গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে পিঠা উৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য ও জাকজমক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসব ও একাদশ শ্রেনীর ক্লাশ উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেছেন নানা উদ্যোগ।

এ বছরের পিঠা উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় কলেজের অধ্যক্ষ মহাঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এমএএস ইমন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী,সহকারী অধ্যাপক সাইফুর রহমান টোকন, বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি মোঃ নকিম উদ্দিন প্রমুখ।

এবারের পিঠা উৎসব ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস উদ্বোধন অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এমএএস ইমন।

জানা গেছে, আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৯ টার সময় কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠান চলবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। এর আগে সকাল ৯ টার সময় একাদশ শ্রেণির ক্লাস উদ্বোধন করা হবে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস উদ্বোধন ও পিঠা উৎসবে যোগ দেবেন জনপ্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পরে পিঠা উৎসবে  অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্যই থাকবে উন্মুক্ত । বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের বাহারি নকশায় ও বিভিন্ন স্বাদের পিঠাপুলি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সাজাবে পিঠা প্রতিযোগিতার সকল স্টল।




উৎসব মূখর পরিবেশে কোটচাঁদপুর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সরস্বতী পূজা উৎযাপন উপলক্ষে উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

শনিবার বিকালে উপজেলার শিঙ্গিয়া বটতলা ঘাটে সিঙ্গিয়া আইপিএম কৃষি মোর্চা সহযোগিতায় ও সিঙ্গিয়া গ্রাম বাসীর আয়োজনে স্থানীয় বলুহর বাঁওড়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে মোট ৮ টি নৌকা অংশগ্রহন করে।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দেখতে সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে শিঙ্গিয়া গ্রামের হালদার পাড়া এলাকার বাঁওড় পাড়ে। দূর দুরান্ত থেকে শুরু করে আশপাশের সব এলাকা থেকে সব বয়সী শত শত মানুষ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দেখতে আসেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সুসজ্জিত নৌকা নিয়ে প্রতিযোগীরা অংশ এতে নেন।

বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বৈঠার ছপ ছপ শব্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল এই নৌকা বাইচ এলাকাতে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।ছিলো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়।

বলুহর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ ৩ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সঞ্জয় কুমার, বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফারুক হোসেন, বলুহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকিমুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন মুকুল ও তার দল, রানার্সআপ ঝড়ু হালদার ও তারদল,তৃতীয় স্থান আনন্দ হালদার, শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ




ঝিনাইদহে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে অকটেন, প্রেট্রোল ও সিলিন্ডার গ্যাস

কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ঝিনাইদহে প্রশাসনের নাকের ডগায় হাট বাজারে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, প্রেট্রোল ও এল পি জি সিলিন্ডার গ্যাস।

জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফরোক অধিদফতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই এরা অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করছে অকটেন-প্রেট্রোল, এলপিজি গ্যাসসহ নানা জাতীয় তরল দাহ্য পদার্থ। রাস্তার পাশে সারি সারি সাজানো বতলের বাহারি রং দেখলেই মনে হবে সরকারি অনুমোদন নিয়েই এসব ব্যবসায় পরিচালনা করছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে একাধীক স্থানে রয়েছে এইসব দোকান। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই ঝুকিপূর্ণভাবে খোলা বাজারে এসব বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারে অনুমোদনহীন দোকান থেকে অকটেন ও প্রেট্রোল কিনে যে কোনো সময় দূর্বৃত্তরা ঘটাতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে সহজ সরল পথচারী ও স্থানীয় জনগন।

জানা গেছে জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা-পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোথাও, কোথাও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নাই। এইসব দোকানে নেই কোনও আগুন নির্বাপক যন্ত্র, আবার থাকলেও সেটা রাখা হয় অন্য যায়গায়। যে কোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারের নিয়ম জানা নেই এইসব ব্যবসায়ীদের।

জেলার বিভিন্ন হাটবাজার এমনকি গ্রামের মুদি ও চায়ের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এসব দাহ্য পদার্থ। সদরের হলিধানী বাজার, বৈডাঙ্গা, ডাকবাংলা, বিষয়খালী, বাজার গোপালপুর, মধুপুর, নারােকল বাড়ীয়া, কুষবাড়িয়া, হরিণাকুণ্ড উপজেলার কুলবাড়িয়া, সাতব্রিজ, ভবানীপুর, রামনগর, নারায়ণকান্দি, দখলপুর, রিশখালী, সোনাতনপুর, শিতলী, ভালকী, পায়রাডাঙা, শাখারীদহ, চাঁদপুর, রঘুনাথপুর, চরপাড়া, জোড়াদহ, ভায়না, কসাই মোড়, আমেরচারা, পার্বতীপুর, হলবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে বাইরে থেকে ড্রামে করে তেল এনে প্রকাশ্যে এসব বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার সড়কের পাশে প্রশাসনের নাকের ডোগায় রয়েছে এসব দোকান।

উপজেলার লোহা পট্রিতে মবিল ও পেট্রোল ব্যবসায়ী আলিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ১৯৭৪ সালে অনুমোদন নিয়ে পেট্রোল ব্যবসা করে আসছি। আমার অনুমতি পত্র হরিণাকুণ্ড থানায় দেওয়া আছে আমার কাছে নেই। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিলু জানান, আইনের উর্ধ্বে কেঊ নাই আমি বেশ কয়েকবার আইন শৃংখলা মিটিংয়ে বলেছি ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য, আমি আশাকরি খুব দ্রুতই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা করেন।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) গণমাধ্যমকে জানান, প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল বিক্রয় করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে সেটা অপরাধ। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার ১০ টির উপরে বিক্রয় করলে সেটা আইন বিরোধী। খুব শীঘ্রই এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান, বতর্মান বাজারে যারা এসব ব্যবসায় করে আসছে খুব শীঘ্রই উপজেলা প্রশাসন থেকে বাজার মনিটরিং করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে  ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এর নেতৃত্ব এই ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কোর্টপাড়া ও বাগানপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। পরিচালিত অভিযানে বেশ কয়েকটি পানির কারখানাগুলোতে তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

অভিযানে কোর্টপাড়া মেসার্স একুয়া ফ্রেশ ড্রিংক ওয়াটার নামক পানির কারখানায় পানির টেস্ট রিপোর্ট ও লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকরভাবে পানি বোতলজাত ও বাজারজাত করার অপরাধে এর মালিক মোঃ সাঈদ আশীককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৭ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে একই এলাকায় মেসার্স ইসরা ড্রিংকিং ওয়াটার নামক পানির কারখানায় তদারকি করা হয়। এসময় পানির জারে মেয়াদ, মুল্য অর্থাৎ মোড়কীকরণ বিধি অমান্য করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ মনিরুল ইসলামকে ৩৭ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাগানপাড়ায় মেসার্স লাইফ ওয়াটার নামক পানির কারখানাকে জনস্বাস্থ্য থেকে পানির টেস্ট রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা আদায়ের সময় আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একটি টিম।জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ




পথশিশু – এস এ কাওছার

পথশিশু পথের ধারে
পড়ে আছে অকাতরে
শীতের সাথে যুদ্ধ করে
করছে জীবন পার!
পথশিশু হলো বলে
নাই কি অধিকার?

পথশিশু নাম দিয়েছে
এদের শুনি কে
জন্ম তাদের কে দিয়েছে
কোথায় গেলো সে?
অপরাধী তারা নাকি
সমাজপতি যারা
অবহেলায় তবে কেন
পথশিশুরা?

পথ থেকে এদের সরাতে
রাষ্ট্রের দায় নয়কি তাতে?
স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে
দেবে এদের কারা!
বেঁচে থাকার অধিকার কি
পাবেনা তবে তাঁরা।




পকেটমার দলের সদস্য মোশাররফ করিম!

ক্যারিয়ারে কখনো চোর, কখনো মানবহিতৈষী, কখনো পাড়ার মাস্তান, কখনো বা বোকাসোকা মানুষ-এ রকম নানা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত মোশাররফ করিম। এবার তিনি নাটকে ক্যানভাসার চরিত্রে হাজির হচ্ছেন। যেখানে তিনি আসলে পকেটমার গ্রুপের একজন সদস্য। নাটকের নাম ‘রঙিলা’। এটি পরিচালনা করেছেন যুবায়ের ইবনে বকর। প্রযোজনা করেছেন সিএমভি।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, দলের দুই সদস্যকে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে লায়লা নাচ-গানের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে বেড়ায় মোশাররফ। মূলত সে ক্যানভাসার। তার দলে একটি মেয়ে নাচে। সে ক্যানভাস করে, আরেকটি ছেলে উপস্থিত দর্শকদের পকেটমারায় ব্যস্ত থাকে। এভাবেই চলতে থাকে তাদের ব্যবসা। কিন্তু দলে বিভেদ তৈরি হয় নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে। দলের সদস্য ক্যানভাসার ও পকেটমার দুজনেই মেয়েটিকে প্রেমিকা হিসাবে দাবি করে। এ নিয়ে তৈরি হয় ঝামেলা।

এ নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘নাটকটির গল্প কৌতুকধর্মী হলেও বাস্তবে কিন্তু এ রকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। মানুষকে ঠকিয়ে সব কেড়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। সেটাই নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অভিনয় করে ভালো লেগেছে। আমার বিশ্বাস, দর্শকও নাটকটি দেখে সচেতন হবেন।’ নাটকটি শিগ্গির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা জানান। এদিকে মোশাররফ করিম বর্তমানে টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন।




মেহেরপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের মল্লিক পাড়ায় জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে করেছে সাইফুল ইসলাম ঘটন ও মেহেদী হাসান রোলেক্স ।

শনিবার সকালে মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিক পাড়ায় এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম ঘটন বলেন আমার চাচাতো ভাই মোবিন উদ্দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আমাদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমাদের পরিবারের মান খুন্ন করেছে যা আমাদের জন্য দুঃখ জনক।

আমাদের নামে আইন অমান্য করার কথা বলেছে। চাচা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে ১৪৫ ধারার জন্য মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত ১১/০৯/ ২০২২ তারিখে মামলা খারিজ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন চাচাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি জীবন নাশের হুমকি দেওয়া তো প্রশ্নই আসে না।

জমির জবর দখলের মূল ঘটনা হচ্ছে আমার পিতামৃত-এ কে এম সামসুজ্জোহা, চাচা আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মজিদের সাথে ১৯৬৪ সালে বিনিময় দলিল করে দলিল নং-৫৭৩৪ আমার পিতা তাদের ৬ একর ৭৪ শতক নিজ নামীয় সম্পত্তি প্রদান করে বিপরীতে ৫৭৩৩ নং দলিলে তারা আমার পিতাকে ৬ একর ৯১ শতক জমি প্রদান করে। এর মধ্যে ২ একর ২৩ শতক জমি শরিক নাই আব্দুল মান্নানের। বলে আমার আব্বার সাথে প্রতারনা করে তিন শরীকের জমি প্রদান করে। ২ একর ২৩ শতক জমির মধ্যে ১ একর ৪৮ শতক জমি আমার পিতা বুঝিয়ে দেওয়া হয় নি। পরে চাচাকে উক্ত বিষয়ে বললে মৌখিকভাবে আমাদের জমি বুঝিয়া দিয়া দখল দেয়। সেই থেকে আমরা জমির ভোগ দখল করে আসছি। আমরা কোন জমি জবর দখল করি নাই। আমার পিতা ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরন করলে আমরা চাচার সাথে জমি রেজিষ্ট্রি চাইলে বিভিন্ন তাল বাহান শুরু করে। পরে ২০১৭ সালে আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি মামলা নং-৩/১৭ যা এখনও চলমান। মামলা চলাকালীন চাচা ৪টি দলিলে আইন অমান্য করে জমি বিক্রয় করে দলিল নং-১১১৮/১৯, ১৬৭৪/১৯, ১৬৭৬/১৯, ১৬৭৭/১৯ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা সামাজিকভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার চাচা রাজি থাকলেও চাচাতো ভায়ের কারণে সমাধান হয়নি।

তিনি আরও বলেন গত বুধবার ১৮/০১/২০২৩ তারিখে আমার চাচাতো ভাই আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করলে শনিবার ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে থানায় বসার কথা থাকলেও আমরা হাজির হলে তারা মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্তকে মুঠোফোনে জানায় তারা থানায় বসতে রাজি না।




কুষ্টিয়ায় জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে ‘সফল যারা কেমন তাঁরা’ আড্ডা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে সফল যারা কেমন তাঁরা শীর্ষক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কনফারেন্স রুমে এ আড্ডায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গুনী হতে কোন বয়স লাগে না। সমাজের জন্য কাজ করলেই কেবল গুনী হওয়া যায়। ‘যারা সমাজের জন্য, জাতির জন্য ও দেশের জন্য অবদান রাখেন, তাদের সম্মান করা, গুণিজনের সম্মান করাটাও আমি মনে করি আমাদের কর্তব্য।’ আজকের এই অনুষ্ঠানে অনেক গুনী ব্যাক্তিদের গল্প শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে।

তিনি বলেন, মানুষের জন্ম হয় সফলতার জন্য, ব্যর্থতার জন্য নয়, তাই আমি মনে করি গুনি তো তারাই, যে পৃথিবী জয় করেছে সে কখনো কোন অযুহাত দেখায়নি। যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মান করতে না পারলে সমাজে গুণী ব্যক্তির সৃষ্টি হয় না। মানুষকে সম্মান করতে পারলেই কেবল সম্মান পাওয়া যায়। তাই মানুষের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ দেখাতেও অনুরোধ জানানো হয়।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সেবা দেওয়ার মনোভাব নিয়ে হাসপাতাল তৈরী করে না। যদি তাই করতো তাহলে মানুষ সেখানে নির্বিঘ্নে সেবা পেতো। আমি চাই ধীরে ধীরে সেবার মনোভাব নিয়ে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসুক। সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করুক।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশটা আমার। আমি বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি। ‘আপনারা আজকে এখানে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত, তাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কারণ আপনারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের অবদান রয়েছে।’

জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম আরও বলেন, ‘এ দেশে চিন্তাবিদ, সাধক, দার্শনিকের জন্ম হয়েছে। গায়ক, কবিদের জন্ম হয়েছে; লোকসাহিত্যের জায়গা তৈরি হয়েছে। সৃজনশীল প্রতিভাব বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের কল্যাণে জাগ্রত ব্যবসায়ীসহ মানবিক কর্মকান্ড, রক্তদান কর্মসূচী, অনাহারীদের খাবার বিতরণ সহ অলাভজনক ৮ টি সেবার কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা এই জাগ্রত কাজ করে যাবে।

নজরুল একাডেমি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার আবদুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এসএম জামাল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুজন রহমান, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভালোবাসার কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান হাসান টুটুল, সুইমিং ফেডারেশন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জাগ্রত ব্যবসায়ী জনতা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক মেজবাহ উল আলম নাসিম প্রমুখ।

আড্ডায় অংশ নিয়ে জীবনের গল্প বলেন, রক্তযোদ্ধা সাদিক হাসান রহিদ, তিন প্রজন্মের নাট্যভিনেতা শাহীন সরকার, সফল ফ্রিল্যান্সার অনিক মাহমুদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুজন রহমান, দেশসেরা সাঁতারু আমীরুল ইসলাম, পশুপাখি প্রেমী শাহাবুদ্দিন মিলন, ,জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নাদিরা খানম, জেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নারী উদ্যোক্তা ঝর্ণা বেগম, ক্যান্সার সোসাইটির ফরিদুল ইসলাম, গনহত্যা বিষয়ক গবেষক ইমাম মেহেদী ও সমাজকর্মী কারশেদ আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষা, সাহিত্যে, সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ১৫ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।




আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসছে কোপা আমেরিকা

দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ সম্মানের কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে কনমেবল থেকে ১০টি ও কনকাকাফ অঞ্চল থেকে ৬টি দল অংশ নিবে।

উত্তর ও মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান কনফেডারেশনের সর্বোচ্চ সংস্থা কনকাকাফের সঙ্গে মিলে আবারো যৌথভাবে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল এই কোপা আমেরিকা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের নতুন বিভিন্ন সমঝোতার অংশ হিসেবে যৌথ আয়োজনের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কোপা আমেরিকা ছাড়াও ক্লাব ও নারী ফুটবলেও এই দুই অঞ্চলের মধ্যে যৌথ বেশ কিছু টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।

কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ডোমিনগুয়েজ জানিয়েছেন, দুটি সংস্থাই চাইছে আরো বেশি ও ভাল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাতে করে কার্যত ফুটবলের মান ও শক্তি দুটোই বৃদ্ধি পাবে। উভয় ফেডারেশনেরই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু যৌথভাবে সবকিছু হলে এর থেকে আরো ভাল কিছু পাওয়া সম্ভব।

কনকাকাফের তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় যৌথভাবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। দুই বছর আগে ১৬ দলের অংশগ্রহণে কোপা আমেরিকা আয়োজন নিঃসন্দেহে সমর্থক ও আয়োজকদের জন্য একটি এসিড টেস্ট হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্বকাপের আয়োজক তিনটি দেশই প্রস্তুতিমূলক টুর্ণামেন্টের সুযোগ পাচ্ছে।

এর আগে ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আয়োজনটি যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয়েছিল যেখানে কনকাকাফ’র দেশগুলো অংশ নিয়েছিল। আগামী বছরের কোপা আমেরিকার জন্য কনকাকাফ অঞ্চলের ৬টি দেশ ২০২৩/২৪ কনকাকাফ নেশন্স লিগ প্রতিযোগিতার ফলাফলের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে। এই আয়োজনটি মূলত ইকুয়েডরের আয়োজিত হবার কথা থাকলেও তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে অপরাগতা জানায়।

কনকাকাফ আরো জানিয়েছে, আগামী বছর তারা ‘ফাইনাল ফোর’ আদলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে যেখানে দুই অঞ্চলের শীর্ষ চারটি ক্লাব অংশ নিবে। এই চারটি ক্লাব চলমান কনমেবল ও কনকাকাফ ক্লাব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই করা হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দায়িত্ব হারালেন নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী

নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এই নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৮ বছর বয়সী রবি লামিচানে নেপালের নতুন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন রবি লামিচানে।

নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

গত ২৬ ডিসেম্বর নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এর ঠিক মাসখানেকের মাথায় তার বিরুদ্ধে এমন রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। রবি লামিচানে নেপালের এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি সরাসরি অনুষ্ঠান টানা ৬২ ঘণ্টা উপস্থাপনা করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছিল তার। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই বসবাস করতেন। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

রবি লামিচানে নেপালের রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। গত বছরের জুনে রাজনৈতিক এই দল গঠন করা হয়। এবারের নির্বাচনে দলটি ১৯টি আসনে জয় পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে জোট সরকার গঠন করা হয়, তাতে যোগ দেয় দলটি।

প্রধানমন্ত্রী হন দেশটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড। উপপ্রধানমন্ত্রী পদে বসেন রবি লামিচানে। এক সময় রবি দেশ ছেড়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। যদিও ২০১৮ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন।

পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অন্য দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে রবি যথাযথ প্রক্রিয়া মানেননি। দেশে ফেরার পর তিনি নেপালের নাগরিকত্বের জন্য পুনরায় আবেদন করেননি। তাই তার নেপালি নাগরিকত্বের বৈধতা নেই। নেপাল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। এ পরিস্থিতিতে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসা বৈধ হয়নি।
সূত্র: ইত্তেফাক