দামুড়হুদায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী দড়িটানা খেলা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় হয়ে গেলো গ্রাম-বাংলার ঐহিত্যবাহী দড়িটানা খেলা। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামে এ খেলার আয়োজন করা হয়। গ্রামের পশ্চিমপাড়া যুবসংঘের আয়োজনে শনিবার দিনব্যাপি গ্রামসংলগ্ন ভৈরব নদের তীরে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামে।

আয়োজকরা জানান, খেলায় মোট ৮টি দল অংশ নেয়। শনিবার সকাল থেকে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের তিনটি দল, জগন্নাথপুর গ্রামের দুটি দল এবং গচিয়ারপাড়া, কোমরপুর ও আনন্দবাস গ্রামের একটি করে দল খেলায় অংশ নেয়।

শনিবার বিকালে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত খেলা চলমান ছিলো। আয়োজনরা জানান, খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে পুরষ্কার হিসেবে একটি করে ছাগল প্রদান করা হবে।




ঘন কুয়াশায় ঢাকা চুয়াডাঙ্গা শহর,দেখা মেলেনি সূর্যে

শনিবার সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো চুয়াডাঙ্গা। সকাল থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। সব যানবাহনই হেডলাইট জালিয়ে চলাচল করছে। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ছিলো মাত্র ২০০ মিটার।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা থাকলেও শীত আছে। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের কুল ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, খুবই কুয়াশা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ক্রেতা নেই। কুল বিক্রি করতে পারছি না। ৬০ টাকার কুল ২০ টাকাতেও কেউ কিনছে না।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে আসা শহরের গুলশানপাড়ার ইদ্রিস আলী বলেন, কুয়াশার কারণে শহরের মধ্যেও চলাচল করা যাচ্ছে না। সকাল ৯টার সময়ও কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা শহরের ভ্যান চালক আব্বাস মন্ডল জানান, ভোরে তিনি শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এসে দেখেন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একইভাবে কুয়াশা আছে সারাদিন। শহরে লোকজন কম। যাত্রী নেই। কোনো আয় হয়নি তার।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চুয়াডাঙ্গা। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার দৃষ্টিসীমা ছিলো ২০০ মিটার। সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি।




ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় দুই যুবক নিহত

ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কয়ারগাছি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া রবিউল ইসলাম মনিরের ছেলে শাকিল হোসেন (২০) ও একই গ্রামের মিটুল বিশ্বাসের ছেলে রাকিব বিশ্বাস (২০)। তারা দুইজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল এলাকায় ওষুধ ফার্মেসিতে কাজ করতো।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল এলাকায় একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন শাকিল ও রাকিন। আজ সকালে মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহে যাচ্ছিলেন তারা। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কয়ারগাছি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গিনেস বুকে ইলন মাস্কের লজ্জার রেকর্ড

টুইটার চিফ ইলন মাস্ক বছরের শুরুতে লজ্জার রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন! এহেন ‘নজির’ যে তিনি গড়বেন, তা হয়তো তার বড় শত্রুও ভাবেননি। কিন্তু সত্যিটা ভাবনার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়াল। টুইটার কিনে বিপুল অর্থ খুইয়ে রেকর্ড গড়লেন মার্কিন ধনকুবের। ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি লোকসান করে ইতিহাস তৈরি করেছেন মাস্ক।

গত শুক্রবার এমন খবরই প্রকাশ্যে আনে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে অন্তত ১৮২ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছেন মাস্ক। অন্য সূত্রের আবার দাবি, হিসাবের অঙ্কটা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২০ হাজার কোটি টাকা!

জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের আগে মাস্কের মোট সম্পত্তির মূল্য যেখানে ৩২০ বিলিয়ন ডলার ছিল, সে মাসের পর থেকে নামতে নামতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এসে তা দাঁড়িয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে। এর থেকেই মাস্কের বিপুল লোকসানের অঙ্কটা অনেকটাই স্পষ্ট।

এর একটি কারণ তার কোম্পানি টেসলা স্টকের খারাপ পারফরম্যান্স। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, টুইটার কেনার জন্য প্রথম দফায় টেসলার ৭ বিলিয়ন ডলার, পরে ৪ বিলিয়ন ডলার এবং পরে আরও ৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার স্টক বিক্রি করেছেন মাস্ক। এ বিপুল অর্থ খুইয়েই লজ্জার রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন তিনি। আর এর সঙ্গেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হওয়ার তকমাও হারিয়েছেন। বিশ্বের ধনীতমদের শীর্ষে ফ্রান্সের বার্নার্ড আরনল্ট। তার সম্পত্তির মূল্য ১৯০ বিলিয়ন ডলার।

সূত্র:যুগান্তর




আমার হৃদয় আবেগে পূর্ণ: সানিয়া মির্জা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডস্ল্যাম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। আর ক্যারিয়ারের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যামও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সানিয়া । তবে শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলার আগে আরও একবার স্মৃতিচারণ করলেন টেনিসযাত্রার। টুইটারে দিলেন আবেগঘন বার্তা।

সানিয়া জানিয়েছেন, ছয় বছর বয়স থেকে তার লড়াই শুরু হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতিতে তার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে। তাকে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সানিয়া। গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার স্বপ্ন দেখেছিলেন হায়দরাবাদের ছোট্ট মেয়েটি।

অনেক বাধা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্নপূরণ করেন। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডস্ল্যামের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৮ বছর পর সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলতে নামবেন সানিয়া। আর তাকে শেষ টেনিস খেলতে দেখা যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাইয়ে।

টুইটারে সানিয়া লেখেন— যখন আমি আমার ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকাই, অনুভব করি যে আমি শুধু গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্টে হাফসেঞ্চুরিই করিনি, এর মধ্যে কয়েকটি জিততেও সক্ষম হয়েছি। দেশের হয়ে পদক জেতা আমার জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তেরঙ্গাকে সারাবিশ্বে সম্মানিত হতে দেখা আমার জন্য সম্মানের।

সানিয়া লেখেন, যখন আমি ১৮ বছর পর আমার শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং তার পর ফেব্রুয়ারিতে দুবাই ওপেনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন আমার হৃদয় আবেগে পূর্ণ। আমি গর্ববোধ করছি। আমি যা কিছু অর্জন করেছি এবং আমার ২০ বছরের পেশাগত জীবনে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হলো— আমি যখনই জিতেছি, তখনই আমার দেশবাসীর হৃদয়ে আনন্দ দেখেছি।

সূত্র: যুগান্তর




নীতি ও নৈতিকতার শিক্ষা প্রাথমিক থেকেই শিশুরা পেয়ে থাকে —- প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি

মেহেরপুরে রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুেলার জাতীয়করণের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি মেহেরপুর মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ কমর উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন এমপি।

এসময় তিনি বলেন, একটি শিশুর লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার অবদান সব থেকে বেশি। নীতি ও নৈতিকতার অনেক বিষয়ে আছে যেগুলো প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে ছোট্ট শিশু মনে কিভাবে তৈরি করতে হয় আপনারা তাদেরকে সে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিভাবে বড়দের সম্মান করতে হয়, কিভাবে কথা বলতে হয়। বাবা মায়ের হক কি আছে, বাবা মার সাথে কথা কিভাবে বলতে হয়। একই সাথে ইতিহাসের কিছু বিষয় ও জীবনে যারা সফল হয়েছে তাদের জীবন কেমন ছিলো এবং লেখাপড়ার বিষয়ে ব্যাপকভাবে আগ্রহ করে গড়ে তোলাই কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাফিউল আলম পিপিএম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুরের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, বাংলাদেশ প্রাথমিক কল্যাণ সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান হাবিব। সঞ্চালনা করেন কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান। আলোচনা সভায় মেহেরপুর প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির শিক্ষকরা অংশ নেন।




দর্শনায় সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নফরের সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন

দর্শনায় কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফরের সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৪ টায় দর্শনা কেরুজ পৃজা মন্দিরের পাশে এ সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়।

এ উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ডিষ্টিলারী বিভাগের ফিটার আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফর, তিনি বলেন আমি নতুন প্রার্থী হলেও সকলে আমাকে চেনেন বা জানেন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে শ্রমিকদের স্বার্থে যা,যা করার দরকার আমি তাই করবো। এ মিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনবো এবং এ মিলের শ্রমিকরা বহুদিন ধরে চুক্তি ভিত্তিক হিসাবে কাজ করছে তাদের চাকুরী স্থায়ী করনের ব্যাবস্থা করবো। আমি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

এ সময় পরিবহন বিভাগের ইয়াসির আরাফাত মিলনের উপস্থাপনায় শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, বিদুৎ বিভাগের মনিরুল ইসলাম ঝন্টু, কেরু বিভাগের সুপার ল্যাবের সোলাইমান কবির, পরিবহন বিভাগের সাবেক মেম্বার বাবুল আক্তার, পরিবহন বিভাগের সানোয়ার হোসেন, পরিবহন বিভাগের সাইফুল ইসলাম হুকুম, পরিবহন টারবাইনের আব্দুল হান্নান, পরিবহন বিভাগের ওয়েল্ডার সাগর হোসেন, আব্দুল মজিদ, ইক্ষু বিভাগের জুলহাস, ফার্মের করনিক রশিদুল, আকরাম হোসেন, খদিমুল বাসার শাবান, ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল করিম, সাবেক সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ফারুক আহম্মেদ, প্রমুখ।




জীবননগরে শীতার্থ মানুষের মাঝে উদ্দীপ‌ন এন‌জিওর কম্বল বিতরণ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগ‌র উপ‌জেলার আন্দুলবা‌ড়িয়ায় বেসরকা‌রি সামা‌জিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান উদ্দীপন (এন‌জিও) শীতার্থ মানুষের মা‌ঝে কম্বল বিতরণ করেছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়া‌রি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ে এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান অনু‌ষ্ঠিত হয়।

উদ্দীপন এন‌জিওর আন্দুলবা‌ড়িয়া শাখা ব‌্যবস্থাপক আল আসমাউল হুসনার সঞ্চালনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের দর্শনা আঞ্চ‌লিক ব‌্যবস্থাপক (আরএম) বিপ্লব কুমার পোদ্দার।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাতর চুয়াডাঙ্গার জীবননগ‌রের আন্দুলবা‌ড়িয়া গরীর অসহায় দুস্থ মানুষ এসব মানুষ কস্বল পেয়ে খুব খু‌শি ও আন‌ন্দিত হয়ে উদ্দীপন এন‌জির প্রতিকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




প্রতিবন্দী হয়েও এগিয়ে চলেছেন কোটচাঁদপুরের আরাফাত মাল্লিক

হাতের আঙ্গুল না থাকায় দুই হাত দিয়েই লিখতে হয় আরাফাত মল্লিক(১১)কে। এরপরও ক্লাসে সব সময় প্রথম হয়েছেন সে। লেখা-পড়া করে জীবনে সরকারি বড় কর্মকর্তা হবার ইচ্ছে তাঁর। আরাফাত কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর নন্দী পাড়ার আলামিন মল্লিকের ছেলে।

আরাফাত মল্লিকের পিতা আলামিন মল্লিক বলেন,জন্মের দিনই বুঝতে পেরে ছিলাম আরাফাত শারিরীক প্রতিবন্দী। ওই অবস্থায় দেখার পর প্রথমে কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল। তবে ভেঙ্গে পড়িনি। বিশেষ করে তাঁর মা ছিলেন আরো শক্ত অবস্থায়। আর সব সবার সন্তানের তুলনায় আরাফাতকে একটু আলাদা ভাবেই বড় করতে হয়েছে আমাদের।

তিনি বলেন, আরাফাত একটু বড় হয়ে স্কুল যাওয়ার মত হলে,তাকে বলুহর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। ওই সময় শুধু আরাফাতের রোল হয় একটু বেশি।

এরপর থেকে সে কোন দিন ২ নাম্বার হন ক্লাসে। এরজন্য অকান্ত পরিশ্রম করেছেন তাঁর মা সেলিনা খাতুন। আজ তাঁর বয়স ১১ বছর। বর্তমানে সে কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র। সে ৫ম শ্রেনীতে বৃত্তি পরিক্ষাও অংশগ্রহণ করেছেন। আরাফাত বৃত্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন আমাকে।

তিনি আরো বলেন,কাজের ফাঁকে একদিন আরাফাত আমাকে জিজ্ঞাসা করেন,বাবা সরকারি বড় পদ কি।আমি ওই সময় তাকে বলেছিলাম,জেলা প্রশাসক,এসপি,ইউএনও। ওই সময় সে আশা প্রকাশ করে ছিল সরকারি বড় কর্মকর্তা হওয়ার।

আলামিন মল্লিকের দুইটি সন্তান। এরমধ্যে আরাফাত মল্লিক বড় আর ছোট মেয়ের বয়স ৯ মাস।
জানা যায়,আলামিন মল্লিক বিএ পাস আর তার মা সেলিনা খাতুন এসএসসি পাস। তারা শিক্ষিত হয়ে ও কোন চাকুরী না করে,পিতা আলামিন মাঠে কৃষি কাজ বেচে নিয়েছেন। আর মা সেলিনা খাতুন গৃহিনী। তারা ছেলে মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলে নিজেদের ইচ্ছে পূরন করতে চান।

আরাফাত মল্লিক বলেন,ছোট বেলা থেকে দুই হাতে লিখে অভ্যাস হয়ে গেছে। তেমন কোন সমস্যা হয় না।সবার মত লিখতেও পারি। বড় হয়ে কি হতে চাও এমন প্রশ্নে,সে বলেন,লেখা পড়া শিখে সরকারি দপ্তরের বড় কর্মকর্তা হতে চাই।




রোনালদোর চতুর্থ স্ত্রী হতে চলেছেন তরুণ মডেল সেলিনা

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর সঙ্গে টানা আট বছর চুটিয়ে প্রেম করছেন সেলিনা। তরুণ মডেল ও অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।

প্রিয় মানুষের বিয়ের প্রস্তাবে উচ্ছ্বসিত সেলিনা। তাদের বিয়ে হলে এই সুদর্শনী হবেন ৪৮ বছর বয়সি ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকারের চতুর্থ ঘরণী।

রোনালদো ও সেলিনার বিয়ের কথা উঠতেই দর্শকদের আগ্রহ মডেলকে নিয়ে। সেলিনা লকসের বয়স ৩২। তিনি ব্রাজিলিয়ান মডেল।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ল্যান্স সূত্রে খবর, আট বছর প্রেম করেছেন সেলিনা এবং রোনালদো। চুটিয়ে প্রেম করার পরেই সেলিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রোনালদো।

রোনালদো যে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই খবরটি নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন সেলিনা। তিনি ইনস্টাগ্রামে রোনালদো সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ। আমি রাজি। তোমাকে চিরদিনের জন্য ভালোবাসি।’ রোনালদো সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘তোমাকেও ভালোবাসি।’

জানা গেছে, সেলিনা অল্প বয়স থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে। তিনি জনপ্রিয় ‘ভোগ’, ‘দিওর’র মতো বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ৩২ বছর বয়সি সেলিনার ইনস্টাগ্রামে তার অনুরাগীর সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।

প্যারিস ফ্যাশন উইকের নিয়মিত মুখ সেলিনা লকস। তার সঙ্গে ২০১৫ সালে পরিচিত হয়েছিলেন রোনালদো। পরিচিত হওয়ার পর স্পেনের ইবিজায় রোনালদোর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেলিনা। এই জুটি এখনও কোনো সন্তান নেননি।

তবে এর আগে ‘কুয়েম’ সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেছিলেন, রোনালদোর চার সন্তানকে তিনি নিজের সন্তান হিসেবেই দেখেন, ‘ওরা আমারই সন্তান। বেশ কয়েক বছর আগে রোনালদোর যখন সম্পর্কটা শুরু হলো, ওরা অনেক ছোট ছিল। কাউকে ভালোবেসে সম্পর্ক শুরু করলে তার সবকিছুই মেনে নেওয়া যায়। আমি এই পরিবারকে ভালোবাসি। ওদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে। এই পরিবারকে জিতে নেওয়ায় গর্ব লাগে।’

সূত্র: যুগান্তর