লেতে তা স্পষ্ট। ব্যাটে বল লাগার কারণেই স্নিকোমিটারে স্পাইক দেখা গিয়েছিল।’

সাবেক অসি তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টও এ আউট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

সাকিব আউট হননি স্বীকার করেছেন খোদ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস ও মিসবাহ-উল-হক।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইনিংসের ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন সৌম্য সরকার। ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই শাদাবকে স্টেপ আউট করেন সাকিব। বল পায়ে লাগে। আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক আঙুল উঁচিয়ে তোলেন। আম্পায়ারকে হাত তুলতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে সাকিব রিভিউ নেন।

এ সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাথা নাড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায় সাকিবকে। তিনি দাবি করেন, বল আগে তার ব্যাটে লেগেছে। রিপ্লেতেও স্পষ্ট যে, স্পাইট দেখা যাচ্ছে তা ব্যাটে বল ছোঁয়ার। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে আউট দেন সাকিবকে।




গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন লিংকন সভাপতি, পাভেল সম্পাদক 

আড়ম্বর পরিবেশে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের দ্বি বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) বার্ষিক নির্বাচনে এম এ লিংকন সভাপতি ও এমএন পাভেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে এমএ লিংকন পেয়েছেন ৮ ভোট নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার আলী কানন পান ৬ ভোট ও অপর প্রার্থী হারুন অর রশিদ রবি পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ ভোট পেয়ে এমএন পাভেল নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিটন মাহমুদ পান ৬ ভোট।

নির্বাচনে অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, বাসসের মেহেরপুর প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, চ্যানেল নাইনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু নাসের চৌধুরী , গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মজনুর রহমান আকাশ, মাজেদুল হক মানিক।

নির্বাচনে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়ীত্ব পালন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ছিলেন আবুল কাশেম অনুরাগী ও বদরুজ্জামান লাল্টু।




অনলাইন জুয়ার শীর্ষ এজেন্ট শামিম কারাগারে

অনলাইন জুয়ার শীর্ষ এজেন্ট মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের শামিম রেজা ওরফে শামিমকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গতকাল রবিবার অতিগোপনে মেহেরপুরের একটি আদালতে শামিম রেজা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোখলেসুর রহমান মেহেরপুর প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে তাকে ৬ সপ্তাহের জন্য পুলিশি হয়রানি না করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের বেঞ্চ। একই সঙ্গে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিম্ম আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

শামিম রেজা মেহেরপুরের কোমরপুর গ্রামের বিলু সর্দারের বড় ছেলে। তিনি রাশিয়ান ভিত্তিক অনলাইন জুয়া সাইট লাইন বেটের মাস্টার এজেন্ট।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট শামিম রেজার বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩০(২)/৩৫ ধারায় মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মেহেরপুর পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগ। মামলায় শামিমসহ আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গোপালপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে শিশির বিশ্বাস, নুরুপুরের বিল্লাল গড়াইয়ের ছেলে দিপু, কোমরপুর গ্রামের আনারুল মিয়ার ছেলে রুবেল, টঙ্গীর শরিফের ছেলে মো: পলাশ, মুজিবনগরের শিবপুরের মৃত শাহাজুলের ছেলে বিজয়, একই গ্রামের জিনারুলের ছেলে লিপু গাজী, মোনাখালী গ্রামের আজহারুলের ছেলে মিলন, সাইদুর রহমান খোকনের ছেলে সাগর, কোমরপুর গ্রামের বাশার বিশ্বাসের ছেলে সজীব, ভাটপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মণ্ডলের ছেলে বাবু, মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বখতিয়ার মাস্টারের ছেলে রুবেল, গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের মৃত কিয়াম উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার।
গত ১৩ অক্টোবর মেহেরপুর প্রতিদিনে ‘অনলাইন জুয়ার শীর্ষ এজেন্ট শামিম অধরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ২০ অক্টোবর শামিম রেজাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ শিরোনামে ফলোআপ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, তিন বছর আগে বাবার ছোট রাইস মিল চালিয়ে কোনমতে সংসার চালাতেন শামিম রেজা। হঠাৎ করে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে বনে গেলেন কোটিপতি। কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তুলেছেন হার্ডওয়ার ব্যবসা। যেভাবে পাইলিং দিয়ে ভবন তৈরি করছেন তাতেও খরচ হচ্ছে কোটি টাকার উপরে। ছোট ভাইকে রাজধানীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। মোটরসাইকেলে নতুন মডেল আসলেও সেটি হতে হয় শামিম ও তার ছোট ভাই সোহাগ রানার জন্য। বর্তমানে দুই ভাই দুটি ইয়ামাহা ব্র্যাণ্ডের আরওয়ানফাইভ মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। এলাকাতে কয়েক বিঘা জমিও কিনেছেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেল ‘সাইমান’ এ অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন। সাথে আছেন তার শিষ্য দিলিপ হালদারসহ কয়েকজন এজেন্ট। বর্তমানে কত টাকার মালিক তিনি তা কেউ জানে না। তার ছোট ভাই সোহাগ রানা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যান। আর সকল কিছুই এসেছে অনলাইন জুয়ার দৌলতে। অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে যে কয়জন রয়েছেন শামিম রেজা তাদের একজন। তিনি নিজেই চালান একাধিক এজেন্ট চ্যানেল। খবর রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি এগুলো পরিচালনা করছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শামিম রেজা করোনার প্রথম দিকে ওয়ান এক্স বেটে কাজ করলেও পরবর্তিতে রাশিয়ান কোম্পানী লাইনবেট কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে একাই শুরু করেন অনলাইন জুয়ার ব্যবসা। কয়েকটি এজেন্ট নিয়ে কাজে লাগান বেশ কয়েকজন যুবককে। তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে আটক হয়েছে নিমাই হালদার, প্রসেনজিৎ হালদার, সুমন আলী ও সুমন নামের চার যুবক। নিমাই হালদার, সুমন আলী ও সুমন আদালতে শামিম রেজার হয়ে কাজ করেন বলে স্বাকারোক্তিও দিয়েছেন। প্রসেনজিৎ হালদার আদালতে স্বীকারোক্তী না দিলেও অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত একাধিক সূত্র তাকে শামিমের এজেন্ট বলে নিশ্চিত করেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, শামিম রেজা এজেন্ট হয়ে কাজ করেন তার ছোট ভাই সোহাগ রানা, নিমাই হালদারের চাচাত ভাই দিলিপ হালদার, কোমরপুর গ্রামের আজিবার আলীর ছেলে শিপলু রানা, কুদ্দুস আলীর ছেলে আকাশ আলী। তবে অনলাইন জুয়ার সংবাদ প্রকাশ হওয়া ও পুলিশের অভিযান শুরু হলে সকলেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এজাহার থেকে জানা গেছে, শামিম রেজা পুলিশের এজাহার ভুক্ত অনলাইন জুয়ার অন্যতম আসামি। মামলার প্রধান আসামি বদুরুদ্দোজা রয়েলকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তীতে শামিম রেজাসহ আরো ১৫ জনের নাম করে পুলিশের কাছে।
“অনলাইন জুয়ার দূর্গ” ক্যাটাগরি নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে অনলাইন জুয়ার সাথে মাস্টার এজেন্টদের (রাঘববোয়াল) কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। সংবাদে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক অনলাইন জুয়ার নাম ও পরিচয় উঠে এসেছে। ক্রমান্বয়ে বাকিদের অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হবে। যার অংশ হিসেবে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে। মেহেরপুর প্রতিদিনে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কারণে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ প্রশাসন। এছাড়ার সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইজ জুয়ারিদের নজরদারিতে রেখেছে বলে মেহেরপুর প্রতিদিনের কাছে সংবাদ রয়েছে।

জানা গেছে, বিট কয়েন বা ডিজিটাল মুদ্রার (ক্রিপ্টোকারেন্সি) মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা হয়। অবৈধ পন্থায় ডিজিটাল মুদ্রা কেনাবেচার লেনদেনে দুই বছরে বছরে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অনুমান করছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানান সংস্থ্যাগুলো। আর অনলাইন জুয়ার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রাম। যে গ্রাম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পুরো দেশকে।
রাশিয়া থেকে পরিচালিত এসব অনলাইন জুয়ার সাইট ও অ্যাপস তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে । এসব জুয়ার সাইট ও অ্যাপস ভার্চুয়ালি জুয়া খেলায় একেকটি এজেন্টের মাধ্যমে মাসে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন সেল ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ইতোমধ্যে জেলার অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত জুয়াড়িদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছে পুলিশ। অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও তারা কাজ শুরু করেছেন।

পুলিশের একটি সুত্রটি জানায়, মেহেরপুর জেলার অনলাইন জুয়ার এই চক্রটির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সে হিসেবে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে। যেটি অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে যাচ্ছে বিদেশে।
তবে এ ব্যাপারে শামিম রেজার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে এলাকাই পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বর্তমান ব্যবহৃত ফোন নম্বরও পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা থেকে দুই শতাধিক এজেন্ট অনলাইন জুয়া সাইটের মাধ্যমে রাশিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। আর এই অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত মেহেরপুরের সরকার দলীয় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি।

কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং কয়েকজন সাংবাদিক নিয়মিত মাসোহারা নিতেন অনলাইন জুয়াড় সাথে জড়িত এজেন্টদের সাথে। তাদের মাসোহারা দিয়ে দেদারছে জুয়া খেলে কোটি বনে যাচ্ছেন এসব এজেন্টরা। আর পথে বসছেন হাজার হাজার তরুণসহ জুয়া খেলার জড়িত ব্যক্তিরা। মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানীতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মেহেরপুর প্রতিদিনে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর তাদের মাসোহারা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরও কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সঠিক নজরদারি না থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিদিনই কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশের বাহিরে। এতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বিপথে যাচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা। এক মাসে একটি সিম (এজেন্ট) থেকে লেনদেন হচ্ছে কোটি টাকার উপরে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন সেল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। শামিম রেজাও পুলিশের মামলার অন্যতম আসামি। তাকে দিয়ে ১২ জন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট বর্তমানে কারান্তরিণ রয়েছেন।

তবে অনলাইন জুয়ার আদ্যপান্ত জানতে মেহেরপুর প্রতিদিননের সঙ্গেই থাকুন। ধারাবাহিকভাবে মেহেরপুর প্রতিদিন পাঠকদের সামনে অনলাইন জুয়ার সংবাদ তুলে ধরা হবে।( চলবে…)

অনলাইন জুয়ার সকল সংবাদের লিংঙ্ক নিচে

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার দূর্গে হানা

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরেক এজেন্ট সাদ্দাম আটক

ধরাছোঁয়ার বাইরে অনলাইন জুয়ার অন্যতম চার হোতা মুকুল-জামান-নুরুল-মাদার

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইণ্ড প্রসেনজিৎ সহযোগীসহ আটক

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরো চার হোতা আটক

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরও এক মাস্টার এজেন্ট পলাশ




মেহেরপুরে ফেন্সিডিলসহ দুই যুবক আটক

মেহেরপুর শহর সংলগ্ন ময়ামারি সড়কে অভিযান চালিয়ে ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রবিবার বিকালে ডিবির এসআই জুম্মান খানের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় মেহেরপুর যাদবপুর মোড়ের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে শাহানুর হোসেন ওরফে স্বাধীন (২৮) ও মাগুড়া শহরের বাঁশকোঠা এলাকার হারুন শেখের ছেলে শিমুল শেখ(২৭) কে আটক করে। এবং তাদের কাছে থেকে বাজাজ পালসার ব্র্যাণ্ডের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই জম্মান খানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল ময়ামারি সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় স্বাধীন ও শিমুলকে মোটরসাইকেলযোগে আসতে দেখে । এসময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে তল্লাশি চালাতে গেলে তারা মোটরসাইকেল ফেল পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের আটক করে তাদের কাছে থেকে ২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তারা স্বীকারোক্তীতে জানায়, ময়ামার সড়কের টপির কাছে থেকে মাঝে মধ্যে তারা ফেন্সিডিল কিনে সেবন করে থাকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।