‘ফাইনালি একটা ম্যাচ জিতেছি’ তৃপ্ত জাকের

ঢাকা ক্যাপিটালসের মতোই বাজে অবস্থা চলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। হারের বৃত্তে বন্দি ছিল দলটি। দু’দলের প্রথম দেখায় তাই একটা দল হারের বৃত্ত ভাঙবে সেটাই ছিল অনুমেয়। হয়েছেই তাই। ঢাকা ক্যাপিটালসের দেওয়া ১৯৪ রান তাড়া করে চলতি বিপিএলে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। এমন জয়ের পর ম্যাচসেরা জাকের হাসান জানালেও কতটা তৃপ্ত তিনি।

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাকির হাসান। দলকে দেখিয়ে গেছেন জয়ের পথ। যে পথ অনুসরণ করে পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে সিলেট। ম্যাচ শেষে তাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন জাকের।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাকির জানালেন, ‘উইকেট ভালো ছিল। তো আমার কাছে মনে হয়েছে যে এখানে জোনে পড়লে মারা যাবে। আমি ওইভাবেই পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংসে যেহেতু ওরা ব্যাটিং করেছে। উইকেটটি দেখে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আর আমার যেগুলো জোনে পেয়েছি ওগুলো চেষ্টা করেছি হিট করার।’

চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয় কতটা স্বস্তির সেটা জানিয়ে জাকের বলেন, ‘অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক, কারণ দল আশা করছিল যে আমরা একটা ম্যাচ জিতব। ফাইনালি আমরা একটা ম্যাচ জিতেছি। সবচেয়ে বেশি যেটা বলব যে দর্শকরা অকল্পনীয় সমর্থন করেছে পুরো আসরজুড়ে। সবসময় ফুল প্যাকড দর্শক থাকছে। তো খুব উপভোগ করছি। আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে (ঘরের মাঠে), তো ওগুলো জিততে পারলে ভালো লাগবে।’

ম্যাচ জেতানো এই ইনিংসটি জাকির উৎসর্গ করেন সিলেটের দর্শকদের জন্য, ‘ওইভাবে উৎসর্গ করতে চাই না। করলে এখন আপাতত আমাদের ভক্তদের করতে চাই। ওরা আমাদের অনেক সমর্থন করছে, একটু আগে যা বললাম। তাই এই ফিফটি আমি দর্শকদের উৎসর্গ করতে চাই।’

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় ৮ জনের কারাদণ্ড

অসৎ উপায়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) পদে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ৮ জনের ঠাই হলো শ্রীঘরে। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাদের তিন দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন জেল হাজতে।

দন্ডিতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার পিরগঞ্জ উপজেলার ধুনোট গ্রামের গিরিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে খগেন চন্দ্র রায়, একই জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ব্রাম্মনভিটা গ্রামের মোটা বাবুর ছেলে শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ জেলার ধুবনী বাজার এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে নুর মওলা, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার পবহাটি পাড়া গ্রামের দিলীপ দেবনাথের ছেলে দিবস দেবনাথ, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার গুজুক গ্রামের মৃত মুন্নার ছেলে রফিকুল ইসলাম, শেরপুর জেলার সদর উপজেলার টাঙ্গারিপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দীনের ছেলে গোলজার হোসেন, নিলফামারী জেলার জলঢাকা দক্ষিণ বাগুনাপাড়া গ্রামের নুরুল হকের আরিফুল ইসলাম ও শেরপুর জেলা সদরের খানুয়াচারপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান সজীব।

গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে তিন দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি বলেন, অসৎ উপায়ে অন্যের হয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমআরসিএম পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে দঃবিঃ ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারার অপরাধে দোষি সাব্যস্ত করে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) মোতাবেক প্রত্যেককে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) ৭০ টি পদের বিপরিতে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আবেদনকারী অংশ নেন। এর মধ্যে অন্যের হয়ে অসৎ উপায়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন দন্ডিতরা। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর সরকারি বালক বিদ্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।




কলা চাষে লক্ষ টাকা আয়ের আশা সোনা মিয়ার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের কলা চাষী সোনা মিয়া ৩ বিঘা জমিতে চাপা জাতের কলা চাষ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয়ের আশা করছেন।

উদ্যোক্তা সোনা মিয়া বলেন, আমি পড়াশোনা করেছি কিন্তু বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই মাঠে আসা। কৃষক পরিবারের সন্তান আমি। কৃষি কাজ দেখতে দেখতে একরকমের ভালবাসা তৈরি হয়ে গেছে । আমি আমার ৩ বিঘা জমিতে চাপা জাতের কলা চাষ করেছি, এছাড়া আমার পেয়ারা বাগান, পেঁপে বাগান, ভুট্টা ও অন্যান্য চাষ রয়েছে।

চাপা জাতের কলা চাষ করেছি এর কারণ এই জাতের কলায় রোগ বালাই খুবই কম। কারণ এর আগে আমি বগুড়ার শবরি জাতের কলা চাষ করেছিলাম কিন্তু পানামা রোগের কারণে লোকসান হয়েছিল। চাপা কলার রোগবালাই কম এবং দুই থেকে তিনবার ফল নেওয়া যায়। কারণ এই জাতের কলা গাছ রোপণ করলে এর আশেপাশে দিয়ে অটোমেটিক চারা তৈরি হয়। চাপা জাতের কলায় পরিচর্যা খরচ কম হওয়ার বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করলেই প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বাজার দর ভালো থাকলে।

গাছ রোপণ সম্পর্কে জানায়, এই জাতের গাছ ৪/৫ হাত দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করতে হবে এবং চারা রোপণের সময় জৈবসার, বরুণ এবং দানাদার বিষ গর্তে দিতে হবে। রোপণের পর মাঝে মাঝে এসে বাগানের আগাছা পরিস্কার করার পাশাপাশি সেচ দিতে হবে। একটু যত্ন নিলেই অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব বলে আমি আশা করছি।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষক সমাবেশ

সার সিন্ডিকেট বন্ধসহ ১২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলা কৃষক কল্যাণ সমিতির নেতৃন্দের উদ্যোগে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোঃ কেরামত আলীর সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা কৃষক কল্যান সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুসা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম ডন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষক নেতা মোহাম্মদ তুহিন মিঞা। কৃষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, শৈলকুপার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের রহমত এলাহী মিঠু, হাকিমপুর ইউনিয়নের সেলিস হোসেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের খুশি খাতুন, মির্জাপুর ইউনিয়নের ইউনুসসহ অন্যান্যরা।

সেসময় বক্তারা বলেন, সিন্ডিকেট করে কৃত্তিম সার সংকটের কারনে কৃষক এবং কৃষি খাতে ধ্বংস নামতে পারে। ন্যায্যমূল্যে কৃষকরা যেন সময়মত সার পায় এবং সার ক্রয়ের মেমো দিতে হবে। ১ মন হিসেবে ৪০ কেজির বেশি ওজন নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সেই উৎপাদিত ফসলের মূল্য নির্ধারিত থাকতে হবে। এছাড়াও ভর্তুকি বাড়িয়ে ডিজেলের দাম কমাতে হবে। আলোচনা সভা শেষে শৈলকুপা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়।




ফোনে বিরক্তিকর অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে যা করবেন

বর্তমানে সময় প্রায় প্রতিটা মানুষের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকা বন্ধুও মুহূর্তে নাগালে চলে আসে এর বদৌলতেই। কিন্তু প্রযুক্তিকে শুধুই আশীর্বাদ ভাবলে ভুল হবে, এর সমস্যাও রয়েছে প্রচুর। প্রযুক্তিকে অস্ত্র করেই চলছে বহু প্রতারণা চক্র। না বুঝে অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করেও বহু মানুষ প্রতিদিন বিপদে পড়েন।

প্রতিদিন প্রায় সবার কাছেই প্রচুর অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। রিসিভ করলে কেউ লোন নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কেউ আবার চাকরি বা অন্য কিছুর অফার দেন। অনেককে লোন সংক্রান্ত ফোন করে রীতিমতো কড়া বার্তা দেওয়া হয়। এই ফোনগুলোর নেপথ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে জালিয়াতরা। সব সময় অপরিচিত নম্বর দেখলেই তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

তাহলে কীভাবে বাঁচবেন এদের হাত থেকে? সবার আগে নজর করতে হবে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে। যদি দেখেন কান্ট্রি কোডে +088 (বাংলাদেশ) ছাড়া অন্য কিছু রয়েছে, তাহলে সেই ফোন এড়িয়ে যান। বেশকিছু নম্বর যা দেখলেই বোঝা যায় যে আর পাঁচটির থেকে তা আলাদা, সেগুলোও এড়িয়ে যান। ভুলেও কল ব্যাক করবেন না।

তবে আগেই বলা হয়েছে এড়িয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ট্রু কলার অত্যন্ত উপযোগী। এই অ্যাপে নিমেষে দেখে নিতে পারবেন যে নম্বর থেকে ফোন আসছিল, সেটি কার। সেটি স্প্য়াম নম্বর হলে তাও দেখতে পারবেন। এরপর ব্লক বা রিপোর্ট তো আপনারই হাতে। মূল কথা সতর্ক থাকতে হবে প্রতিমুহূর্তে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে পরিছন্নতা অভিযান ও গ্রীন স্কুল ক্যাম্পেইন

“এসো দেশ বদলায়, পৃথিবী বদলাই” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণবন্ত তারুণ্যের উৎসব পরিছন্নতা অভিযান ও গ্রীন স্কুল ক্যাম্পেইন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ উৎসবে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউটস ও শহরের একাধিক স্কুলের ছাত্র- ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী, উপজেরা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মিথিলা ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মুন্সি মোঃ আবু জাফর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। নিজের চারপাশ নিজেদের দ্বায়িত্বে যদি পরিস্কার রাখা যায় তাহলে নিজেরদের আঙ্গিনা, শহর, বাজার কখনোই অপরিস্কার হবে না। তাই সবার আগে নিজের আঙ্গিনাকে পরিস্কার রাখতে সকলে প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে শহরের বিভিন্ন সড়কে পরিছন্নতা অভিযান ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে র‌্যালিটি ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয় গিয়ে শেষ হয়।




হরিণাকুণ্ডুতে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইহেদর হরিণাকুণ্ডুতে বালতির পানিতে ডুবে তাসফিয়া নামের ২ বছর ৭ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার শ্রীরামপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত তাসফিয়া ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু তাসফিয়া বাড়ির আঙিনায় খেলতে গিয়ে বালতির মধ্যে পড়ে যায়, পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বালতির মধ্যে খুজে । এসময় শিশুটিকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু তাসফিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।

হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ এম এ রউফ খান, লোকমুখে শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনেছেন, তবে এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ বা লিখিত তথ্য পাননি বলে জানান।




আসল গুড় চেনার উপায়

শীতকাল মানেই খেজুর গুড়ের মিষ্টি সুগন্ধে ভরে যায় বাজার। আর শীত মানেই বাতাসে নলেন গুড়ের সেই মিষ্টি গন্ধ। রসগোল্লা থেকে পিঠে-পাটিসাপটা সবই এই গুড়ের সুবাসে সুবাসিত হয়। এই মিষ্টি মৌতাত পেতে আমরা শীতকালের অপেক্ষায় থাকি।

আর শীতকালে খেজুরের রস থেকে তৈরি হওয়া খেজুর গুড়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। অন্যান্য গুড়ের মতোই প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে খনিজ আছে। এই যেমন

আয়রন– রক্তে হিমেগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

পটাশিয়াম – হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।

ম্যাগনেশিয়াম– মেটাবলিক রেট ঠিক রাখে এবং সেরোটোনিন নিঃসরণ সক্রিয় করে।

ক্যালশিয়াম– হাড় মজবুত করে।

তবে চোখ বুজে যে কোনো গুড়কেই ভালো ভাবলে ভুল করবেন আপনি। ভেজাল গুড় খেলে শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হয় না, খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়। আবার শুধু গন্ধেই মজলে চলবে না, খাঁটি গুড় চিনতে না পারলে উপকারের বদলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

চলুন আসল গুড় আর ভেজাল গুড়ের ফারাক কীভাবে বুঝবেন জেনে নিই। আর এ বিষয়ে জানাচ্ছেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস।

আপনার দেখলেই মনে হবে একেবারে খাটি ও স্বচ্ছ পাতলা খেজুরের নলেন গুড়। কিন্তু সেটি কি আসল গুড়? বর্তমান বাজারে যে গুড় পাওয়া যায়, সবই যে নির্ভেজাল গুড় তা কিন্তু ঠিক নয়। দেখে ভালো মনে হলেও আসলে তা ভালো কিনা আগে সেটি যাচাই করা দরকার। তা না হলে গুড়ের গুণের বদলে মিলবে জীবন বাঁচানোর ক্ষতি।

এছাড়া গুড় মানবদেহের এনজাইম সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। খাঁটি গুড়ের মিষ্টি গন্ধ খিদে বাড়ায় এবং আমাদের মুখের থুতুতে যে টাইলিন নামক এনজাইমের নিঃসরণ হয়, সেটি বৃদ্ধি করে। যে কোনো খাবারে এই গুড় পড়লে সেই খাবার খাওয়ার ইচ্ছে খুব বেড়ে যায় আর স্বাভাবিকভাবেই হজম ভালো হয়। হজম ভালো হওয়া এবং মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, গুড় খাওয়ার জন্য ওজন কমে। সাধারণত দেখলে হার্টের বেশিরভাগ রোগই হয় খাবার ভালোভাবে হজম না হয়ে শরীরে।

আর ভেজালে ক্ষতি

আমরা অনেকেই নলেন গুড়ে ভেজাল বলতে বুঝি চিনি মিশিয়ে মিষ্টি করা। এতে কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ছাড়া অন্যদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু নলেন গুড়ের সুগন্ধ বা রঙ শুধু চিনি মিশিয়ে আসে না। সে জন্যই মেশানো হয় কৃত্রিম সুগন্ধি। যেহেতু এই তথ্য জানানো থাকে না যে কী মেশানো আছে গুড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এগুলোতে কার্সিনোজেনিক ফ্লেভার কম্পাউন্ড (কর্কট রোগ ঘটাতে সক্ষম) ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রয়োজন হয় কৃত্রিম গন্ধের জন্য। এ ছাড়া মেশানো হয় নানা রাসায়নিক পদার্থ, যা স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, হার্টের অসুখ ও রক্তের সমস্যা ডেকে আনে।

রঙ মেশানোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়াবহ। ফুডগ্রেড (খাদ্যের জন্য উপযুক্ত) রঙ অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় না। আর যদিও বা ব্যবহার হয় তখন ফুডগ্রেড রঙ প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেশানো থাকে। সাধারণত ১০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে বেশি পরিমাণ লাগে এই ঝকঝকে লোভনীয় গুড়ের রঙ আনতে। সে কারণেই খাদ্যের জন্য উপযুক্ত রঙ হওয়া সত্ত্বেও সেটি ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়। এই নলেন গুড়ের যে চকলেটের মতো রঙ হয়, সেটি আনার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙ ব্যবহার করা হয়।

যে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে এই কৃত্রিম রঙ গুলিতে

আর্সেনিক— প্রজননজনিত সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, মস্তিষ্কের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ডেকে আনে।

ক্যাডমিয়াম— শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, ক্যানসারের ঝুঁকি, হাড়ের ক্ষয়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

টেস্ট করে দেখে নিন ভালো না ভেজাল। এক টুকরো গুড় পানিতে ফেলে দিন। বিশুদ্ধ গুড় দ্রুত গলে যাবে, কিন্তু ভেজাল গুড়ে আলাদা স্তর দেখা যাবে। গুড় গরম করলে যদি তা থেকে ধোঁয়া বের হয় বা কালো পদার্থ বের হয়, তাহলে বুঝবেন এটি ভেজাল।

গুড়ের প্যাকেটের ওপর FSSAI সিল থাকা জরুরি।

বেশি চকচকে বা কম দামের গুড় এড়িয়ে চলুন।

ভেজাল গুড় চেনার সহজ উপায়

বর্ণ

বিশুদ্ধ গুড় সাধারণত গাঢ় বাদামি বা প্রাকৃতিক সোনালি রঙের হয়।

ভেজাল গুড় দেখতে উজ্জ্বল হলুদ বা লালচে হতে পারে। কারণ এতে কৃত্রিম রঙ মেশানো হয়।

শুধু নলেন গুড় নয়, পাটালিও এই সময় সবাই খান। খাঁটি গুড় আঙুল দিয়ে ভাঙা যায় অনায়াসে এবং দুই আঙুল দিয়ে ঘষলে সহজে গলে যায়। আখগুড় মেলানো থাকলে ইটের মতো শক্ত হয়ে যায়।

স্বাদ

ভালো গুড়ে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টতা। অতিরিক্ত মিষ্টি হবে না। চিনির শিরা মেশানো থাকলে মুখে দিলে বুঝবেন মিষ্টির গাঢ়ত্ব বেশি। খাঁটি নলেনের বিশেষত্ব হালকা মিষ্টি।

গন্ধ

বিশুদ্ধ গুড়ে থাকবে হালকা আখ বা খেজুরের সুগন্ধ।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও ড্রেস বিতরণ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পিইডিপি-৪ কম্পোনেন্ট ২.৫ প্রকল্পের অধীনে “আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম” এর আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের
নতুন স্কুল ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) “তরুণ্যের উৎসব-২০২৫” ব্যানারে মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় ২১০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)-এর মাধ্যমে ৪,৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস তুলে দেওয়া হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার সাদ আহম্মেদ, উপজেলা ম্যানেজার মোছাঃ শিরিনা আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন ব্যাগ ও ড্রেস তুলে দেওয়ার সময় শিশুরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে।

মুজিবনগর উপজেলায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল। এ সময় প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার আব্দুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন গাংনী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা। এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই উপহার বিতরণের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।




‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’ খ্যাত হৃতিকের রজত জয়ন্তী

দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেল বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’খ্যাত অভিনেতা হৃতিক রোশনের। ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’। এটি সেই সময় বলিউডের সফলতম ছবি ছিল। এই ছবির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রাকেশ রোশন প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। বাবা রাকেশ রোশনের এ ছবিটি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল হৃতিক রোশনের। সেই সঙ্গে অভিষেক হয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলেরও। চলতি বছর ছবিটির ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে পূর্ণ হচ্ছে হৃতিক রোশনের ক্যারিয়ারের ২৫ বছরও।

এ ছবিতেই অভিনেতা হৃতিক রোশন সেরা নবাগত অভিনেতা ও সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান । মাত্র ১০ কোটি রুপি বাজেটের এ ছবিটি বক্স অফিসে ৮০ কোটি রুপি ব্যবসা করে।

আগামীকাল ১০ জানুয়ারি হৃতিক রোশনের জন্মদিন। এদিকে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হৃতিকের জন্মদিনে আবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘কাহো না…পেয়ার হ্যায়’ ছবিটি। ক্যারিয়ারের এই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত অভিনেতা।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা। হৃতিক রোশন বলেন, তিনি আদতে ‘লাজুক ছেলে’। গণমাধ্যম তাকে আরও দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক হতে সাহায্য করেছে।

হৃতিক বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ে আমি আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। চেয়েছি মানুষ হিসেবে নিজেকে আরও বিনয়ী হতে।

সূত্র: যুগান্তর