মেহেরপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, র‍্যালী, সহায়ক উপকরন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনাতনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন।

এছাড়াও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক বক্তব্য রাখেন।

আলোচনার পরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে ৫০ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র, সহায়ক উপকরন ও সমাজসেবা দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট,পুরস্কার,সুবর্ণ কাট ও মোটরসাইকেল প্রদান করা হয়।

আলোচনার আগে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে একটি র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শেষ হয়।




মেহেরপুরে এফএম ‘রেডিও পায়রা’র যাত্রা শুরু

‘চলো একসাথে’ শ্লোগানে আনিশা গ্রুপের নতুন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান রেডিও পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আনিশা গ্রুপের সফল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রিয় পত্রিকা মেহেরপুর প্রতিদিনের কার্যালয়ে রেডিও পায়রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আনিশা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমন কেক কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফররুখ আহমেদ উজ্জল, সাংস্কৃতিক কর্মী শামিম জাহাঙ্গীর সেন্টু, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রেডিও পায়রার যাত্রা শুরুর মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরের উন্নয়নের একটি মাইল ফলক উন্মোচিত হলো।রেডিওটি মেহেরপুরের কৃষি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষাসহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্রোতাদের মাঝে নিয়মিত বার্তা পৌছে দেবে।
রেডিও পায়রা শুনতে এ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে রেডিও পায়রা অ্যাপটি ডাউনলোড করেই উপভোগ করতে পারবেন নানা অনুষ্ঠানমালা।

প্রসঙ্গত, আনিশা গ্রুপের ইতিমধ্যে তিনটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি দিয়ে চারটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হলো। বাকি তিনটি হলো দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, সাপ্তাহিক ঢাকা থেকে এবং রাজধানী টিভি।




মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

১লা জানুয়ারি জাতীয় পার্টি ৩৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রবিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি প্রধান কার্যালয় কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব মোঃ সুমন পারভেজের সভাপতিত্বে পৌর জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলামের সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক আব্দুল হাদী।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সেলিম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি খেলাফত আলী, মুজিবনগর উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফারুক মল্লিক, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার মিঠু, গাংনী পৌর জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আনছারুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা জাতীয় সংস্কৃতি পার্টি আহ্বায়ক ইনছান আলী, শ্যামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাহিন আলী সহ বিভিন্ন নেতাকর্মে উপস্থিত ছিল। এরপর কেক কেটে মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।




গাংনীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

তীব্র শীত নিবারনে আগুন পোহানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে জামেলা বেগম (৭০ ) নামের এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (১জানুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে মেহেরপুর গাংনীর চেংগাড়া গ্রামে। বৃদ্ধা জামেলা বেগম উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বনর উদ্দিনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান,সকালে ঘুম থেকে জেগে বৃদ্ধা জামেলা খাতুনের বাড়ির উঠানে খড়কুটো দিয়ে আগুন তৈরী করে আগুন পোহানোর সময় বৃদ্ধা জামিলা বেগমের পরনের কাপড়ের আঁচলে আগুন লাগে। এসময় বৃদ্ধার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ জামিলা বেগমের মৃত্যু হয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বৃদ্ধার মৃত্যুর বিসয়টি নিশ্চিত করে জানান, জামেলা বেগম নামের এক বৃদ্ধা আগুন পোহানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেছি। মৃত জামিলা বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে এসেছে। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সভাপতির মতবিনিময়

গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি (নিয়মিত) ও সদস্যদের সাথে কলেজের শিক্ষক,কর্মচারীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে কলেজের মিলানায়তন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুস শুকুর ইমন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকলের সাথে মতবিনিময় করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে নিয়মিত কমিটির অন্যন্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যা উৎসাহী সদস্য মোঃ নকিম উদ্দীন,শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ সামসুল কামাল,শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী,সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুর রহমান,প্রদর্শক আছমা আক্তারসহ কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

দুই বছর মেয়াদী নিয়মিত কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আব্দুস শুকুর ইমনকে কলেজের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শিক্ষক কর্মচারী ও অন্যান্য সদস্যরা।

জানাগেছে, আব্দুস শুকুর ইমন পরপর দু’বার কলেজের পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারও তিনি প্রথম বারের মত নিয়মিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুস শুকুর ইমনকে কলেজের সভাপতি হিসেবে পাওয়ায় উপস্থিত সকলেই গর্ববোধ করে বলেন, আমাদের গাংনী উপজেলায় একটি মাত্র মহিলা ডিগ্রী কলেজ। যেখানে উপজেলার সব শ্রেনীর মানুষের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়ে করে। আমাদের এই কলেজটিকে আরো উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজ হবে একটি আদর্শ ও মডেল কলেজ। তার সকল ব্যবস্থা ও দিক নির্দেশনা দেবেন কলেজের সভাপতি। সেই সাথে কলেজটিকে সরকারি করনের দাবী জানান তারা।

গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের নিয়মিত কমিটির সভাপতি আব্দুস সুকুর ইমন বলেন, একটি জাতীকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখায় শিক্ষা। শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। বর্তমান সরকার শিক্ষা বন্ধব সরকার। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই দেশের সকল শিক্ষা পতিষ্ঠানের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানকে সরকারি করণ করে নজির স্থাপন করেছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজটি একটি মডেল কলেজ সিহেবে তৈরী করতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের সহযোগীতা থাকলে শুধু গাংনী নয়,মেহেরপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি,আমি উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,গাংনী মহিলা কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ও উন্নয়ন সেভাবেই এগিয়ে যাবে। সব শেষে উপস্থিতিদের সাথে পরিচয় পর্ব ও ইংরেজি নববর্ষের শুভ্চ্ছো বিনিময় করেন আব্দুস শুকুর ইমন।




গাংনী প্রকৌশলীর ঘুষ আদায়কারী শহিদুল

গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৗশলী ফয়সাল আহমেদের সাথে থাকা শহিদুল ইসলামকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের নামে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আবার কোন কোন ঠিকাদারকে ত্রুটিপুর্ণ কাজের অজুহাত সেই সাথে সঠিক সময়ে বিল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে শহিদুল ইসলাম উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রকৌশলীর আস্থাভাজন শহিদুল ইসলামের সাথে বাক বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। শহিদুল ইসলাম প্রকল্পের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে সরকারি কর্মচারি দাবী করে মামলা করায় আলোচিত হয়েছেন সর্বমহলে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।

সুত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম এলজিইডি অফিসের শিক্ষা প্রকল্প গভমেন্ট প্রাইমারি স্কুল (জিপিএস) জুনিয়র সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার পদে ও পিইডিপি-৪ এর (অস্থায়ী ভিত্তিতে) চাকরিরত ছিলেন। তার বাড়ি গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে। তার চাকরীর মেয়াদ শেষ হবার পরও তিনি নিয়মিত অফিসে আসেন ও প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের সাথে বিভিন্ন প্রকল্পের তদারকি করেন। সেই সাথে নানা অজুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সাপ্লাইয়ারের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন। এর যথার্থ প্রমানও মিলেছে। সম্প্রতি গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন ভ’মি অফিসের ভবন নির্মাণকারি মেসার্স মিঠু এন্টার প্রাইজের সত্বাধীকারি দোলোয়ার হোসেন মিঠুর কাছ থেকে বিল পাশ করিয়ে দেয়ার কথা কয়েক দফায় ঘুষ গ্রহন করেছেন। কখনো হাতে হাতে আবার কখনো অন্য মাধ্যমে এ টাকা পরিশোধ করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত অর্থ দাবী করেন প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ এবং ওই অর্থ শহিদুল ইসলামের নিকট প্রদান করতে বলেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু ও শহিদুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডা ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন মিঠু তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ ও তার সাথে থাকা শহিদুল ইসলামের ঘুষ ও উৎকোচ বানিজ্যের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এদিকে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ফয়সাল আহমেদের পক্ষ হয়ে শহিদুল ইসলাম নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে গাংনী থানায় দেলোয়ার হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বর্তমানে মিঠু ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলীর পক্ষ নিয়ে গাংনীর ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠুর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে উপজেলা প্রেকৌশলী ফয়সাল আহমেদকে একজন সৎ কর্মকর্তা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও প্রকৌশলীর আঙ্গুলী নির্দেশে অ্যাসোসিয়েসনের সদস্য হওয়ার পরও ঠিকাদাররা দেলোয়ার হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার জানান, শহিদুল ইসলাম প্রকৌশলীর নামে দ্বৈত নিতিতে ঘুষ গ্রহন করেন। ঠিকাদারের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়া ছাড়াও কাজ সমাপ্ত হবার পর টাকা না দিলে ওই নির্মান কাজ বুঝে নেয়া হয়না। তাছাড়াও ঠিকাদারের কাছে মালামাল সরবাহকারিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে থাকেন এই শহিদুল ইসলাম। টাকা না দিলে মালামালের বিভিন্ন ত্রুটি ধরে মালামাল বাতিল করেন। বড় লোকসানের ভয়ে মালামাল সরবরাহকারিরা বাধ্য হয়ে টাকা প্রদান করেন। কয়েকজন মালামাল সরবরাহকারী এমনি তথ্য জানিয়েছেন। শহিদুল ইসলাম গাংনীর মানুষ হওয়ায় এ অফিসের সব অফিসারের কাছে জনপ্রিয় ও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। যে কারনে তিনি চলেন বহাল তবিয়তে।

শহিদুল ইসলাম উপজেলা প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ায় বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন । বিভিন্ন ঠিকাদারকে বিল পাইয়ে দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন কাজের অসংগতি উল্লেখ করে প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করার কথা বলে টাকা গ্রহন করেন। অপর একটি সুত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম নিজেকে ঠিকাদারদের কাছে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর কাছের মানুষ বলে পরিচয় দেন। ঠিাকাদারী কাজে পান থেকে চুন খসলেই তা প্রকৌশলীকে জানানো হবে বলে হুমকী দিয়ে টাকা নিয়ে নিজ পকেট ভর্তি করেন। তা নাহলে চাকরি ছাড়াই একজন মানুষ কিভাবে সেবা প্রদান করেন এ প্রশ্ন এখন সকলের।

ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু জানান, গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাপ আলী শেখ বদলি হলে বর্তমান প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। মটমুড়া ভুমি অফিসের ভবন নির্মাণের কাজটি পান। প্রায় ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নিয়মানুযায়ি ভবন নির্মাণ করেন। ১০ অক্টোব ২০২১ ইং তারিখে শেষ হয় ভবন নির্মান। প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ যোগদানের পর তাকে ৩%, সহকারী আলাউদ্দিনকে ২%, ও সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জামানকে ১% টাকা দিতে হয়েছে। ৮ মাস আগে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেও তা বুঝে না নিয়ে দফায় দফায় টাকা আদায়ের কৌশল আটেন শহিদুল ইসলাম।

গত ১১ ডিসেম্বর সকালে শহিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট বাজারে নবনির্মিত ভূমি অফিসের ভবন পরিদর্শনে যান। এ সময় ঠিকাদার মিঠু উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমদকে ভবন হস্তান্তর নিতে অনুরোধ করেন। শহিদুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা উপজেলা প্রকৌশলীকে দেয়ার পরামর্শ দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে শহিদুল ইসলামের সাথে হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে। এতে রাগান্বিত প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বিল পরিশোধ করা হবে না বলেও জানান।

মামলার এজাহারে নিজেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরকারী কর্মকর্তা দাবি করেছেন কেন? তাছাড়া প্রকল্প সংশ্লিষ্ট না হয়েও ভূমি অফিস নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে কেন গিয়েছিলেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি এলজিইডি উপজেলা প্রকৗশলী স্যারকে আমাকে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের কাছে শহিদুল ইসলাম সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন তিনি সরকারি প্রকল্পে কাজ করেন তাই তাকে সরকারী কর্মকর্তা বলা যায়। তবে শহিদুল ইসলামকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ অন্য কারোর কথায় কান না দিতে অনুরোধ জানান।




মেহেরপুরে জাতীয় পার্টির ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে জাতীয় পার্টির ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২ টার সময় হোটেল ফিন ফুড কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্টিকতা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আব্দুল হামিদ, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন আব্দুল মান্নান সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য বাবলু হোসেন, কুতুব উদ্দিন, রুহুল আমিন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক কেতাব আলী । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য মামলত হোসেন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির গাংনী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জান মোহাম্মদ মিন্টু প্রমুখ।




মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই

মেহেরপুরের তিনটি উপজেলা একযোগে শুরু হয়েছে বই উৎসব। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। তবে সরবরাহ না থাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

রবিবার সকালে রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা ব্যাপী বই উৎসবের উদ্বোধন করেন।

মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাধ্যমিক পর্যায়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) লিউজা উল জান্নাহ।

এদিকে রোববার সকালে গাংনীর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বই উৎসবের উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক। গাংনী উপজেলায় ১৬২ প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি মাদ্রাসা ও ৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ফিরেছেন খালি হাতে। অপর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পুর্ণসেট না থাকায় মাত্র তিনটি করে বই দেয়া হয়।

একই ভাবে মুজিবনগর উপজেলাতেও বই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন জানান, পুস্তক প্রকাশনী থেকে বই সরবরাহ না করায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই বিতরন করা সম্ভব হয়নি। অন্য শ্রেণির পাঠ্য বই কিছুটা সংকট রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে বই সরবরাহ করা হলে শিক্ষার্থীরা বই পাবে। দেরীতে বই বিতরণ হলেও পাঠ দানের ক্ষেত্রে কোন সমস্য হবে না বলেও জানান ইে শিক্ষা কর্মকর্তা।




মেহেরপুরে কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে বই বিতরণ অনুষ্ঠান

সারাদেশের ন্যায় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে ও বছরের প্রথম দিনেই ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১ জানুয়ারি) সারা বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানে বছরের প্রথম দিনেই ছাত্র ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার যে অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছিলেন তার শতভাগ বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী দের বই তুলে দিয়েছেন।

দুপুর ১২ টার সময় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার নতুন বই তুলে দিয়েছেন শিক্ষক মন্ডলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজর গভর্নিং বডির সভাপতি মিজানুর রহমান রানা। উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সদস্য ও ২ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউ পি সদস্য জিনারুল ইসলাম। গভর্নিং বডির সদস্য চুন্নু মিয়া

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক রেজাউর রহমান (সভাপতি) কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগ। সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, আক্তারুজ্জামান লাভলু সহ সকল সহকারী শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ।

এ সময় গভর্নিং বডির সভাপতি ও কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান জানান বছরের প্রথম দিনেই সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই হাতে তুলে দিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নজির বিহীন ইতিহাস গড়ে আসছেন। উপকৃত হচ্ছে অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তাই আমি সকল শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ জানাবো সকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবে এবং আমরা সকলে তিনার দীর্ঘায়ু কামনা করবো। সকলে মন দিয়ে লেখা পড়া করবে কাল থেকে নিয়মিত ক্লাস করবে।

শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল অসহায় পরিবারের মেধাবী ছাত্র তিনি বলেন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে আমাদের পড়াশোনার গতি বৃদ্ধি পাই। পরিবারকে বই কেনার জন্য বলতে হয় না।তাই আমরা বছরের শুরুতেই লেখা পড়ায় মনযোগ দিতে পারি ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে।




পরীমনির বিচ্ছেদ নিয়ে যা বলছেন অভিনেত্রীরা

হঠাৎ করেই শুক্রবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরীমনি লেখেন— ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’

গভীর রাতে পোস্ট করা হলেও এ ঘটনা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঘটনা কতটা সত্য।

তবে পরে অবশ্য পরীমনি জানান, তিনি সংসার করছেন না। তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে।

তবে এই দুঃসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা এবং সাহস জুগিয়েছেন তরুণ অভিনেত্রীরা।

অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা ফারজানা বীথি লিখেছেন, ‘শান্ত থাকো।’

চিত্রনায়িকা নিশাত সালওয়ার লিখেছেন, ‘মানসিক শান্তির চেয়ে বড় কিছু নেই।’

পরীমনির এমন স্ট্যাটাসের অর্থ কী— সেটি বুঝে উঠতে পারেননি অন্তরাখ্যাত অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। তিনি লিখেছেন, ‘এর মানে কী?’

অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা মিশু চৌধুরী লিখেছেন, ‘পরী সুস্থ থাকুন, সুস্থ হয়ে বাঁচুন। জীবন অনেক সুন্দর।’

চিত্রনায়িকা সুবহা হুমায়রা পরীর উদ্দেশে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, ‘জীবনটা তোমার, জীবনের সমস্যাগুলোও, তোমার জীবনের অর্জনও তোমার। জীবনের যা সমস্যা হবে, সেটিও তোমার নিজেকেই সমাধান করতে হবে। কে কী বলল, তাতে কোনো কিছু তোমার আসেনি বা আসার কথাও না। তোমার জীবনে তোমার বাচ্চাটা আর তোমার নিজের নানা ছাড়া আপনজন কেউ-ই না, এখন মনে রেখো। মানুষ শুধু দূর থেকে তোমার সমস্যা দেখে মজা নিতে পারবে আর সমালোচনা করতে পারবে। তোমার জীবনের জন্য আর তোমার বাচ্চার ভালোর জন্য যা ভালো মনে হয়, তা–ই করো। দিনশেষে ভালো থাকা খুবই জরুরি।’

অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী লিখেছেন, ‘মাথা ঠান্ডা রাখো, বোন। আরেকটু ভেবে দেখার সুযোগ থাকলে একটু ভাবো, তোমার ছেলে রাজ্যর জন্য হলেও।’

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। গত চার মাস আগে তাদের ঘর আলকরে আসে ছেলেসন্তান রাজ্য।

সুত্র:যুগান্তর