মেহেরপুরের রাইপুরে এম এ এস ইমনের উদ্যোগে বুকলেট বিতরণ

মেহেরপুর সদর উপজেলার খন্দকারপাড়া ও রাইপুরে তরুন রাজনীতিবীদ এম এ এস ইমনের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ বুকলেট বিতরণ করেন।

এসময় শিশির অরুপ, ফারুক হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, বেলায়েত হোসেন, রাশিদুল হাসান, সাজিদ হোসেনসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




দর্শনার মুক্তি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের মৃত্যু 

দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন মুক্তি ক্লিনিকে আনাড়ি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের মুত হয়েছে। ঝামেলা এড়াতে নানা কৌশলে বাদি পক্ষের সাথে আপোষরফা করে নিয়েছে ক্লিনিক মালিক। অনেকেরই প্রশ্ন চিকৎিসার নামে এসব কসাই খানাতে আর কত প্রাণ ঝরবে।

জানাগেছে, দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের রিফজি কোলনি পাড়ার আনোয়ার হোসেন ড্রাইভারের ছেলে দর্শনা পুরাতন বাজার দারুল উলুম কিন্ডার গার্ডেন মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আমিনুল ইসলামের (৮) পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন মুক্তি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনা আক্তার সীমু আমিনুলের এ্যাপেন্ডিস হয়েছে অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারে কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে পরিবারের লোকজন তাতে সন্মতি দেয়।

অভিযোগ উঠেছে আনাড়ি ডাক্তার এ্যাপেন্ডিস অপারেশনের পর রোগির অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে পৌছালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

আমিনুলের লাশ নিজবাড়ি পৌছুলে গ্রামবাসি ক্লিনিকের উপর চড়াও হয়। একপর্যায় দর্শনা থানাপুলিশ লাশ উর্দ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানাতে নেয়। সূত্র জানিয়েছে বাদি পক্ষের সাথে ক্লিনিক মালিক কৌশলে ঝামেলা এড়াতে আপোষ মিমাংসা করে নেয়। ফলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ চিকিৎসার নামে এসব কসাই খানাতে আর কত প্রাণ ঝরবে।

বিষয়টি তদন্তপূর্বক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।




গাংনীতে গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত

গাংনী উপজেলা চেংগাড়া সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয় নবম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা  শুক্রবার সকাল দশটা থেকে “যেমন খুশি তেমন সাজো” ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিন ব্যাপি প্লেট র্মাবেল উত্তোলন,ইট পায়ে হাটা,ঘরে বাইরে,চেয়ারে বসা. গুপ্ত ধন,অংক দৌড়, বন্ধ চোখে হাসঁ ধরা,ডিগবাজী, বস্তার উপরে বসে বস্তায় টানাদৌড়,বালিতে ঝুলিয়ে বল নিক্ষেপ,গামলার ভিতরে বেলুন ফোঁটানো,পিঠে হাড়ি ভাঙ্গা,স্বামীর পেটে স্ত্রীর বল নিক্ষেপ,(স্বামী স্ত্রী) দড়ি টানাটানি,হাড়ি ভাঙ্গা,আস্তে আস্তে মটর সাইকেল চালোন,মেরুদন্ড শক্তির পরিক্ষা, তেলাক্ত কলা গাছ,বালিশ লড়াই, সাবানা মাখা প্রতিযোগিতা,অন্ধভাবে পথ চলা, এছাড়ও রয়েছে নতুন আকর্ষনীয় সব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো স্মৃতি ধরে রাখার জন্য চেংগাড়া গ্রামের যুব সমাজ এই আয়োজন করেন।

শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পরিচলানা কমিটির জান মোহাম্মদ মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক,বিশেষ অতিথি ছিলেন ষোলটাকা ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন(পাশা),সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান,গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা,গাংনী প্রেক্লাবের জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক মজনুর রহমান আকাশ,ষোলটাকার ছয় নং ওর্য়াড মেম্বর আবদø কুদ্দস প্রমুখ।

আয়োজক কমিটির সভাপতি জান মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, গ্রামীন খেলা ধুলাকে ধরে রাখার জন্য এই খেলাধুলার আয়োজন। এই খেলা প্রতিবছর আয়োজন করি। কোভিড এর কারনে দুই বছর হয়নি। ১১ বছরে ধরে এই খেলাধুলা চালিয়ে আসেছেন চেংগাড়া গ্রামের লোকজন। দূর দুরন্ত থেকে এখানে খেলা উপভোগ করতে আসেন। বিভিন্ন বয়সের মানুষ তারা উপভোগ করে এবং আনন্দ পাই।

চেংগাড়া গ্রামের ইলাইহি বক্রা (৯৫)বছরে বৃদ্ধা ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে জানান, গ্রামের খেলাধুলা নাম শোনে খুবই আনন্দ লাগলো আসতে কষ্টে হলে,আসতে পেরে খেলা দেখেতে পেরেছি এটাই অনেক আনন্দ। ,হরেক রকমের খেলাধুলা আমার খুবই পছন্দ বলে জানান।

গাংনী ফতাইপুর গ্রাম থেকে খেলা দেখতে আসা আব্দুল কুদ্দস আলী (৭৯) আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসে খেলাধুলা করে। আমাদের নাতিপুতিরা বাবা এই সব খেলাধুলার নামইে জানে না।

ফিল্টে বসে খেলা দেখার মজা আলাদা বলে জানান ষষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী চেংগাড়া গ্রামের খেলা দেখতে আসা মাইশা আক্তার জানান,গ্রামীণ খেলাগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই হাড়াভাঙ্গা গ্রাম থেকে এসছি আহ! বাবা মা‘র শৈশব কাল কতই না স্ন্দুর ছিলো। এটাও অনুভাব করছি আহরে কতো না সুন্দর ছিলো কিশোর আর শিশু কাল তাদের। গ্রাম বাংলার এ এক অপূর্ব নিদর্শন কালের গর্ভে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে এই খেলাধুলা,হারিয়ে যাচ্ছে শিশু দের দুরন্তপনা।

বক্তারা বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলোর আজ বিলপ্তির পথে গ্রামীণ খেলাগুলো অস্তিত্ব খুজেঁ পাওয়াই কঠিন। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া গ্রাম বাংলার খেলাধুলা আজ রুপকথার ন্যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শতাধিক গ্রামীণ খেলাধুলার প্রচলন ছিলো। কালের বির্বতনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ,ডেস্কটপে ভিডিও,এসব খেলার কারনে গ্রামীণ খেলা গুলো বিলপ্তির পথে বলে মনে করেন




দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ওয়ার্কাস পার্টির মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় ওয়ার্কাস পার্টির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্প চত্ত্বরে।

দামুড়হুদা থানা কমিটির সভাপতি কমরেড আনছার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমরেড শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বদ্দী,কমরেড আমিনুল ইসলাম লাল্টু,কমরেড নুরুল হুদা,কমরেড আ:মান্নান, কমরেড নজরুল ইসলাম। কাশেম,মিলন,সামাদুল হক।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কমরেড আ:সামাদ।




দামুড়হুদায় স্পোটিং ক্লাব কতৃক আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় দশমী স্থানীয় পাড়া স্পোটিং ক্লাব কতৃক আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০ টায় দামুড়হুদা দশমী স্থানীয় পাড়া স্পোটিং ক্লাব কতৃক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে তিনটি দল অংশগ্রহণ করেন দশমী স্থানীয় পাড়া, বনানী পাড়া ও পলাশী পাড়া একাদশ অংশগ্রহণ করে। খেলায় দশমী স্থানীয় পাড়া একাদশ চ্যাম্পিয়ন ও পলাশী পাড়া একাদশ রানার আপ হয়।

খেলায় অ্যাম্পায়ার ছিলেন নাঈম হাসান মন্ডল। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। পুরুষ্কার বিতরণ করেন দশমী স্থানীয় পাড়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠা সভাপতি শেখ হাফিজুর শামসের। তিনি বলেন মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে বাচাঁতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই, তাই আমাদের সকলকে খেলাধুলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলামিন হক টনি, সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিম,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজ মুগ্ধ, বহিঃ সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক সিজান পারভেজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলিফ মাহমুদ জীবন।




মুজিবনগরে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ ৩জন গ্রেফতার

মুজিবনগরে ২ বছরের সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী সহ ৩জন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

গত বৃস্পতিবার রাত্রে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল এর নেতৃত্বে মুজিবনগর থানার এসআই উত্তম কুমার, এসআই আল নোমান, এসআই আরিফ, এএসআই আব্দুর রাজ্জাক সহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে দুই বছরের সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত পালাতক আসামি কারিবুল ইসলাম (৩৫) এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত বদরুদ্দিনের ছেলে আলাল উদ্দিন(৫৫), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং আনন্দবাস গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম (২০) কে গ্রেপ্তার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




রাধাকান্তপুরে অবকাঠামো উন্নয়ন পরিদর্শন ও পথসভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিদর্শন ও নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য গনসংযোগ করেছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে তার নির্বাচনী এলাকার রাধাকান্তপুর গ্রাম অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পায়ে হেঁটে সমস্ত গ্রাম ঘুরে দেখেন এবং সাধারন জনগনের সাথে কথাকপোথন করেন। এ সময় গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি এনাম হোসেন বকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ।




দেশে ফিরলেন শাকিব খান

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে অনেকটা নিঃশব্দেই দেশে ফিরেছেন। এর আগে দেশে ফেরার সময় নানা আয়োজন থাকলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। দেশে ফেরার খবরটি শাকিব নিজেই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার নিজের ইনস্টাগ্রামে এই তারকা তার একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ক্যাপশনে ঢালিউড সুপারস্টার লিখেছেন- ‘ঢাকা, বাংলাদেশ।’ তার এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি এখন ঢাকায়।

দুবাইয়ের উইনার স্পোর্টস ক্লাবে ১৫ জানুয়ারি আয়োজন করা হয় ‘রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। প্রবাসে বসবাসরত বাঙালি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজিত এই ইভেন্টে অংশ নিতে গত ১৪ জানুয়ারি দুবাই গিয়েছিলেন শাকিব। এছাড়াও অংশ নেন ইলিয়াস কাঞ্চন, তমা মির্জা, রায়হান প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাকিব। দুবাই-যুক্তরাষ্ট্রে দুই সপ্তাহের সফর শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় পা রাখেন তিনি।

এর আগে দীর্ঘ নয় মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর গত আগস্টে দেশে আসেন ঢালিউড সুপারস্টার। তখন বিমানবন্দরে তাকে বরণ করতে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। এ নিয়ে অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; কিন্তু এবার অনেক নীরবেই দেশে ফিরলেন তিনি।

শাকিব অভিনীত ‘আগুন’, ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমা তিনটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়।

আগামীতে ‘মায়া’ ও ‘শের খান’ নামে দুটি সিনেমা শুরু করবেন এই তারকা।




কোটচাঁদপুরে মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় নিহত ১ 

মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় কোটচাঁদপুরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় উপজেলার গালিমপুর নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। ওই দুই জনের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরের গালিমপুর মোড়ে মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা মোটরসাইকেল আরোহীদের এতে গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মাহমুদুল ইসলাম (২৫)কে মৃত বলে ঘোষণা দেন আর রবিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

মৃত মাহমুদুল ইসলাম যশোর ঝিকরগাছা গদখালি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। আর রবি একই রঘুনাথনগর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

সহকর্মী সোহান হোসেন বলেন,মাহমুদুল হাসান ছিলেন,জাপান টোবাকো কালিগঞ্জ অফিসের স্টোর কিপার ও রবি ছিলেন সহকারী স্টোর কিপার। দুই জনই মোটরসাইকেলে করে কোটচাঁদপুর মার্কেটে এসেছিলেন ।
এ সময় দুর্ঘটনায় পতিত হন তারা। খবর পেয়ে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে এসেছি।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমিজ উদ্দিন (তপু) বলেন, আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে পেয়েছি। এরমধ্যে মাহমুদ হাসান (২৫) কে চিকিৎসা দেওয়ার আগেই মারা যায়। রবি নামের আরেক জন কে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোরে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল আলম বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।




কোটচাঁদপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকৌশলী কর্তৃক পৌরসভার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১টায় পৌর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় পৌর সচিব এনামুল হক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর জনস্বার্থ ও সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে পৌরভবন, রোড লাইট, পানি সরবরাহসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে পূর্বের মেয়রদের আমলের বকেয়া বিল বাবদ ২ কোট ৯০ লক্ষ ৭০ হাজার ৭’শ ১৩ টাকার মধ্য থেকে ২৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২’শ ১০ টাকা বকেয়া পরিশোধ করি। পরবর্তীতে আমরা প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে গত ২১ সালের মে মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ ২৮ হাজার ১০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। আমার পরিষদের সময়কালীন কোন বিল বকেয়া up।

স্থানীয় আবাসিক প্রকৌশলী বকেয়া বিল আদায়ের ব্যাপারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক ২ লক্ষ টাকা ও প্রতিমাসে বিলের সাথে ১ লক্ষ টাকা বকেয়া সমন্বয়ের প্রস্তাব দিই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আবাসিক প্রকৌশলী আমাদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পৌর এলাকার ২টি রোড লাইট ও পানির পাম্পের ৩টি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে পৌরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রক্রিয়ার সৃষ্টি করে। পৌর মেয়র বলেন, সাবেক মেয়রদের সময়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বকেয়া আদায়ে তৎপর না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এ অবস্থা উত্তোরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জাহিদ বলেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন হাত নেই।