রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেলেন মেহেরপুরের আবির

স্নাতকে (সম্মান) অসাধারণ ফলাফলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন মেহেরপুরের জাহিদুল ইসলাম আবির। গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ তাকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন। এ সময় নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ ড. জ্যঁ তিরোল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদুল ইসলাম আবির মেহেরপুর সদর উপজেলার মোঃ নকিম উদ্দীনের সন্তান এবং মেহেরপুর স্টুডেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (গঊঝউঅ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি।

২০২০ সালের অনার্সে চারুকলা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় “শিল্পী অধ্যাপক কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি স্বর্ণপদক”এ মনোনীত হয়ে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।




আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩২ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে!

কম প্রচলিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৪ টি পদে ৩২ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ এনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামবাসী।

আশরাফপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে খোকন আলী এই অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে আশরাফপুর গ্রামের ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে তিনি লেখেন, মেহেরপুরে আসেনা এমন দুটি প্রচলিত পত্রিকাতে গোপনে বিজ্ঞাপন দিয়ে আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে জিনারুল ইসলামকে, নৈশকালিন গার্ড পদে ৮ লাখ টাকা চুক্তিতে মো: হাসান আলীকে, পরিচ্ছনতা কর্মী পদে ৭ লাখ টাকা চুক্তিতে মোছা: আখি খাতুনকে ও এমএলএসএস/ দপ্তরী পদে ৭ লাখ টাকা চুক্তিতে ইমাদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তাহাজ উদ্দীন যৌথভাবে এই গোপন নিয়োগ বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গ্রামবাসির পক্ষে অভিযোগকারী খোকন আলী আরো বলেন, ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক মো: তাহাজ উদ্দীন বিদ্যালয়ের ফান্ডের অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ৪ লাখ তুলে আত্মসাৎ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিয়ে বসে প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দীনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিদ্যালয় ৫০ হাজার টাকা পেলেও হদিস মেলেনি বাকি সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

মেহেরপুরের একজন সাংবাদিকের কু পরামর্শেই অপ্রচলিত পত্রিকায় (পত্রিকা দুটি মেহেরপুরে আসেনা) ১০ হাজার টাকা নিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়োগ লোক নিয়োগ করার অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি। পরে আবারো বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দীনের মোবাইল নম্বওে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।




মেহেরপুরে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ এক নারী গ্রেফতার

 ৫ গ্রাম হেরোইনসহ কুলসুম খাতুন (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
আটক কুলসুম খাতুন সদর উপজেলার সীমান্তবর্তি বাজিতপুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলামিন হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রবিবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে যাদবপুর গোরস্থানের পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আটক কুলসুমের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামরা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




কেরুর বিষাক্ত বর্জ্যের পানিতে ৪ মাস ধরে বন্দি মুক্তিযোদ্ধা কার্যলয়

কেরুর বিষাক্ত বর্জ্যের পানিতে ৪ মাস ধরে বন্দি হয়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কার্যলয় এতে করে বিঘ্ন হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে কেরুজ কর্মকর্ত কর্মচারীরা উদাসীনতা পালন করেছে বলে মনে করছে সচেতন মহল। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল ও ডিস্টিলারি।কেরু এন্ড কোম্পানির বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকাজুড়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে চিনিকলের আশপাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা- কর্মচারিদের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, কেরু এন্ড কোম্পানির জৈবসার তৈরির কাঁচামাল চিনিকল ও ডিস্টিলারির বর্জ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাব মিলের বর্জ্যপানি নিষ্কাশন লাইনের পাইপ ফেটে নোংরা পানি বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শহরে বসবাসকারী লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের সময় মিলের মানুষ তরল বর্জ্য ও মিলের যন্ত্রপাতি ধোয়ামোছাসহ আবাসিক এলাকার নোংরা পানি নিষ্কাশনের জন্য চিনিকল থেকে মাথাভাঙ্গা নদী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপ লাইন বসানো হয়। এ পাইপ লাইনটি দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় পাইপের বিভিন্ন অংশ ফেটে ও ভেঙ্গে গিয়ে মিলের তরল বর্জ্যসহ নোংরা পানি বের হয়ে গোটা এলাকায় মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে।

কয়েক বছর আগে চিনিকল কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে পাইপ লাইনটি মেরামত করে। মেরামতকালে চিনিকলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দুর্নীতির সুযোগে নিয়োজিত ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার ফলে সংস্কারের কিছুদিনের মাথায় পাইপটি ফাটল দেখা দেয়। আবারোও পাইপ লাইনের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরে আগের অবস্থায় ফিরে গিয়ে অসহনীয় দুর্গন্ধে অতিষ্ট করে তুলেছে দর্শনা শহরবাসীকে।এর ফলে পথচারিরাও পড়ছে বিপাকে।

দুর্গন্ধের কারনে কেরু এলাকা ছাড়াও শহরের আনোয়ারপুর, শান্তিপাড়া, পাঠানপাড়া, মোবারকপাড়া, ইসলামবাজার, পুনাতনবাজার, মহম্মদপুর, আজমপুরসহ গোটা শহর জুড়ে মারাত্মকভাবে বায়ুদূষন ঘটছে। ফলে বায়ুদুষনজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকায় বসবাসকারী মানুষ।

সরেজমিনে কেরুজ বাজারমাঠ সংলগ্ন এলাকা ও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নোংরা পানি উপচে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই পানি থেকে বের হচ্ছে পচা দূর্গন্ধ। ছড়িয়ে পড়া এই পানিতে জন্ম নেয়া মশা-মাছি দেখে মনে হয়েছে কেরু কোম্পানি চিনি ও স্পিরিট উৎপাদনের পাশাপাশি মশা-মাছিরও উৎপাদন শুরু হয়েছে।এর ফলে বাড়তে পারে ডেঙ্গু মশার উৎপাত। এমন পরিস্থিতিতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে চিনিকলের আশপাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কারণে এলাকায়

এভাবে পরিবেশ দূষণের ঘটনায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চলতে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। পরিবেশদূষণ রোধে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, বাজারমাঠ সংলগ্ন এলাকায় বর্ডার পানি বের হচ্ছে এমন খবর কেও আমাকে জানায়নি, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমাকে জানালে ব্যবস্থা নিতাম। ওই এলাকার পানিনিষ্কাশনের লাইন পৌরসভার ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আমি যতদুর জানি ড্রেনের কাজ শুরু হয়নি ফলে পানি ওভারফ্লু হয়ে রাস্তায় চলে এসেছে। আর মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করবো, বাজেট হয়ে গেছে।এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যাবস্হাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।




মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স এর উদ্যোগে বিশ্ব শিশু দিবস পালন

প্রতিটি শিশুর জন্য বিশ্ব শিশু দিবসে চাই সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি, চাই বিশ্বের জন্য ভাল পরিবর্তন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স এর উদ্যোগে ‍র‍্যালী, আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে রবিবার বিকেলে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস চত্বরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে অফিস চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিডিপি ম্যানেজার বিভব দেওয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, সিডিপি এর এডমিন অফিসার লরেন্স ঢালী, সিডিপির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত আল মাহমুদ,সিডিপি এর মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ইয়াসিন আল বাশার,সিডিপির সদস্য ও সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান রেহেনা খাতুন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশ্ব শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিনিয়র এডমিন অফিসার লরেন্স ঢালী।দিবসটির উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এই দিনের উদ্দেশ্য এবং ইতিহাস। শিশুশ্রম এবং বাল্য বিবাহ কি।শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুডনেইবারর্স এর কার্যক্রম।শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে উন্মূক্ত আলোচনা এবং কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে ১২০ জন শিশু অংশগ্রহন করে।




মেহেরপুর ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী মেলা সমাপ্ত

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পুরুস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার পুরস্কার বিতরণ।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনি ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, লিংকন বিশ্বাস, লিউজা-উল জান্নাহ, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক,কেএম জাহিদ হোসেন, টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ডিজিটাল মেলায় রায় পূর্ণমূল্যায়নের দাবীতে জেলাকে প্রশাসকের কাছে আবেদন

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পূণমূর্ল্যায়নের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর তিন ছাত্র আবেদন করেছেন।

রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালের দিকে সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণের পরপরই তারা আবেদন করেন। আবেদনকারীরা হলেন মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র সাইনুর রহমান, গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সানিম এহসান ও আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র মোহাম্মদ জিহাদ হাসান।

তারা অভিযোগ করেন, আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানগুলো বৈজ্ঞানিক রুপ দিয়ে প্রজেক্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন মেলায় প্রদর্শন করেছি। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুল সমস্যাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি, সড়ক দুর্ঘটনা, জানজট ও বৈদ্যতিক দুর্ঘটনা চিহৃিত করেছেন। প্রধান মন্ত্রীর সেই চ্যালেঞ্জগুলোর বৈজ্ঞানিক সমাধান বের করে আমাদের মত প্রদর্শন করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয় বিচারকদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা বিচার প্রক্রিয়ায় হতাশ হয়েছি। এটা যেহেতু ডিজিটাল উদ্ভাবনি মেলা। এটাকে ডিজিটাল সেবার সাথে কিভাবে মেলানো হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল উদ্ভাবনকে সেবার সাথে মিলিয়ে বিচার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিরোধীতা করে তারা আবারো পুন:মূল্যায়নের দাবী জানান তারা।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় বিচারকদের রায়ে মেহেরপুর টিটিসি প্রথম, বাংলাদেশ পুলিশ দ্বিতীয় এবং মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।




আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হামিদুল আজমের ৬৭ তম জন্মবাষিকী পালন

আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কবি,সাহিত্যিক,নাট্যব্যাক্তিত্য হামিদুল ইসলাম আজমের ৬৭ তম জন্মবার্ষিকি পালিত হয়েছে।

দুপুর ২ টার দিকে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জন্মদিন পালন অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পপরিষদের সাধারন সম্পাদক আ,ফ,ম সিরাজ সামজী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আব্দুল কাদের। তিনি বলেন হামিদুল ইসলাম আজম একজন বহুমুখি প্রতিভার নাম,সেএকাধারে,নাট্যাভিনেতা,নাট্যকার,কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,প্রাবন্ধিক, ফুটবলার,বাচিক শিল্পি, সংগঠক,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সহ বহুমুখি প্রতিভার অধিকারি।আমি দীর্ঘদিন থেকে তাকে দেখছি,সাংবাদিক হিসেবে।

সাহিত্য পরিষদ গঠন করার বেশ কিছুদিন পর আজম সাহেব আমাদের সাথে যোগ দেয়,আজ বলতে দ্বিধা নেই হামিদুল আজম সাহিত্য পরিষদে যোগ দেবার পর সাহিত্য পরিষদ গতিশীল হয়েছে।আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ওমর আলী মাষ্টার,আলমডাঙ্গা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডাঃ অমল কুমার। ,আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরি উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাথাভাঙ্গা ব্যুরোপ্রধান রহমান মুকুল,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পশ্চিমাঞ্চলের ব্যুরো প্রধান প্রশান্ত বিশ্বাস,সিনিয়র সাংবাদিক আকাশ খবরের ব্যুরো প্রধান ফিরোজ ইফতেখার,গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি কবি জামিরুল ইসলাম খান, সাধারন সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার,কবি ও প্রকাশসক কিশোর কারুনিক,ব্যাংক এশিয়ার শাহাবুল ইসলাম,সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম,সাংবাদিক তানভীর আহম্মেদ সোহেল,বৈশাখি টিভির ক্যামেরাম্যান সাহরিয়ার মানিক,কবি হাসিনা হারভীয়া প্রমুখ।

কবি হামিদুল ইসলাম আজম তার অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে জানান,আমি ছোট বয়স থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ি।বিশেষ করে নাটকের প্রতি আমার বরাবরই ঝোক ছিল।নাটক লেখা,মঞ্চ করা,রেডিও নাটক করা,টেলিভিশনে নাটক করার শখ ছিল,সবই একে একে করেছি,কিন্ত বয়সটা ততোদিনে অনেকদুর গড়িয়ে গেছে,ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে চাকরি করেছি,মাত্র ১৪বছর ৭মাস বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে চলে গেছি।আজ বয়স বেড়েছে,কিন্ত মনের জোরে এখনও সব কাজ করে বেড়াচ্ছি।আরো বক্তব্য রাখেন হাটবোয়ালিয়া কলেজের সহকারি অধ্যাপক কবি আসিফ রহিম জোয়ার্দার,কবি মহসিন আলী চান্দ, কবি অহর আলী,প্রমুখ।

সভায় কেক কেটে শুভ জন্মদিন পালন করা হয়,পরে মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।




দু’দেশের নো ম্যান্স ল্যাল্ডে মৃত মায়ের মুখ দেখলেন মেয়ে

মায়ের বাড়ি ভারতে হলেও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশে। বিয়ের পর কয়েক বার দেখা হয়েছে মা ও মেয়ের মধ্যে। সেই কবে থেকে মায়ের মুখটা দেখার জন্য, তার মুখের কথা শোনার জন্য, একটু হাতের পরশ পাওয়ার জন্য বারবার মনটা কাঁদতো মেয়ে আমিরা খাতুনের। কিন্তু দেখা হয়নি দীর্ঘদিন। কাটা তারের বেড়া যেনো তাদের সেই ভালবাসায় বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু সেই বাঁধা দুর হলো মায়ের মৃত্যুর পর।

মৃত মায়ের মুখটা এক নজর দেখার আবেদন করেছিলেন মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের উজ্জল শেখের স্ত্রী মোছাঃ আমিরা খাতুন (৪০)।

তার এই মানবিক আবেদনে সাড়া দেন উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ভারতীয় ভূখন্ডে মুত্যুবরণকারী মা ওয়াছন বিবি (৯০) এর লাশ শেষ দর্শনের জন্য মানবিক উদ্যোগ নেয় বিজিবি-বিএসএফ।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ মুজিবনগরের আনন্দবাস বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ১০১ এর নিকট ভারতের অভ্যন্তরে তার মা ভারতীয় নাগরিক ওয়াছন বিবি (৯০) এর মরদেহ দেখার সুযোগ করে দেন। এসময় মৃতের নিকট আত্মীয় স্বজনরাও উপস্থিতি ছিলেন।

আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক শাহ মোঃ ইশতিয়াক, পিএসসি প্রেসনোটের মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবির পাঠানো প্রেস নোটে জানা গেছে, ভারতের নদীয় জেলার চাপড়া থানার ভাতগাছি গ্রামের ওয়াছন বিবি (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। ভারতীয় ভূখন্ডে মুত্যুবরণকারী মাকে শেষ দেখার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ এর সমন্বয়ে মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, উভয় দেশের সীমান্তে শান্তি, সস্প্রীতি এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সু-সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ এর মানবিক কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উভয় দেশের সীমান্তে বসবাসরত সীমান্তবর্তী জনগণের মধ্যে সুম্পর্ক উন্নয়ন সাধিত হবে এবং ভবিষ্যতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও উভয় সীমান্তে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।




গাংনী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের ৫ বছর জেল

মারামারি মামলায় গাংনী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জান মহাম্মদ ওরফে মিন্টুকে (৩৫) ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

দন্ডিত জান মহাম্মদ ওরফে মিন্টু গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ গ্রুপ) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের ঈদগাহ কমিটি গঠণ নিয়ে ২০১৪ সালে চেংগাড়া বাজারের উপর প্রতিপক্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারীর লোকজনের সাথে সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় আব্দুল বারী বাদী হয়ে জান মহাম্মদ ওরফে মিন্টুকে প্রধান করে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭২/১৪ ইং।

মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার ৫ জন আসামি জামিনে মুক্ত হলেও মিন্টুসহ তিনজন আসামি জামিন নেননি। পলাতক থাকায় আদালতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।

মামলায় ৩২৬ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামি মিন্টুকে ৫ বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন ও রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাথি বোস মিরা।

উল্লেখ্য, জান মহাম্মদ ওরফে মিন্টুর বিরুদ্ধে গাংনী থানায় অপহরণ, চুরি, ডাকাতিসহ হাফ ডজন মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।