মেহেরপুরে হাসপাতাল মোড়ে ৩ হোটেলকে জরিমানা

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে নোংরা পরিবেশের দায়ের তিনটি হোটেলকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার দুপুরে অধিদপ্তরের মেহেরপুরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব মোঃ তারিকুল ইসলাম ও মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিম।

সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, অভিযানে হসপিটাল মোড়ের সামনে হোটেল ও দোকানগুলোতে তদারকি করা হয়। এসময় মেসার্স কাওসার হোটেলকে রান্না রুমের সাথে উন্মুক্ত খোলা টয়লেট ও টয়লেটের পাশেই খাবার জিনিস খোলা রাখা, নোংরা পরিবেশে অস্বাস্থ্যকরভাবে খাদ্য পণ্য তৈরি ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৩ ধারায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও ৭ দিনের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। মুক্তার হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ও ৪৩ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও ০২ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া মেসার্স মায়ের হাতের রান্না নামক হোটেলকে একই অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




গাংনীতে পর্ণগ্রাফি মামলায় আসবাবপত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরে নিজ বাড়ি থেকে পর্ণগ্রাফী মামলায় সোহেল রানা(২৯) নামের এক আসবাবপত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সোহেল রানা গাংনীর বাজার পাড়ার ইদ্রীস হোসেনের ছেলে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার এক গৃহবধুর সাথে মালামাল কেনাকাটার সময় সোহেল রানার পরিচয় ঘটে। প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব ও প্রেমের অভিনয় করতো সোহেল রানা। একপর্যায়ে সোহেল রানা ওই গৃহবধুকে একটি বাড়িতে নিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধারন করে। সোহেল ও তার বন্ধুরা সেই ভিডিও ও ছবি ইন্টার নেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে স্বর্ণালংকারসহ অন্ততঃ সাড়ে আট লাখ টাকা গ্রহন করে। পরে আরো টাকা দাবী করলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই ভিডিও গৃহবধুর স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি গৃহবধু গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ২৯। তারিখ ২১/১২/২২ ইং। এ মামলায় পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার আদালতে প্রেরণ করে।
ওসি আরো জানান, তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




“মা ওরা আমাকে কী যেন খাওয়াছে, আমি মনে হয় আর বাঁচব না”-সৌরভ

তিন বন্ধুর সাজেক ভ্রমণ শেষে ঢাকায় ফিরে সৌরভ হোসেন নামের এক বন্ধুর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বন্ধুদের দাবী, সৌরভ সড়ক দুর্ঘনায় মারা গেছে। তবে তার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সৌরভকে।
সৌরভ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের মৃত ময়নাল হকের ছেলে। তার মৃতদেহ বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুুতি চলছে।

সৌরভের পারিবারিক সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫-১২-২০২২) সৌরভ হোসেন তার বন্ধু বামন্দী গ্রামের মৃত গোলাম কাওছার বুলুর ছেলে কনক বিশ্বাস, চর গোয়ালগ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে ইলিয়াছ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবান ও সাজেক ভ্যালিতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে বেড়ানো শেষে তারা ঢাকায় ফিরে আসে। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। গতরাতে সৌরভের বন্ধু কনক মোবাইল ফোনে তার মাকে মৃত্যুর খবর জানায়।

বন্ধু কনক জানান, হোটেলে কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়ার পর তারা আবারো ঘুরতে বের হয়। কনক বিশ্বাস মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং সৌরভ হোসেন পিছনে বসে ছিল। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা উত্তরা বলাকা নামক স্থানে পেঁৗছুলে সৌরভ হোসেন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে নেয়া হয় আবাসিক হোটেলে। ঘন্টা দেড়েক পরে সৌরভের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সৌরভকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবী করে সৌরভের মা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সৌরভ তাকে ফোন দিয়ে বলে, “মা ওরা আমাকে কী যেন খাওয়ায়ছে। আমার বুকের মধ্যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছ। আমি মনে হয় আর বাঁচব না।” এর পরে সৌরভের মৃত্যুর খবর আসে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সৌরভের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থল ঢাকাতে হওয়ায় সেখানে বিষয়টি জানানোর জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে।

শাহাবাগ থানার ওসি ওয়াদুদ হাওলাদার জানান, এ ব্যাপারে মেডিকেল থেকে কেউ জানান নি। সংবাদ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মেহেরপুর জেলা পরিষদে টেণ্ডার জমা দিতে বাঁধা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর জেলা পরিষদের গাছ বিক্রয়ের দরপত্র জমা দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মজিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মজিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল লতিফের নামে আমি ও লতিফ দুজনেই টেণ্ডার জমা দিতে গিয়েছিলাম। এ কাজে ৫টি লট মিলে এক কোটি ৯ লাখ টাকা সিডি করেছি। কিন্তু সিডিউল জমা দিতে গেলে দূর্বৃত্ত তৌহিদ, নাসির, আয়ুবসহ কয়েকজন বাঁধা দেয় এবং ধস্তাধস্তি করে এবং সিডিউল জমা দিতে না পেরে ফিরে এসেছি।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম তিনি কোন সমাধান দেননি। যখন শেষ সময় পর্যন্ত জমা দিতে না পেরে ডিডিএলজি মহোদয়ের নিকট অভিযোগ দিতে গেলে তিনি অভিযোগও নেননি।

এদিকে এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেছেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একজন দেরি করে গিয়ে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বা জেলা পরিষদে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন কোন অভিযোগ পাননি।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেণ্ডার বক্স থেকে কোন সিডিউল পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের টেণ্ডার বক্স থেকে ২ সেট সিডিউল পাওয়া গেছে। আগামী ২ জানুয়ারি মূল্যায়ন কমিটির সভা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেছিলেন, টেণ্ডার জমা দেওয়া নিয়ে কোন রকম ধস্তাধস্তি বা বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরে টেণ্ডার ড্রপ করতে গিয়ে তারা জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এসপি অফিসে ছিলো। কেউ যদি আওয়াজ দেয়, জমা দেব জমা দেব, আমাকে টাকা দেও। কিছু কাগজ নিয়ে যদি বলে আমাকে টাকা দাও, আমি কি কাউকে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখি? এসপি অফিসে বক্স ছিলো না উত্তরে তিনি বলেন ছিলো এবং স্বপক্ষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি চিটিও দেখান। তিনি বলেন, আমি নতুন লোক, আমার গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের ১৩৯টি ও মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি মেহগনীসহ মোট ১৪০টি গাছের বিক্রয়ের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ কাজটি পাওয়ার জন্য ২৯ জনের নামে ১৮টি সিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু ১৮টির মধ্যে মাত্র ২টি সিডিউল জমা পড়ে।




দামুড়হুদায় মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিশোরের মৃত্যু

দামুড়হুদায় দুই কিশোর দ্রুতগতিতে মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরতে গিয়েই হলো কাল, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল চালক কিশোর রিয়াদ হোসেন (১৪) আহত হয়েছে শামীম (১৭) নামে একজন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের নতুন পাড়া জামে মসজিদের সামনে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াদ হোসেন উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ও আহত শামীম হোসেন একই ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের মিঠুর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রিয়াদ ও আহত শামীম দুজনেই মাইক্রোবাস চালানো শেখার উদ্দেশ্যে কার্পাসডাঙ্গা টু দর্শনা গামী রাস্তায় মাইক্রোবাস যাহার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ-১১-৪৭ ৭১ চালানোর সময় দামুড়হুদা থানাধীন, বাঘাডাঙ্গা গ্রামের নতুন পাড়া জামে মসজিদের সামনে পৌঁছাইলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে গাছের সাথে ধাক্কা মারে, এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস চালক রিয়াদ মৃত্যুবরণ করেন। এবং তার সাথে থাকা শামীম (১৭) গুরুতর আহত হয়। রিয়াদের লাশ বর্তমানে মৃতের নিজ বাড়িতে আছে। এবং আহত শামীমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের হেফাজতে আছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।




হঠাৎ হিজাবের বেশে পূজা চেরি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পূজা চেরি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সব সিনেমা সুপারহিট। কাজ নিয়েই সবসময় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তবে ব্যস্ততা থেকেই অবসরে সময় কাটান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ফেসবুকে মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেন এ অভিনেত্রী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিজের একটি ছবি পোস্ট করলেন তিনি। ছবিতে হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে তাকে।

সোমবার ভেরিফায়েড পেজে নিজের হিজাব পরিহিত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন— ‘ভদ্রতা মানবতার ফুল।’

‘দহন’ সিনেমার এ নায়িকাকে এর আগে কখনো হিজাব পরা দেখা যায়নি। ছবিটি পোস্ট করতেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা।অনেকেই তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন।আবার সমালোচকদের কেউ কেউ টিপ্পনি মেরেছেন।

পূজা শিশুশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ‘নূরজাহান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। এর পর ‘পোড়ামন-২’ ও ‘দহন’ সিনেমায় অভিনয় করে তারকাখ্যাতি লাভ করেন এ অভিনেত্রী।

সূত্র: যুগান্তর




বিশ্বকাপের পর এখন অলিম্পিকে চোখ কাতারের

বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ও সফল একটি আসর আয়োজনের পর তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার এখন ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের লক্ষ্য স্থির করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আবারও আলোড়ন সৃষ্টি করতে চায় কাতার।

কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন বেশ কিছু ইভেন্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে কাতার। ইতোমধ্যেই ২০২৫ বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপ কাতারকে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এনডুরেন্স চ্যাম্পিয়নশীপের আয়োজক হিসেবেও কাতারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

যদিও আগামী কয়েক বছর বেশ কয়েকটি ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজক হিসেবে কাতার বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে। এর মধ্যেই ২০২৩ সালে আবারো কাতারে ফিরতে যাচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নতিতে কাতারের বিখ্যাত রেস ট্র্যাকটিকেও সংষ্কার করা হয়েছে। করোনার কারণে ২০২৩ এশিয়ান কাপ ফুটবল আয়োজনে চায়না অপরাগতা জানালে কাতার সেই সুযোগ লুফে নেয়। ২০২৪ বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশীপও অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সাবেক মার্কেটিং প্রধান মাইকেল পেইন বলেছে্‌ এই ধরনের বড় ক্রীড়াযজ্ঞ আয়োজন যেকোন দেশের জন্যই শক্তিশালী একটি গেম চেঞ্জিং উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে কাতারের কম সমালোচনা হয়নি।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো অবশ্য বারবারই বলেছেন, কাতারে হতে যাচ্ছে সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ। প্রতিটি দেশের ফেডারেশনগুলোও কাতারের আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

২০২৫ সালে ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজকের নাম ঘোষণা করা হবে। এর আগে ২০১৬, ২০২০ ও ২০৩২ অলিম্পিকের বিডে অংশ নিয়েছিল কাতার। কয়েকটি নিরীক্ষায় দেখা যায় বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে স্বত্ব পাওয়ায় এতদিন কাতারকে অলিম্পিকের বিডে সফল হতে দেয়া হয়নি।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদার ডুগডুগী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, জরিমানা আদায়

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিনজন মোটরসাইকেল চালক ও একজন প্রকাশ্যে ধূমপায়ির জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগম এই জরিমানা করেন।

জানা গেছে, মোটরসাইকেল সড়ক পরিবহন আইন ৬৬ ধারা মোতাবেক আলমডাঙ্গার সোবহান হোসেনের ছেলে আরজ আলীর ৩ হাজার টাকা, একই আইনে ডুগডুগি গ্রামের মৃত মুক্তার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ এর ১ হাজার টাকা এবং জীবননগর উথলী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে এনামুল হক এর ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় দর্শনা আজিমপুরের ফজলমিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান কে প্রকাশ্যে ধুমপান করার অপরাধে, ধূমপান তামাক জাত আইন ৪/৬ ধারা মোতাবেক ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেশকার আসমান আলী এবং দামুড়হুদা মডেল থানার একটি চৌকস টিম।




মেহেরপুরের বারাদীতে আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন

মেহেরপুরের বারাদীতে উত্তম গ্রাহক সেবায় প্রত্যয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের ১০১৪তম উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বারাদী বাজারের আন্নাচ নিউ মার্কেট দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন করা হয়। বারাদী বাজার উপশাখার ম্যানেজার সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা শাখার অফিসার এস এম সাব্বির আহমেদ, বারাদী উপশাখার ইনচার্জ ইমরান হোসেন, টিএসও মনিলুর রহমান।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বারাদী বাজার কমিটির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী সর্দার, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, বারাদী বাজারের ব্যবসায়ীসহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




দায়িত্ব নিয়েই টেণ্ডার বিতর্কে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

মেহেরপুর জেলা পরিষদের গাছ বিক্রয়ের দরপত্র জমা দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সিডিউল ক্রেতারা। এ কাজে জেলা পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালামের কারসাজি বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদ চেয়াম্যানের দাবী করেছেন তিনি নতুন লোক। তার গায়ে কাদা লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় আব্দুল লতিফ নামের এক সিডিউল ক্রেতা মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের ১৩৯টি ও মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি মেহগনীসহ মোট ১৪০টি গাছের বিক্রয়ের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো গতকাল ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত। জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দরপত্র বাক্স রাখার কথা। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বক্স থাকলেও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ দরপত্র জমা দেওয়ার কোন বক্স ছিলো না বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ওই একই সময়ে বিআরডিবির আরেকটি টেণ্ডার জমা কাজ থাকায় সেখানে নতুন কোন বক্স ছিলো না। তবে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বক্স স্থাপন ও কোন দরপত্র জমা পড়েনি বলে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। আর এ কাজটি পাওয়ার জন্য ২৯ জনের নামে ১৮ টি সিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু ১৮টির মধ্যে মাত্র ২টি সিডিউল জমা পড়ে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জানা গেছে, কিন্তু আব্দুল লতিফ নামের এক সিডিউল ক্রেতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরপত্র জমা দিতে গেলে জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট যান এবং সেখানে টেণ্ডার জমা দিন। তিনি সে মোতাবেক জেলা পরিষদের টেণ্ডার বাক্সে টেণ্ডার জমা দিতে গেলে টেণ্ডার বাক্সের কাছে থাকা স্থানীয় কিছু দুর্ধর্ষ, দাঙ্গাবাজ ব্যক্তি সিডিউল জমা দিতে দেয়নি। একই সঙ্গে গালাগালি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু। এসময় দায়িত্বরত পুলিশকে জানালেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মজিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার পক্ষে আব্দুল লতিফ টেণ্ডার জমা দিতে এসেছিলেন। এ কাজে ৫টি লট মিলে এক কোটি ৯ লাখ টাকা সিডি করেছি। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি বাইরের দুজন সিডিউল জমা দিয়েছেন। কিন্তু সিডিউল জমা দিতে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালামের ভাড়াটিয়া দূর্বৃত্ত তৌহিদ, নাসির, আয়ুব, রানাসহ কয়েকজন বাঁধা দেয় এবং ধস্তাধস্তি করে।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম তিনি কোন সমাধান দেননি। যখন শেষ সময় পর্যন্ত জমা দিতে না পেরে ডিডিএলজি মহোদয়ের নিকট অভিযোগ দিতে গেলে তিনি অভিযোগও নেননি।

একই অভিযোগ করেছেন জেলা পরিদের সাবেক সদস্য আলমাস হোসেন শিলুও। তাকেও সিডিউল জমা দিতে হয়নি বলে জানান তিনি।

মেহেরপুর সদর থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু অভিযোগ করে মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, কুষ্টিয়া মিরপুরের মালিথা এন্টারপ্রাইজের হয়ে ১২টা ৪০মিনিটে এসপি অফিসে টেণ্ডার ড্রপ করতে যায়। সেখানে কোন বক্স না পেয়ে জেলা প্রশাসককে ফোন দিলে তিনি অভিযোগ দিতে বলেন। সেখানে না পেয়ে আমি আর কোথাও যায়নি। সময়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, এসপি অফিসের সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই বুঝা যাবে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একজন দেরি করে গিয়ে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বা জেলা পরিষদে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন কোন অভিযোগ পাননি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেণ্ডার বক্স থেকে কোন সিডিউল পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের টেণ্ডার বক্স থেকে ২ সেট সিডিউল পাওয়া গেছে। আগামী ২ জানুয়ারি মূল্যায়ন কমিটির সভা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, টেণ্ডার জমা দেওয়া নিয়ে কোন রকম ধস্তাধস্তি বা বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরে টেণ্ডার ড্রপ করতে গিয়ে তারা জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এসপি অফিসে ছিলো। কেউ যদি আওয়াজ দেয়, জমা দেব জমা দেব, আমাকে টাকা দেও। কিছু কাগজ নিয়ে যদি বলে আমাকে টাকা দাও, আমি কি কাউকে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখি? এসপি অফিসে বক্স ছিলো না উত্তরে তিনি বলেন ছিলো এবং স্বপক্ষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি চিটিও দেখান। তিনি বলেন, আমি নতুন লোক, আমার গায়ে কাঁদা লাগানোর চেষ্টা চলছে।