কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন ৮২ রোগীর ৪৬ জনই শিশু

তীব্র শীত ও ঠান্ডায় রোগী বেড়েছে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসাধীন ৮২ রোগীর মধ্যে ৪৬ জনই শিশু। শনিবার সকালে এ চিত্র দেখা যায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫০ টি। রোগী ভর্তি রয়েছে ৮২ টি। যার বেশির ভাগ রোগীই শিশু। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সেবিকা ও সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার সকালে কমপ্লেক্সে স্বজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে রোগী কিছুটা কম থাকলেও, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ড ছিল রোগিতে ভরা। বেড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। তারা বলছেন,বড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নেওয়ায় আরো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রত বেড বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আব্দুল্লার পিতা আলামিন বলেন,গেল দুই দিন যাবৎ আমার বাচ্চা নিয়ে ভর্তি আছি। মূলত ঠান্ডা জ্বর নিয়ে ভর্তি করেছিলাম বাচ্চাকে।

শিশু মুশফিকুরের মা রিক্তা বলেন,পাতলা খানা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ছিলাম। এখন আপাতত ভালো আছে বাচ্চাটি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা তোরানিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিন বমি,পাতলা পায়খানা ও জ্বর নিয়ে বাচ্চা ভর্তি হচ্ছে। এবারের ঠান্ডায় আগের তুলনায় রোগি খুব বেশি। আমরা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে। এরপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন, শিশুরা মূলত ঠান্ডা জনিত কারণে, জ্বর,বমি,শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া বড় রোগীরাও পেটে ব্যাথা,পাতলা পায়খানা ও জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের অনেকে ভর্তি হচ্ছেন। আবার কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,আগে থেকেই এ কমপ্লেক্সে শিশু রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। এরপর গেল কয়েকদিনের ঠান্ডা তীব্র ঠান্ডায় বড়,ছোট সবাই আক্রান্ত হচ্ছে, পেটে ব্যাথা,জ্বর ও বমিতে।

তিনি বলেন, এ সব রোগীদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে মোট ৮২ জন রোগী। এরমধ্যে শিশুই ৪৬ জন।আর বাকি ৩৬ জন বড় রোগী।




এবার ভারতজুড়ে মুক্তি পেলো ‘হাওয়া’

নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমা মুক্তির বিষয়টি শেয়ার করেছেন ভারতের প্রযোজনা সংস্থা রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারেই ভারতে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। পরে সেই খবরটি ‘হাওয়া’র অফিশিয়াল পেজেও শেয়ার করা হয়।

এর আগে গেল ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল ‘হাওয়া’। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছে দিল্লী, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে। যদিও গেল মাসে ভারতব্যাপী ৩০ ডিসেম্বর ‘হাওয়া’ মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিল রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট।

একসাথে দুবাই যাচ্ছেন পরীমণি-রাজ, মান অভিমান কি শেষ?একসাথে দুবাই যাচ্ছেন পরীমণি-রাজ, মান অভিমান কি শেষ?
গত বছর কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ এ দেখানো হয়েছিল সিনেমাটি। সেসময় সিনেমাটি দেখতে কলকাতার দর্শকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যায়। এরই সূত্র ধরে এবার ভারতীয় দর্শকের দোরগোড়ায় সিনেমাটি।

‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান প্রমুখ।

সূত্র: ইত্তেফাক




নেইমারকে নিয়ে নতুন প্রেমের গুঞ্জন

ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের ফুটবল প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই কারোরই। তবে তিনি যে তার প্রতিভার সবটুকু সদ্ব্যবহার করতে পারেননি সেটিও একবাক্যে মেনে নেন যে কোন ফুটবল প্রেমী। মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডেই বেশি শিরোনাম হয়েছেন পিএসজির এই তারকা। ফুটবলের বাইরে পার্টি, মদ এসব নিয়েই বেশিসময় মেতে থাকেন নেইমার। এবার তিনি নতুন করে আলোচনায় নতুন আরেকটি প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে।

ব্রাজিলের ৩০ বছর বয়সী এই তারকা ইতোমধ্যেই কয়েকজন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি তার আরও একটি নতুন প্রেমের গুঞ্জন উঠেছে ফুটবল পাড়ায়।

নেইমারের প্রেমিকাদের তালিকা করলে সেখানে নাম আসবে অনেকেরই। ব্রুনা মার্কেজিন, থাইলা আয়লা, বারবারা ইভানস, লারিসা অলিভেইরা, ব্রুনা ইকার্দিসহ সর্বশেষ জেসিকা তুরিন। সব ছাপিয়ে নতুন করে এবার গুঞ্জন ছড়িয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও ফেলিক্সের সাবেক প্রেমিকা মার্গারিদা কোরচেইরোকে নিয়ে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপের পরই ফেলিক্সের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়েছে মার্গারিদার। তারপর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে মার্গারিদা নতুন করে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় মার্গারিদার ছবিতে লাইক দেন নেইমার। একই কাজ করেন মার্গারিদাও। কিছুদিন আগেই মার্গারিদা এসেছিলেন প্যারিসেও। তখন থেকেই নেইমারের সঙ্গে মার্গারিদার প্রেমের গুঞ্জনটি জোরদার হয়।

প্রেমের গুঞ্জন ছড়ানোর পরই মার্গারিদাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আনফলো করেন নেইমার। অন্যদিকে মার্গারিদা এই গুঞ্জনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিজের ইন্সটাগ্রামে।

মার্গারিদা লেখেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, পত্রপত্রিকায় আমাকে নিয়ে যা লেখা হয় তার কোনো কিছুই আমি পড়ি না। প্রথম কারণ, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেগুলো মিথ্যা। এছাড়া, যেহেতু সেগুলো মিথ্যা, তাই সেগুলো পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই আমার। জীবনে এসব কোনোমানে রাখে না। একটি মেয়ের বন্ধু থাকা, সুখী থাকা ও নিজের মতো চলাকে কি আমরা স্বাভাবিক চোখে দেখবো না? এটা অন্যায্য। আর আমিই এর প্রথম কিংবা শেষ শিকার নই।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি,জবুথবু জনজীবন

মেহেরপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ঘনকুয়াশা আর হাড়হীম শীতে সাধারণ মানুষ একরকম গৃহবন্ধী। তবুও জীবন জীবীকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই যবুথবু হয়ে কর্মে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই শীত নিবারনে রাস্তা ও পাড়া মহল্লায় আগুন পোহাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ স্বল্প দামে গরম পোষাক কেনার জন্য ছুটছেন ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানে। এদিকে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে সহায়তা প্রদানের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সরকারী বেসরকারী সংস্থার। ঠান্ডা জনীত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠাঁই নিয়েছেন হাসপাতালে ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯শতাংশ।

মুজিবনগর সড়কের অটোচালক কাশেম জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ত শীত হওয়ায় রাস্তায় নামতে পারিনি। এক সপ্তাহ বাড়িতে বসে আছি আর পারছিনা। তাই প্রচন্ত শীতে আজকে আবার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি।

মোনাখালী গ্রামের দিনমজুর আমিন জানান, কনকনে শীতে শরীর ঢেকে রাখলেও হাত দিয়ে ক্ষেত খামারে কাজ করতে হচ্ছে। কাজ করতে না পেরে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।




মুজিবনগরে স্বামীর বাইলধারার আঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু 

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামে দুই সন্তানের  রিতা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে বাইলধারা ( হাসুয়া ধার দেওয়া কাঠ) দিয়ে হত্যার অভিযোগ  উঠেছে স্বামী জাকারুলের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকালে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকালে ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ‍মৃত্যু হয়।

রিতা খাতুন মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের জাকারুল ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে। এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (৪ জানুয়ারী) সকালে কথা কাটাকাটির জের ধরে জাকিরুল বাইলধারা (হাসুয়া ধার দেওয়ার কাঠ) দিয়ে তার স্ত্রী রিতা খাতুনের মাথায় আঘাত করে। এসময় রিতার চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসি জাকিরুলে বাড়ি থেকে  তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের রেফার করেন। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।পরে পরিবারের লোকজন ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার(৬ জানুয়ারী)বিকেলে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে তার লাশ নিহতের ভাই মুজিবনগর  থানায় নিয়ে এসে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন থানা পুলিশ লাশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করেন।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল জানান, রিতার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই রাজু আহমেদ বাদী হয়ে জাকারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানার উদ্দেশ্যে লাশ মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেপুরে যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত রুপরেখার লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরে বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা ও তারেক রহমান-এর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত রূপরেখা’র লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি।

আজ শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপি ‘র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতকর্মীরা পথচলতি মানুষ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সাবেক কমিশনার মনিরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি হাবিব ইকবাল,জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলি ভূট্টো,জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান অশেষ ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজীব খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজ সহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।




পরীমনিকেই জিজ্ঞাসা করেন কার রক্তের ছবি ওটি: রাজ

এক সপ্তাহ আগে স্বামী রাজকে নিয়ে পরীমনির একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে এই দম্পতির সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। এর দুদিন পর রাজের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে ফেসবুকে ব্যাখ্যা দেন নায়িকা।

পরীমনি বসুন্ধরার বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও এখন আবার আছেন সেই বাসাতেই। কিন্তু রাজ থাকছেন আলাদা। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজ নিজেই।

এ বিষয়ে রাজ বলেন, ‘পরীমনি সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সরাসরি আমাকে কিছুই বলেনি, স্ট্যাটাস দিয়ে জাতিকে বলেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথাও হয়নি। বাইরে বাইরে শুনছি, ফেসবুকে দেখছি।’

রাজের পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের চিন্তা নেই। পরীমনি যদি বিচ্ছেদের চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে রাজের কিছুই করার নেই। রাজ বলেন, ‘সংসারে ঝগড়া, হাতাহাতি হয়। প্রতিটি সংসারে কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে, আবার মিটেও যায়। কিন্তু বাড়ির খবর, ঘরের খবর এভাবে দেশবাসীকে জানিয়ে কোনো সমাধান কি হয়? নিজেরাই সমাধান করতে হয়। আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের কোনো বিষয় নাই। কিন্তু পরীমনি যদি চায়, তাহলে তো কিছু করার নাই। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে আমাদের। তবে সম্পর্ক টিকে রাখার চেষ্টা করব আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচ্ছেদের চিঠি দিলে নব্বই দিন সময় থাকে। সেই নব্বই দিনের মধ্যে কিছুদিন ধরে চেষ্টা করব ঠিকঠাক করার। যদি একান্তই না হয়, তাহলে যা হওয়ার তাই হবে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই- হয় তো আমাদের দুজনেরই দোষত্রুটি আছে। এক হাতে তো তালি বাজে না। পরী যে রক্ত মাখা বিছানার ছবি দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কার রক্তের ছবি ওটি।’

কিন্তু আপনি তার গায়ে হাত তোলেন, সেটা তো সে স্ট্যাটাসে বলেছেন। এ ব্যাপারে কী বলবেন? রাজ বলেন, ‘কেউই ধোয়া তুলসি পাতা নয়, সহ্যের একটা সীমা আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ সামনে আগাতে চায়। এতটুকুই বললাম, আপনারা এখন বুঝে নেন।’

সূত্র: যুগান্তর




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে নাভানা গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নাভানা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে কপিরাইটার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

কপিরাইটার।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস হতে হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইলনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

১৫ জানুয়ারি,২০২৩

সূত্র : বিডিজবস ডটকম




অ্যান্ড্রয়েড ফোনে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিপদ বার্তা পাঠানো যাবে

আইফোনের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেও স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সংযোগ ব্যবহার করে জরুরি বিপদ বার্তা পাঠানো যাবে। ফলে মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক না থাকলেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা উদ্ধারকারী সংস্থার কাছে বার্তা পাঠিয়ে সাহায্য চাওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে চলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিপণ্যের মেলা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শোতে (সিইএস) অ্যান্ড্রয়েড ফোনে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিপদ বার্তা পাঠানোর সুযোগ চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কোয়ালকম টেকনোলজিস। এ জন্য স্যাটেলাইট ফোন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইরিডিয়ামের সঙ্গে চুক্তিও করেছে ফোনের প্রসেসর নির্মাতা ও ওয়্যারলেস প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।

কোয়ালকম টেকনোলজিসের তথ্যমতে, স্ন্যাপড্রাগন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে জরুরি বিপদ বার্তা পাঠানো যাবে। শুধু তা–ই নয়, মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক না থাকলেও অন্যদের পাঠানো বার্তা পড়ার সুযোগ মিলবে। ইরিডিয়ামের প্রযুক্তিসুবিধা এবং স্ন্যাপড্রাগন ফাইভজি মডেমের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বার্তা লেনদেন করা হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ নির্দিষ্ট দেশে এ সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে সব ফোনে এ সুবিধা মিলবে না, এ জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রসেসরে চলা হালনাগাদ মডেলের ফোন ব্যবহার করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নির্দিষ্ট অঞ্চলে ইমার্জেন্সি এসওএস সুবিধা চালু করে অ্যাপল। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে আইফোন ১৪ সিরিজের আইফোন ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি বিপদ বার্তা পাঠাতে পারেন। এরই মধ্যে কয়েকজন আইফোন ব্যবহারকারীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে অ্যাপলের ইমার্জেন্সি এসওএস সুবিধা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




গাংনীতে হঠাৎ বেড়েছে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় হঠাৎ বেড়েছে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ। নিউমোনিয়া,বমি ও ডায়রিয়াই আত্রান্তের সংখ্যা বেশি। বেডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই স্থান নিয়েছেন মেঝেতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে ভর্তি হয়েছেন ২৫জন শিশু।

জানাগেছে, একসপ্তাহ যাবৎ ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারনে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ২৫জন শিশু ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯জন শিশু ডায়রিয়া ও বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। ৬জন ভর্তি হয়েছেন নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে। একই দিনে ১০জন বৃদ্ধ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে ভর্তিকৃত রোগীরা সরকারি ভাবে ওষুধ সরবরাহ পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাংনীর বানিয়া পুকুর থেকে তাসফিয়া খাতুন ভর্তি হয়েছেন দুই বছরের শিশু ঝর্ণাকে নিয়ে। প্রথমে সর্দি জ¦র হয়। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিয়ে কাজ হয়নি। শুক্রবার সকালে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি হন। বেতবাড়িয়ার কুলছুম খাতুন তার শিশু নোমানকে নিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানকার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছয়দিন আগে তার শিশুপ্রত্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
ভাটপাড়া গ্রামের তামান্না খাতুন তার শিশু পুত্র আবু জায়েদকে নিয়ে ভর্তি হন। বমি আর পাতলা পায়খানা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনদিন আগে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাত্র একদিন জোর জবদস্তি আর তদবির করে সিপ্রোসিন ইন্জেকশন দেয়া হয়েছে। পরে আর দেয়া হয়নি। এখন সব ওষুধ কিনতে হচ্ছে তাদের।  কর্তব্যরত নার্সরা জানিয়েছেন স্টোর কিপার যে ওষুধ দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। যে কারনে তাদের ফার্মেসী থেকে কিনতে হচ্ছে। শুক্রবার ছুটির দিন তাই আগামীকাল ওষুধ সরবরাহ নেয়া হবে।

রোগীদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শুক্রবার সকাল থেকে আমাদের শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। একাধিক শিশুর মা জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আমরা ভর্তি হয়েছি। বেডে জায়গা হয়নি তাই মেঝতেই জায়গা নিতে হয়েছে। এমনভাবে অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিাসর(আর এমও) আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ তীব্র শীতের কারনে শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। একদিনেই ২৫জন শিশু শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মায়েদের সচেতন হতে হবে তাহলে শিশুরা অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে।