মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সহযোগী আমাম হোসেন মিলুসহ ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার মেহেরপুরের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরের বড়বাজার মোড় ও কলেজ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র ও জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নির্দেশে আসামীগণ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জন অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভিতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং আসামীদের হামলায় এদিক—সেদিক ছোটাছুটি করাকালীন আসামীরা ছাত্র ও উপস্থিত জনতাকে খুন—জখমের হুমিক প্রদান করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল, শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বারাদি ইউপি চেয়ারম্যান ও মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম সাজেদুল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান রিটন, আওয়ামী লীগ নেতা উপপ্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরণ, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টেডিয়াম পাড়ার আনারুল ইসলাম, রাশেদ লতিফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান পোলেন, ভুমি অফিস পাড়ার তুফান, মো: আবু, অঙ্কুর, ঘোষপাড়ার আতাউর রহমান, বলিয়ারপুরের স্বপন, জুয়েল, রফিকুল, বেল্টু, টুঙ্গি গ্রামের শরিফ, খোকসা শেখ পাড়ার আনারুল,কদর আলী, সাজ্জাদ, দিঘীরপাড়ার আতিয়ার রহমান, খলিলুর রহমান, হাশেম আলী, ভেটা, মনিরুল , রানা, পিয়াদাপাড়ার চপল, বোসপাড়ার মো: মতি, বাধন খান, থানা রোডের মেজবাহ, তাহের ক্লিনিক পাড়ার মো: আরিফ, মালোপাড়ার মো: অনিক, পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার জুয়েল, গোরস্থানপাড়ার মো: বাবুল, পিরোজপুরের তোফা মোল্লা, নাসির উদ্দিন, সাধন, লুতফর রহমান, বাহার গজারি, মিঠুন, মো: সোহাগ, বকুল, মো: আদম মেম্বার, বলিয়াপুর গ্রামের মো: সাত্তার, মো: আবদুল্লাহ, মোস্তফা, ইজারুল, মসলেম, মো: সুমন, আনারুল, ডাবলু, বাবলু, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, ইসরাফিল, ওয়াদুদ, পঁচা, মিয়ারুল ইসলাম পড়–, পঁচা, আজাহার আলী, জাহাঙ্গীর, সরোয়ার, সাইদুল, জুয়েল, জুয়েল, সোহেল, আলাই, আখের, মন্টু, শরিফুল, ইসরাফিল, সাজাহান, উজ্জল, লালন, সেলিম, সাহাবুল, টুটুল, মুন্তাজ, শফিকুল, সালাম, হাকিম, মন্টু, শাহিন, কালাম, লিজন, জুয়েল, লাল, কালু, আজি, হাফি, কুদ্দুস, শরিফুল, মুকুল, মইদুল, হাসান,রিপন, ফজল, খালেক, শহিদুল মাস্টার, কালু, কালূ মেম্বার, পশ্চিম সিংহাটি গ্রামের মো: আলা, যুগিন্দা গ্রামের মো: রাকিব, পাটকেল পোতার আনারুল মাস্টার, বারাদি কলোনিপাড়ার মামুন, বর্শিবাড়িয়ার মকবুল, জুয়েল, মো: লিটন, রাজনগর গ্রামের মো: মুক্তি, মো: ওলি, কলাইডাঙ্গা গ্রামের নাইস, চাঁদপুর গ্রামের লিটন, আমঝুপি ইউনিয়ের প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে সেলিম রেজা, আমঝুপি শহিদুল ইসলাম সাগর, আনিছুর রহমান, সোহেল রানা সবুজ, মতিয়ার রহমান, সামসুজ্জামান, আলফাজ হোসেন, মো: টুটুল, আলমগীর হোসেন, আবু লায়েছ, মো: চানা, নতুন মদনাডাঙ্গার মো: সোহাগ, ইসলামনগর গ্রামের কাশেম মেম্বার, নুরপুরের সুমন, ফতেপুর গ্রামের মিলন, বামনপাড়ার আব্দুল আউয়াল, ফারুক, লিটন, ২ নম্বর ওয়ার্ড মালোপাড়ার বোরহান, রকি, নতুন দরবেশপুরের টনিক বিশ^াস, মোনাখালীর আঙ্গুর, দক্ষিণ শালিকার কালাম।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, মামলাটি আমলা নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।