মেহেরপুরে ১২ বারের মত সফল পুলিশ কর্মকর্তা শাকিল

মেহেরপুর সদর থানার এ এস আই শাকিল হোসেন ১২ বারের মত শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছেন।

গতকাল বুধবার মেহেরপুর পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা শেষে পুলিশ সুপার তার হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এএসআই শাকিল সহ জেলায় কর্মরত বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।




মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরও এক এজেন্ট লাল মিয়া গ্রেফতার

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে লাল মিয়া (৩৫) নামের অনলাইন জুয়ার আরও এক এজেন্টকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন, মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল, ডিবির ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ, মুজিবনগর থানার একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে গতকাল বুধবার বিকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া কোমরপুর বাজার পাড়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে এবং অনলাইন জুয়ার অন্যতম হোতা মাদার আলীর ভাগ্নে। অভিযান চলাকালীন লাল মিয়ার কাছে থেকে পুলিশ একটি Redmi Note 10s মডেলের মোবাইল যাহার IMEI-1: ৮৬০৩৭০০৫৯৮৭০২৮৩. IMEI ২০ ৮৬০৩৭০০৫৯৮৭০২৯১ এবং ফোনে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮৪৬-১৫৫৯১৫ এবং ০১৭১০-০৩১৯৬০, একটি Nokia 1464 মডেলের মোবাইল যাহার IMEI-1: ৩৫৩৪৪৫৪২২৯৫৯৩৯৫, IMEI ২: ৩৫৩৪৪৫৪২২৯৫৯৪০৩ ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৮৩৪-০৭১২১০ এবং ০১৭১৬-৫৫৪১৩৩ উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় এক শ্রেণীর অসাধু লোক অনলাইন জুয়া IxBet, Lincbet, Melbet, Bet Winner, Walmart এর সাব-এজেন্ট হিসেবে কাজ করিতেছে এবং অনলাইন জুয়া x Bet, Linchet Melbet, Bet Winner  পরিচালিত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ/নগন/রকেট/উপায় এর কতিপয় অসাধু সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ এর জোগসাজোশে অবৈধ ই-ট্রানজেকশন করছে। অনলাইন জুয়া IxBet, Linchet, Melbet, Bet Winner G Walmart সহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার সাইটের সাব এজেন্টরা ভূয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে অনলাইল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ/নগদ /রকেট/উপায় এর কতিপয় অসাধু সেল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর মাধ্যমে ব্যবসয়িক এজেন্ট সিম নিবন্ধন করে করছে।

গত ২০ অক্টোবর মাহফুজুর রহমান জয়, আক্তারুজ্জামান আক্তার, তরিকুল ইসলাম, রুবেল হোসেন কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকালে তাহাদের নিকট থেকে আলামত হিসেবে ৭টি মোবাইল ফোন, অনলাইন জুয়ার লেনদেনের ৫০ হাজার টাকা, ২৩টি বিভিন্ন কোম্পানীর সিমকার্ড যাহার মধ্যে ২ টি এজেন্ট সিমকার্ড, অনলাইন জুয়া 1xbet এর ০১ (এক) টি চ্যানেল, অনলাইন জুয়া Bet Winner এর ০৪ (চার) টি চ্যানেল উদ্ধার করেন। এছাড়া গত ১৩ নভেম্বর মোঃ সাইদুর ইসলাম, সুমন খন্দকার, রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করে তাদের নিকট থেকে অনলাইন জুয়ার আলামত হিসেবে ৫টি মোবাইল ফোন, ৯ টি বিভিন্ন কোম্পানীর সিমকার্ড যার মধ্যে ১টি এজেন্ট সিমকার্ড, অনলাইন জুয়া ১ীনবঃ এর ১ টি চ্যানেল উদ্ধার করা হয়। ওই মামলার তদন্তে লাল মিয়ার অনলাইন জুয়ার চ্যানেল চালাচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর লালমিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশকে জানায়, ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামীদের সহযোগিতায় তাহার অন্যতম সহযোগী কোমরপুর বাজারের নাজিম বিশ্বাসের ছেলে ভোলা, কোমরপুর গ্রামের আনারুলের ছেলে রুবেল ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বেষ্টপুর গ্রামের নজিরের ছেলে অনিকের ১টি 1xbet nagad, ১টি1xbet nagad, এবং ১টিMelbet nagad ও ১টি Melbet rocket চ্যানেল নিয়ে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করে আসছিলো। ওই অনলাইন জুয়া পরিচালনা করার জন্য যে সকল এজেন্ট সিমকার্ড ব্যবহৃত হতো সে সকল এজেন্ট সিমকার্ড সরবরাহ করতো এবং অনলাইন অবৈধ ই ট্রান্সজেকশনের টাকা গ্রহন করতো অনিক ।

গ্রেফতারকালে আসামীর নিকট থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনাকালে দেখা যায় যে, আসামী মোঃ লাল মিয়া (৩৫) এর ফোনে Melbet এর MD. ZOHIRUL ISLAM নামে অনলাইন জুয়ার একটি চ্যানেল আছে। যাহার বর্তমান ব্যালেন্স ৩৭৫৬০.৬৩ টাকা। ওই মেলবেট একাউন্টের হিস্ট্রিতে দেখা যায় যে, আসামী দীর্ঘদিন থেকে তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮৩৪-০৭১২১০ এর মাধ্যমে MD. ZOHIRUL ISLAM নামে অনলাইন জুয়া Melbet এর মাধ্যমে লেনদেন করে আসছে। লাল মিয়া একজন সল্প শিক্ষিত লোক হওয়া সত্ত্বেও সে অনলাইন জুয়ার চ্যানেল কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তাহা সে জানে।




দোহানাগিরাট মাদ্রাসায় পুরস্কার বিতরণী ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দোহানাগিরাট তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার বেলা তিনটায় এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান এম হাকিম আহমেদ,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী বিদ্যুত শৈলকুপা জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমান ,ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল.শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুত সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল পান্না প্রমুখ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাসান মুসা ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ,সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি কাজী নওরোজ, সভাপতি জুয়েল পারভেজ কর্ণেল, ইউপি সদস্য আবু বকর,মিন্টু মিয়া, আঃ সালাম ও এলাকার সুশীল সমাজের একাংশসহ মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা। সভাপতিত্ব করেন আব্দুস সবুর বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও অত্র মাদরাসার কার্য নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছে।




দর্শনা বড়বলদিয়া মাদ্রাসা ছাত্রীর বিষপানে আত্ম*হত্যার চেষ্টা

দর্শনা বড়বলদিয়া মাদ্রাসার ওনজিলা খাতুন নামের এক ছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে গুরুত্বরভাবে অসুস্থ অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড় বলদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ওসমানপুর বেদেপোতা গ্রামের জনৈক্য ব্যাক্তির শিশু কন্যা ওনজিলা খাতুন (১১)। সে একই উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার অধ্যায়নরত ছাত্রী।

বুধবার সকালের দিকে মাদ্রাসার একই ক্লাসে অধ্যায়নরত বান্ধবীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এনিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উকুন মারা বিষপান করে ওনজিলা খাতুন। ফলে গুরুত্বরভাবে অসুস্থ হলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তবে তার বিষপানের নেপথ্য নিয়ে বড়বলদিযা গ্রামে নানামুখি গুঞ্জণ শুনা যাচ্ছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে মাদ্রাসা ছাত্রী ওনজিলা খাতুনের অবস্হা আশংকাজনক।




দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ হাতে প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের হাতে আবারো আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য আটক, এবং একটি বাজাজ সিটি ১০০ মোটরসাইকেল, ৫৫ টি ভুয়া মেমো এবং প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত নগদ ২৭০০/- হাজার টাকা উদ্ধার।

আটককৃত হলেন দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আলিফ (৩৭)। আজ বুধবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তৌহিদুর রহমান শেখ সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামস্থ ক্লাব মোড় সংলগ্ন আসামীর নিজ বসত বাড়ি থেকে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের মূল হোতা আলিফ কে আটক করে।

আটককৃত ব্যাক্তি দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা, জীবননগর চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ সহ আসপাশের জেলায় প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। সে আশপাশের জেলাগুলো থেকে প্রতারণা করে বিভিন্ন ব্যবসায়িদের কাছথেকে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিত। পুলিশ এমন তথ্য পেয়ে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্ত করে তাকে আটক করে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।




কুষ্টিয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা আদায়

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় অনুমোদনহীন ৫টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৫টি ইটভাটা মালিককে ১লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন।

এসময় কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, অভিযানে সদর উপজেলার বলরামপুর এলাকার আরএসবি ব্রিকসের মালিক সাঈদ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা, বিইএসটি ব্রিকসের মালিক জামাল উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা, আমানতপুর এলাকার এমএইচবি ব্রিকসের মালিক মহির উদ্দিনকে ৩০ হাজার টাকা, আমানতপুর এলাকার আরএসবি ব্রিকসের মালিক জাফর আহমেদকে ৩০ হাজার টাকা ও বৈদ্যনাথপুর এলাকার রঞ্জু ব্রিকসের মালিককে ২৫ টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন জানান,কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৫টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে বৈদ্যনাথপুর এলাকার রঞ্জু ব্রিকসের ড্রাম চিমনী ইটভাটার কিলন ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ওই সব ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এগুলো নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানান, কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় দুইশতাধিক ইটভাটা আছে। যার মধ্যে ১৩৭টি অনুমোদন পেয়েছে। এগুলোতে এক মৌসুমে ১৩০দিন ধরে ইট পোড়ানো হয়। প্রতি ১টি ভাটায় ১ দিনে ১৬ টন কাঠ পুড়লে এক মৌসুমে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে ২০৮০ টন। জেলার সবগুলি ইটভাটার হিসেব মতে, প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার মে.টন কাঠ পুড়ছে ভাটাগুলোতে।

কুষ্টিয়া জেলায় অতীতে সর্বত্র খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন ইটভাটার জ্বালানির দাপটে খেজুর গাছ কেটে সাবাড় করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে খেজুর গাছের চাহিদা অনেক। অনেক খেজুর গাছ বিক্রি করা হয়েছে। এখন এ জেলায় যা আছে, চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, ‘ইটভাটা খেজুর গাছ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। ইটভাটার সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে। মানুষের ক্ষতির সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয়ও ঘটছে। কৃষি উৎপাদন ও ফলমূলের ফলন কমে যাচ্ছে। খেজুর গাছসহ গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।’




দ.আফ্রিকার পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল

দক্ষিণ আফ্রিকার পর ভারতীয় নারী দলকেও হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টানা দুই জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি জোরদার করল স্বর্ণা আক্তাররা।

স্বর্ণার ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ভারতের বিপক্ষে ৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সেন্ট স্টিথিয়ান্স কলেজ মাঠে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২১ রান। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দলের সহ-অধিনায়ক স্বর্ণা।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করতে পারে ভারত। দলের হয়ে তৃষা গঙ্গাদি ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে রানআউট হন। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা ওপেনার শেফালি ভার্মা ৫০ বলে করেন অপরাজিত ৪৩ রান।

এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টান পদ্ধতিতে ৭ রানে জয় পায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।

শনিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৬ দলের টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র:যুগান্তর




থাইরয়েডের লক্ষণ, কী করবেন জেনে নিন

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দেশ যেখানে অসংখ্য মানুষ থাইরয়েড গ্রন্থি ও থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে। এটি দুই ধরণের। হাইপোথাইরয়ডিজম ও হাইপারথাইরয়ডিজম।

হাইপোথাইরয়ডিজম মূলত তিনটি কারণে দেখা যায়। এক. সদ্যোজাত শিশুদের মধ্যে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড তৈরি না হলে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজম দেখা যায়। দুই. থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সক্রিয় হলে, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড খারাপ হয়ে যায়। তখন থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করে না।

এটা অটোইমিউন হাইপোথাইরয়ডিজম। তিন. অপারেশনের কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বাদ দিতে হলে বা ‘রে’ দেওয়ার কারণে থাইরয়েড নষ্ট হয়ে গেলে হাইপোথাইরয়ডিজম হতে পারে। আর শরীরে অ্যান্টিবডি অতিরিক্ত মাত্রায় থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে স্টিমুলেট করলে হাইপারথাইরয়ডিজমের সমস্যা দেখা যায়।

চূড়ান্ত পর্যায়ের পর ওষুধের ডোজ বেশি হলে, তার থেকে হাইপারথাইরয়ডিজম হতে পারে। থাইরয়ডাইটিস বা রক্তে ইনফেকশন হলে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব অঞ্চলে আয়োডিনের অভাব রয়েছে, সেখানে আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে হাইপোথাইরয়ডিজম দেখা যায়।

থায়রয়েডের লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।

* হাইপোথাইরয়ডিজমে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়-

ভালো না লাগা ও সঙ্গে লেথার্জিক ভাব, ত্বক খসখসে হয়ে যায়, পা অল্প ফুলে যায়, খিদে ভাব কমে যায়, চুল পড়তে শুরু করে, ওজন অল্প বেড়ে যায় (৫-৬ কিলোগ্রাম), স্মৃতিশক্তি কমে যায়, খিটখিটে ভাব, কনস্টিপেশনের সমস্যা হয়, ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে, বন্ধ্যাত্বর সমস্যা হতে পারে, প্রেগনেন্সির সময় অ্যাবরশন হতে পারে, কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজমে শিশুর ব্রেনের বিকাশ হয় না, শীতশীত ভাব দেখা যায়, পিরিয়ডে সমস্যা হতে পারে।

* হাইপারথাইরয়ডিজমে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়

খিদে বেড়ে গেলেও ওজন কমতে থাকে, প্রচণ্ড গরম লাগে, বুক ধড়ফড় করে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে, পিরিয়ডের সমস্যা হয়, ত্বক কালো হয়ে যায়, হার্টের সমস্যা হতে পারে, ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়, হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, বেশি বয়সে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে, চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসে, বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

* চিকিৎসা

থাইরয়েডের সমস্যা নির্ধারণের জন্যে ব্লাড টেস্ট করা হয়। হাইপোথাইরয়ডিজমের চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে করা হয়। হাইপারথাইরয়ডিজমের চিকিৎসায়ও ওষুধ দেওয়া হয়। তবে ওষুধে কাজ না করলে, তখন সার্জারি বা রেডিওঅ্যাক্টিভ আয়োডিন থেরাপির কথা ভাবা হয়। গয়টারের সমস্যা হলে ফোলা অংশ ম্যালিগনেন্ট কি না তা নির্ণয় করা হয়। FNAC টেস্ট করা হয়। ম্যালিগনেন্ট নির্ধারিত হলে এবং শুরুর দিকে ধরা পড়লে রেডিওঅ্যাক্টিভআয়োডিন পদ্ধতির মাধ্যমে থাইরয়েড ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হলে আয়োডাইজড সল্ট খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর




নতুন সনের প্রত‍্যাশা – এম.আবু বকর সিদ্দিক

প্রভু তোমার বিধান মেনে
রবি শশী ঘোরে,
তাইতো আবার নববর্ষ
এলো আমার দোরে।

আমার যত ভুলত্রুটি
ক্ষমা করো প্রভু,
নতুন সনে মন্দ পথে
নিও নাকো কভু।

ভুবন থেকে সব মুসিবত
নাওগো তুমি তুলে,
তোমার আদেশ নিষেধ কভু
যাই না যেন ভুলে।

এমন জীবন দাও আমাকে
মরণে চাই হাসি,
আমার বিদায় কালে যেন
কাঁদে ভুবনবাসী।




কুষ্টিয়ায় ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তারসহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সকল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার আয়ের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ায়, কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের (ডিডিএলজি) উপপরিচালক আরিফুজ্জামান প্রথম পুরস্কার তুলে দেন উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান এর হাতে।