মেহেরপুরে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

মেহেরপুরের বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে, সুবাহ্ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সুবাহ্ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সভাপক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাতের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান।

প্রোগ্রাম অফিসার আরিফ হোসেন সঞ্চালন স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবাহ্ নির্বাহী পরিচালক মইনুল আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মুন্সী এ.এইচ.এম রাশেদুল হকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে ৩৩ জন মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতিজন শিক্ষার্থী এই প্রকল্প থেকে ৬০০০ টাকা বৃত্তি পাবে।




“জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সুসংগঠিত করা হবে”–জাভেদ মাসুদ মিল্টন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা হবে। তার দিক নিদের্শনাই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সুসংগঠিত করা হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির (ভার্চ্যুয়ালী) বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

আজ সোমবার সকাল ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি সাইয়্যেদাতুন নেসা নয়ন।

উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খালেদা ইয়াসমীনের সঞ্চালনয়া অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লাইলা আরজুমান বানু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত গাংনী পৌরসভার মেয়র ইনসারুল হক ইন্সু।

প্রধান বক্তা জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়্যেদাতুন নেসা নয়ন বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা কোন ধরনের মিটিং,মিছিল আলোচনা সভা, করতে পারেনি। ছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার কে উৎখাত করে এখন আমরা প্রাণ খুলে মিছিল মিটিং করতে পারছি। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা মহিলা দলের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদার জগনাথপুরে অবৈধ আলমসাধু উল্টে চালকের মৃত্যু

দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে দুটি কুকুর বাঁচাতে গিয়ে অবৈধ আলমসাধু উল্টে চালক বাবু শাহ নিহত হয়েছেন। নিহত আলমসাধু চালক বাবু শাহ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রুহুল শাহর ছেলে।

আজ সোমবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর-বোয়ালমারি সড়কের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের অবৈধ আলমসাধু চালক বাবু শাহ কাজ শেষে জগন্নাথপুর বাজার হয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। দ্রুত গতির আলমসাধু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দামুড়হুদা উপজেলার জগনাথপুর গ্রামে পৌঁছালে রাস্তার উপর দুটি কুকুর কে শুয়ে থাকতে দেখে কুকুর দুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে চালক। ওই সময় আলমসাধু টি উল্টে গিয়ে চালক বাবুর মাথার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই আলমসাধু চালক বাবুর মৃত্যু হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




কোটচাঁদপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ

ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোটচাঁদপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় কৃষি অফিস। আজ সোমবার সকালে স্থানীয় কৃষি অফিসের সামনে থেকে এ সব উপকরণ দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোটচাঁদপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন স্থানীয় কৃষি অফিস। যার মাসকলাই ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ-২ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে এ সব তুলে দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে, কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ টিপু সুলতান।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপকারভোগী কৃষক ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।




মেহেরপুরে সাবেক আমীরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মামলার আসামি ২৩

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের তৎকালীন আমীর হাজি ছমির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি গোলাম রসুলকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক শ থেকে দেড়শ জনকে।

আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব ছমির উদ্দিনের ছেলে তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪(১)(২) উপধারা (১)/৫(১) তৎসহ দণ্ডবিধি আইনের ৪৩৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন আদালতের বিচারক শারমিন নাহার মেহেরপুর সদর থানাকে মামলাটি সরাসরি এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, বড়বাজার এলাকার যুবলীগ নেতা কাজল দত্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের বারিকুল ইসলাম লিজন, নীলমনি সিনেমা হলপাড়ার যুবলীগ নেতা মাহাবুব হোসেন, ১ নং ওয়ার্ডের জুয়েল হোসেন, মল্লিকপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান পলেন, শাহাজিপাড়ার সজল হোসেন, পন্ডেরঘাট এলাকার বায়োজিদ হোসেন, স্টেডিয়ামপাড়ার তুফান আলী, গোভীপুর গ্রামের গোলজার হোসেন, রাঁধাকান্তপুর গ্রামের জুয়েল রানা, শহরের পিয়াদাপাড়া এলাকার তৌহিদ হোসেন, চক্রপাড়ার নাসির হোসেন, গোরস্থান পাড়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনন্দ, নতুনপাড়ার রাজীব হোসেন, বামনপাড়ার দরুদ আলী মেম্বর, বন্দর গ্রামের মোমিন আলী, একই গ্রামের আলতাব হোসেন মহুরি, রাঁধাকান্তপুর গ্রামের সাজু, একই গ্রামের সামিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক কর্মী বোসপাড়ার নিসান সাবের ও লর্ড মার্কেট এলাকার আসলাম খান পিন্টু।

বাদী তার মামলার আরজিতে লিখেছে, আসামীরা ঘটনার তারিখ ও সময়ে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, জিআই পাইপ, দা, শাবল, ধারালো হাঁসুয়া, ছিপদা, রামদা, পেট্রোল বোমা ও পেট্রোল সহ সহ নানা প্রকার দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনী জনতাবন্ধে আবদ্ধ হয়ে ওই তারিখে তথাকথিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নামক কোর্টের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কোরআন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষনার পরপরই ১ ও ২ নং আসামীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও বুনো উল্লাস সহকারে “একটা দুইটা জামাত ধর সকাল বিকাল নাস্তা কর”, “জামায়াতের আস্তানা এই বাংলায় রাখবোনা”সহ নানা প্রকার ভয়ংকর শ্লোগান দিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে আসে। আসামীরা তাদের হাতে থাকা শাবল দিয়ে বাড়ীর নিচ তলার বড় ভাই তারিক মোঃ সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন “মেসার্স তাওহীদ অটো” নামক মোটর সাইকেল পার্টস ও খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানের সামনে সার্টার ও তালা ভাংচুর করে। আসামীরা ছাড়াও অজ্ঞাত আসামীগণ দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে সমস্ত মালামাল লুটপাট করে। তারা ক্যাশ বাকস থেকে ৮৫ হাজার টাকা চুরি করে নেই। একপর্যায়ে পেট্রোল ঢেলে গ্যাস লাইট দিয়ে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেই।

তারা পবিত্র কোরআন শরীফেও আগুন ধরিয়ে দেয়। (যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করে)। দোকানে থাকা টায়ার ও টিউব ব্যাটারীতে আগুন লাগায় আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখায় দোকানের কাঠের র‍্যাক, শো-কেস সহ সমস্ত জিনিস পত্রাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের কারনে বিল্ডিংয়ের ছাদের ঢালাই পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এবং ছাদের রড পর্যন্ত গলে বাঁকা হয়ে যায়। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাদী।

বাদী আরো উল্লেখ করেন, নিচের আগুনের লেলিহান শিখা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় পৌছে গেলে সেখানে অবস্থানরত আমার মা, শতবর্ষী দাদী, দুই বছরের শিশু ভাতিজী, আমার স্ত্রী ও বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ভীত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে আকুতি করতে থাকে। আসামীরা আমাদের পরিবার বর্গকে হত্যার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ পথের লোহর কেচি গেট রামদা ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কোপাতে থাকে। এঘটনায় দ্বিতীয় তলায় অবস্থানরত নারী, শিশু পরিবারের সদস্যবৃন্দ মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে আসামীগণ ভয়ভীতিমূলক বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বাড়ির সামনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে চলে যায়।

মামলার বাদি তাওফিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রাণ নাশের হুমকি থাকায় এতোদিন মামলা দায়ের করতে পারিনি। মামলাটি আদালত খুশি হয়ে সরাসরি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, আমরা এর আগেও এই মামলাটি দায়ের করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ আনুকুলে না থাকায় মামলাটি দায়ের করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিবেশ সৃস্টি হওয়ায় এই আলোচিত মামলাটি করা হয়েছে। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি সরাসরি এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

এদিকে তৎকালীন জেলা জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার বাড়ি ঘরে আগুন জালিয়ে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার।




মুজিবনগরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান

মুজিবনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুজিবনগর উপজেলা শাখা এর উদ্যোগে ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ,দুর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে ময়লা আবর্জনা এবং রোগ জীবাণু মুক্ত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছ উপজেলা জামায়তের নেতাকর্মীরা।

নতুন সময়ে জনগণের পাশে থেকে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন সহ দেশ গঠনে নানা ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তারই অংশ হিসাবে সোমবার সকালে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে আশেপাশে নোংরা আবর্জনা ড্রেন এবং ঝড় জঙ্গল পরিষ্কার করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও.খানজাহান আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাসার,উপজেলা তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওঃ ফিরাতুল ইসলাম নাঈম, উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি ফজলুল হক গাজি, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের উপজেলা সেক্রেটারি মাও. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সেক্রেটারি আমির হোসেন, উপজেলা আদর্শ শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেনসহ ইউনিয়ন আমির, সেক্রেটারি সহ নেতা কর্মীরা।




মেহেরপুরে ব্যথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীদের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অর্থ প্রদান

মেহেরপুরে ব্যথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীদের উদ্যোগে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, হিসাব নং ০১০৭৩৩৩০০৪০৯৩ তে মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা হতে ৬০,২১২/-(ষাট হাজার দুইশত বারো টাকা) জমা প্রদান করা হয়।

মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক কর্মীদের পক্ষে বলা হয়েছে আমরা কয়েকজন ব্যথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীর এই ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘পথ কনসার্ট’ কর্মসূচি আয়োজন করি। এই কর্মসূচি থেকে আমরা পাঁচটি স্থানে আমাদের সংগ্রহিত অর্থ  যা মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ ও কোমরপুর বাজারে ১৯,১০০+৬,৫১০, মেহেরপুরের আমঝুপি বাজার এবং শহরে ৭০০৫+১১,০৪০ ও গাংনী বাজার ১৬,৫৫৭= সর্বমোট ৬০,২১২ টাকা উত্তোলন করি। যা আজেকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, হিসাব নং ০১০৭৩৩৩০০৪০৯৩ তে মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা হতে উত্তোলনকৃত টাকা জমা প্রদান করেছি।

এ পথ কনসার্ট কর্মসূচিতে সার্বিক ভাবে কাজ করেন অরণি থিয়েটারের সভাপতি ও অরণি চিলড্রেন্স থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নিশান সাবের, চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার শিল্পী উদয়, শিল্পী ও কী-বোর্ড বাদক ওস্তাদ নান্টু সরকার, সাউন্ড সার্ভিস সহায়তা/ সাউন্ড ভিশন ফিরোজ, অক্টোপ্যাড বাদক আশিক, সংগীত শিল্পী পাপিয়া, জেসমিন, নাজেরা, আরিফ, লাইলী, কানন ও সুলতানা টনি।




চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলার সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভার শুরুতেই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপারের পরিচয় শেষে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল আই এবং দৈনিক জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি রাজীব হাসান কচি, জিটিভি ও দৈনিক বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, চ্যানেল ২৪ ও যায়যায়দিন এবং কালবেলার জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম লিটন, দৈনিক সংগ্রামের জেলা সংবাদদাতা এফ.এ.আলমগীর, দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মেহরাব্বীন সানভি, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি এম.এ.মামুন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি খাইরুজ্জামান সেতু, দীপ্তি টিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, ডিবিসি টিভির জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি জিসান আহম্মেদ, এখন টিভি ও দেশরূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি অনিক চক্রবর্তী।

জেলা পুলিশে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান প্রমুখ।

নবাগত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, চুয়াডাঙ্গার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সহনশীল রাখার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের বিশেষ সহযোগীতা প্রয়োজন। পুলিশের প্রতি আস্থা ফেরানোর জন্য জেলার সকল মানুষের সহযোগীতা চান তিনি।




ঝিনাইদহে ছাত্রদের তোপের মুখে হাসপাতাল ছাড়লেন তত্ত্বাবধায়ক

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ১০ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়েছেন। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে তিনি ঝিনাইদহ ছাড়তে বাধ্য হন।

তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ দেওয়া, হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও টেন্ডারবাজীর অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলামকে একাধিকবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা সতর্ক করেন। রোববার হাসপাতাল এলাকায় সাইকেল স্ট্যান্ডের ইজারা বাবদ এক নারী ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এর আগের কর্মস্থলে দুর্নীতির দায়ে বদলী হন। ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে তিনি ওষুধ কেনাকাটা, খাবারের টেন্ডার, হাসপাতালের মেরামত ও নির্মানে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করেন। তিনি আরো জানান, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি হাসপাতালের রোগীদের খাবার টেন্ডারের মাধ্যমে সরবরাহ করছে। এবছরও তাকেই কারসাজি করে টেন্ডার দেন। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন খাত থেকে তিনি মাসিক ঘুষ গ্রহন করতেন বলেও অভিযোগ। এ সব বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে তিনি ঝিনাইদহ ছাড়তে বাধ্য হন।

তবে তার অনুপস্থিতিতে শিশু বিশেণজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করবেন বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে।




মেহেরপুরে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

“বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ”, “সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সমনে রেখে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করেছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ।

এ উপলক্ষে আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বন বিভাগ (কুষ্টিয়া) কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র, মহিলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা এসটি হামিম হায়দার সহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন স্টলে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ সাজিয়ে রাখা হয়।

এ সময় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। এই মেলায় ১৭ টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।