দামুড়হুদায় সবুজ সংঘের উদ্যোগে বর্ন্যাতদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান

দামুড়হুদার দৈউলী সবুজ সংঘের উদ্যোগে বর্ন্যাত মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে “আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে’র” মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

জানাগেছে, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত দামুড়হুদার ” দেউলী যুব সংঘ” এর উদ্যোগে কয়েকদিনে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বর্ন্যাতদের জন্য ২১ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহকৃত অর্থ গতকাল শুক্রবার সকালে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মোবাইল ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈউলী যুব সংঘ’র সভাপতি আকরাম হোসেন, সহ সভাপতি আবু তালহা, সাধারন সম্পাদক তারিকুল, সদস্য বিপ্লব, তৌফিক, তানভীর, আল সাহিদ, শাফায়েত, সাব্বির, আরেফিন, জুবায়ের সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।




মাত্র ৬০০ টাকা বেতন থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক সাবেক এমপি টগর

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, যিনি ৬০০ টাকার কর্মচারী থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কিভাবে এই উত্থান কিভাবে সম্ভব হল এত টাকার মালিক হওয়া।তাহলে একটু পিছনে যেতেই হবে, এমপি হওয়ার পূর্বে আলী আজগর টগর ইসলাম গ্রুপে ৬০০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।

পারিবারিক ভাবে জামায়াতে ইসলাম বা মুসলিম লীগ পরিবারের সন্তান তিনি। তার পিতার নাম আব্দুল ওহাব ওস্তাগার। চাচার নাম ফকির ডাক্তার, যে ফকির ডাক্তার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বিশাল ভূমিকা রাখেন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসলাম গ্রুপের চাকুরী করা কালীন সময়ে হাতিয়ে নেন বেশ কিছু টাকা। তারপর ইচ্ছা জাগে রাজনীতি করার। তখন ওই আসনের দুজন বর্ষিয়ান নেতা রাজনীতি করতেন একজন মির্জা সুলতান রাজা ও আরেকজন মোজাম্মেল হক যিনি মোজাম্মেল কন্টাকটার নামে পরিচিত অথবা বঙ্গজ বিস্কুটের মালিক ছিলেন তিনি। সুলতান রাজা ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা, স্বাধীনতা যুদ্ধের বিশিষ্ঠ সংগঠক। আলী আজগর টগরের কুট কৌশলে এবং স্থানীয় এক লোভী নেতার সহায়তায় আওয়ামী লীগের জেলার শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদটির লাভ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ এই কুকর্মটি করেছেন। আজাদুল ইসলাম আজাদ সে সময়ে আলী আজগর টগরের কাছে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদটি বিক্রি করেছিলেন। তারপর একে একে মির্জা সুলতান রাজা কে, আজাদুল ইসলাম আজাদকে পিছনে ফেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক প্রভাবশালী নেতার সহায়তায় তিনি চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের নমিনেশন বাগিয়ে নেন।

তারপর শুরু হয় তার আসল খেলা। একের পর এক সমস্ত জাতীয় পত্রিকায় কাহিনী ছাপা হতে থাকে আলি আজগর টগরকে নিয়ে ।

২৯/০২/২০০৯ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় পৃষ্ঠা নাম্বার এক কলম নাম্বার তিন শিরোনাম করে আলী আজগর টগর ও তার দুই ভাইয়ের রাজত্বে দুই উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ। এক ভাইয়ের নাম আলী মনসুর বাবু তাকে মনসুর বাবু বলে ডাকে না তাকে বলতে হয় গোল্ডেন বাবু। কারণ তিনি গোল্ড চোরাকারবারীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আরেক ভাই আরিফ সে জীবননগর কন্ট্রোল করেন। এদের মূল ব্যবসা সোনা যাবে ইন্ডিয়ায় আসবে ফেনসিডিল। এই ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা টগর পরিবার রোজগার করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আলী আজগার টগর তার ভাই বাবুকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে। জীবননগর ও দামুড়দা উপজেলার যতগুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছে প্রত্যেকে আলী আজগর টগরের নিজস্ব লোক বলে খ্যাত। কারণ এদের মাধ্যমেই আলী আজগার টগর ও তার ভাই বাবু ওরফে গোল্ডেন বাবু ও আরিফ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ব্যবসা একটাই যাবে সোনা আসবে ফেনসিডিল।এদের সহযোগী নফর আলী দর্শনা পৌর কাউন্সিলর,সৌরভ হোসেন খাঁন ওরফে (সৌরদ্দী) চেয়ারম্যান, আব্দুল হান্নান চেয়ারম্যান, দামুরহুদার হযরত আলী চেয়ারম্যান, মুক্তার আলী চেয়ারম্যান আরো অনেকে। ঢাকা থেকে ক্রসফায়ারের তালিকা হয় সেই তালিকায় দুই ভাই তালিকাভুক্ত হয়ে পালিয়ে যায় ইন্ডিয়াতে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ক্রসফায়ার থেকে নাম বাদ দেয়।

আলী আজগর টগর এমপি এমন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেন নাই। হাট বাণিজ্য, ঘাট বাণিজ্য, রাস্তা বাণিজ্য, খাল বাণিজ্য, সবকিছু নায়ক আলী আজগর টগর।

আলী আজগর টগরের মূল ব্যবসা হলো সোনা পাচার বিনিময়ে ফেন্সিডিল আমদানি। এত অপকর্ম করেও বারবার নমিনেশন পেয়েছে শেখ পরিবারের আশীর্বাদ এবং বিপুল অর্থের বিনিময়ে।

শুধু চোরাকারবারী, চাঁদাবাজি করেই সে ক্ষান্ত হয় নাই। জীবন নগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে সৌর বিদ্যুতের নামে ১৮০ একর জমি দখলের মূল হোতা আলী আজগার টগর। সহযোগী ছিল যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। যদিও ভাগ বাটারা নিয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে তার বিভেদ সৃষ্টি হয়। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়ে ১৮০ একর জমি যাহা তিন ফসলি জমি, সাইক্লেষ্ট এনার্জি পিপিআই লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের কাছে হস্তান্তর করেন। জমি দখল করতে গিয়েই গন্ডগোল শুরু হয়। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে এই খবর ছাপা হয়েছিলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজ স্পেশাল এ ছাপা হয় প্রতিদিন এভারেজ ৬০ কেজি সোনা ভারতে যাচ্ছে বদলে আসছে ফেনসিডিল, দৈনিক মাথাভাঙ্গা খবর ছাপায় জীবননগরের খয়েরহুদা গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুর করে দখল করার অভিযোগ আলী আজগার টগরের নামে।

খয়েরহুদা গ্রামের মোল্লাপাড়ার মৃত ফজর আলী মোল্লার ছেলে জহির মোল্লা অভিযোগ করেন ২২ বছর পূর্বে তিনি বসতবাড়ি ক্রয় করেন যাহা চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগর টগর তার লোকজন সহ স্থানীয় গোন্ডা বাহিনী দিয়ে দখল করে নিয়েছিলেন।

বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে দামুড়হদাতে দুইটি বড় সোনার চালান ধরা পড়ে যার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা যায় এই চালানের মালিক ছিলেন আলী আজগার টগর এবং সহযোগী ছিলেন তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এসপি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ভোট বিহিন কথিত সাবেক এমপি আলী আজগার টগর সম্প্রতি তিনি ৪০ লক্ষ ডলার পাচারের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, যার তদন্ত চলমান রয়েছে ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের সহযোগী দর্শনার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক আরিফ এর মাধ্যমে ৪০ লক্ষ ডলার ভারতে পাচার করেছেন। টগরের এই সমস্ত অপকর্মের টাকা দিয়ে তার দুই ভাইয়ের নামে কলকাতার সল্ট লেকে দুটি বিলাশ বহুল ফ্লাট ক্রয় করেছেন।




গাংনীর অশোক চন্দ্র বিশ্বাসের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার ডাঃ অশোক চন্দ্র বিশ্বাস। কলকাতার অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইমিরেটার্স প্রফেসর ডক্টর রুবি সাইনের তত্ত্বাবধানে তিনি এ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার গবেষণার বিষয় ছিল “Health Services in Bangladesh: Role of NGOÕS in the policy implementation field “

গত ২রা আগস্ট তার ভাইবা সম্পন্ন হয় এবং ২৮শে আগষ্ট ভিসি মহোদয় ডিগ্রী অনুমোদন প্রদান করেন।
ডাঃ অশোক চন্দ্র বিশ্বাস মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌর সভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মৃত- শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও রেখা রানী বিশ্বাসের তৃতীয় সন্তান।

চাকুরির পাশাপাশি তিনি সামাজিক উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, ন্যায়বিচার, পরিবেশ আন্দোলন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া দলিত -হরিজন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব এবং কেন্দ্র কমিটির দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




মেহেরপুরে আর কোডের শুভ উদ্বোধন

মেহেরপুর কাসাঁরী বাজারের প্রধান সড়ক লড মার্কেটের সামনে মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় প্রধান সড়ক লড মার্কেটের সামনে মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন স্বত্বাধিকারী মোঃ রাজু গাফফারী উপস্থিতিতে আর কোড উদ্বোধন করেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়ার সহ-সভাপতি শেখ মোমিন, হোটেল বাজার ব্যবসায়ীর সমিতির নির্বাহী সদস্য রাশেদ খান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য পলাশ আনন্দ টিভি সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান পলাশ আর কোড এর ম্যানেজার কামরুল হাসান লিজন প্রমুখ।

শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচারনা করেন ডাঃ কাজী সাজেদুর রহমান।




গাংনীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান

গাংনীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করলেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক মেহেরপুর জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ ও মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে।

যোগদানের সময় কাথুলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড খাসমহল গ্রামের নেতাকর্মী সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীদের মটর সাইকেল বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

কাথুলী মোড় থেকে পা হেটে মিছিলে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের প্রতিবাদ সমাবেশ কে সাফল্য করার লক্ষ্যে সভায় যোগ দেন।

এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুছাইন মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাসীবাদী আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ও ভারত অগ্রাসনের প্রতিবাদে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জন নেতা বাবলু ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদ সভাকে সাফল্য করার জন্য আমরা কাথুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মটর সাইকেল বহর নিয়ে যোগদান করবো এবং আজকের সভাকে সাফল্য মন্ডিত করবো।




সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন মেহেরপুরের সাংবাদিক কন্যা লাকি

অ্যাডভোকেট রাফিজা আলম লাকিসহ সুপ্রিম কোর্টের ১৬১ আইনজীবীকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে এই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘১৩ আগস্ট ৯ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যতীত পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ আদেশ বাতিলপূর্বক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার ১৯৭২ এর ৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৬৬ জন আইনজীবীকে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১৬১ জন আইনজীবীকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ করলেন।’

অ্যাডভোকেট রাফিজা আলম লাকি মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক রফিকুল আলমের কন্যা। ন্যায় নিষ্ঠাভাবে দায়িত্ব পালনে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর অনুকুলে বরাদ্দ সরকারি মালামাল উদ্ধার

মেহেরপুর শহরের কাশ্যাপপাড়ায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের অনুকুলে দেওয়া সরকারি ত্রানের মালামাল উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা ভূমি কমিশনারের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল কাশ্যপপাড়ার সাবেক বিডিআর সদস্য সুরমান আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে হুইল চেয়ার, খেলার সামগ্রী, টেলিভিশন, কাপড়সহ বিপুল পরিমাণ মালামাল উদ্ধার করা হয়। মালামালগুলো পৌরসভার গাড়িতে করে মেহেরপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গেছে।

বাড়ির মালিক সুরমান আলী জানান, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আত্মিয় দোলন দর্জী মাসিক ৬ হাজার টাকা হিসেবে তার বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন। সেখানে প্রায় একবছর ধরে মন্ত্রীর বিভিন্ন মালামাল রেখে আসছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি এই বাড়িতে সরকারি ত্রানের মালামাল রয়েছে। সে খবর পেয়ে আমরা এখানে অভিযানে এসেছি। এখানে সরকারি ত্রানের বিভিন্ন মালামাল পেয়েছি। আমরা প্রাথমিকভাবে সেগুলো জব্দ করেছি। কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 




“জঞ্জাল পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বতিকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে বিএনপি- বাবলু

জঞ্জাল পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান অন্তর্বতিকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে বিএনপি। জঞ্জাল পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচনে যাবোনা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা যে কারণে জীবন দিয়েছেন সেই আন্দোলন ফলপ্রসু করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ঘুঁষ, দূর্ণীতির মূলোৎপাটন করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাল বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে গাংনী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিরাট সমাবেশ এসব কথা বলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর খুনি হাসিনার বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে এই গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান মাহবুব।

গাংনী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি আমিনুল বারী মোতালেব, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান হকা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান শাওন, স্বেচ্চাসেবক দলের মেহেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গাংনী পৌর বিএনপির ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ইনামুল হক, মেহেরপুর জেলা ছাাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক ইমন, গাংনী পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হুসাইন আহমেদ, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি আসমা খাতুন, মেহেরপুর জেলা মহিলা দলের শাখার যুগ্ম সম্পাদক নাজমা খন্দকার, বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা মেম্বর সামিরুন নেছা, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিবুল ইসলাম, সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু আরও বলেন, খুনি হাসিনা ইন্ডিয়াতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জুডিশিয়ারি ও আনসার ক্যু ঘটানোর চেষ্টা করেছে। যা এদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও জনতা রুখে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভারতের আগ্রাসনেই এদেশে পিলখানায় বিডিআর হত্যা হয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর মেধাবী ও চৌকস ৫৪ জন আরমি অফিসার হারিয়েছি। তারা সীমান্তে পাখির মত গুলি করে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করে। ভারতের আগ্রাসনেই আজকে বাংলাদেশের তিনটি জেলার লাখ লাখ মানুষ পানির নিচে তলিয়ে দিয়েছে। ওই এলাকার মানুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন ভারতের আগ্রাসন বন্ধ না হলে আগামীতে আমরা ভারতের সকল পণ্য বয়কটের ডাক দেবো। তিনি পিলখানা হত্যার ঘটনাটি পুন: তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

বাবলু আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দূর্ণীতি ও লটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি এসব দূর্ণীতির বিচার দাবি করেন। খুনি হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ৫ আগষ্টের আগে ও পরে হাজার ছাত্র জনতার বুকে গুলি করে হত্যা করেছে। আয়না ঘর তৈরী করে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বী মানুষকে ধরে নিয়ে বিনাবিচারে নির্যাতন ও হত্যা করেছে। তারা এদেশে লুটপাট, ঘুঁষ, দূর্ণীতির রাজত্ব কায়েম করেছিলো। এদেশের মানুষ তার প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার চাই। তিনি বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এদেশের মানুষের সকল বৈষম্য দুর করতেই তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। এদেশ থেকে ঘুঁষ দূর্ণীতি বন্ধ হলে বৈষম্য আন্দোলনে নিহত সকল আত্মা শান্তি পাবে। তিনি চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল ও সকল প্রকার অন্যায় জুলুম থেকে দুরে থাকার জন্য গাংনীর সকল নেতাকর্মীকে আহবান জানান।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ রাস্ট্রনায়ক তারেখ রহমান বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা যে কারনে জীবন দিয়েছেন সেটা ফলপ্রসূ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ঘুঁষ, দূর্ণীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিষয়টি ধারণ করতে হবে। এই দেশে কোনো লুটপাট, দখল হবেনা।

সমাবেশের প্রধান বক্তা জেলা কৃষকদের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মধ্যে দিয়ে আজ দেশে সংস্কার কাজ চলছে। এই সরকারের সংস্কার কর্মসূচি পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি তাদের সহযোগীতা করবে। খুনি হাসিনার সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে আজকেও যেনো সেই ঘটনা না ঘটে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিরাট গণ মিছিল থেকে শুরু হয়ে গাংনী বড়বাজার শহীদ আবু সাঈদ মোড় ঘুরে সমাবেশস্থল এসে শেষ হয়।




ঝিনাইদহে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ

বিজিবি NTMC সেল এর সহায়তায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করলো ঝিনাইদহের মহেশপুর বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে যাত্রিবাহী বাসে তল্লাশী এই মেথ জব্দ করা হয়।

মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর এক প্রেসবিজ্ঞপিতে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তি ও বিজিবি NTMC সেল হতে প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে যশোর-মহেশপুর-দর্শনা রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসের লাগেজ বক্সের ভিতর মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে যশোর হতে দর্শণা গমন করবে, এরকম সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর একটি বিশেষ টহল দল দুইভাগে বিভক্ত হয়ে জীবননগর ফুলের মার্কেট এর সামনে মহেষপুর-জীবননগর সড়কের উপর পৃথক পৃথক স্থানে ওত পেতে অপেক্ষমান থাকে। প্রাপ্ত তথ্যের বর্ণনা মোতাবেক টহল দলের ১ম অংশের সামনে দিয়ে শাপলা পরিবহন নামের গাড়ীটি অতিক্রম করলে তারা টহল দলের ২য় অংশকে তৎক্ষনাত অবগত করে। যাত্রীবাহী বাস জীবননগর ফুলের মার্কেটের সামনে আসা মাত্রই বিজিবি টহল দল পূর্ব প্রস্তুতিসহ বিশেষ উপায়ে বাসের গতিরোধ করে। পরবর্তীতে আনুমানিক ১:৫০ ঘটিকায় বিজিবি টহল দল যাত্রীবাহী বাস তল্লাশী করে বাসের ভিতরে পিছনের ডান সাইডে মাথার উপরে ব্যাগ রাখার স্থানে প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে স্বচ্ছ কসটেপ দিয়ে মোড়ানো খাকী রং এর একটি কার্টুন মালিক বিহীন অবস্থায় জব্দ করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসে। জব্দকৃত কার্টুনটি খুলে তার ভিতর হতে ৩ কেজি ৪০গ্রাম ক্রিষ্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

চোরাকারবারী, বিজিবি টহল দলের সড়কে অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে পূর্ব থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ১৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বলে জানা যায়।




মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পিপু সদস্য ও কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত প্রকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতিমুক্ত এবং একটি স্বচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ গড়তে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৩ নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারামোতাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য সোহরাব হোসেন সদস্যদের পক্ষ হতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

বক্তব্যে বলা হয়েছে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলাধীন ০৩ নং বগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ। গত ১১ ই নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শপথ গ্রহণ করি। শপথ গ্রহণ করিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হইতে পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আয়ুব হোসেন বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছে। তাকে কোন কিছুর বিষয়ে প্রশ্ন করতে গেলে সে ওয়ার্ড সদস্য সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মচারী এবং সেবা নিতে আসা মানুষদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজহ দুর্ব্যবহার করেন।

আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী সদস্যগণ তার এরুপ কার্যকলাপে বাধা প্রদান করিলে তিনি কোনরুপ কর্ণপাত না করিয়া তাহার লোকজন দ্বারা বিভিন্ন অপমানজনক কথাবার্তা সহ হাত পা ভাঙ্গা এবং মারধরের হুমকি প্রদান করে। পরিষদের সদষ্যদের কোনরুপ মতামত গ্রহণ না করিয়া চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতামূলক বিভিন্ন কার্যকলাপ নিজের খেয়াল খুশি মত বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত আছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্যরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাকে অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে গত বুধবার মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১০ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছি।
এসময় বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ তাদের সাথে একা একাত্মতা প্রকাশ করেন। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,  এই চেয়ারম্যান আমাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করত। এই চেয়ারম্যানের কাছে আমরা আমাদের ৩২ মাসের সম্মানী ভাতা পাওয়া আছে। তিনি আমাদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই সম্মানী ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা সেই সম্মানের ভাতার টাকা এখন ফেরত চাই।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের আরেক সাবেক সদস্য জাকির হোসেন বলেন আমরা চেয়ারম্যানের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি আমরা বিএনপির মেম্বার ছিলাম তাই আমাদের ৩২ মাসের সম্মানে ভাতার টাকা বিভিন্ন মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে সে আত্মসাৎ করেছে। একই ভাবে এই পরিষদের ১২ জন প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্যের সন্মানি ভাতার টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। আমরা তার কাছে এই টাকা ফেরত চাই। এবং এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার অপসারণ চাই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমরা একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,১ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম,, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুক, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য রিপন আলী,১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আফরোজা রোজ, ৪,৫,ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য মাবিয়া খাতুন, সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম,শংকর বিশ্বাস,দিলিপ মল্লিক,লক্ষি মন্ডল,কোমরউদ্দীন সেলিম,বগা মোল্লা,আনারুল ইসলামসহ ১২ জন সাবেক সদস্য।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বর্তমান ইউপি সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যরা মিলে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।