ঝিনাইদহে শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন’র বার্ষিক সভা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-২০২২ এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিাবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) এর সহযোগিতায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা (ভারপ্রাপ্ত) সমবায় অফিসার জাফর ইকবাল।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে কাল্ব গ-অঞ্চলের ডিরেক্টর আরিফ হাসান, প্রেসক্লাব সভাপতি এম রায়হান, উপজেলা সমবায় অফিসার কামরুন্নাহার, কাল্বের জেলা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি কৃপা সিন্ধু বিশ্বাস, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর সভাপতি নজরুল ইসলাম, সদস্য শাহানুর আলম ও দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন। সভার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কাল্ব এর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ব্যবস্থাপক ফরহাদ হোসেন।

সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন, আয়-ব্যয় ও কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ মোহাম্মদ সালেহ।

আলোচনা শেষে বিভিন্ন ইউনিটে সফলতা অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বক্তারা শিক্ষকদের ভাগ্যান্নয়নের জন্য এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য সমাবায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন।




কোটচাঁদপুরে ‘দিগন্তবাণী’ পত্রিকার পাঠক সমাবেশে অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দিগন্তবাণী পত্রিকার এক যুগ পূর্তি ও ১৩তম বর্ষে পর্দাপন উপলক্ষে আজ (শনিবার) এক পাঠক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে দিগন্তবাণী সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাঃ শাহ জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পবিত্র আল মদিনা মোনাওয়ারার মাসজিদ আল মাইমানির ইমাম (খাদেমুল হুজ্জাজ) আলহাজ্ব মোঃ রবিউল ইসলাম,কোটচাঁদপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মোঃ জাহিদ হোসেন,জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আব্দুল মাজেদ, সাহিত্যিক ও লেখক মোঃ আশরাফ উদ্দিন, মোঃ আব্দুস সালাম, (খাদ্য নিয়ন্ত্রক অব:) উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক মীর মনিরুল আলম মনি এবং অথিতি পাঠকদের মধ্যে সহ-অধ্যাপক মোঃ আলতাফ উদ্দিন( জিটি কলেজ), যুবলীগ নেতা শেখ মঈনুদ্দিন, বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মোঃ আব্দুল হালিম। এ সময় সাংবাদিক মোঃ রায়হান উদ্দিন,মোঃ বাবলু মিয়া, দিগন্তবাণীর পাঠক মনোজ মালাকার, এইচ এম ইলিয়াস,নাবিল আব্দাল্লাহ আহমাদ, নাসিফ আব্দাল্লাহ মুহাম্মাদ, মোঃ বাববর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক মোঃ মঈন উদ্দিন খান।

পাঠক সমাবেশে দিগন্তবাণী সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাঃ শাহ জামান ও প্রধান অতিথি আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ খান বক্তব্য রাখছেন।




গাংনীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্বীকৃতির দাবীতে স্মরণসভা

মেহেরপুরের গাংনীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারি শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠিতে দিনব্যাপী স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় দিবস ও ভাটপাড়া মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে স্মরণ সভার উদ্বোধন করেন লেঃ কর্নেল (অব) বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদুল হোসেন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধমকেতুর সঞ্চালনায় চারুশিল্পি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।

মুখ্য আলোচক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিচারণ মুলক আলোচনা করেন সাবেক সচিব মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গের কবি ও গবেষক ইতিহাসবিদ মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক খালেদুজ্জামান জুয়েল, রাঙামাটি জেলা জজ আদালতের সহকারি জজ মিল্টন হোসেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ষাটের দশকে বাঙালি সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশ উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধাুর অসহযোগ আন্দোলন এবং একাত্তরের সম্মুখ যুদ্ধে বীরোচিত ভুমিকা পালন করে গাংনীর কাজলা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলির সাহসী জনগন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে পাকবাহিনীর র্মিমমতায় রক্তাক্ত হয় ভাটপাড়া নীলকুঠি প্রাঙ্গন ও সাহারবাটির টেপুখালী মাঠ। নিপিড়িত শোষিত মানুষকে পাকিস্তানীদের হাাত থেকে রক্ষা করে একটি স্বাধীন রাষ্টের সুচনা করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হন মুক্তিযুদ্ধের বলিষ্ট সংগঠক এমলাক হোসেন, উজির মালিথা, আবুল কাশেম সরকার, হাফিজউদ্দিন, আবুল কাশেম, নওপাড়া গ্রামের মজিবর রহমান, আফছার আলী মালিথা, শাকের আলী, জবতুল্লাহ, হিন্দা গ্রামের আজিজুল হক, বাবর আলী, মনসুর আলী, নুরবকসো, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মুছা, ইরফান আলী ও ভাদু বিশ্বাসসহ নাম না জানা শহীদদের রক্তশ্রোতে লাল হয় সাহারবাটির টেপুখালির মাঠ। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বলিষ্ঠ প্রত্যয় এবং স্বাধীনতাকামী জনতার দুর্মর স্বপ্ন-শপথে উজ্জল হয়ে আছে এ জনপদের গ্রামগুলির ইতিহাস।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও সে সকল শহীদদের নাম স্মৃতিফলক আজো উন্মোচন করা হয়নি । রাস্ট্রীয়ভাবেও নেই তাদের স্বীকৃতি। তাদের পরিবারের দাবী ওই সকল শহীদদের জীবনের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের স্রকার। দির্ঘদিন ক্ষমাতায় থাকাকালীণ সময়েও আজো তাদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি মেলেনি। ওই সকল শহীদদের রাষ্ট্রিয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানান পরিবার সহ এলকাবাসীর।

স্মরণসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা,শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। এর আগে সকাল ১০ টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে নীলকুঠি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান সুচনা করা হয়।




মুক্তির অনুমতি পেলো শুভ-ঐশীর ‘নূর’

চলতি বছরের জুলাই মাসে কারিগরি ত্রুটি থাকায় সিনেমাটির মুক্তির অনুমতি দেয়নি সেন্সর বোর্ডে। সেসময় নতুন করে সম্পাদনা ও সাউন্ড ডিজাইন করে নতুন করে বোর্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অবশেষে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমাটি।

‘পোড়ামন ২’ খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফির ‘নূর’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমার নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বও পালন করছেন অভিনেতা আরিফিন শুভ। আর সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে শাপলা মিডিয়া।

ছবিটি মুক্তির প্রসঙ্গে পরিচালক রাফি বলেন, নূর আমরা ৪ মাস আগেই সেন্সর পেয়েছি। এর আগে সেন্সর বোর্ড কিছু সংশোধন দিয়েছিলেন। আমরা তাদের কথার সম্মান জানিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে ফের জমা দিলে সেন্সর বোর্ড আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র দিয়েছেন। ‘নূর’ মুক্তি নিয়ে আমাদের একটা প্ল্যান আছে সেই জন্য মুক্তি তারিখ চুড়ান্ত হওয়ার পর সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।




আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে দ্যেশমের ফ্রান্স

বিশ্বকাপের বিগত সাত আসরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এর মধ্য দিয়ে ফ্রান্স যেন আন্তর্জাতিক আসরে সাফল্য পেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। যিনি জন্মগতভাবেও একজন বিজয়ী খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে উদ্বুদ্ধকারী নেতা।

রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার মোকাবেলা করতে যাওয়া ফ্রান্সকে বর্তমানে দুর্দান্ত মনে হলেও দলটির বিশ্বকাপে আসা নিয়েই ছিল গুরুতর সন্দেহ। ইউরো ২০২০ আসরেও ব্যর্থ হয়েছিল ফ্রান্স। বিশ্বকাপে যোগ দেওয়ার আগে দেশ্যমকে লড়তে হয়েছে ইনজুরির সঙ্গে। যে কারণে ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ী করিম বেনজেমাকে প্রত্যাহার করতে হয় বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে। তারপরও লেস ব্লুজদের সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হন দেশ্যম। পরিকল্পনা করে তিনি আঁতোয়ান গ্রিজম্যানকে ফরোয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে নিয়ে আসেন মধ্যমাঠে।

গ্রিজম্যান বলেন, ‘আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য আমি তার কাছে ঋণী। তার কারণে, এই জার্সির জন্য এবং ফ্রান্সের জন্য আমি সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি। আমার প্রতিটি ম্যাচে, প্রতিটি অ্যাকশনে তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তার দেওয়া ৭ নম্বর জার্সিটিকে গর্বিত করার জন্য আমি সবকিছু করতে চাই।’

কিছু ভক্ত অবশ্য দেশ্যমকে পরিহাস করছে। কারণ তারা দলটির কাছ থেকে আরো আকর্ষণীয় খেলা আশা করেছিল। গ্রিজম্যান বলেন, ‘তিনি (দেশ্যম) খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন এবং জানেন আপনারা কি চান। সব সময় তিনি নির্দেশনা দিয়ে থাকেন এবং তাদের তা অনুসরণের উপদেশ দেন। ’

খেলোয়াড়দের কাছে দেশ্যম খুবই শ্রদ্ধাভাজন একজন ব্যক্তি। কারণ তার জন্যই তারা নিজেদের ক্যারিয়ারে কিছু না কিছু অর্জন করেছে।




মেহেরপুরের কুলবাড়িয়া থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া থেকে শাহানার খাতুন (৪০) নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কুলবাড়িয়া তালপট্টি মাঠে থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে নিয়েছে।  নিহত শাহানারা খাতুন গাংনী উপজেলার সগলপুর গ্রামের মৃত রাহেদুল ইসলামের স্ত্রী।

কুলবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজন হোসেন জানান, খবর পেয়ে  এসে দেখি এখানে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত শাহানারা খাতুনের ছোট ছেলে সুজন হোসেন জানান, তার মা গতকাল শুক্রবার  সন্ধ্যার সময় নানী বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।  তারপর  থেকে আর খোজ  পাওয়া যায়নি।  রাতে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।  সকালে মাঠে কাজে যাওয়া যেয়ে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে। তখন আমি লোকজন ডাক দিই।

স্থানীয় হাসেম আলী জানান, শাহানারা খাতুন সহগলপুর গ্রামের বাসিন্দা সকালে শুনে আমি এসে দেখি মরদেহ পড়ে।

শাহানারা খাতুনের বোনের ছেলে সুমন জানান, আমার খালু (শাহানারার স্বামী) প্রায় ২০ বছর আগে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। খালা দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাচ্ছিলো। হঠাৎ কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছিনা।

মেহেরপুর সদর থানার অধিনস্ত বৈকন্ডপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের এক জোড়া সেন্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন পাশে পড়ে থাকতে পাওয়া যায়। নাকে হালকা ক্ষত পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত চলছে।  প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল তথ্য জানা যাবে।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আশেপাশের গ্রামের শতশত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়।  স্থানীয় জনতা ও মৃত ব্যাক্তির আত্নীয় স্বজনেরাও মৃত্যুর সঠিক কারন বলতে পারেননি।




সাংবাদিক জনি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার

চাঁদাবাজি ও প্রতারণা মামলায় এশিয়ান টেলিভিশনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনিকে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। তাকেে এনটিভির সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এনটিভির সাংবাদিক রেজ আন উলবাসারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।

গত ২২ নভেম্বর মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন বাদী রেজ আন উল বাসার তাপস। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, আসামী অত্যন্ত দুর্ধর্ষ, দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। বাদী দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ এনটিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে সেই কর্মরত রয়েছেন। সেই সুবাদে বাদীর সাথে আসামীর পরিচয় হয়। গত ১/১১/২০২১ তারিখে আসামি মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টার কফির দোকানে বসিয়া বলে যে আমি আমার পরিবারের ছবি উঠানোর কথা বলে বাদীর এনটিভির জন্য ব্যবহৃত ডিএসএলআর ক্যামেরা কয়েকদিনের জন্য নেয়। যার মূল্য আনুমানিক এক লাখ টাকা। কিন্তু আসামী মিজানুর রহমান জনি কয়েকদিনের জন্য ক্যামেরা নিলেও আর ফেরত না দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাইতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী ৫০ হাজার টাকা চাঁদার বিপরীতে ক্যামেরা ফেরত দিতে রাজি হয়। বাদি অনুপায় হয়ে বিভিন্ন সময় নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৪৭ হাজার টাকা দেয়। তারপরেও আসামী ক্যামেরা ফেরত না দিয়ে আজকাল বলে ঘুরাইতে থাকে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন জনকে জানালে আসামী আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে অন্যাথায় বাদীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া আসামী বিভিন্ন সময় বাদীকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আসামী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি হোটেল আটলান্টিকা নিয়ে ব্ল্যাকমেইলার চার সাংবাদিকের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি অন্যতম। ওই মামলার আসামি প্রিয়া খান ও ছন্দা খাতুন পৃথক পৃথক জবানবন্দীতে মিজানুর রহমান জনিকে অভিযুক্ত করেছেন। যা নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মিজানুর রহমান জনি আত্মগোপনে ছিলেন।




দর্শনায় যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন

বিজয়ের লাল ছুঁয়ে যাক মহাকাল।মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগ, বিএনপি-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, থিয়েটার গ্রুপ ও পেশাজীবি ২৮টি সংগঠন দর্শনা কলেজ মাঠে বিজয় দিবসের নানা কর্মসুচি পালন করেছেন।

এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা কলেজ মাঠে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে উপস্থিতি। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সহ সভাপতি রুস্তম আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শহিদুল ইসলাম । জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান।

এরপর উপস্থিত সকল সংগঠনের সদস্যদের শফত বাক্য পাঠ করান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। শফত বাক্য পাঠ শেষে প্রত্যেক সংগঠন এক সাথে র‍্যালী করে দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে দর্শনা কলেজ মাঠে স্মৃতিস্তম্ভে পর্যায়ক্রমে সংগঠনগুলা পুস্পমাল্য অর্পন করেন।

এসব সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা সরকারী কলেজ, দর্শনা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ ট্রাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিন্দোল সংগীত পরিষদ, দর্শনা গণ-উন্নয়ন গ্রন্থাগার, শান্তি নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরাণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, , দর্শনা ডি এস ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়, দর্শনা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা যুব সংঘ, পশ্চিম রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌচাক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, উপজেলা হিন্দু,বৈাদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ।

এ মহান বিজয় দিবসেপুস্পমাল্য অর্পন করেন , চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা আ.লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান,দর্শনা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত পিন্সপাল ড. মফিজুর রহমান,দামুড়হুদা যুবলীগের সভাপতি আঃ হান্নান ছোট,শেখ আসলাম আলী তোতা,আঃ মান্নান,ছাত্রলীগের পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পন করেন রফিকুল ইসলাম ববি,নাহিদ পারভেজ,তোফাজ্জেল হোসেন তপু প্রভাত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি বিএনপির পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা বিএনপির সদস্য খাজা আবুল হাসনাত,দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট,সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম ফারক আরিফ। সন্ধায় দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অপরদিকে দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ড পৃথক ভাবে পালন করেছে মহান বিজয় দিবস। সকালে কেরুজ ক্লাবমাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তম্ভক অর্পন করেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, কেরুজ চিনিকল কমান্ড মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন, কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকবৃন্দরা।

পরে কেরুজ ক্লাবমাঠে মুক্তিযুদ্ধো ও দেশ স্বাধীনতা লাভের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ সংক্ষিপ্ত আলোচনার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহা-ব্যাবস্থাপক (অর্থ) মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম, মহা-ব্যাবস্থাপক (ডিষ্ট্রিলারী) ফিদা হাসান বাদশা, মহা-ব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা,উপ-ব্যবস্থাপক (অর্থ) শেখ জাবেদ হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশা ও প্রশি) মাসুদ রেজা, প্রমুখ। এছাড়াও দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রাত ১২টা ১ মিনিটে চিনিকল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ৩৩বার তোপধ্বনী, বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের মিষ্টি বিতরণ, মসজিদ, গীর্জা ও মুন্দিরে প্রার্থনা,হাসপাতাল রোগীদের ফলমূল বিতরণ, চিনিকল কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগীতা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া বিজয় দিবসে কেরুজ জেনারেল অফিস, ডিষ্টিলারী কারখানা, কেরুজ ক্লাব ও ইউনিয়ন অফিস আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সবশেষে সন্ধায় কেরুজ ক্লাব মাঠে সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন করা হয়।




গাংনীতে বিজিবি’র উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও কম্বল বিতরণ

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন(৪৭ বিজিবি)র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুস্থ্য জনসাধারণকে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামুল্যে ওষুধ বিতরণ ও শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭বিজিবি)।

শুক্রবার দিনব্যাপী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় এলাকাবাসী বিভিন্ন প্রকার সেবা গ্রহন করেন বিজিরি কাছ থেকে। আজ সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ক্যাম্পে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেলে গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে দেড়শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা ও বিনামুল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয় এবং রাধাগোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শতাধিক শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা বিজিবি হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেজর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের মিয়া।

এসময় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফুল হক ও সহকারি পরিচালক (এডি) জিয়াউর রহমান বিজয় দিবসের এসকল মানবিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিজ হাতে কম্বল ও ওষূধ বিতরণ করেন।

কার্যক্রমের সার্বিক সহায়তা করেন কাথুলী বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সাইফুল ইসলাম,রংমহল ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল কাদেরসহ স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যবৃন্দ।




জীবননগরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জীবননগরে মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকালে শহীদ বেদিতে জীবননগর উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌরসভা,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পরে জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান,উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল খালেক, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান প্রমুখ।