মার্শ-ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ১৬৮

শুরুতে ঝড় তুললেন মিচেল মার্শ। এরপর দুর্দান্ত ব্যাট করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

এ দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও বিশাল সংগ্রহ পেল না অস্ট্রেলিয়া। কারণ শেষ ৫ ওভারে এসেছ মাত্র ৩৫ রান। আর এই রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে অসিরা।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৮ রান তুলতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৬৯।

অ্যাডিলেড ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ১৮ বলে করেন ২৫ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৫২ রান উঠলেও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অসিরা।

দারুণ খেলছিলেন মিচেল মার্শ। কিন্তু ৩০ বলে ৪৫ করার পর তিনিও আউট হয়ে যান। ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

স্টয়নিস আর ম্যাক্সওয়েল যোগ করেন ২৯ বলে ৫৩ রান। ২১ বলে ২৫ করে স্টয়নিস রশিদ খানের শিকার হন। ম্যাক্সওয়েল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩২ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

নাভিন উল হক ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ডেথে এই পেসার ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে অসিদের আটকে রাখেন। ২ উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকি।




কুষ্টিয়ায় জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলাচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল, বিজ্ঞ জিপি এ্যাড. আসম আক্তারুজ্জামান মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য সচিব বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক ড. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের (কেপিসি) সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বদা সংবিধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে যত সংবিধান হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম। আর এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সকলের।

বক্তারা আরও বলেন, ৪ নভেম্বর বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এদিনে গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্ক্ষিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।

সরকারের কর্মচারীরাই সংবিধানের ধারক ও বাহক হিসেবে উল্লেখ করে সকলকে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাসরিন আক্তার বানু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নূরে সফুরা ফেরদৌস, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি দবির উদ্দিন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এম লিটনউজ্জামান, সাপ্তাহিক প্রভাষণ পত্রিকার সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মৃধা পলাশ, দৈনিক দেশের বানী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এসএম জামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ‘সংবিধান বিল’ হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এবার থেকে প্রতি বছর ৪ নভেম্বর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালিত হবে।




মুজিবনগরে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

“লাল সবুজ পতাকায় আজও তাদের স্বপ্ন উড়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এক রক্তেভেজা মানচিত্র”

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে।

মুজিবনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে, জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন (এমপি) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: ইব্রাহিম শাহীন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা গাইন, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মধু, মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বল্টু, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদিকা তাহমিনা খাতুন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন লাবলু।জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে জেলখানায় হত্যার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা। পরে নিহত চার নেতা ও ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

জেলহত্যা দিবস পালন অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।




মেহেরপুরে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা

জাতীয় জেল হত্যা দিবস দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা আওয়মীলীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়নে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্ব (ঢাকা অফিস থেকে জুমের মাধ্যমে) করেন।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজামান প্রমুখ।




দামুড়হুদায় জেল হত্যা দিবস পালিত উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় সারা দেশের ন্যায় জেল হত্যা দিবস ও জাতীয় চার নেতা স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহীদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) সাহিদা খাতুন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন। দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট।

এসময় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায় জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বর্বরোচিতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরই বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহচর, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। ইতিহাসের জঘন্য ও বর্বর নিকৃষ্ট হত্যা যজ্ঞের এই দিনটি জেল হত্যা দিবস।

আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবদুল করিমের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, হযরত আলী, হাতেম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।




আলেম সমাজকে হাদিস ও কোরআনের সঠিক ব্যাক্ষা তুলে ধরতে হবে -ডিসি মুনসুর আলম খান

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, আলেম সমাজকে হাদিস ও কোরআনের সঠিক ব্যাক্ষা সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাই আলেম সমাজকে আগে সময় জ্ঞান ও প্রাসঙ্গিকতা বুঝে এবং সব কিছু সঠিকভাবে জেনে তাদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে।

মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই বিশেষ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সমন্বয় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইফা’র মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক (ডিডি) আশরাফ আলী।
ইফা’র মাঠ কর্মী আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাঠ কর্মী মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এই জেলায় ইফার আওতায় ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সঠিকভাবে তাদের ইসলামি জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে ইফার শিক্ষকদেরই।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে অনেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাই। সমাজের একজন সচেতন আলেম হিসেবে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেনো কেউ ধর্মের অপব্যক্ষা দিয়ে সমাজের মানুষকে জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যেতে না পারে।

জেলা প্রশাসক বলেন, রাস্ট্রের নাগরিক হিসেবে কিছু দায়ীত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সব ধর্মের উপর শ্রদ্ধাবান হতে হবে। কোমলমতি শিশুদের অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাবান করে গড়ে তুলতে আপনাদের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, পুলিশ বা জেলা প্রশাসন দিয়ে মাদক নির্মুল সম্ভব নয়। তাই মাদক নির্মুলে ইফার শিক্ষককে লড়তে হবে। যারা সমাজে মাদক বিক্রি ও নেশার সাথে জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকের সাথে যারাই জড়িত তাদের সঠিকভাবে চিহিৃত করার জন্য ধর্মীয় নেতাদেরই এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সমাজে অনলাইন জুয়া এখন একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত করেছে। অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে যেনো তারা ফোনের খারাপ দিকগুলো পরিহার করে ভাল দিকগুলো নিতে পারে।

এই বিশেষ সমন্বয় সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পুরুষ ও নারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপি এই বিশেষ সমন্বয় সভায় বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা মনোমুগ্ধকর ইসলামিক সঙ্গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানের মাধুর্যতা বাড়িয়ে তোলে।




কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কাউটের কাব প্যাক মিটিং

কোটচাঁদপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কাউট কাব প্যাক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এ মিটিং করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গ্রুপ লিডার বাবুল আক্তার বলেন,শিক্ষা সহায়কের অংশ হিসেবে প্যাক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্যাক মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করেন বিদ্যালয়ের ৪৮ জন ছাত্র /ছাত্রীরা। যার মধ্যে ছিল স্কাউট অভিযান,গ্রান্ডওয়েল,মোমবাতি প্রজ্বলন,নাটিকা,বনকলা ও তাবু জলসা।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কাউট কাব মিটিং শুরু হয়। দিনব্যাপী চলে এর বিভিন্ন কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা অসিত বরণ পাল,ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক সুব্রত কুমার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বলরাম সাহা, কমল কুমার ভট্টাচার্য ও মিঠুন দাস,কাউন্সিলর সুব্রত ভট্টাচার্য, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর গাজী তানজিম আক্তার পিউলি, ইউনিট লিডার শিক্ষক নাজমুন নাহার।

এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা অসিত বরণ পাল বলেন,বিদ্যালয়ের খাতা কলমের শিক্ষায় সব কিছু না। শিক্ষার্থীদেরকে ভালভাবে গড়ে তুলতে হলে,শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের প্রয়োজন আছে। তিনি কমল মতি ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিটি ইভেন্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ ও করেন বক্তব্যের সময়।




আলমডাঙ্গায় (এসএমসি) ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর প্রতারণা

চাকরি ও ঋণ দেবার আশায় (এসএমসি) ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লক্ষাধিক টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে। ঘটনাটি আলমডাঙ্গা পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় ঘটেছে। এতে চাকুরি ও ঋণ পাবার আশায় টাকা দেওয়া সাধারণ ভুক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ১৫ দিন পূর্বে আলমডাঙ্গা পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় (এসএমসি) ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। লোভনীয় বেতন দেবার নামে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী কর্মীদের নিয়োগ প্রদান করে। চাকুরির জন্য ১০-২০ হাজার টাকা জামানত নেয় এনজিও অফিসের কর্মকর্তারা।

এছাড়া মোটা অংকের লোন পাবার জন্য উপজেলা বাড়াদি, কুমারী, বেলগাছিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের নারীদের নিকট থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করে। এতে ভুক্তভোগীদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১০ লক্ষ টাকা লুটপাট করে পালিয়েছে এনজিও চক্রটি।

(এসএমসি) ফাউন্ডেশনের ফরমের উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত বলে তারা গ্রাহকের নিকট দাবি করে। এছাড়া Govt.Reg-S-6464/07C-52567/69469/10 Rural Development Project লেখনির মাধ্যমে মানুষের মাঝে আস্থা তৈরি করে।

এরই কারণে প্রতারিত হয়ে আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের রুবিনা খাতুন ১৫ হাজার, জান্নাতুল ১০ হাজার, হাসান ২ হাজার, নজরুল হোটেল ৭ হাজার, জনি ১৪ হাজার, বাড়াদি ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ১০ হাজার, পলাশ ৫ হাজার লাভলু ২ হাজার, তৌহিদুল ৬ হাজার মারিফুল ১৫ হাজার, টুটুল ৬ হাজার, মোকারুল ২৫ হাজার, রুনা খাতুন ১০ হাজার, বিল্লাল ২০ হাজার ও আলী হোসেন ৫ হাজার টাকা প্রদান করে। এছাড়াও অসংখ্য ব্যক্তি বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে লোন পাবার আশায় থাকে। প্রায় শতাধিক মানুষের নিকট থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগীরা লোন নিতে (এসএমসি) ফাউন্ডেশনের অফিসে উপস্থিত হয়। এসময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাদের খোঁজখবর না পেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে ভোরে তারা চলে গেছে।

রুবিনা খাতুন জানান, লোভনীয় অফার দিয়ে চাকুরি করতে আগ্রহ জানান তারা। পরবর্তীতে চাকুরি করতে জামানত হিসাবে ১৫ হাজার টাকা নেয়।

তিনি আরো জানান, সকালে চাকুরিতে যোগদান করতে আসি। এসে অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পায়। অনেক মানুষ লোন নিতে আসা সাধারণ মানুষ ভিড় করে।




গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস পালিত

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলোচনা সভা ও দোয়া মহাফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজগরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিরুল ইসলাম,সাবেক পৌর কাউন্সিলর নবীরুদ্দিন বিশ্বাস , কাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে জেলখানায় হত্যার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা। পরে নিহত চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমান সাইফুল ইসলাম।

জেলহত্যা দিবস পালন অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।




প্রোটিয়াদের হারিয়ে টিকে থাকলো পাকিস্তান

টি-২০ বিশ্বকাপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

১৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে ৫ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক। ককের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন রাইলি রুশো। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানে ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন রুশো।

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা। তবে, ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে আবারও উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৬৫ রানে ১৯ বলে ৩৬ রান করে শাদাব খানের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

একই ওভারের তৃতীয় বলে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে আবারও প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেন শাদাব খান। ব্যাট হাতে তান্ডব চালানোর পর বল হাতেও ভেলকি দেখান এই অলরাউন্ডার। ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়।

বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টির পর আবারও খেলা শুরু হয়। তবে ওভার কমিয়ে ১৪ ওভারে ১৪২ রানের নতুন লক্ষ্য পায় প্রোটিয়ারা। ফলে ৩০ বল থেকে ৭৩ রান প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।

এসময় ক্রিজে ছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ট্রিস্টান স্টাবস। ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শাদাব খান। এই ওভারে এক ছয় ও এক চারে ১৪ রান তুলে প্রোটিয়ারা। এরপর ১১ তম ওভারে পর পর দুই চার মারেন হেনরিখ ক্লাসেন। ওভারের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৯৪ রানে ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন ক্লাসেন।

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৪৭ রান প্রয়োজন হয় প্রোটিয়াদের। ক্লাসেনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ওয়ায়েন পার্নেল। ১২ তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়ায়েন পার্নেলকে আউট করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এই ওভার থেকে মাত্র ৪ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন হয় প্রোটিয়াদের।

ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাসিম শাহ্‌। প্রথম দুই বল থেকে দেন ২ রান। পরের বল ডট করেন নাসিম। ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। পরের দুই বল ডট করেন নাসিম। এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৪১ রান প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফিরে যান রাবাদা। এরপর চতুর্থ বলে এনরিখ নর্টজেকে আউট করেন হারিস রউফ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ৩৩ রানে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি ৩ ও শাদাব খান নেন ২ উইকেট। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো পাকিস্তান।