বিএডিসি ভূট্টার বীজে চারা না হওয়া কৃষকের মাথায় হাত

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’ভূট্টার বীজে চারা না হওয়ার অভিযোগ কোটচাঁদপুরের চাষিদের। এতে করে ১২ শ চাষির ৬ লক্ষ্যাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের ভূট্টা চাষি বিল্লাল হোসেন ও আবু বক্কর বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনার ভূট্টা বীজ ও সার পেয়ে ছিলাম। ওই বীজ বপন করে আমাদের জমিতে একটা চারাও হয়নি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যারা ওই বীজ বপন করেছিল তাদেরও একই অবস্থা।

এরমধ্যে রয়েছে, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, খোকন মন্ডল, জাকির হোসেন,আমির হোসেন,বজলে শেখ, ইফাদুল ইসলাম,শামসুল ইসলাম,টিটোন রহমান,মাসুম খান।

ওই গ্রামের ছোট বাবু বলেন,আমি সরকারি প্রণোদনার বীজ,সার পায়নি। আমি আমাদের সাইনবোর্ড বাজারের সাইফুল ইসলামের দোকান থেকে ৩ কেজি ভূট্টার বীজ কিনে ছিলাম। ওই বীজের মধ্যে সে এক প্যাকেট সরকারি বীজ দিয়ে দেন জোর করে। গ্যারান্টি দেন চারা গজানোর। ওই বীজ সহ মোট তিন কেজি বীজ জমিতে লাগিয়ে ছিলাম। এরমধ্যে সরকারি বীজে একটা চারাও হয়নি।

পরে তিনি ওই দোকানিকে জানালে,তিনি বীজটা ফ্রি দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেন,এক বিঘা জমি তৈরিসহ,সার মিলিয়ে আমার ৬ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। প্রতিটি চাষিরই এ ধরনের খরচ হচ্ছে বলে এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, শুধু বলাবাড়িয়া গ্রামের চাষিদের না,পুরো উপজেলায় একই চিত্র। এ মৌসুমে আমরা ১২ চাষিদের মধ্যে ভূট্টার বীজ ও সার দিয়ে ছিলাম। তাদের কারোরই চারা হয়নি।

ইতোমধ্যে আমরা মাঠ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনারা বিএডিসি কে জানিয়েছেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমরা তাদেরকে জানাবো না। আমরা আমাদের কৃষি বিভাগের স্যারদের অবহিত করবো। যা করারা ওনারা করবেন।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন,আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের কৃষি বিভাগ নিবেন।

ঝিনাইদহ (বিএডিসি) বীজ বিভাগের উপসহকারী পরিচালক সুমি বারুই বলেন,কোন কৃষি অফিস আমাদের এ ঘটনা জানাননি। আপনার কাছে এ প্রথম জানলাম। তবে বীজ এমন হওয়ার কথা না। বীজ কিছুদিন চাষিদের হাতে পৌছাতে দেরি হয়েছে। আর আমরা বীজের সব ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা করে,কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা কোন চাষিকে এ বীজ দেয়নি।

ঝিনাইদহ বিএডিসির পরিচালকের মোবাইল নাম্বার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি কর্মকর্তার কাছে ডিডি স্যারের নাম্বার আছে। তারা যখন নাম্বার টা দেয়নি। তাহলে আমি নাম্বার টা কিভাবে দিবো।




হতাশার বিশ্বকাপের পর পিএসজিতে ফিরেই লাল কার্ড দেখলেন নেইমার

হতাশার এক বিশ্বকাপ শেষ করেই পিএসজিতে ফিরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। তবে বিশ্বকাপের হতাশা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচে স্ট্রার্সবার্গের বিপক্ষে মাঠে নেমেই। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটি দেখেছেন আবার ডাইভ দিয়ে।

বিশ্বকাপের বিরতির পর বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলো পিএসজি। স্ট্রাসবার্গের বিপক্ষে ম্যাচে ২-১ গোলে বেশ কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে এমবাপ্পের পেনাল্টিতে জয় নিশ্চিত হয় শিরোপাধারীদের। তবে পিইএসজির জয় ছাপিয়েও ম্যাচশেষে আলোচনায় নেইমারের লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে স্ট্রাসবার্গ মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান থমাসনকে আঘাত করে প্রথম হলুদ কার্ড পান নেইমার। এই হলুদ কার্ডের ১ মিনিট পরই স্ট্রাসবার্গের ডি বক্সের মধ্যে ডাইভ দিলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। অতিরিক্ত অভিনয়ের জেরেই নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন রেফারি।

৬২ মিনিটেই দশজনের দলে পরিণত হওয়ায় জয় পাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায় পিএসজির জন্য। ম্যাচের একবারে শেষ মুহুর্তে এসে স্পটকিক থেকে গোল করে পিএসজিকে জয় এনে দেন বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে হতাশ হয়ে ফেরা এমবাপ্পে।

লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ম্যাচের ১৪ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে নেওয়ার কারিগইর ছিলেন নেইমারই। ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে পিএসজিকে লিড এনে দিয়েছিলেন জাতীয় দলেও নেইমারের সতীর্থ মার্কুইনহোস।

তবে, নেইমার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর দশজনে পরিণত হওয়া পিএসজি পয়েন্ট খোয়াতে বসেছিলো ড্র করে। শেষ মুহুর্তে ত্রাতা হয়ে এসে দলের জয় নিশ্চিত করেন বিশ্বকাপের ফাইয়ানলে হ্যাটট্রিক করেও খালি হাতে ফেরা ফরাসি তারকা এমবাপ্পে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঠালতলা বাজারের পান চোর আটক

দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঠালতলা বাজারের নাইট গার্ডের হাতে পান সহ এক চোর আটক হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর ৫টার দিকে।

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামে প্রতিনিয়ত কৃষকের স্বপ্ন পান চুরি। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাজারের নাইট গার্ড সাহাবুল হোসেন সন্দেহ জনকভাবে একজনকে জিজ্ঞাসা করে এবং তার হাতে থাকা বড় ব্যাগে কি আছে তা দেখতে চাই।

এতে ওই ব্যক্তি আপত্তি জানিয়ে চলন্ত একটি পাখি ভ্যানে উঠে পালিয়ে যেতে চাই। তখন নাইট গার্ড সাহাবুল অনেক ধস্তাধস্তি করে। পরে পান চোর পালানোর চেষ্টা করে, তখন নাইট গার্ড পান চোর কে তারিয়ে ধরে। এবং তার ব্যাগ চেক করে দেখা যায় আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ পন পান আছে।

আটককৃত পান চোর চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত ফজর আলী মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজুল ইসলাম (৬০) ।

পান চোর মিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। পরে নাইট গার্ড সাহাবুল বাজার কমিটির জানাই। বাজার কমিটির লোকজন এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তার ব্যাগে আছে ৫০ থেকে ৬০ পন পান। এই পানগুলো কাঁঠাল তোলার নিকটবর্তী জয়রামপুর বাগানপাড়া আকবর আলীর ছেলে শহীদ এর পান খেত থেকে চুরি করা হয়।

জানাজানি হলে পানের মালিক শহীদ ঘটনাস্থলে আসে এবং তার সত্যতা যাচাই করে। শহীদের কাছে জানতে চাইলে শহীদ বলে গতরাতে ১৭ পিলি পান চুরি হয়েছে। পরে স্থানীয়রা পান চোর মিরাজুল কে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের হাতে সদর্পণ করে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শেখ তৌহিদুর রহমান বলেন, এটা একটা চোর চক্রের কাজ। সরাসরি অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্ষেত থেকে পান চুরি করে নাই এর পিছনে অনেকেই জড়িত থাকতে পারে।




কুষ্টিয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

কুষ্টিয়ায় এবার অন্যান্য বারের তুলনায় সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সরিষা ক্ষেতে হলৃুদ ফুলেফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। জেলায় এবার মাঠের পরমাঠে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সরিষা চাষি ফরজ আলী বলেন, গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছর তিন বিঘায় সরিষা চাষ করেছেন। সরিষার ফুল দেখেই মনটা জুড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দিশা সংস্থা এবার আমাকে বিনামুল্যে বীজ,সার ও কীটনাশক বিনামুল্যে বিতরণ করেছে। ফলন ভালো হবে বলেও আশা করি। আশা করছি ন্যায্য মূল্য পেলে আমরা এবারও লাভবান হবো।

মশান গ্রামের আরেক চাষি নুর মোহাম্মদ বলেন, এবার দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। বরং সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান বীজের দেখা যাচ্ছে। এতে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারবো।

তিনি বলেন, সরিষা চাষে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। যদি এ বছর সরিষার ভালো মূল্য পাওয়া যায়, তবে সব সরিষা চাষিই লাভবান হবেন।

কৃষক আনোয়ার আলী বলেন,নিজের প্রয়োজন মেটাতে গেলো বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছিলাম। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে বেশ ভালো আবাদ হওয়ায় এবং তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ৭ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে।

স্থানীয় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণ সংস্থার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, নস্থানীয় জাতের সরিষায় হেক্টর প্রতি ফলন হয় দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৬ টন, সে তুলনায় বিনা ও বারিসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষায় ফলন হয় হেক্টর প্রতি দেড় থেকে দুই টন। উচ্চ ফলনশীন জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করায় এ বছরও এর চাষ বেশি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষ থেকে শুরু করে ফসল তুলতে খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। প্রতিমণ সরিষা বিক্রি করা যায় দুই হাজার ৫’শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘাতে ৫-৭ মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা লাভ করা যায়। এছাড়া সরিষা আবাদে তেমন সেচের প্রয়োজন হয়না। তাছাড়া মাত্র তিনমাস সময়ে সরিষা আবাদ করা যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। এবার জাব পোকার আক্রমণ না থাকায় সরিষার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।

মিরপুর উপজেলায় তামাক চাষ নিরোধে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগীতায় এবং স্থানীয় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণ সংস্থার বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ফসল উৎপাদন ও বহুমুখী আয়ের উৎস্য সৃষ্টি শীর্ষক কার্যক্রম চালু করেছে।

দিশার কারিগরী কর্মকর্তা কৃষিবীদ জিল্লুর রহমান বলেন, এই মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের এগারোটি গ্রামে তামাক চাষ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য আমরা ১২০ জন কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে সরিষা বীজ, সার ও কীটনাশকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে সরিষার ফলন ভালো হবে বলে আশা হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় তামাক চাষ অনেকটাই কমে গেছে বলেও দাবী করেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকারের কৃষি বিভাগের পাশাপাশি পিকেএসএফ’র সহযোগীতায় ও দিশার বাস্তবায়নে আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের সাথে যোগাযোগ রেখে এই কৃষিখাতকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরিষা চাষে ১১০০ হেক্টর জমিতে এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা গত বছর ভালো মূল্য পাওয়ায় ও আমাদের কৃষি অফিস থেকে ১৭শ ৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যে ভালো জাতের বীজ দেওয়ায় এবার সরিষার চাষাবাদ বেড়েছে।

কুষ্টিয়া শহর থেকে আসা কিরণ মাহমুদ তার পারিবার-পরিজন নিয়ে মশানের সরিষা মাঠে ঘুরতে এসেছে। তিনি জানান বাড়ীর পাশে যে হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। তা দেখে সত্যি মনটা বেশ প্রফুল্ল হয়ে যায়। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে এই বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ দেখে সত্যি আমরা অভিভুত। এখানে এসে প্রকৃতি উপভোগ করছি ছবি তুলছে অনেক মজা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ হায়াত মাহমুদ জানান, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৯২২ হেক্টর। তবে চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর। তবে এবারে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে গত বছরের চেয়ে এবার সরিষা চাষ কিছুটা বেশি হয়েছে বলেও জানান তিনি।




মেহেরপুরে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি মোটরসাইকেল চুরি

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে চাদবিল নামক স্থান থেকে ডিসকভার ব্র্যাণ্ডের ১২৫ সিসি এবং সদর একই উপজেলার সাহেবপুর থেকে পালসার ব্র্যাণ্ডের মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে চাঁদবিল থেকে এবং দুপুরের দিকে সাহেবপুর থেকে এ চুরির ঘটনা ঘটে। পৃথক এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় দুটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

চাঁদবিল থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলের মালিক তুহিনের শ্যালক শিশির বলেন, ঘটনার সময় তার দুলাভাই তুহিন সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে চাষের জমি দেখতে গিয়েছিলেন।

এর কয়েক মিনিটের মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে চোর চুয়াডাঙ্গা সড়কের দিকে চলে যেতে দেখে। কিন্তু সড়কে উঠার আগেই মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। অপরদিকে, সাহেবপুর গ্রামে একই ভাবে পালসার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।




গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টিকাদানকারি স্বেচ্ছাসেবীদের আত্নসাতের অভিযোগ

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিট ভ্যাকসিনেশনে নিয়োজিত স্বেচ্ছা সেবকদের জন্য বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকার হিসেব মিলছে না। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী ও ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রশি টানাটানি।

যাদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা তাদের মাঝেও বিতরণ করা হয়নি। ইপিআই টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে জোরপুর্বক নেয়া দুই লাখ টাকা এখন টক অব দ্যা গাংনী। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বলেছেন,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় ভ্যাকসিনেশনের জন্য স্বেচ্চা সেবক নিয়োগ করা হয়। প্রতিটি দলে তিনজন করে পাঁচটি দলে মোট ১৫জন স্বেচ্চাসেবী কাজ করে। সেসময় প্রতি জনের জন্য ৩৫০ টাকা করে সম্মানী প্রদানের কথা বলা হয়। এক বছর শ্রম দেয়ার পর গত ৩০ জুন ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

এদের মধ্যে অধিকাংশ স্বেচ্চা সেবক তাদের সম্মানীর টাকা পেলেও অনেকেই তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কার কাছে চাইবেন তাদের পাওনা এ নিয়ে পড়েছেন জীবন বাজি রাখা সেই সকল টিকাদানকারিরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কয়েকজন স্বেচ্চা সেবক জানান,তারা করোনা মহামারীকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করেছেন। অথচ তাদের প্রাপ্য সম্মানীটা আজো বুঝে পাননি।

স্বেচচা সেবকদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থের দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করে তা পকেটস্থ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সুপ্রভা রানী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা সুপ্রভা রানীর স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হলেও দুই লাখ টাকার দায় নিচ্ছেন না তিনি।

দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুল রশিদের ওপর। টাকা হাতিয়ে নেয়ার দোষ ঢাকতে সুপ্রভা রানী ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশিদসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারিদের ওপর মানষিক নির্যাতনে মেতে উঠেছেন।

এ ব্যাপারে ইউপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশিদ জানান, গত ৩০ জুন রাতে হঠাৎ করে স্বেচ্চা সেবীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়। ওই দিন স্বেচ্চা সেবকদের তালিকা প্রস্তুত করে পরের দিন টাকা উত্তোলন করা হয়। সেই টাকা বিতরণ করার পর অনেক স্বেচ্চা সেবী অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রাপ্্য ২ লাখ টাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা নিজের কাছে রাখেন।

এর আগে ওই টাকা প্রদানের সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে টাকা গ্রহনের রশিদ দিতে বলা হলে তিনি রশিদ প্রদান ছাড়াই মানষিক চাপ প্রয়োগ করে টাকা গ্রহন করেন।

টাকা নেয়ার সময় তিনি অফিসে ডেকে বলেন আমি সদস্য সচিব এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। আপনার কাছে বিতরণ হয়নি এমন ২লাখ টাকা আছে তা আমাকে দিয়ে দিন। নইলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি তখন তাকে টাকা প্রদান করি। সেসময় তিনি বলেন যারা টাকা পায়নি তাদের বলবেন আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহন করবে।

অথচ সেবসব টাকা আজ অবদি পাওনা দারদের মাঝে বিতরণ করেননি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী। এজন্য স্বেচ্চা সেবকদের টাকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা।

এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান,তার কাছে কোন টাকা নাই। ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশিদ তাকে কোন টাকা প্রদান করেন নাই।

যেহেতু আপনি করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব আপনার স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে উক্ত টাকার দায় কার? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলবেনা বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মৌসুমী খানম জানান, আমার অফিসে ইপিআই টেকনিশিয়ানকে ডেকে বিস্তারিত জেনেছি। টিকাদানকারীদের মাঝে তাদের পাওয়না টাকা কেনোা বিতরণ করা হয়নি তার লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বাবা হারালেন চঞ্চল চৌধুরী

বাবা হারালেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতার বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

রাধা গোবিন্দ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর ইত্তেফাক অৃনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন চঞ্চল চৌধুরীর বন্ধু অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।এর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চঞ্চল চৌধুরীর বাবা । দীর্ঘদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি জানান, হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাকুর (চঞ্চল চৌধুরী বাবা) লাশ আজ রাতেই গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার কামারহাট গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।




হোয়াটসঅ্যাপে একসঙ্গে একাধিক বার্তার বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করা যাবে




দামুড়হুদার জয়রামপুর হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় এক মাদ্রাসার ছাত্র উদ্ধার

ধিঃ দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠাল তলায় হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় মাহিন খাঁন(১২) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলার কানা পুকুর ধার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠালতলাস্থ কানা পুকুর ধারে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি শিশুকে দেখতে পাই স্থানীয় এক ভ্যান চালক। পরে ঐ ভ্যান চালক কাঁঠাল তলা বাজারের লোকজনের জানান, কাঁঠাল তলা বাজারের ব্যাবসায়ীরা ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা কানা পুকুর ধারে গিয়ে শিশুটি উদ্ধার করে দামুড়হুদা থানায় খবর দেয়।

এসময় খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শেখ তৌহিদুর রহমান শিশুটি কে উদ্ধার করে থানায় নেই।

উদ্ধার হওয়া শিশু মাহিন খান রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে। শিশুটি পাংশা থানার আজিজপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র।

শিশু মাহিন খান বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে আমি মাদ্রাসার সামনে একটা তেল পাম্প আছে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে মটরসাইকেল নিয়ে দুই জন লোক এসে আমার বলেন প্রস্রাব খানা কোন দিকে , আমি বলি মাদ্রাসায় প্রস্রাব খানা আছে, আবার তেল পাম্পেও আছে, তখন ঐ লোক আমার বলে আমার সাথে গিয়ে দেখিয়ে দাও, আমি তখন সাথে যায় টয়লেটের সামনে গিয়ে আমার মুখে একটা টিস্যু না রুমাল মতো কি ধরে আর আমি কিছু বলতে পারবো না।

শিশুটির পিতা আঃ রাজ্জাক বলেন, আমার ছেলের গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কোথাও খুঁজে পায়নি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশে আমার ফোন দিয়ে বলেন আপনার ছেলের হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় পাওয়া গেছে, খবর পেয়ে আমরা দামুড়হুদা থানায় এসেছি।

কারা অপহরণ করতে পারে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই কারা এসব কাজ করেছে আমি কিছুই বলতে পারছি না।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সকালে দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় রাস্তার পাশে হাত বাঁধা একটি শিশুকে দেখে থানাতে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে এস আই শেখ তৌহিদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়, শিশুটির পরিবারকে খবর দেয়া হলে তারা থানাতে আসলে পিতার জিম্মায় ছেলেটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় লোকমোর্চা সদস্যদের সাথে সমাজসেবা কর্মকর্তার মতবিনিময়

দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার বিভিন্ন ভাতা বিষয় নিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভা করেছে।  বুধবার সকাল ১১টার দিকে সমাজসেবা অফিসে।

দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার আয়োজনে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক এর সাথে সমাজসেবা প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি ও আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা লোকমোর্চার সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিনা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক ইউনুছ আলী, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি,পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক শিশির, নির্বাহী সদস্য মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, রকিবুল হাসান তোতা, মাকসুদুর রহমান রতন, হাউলী ইউনিয়ন লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আনিছুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার ফরহাদ হোসেন।