দর্শনার ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার

দর্শনার ফুলবাড়ী সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এ অভিযানে ৬টি অত্যাধুনিক ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টেরপেয়ে পালিয়েছে চোরাকারবারী।

বিজিবি জানায়, বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন অন্তর্গত ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত হতে অবৈধ অস্ত্রের চালান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক শাহ মোঃ ইশতিয়াক, পিএসসি’র সার্বিক দিক নির্দেশনায় ফুলবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর রাত্রীকালীন টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ ফারুক হোসেন সঙ্গীয় টহলদল নিয়ে সীমান্ত পিলার ৮৬ হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেদেপোতা মাঠ নামক স্থানে এ্যাম্বুশ করে।

এসময় সীমান্ত পিলার ৮৬ এর নিকট দিয়ে ভারত হতে ২ জন ব্যক্তিকে মাথায় কার্টুন নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখলে বিজিবি’র সশস্ত্র টহলদল চোরাকারবারীদেরকে ধাওয়া করে। ফলে চোরাকারবারীদের মাথায় থাকা কার্টুন ফেলে দৌড়ে ভূট্টা ক্ষেতের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি সশস্ত্র টহলদল ফেলে যাওয়া কার্টুন উদ্ধার করে এবং উদ্ধারকৃত ২টি কার্টুনের মধ্যে থেকে ৬টি অত্যাধুনিক ভারতীয় এয়ারগান আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানায় অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা করে আটককৃত এয়ার গানগুলো জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আলমডাঙ্গায় জামায়াতের ৩ কর্মী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় জামায়াতের ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটকৃত ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), রেজাউল করিমের ছেলে বিপ্লব আলী (২৫) ও ঠান্ডু রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৬)।

এ জাহার সূত্রে জানাযায়, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা সহ নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলো। এসময় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাপুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। এঘটনায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করে। আজ মঙ্গলবার নাশকতা মামলায় তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।




জীবননগরে মুদি ব্যবসায়িকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

জীবননগরে ক্ষতিকর রঙ মেশানো শিশু খাদ্য, মেয়াদ ও মূল্য বিহীন, নকল পন্য বিক্রির অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এবং জব্দকৃত নিম্ন মানের ভেজাল শিশু খাদ্য পুড়িয়ে ফেলা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, ক্ষতিকর রঙ মেশানো শিশু খাদ্য, মেয়াদ ও মূল্য বিহীন, নকল পন্য বিক্রি করছে জীবননগরে দোকানিরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে মিজান স্টোরে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিকর রঙ মেশানো শিশু খাদ্য ও প্রাণের নকল প্যাকেটে খাদ্য বিক্রির অপরাধে দোকানি মিজানুর রহমানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এবং আটককৃত মালামালাগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর হাসপাতালের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান ও জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল।




চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দার অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক বিশেষ অভিযানে ০১ (এক) টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দার অফিসার ইনচার্জ শেখ সফিকুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ শিহাব উদ্দিন, এএসআই (নিঃ) রমেন কুমার সরকার, এএসআই (নিঃ) বিজন কুমার ভট্টাচার্য, এএসআই (নিঃ) মোঃ আবেদুর রহমান, কং/৩১৪ মোঃ সাদ আহামেদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারের পুরাতন যাত্রী ছাউনির নিচে হতে ধৃত আসামী পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ লিয়াকত আলী ছেলে সেলিম রেজা ঝন্টু (৩৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ সময় একটি লাল-কালো রংয়ের 125 CC, Discover চোরাই মোটরসাইকেল যার ইঞ্জিন নং-JZZWEE56066 এবং চ্যাসিস নং-MD2A15BZ5E99681 উদ্ধার করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।




দামুড়হুদা জয়রামপুরে মাটির রাস্তা এইচবিবি করণ কাজের উদ্বোধন 

দামুড়হুদার জয়রামপুরে মাটির রাস্তা এইচবিবি করণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠালতলাস্থ যাত্রী ছাউনির পার্শ্ব হতে মোজাম্মেলের জমি পর্যন্ত।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করণের লক্ষে হেরিংবন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীন এক হাজার মিটার রাস্তা এইচবিবি করণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের বাস্তবায়নে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা, ঠিকাদার হায়দার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান কবীর রিপন, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্মআহ্বায়ক রায়হানুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহসহ জয়রামপুর কুমারীদহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অফিস সহকারী জাকির হোসেন।




মুজিবনগরে অবৈধ টাক্টর ট্রলীর ধাক্কায় ২ জন আহত

মুজিবনগরে রাস্তার রাজা অবৈধ ট্রাক্টর টলির ধাক্কায়   ভাই বোন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর  বারটার দিকে মুজিবনগর-দর্শনা প্রধান সড়কের  বাগোয়ান পলি মাঠ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হল মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাঁকা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে নাফিজ (২০) ও মেয়ে শাহনাজ (২৫)।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,  নাফিজ তার বোনকে সঙ্গে  মোটর সাইকেল করে দর্শনা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন এ সময় সদর উপজেলা আশরাফপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার এসবিআর ভাটার একটি মাটি বাহনকারী  ট্রাক্টর টলি আচমকা ঘুরতে গিয়ে সামনে এসে  পড়লে মোটর সাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন নাফিজ ও তার বোন শাহনাজ।

স্থানীয়রা জানান,বল্লভপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে বাগোয়ান পুরাতন ইটভাটার পাশে নজরুল ইসলামে মোল্লার পুকুর থেকে ইটভাটায় মাটি বিক্রয় করা হচ্ছে। এই মাটি বহনের জন্য ট্রাক্টর টলি সকাল থেকে রাত অবধি অবাধে যাতায়ত করছে। মুজিবনগর দর্শনা প্রধান সড়ক থেকে পুকুরের রাস্তায় প্রবেশের সময় চালক আশরাফপুর গ্রামের মজনু

 ট্রাক্টরটি কোন প্রকার সিগন্যাল ছাড়াই আচমকা পুকুরের দিকের সড়কের মোড় নেয় সময় মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। পিচের রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে মোটর সাইকেলে আরোহী ভাই-বোন।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত ভাইবোনকে দ্রুত উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বোনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং  ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাড়ি মেহেরপুর সদর হয় তাকেও মেহেরপুরে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।




গাংনীতে বেদে যাযাবরদের হাতে পাখি নিধন, প্রশাসনের হস্থক্ষেপে বন্ধ

গাংনীর বিভিন্ন গ্রামে বহিরাগত বেদে যাযাবররা অস্থায়ী স্থাপনা গেড়ে প্রতিনিয়ত শিকার করছেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখিদের শিকার করে মুখরোচক খাবার হিসেবে খাচ্ছে তারা। সকাল হলেই গুলতি নিয়ে পাখি শিকারে বেরিয়ে পড়ছেন বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। গ্রামের বিভিন্ন বাগান ও বাড়ির আঙ্গিনার গাছে বসে থাকা পাখিদের জীবন দিতে হচ্ছে পাখিদের।

এতে এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পাখি। বেদে যাযাবরদের অনেককেই গুলতি হাতে পাখি শিকারের চিত্র দেখা গেছে গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কের অভ্যন্তরে। পাখি শিকারের বিষয়টি স্থানীয়রা প্রশাসনকে জানালে তাৎক্ষনিক পাখি শিকার বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া কাজলা নদীর পাড়ে ডিসি ইকোপার্কের পার্শে ১০০ জনের একটি বেদে যাযাবরের দল স্থাপনা গেড়ে বসবাস শুরু করেন। সকালে যাযাবর সম্প্রদায়ের নারীদল বিভিন্ন তাবিজ ও গাছ গাছড়া বিক্রি ও সাপ খেলা দেখানোর জন্য উপার্জনে বের হন গ্রামে গ্রামে। যাযাবরদের অনেক পুরুষ গুলতি ও পাখি শিকারের নানা সরঞ্জাম নিয়ে বের হন পাখি শিকার কাজে। বন বাদার ও বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা ঘুঘু,শালিক,বক শিকার করে নিয়ে আসেন। বিশেষ করে ইকোপার্কের অভ্যন্তরে শতবর্ষী অনেক গাছেই ঘুঘু শালিক বাসা বেঁধেছে। এসকল পাখিদের জীবন দিতে হচ্ছে বেদে যাযাবরদের হাতে। পাখি শিকারের বিষয়ে

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ রনি খাতুনকে সংবাদ দেয়া হলে  তাৎক্ষনিক ভাবে প্রতিনিধি পাঠিয়ে বেদে যাযাবরদের শতর্ক করেন এবং পাখি শিকার বন্ধ করেন।

বেদে যাযাবরদের সর্দার আব্দুস সাত্তার জানান, পাখি শিকার বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করে গেছেন। আমি আমাদের এখানকার সকলকে নিষেধ করেছি। এখন থেকে আর কোন ব্যাক্তি পাখি শিকার করবেনা।

সাহারবাটি ইউনিয়ন ভ’মি সহকারি কর্মকর্তা নুরুল হুদা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখি শিকার বন্ধের জন্য আমাকে নির্দেশনা দেয়া হলে আমি তাৎক্ষনিক বেদে যাযাবরদের কাছে যায় এবং তাদের নিষেধ করলে তারা আর পাখি শিকার করবেনা বলে প্রতিশ্যতি দিয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা পাখি সংরক্ষণ কমিটি (বার্ড ক্লাব) এর সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক জানান, পাখিদের অভায়াশ্রম না থাকায় জেলা থেকে অনেক পাখি বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। পাখিদের প্রজননের যথাপোযুক্ত পরিবেশ না থাকায় পাখিরা তাদের বংশ বিস্তার করতে পারছেনা। ফলে যে পাখিগুলি আমাদের অঞ্চলে আছে সে পাখিদের রক্ষা করা প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ দায়িত্বে পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে পাখি শিকার বন্ধ হবে। বিশেষ করে বেদে যাযাবরা পাখি শিকার করলে তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুন (ভারপ্রাপ্ত) জানান, পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয়রা আমাকে এবিষয়ে জানিয়েছেন। আমি তাৎক্ষনিক পাখি শিকার বন্ধের জন্য নিদের্শনা দিয়েছি। এর পরেও যদি কেউ পাখি শিকার করে তাহলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




`সম্মাননা পেলে একজন শিল্পী যতটুকু খুশি হতে পারে ততটুকু হতে পারিনি’

ঢাকার সিনেমায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন। ২৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। এ সম্মাননা প্রাপ্তি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সিনেমার কিছু বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। অনুভূতি কেমন?

** রাষ্ট্র আমাকে সম্মাননা দিয়েছে। আমার অভিনয় তাদের ভালো লেগেছে বলেই বিচার-বিবেচনা করে দিয়েছে, এটি আনন্দের বিষয় বটে। তবে আজীবন সম্মাননা পেলে একজন শিল্পী যতটুকু খুশি হতে পারে ততটুকু হতে পারিনি। মনের ভেতর খারাপ লাগা আছে!

* কিসের খারাপ লাগা?

** আজীবন সম্মাননা একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। এটি বিগত কয়েক বছর ধরে যৌথভাবে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি পজেটিভ মনে হচ্ছে না। এ পুরস্কার যৌথভাবে দেওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না। আমি ভাবছি কয়েক বছর পর আজীবন সম্মাননা কাকে দিবে। যৌথভাবে দিতে থাকলে পরে তো শিল্পী পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যারা উপযুক্ত তাদের একজন করেই দেওয়া হোক। উদাহরণ হিসাবে বলি, ‘এবার ডলি জহুরকে দিয়ে আমাকে না হয় পরেরবারই দিত। বিষয়টি আরও ভালো লাগত। যৌথভাবে দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বেশি আনন্দ দিতে পারেনি।

* এবারের আজীবন সম্মাননা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই অবগত আছেন…

** জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক সব সময়ই থাকে। শুধু যে এবার তা কিন্তু নয়। সিনিয়র-জুনিয়র বিবেচনা করা হলে আমাদের সিনিয়র তো অনেকেই আছেন। সবাইকে কি দেওয়া হবে? দেওয়া উচিত? সম্মাননা দেওয়া হয় কাজের উপর বিচার করে। এটা ঠিক আরও অনেক যোগ্য শিল্পী আছেন যারা এ সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। তারা যে একেবারেই পাবেন না বিষয়টি এমন নয়। আগামীতে পাবেন বা তার পরের বার। এ নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনা করার প্রয়োজন বোধ করি না।

* বর্তমানে অভিনয় ব্যস্ততা কেমন?

** আমার অভিনীত তিনটি সিনেমায় আমার কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ‘নেত্রী : দ্য লিডার’, ‘ফিরে দেখা’ ও ‘বাংলার ফাটাকেস্ট’। সিনেমাগুলো শিগ্গির মুক্তি দেওয়া হবে বলে শুনেছি। সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি। আগামীতে কয়েকটি নতুন নাটকেও অভিনয়ের কথা চলছে।

সূত্র:যুগান্তর




দামুড়হুদায় সুধীজনদের সাথে নবাগত নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময়

দামুড়হুদা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসারের সাথে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে দেশে উন্নয়ন অনেক হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রমজান মাস আগত। রমজান মাসকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। যা খুশি তাই করে। বিষয়টি কড়া নজরদারি করতে হবে। সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে মনে প্রাণে ধারণ করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড, রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল্লাহ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম, নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজি আব্দুল কাদির, বিটিভি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি রাজন রাশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, দর্শনা ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ফয়সাল, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান রতন, যুবলীগ নেতা এসএম মহসিন, হযরত আলী, হায়দার আলী, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবীব, হাতেম আলী, শাহীন মোল্লা প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন-অর রশীদ।




গাংনীর মহাম্মদপুরে কৃষকের সেচ পাম্পের চারটি ট্রান্সফরমার চুরি

গাংনীতে ফসলের মাঠ থেকে সেচ পাম্পে ব্যবহৃত চারটি ট্রান্সফরমার চুরি করেনিয়ে গেছে সঙ্গবদ্ধ চোরের দল।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর সীমানা মাঠের কৃষক লিটন আলী ও সবুজ আলীর দুটি বৈদ্যতিক খুটি থেকে চারটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে।

কৃষকরা আজ মঙ্গলবার সকালে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে চুরির ঘটনা চোখে পড়ে। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বোরো চাষসহ অন্যান্য ফসলে সেচ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঐ এলাকার দেড়শতাধিক চাষি। চুরি প্রতিরোধে ট্রান্সফরমারে রডের খাচা দিয়ে তালাবদ্দ করা সহপাহার দিয়েও কৃষকরা রক্ষা করতে পারছে ট্রান্সফরমার চুরি।

কৃষক সবুজ আলি বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে এই সেচপাম্প থেকে রাতে বোরো ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুুত করার সময় সেচ দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে যায়। সকাল থেকে ধান রোপন করা হবে। অথচ সকালে এসে দেখি চারটি ট্রান্সফরমার চুরি কওে নিয়ে গেছে। এখন কিভাবে অন্য কৃষকদের জমিতে সেচ দেব।

মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুত সমিতির বামন্দী জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থ্পক মোঃ আবু হানিফ জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) রাতে গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের মাঠ থেকে চারটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। পুর্বে আরো হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একাধিকার থানায় মামলা করেছি। একটি কুচক্রি মহল এর সাথে জড়িত। এরা যতক্ষন পর্যন্ত ধরানা পড়ছে এ চুরি রোধ করা সম্ভব নই। প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি এদের সনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। এতে কৃষকের বিশাল ক্ষতি। বিদ্যুত বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুতব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে কৃষিকাজ চলামান থাকে।