মেহেরপুরের রাজনগরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ বিজয়ের একমাস পূর্তি, স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার দমন পীড়নে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর সদরের এআর বি কলেজ মাঠে রাজনগর গ্রামবাসীর আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে বারাদি ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দোয়া মাহফিল হয়।

উক্ত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আরজুল্লাহ রহমান বাবলু মাস্টার, বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদ লিপন মোল্লা, সেলিম মোল্লা, আলিহিম মেম্বার ও মাহফুজুর রহমান।

এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে যেসকল ছাত্র জনতা আত্নহুতি দিয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। সেই সাথে আওয়ামী সরকার জনগণের প্রতি যে দমন-পীড়ন চালিয়েছেন বাক-স্বাধীনতা হরণ করে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করেছেন। আমরা তাদের মতো করবো না, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়বো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন, জমির মেম্বার, জাদু মিয়া, শফিকুল আযম, আফারুল ইসলাম ডাবলু, কামরুজ্জামান মুকুল মেম্বার, নুরুল ইসলাম, লিটন আলী, হাবিবুর রহমান, রুহুল আমিন, শাহাবুদ্দিন, ইমদাদুল হক সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামায়াত নেতা জামাতুল ইসলাম।




ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়ীবাথান গ্রামে স্কুল কর্মচারীর জমি জোরপুর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়েছে ওই ভুমিদস্যুদের। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীবাথান গ্রামের দর্গাপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্স স্কুলের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল আলম খালেক জানানা, পৈত্রিক সুত্রে তিনি গ্রামের ৪০ শতক জমিতে ৫০ বছর ধরে আবাদ করে আসছেন। একই মৌজার এই জমিতে বনজ গাছ, ফসল ছিলো। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু দরবেশ মন্ডলের ছেলে শাজাহান ওই জমি নিজেদের দাবী করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লোকজন নিয়ে জমি দখল করে। জমিতে থাকা ১০ টি গাছ ও ফসল নষ্ট করে দিয়েছে।

রফিকুল আলম খালেক বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে আবাদ করছিলাম। গায়ের জোরে এই জমি দখল করে নিয়েছে। এখন আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলায় হেরে যাওয়ার পর এখন জোর করে জমি দখল করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




ঝিনাইদহে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঝিনাইদহের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

শুক্রবার সকালে শহরের পায়রা চত্বরে উদীচি ও সমমনা সাংস্কৃতিক সংঠনের কর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। এ কমসূচীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উদীচিসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেয়।

সেসময় বক্তব্য রাখেন, উদীচি শিল্পী গোষ্টি জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, উপদেষ্টা স্বপন বাগচী, গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি আব্দুস সালাম, সাংস্কৃতিক কর্মী তারিকুল ইসলাম পলাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সমন্বয়ক নুসরাত জাহান সাথীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সেসময় বক্তারা, দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পরে এর প্রতিবাদে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।




কোটচাঁদপুরে আইনজীবী সহকারীর সংবাদ সন্মেলন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মিথ্যা মামলা ও অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছেন আইনজীবী সহকারী নুর আমিন। আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে হাসপাতাল সড়কের প্রেসক্লাব কোটচাঁদপুরের সভাকক্ষে তিনি এ সংবাদ সন্মেলনটি করেন ।

এ সময় উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের সংবাদ সন্মেলনকারী নূর আমিনের সাথে ছিলেন তার চাচা মহাসিন আলী, চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান, বড় ভাই রুহুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও প্রশ্নের জবাবে নুর আমিন বলেন, আমি আইনজীবী সহকারী হিসেবে ঝিনাইদহে বিজ্ঞ আদালতে কর্মরত আছি। আমি একজন জামাতে ইসলামী মতাদর্শী মানুষ। যে কারণে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমি একাধিক গায়েবী রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত। দীর্ঘ ১০ টি বছর আমাকে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তারপরও একাধিকবার ডিবি, র‌্যাব, ঝিনাইদহ সদর থানা ও কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ কাজের সহযোগিতা করেছেন সাবেক বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও প্রতিবেশী ওমর আলী। এদিকে ৫ আগষ্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনে ফুলবাড়ী গ্রামের মতিন চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি প্রতিবেশী ওমর আলীর বাড়ি কে বা কারা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনা নিয়ে আমাকে মতিন চেয়ারম্যান ও তার লোকজনেরা দোষারোপ করে আসছিল। গত ৫ই সেপ্টেম্বর গ্রামের পার্শ্ববর্তী সমাজকল্যাণ পাড়ায় আমার মামা বাড়িতে রাত যাপন করি । ভোর পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজের জন্য যখন আমি ফুলবাড়ী মসজিদের দিকে রওনা হই। পথের মধ্যে ইমরান, রনি,শাহাদত ও মতিন চেয়ারম্যানের লোকজন প্রতিরোধ করে। সেই সাথে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে । এতে আমি রক্তাক্ত জখম হই। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসা কুল্যাগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিকাইল হোসেন আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ ডেকে তাদের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশের কাছে অপবাদের বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হলে তারা আমাকে থানা থেকে ছেড়ে দেন ।
এ সকল মিথ্যা অপবাদ ও হয়রানী মূলক রাজনৈতিক মামলার কারণে আমি মানসিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বা হচ্ছি। সেই সাথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কারণে আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে এ সকল মিথ্যা অপবাদ ও মামলা থেকে পরিত্রাণের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

বিষয়টি নিয়ে সাবেক বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ নূর আমিনের গায়ে হাত তোলেনি। আমি পরে জানতে পেরেছি অন্য একটি ঝামেলার কারণে ওই এলাকার লোকজন তাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মেরে পুলিশে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নুর আমিন সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।




কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

হাজী আমলানেছা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লীর অপসারনের দাবিতে কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন করেছেন, সলেমানপুরের ৬ নং ওয়ার্ডবাসী। আজ শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা।

জানা যায়, কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর ই.সি-২৮৬২ হাজী আমলানেছা বিবি ওয়াকফ এস্টেট। এ ওয়াকফ এস্টেটের আওতাধীন রয়েছে মসজিদ ও বেশ কিছু জমি। এ সব জমি থেকে যা আয় রোজগার হয়, তা তিনি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ব্যবহার করে আসছেন।

এর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে কোটচাঁদপুর সলেমানপুর ওয়াকফ এস্টেটের মসজিদের সামনে মানববন্ধন করেছেন সলেমানপুরের ৬নং ওয়ার্ডবাসী। মানববন্ধন থেকে দূর্নীতিবাজ ও মসজিদের টাকা আত্মসাৎকারী মোতাওয়াল্লী ইমরান হোসেন (তাপসের) অপসারন চেয়েছেন তারা।

তুলে ধরেছেন তাঁর অনিয়মের ৫ দফা। যার মধ্যে রয়েছে, মসজিদের জমি,  গাছ, নদ অর্থ আত্মসাৎ, ইমাম ও মোয়াজিনদের বেতন বাকি, মসজিদের কোন খোজ খবর না রেখে, ঢাকায় বসে মিথ্যা ভিডিও বানিয়ে মুসল্লীদের হুমকি-ধামকি প্রদান,এছাড়া তিনি যে বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইমাম ফরহাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, সামাউল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, মোয়াজ্জিন ফয়সাল হোসেন।  তারা এ মানববন্ধন থেকে দুর্নীতিবাজ, মসজিদের টাকা আর্তসাৎকারি মোতায়াল্লী ইমরান হোসেন তাপসের অপসারন চেয়েছেন। সাথে সাথে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।

এ ব্যাপারে হাজী আমলানেছা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ইমরান হোসেন (তাপস) বলেন, ঈমাম আর মোয়াজিনের কিছু টাকা বাকি আছে। তবে অন্যসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু না বলে এড়িয়ে যান। অভিযোগ তোলেন, মসজিদ ভাঙ্গা ও দান বাক্সের টাকা চুরির ঘটনা নিয়ে।




সিএনজি ও বাস চালকদের দ্বন্দে মেহেরপুরে তিনদিন যাবৎ বাস চলাচল বন্ধ

মেহেরপুরে বাস ও কুষ্টিয়াতে সিএনজি চালকদের মধ্যেকার দ্বন্দে তিনদিন যাবৎ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

একই সাথে জনগুরুত্বপুর্ণ দুটি’ রুটে বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অটোরিকসা, পাখিভ্যান ও সিএনজিতে করে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করছেন যাত্রী সাধারণ।

তিনদিন যাবৎ বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলা প্রশসান থেকে নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।

বাস চালকরা বলছেন, চালকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের কথামত বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। মালিকদের দাবী নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি সুষ্ঠ্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন, বিষয়টি কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার মধ্যেকার সমস্যা। সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুরে সিএনজিচালকদের বাসের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলার সকল রুটে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন। ওই দিন সন্ধা থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় শুরু হয় যাত্রী দুর্ভোগ। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকায় দূরের যাত্রীরা স্বস্তিতে রয়েছেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অনেক যাত্রী মেহেরপুর শহরে গিয়ে বিপাকে পড়েন। জরুরী প্রয়োজনে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলায় যাওয়ার জন্য তারা ছোট ছোট যানবাহনে চড়ছেন। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি দ্বিগুণ খরচ বেড়েছে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী।

আমঝুপি গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ্য। তাকে মেহেরপুর হাসাপালে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাস না পেয়ে ৫০০ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে কুষ্টিয়া জেতে হচ্ছে।

গাড়াডোব গ্রামের মনোয়ারা খাতুন বলেন, সকাল ৯টার সময় মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলছেনা। চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার জন্য অটো রিকসা ভাড়া করতে হয়েছে। যেখানে বাসে চড়লে ১০০ টাকা খরচ হতো সেখানে খরচ হয়েছে ৪০০ টাকা।

বাস চালক আমিরুল ইসলাম ও এরশাদ আলী বলেন, রাস্তায় আমাদের নিরাপত্তা নেই। কুষ্টিয়াতে সিএনজি চালকরা আমাদের এক ড্রাইভারকে মারধর করে এবং বাসের গ্লা ভেঙ্গে দেয়। এর সুষ্ঠ্য বিচার না হয়া পর্যন্ত কোন ড্রাইভার বাস চালাবেনা।

মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সিএনজিচালকরা বাসচালকের মারধরের ঘটনায় বুধবার মেহেরপুর কুষ্টিয়া জেলার সব রুটে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ ছিল। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুরে লোকাল বাসের চালকের ওপর হামলা ও বাসের গ্লাস ভাংচুর করে সিএনজিচালকরা। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আবারও বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে সিএনজির (থ্রি হুইলার) দৌরাত্ম্য বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই সিএনজি চলাচল বন্ধ এবং হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এ শ্রমিক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান বলেন, মেহেরপুরের বাস চারকদের সাথে কুষ্টিায়া সিএনজি চারকদের মধ্যে একটি সমস্যা তৈরী হয়েছে। বিষয়টি খুব দ্রতই সমাধান হবে।




আলমডাঙ্গায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জিকে খালে বৃদ্ধ নিখোঁজ

মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী জিকে খালে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ঝাঁপ দেয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন আবুল কালাম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। তিনি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কাঁছারি বাজারপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে। ভারসাম্যহীন ওই যুবতী সুমি খাতুন (৩২) তিনি পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের হাসোর আলীর মেয়ে।

ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর সাদা ব্রিজ এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, ভারসাম্যহীন ওই নারী সুমি খাতুন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কালিদাসপুর সাদাব্রিজ থেকে সে অতর্কিত ভাবে জিকে খালের পানিতে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ঝাঁপ দেয়। এসময় পথচারী আব্দুল মজিদ ওই মেয়েকে বাঁচানোর জন্য তিনিও পানিতে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। তবে খালের পানির স্রোতের নিখোঁজ হন বৃদ্ধ মজিদ। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে জানালে তারা এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী শিবলী আহমেদ বলেন, সন্ধ্যার দিকে ওই যুবতী নারী খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। তাকে বাঁচানোর জন্য আব্দুল মজিদ নামের এক বৃদ্ধও পানিতে ঝাঁপ দেয়। ওই নারীকে উদ্ধার করা গেলেও স্রোতে ভেসে যায় বৃদ্ধ। তাকে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনুসন্ধান চালালেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আমরা প্রাথমিক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করি। খালে প্রচুর পানি থাকায় রাতের আধারে অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে খুলনা থেকে ডুবুরী দল পথে রয়েছেন। তারা আসা মাত্রই উদ্ধার কাজ চালানো হবে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, নিখোঁজ বৃদ্ধকে উদ্ধারে ফায়ার সাভির্সের কর্মীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। রাত ৯ টা পর্যন্ত নিখোঁজ বৃদ্ধর খোঁজ মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক সহ গ্রেফতার করে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হোসেন খান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন সহ , মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়,আলমডাঙ্গা উপজেলাধিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর চাতাল মোড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান খোকাই শেখের ছেলে মাদক ব্যাবসায়ি শাহাদত হোসেন (৫৫) কে আটক করে।

এ সময় খোকাই শেখের চাতাল মোড়ের নিজ দখলীয় ভিটার সাথে এক কক্ষ বিশিষ্ট দোকান ঘরের মধ্যে রক্ষিত আলমারির মধ্য হতে ৫ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে একটা নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে ওসি শেখ গনি মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




চুয়াডাঙ্গায় শহীদি মার্চ পালন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় শহীদি মার্চ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে এই শহীদি মার্চ করা হয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মেইন গেইট থেকে বের হয়ে শহরের কোর্ট মোড় অভিমূখ হয়ে বড় বাজার চত্বরে সংক্ষিপ্ত মার্চ সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্ত্যারা বলেন, দেশটা ভালো ভাবে গড়তে হবে। কোনো জায়গায় অনিয়ম দূর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাদাকে সাদা কালোকে বলতে হবে। জনগণের আস্তার জায়গা গড়তে হবে। ছাত্র সমাজের প্রতি মানুষের যে আসা আকাঙ্খার পরিবর্তে নিজ নিজ জায়গা থেকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান। যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর বিচার করতে হবে। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ওই সব দপ্তর দূর্নীতি সংস্কার করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা কৃষকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রশাসনকে তাদের প্রতি আস্থা ফিরে নিয়ে আসতে হলে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে।

এসময় শহীদি মার্চ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী রনি বিশ্বাস, সজিবুল ইসলাম, তামান্না, শাওন, রিমন, সাকিব, আব্দুল্লাহ আল কাফি, মাসুম বিল্লাহ, ঝুমুর বিশ্বাস, সুমাইয়া, প্রমুখ।




দর্শনায় শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -ছাত্রীদের নিহতদের স্বরনে শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ছাত্র-জনতার বিজয়ের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে দর্শনার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র/ছাত্রী ও দর্শনাবাসীর উদ্যোগে দর্শনা রেলবাজার সংলগ্ন শহীদ শাহারিয়ার শুভ মঞ্চে নিহতদের স্বরনে শহীদি মার্চের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়।

আলোচনার শুরুতেই কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন বাইজিদ বোস্তামি। এ স্বরন সভায় দোয়ার অনুষ্ঠানে সোহান ইসলাম এর সভাপতিত্বে দিক নির্দেশনা মুলোক বক্তব্য রাখেন তন্ময় তৌহিদ।

এ অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, দর্শনা পৌরসভার ঈমাম সমিতির সভাপতি ও কেরু হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক হাজী মাওঃ নুরুল ইাসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রী-জনতার আন্দোলনের বিপ্লবী নাঈম সৌরভ। এ অনুষ্ঠানে বিনা খরচে বক্স ও সাউন্ড সিসটেম দিয়ে সিগনেচার ও সুর সাথী সহযোগিতা করেন।