“ভিক্ষা নয় অধিকার চাই, কৃষক পরিবারের দাবির পূর্ণতা চাই” এই শ্লোগানে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১নভেম্বর) উপজেলার তোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দুপুর থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, সরকারী লালন শাহ কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি তানভীর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাফিজ হাসান, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দীন, হরিণাকুণ্ডু কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার মানজুরুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক অমিরুল ইসলাম, মহিলা উদ্যোক্তা নাসরিন নাহার, কৃষক গোলাম মোস্তফা, মতিয়ার রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া কৃষকদের দাবি ও অধিকারের কথা তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন কৃষক সমাবেশের মূল উদ্যোক্তা কৃষক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন খুরশিদ সোয়াইব বাবুল।
এ সমাবেশে উপজেলার ১৩২ গ্রামের শত শত কৃষক উপস্থিত ছিলেন। সভায় কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে ১০জন অস্বচ্ছল প্রতিবন্দ্বীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
সমাবেশের উদ্যোক্তা কৃষক কামরুজ্জামান বলেন কৃষকরা দেশের মূল চালিকা শক্তি হলেও কৃষকদের সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয়না, কৃষকদের নানা ভাবে ঠকানো হচ্ছে। মধ্যস্বত্তভোগিরা বিশেষ করে ফড়িয়া, বাজার মালিক, মহাজন, এমনকি দেশের বাজার ব্যবস্থাপনার কারনেও কৃষকদের ঠকানো হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান, তার উপরে বিভিন্ন ধরণের তাল বাহনা করে কৃষকদের নিকট থেকে পন্য নিয়ে নেওয়া হয়, যেমন প্রতি মনে (৪০ কেজি) ২কেজি ঢলতা নেয়, বাজারের খাজনা প্রতি মনে ১কেজি, ঝাড়ুদার প্রতি মনে ১কেজি এভাবে বাজারে পন্য নিলে মনপ্রতি ৪ থেকে ৫কেজি চলে যায়। এছাড়া অন্য কৃষকরা বলেন, কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ কয়েক গুন বেড়ে গেছে যেমন জ্বালানী তেল, সার, কীট নাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি শ্রমিকের, পরিবহন খরচ সব বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সেভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, তারা কৃষি পণ্যের নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণের দাবি এবং কৃষকদের অবসর ভাতা চালুর দাবি জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা কৃষকদের দাবির সাথে একমত পোষন করে বলেন, সকল ক্ষেত্রে কৃষকরা অগ্রাধিকার পাবেন, স্বল্পসুদে কৃষিঋন প্রদান করা হচ্ছে, তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, যেমন কৃষি ভর্তুকি দ্বিগুন করেছে। কৃষকদের সকল ধরণের বীজ, সারসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা আর পিছিয়ে থাকবেনা বলেও বক্তার জানান।