আলমডাঙ্গার উদয়পুর টু হারদি প্রায় কোটি টাকার রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট-খোয়া। এতে রাম্তার মান নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ তুললেও মিলছে না প্রতিকার । ৫ ঠিকাদারের যোগসাজশে ২/৩ নম্বর ইট ব্যবহার করলেও উপজেলা প্রকৌশলী নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের উদয়পুর থেকে হারদি থানা মোড় পর্যন্ত ৭৭ লাখ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে এলজিইডি রাস্তার বরাদ্দ হয়। রাস্তাটি টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার হিসাবে হারদি গ্রামের সামসুল হক পায়।
এই রাস্তা নির্মাণের জন্য পার্টনার হিসাবে ৫ ঠিকাদার সমন্নয়ে কাজ করছে। এ সুযোগে রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া।
প্রকাশ্যে রাস্তায় হলুদ বর্ণের খোয়া ব্যবহার করা হলেও প্রকৌশলীরা যেনো দেখেও দেখছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছে ৫ ঠিকাদারেরা উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করেই এ রাস্তা নির্মাণ কাজ করছে। একাধিক বার উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
এবিষয়ে স্থানীয় জাফর আলী জানান, রাস্তাটি ১ ফিট করে প্রশস্ত হবার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় কম করেছে। সরকারি টাকা শুধু লুটেপুটে খেতেই ৫ ঠিকাদার সমন্নয়ে রাস্তাটির কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া। ইটের খোয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ জানালেও তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।
রমজান আলী বলেন, উদয়পুর রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে ২/৩ নম্বর ইটের খোয়া। যা প্রকাশ্যে ব্যবহার করলেও প্রকৌশলীরা নিশ্চুপ রয়েছে। ১ বছর পার না হতেই উপড়ে যাবে রাস্তার খোয়া।
এবিষয়ে ঠিকাদার সামসুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিক কি ইঞ্জিনিয়ার। নিউজ করে কোন লাভ নাই।
তিনি আরো বলেন, রাস্তায় জেলা ও উপজেলা থেকে ইঞ্জিনিয়াররা এসে দেখা শোনা করছে। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করলেও কিছু করতে পারবে না।
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি আরিফউদ্দৌলা জানান, রাস্তায় কোন নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে না। যদি নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে তাহলে ল্যাব টেস্টের কথা জানান প্রকৌশলী।