মেহেরপুর সীমান্তে ২ টি ভারতীয় মহিষসহ একজন আটক

২ টি ভারতীয় মহিষ ও একটি আলগামনসহ আনোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক চোরাচালানীকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

আটক আনোয়ার হোসেন মেহেরপুর সদর থানার সীমান্তবর্তি দক্ষিণ শালিকা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

শনিবার বিকালে সীমান্তবর্তি বারাকপুর গ্রামের জনৈক জসিমের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর থেকে তাকে মহিষসহ আটক করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাকিল খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে এ অভিযান চালান।

এঘটনায় সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চোরাচালানী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) এর ১(বি)/২৫ (ডি) ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ৩১, তারিখ ২৯/১০/২০২২ ইং।

আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আটক আনোয়ার হোসেনকে আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীর মাঠ থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার। স্ত্রীর দাবী হত্যা

গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর মাঠ থেকে জগত আলী (৫০) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জগত আলী গাংনী উপজেলার অমতৈল মানিকদিয়া গ্রামের কিয়ামত আলীর স্ত্রী।

আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কৃষকরা তার মরদেহ দেখে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে, নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুনের দাবী জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার ভাসুর আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গাফফার ও আব্দুল জব্বার তাকে হত্যা করতে পারেন। কিছুদিন আগে গাফ্ফারের বোন ও অন্য একজনের কাছ থেকে ৮ কাঠা করে মোট ১৬ কাঠা জমি কিনেছিলেন তার স্বামী জগত আলী। সেই কেনা জমি নিয়ে প্রায় ৩ মাস যাবৎ গাফ্ফারের সাথে গ্যানজাম চলে আসছে। কিছুদিন আগেও একবার জগত আলীকে মারধর করেছিলো গাফফার ও জাব্বার। ১০ দিন আগে থেকে তাকে হত্যা করে লাশ ভারতে ফেলে আসবে বলেও হুমকী দিচ্ছিল তারা। এসব অভিযোগ হালিমা খাতুনের।

হালিমা খাতুন আরো বলেন, আজ সকালে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে জমির দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন জগত আলী। পরে মাঠে তার লাশ দেখে কৃষকরা খবর দেন।

তিনি বলেন আমার স্বামী কেনা এই ১৬ কাঠা জমিতে সরিষা বুনেছিলেন। সেখানে গাফ্ফার ও জাব্বারও ভূট্টা লাগিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিরোধপূর্ণ জমির উপরেই জগতের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়ি ও স্থানীয় হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জগত আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেহেতু তার স্ত্রীর দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর পুলিশের এএসপি সার্কেল ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।




মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরও এক মাস্টার এজেন্ট পলাশ

মেহেরপুর জেলা থেকে দুই শতাধিক এজেন্ট অনলাইন জুয়া সাইটের মাধ্যমে রাশিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছেন শত শত কোটি টাকা। আর এই অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত মেহেরপুরের সরকার দলীয় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, মু‌জিবনগ‌রের একজন প্রভাবশালী নেতা, সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, প্রশাসনের দু একজন কর্মকর্তা, স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেলস প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি।

মেহেরপুর প্রতিদিনের এ পর্বের অনুসন্ধানে থাকছে আরো এক মাস্টার এজেন্ট পলাশের আদ্যপান্ত।

নিয়োগ দালালি করে বহু মানুষের কাছে থেকে নেওয়া অর্ধকোটি টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পালিয়ে বেড়ানো ধান্দাবাজ নামে পরিচিত পলাশ এখন নিজেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। শোধ করেছেন বিভিন্ন জনের পাওনা টাকাও। দুটি ইটভাটায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করে পার্টনার হয়েছেন। মেহেরপুর শহরের কোর্ট সড়কে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে থাই ও গ্লাসের দোকান দিয়েছেন। এলাকাতে কিছু জমিও কিনেছেন। আর এসব কিছুই হয়েছে অবৈধ অনলাইন জুয়ার বদৌলতে।

পলাশ মেহেরপুর সদর উপজেলার টুঙ্গী গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময়ে যখন অনলাইন জুয়া ছড়িয়ে পড়ে পলাশও তখন অনলাইন জুয়ায় নিজেকে জড়ান। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে গড়ে তোলেন নিজের একটি বলয়। নিজের স্বার্থে এমন কোন কাজ নেই যা পলাশ করতে পারেন না। সাংবাদিক ও পুলিশ ম্যানেজের নামে অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত নিকট থেকে চাঁদা তুলে তা আত্মসাৎ করাতেও পটু এই পলাশ। এছাড়া অনলাইন জুয়ার চ্যানেল বিক্রির নামেও বিভিন্ন জনের কাছে থেকে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। পলাশ মেহেরপুর পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামিও। মামলার আসামি হলেও এলাকায় সে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান ও তার স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির জন্য এলাকায় ছেলেদের নিয়োগ দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের সাথে টাকা নেন পলাশ। চাকরি দেওয়া তো দুরের কথা টাকাও ফেরত দিতে পারেন না। পরবর্তিতে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট পেয়ে দ্রুত তার দিন বদলাতে থাকে। বনে যান অনলাইন জুয়ার ওয়ান এক্স বেটের অন্যতম মাস্টার এজেন্ট। তার এজেন্ট চ্যানেল চালানোর জন্য নিয়োগ দেন সাদ্দাম, আসিফ, আশিক, ইজারুলের ছেলে সুমন ও কটার ছেলে সবুজসহ বেশ কয়েকজন যুবককে। প্রত্যেককে মোটা অংকের বেতন দিয়ে থাকেন এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করা জন্য।

সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য ওয়ান এক্স বেটের কান্ট্রি ডিরেক্টর যার ছদ্ম নাম টম। তার নির্দেশে পলাশকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে। সেখান থেকে পলাশ এক সাংবাদিককে ৭লাখ দিয়ে বাকিটা আত্মসাতের জন্য নিজে রেখেছিলেন। পরে টমের নির্দেশে জামিনের জন্য মাহফুজুর রহমান নবাবের বাবাকে দিয়েছিলেন এক লাখ টাকা। বাকি ৫০ হাজার সে আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও সে পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য ঢাকার কোন এক ঢাকার কোন অভিযাত ব্যবসায়ীকেও ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আরো এক মাস্টার এজেন্ট গাড়াডোব গ্রামের আনোয়ার হোসাইনের কাছে থেকেও পলাশ পুলিশ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানি টিম সম্প্রতি টুঙ্গীতে পলাশের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে পলাশের বাড়ির পাশের একটি মাঁচাতে স্থানীয়দের সাথে গল্প মাতে টিমটি। এসময় আকষ্মিকভাবে পলাশ সেখানে হাজির হয়ে নিরালায় কথা বলার প্রস্তাব দেয় আমাদের অনুসন্ধানি টিমকে। গ্রামের একটি চায়ের দোকানের পাশে দাড়িয়ে কথা হয় পলাশের সাথে।

এসময় পলাশকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে সব কিছু অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য করার সময় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে যায়। পরে ওয়ান এক্স বেটের একটি চ্যানেল নিয়ে প্রায় কোটি খানেক টাকা আয় করেছি। সব দেনার টাকা শোধ করেছি। দুটি ইটভাটাতে বিনিয়োগ করলেও তিনি একটি ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে স্বীকার করেন। শহরের কোর্ট সড়কে প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নাবিলা এন্টারপ্রাইজ নামে গ্লাস ও থাইয়ের দোকান দিলেও তিনি স্বীকার করেছেন সেখানে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া তার হাতে নগৎ কিছু অর্থ আছে।

তার সাথে যখন মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানি টিম কথা বলছিলেন তখন এলাকার বেশকিছু তরুণ ছেলে সেখানে জড়ো হয়। পরে জানা যায় তারা সকলেই পলাশের লোকজন।

পরে বিভিন্নভাবে পলাশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট কোমরপুরের মাদার আলী ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা মিলে অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের কাছে থেকে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা উঠিয়েছিলেন শুধুমাত্র পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য যাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে।

জানা গেছে, তারা পুলিশকে পুলিশ ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়। ফলশ্রুতিতে পুলিশ ‘অনলাইন জুয়ার দূর্গ’ ভাঙতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং প্রায় ডজন খানেক এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। পলাশও এজেন্ট হিসেবে ওই চাঁদার ভাগ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তবে ওই টাকা কে আত্মসাৎ করেছে তারা কেউ জানে না।

আরো জানা গেছে, তারপরপরই মেহেরপুর শহরের এক সাংবাদিকের চাপে পড়ে তার বাড়িতে প্রথম দফায় ৬লাখ ৮০ হাজার এবং পরে আরো ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন যাতে কোন সাংবাদিক নিউজ না করে। টাকা দেওয়ার সময় ওই সাংবাদিকের বাড়িতে পলাশও গিয়েছিলেন। তবে ওই সাংবাদিকের দাবি ছিলো ২০ লাখ টাকা। টাকা কম হওয়াতে প্রথমে ওই সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে তা গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

মে‌হেরপুর ডি‌বি পু‌লি‌শের ও‌সি সাইফুল আলম এর আ‌গে মে‌হেরপুর প্রতি‌দিন‌কে জা‌নি‌য়ে‌ছি‌লেন, পু‌লিশ সুপারের নি‌র্দে‌শে মে‌হেরপুরে অ‌বৈধ ই ট্রান‌জেকশনের মাধ‌মে বি‌দে‌শে টাকা পাঠা‌নোর অনলাইন জুয়ার এজেন্ট‌দের গ্রেফতা‌রে অ‌ভিযান চল‌বে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হয়ে রাতারাতিই কোটিপতি বনে গেছেন অনেকে। জুয়াড়িরা বিভিন্ন অ্যাপস ও সাইট ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন গেমিং বেটিং বা বাজি খেলার সাইটে জুয়ায় মেতে উঠেছে।

বিট কয়েন বা ডিজিটাল মুদ্রার (ক্রিপ্টোকারেনসি) মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা হয়। অবৈধ পন্থায় ডিজিটাল মুদ্রা কেনাবেচার লেনদেনে দুই বছরে বছরে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অনুমান করছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানান সংস্থ্যাগুলো।

রাশিয়া থেকে পরিচালিত এসব অনলাইন জুয়ার সাইট ও অ্যাপস তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত। এসব জুয়ার সাইট ও অ্যাপস ভার্চুয়ালি জুয়া খেলায় একেকটি এজেন্টের মাধ্যমে মাসে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন সেল অনলাইন জুয়া চক্রের ডজন খানেক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ইতোমধ্যে জেলার অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত জুয়াড়িদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছেন তারা। অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও তারা কাজ শুরু করেছেন।

জানা গেছে, অনলাইনে জুয়া খেলা পরিচালনার জন্য (ওয়ানএক্সবিট, মেল বেট, লাইন বেট, বেট উইনারসহ ২৩০ টি সাইটের মাধ্যমে এই জুয়া খেলা পরিচালিত হচ্ছে।

সুত্রটি জানান, মেহেরপুর জেলার অনলাইন জুয়ার এই চক্রটির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সে হিসেবে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে। যেটি অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে যাচ্ছে বিদেশে। মেহেরপুরে জেলা শহরসহ মুজিবনগর এলাকার তরুণদের বড় অংশই এখন জুয়ার সাইট পরিচালনায় যুক্ত।

একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর, ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইট ওপেন করেন। অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয় যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালান্স শূন্য থাকে। ওয়ালেটে ব্যালান্স যোগ করার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম।

এগুলোর যেকোনো একটি বেছে নিলে সেখানে একটি এজেন্ট নাম্বার দেখায় যেখানে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালান্স যুক্ত হয়ে যায়। এ টাকা অথবা ব্যালান্স দিয়ে তিনি পরবর্তীতে জুয়া খেলতে পারেন। প্রতিটি এজেন্ট আগে ৬শতাংশ কমিশন পেতেন। এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাওয়ায় এজেন্ট ধরে রাখতে তারা ৯ শতাংশ কমিশন পায়।

অনলাইন জুয়া নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে। অনুসন্ধানে অনলাইন জুয়ার নানা চমকপ্রদ তথ্য মেহেরপুর প্রতিদিনে আসছে। ধারাবাহিকভাবে তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। (চলবে…)

অনলাইন জুয়ার সব খবর

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার দূর্গে হানা

অনলাইন জুয়ার খপ্পরে মেহেরপুরের অর্ধশত তরুণ

মেহেরপুরের অনলাইন জুয়ার শীর্ষ এজেন্ট শামিম অধরা

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরো চার হোতা আটক

ধরাছোঁয়ার বাইরে অনলাইন জুয়ার অন্যতম চার হোতা মুকুল-জামান-নুরুল-মাদার

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইণ্ড প্রসেনজিৎ সহযোগীসহ আটক

অনলাইন জুয়ার এজেন্ট প্রসেনজিতের সহযোগীদের আদালতে জবাবনবন্দী প্রদান

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার আরেক এজেন্ট সাদ্দাম আটক

অনলাইন জুয়ার হোতা নুরুল ও জামানকে শোকজ

অনলাইন জুয়ার এজেন্ট শামিমকে নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ




দর্শনায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

কমিউনিটি পুলিশিং এর মৃলমন্ত্র,শান্তি শৃঙ্খলা সর্বত্র এ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার উদ্দ্যেগে পুলিশিং ডে ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি আলোচনা সভা পালিত হয়েছে।

আজ  শনিবার সকাল ১০ টায় দর্শনা থানা চত্বরে কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির উদ্দ্যেগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা পালিত হয়।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফুল কবীরের সভাপতিত্বে প্রাধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু।

তিনি বক্তব্যে বলেন, আমার উপজেলার ভিতরে ২টা থানা প্রত্যক মাসিক মিটিংয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিটিং হয়। এ মিটিংয়ে আমি বার,বার বলি মাদক আমাদের সমাজের একটি মরন ব্যাধি। মাদক না কমাতে পারলে আগামী প্রজন্ম ধংস হয়ে যাবে।তাই আসুন আমরা সম্বলিত ভাবে মাদক নিমৃল করি। মাদক যারা সেবন করে তারা তার পরিবার ধংস হচ্ছে নষ্ট হচ্ছে সমাজ,নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ। তাই চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্বে।

এ সময় তিনি আরও বলেন বর্তমান সরকার বাল্য বিবাহ ও ইফটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার, এ সরকার গরীব দুঃখী মা বোনদের জন্য মাতৃগর্ভ ভাতা দিচ্ছে যাতে করে গরীব-অসহায় মানুষ একটু ভালোমন্দ খেয়ে পুষ্ট বাচ্ছা জন্ম দিতে পারে। পরিশেষে তিনি বলেন এ সরকারের উন্নয়ন দেখে জামাত বিএনপি আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।

দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই আহম্মদ আলী বিশ্বাসের সঞ্চালনায়  অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়াদ্দার, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন, দামুড়হুদা সার্কেল ইন্সপেক্টর মারুফ হোসেন, দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস,এম আমান উল্লাহ আমান, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নিখিল চন্দ্র অধিকারী, ১নং ওয়ার্ডের পুলিশিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদিন নফে, ৪নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আসলাম আলী তোতা, ২নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাকিম, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব সোলায়মান কবীর, ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সরোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর ইউপি সদস্য কাসেম আলী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হানিয় মন্ডল, যুবলীগ নেতা মামুন শাহ, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, আশরাফুল আলম, অপু সরকার, প্রমুখ।




মেহেরপুরের তেরঘরিয়া বিল ক্ষমতাবানদের দখলে

“জাল যার জলা তার, মৎস্যজীবীর অধিকার” বঙ্গবন্ধুর দেওয়া এই স্লোগান এখন “ক্ষমতা যার, জলা তার” এ পরিণত হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া বীলটি এখন সেই ক্ষমতাবান অমৎস্যজীবীদের দখলে। সমিতির মুল সদস্যরা প্রতি ঈদে ২ হাজার করে টাকা পাওয়া ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা পাননা। মুল ইজারার বিপরীতে সমিতির বাইরের ব্যবসায়ী এবং সমবায় অফিসের কয়েকজন চাকুরীজীবির নেতৃত্বে তেরঘরিয়া বিলে মৎস্য চাষ ও আয় ব্যায়ের সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। যা সমবায় নীতির বিরোধী।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্রোক্ত স্বারক মোতাবেক মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের তেরঘরিয়া বিল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলা ১৪২৬ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত ৬ বছর মেয়াদে প্রথম চার বছর (বাংলা ১৪২৬, ১৪২৭, ১৪২৮ ও ১৪২৯ সন) বার্ষিক ২,৪০,৫০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার পাঁচ শ) টাকা এবং পরবর্তি ২ বছর (বাংলা ১৪৩০ ও ১৪৩১ সন) উক্ত অংকের ২৫ শতাংশ বর্ধিত ইজারামূল্যে তেরঘরিয়া ঈদগাহ পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি: এর অনুকুলে ইজারা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

জেলা প্রশাসক মেহেরপুরের পক্ষে উক্ত জলমহালটি উল্লেখিত সমিতির অনুকুলে বাংলা ১৪২৬ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত ছয় বছর মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্পে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি বছর ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৫শ টাকা, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আয়কর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করায় শর্ত সাপেক্ষে বিগত ৮/৫/২০১৯ তারিখে জলমহালটি দখল হস্তান্তর করা হয়।

জলমহাল হস্তান্তর নীতিমালার ২ নং শর্তে উল্লেখ আছে, ইজারা গ্রহীতা জলমহালের পরিসীমা বজায় রাখবেন ও সংরক্ষণ করবেন। কেউ যাতে জলমহাল বেদখল না করে সেটি ইজারা গ্রহীতা নিশ্চিত করবেন।

তিন নং শর্তে উল্লেখ আছে, ইজারা গ্রহীতা জলমহালটি অন্য কাউকে সাব লীজ দিতে পারবেনা। সাব লীজ দিলে মূল ইজারা তৎক্ষণাৎ বাতিল বলে গণ্য হবে।

তিন নং শর্ত অনুযায়ী জলমহাল হস্তান্তর যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও বিলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে জলমহালের একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা সম্পাদিত হয় ১০ জনের নামে।

মধ্যসত্তাভোগী হিসেবে এই চুক্তির মালিকরা হলেন, মেহেরপুর শহরের ব্যবসায়ী নুর আলম, সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (তানিম), সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসাইনের স্ত্রী মোছা: শাহানা আক্তার, মেয়ে আফসানা হাবিব, একটি বাড়ি একটি খামারের চাকুরিজীবী রফিকুল ইসলাম, তেঘরিয়া গ্রামের মিয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো: শাহিনুজ্জামান, তার ভাই কামরুজ্জামান, মেহেরপুর সদর উপজেলা সমবায় অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ভূলেন্দ্রনাথ মৈত্রের স্ত্রী শিপ্রা মৈত্র ও সদর উপজেলার খন্দকারপাড়া গ্রামের দবির উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম।

তেরঘরিয়া বিলটি অবৈধভাবে সাব লীজে উল্লেখিত শর্ত দেওয়া হয়েছে, মৎস্য চাষে যে খরচ হবে, সমুদয় খরচ বাদে লভ্যাংশের ১ শ শতাংশের মধ্যে সমিতির সদস্যরা পাবে মাত্র ত্রিশ শতাংশ।

শর্তে আরো উল্লেখ আছে, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে মৎস্য চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সমিতির সদস্যরা সেখানে মানবিক বিবেচনা দেখাবেন।

বিনিয়োগকারীরা লভ্যংশের ৭০ ভাগ ভোগ করলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে লোকসান হলে সেই লোকসানের দায়ভার বহন কেেরত বলা হয়েছে ৩০ ভাগ লভ্যংশ ভোগকারী সমিতির সদস্যদের উপর।

তেরঘরিয়া বিলের সাবেক সভাপতি তুহিন উদ্দীন (২০১৬-২০১৮) বলেন, আমাকে জোর করে সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সমবায় অফিসের ভূলেন্দ্রনাথসহ কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে চারজন সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি মৎস্যজীবীদের স্বার্থসংরক্ষণের কথা বলতে গেলে তাদের ভাল লাগেনা। বর্তমানে সমিতির ৪১ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৩ জন সদস্য মখলেছুর রহমান, মতিন আলী ও শওকত আলী সমবায় অফিসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সুবিধা নিচ্ছেন। মাছ ধরার সময়ও সমিতির সদস্যদের না নিয়ে অন্যদের দিয়ে মাছ ধরছেন।

সাব লীজ প্রসঙ্গে, তেরঘরিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক আফজাল হোসাইন বলেন, সমিতির গচ্ছিত কোনো পুঁজি নেই। সেই হিসেবে চাষে বিনিয়োগের জন্য ভূলেন্দ্র নাথ মৈত্র আমাদের সাব লীজ সম্পাদনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। সাব লীজ দিলেও সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে সব বিষয়ে তদারকি করার কথা। কিন্তু সমবায় অফিসের প্রত্যক্ষ নির্দেশে সমিতির সদস্যদের এসবের বাইরে রাখা হচ্ছে। এই সমিতির কোনো আয় ব্যায় হিসাব নিকাশ সম্পাদক হিসেবে আমাকে জানানো হয়না।

তিনি আরও বলেন, ২০২০/২১ সনের অডিট নোট পাওয়ার জন্য অনুরোধ করে জেলা সমবায় অফিসারের বরাবর চিঠি দিয়েছি আমি। কিন্তু জেলা সমবায় অফিসার প্রভাস চন্দ্র বালা আমাকে সেই অডিট নোট দিতে চাননি। এছাড়া নতুন করে অডিট অফিসার নিয়োগের আবেদন করলেও সেটিও দিতে অস্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে অপদস্ত করেন বলে অভিযোগ করেন। সমিতির আয় ব্যায়ের সকল হিসাব নিকাশ ও নথিপত্র সম্পাদকের কাছে থাকার নিয়ম থাকলেও সেটি রাখা হয়েছে ভূলেন্দ্র নাথ মৈত্র ও সভাপতির চাচাত ভাই শওকত আলীর কাছে।

জেলা সমবায় অফিসারের নির্দেশেই ভূলেন্দ্র নাথ মৈত্র ও মুজিবনগর সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান নিয়ন্ত্রণ করেন।

মাছ চাষের হিসাবটি এমন এক টাকা খরচ করলে এক টাকা লাভ হওয়ার কথা। অথচ সেখানে প্রতি বছর লোকসান দেখানো হয়ে থাকে। ১০৩ একরের তেরঘরিয়া বিলটিতে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা লাভ হলেও সেখানে প্রতি বছরই লোকসান দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।সমিতির সাধারণ একজন সদস্য শওকত আলী। সে সমিতির সভাপতির চাচাত ভাই। ভূলেন্দ্রনাথ মৈত্র সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে শওকত আলীকে নিয়ে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক গুরুদাস হালদার বলেন, মেহেরপুর জেলাতে ১০টি জলমহাল রয়েছে। সবকটিই এখন মধ্যস্বত্বাভোগীদের দখলে। তেরঘরিয়া বিলেরও একই অবস্থা। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহাল থেকে উপকার পাচ্ছেন না। ১০৩ একরের এই বিলটিতে ঠিকমত চাষ করতে পারলে ২০০ মৎস্যজীবী পরিবার (৫ সদস্য বিশিষ্ট) সারা বছরই খুব ভালভাবে জীবনাতিপাত করতে পারেন। মৎস্যজীবীদের কথা বিবেচনা করে জলমহালগুলো ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। জাল যার জল তার মৎস্যজীবীদের এই অধিকার পদে পদে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র বালা বলেন, মুল চুক্তি অনুযায়ী সাব লীজ দেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। সাব লীজ হয়ে থাকলে ৩ নং শর্ত অনুযায়ী সেদিন থেকেই এই চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা এই সাব লীজের সাথে কেনো জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের কাছে থেকে লিখিত জবাব চাইবো।




কুষ্টিয়ায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন সমাজসেবার উপ-পরিচালক

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম (রোগীকল্যাণ সমিতির) পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের। দুপুরে তিনি এ কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার মো: মাহমুল হাসিব।

এসময় অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি হাসপাতাল সমাজসেবার কার্যক্রম পরিদর্শনে সন্তোষ প্রকাশ করে কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, সমাজসেবা অধিদফতরের সেবা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করে চলে অবিরত, এছাড়াও পারষ্পারিক সহযোগিতা এবং সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজকর্মে জনগনকে সম্পৃক্ত করাসহ হাসপাতালের দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের মধ্যে সমাজসেবা অধিদফতরের সেবা প্রদান সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,তাদের ওষধপথ্য প্রদান সহ জন চাহিদার আলোকে দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে যথাযথ সেবা প্রদান নিশ্চিত করা




ঝিনাইদহে মেডিকেল কলেজ ও রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে মেডিকেল কলেজ ও রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে মেডিকেল কলেজ ও রেললাইন বাস্তবায়ন কমিটি। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে ভাষা সৈনিক নন্দ দুলাল সাহা, প্রাক্তণ উপাধাক্ষ্য এন.এম শাহাজালাল, মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু, শরিফা খাতুন, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন, কামরুজ্জমান পিন্টুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, পার্শবর্তী জেলা কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় রেল লাইন থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা শহরে রেলের সংযোগ নেই। জেলার কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলার উপর দিয়ে রেল লাইন গেলেও তা মানুষের তেমন উপকারে আসে না। যে কারণে কৃষিপণ্যসহ ব্যবসায়ীক নানা পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। তাই দ্রুত জেলা শহরে রেল সংযোগের দাবি তাদের।

বক্তারা আরও বলেন, জেলায় মেডিকেল কলেজ না থাকার কারণে মানুষের পার্শবর্তী জেলা যশোর ও ঢাকায় যেতে হচ্ছে। তাই দ্রুত জলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবী করেন বক্তারা।




মাউন্ট এলিজাবেথে নেওয়া হচ্ছে অভিনেতা সোহেল রানাকে

জনপ্রিয় অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাকে চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। রোববার সোহেল রানাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হবে।

মাসুদ পারভেজের ছেলে নির্মাতা-অভিনেতা মাশরুর পারভেজ  এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে সোহেল রানার চোখের সার্জারি হয়। সেই সার্জারি করে তার চোখ ভালো হয়নি।

তার ছেলে বলেন, ঢাকায় বাবার অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেটা সাকসেসফুল ছিল না। বরং আরো জটিলতা দেখা দিয়েছে। এজন্য আমরা দ্রুত মাউন্ট এলিজাবেথে যোগাযোগ করি। রোববার আমরা সেখানে যাচ্ছি। এটাকে বলা হয় ক্যাটারাক্ট সার্জারি। বাবার সঙ্গে আমি এবং মা (জিনাত বেগম) যাব। সবার কাছে দোয়া চাই। এর আগেও তার ডান চোখে একই সার্জারি হয় মাউন্ট এলিজাবেথে। তারই রুটিন সার্জারি হিসেবে এবার সেটি ঢাকায় করানো হয়। যদিও তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোহেল রানা। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ৮ মাস ভালোই ছিলেন তিনি। এবার চোখ নিয়ে পড়েছেন নতুন সমস্যায়।




ঝিনাইদহে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ শীর্ষক কর্মশালা

ঝিনাইদহে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)’র তত্বাবধানে শনিবার সকালে শহরের ফুড সাফারি মিলানয়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক।

ডাচ্ বাংলা ব্যাংক’র ক্যামেলকো ও ডেপুটি ম্যানেজি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফআইইউ’র অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ রানা। বক্তব্য রাখেন বিএফআইইউ’র যুগ্ম পরিচালক আল আমীন রিয়াদ ও এফ এম সালেহ উদ্দিন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান।

কর্মশালায় জেলায় অবস্থিত ২৯ টি ব্যাংকের ৬৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়। দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন ও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তার প্রয়োগের জন্য নানা প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়।




বড় পরাজয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় শ্রীলংকা

ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা কিউই শিবিরে। শ্রীলংকার বোলিং তোপে ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড।

কিন্তু এরপরই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপস। তার আগ্রাসী সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৬৭ রান জমা করে কেইন উইলিয়ামসনের দল।

১৬৮ রানের তাড়াই একইরকম বিপত্তিতে পড়ে শ্রীলংকা। দলীয় সংগ্রহ ৮ রান নিতেই ৩ উইকেট হাওয়া লঙ্কানদের।

কিন্তু ফিলিপসের মতো লঙ্কানদের হয়ে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ভানুকা রাজপাকসে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে একশ পার করতে পেরেছে শ্রীলংকা। ফলে ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে দাসুন শানাকার দল।

যে দলই জিতবে, গ্রুপ ওয়ানের শীর্ষে উঠবে – এমন সমীকরণে শনিবার দুপুরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা। কিন্তু এমন বড় পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় এখন দাসুন শানাকার দল।

শ্রীলংকার ইনিংসে ধসিয়ে দেয়ার নায়ক কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন এ পেসার। বাকিরাও কম যাননি। সমান ২১ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মিচেল সান্টনার ও ইশ শোধি।

এক উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়েছেন পেসার টিম সাউদি। ৩৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন ফার্গুসন।

মোটা দাগে কিউই বোলারদের সামনে রাজাপাকসে আর শানাকা ছাড়া বাকিরা কেউই দাঁড়াতে পারেনি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিন ব্যাটার – ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা, টপঅর্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও টেলএন্ডার মাহেশ থিকসানা।

আর বাকিরা রান পেলেও দুই অংকের ঘরেই পৌঁছুতে পারেননি। ১৯.২ ওভারে তথা ৪ বল বাকি থাকতেই ১০২ রানে গুটিয়ে গেছে লঙ্কানদের ইনিংস।

এর আগে ব্যাট হাতে কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেনকে ১ রানে বোল্ড করে দেন থিকসানা। এরপরেই আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে ২ রানে ফিরিয়ে দেন ধনাঞ্জয়া। দলীয় ৭ রানে ২ ওপেনারকে হারান পর ৮ রানের ব্যবধানে অধিনায়কের উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপসরা।

রাজিথাকে উইকেট দিয়ে ১৩ বলে ৮ রানে ফেরেন কেইন উইলিয়ামসন। ফলে বিপদে পড়ে দলটি।

দলটিকে এরপর খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে গড়েছেন ৮৪ রানের জুটি।

২৪ বলে ২২ রান করে মিচেল ফিরলেও রানের চাকা থামতে দেননি ফিলিপস। ওপর প্রান্ত থেকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ৪ ছয় ও ১০ চারে ১০৪ রানে করে শেষ ওভারে আউট হয়ে ফেরেন ফিলিপস। শেষইকে স্যান্টনারের অপরাজিত ১১ রানে ১৬৭ তে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সেরা বোলার রাজিথা। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ধনঞ্জয়া, থিকশানা, হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারা।