ফারিয়া কর্তৃক বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতি দামুড়হুদা শাখার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

দামুড়হুদা থানা ফারিয়া কর্তৃক বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতি দামুড়হুদা শাখার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি আ স ম দুদু ইসলাম।

গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে দামুড়হুদা থানা ফারিয়া আয়োজনে ক্যাফে রুপকথা হাউজে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুসজ্জামান আসাদ ও প্রবিত্র গীতা পাঠ করেন দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার সহসভাপতি গৌতম চন্দ্র মন্ডল।

জানাযায়, দামুড়হুদা থানা ফারিয়া আয়োজনে বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতি দামুড়হুদা উপজেলা শাখার ২১ সদস্যকে আনন্দঘন পরিবেশে ক্রেষ্ট উপহার দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাচ্চুু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান রতন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নওশাদুল ইসলাম, দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার অর্থ সম্পাদক ডালিম উদ্দীন, সদস্য আবুবক্কর, ইমরান,আব্দুল খালেক,নয়ন,সোহেল, সাইদুরজামান, ফিরোজ,খুসবু,মেহেদী, ওমর ফারুক, আরিফুল ইসলাম, হাসান আলী, রানাসহ দামুড়হুদা থানা ফারিয়া ও বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতি দামুড়হুদা শাখার সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দামুড়হুদা থানা ফারিয়া যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাইদ উর রহমান।

দামুড়হুদা থানা ফারিয়ার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, প্রর্তেক ফার্মেসীর মালিক ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ভাই ভাই সর্ম্পক সারাদিন একে অপরের সাথে কাজ করতে হয়। তাই আমাদের আশা উভায় উভায়ের সঙ্গে সৌর্হাদ্যপৃর্ণ ব্যবহারের মার্ধ্যমে কাজ করে যাব।কারো সাথে কোন অসংগতি রাখবো না।




আজ মুজিবনগর আসছেন সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এক দিনের সফরে আজ মুজিবনগর আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল দশটায় সালমান এফ রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুজিব নগর স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এরপর দেশের শীর্ষস্থানীয় বানিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংকের ১০০০ তম সামাজিক শাখার উদ্বোধন করবেন। তারপর মুজিবনগরে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সভা শেষে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার এ সফরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য সালমান এফ রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো গ্রুপ দেশের বেসরকারি খাতের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা শুরু এবং সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক এবি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের অন্যতম ছিলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান ১৯৫১ সালের ২৩ মে রাজধানী ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার শাইনপুকুর গ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম ফজলুর রহমান ছিলেন খ্যাতিমান আইনজীবী।তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী,শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের চিফ হুইপ ছিলেন।পরবর্তীসময়ে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন।তিনি ১৯৪৭-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তদানিন্তন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর মাতা সৈয়দা ফাতিনা রহমান কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জঙ্গল বাড়ির সৈয়দ বংশের জমিদার সৈয়দ মুহম্মদ আতিকুল্লাহর কন্যা।সৈয়দ মুহম্মদ আতিকুল্লাহ হযরত শাহজালাল (রঃ) – এর সিলেট বিজয়ের প্রধান সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিনের বংশধর ছিলেন।সৈয়দা ফাতিনা রহমান মাতৃসূত্রে নবাব আব্দুল লতিফ, নবাব সৈয়দ মুহম্মদ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বংশধর ছিলেন।তিনি উপমহাদেশের অন্যতম প্রথম মুসলিম ছাত্রী হিসেবে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লেডি ব্রেবুন কলেজে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।কর্মজীবনে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান এবং একমাত্র ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান।
সালমান এফ রহমান ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন লাভ করেন।

সালমান এফ রহমান ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝিতে পারিবারিক ব্যবসায়ে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তিনি ও তাঁর বড় ভাই সোহেল ফাসিউর রহমান মিলে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউরোপের বাজারে সামুদ্রিক খাবার এবং হাড়চূর্ণ রপ্তানি শুরু করেন। এসব পণ্য রপ্তানীর বিনিময়ে তাঁরা ইউরোপ থেকে মানসম্পন্ন ঔষধ আমদানি করতেন।

বছরের পর বছর ধরে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বেক্সিমকো গ্রুপ ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতে অন্যতম সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি টেক্সটাইল, ঔষধশিল্প, সামুদ্রিক খাবার, আবাসন, কনস্ট্রাকশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সিরামিকস্, আর্থিক সেবা এবং জ্বালানী সহ বিবিধ খাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ-এর অল্টারনেটিভ ইনভেষ্টমেন্ট মার্কেট-এ তালিকাভুক্ত প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি । এছাড়াও বেক্সিমকো বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের সর্ববৃহৎ নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে।

সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃঢ়ব্যক্তিত্বের অধিকারী সালমান এফ রহমান শুধুমাত্র বেক্সিমকো গ্রুপের বৃদ্ধি ও প্রসারই নিশ্চিত করেননি, একই সাথে তিনি সফল ভাবে বাংলাদেশের ব্যবসা খাতে উন্নয়ন এবং গতিশীলতা এনেছেন। স্বাধীনতার পরপর দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।সালমান এফ রহমান দেশের বেসরকারী খাতের প্রণোদনায় নিয়োজিত শীর্ষ বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি ২৪ ঘন্টা সংবাদ-ভিত্তিক চ্যনেল ‘ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন’ এর চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল, সার্ক অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংস্থা ‘সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’, ব্যবসায়ীদের শীর্ষসংগঠন এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ-এর সভাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন।সালমান এফ রহমান “প্রয়াস” এর একজন পৃষ্ঠপোষক। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ শিশুদের উন্নয়ন ও সহায়তা নিয়ে কাজ করে। শিশুদের বিশেষায়িত শিক্ষা, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল পরীক্ষণ ও চিকিৎসা, বিনোদন, সহপাঠ্যক্রম সহ সামগ্রিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও প্রয়াস -শিক্ষক, শিশুদের বাবা-মা কেও প্রশিক্ষণ ও সমন্বিত সেবা প্রদান করে থাকে দেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতির পথে পরিচালনার জন্য একটি শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরির উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন সালমান এফ রহমান।

এলক্ষ্যে তিনি তার এলাকা দোহার ও নবাবগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অনবরত অবদান রেখে চলছেন। এর মধ্যে তাসুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, পদ্মা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের জন্য তার সহায়তা ও আর্থিক অনুদান উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আধুনিক কম্পিউটার শিক্ষাকে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দোহারের সকল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রদান করেন। এছাড়াও, তিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষামূলক উন্নয়নের জন্য গণ সাহায্য সংস্থা (জিএসএস) এর মাধ্যমে দাতব্য কাজে অবদান রেখে চলেছেন। ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নের স্বার্থে ২০০৬ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে বার্ষিক অনুদান দিয়ে আসছেন।

সালমান এফ রহমান একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া অনুরাগী। তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান, খেলোয়াড়, এবং দলের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের খেলাধুলার উন্নয়নে উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রাখছেন। বেক্সিমকো গ্রুপ ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অফিসিয়াল পৃষ্ঠপোষক ছিল। এছাড়া তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার আন্তর্জাতিক ফিফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেন ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় স্পোর্টিং ক্লাব ‘আবাহনী লিঃ’–এর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এই ক্লাবটি তাঁর কাছে বিশেষ আবেগ অনুভূতির জায়গা। ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল। শেখ কামাল ছিলেন সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, সিরামিকস, সিনথেটিকস, জুট, রিয়েল অ্যাস্টেট, প্রোকৌশল, মেরিন ফুড, আইটি, অ্যাভিয়েশন, অ্যানার্জি, জ্বালানি, মিডিয়া, টিভি চ্যানেল, টেলিকমিউনিকেশন সহ বিভিন্ন খাতে ৩৯ টি পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানিসমূহ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।এসব কোম্পানির উৎপাদিত বিশ্বমানসম্পন্ন উচ্চমানের পন্য রপ্তানির মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে মর্যাদার অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এর মধ্যে দিয়ে দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন।

বিনামূল্যে ঔষধ ও পোশাক বিতরণ তাঁর নিয়মিত দাতব্য কাজগুলির মধ্যে অন্যতম। দোহারের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তিনি ২৪০টিরও বেশি আর্সেনিক মুক্ত টিউব ওয়েল স্থাপন করেন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন যার মাধ্যমে ১৬ জন ডাক্তার নিয়মিতভাবে চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রদান করছেন।

বিজয়ের মাসের প্রাক্কালে তাঁর মুজিবনগর সফর বিশেষ বার্তা দিবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।




মেহেরপুরে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতিসহ ১২টি পদে বিজয়ী হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকসহ ৩টি পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী ফোরাম থেকে।

সভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত কামরুল ইসলাম ৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিয়াজান আলী ৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন (জুয়েল) ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত এ এস এম সাইদুর রাজ্জাক ৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাড. বিমল কুমার বিশ্বাস ফলাফল ঘোষনা করেন। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাড. সুজন কুমার মণ্ডল ও শফিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য পদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত সহসভাপতি পদে রফিকুল ইসলাম ৬০ ভোট, হাসান মাহাবুবুর রহমান মুকুল ৫৩ ভোট, যুগ্ম সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম-২ ৬২ ভোট, কোষাধাক্ষ পদে এহান উদ্দিন মনা ৫৪ ভোট, গ্রন্থাগার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলাম সাহেব ৫৯ ভোট, সদস্য পদে মখলেছুর রহমান খান স্বপন ৬৬ ভোট, সেলিম রেজা ৫৫ ভোট, শফিবুল আযম খান বকুল ৬১ ভোট, সেলিম রেজা গাজী ৬০ ভোট, খুরশিদা খাতুন ৫৪ ভোট ও সেলিম রেজা কল্লোল ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত যুগ্ম সম্পাদক পদে কে এম নুরুল ইসলাম রঞ্জু ৫২ ভোট, ফয়সাল নাসরুল্লাহ কনক ৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে, সকাল ৯টায় নির্বাচন শুরু হয়ে দুপুরে মধ্যহৃ ভোজ ও নামাযের বিরতি দিয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৫টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১২৬ জন ভোটারের মধ্যে ১১১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন উপলক্ষে আইনজীবী ভবন প্রাঙ্গনে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।




টফি অ্যাপে ব্রাজিল- সার্বিয়ার ম্যাচ দেখেছেন ৮০ লাখ দর্শক

আজ শুক্রবার টফি অ্যাপে কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের ব্রাজিল-সার্বিয়ার ম্যাচ দেখেছেন ৮০ লাখ দর্শক। গত মঙ্গলবার টফি অ্যাপে আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচ দেখেছেন ১ কোটির বেশি দর্শক । কিন্তু আজ ব্রাজিল-সার্বিয়ার ম্যাচ রাতে হওয়াতে তুলানামুলক কম দর্শক দেখেছেন । ডিজিটাল বিনোদন অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২–এর ম্যাচগুলো স্মার্টফোনে সরাসরি দেখাচ্ছে টফি।

গুগল প্লে এবং অ্যাপ স্টোর থেকে টফি অ্যাপ নামিয়ে স্মার্টফোনের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা টেলিভিশনে বিশ্বকাপের খেলা দেখা যায়। অ্যাপের পাশাপাশি https://toffeelive.com/ ঠিকানার ওয়েবসাইটেও খেলা দেখা যাবে।




দামুড়হুদায় দৈনিক সময়ের সমীকরণ প্রত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের সমীকরণ প্রত্রিকার ৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পালন করা হয়েছে। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোজাম্মেল শিশির এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে কেক কেটে জম্মদিন পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক শমশের আলি, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি,সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, খোলা কাগজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ,দৈনিক মাথাভাঙা পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম সুজন, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল হাসান তোতা, দৈনিক প্রশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলনসহ একঝাঁক সাংবাদিকবৃন্দ।

এসময় প্রধান অতিথি দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা সবসময় বস্তুনিষ্ঠা ও পরিচ্ছন্ন সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন।এই পত্রিকা পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। পত্রিকার উওর উওর সমৃদ্ধ কামনা করছি।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি বলেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা কোন অশ্লীল বিঙ্গাপন ছাপা হয় না এ কারণে বাড়ির মা বোনেরাও এই পেপার পড়তে পারে।আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক এই কামনা করি।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী বলেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকাটি আমার প্রথম থেকেই ভালো লাগে। কারণ সব সময় দেখেছি এই পত্রিকায় যে নিউজটাই ছাপা হয় তা তথ্যভিত্তিক।এই পত্রিকাটি প্রতিটি মানুষের দোড় গোড়ায় পৌয়ছে যাক এই প্রত্যশা করি।




চুয়াডাঙ্গায় বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরন

চুয়াডাঙ্গায় বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল  বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গাস্হ একাডেমি মোড় কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান কাজল, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি রফিক রহমান ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বহুমুখী মানব কল্যান সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল আওয়াল প্রিন্স , চুয়াডাঙ্গা প্রজেক্ট কো -অডিনেটর নাঈম সরোয়ার, নাসির জোয়ার্দার, সোহেল রানা প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদায় ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিকস এবং কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন কোর্সের ১০ টি ব্যাজের ৩০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র ও সন্মানী প্রদান করেন অতিথিরা। এর আগে বুধবার আলমডাঙ্গা এরশাদপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিকস কোর্সের ৭টি ব্যাজের ২১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র ও সন্মানী প্রদান করা হয়।




মনিরুজ্জামানের জাতীয় পুরস্কারের ৩টি ট্রফি চুরি

বিখ্যাত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের বাসায় চুরি হয়েছে। তবে চোর শুধু তার ৫টি ট্রফি নিয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ট্রফি।

চুরি যাওয়া ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে, ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুই জীবন’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া আমি একা পৃথিবীটা মেঘে ঢাকা’, ১৯৮৯ সালের ‘চেতনা’ ছবির ‘এই হাত করে নাও হাতিয়ার’ এবং ১৯৯০ সালের ‘দোলনা’ চলচ্চিত্রের ‘তুমি আমার কত চেনা’ গানগুলো। বাকি দুটি হচ্ছে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ অ্যাওয়ার্ড ও চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পুরস্কার।

ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গীতিকবি সংঘ। সেইসাথে অবিলম্বে ট্রফিগুলো উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে গীতিকবি সংঘ জানায়, গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ-এর আজীবন সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় মনিরুজ্জামান মনিরের অনবদ্য সৃষ্টির সুবাদে অর্জিত ৫টি ট্রফি চুরি হয়ে গেছে। ৩ নভেম্বর রাতে তার পশ্চিম মেরুল বাড্ডার বাসার জানালা ভেঙে চুরি হওয়া এই ট্রফিগুলোর মধ্যে ৩টিই ছিলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

উদ্বেগ জানিয়ে সংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুরির ঘটনাটি আমাদের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, চুরির ঘটনার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুলিশি সহায়তা চেয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির। কিন্তু হতাশার বিষয় এই যে, ২০ দিনেও (২৩ নভেম্বর) ট্রফিগুলো উদ্ধার হয়নি কিংবা কারা চুরি করেছে সেটিও চিহ্নিত করা হয়নি। যা আমাদের জন্য হতাশার বিষয়। দেশের নন্দিত এই অগ্রজ গীতিকবির চুরি হওয়া সম্মান পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে জোর দাবি জানাই পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। আমরা চাই অবিলম্বে ট্রফিগুলো উদ্ধার এবং দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

মনিরুজ্জামান মনিরের বরাতে সংগঠনটির পক্ষে বিবৃতি আরও বলা হয়,‘মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, ৩ নভেম্বর রাতে তার বাসার জানালা ভেঙে মোট পাঁচটি পুরস্কারের ট্রফি নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামারা। বিষয়টি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর টের পান তিনি। এরপর সেগুলো উদ্ধারের লক্ষ্যে ৫ নভেম্বর বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর ৩৬১। পুলিশ তার বাসা পরিদর্শন করে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু এখনও (২৩ নভেম্বর) পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের কাছে আর কোনও অগ্রগতি মেলেনি।’

ট্রফি না পেলে কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, এই ঘটনাটি দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার প্রতি বড় হুমকি এবং শিল্পীদের প্রতি অসহায়ত্বের বার্তা দেয়। তাই জাতীয় এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ করছি সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আমরা মনে করি, সরকারের দেওয়া স্বীকৃতি চুরি বা ডাকাতি হলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের ওপরেই বর্তায়। অবিলম্বে এই বিষয়টির সমাধান না হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচিতে যাবো। কারণ আমাদের প্রতিটি সদস্য ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের কাছে এই বিষয়টি প্রচণ্ড আবেগ ও অভিমানের।’

জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনিরের চুরি যাওয়া ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে, ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুই জীবন’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া আমি একা পৃথিবীটা মেঘে ঢাকা’, ১৯৮৯ সালের ‘চেতনা’ ছবির ‘এই হাত করে নাও হাতিয়ার’ এবং ১৯৯০ সালের ‘দোলনা’ চলচ্চিত্রের ‘তুমি আমার কত চেনা’ গানগুলো।

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল এবং খ্যাতিমান গীতিকবি মনিরুজ্জামান মনির। আশির দশকের শেষভাগ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটানা গান রচনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি গান হলো- ‘বুকে আছে মন, মনে আছে আশা’, ‘কী জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে, কী দিয়া মন কাড়িলা’, ‘তোমাকে চাই আমি আরও কাছে’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ও আমার বন্ধু গো চির সাথি পথচলার’, ‘আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙাল’ ইত্যাদি।

সিনেমায় তার লেখা সর্বশেষ জনপ্রিয় গান ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও, আমি এক সিন্ধু হৃদয় দেবো’। এছাড়া অডিও ভুবনেও মনিরুজ্জামান মনির প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। লিখেছেন ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’র মতো বিখ্যাত সব গীত।




গোলশূন্য থেকে বিরতিতে ইরান-ওয়েলস

কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’ এর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নামছে ইরান। বাংলাদেশ সময় ৪ টায় আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে গেছে ওয়েলস ও ইরান।

ম্যাচের শুরু থেকেই লম্বা পাসে খেলার চেষ্টা করে ইরান। অন্যদিকে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ওয়েলস। ম্যাচের ৯ মিনিটে গুছিয়ে আক্রমণে ওঠে ইরান। তবে তা থেকে কোন বিপদের সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১২ মিনিটে ডান দিক রবার্টসের ক্রস থেকে ইরানের গোলমুখে শট করেন রেমসি। তবে ইরানের গোলরক্ষক হোসেইন হোসেইনি দারুণ সেভে দলকে রক্ষা করেন।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে ওয়েলসের জালে বল জড়ান আলি ঘুলিজাদে। তবে তা অফ সাইডের কারণে বাতিল করে দেন রাফারি। ম্যাচের ২২ মিনিটে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে হেড করেন সরদার আজমৌন। তবে তা চলে যায় ওয়েলসের গোলপোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় ইরান। কিন্তু ওয়েলসের ডিফান্ডার তা ক্লিয়ার করে দেন।

এরপর দুদলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে। তবে গোলের তেমন কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয় ইরান ও ওয়েলস। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ওয়েলসের পাওয়া কর্নার থেকে বিপদের আভাস দিলেও তা খুব সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন হোসেইন হোসেইনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সরদার আজমৌন। ফলে গোলের দেখা পাওয়া হয় না ইরানের।

এরপর মেহেদী তারেমিকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন জো রোডন। ফ্রি কিক থেকে সুযোগ সৃষ্টি হলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইরান। শেষ পর্যন্ত গোলশুন্য থেকে বিরতিতে যায় ওয়েলস ও ইরান।




কালীগঞ্জ অগ্রনী ব্যাংকে ঋন জালিয়াতি মামলার দুই আসামী কারাগারে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রনী ব্যাংকে জাল কাগজপত্র তৈরি ও মৃত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া ঋণ তুলে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও কর্মচারী আজির আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আল আমিন মাতুব্বর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আসামী আব্দুস সালাম ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বসের ছেলে। অন্যদিকে আজির আলী কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুল বারিক মন্ডলের ছেলে।

ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার মানিরুল ইসলাম খবর নিশ্চিত করে জানান, আসামী আব্দুস সালাম ও আজির আলী সিআর ১৫৩/২২, ৩৬৮/২২ ও ৩৭৫/২২ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তার জামিনে ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার আসামীদের জামিন মেয়াদ শেষ হলে তারা ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শৈলেন বিশ্বাস, ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম ও মাঠ কর্মী আজির আলী গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋন দেখিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী, একই উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের আইনুল ইসলাম ও বদর উদ্দীন আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ঋণ জালিয়াতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হন ব্যবস্থাপক শৈলেন বিশ্বাস ও ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম। এছাড়া মাঠ কর্মী আজির আলীকে চাকরীচ্যুতি করা হয়।

এ বিষয়ে পত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে আব্দুস সালাম ও আজির আলী বাদী হয়ে জেলার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেন।




মেহেরপুরে ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি; রাতভর লাইনে থেকেও ফিরে যাচ্ছেন অনেকে

পৌর এলাকার ৯টি ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্র চত্বরে রাত ১০টা থেকে পরের দিনের ওএমএসের চাল আটা নিতে দুস্থ পরিবারের নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়ায়। মেহেরপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার নীলমনি হল সড়কের আক্তারুজ্জামান সুমন। রোববার রাত ৩টায় সুমনের বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে রোববার রাত ৩টায় অর্ধশত নারীকে শীতে জবু থবু হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের অবস্থানের দৃশ্যধারণ করলে দু‘জন মহিলা তেড়ে আসে ছবি তোলার প্রতিবাদ জানিয়ে।

এসময় আমার পক্ষ নিয়ে ওই মহিলাদের রুখে দিয়ে এক যুবতী বলেন- ‘মশার কামড় খেয়ে শীতে সারারাত বসে থাকছি লাইনের চাল কিনতে। তাতে আমাদের মান সম্মান যাচ্ছেনা। সাংবাদিকদের কাজ সাংবাদিকরা করুক। সাংবাদিকরাতো জেগে থাকে আমাদের জন্যই’। সাথে সাথে থেমে গেল দৃশ্য ধারণের প্রতিবাদ। মনে মনে কুর্ণিশ জানালাম ওই সাহসি যুবতীকে।

ওএমএসের চাল-আটা পেতে ভোক্তারা মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি আক্রান্ত হবার আশংকা উপেক্ষা করে সারারাত ডিলারের পয়েন্টে অবস্থান করেও চাল আটা পাচ্ছেনা। খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন অনেক নারী পুরুষ। অনেকে সারারাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করায় ঠান্ডজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রেশনিং কার্ড পদ্ধতিতে জেলার প্রতিটি মানুষের জন্য ক, খ ও গ শেণিতে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস চাল আটা দেবার বাদি সব শ্রেণির মানুষের।
দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়া এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষেরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না কিছুতেই। মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় সেজন্য সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে সুলভ মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে। সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার এই পাঁচদিন ওএমএস ডিলার পয়েন্টে সুলভ মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হয়। তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলছেন ভোক্তাসহ সব শ্রেণির মানুষ। খোলা বাজারে মোটা চালের কেজি ৬০ টাকা। সে চাল খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) মাধ্যমে ৩০ টাকায় কেনা যায় বলে লাইন দির্ঘ হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে আটার কেজি ৭৫ টাকা। লাইনে ১৮ টাকা কেজি পাওয়া যায়। তাও দুদিন আগে কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন লাইনে কিনতে হচ্ছে ২৪ টাকা কেজি দামে। তাও প্রতি ডিলার চাহিদার চাল আটা দিতে পারছেনা।

ওএমএসর ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরেজমিন রোববার সারারাত ঘুরে দেখা গেছে রাত ৯টা থেকে মানুষ অবস্থান নিচ্ছে চাল আটা পাবার জন্য। যদিও পরের দিন সকাল ৯টায় চাল-আটা দেওয়া শুরুর সময়। রাত ৯টায় মেহেরপুর জেলা শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার ফারুক হোসেনের বিক্রয় কেন্দ্রের নিকট দেখা যায় খোলা আকাশের নিচে একটি গাছের গোড়ায় সিমেন্টের খালি বস্তা পেড়ে খন্ড খন্ড হয়ে শুয়ে বসে আছে অনেক নারী। রেহেনা খাতুন নামে মধ্য বয়সী এক মহিলা জানান- সারারাত তারা ৩ কেজি আটা অথবা ৫ কেজি চালের জন্য অপেক্ষা করবেন। সকাল ৯টায় তাদের চাল আটা দেয়া হবে। রাত ১২টার মধ্যে শতাধিক নারী চলে আসবে এই চাল আটা নিতে। যারা সকালে আসবেন তারা নিশ্চিত নন চাল আটা পাবার বিষয়ে।।

মধ্যরাতে এসে লাইনে জায়গা না পেয়ে অনেকেই খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে রাত ৩টায় আসেন মাসুরা খাতুন নামের শহরের মাঠ পাড়ার এক মহিলা। লম্বা লাইন দেখে ক্ষোভ ঝাড়তে ঝাড়তে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেল। ভিড় দেখেও অনেকে থেকে যাচ্ছে যদি অবস্থান করে চাল আটা মেলে আশায়। কিন্তু মিলছেনা।

শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টুর বিক্রয় কেন্দ্রে সোমবার সকাল ৮টায় গিয়ে দেখা যায়- ওএমএসের চাল ও আটা কিনতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। সকলের চোখে মুখে সারারাত জাগার ক্লান্তির ছাপ। তাদের কেউ কেউ রোববার দিবাগত রাত ৯টা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। সেখান থেকে চাল ও আটা কেনা রুপালী বেগম জানান- তিনি বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। তাকে রাত ৯টায় লাইনে পাঠানো হয় ওই বাসাবাড়ি থেকে। যখন তিনি আসেন তখন তার সামনে জনা কুড়ি নারী পুরুষ ছিলো। তিনি বলেন- সারারাত ঘুমহীন লাইনে থেকে বাসাবাড়িতে কাজ করতে কষ্ট হয়। তিনি আরও জানান- বাজার থেকে ৫ কেজি চাল আর ৫ কেজি আটা কিনতে যে টাকা লাগে তার থেকে ওএমএস কেনায় সাশ্রয় হয় অর্ধেক। তিনি যে বাসাবাড়িতে থাকেন তিনি মধ্যম আয়ের সম্ভ্রান্ত মানুষ বলে জানান।
বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ একটু কম দামে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে চাল ও আটা কিনছিলেন। সাধারণ মানুষের কম দামে আটা কেনার সেই সুযোগও এখন সংকুচিত হয়ে আসছে। কারণ, ওএমএসের আটার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

লাইনে থেকেও চাল না পাওয়া এক রিকশাচালক জানান, শুধু শহরের নয়, গ্রাম থেকেও এখানে ওএমএসের চাল-আটা নিতে আসছে মানুষ। বিশেষ করে গত এক মাস থেকে নতুন নতুন মুখ আসছে। এখন গ্রাম পর্যায়েও খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রি করা দরকার।

সরকারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- শুধু নিম্ন আয়ের নয় মধ্যম ও উচ্চ মধ্যম শ্রেনির মানুষেরও ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। এজন্য ক, খ ও গ শ্রেনির কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং পদ্ধতিতে চাল, ডাল, আটা, চিনি দেয়া উচিৎ। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন- অনেক পরিবারে অভাব থাকলেও তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএস সুবিধা নিতে পারছে না।

জানতে চাইলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু জানান- ‘আমরা ২০০ জনকে দিতে পারি, কিন্তু মানুষ আসেন তিন শর বেশি। সরকারিভাবে যে চাল বরাদ্ধ পাওয়া যায় ৫ কেজি করে ১১১ জনকে দেয়া যায়। আটার চাহিদা বেশী থাকার কারনে ৫ কেজির স্থলে ৩ কেজি করে ১৮৫ জনের কাছে বিক্রি করা হয়। এক মাস ধরে অনেক নতুন মুখের মানুষ আসছেন, যারা কখনও চালের জন্য শহরে আসেননি। এই কারণেই অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েও চাল আটা পাচ্ছেনা।’