পদত্যাগ করল আউয়াল কমিশন

পদত্যাগ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল কমিশন পদত্যাগ করেন।

কমিশনের অন্য চার সদস্য হলেন-অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৩ তম সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এছাড়া এই কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন ও উপ নির্বাচন হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্তে অবৈধ রুপার গয়না উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সীপুর গ্রামে চোরাচালান বিরােধী অভিযান চালিয়ে ১০ কজি ওজনের অবৈধ রপার গয়না উদ্ধার করেছে ৬ বিজিবি।

গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। তারই নির্দেশনায় মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার তাপস কুমার ঘোষসহ একদল বিজিবি সদস্য সীমান্তের খুঁটির ৯২/১০-আর হতে আনুমানিক ২শ গজ বাংলাদেশের অভ্যান্তরে মুন্সীপুর সরদার পাড়ার কিতাব মল্লিকের ছেলে কিতার মল্লিকের (৬০) বসত বাড়ীত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় কিতাব মল্লিক বিজিবির উপস্থতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা বসত বাড়ী তল্লাশী করে ব্যবহৃত টিউবওয়লের ড্রেনের ভেতর থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৮টি প্যাকেটে উদ্ধার করে। ওই প্যাকেট গুলাে জনসম্মুখে খুলে সেখানে থাকা অবৈধ রুপার গয়না উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপার নায়েব সুবেদার তাপস কুমার ঘাষ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেছেন। উদ্ধার করা অবৈধ রুপা গুলো পরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা ট্রজারী অফিসে জমা করা হবে বলে তিনি জানান।




সিনেমার প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ নিভিন পৌলির বিরুদ্ধে

আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে মুখর গোটা ভারত। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আর জি কর কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়। যেগুলো বেশ নাড়া দিয়েছে গোটা ভারতের বিনোদনপ্রেমীদের। রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে গোটা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি।

এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার মালয়ালম সিনেমার জনপ্রিয় তারকা নিভিন পৌলির বিরুদ্ধে এক নারীর অভিযোগ, বড়পর্দায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর দুবাইয়ের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছেন নিভিন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সেই নারীর আরও অভিযোগ, শুধু একা নিভিন পৌলি নয়, যৌন হেনস্থা চালিয়েছিলেন এক চলচ্চিত্র প্রযোজক ও আরও চার ব্যক্তি। তবে নিভিন তার বিরুদ্ধে ওঠা এই ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

নিভিন বলেছেন, তিনি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। জানা গেছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী এরনাকুলাম জেলার।

পুরো বিষয়টি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেছেন নিভিন পৌলি। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি লিখেছেন, ‘জানতে পারলাম, এক নারীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে আমার বিরুদ্ধে। দয়া করে জেনে রাখুন ওই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এতটুকুও সত্যতা নেই সেই অভিযোগে। এই অভিযোগ যে ভুয়ো তা প্রমাণ করার জন্য যেখানে যেতে হয় যাব, যা করতে হয় করব। এর শেষ দেখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব এবার। এখনের পর থেকে এই বিষয়ে বাকিটা আইন অনুযায়ী এগোনো হবে’।

২০১০ সালে ‘মালারভাদি আর্ট ক্লাব’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিভিন মালায়লাম চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। পরে তিনি ‘তাত্তাথিন মারায়াথু’, ‘কায়ামকুলাম কছুন্নি’, ‘ব্যাঙ্গোলোর ডেজ’ ও ‘প্রেমাম’-এর মতো সিনেমার জন্য জনপ্রিয় হয়েছেন মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদা লোকনাথপুর বিএনপি’র শান্তি শৃংখলা ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠান

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুরে বিএনপি’র শান্তি শৃংখলা ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৫ টার সময় হাউলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

হাউলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ রোকনুজ্জামান বাবু’র সভাপতিত্বে শান্তি শৃংখলা ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসার আবুল হাসেম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ জাকির হোসেন, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মালেক রুস্তম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সলেমান মল্লিক, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান। হাউলী ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমিদুল বিশ্বাস, সহসভাপতি মোঃ মহাসিন আলী, যুগ্ম সম্পাদক মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল।

দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ূন কবির ডাবলু, মমিনুল ইসলাম মমিন, মানিক, সুমন। হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, লাজিব সিদ্দিকী। হাউলী ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি ফারুক হোসাইন বাবু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মল্লিক সহ হাউলী ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ, যুবদল ও ছাত্র দলের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাউলী ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শমসের আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ রশীদুল হক।




মেহেরপুরে শতভাগ বে-সামরিক অস্ত্র জমা

মেহেরপুরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ৯৩টির মধ্যে ৭৩টি জমা পড়েছে। বাকি ২০ টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামরিক ব্যক্তিদের। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত এসকল অস্ত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে সদর থানায় ৩৯টি, গাংনী থানায় ২৯টি এবং মুজিবনগর থানায় ৫টি অস্ত্র জমা পড়েছে।

মেহেরপুর জেলায় বর্তমানে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে মোট ৩০২ টি। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নতুন করে বৈধ অস্ত্রধারী হয়েছেন ১১৪ জন। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা পালন না করেই রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে লাইসেন্সগুলো। জানা গেছে নতুন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা, বিভিন্ন সময়ে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বাদ যাননি বিএনপির নেতা ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর মেহেরপুর বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ৩০২ টি। গত ১৫ বছরে লাইসেন্স পেয়েছেন ১১৪টি। এর মধ্যে এক নলা বন্দুক ১৪ টি, দুই নলা বন্দুক ২৭ টি, শর্টগান ২৬ টি, এনপিবি পিস্তল ১৫, পিস্তল ৩টি, ১২ বোর রাইফেল ১ টি ও ২২ বোর রাইফেল ২ টিসহ আরো কয়েক প্রকৃতির আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও কয়েকজন লাইসেন্স নিলেও অস্ত্র কিনেননি বলে জানা গেছে।

২০০৯ সাল থেকে মেহেরপুর জেলায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার স্টেডিয়াম পাড়ার মেজর মোঃ আসাদুজ্জামান একটি এনপিবি পিস্তল , চাদপুর গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, তেরঘরিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল আউয়াল ভদ্র একটি ২ নলা বন্দুক, নৌবাহিনীতে কর্মরত কাঁসারী পাড়ার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী একটি ১২ বোরের বন্দুক, সদ্য সাবেক কাথুলি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা একটি ২ নলা বন্দুক ও একটি শটগান, রাজাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভীর আহমেদ খান রানা একটি এনপিবি পিস্তল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গ্রামের গনি উল আজম একটি পিস্তল, মেহেরপুরের সদ্য সাবেক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন একটি শর্টগান ও একটি এনপিবি পিস্তল , ঝাউবাড়িয়া গ্রামের বায়েজিদ বিশ্বাস একটি ২ নলা বন্দুক, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একটি শর্টগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, গোপালপুর গ্রামের সামসুজ্জোহা ওরফে মোস্তফা কামাল একটি ২ নলা বন্দুক, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুস শুকুর ইমন একটি শটগান, পিরোজপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব একটি শটগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, ইসলামী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক অনুকূলে একটি শটগান, রাইপুরের আবু হেনা মো: মামুনুর রশিদ একটি ২ নলা বন্দুক, সুবিদপুর গ্রামের শাহানা খানম একটি ১ নলা বন্দুক , পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস একটি পিস্তল, খোকসা গ্রামের মোঃ মোস্তাক আহমেদ একটি শটগান , ফতেপুর গ্রামের মো: ফজলুল হক একটি ১ নলা বন্দুক, আশরাফপুর গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলাম ফিরোজ একটি ১ নলা বন্দুক, ফতেপুর গ্রামের মোঃ কবির উদ্দিন একটি শটগান , কালীগাংনী গ্রামের মাহিরুল ইসলাম একটি ১ নলা বন্দুক, আমঝুপি গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমান মুকুল একটি এনপিবি পিস্তল, পূবালী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপকের একটি শটগান, আমদহ গ্রামের মোঃ বকুল হোসেন একটি শটগান , মেহেরপুর পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো: সাবেদুদ্দোজা মতি একটি ১ নলা বন্দুক , শুভরাজপুর গ্রামের মো:মন্জুর রহমান বিশ্বাস একটি ১ নলা বন্দুক, উজলপুর গ্রামের বাবুল হাচান একটি শট গান, কুতুবপুর গ্রামের মোঃ ফয়সাল হোসেন একটি শট গান, কালাচাঁদপুর গ্রামের রঞ্জু আহমেদ একটি শটগান, ফতেপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমান একটি শট গান, সুবিদপুর গ্রামের মোঃ মাহফিজুর রহমান একটি অত্যাধুনিক ২২ বোরের রাইফেল, উজলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা একটি শটগান, নতুন পোস্ট অফিস পাড়ার মো: শাহাজাহান কবির একটি শর্ট গান, উজলপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান একটি শটগান, শোলমারী গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম রেজা (সদ্য সাবেক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান) একটি শটগান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস একটি ২ নলা বন্দুক , টুঙ্গী গ্রামের মো: জাহিদুল হক একটি ২ নলা বন্দুকের লাইসেন্স সহ মালিক বনেছেন। সদ্যসাবেক মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা: আব্দুস সালাম একটি পিস্তলের লাইসেন্স পেলেও তিনি অস্ত্র কেনেননি।

গাংনী উপজেলার, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মমতাজ বেগম একটি ১ নলা বন্দুক, গাংনি পৌর শহরের আনারুল ইসলাম একটি শটগান, শিশির পাড়ার মোঃ মনিরুজ্জামান একটি ১ নলা বন্দুক , মানিকদিয়া গ্রামের মোঃ একরামুল হক একটি ১ নলা বন্দুক, বামুন্দির তরিকুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, করমদি গ্রামের আবু সাঈদ মো: দেলোয়ার হোসেন একটি ১ নলা বন্দুক, বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত সেনা কর্মকর্তা ষোলটাকা গ্রামের ক্যাপ্টেন মোঃ জয়নুল আবেদীন একটি ২ নলা বন্দুক, রাধাগোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ সোহরাব হোসেন একটি ২ নলা বন্দুক, বাদিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ সেলিম মাহমুদ একটি ২বনলা বন্দুক, রামদেবপুর গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান একটি ২ নলা বন্দুক, নওয়াপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম মুকুল ২ নলা বন্দুক, নওদাপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল মতিন একটি ২ নলা বন্দুক, তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, বিজিবিতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত নিশিপুর গ্রামের মোঃ আখতারুজ্জামান একটি শটগান, কামারখালী গ্রামের মোঃ রোকনুজ্জামান একটি ১ নলা বন্দুক, কাস্টদহ গ্রামের মোঃ জহুরুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, হেমায়েতপুরের মোঃ নবিছদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, গাংনী উত্তর পাড়ার মো: আশরাফুল ইসলাম একটি শটগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, নিশিপুর গ্রামের মোছাঃ জেনিস ফারজানা তানিয়া একটি ১ নলা বন্দুক, সাহারবাটী গ্রামের মোঃ খালেদুজ্জামান একটি ২ নালা বন্দুক, চ্যাংগাড়া গ্রামের মোঃ বাহাউদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, ছাতিয়ান গ্রামের মো: আমিরুল ইসলাম একটি শটগান, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মো: মনজুরুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুর ২ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের একটি শর্টগান ও একটি পিস্তল, হেমায়েতপুর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান একটি ১ নলা বন্দুক, চৌগাছার মোঃ আখতারুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুক, গাংনী ভিটা পাড়ার মোহাঃ রাশেদুল ইসলাম একটি ১ নলা বন্দুক, করমদি গ্রামের মো: মোশারফ হোসেন একটি শটগান, হিন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান একটি ২ নালা বন্দুক, ও বিএনপি নেতা মোঃ আমজাদ হোসেন একটি এনপিবি পিস্তলের লাইসেন্স সহ বৈধ অস্ত্রধারী হয়েছেন।

মুজিবনগর উপজেলার, নাজিরাকোনা গ্রামের এম.এম সালাউদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, কোমরপুর গ্রামের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুক , এনএসআই কর্মকর্তা শিবপুর গ্রামের জিএম আলীমুদ্দিন একটি পিস্তল। সোনাপুর গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমান একটি ২ নলা বন্দুক, সদ্য সাবেক মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু একটি পিস্তল, গৌরীনগর গ্রামের মোঃ রুমনুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুকের লাইসেন্স অস্ত্রধারী হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরাও মেহেরপুর জেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন এবং অস্ত্র কিনেছেন। মধ্যে রয়েছেন, ব্যবস্থাপক রূপালী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার অনুকূলে ১টি শর্টগান, নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী একটি ১২ বোর বন্দুক, বগুড়ার ১৯ মিডি রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন মোঃ জয়নাল আবেদীন একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুরের সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস একটি এনপিবি পিস্তল, সাবেক পুলিশ সুপার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন একটি শটগান, এনএসআই কর্মকর্তা জিএম আলীমুদ্দিন একটি পিস্তল, বিজিবি সদস্য সার্জেন্ট মোঃ আখতারুজ্জামান একটি শটগান, ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মেহেরপুরের অনুকূলে একটি শটগান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এনপিবি পিস্তল, ব্যবস্থাপক পূবালী ব্যাংক মেহেরপুরে অনুকূলে একটি শটগান, সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানাউল্লাহ একটি এনপিবি পিস্তল, মেহেরপুরের সাবেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিদুজ্জামান একটি এনপিবি পিস্তল, গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার একটি এনটিভি পিস্তল, ঢাকা সেনানিবাস এর সার্জেন্ট এবিএম আলাউদ্দিন একটি শটগান, স্থানীয় সরকার বিভাগ মেহেরপুরের সাবেক উপ-পরিচালক মৃধা মোঃ আলাউদ্দিন একটি ২২ বোর রাইফেল, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গাংনী শাখার ব্যবস্থাপক অনুকূলে একটি শটগান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ পারভেজ হক একটি শটগানের লাইসেন্স পেলেও তিনি অস্ত্র কিনেন নি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সমূহ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় লাইসেন্স গ্রহীতাকে নিজে বা মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লাইসেন্সধারীরা কেই নিজে কেই প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্ব স্ব থানায় জমা দেন।




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টায় ডুগডুগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, উপজেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ূন কবির ডাবলু, মমিনুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক শমসের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল জোয়ার্দার, হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক হোসাইন বাবু, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মল্লিকসহ হাউলী ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা বাংলাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের উদ্দেশ্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে উপস্থিত সকলে দুহাত তুলে দোয়া মোনাজাত করেন। দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।




মেহেরপুরে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে জেলা জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

মেহেরপুরে জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিএডিসির ডিডি সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীরসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জেলা আমীরের নেতৃত্বে জেলা নেতৃবৃন্দ এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে জেলা জামায়াতের আমীর  বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাধারণ জনগণের সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন কোন বিশেষ মহলের চাপ ছাড়ায় জনগনকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম , জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হোসাইন, জেলা সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি মোঃ জারজিস হোসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, জেলা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি আল-আমিন ইসলাম বকুল ও জেলা ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।




ঝিনাইদহে জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণার সময় আটক ৩

ঝিনাইদহে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের নুর আলম, মামুন হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইলে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে একটি চক্র প্রতারণা শুরু করে। স্বামী ও সন্তানের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। সর্বশেষ বুধবার ওই ভুক্তভোগীর কাছে স্বর্ণের গহনা চাইলে ওই নারী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। ওই নারীর স্বর্ণালংকার নিতে গাইবান্ধা থেকে ঝিনাইদহ এলে পুলিশ তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের নুর আলম, মামুন হোসেন ও সাইফুল ইসলামকে আটক করে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন প্রতারণা করে আসছিলো বলে জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।




মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক বাসচালককে মারধর করে অটোরিকশাচালকরা ।

বাসচালকরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের এক বাসচালককে মারধর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা সেই কারণে আজ বুধবার সকালে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয় সিএনজিচালকরা। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার মধ্যে খলিশাকুন্ডি পাড় হলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন সিএনজিচালকরা। নিরাপত্তা না থাকায় বাস চলাচল বন্ধ। রুট পারমিট ছাড়াই সিএনজিচালকরা সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ বাস চলাচল করতে পারছে না। সড়কে নিরাপত্তা পেলেই বাস চলাচল শুরু হবে।

এ দিকে ভোগান্তিতে পড়া সাধারণ মানুষরা বলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল না করাতে আমরা জরুরি কাজ ও চিকিৎসার জন্য অনেকেই কুষ্টিয়া পৌঁছাতে পারছি না। এ ছাড়াও মেহেরপুর থেকে গাংনী, বামুন্দীতে অটো করে যেতে সময় লাগছে বেশি কারণ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চলমান কাজ শেষ না হওয়াতে।




ঘর থেকেই হোক ‘গুড টাচ-ব্যাড টাচ’র শিক্ষা

শিশুদের আদর করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। একটি শিশুর জন্মের পর থেকে তার মা-বাবাসহ তার পরিমণ্ডলের সবাই স্নেহের স্পর্শে রাখে। তারা সবাই স্নেহের চাদরে শিশুটিকে আগলে আগলে বড় করে তুলতে চায়।

তবে একথাও সত্য যে স্পর্শ কখনো কখনো শুধুই স্পর্শ নয়। অনেক সময় সেই স্পর্শেও থাকে বিকৃতি কিংবা দুরভিসন্ধি। তাই তো শিশুদের ছোটবেলা থেকেই কোন স্পর্শ ভালো কোন স্পর্শ খারাপ (গুড টাচ-ব্যাড টাচ) তা বোঝা জরুরি।

হবু মায়ের পোশাকহবু মায়ের পোশাক
প্রতিটা কোমলমতি শিশুর অধিকার নিরাপদে হেসে-খেলে বেড়ে ওঠা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, যৌন নির্যাতন কিংবা যৌন হয়রানির মত ঘটনার শিকার অনেক শিশুর ক্ষেত্রে হয়। আর এটি যে কেবল কন্যা-শিশুর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, তা কিন্তু নয়। ছেলে শিশুটিও নিরাপদ নয় এমন বিকৃত অভিজ্ঞতা থেকে।

ভয় এবং শঙ্কার বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা এ ধরনের হয়রানির শিকার হন ‘কাছের মানুষ’ বা পরিচিত কারও দ্বারা। অথচ শিশুরা বিষয়টি বুঝতেও পারে না যে তাদের সঙ্গে কী ঘটছে। আর সে যখন বুঝতে শেখে তখন এ ধরনের ঘটনা তার উপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই শিশুকে অবশ্যই গুড টাচ ও ব্যাড টাচের পার্থক্য শেখাতে হবে। এ সম্পর্কে ধারণা থাকলেই শিশু নিজে থেকে সতর্ক হতে পারবে।

শিশুদের গুড টাচ ব্যাড টাচ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার নাসরিন জাহান।

তিনি বলেন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বর্তমান সমাজে যেন ব্যাধির আকার নিয়েছে। প্রায়ই শিরোনামে চলে আসে এ ধরনের ঘটনা। শুধুমাত্র কন্যা সন্তান নয়। পুত্রসন্তানও হতে পারে নির্যাতনের শিকার। অবশ্যই মানসিকতার বদল প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিশুকেও প্রথম থেকেই শিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। আর এই দায়িত্ব প্রাথমিক ভাবে মা হিসেবে আপনাকেই নিতে হবে। ছোট থেকেই গুড টাচ-ব্যাড টাচের পার্থক্য শিশুকে বুঝিয়ে দিন। শিক্ষাটা শুরু হোক বাড়ি থেকেই।

শিশুর আস্থা তৈরি করুন
সবার আগে শিশুর আস্থা অর্জন করুন। আপনি হয়ে উঠুন তার ভরসার জায়গা। যাতে সে যেকোনো ভালোলাগা বা মন্দলাগার কথা আপনার কাছে নির্ভয়ে বলতে পারে। শিশুকে বোঝান, তার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন। তাকে গুড টাচ বা ব্যাড টাচ বোঝানোর আগে তার আস্থা অর্জন করা জরুরি।

ব্যাড টাচ সহজভাবে বোঝান
শিশুরা সরল। তারা গম্ভীর আলোচনা বুঝতে পারে না। তাই শিশুকে ব্যাড টাচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে গম্ভীরভাবে আলোচনা করার দরকার নেই। তাহলে সে ভয় পেয়ে যেতে পারে। এটি নিয়ে আলাদা আলোচনায় বসারও দরকার নেই। প্রতিদিনের ছোট ছোট আলাপের মাঝেই বুঝিয়ে বলতে পারেন।

শরীরের সব অঙ্গ পরিচিত করুন
শিশুকে অবশ্যই তার প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। অভিভাবক হিসেবে কাজটি করতে হবে আপনাকে। তার প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করে কখনো আদর করবেন না। তাকে যে কেউ প্রাইভেট পার্টে হাত দিতে পারবে না শিশুর বয়স পাঁচ বছর হলে সেকথাও বুঝিয়ে বলুন।

অনুমতি নিন
সে শিশু হলেও তার থেকে অনুমতি নেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সে অনুমতির গুরুত্ব শিখবে। গোসল কিংবা পোশাক পরিবর্তন করানোর সময় অবশ্যই তাকে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই তার অনুমতি নিন। এতে সে অনুমতি ছাড়া যে প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়া যায় না এটি বুঝতে শিখবে।

চিৎকার করতে শেখান
যেকোনো নেতিবাচক বা খারাপ আচরণ পেলে তাকে চিৎকার করতে শেখান। কারও স্পর্শ ভালো না লাগলে যেন সে সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করে। হতে পারে তা যে কারও স্পর্শ। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে নিজেকে রক্ষা করার বুদ্ধি শেখাতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, এসব শেখাতে গিয়ে যেন শিশুর মনের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক