কোটচাঁদপুরে ছেলের বউ ধর্ষণ মামলায় শ্বশুর আটক

ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নামে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন ছেলের বউ। (২৮ আগস্ট) বুধবার ওই মামলায় শ্বশুর আটক হলেও শ্বাশুড়ি পলাতক।

ভুক্তভোগী ছেলের বউ বলেন, গেল ১ বছর আগে মোস্তফা কামালের ছেলে রিয়াজের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমি স্বামীর সাথে আমার শশুর বাড়ীতে থাকতাম। আমার শশুর বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিতেন।

ঘটনার একদিন আগে আসামী হঠাৎ আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেন। তখন আমি ঘটনার বিষয়টি আমার স্বামীকে জানাই। তারা আমার কথা বিশ্বাস না করে, আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

তিনি বলেন, গেল শুক্রবার ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ সকালে আমার স্বামী ও শ্বাশুড়ি কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামে বেড়াতে যান। ওই রাতে এশার নামাজ পড়ে অনুমান ৯ টার আমি আমার শোবার ঘরে ঘুমাতে যায়। এ সময় মোস্তফা কামাল আমার ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জড়িয়ে ধরলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন আমি চিৎকার করতে গেলে আসামী মোস্তফা কামাল গামছা দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেন। পরে আমার পরিহিত পায়জামা, সেলোয়ার খুলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

ছেলের বউ অভিযোগ করে বলেন, এ সব ঘটনা আমার শ্বাশুড়ি সব জানতেন। তিনি এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।

ওই ঘটনায় গেল ২৪ তারিখ ছেলের বউ বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ করেন। এরমধ্যে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) শ্বশুর মোস্তফা কামালকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। তবে আটক করতে পারেনি শ্বাশুড়ি রাবেয়া খাতুনকে। ধর্ষক মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের গরসূতি গ্রামের গুলি খাঁর ছেলে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, ধর্ষন মামলা হয়েছে। ওই মামলায় স্বামী- স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে স্বামী মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামি ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।




মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ৩ নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য।

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট)  দুপুরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারামোতাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য সোহরাব হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুক, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য রিপন আলী,১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আফরোজা রোজ, ৪,৫,ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য মাবিয়া খাতুন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের কাছে জমা দেওয়া হয়।

অনাস্থা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলাধীন ০৩ নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দু। গত ১১ ই নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শপথ গ্রহণ করি। শপথ গ্রহণ করিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হইতে পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আয়ুব হোসেন বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছে। আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী সদস্যগণ তার এরুপ কার্যকলাপে বাধা প্রদান করিলে তিনি কোনরুপ কর্ণপাত না করিয়া তাহার লোকজন দ্বারা বিভিন্ন অপমানজনক কথাবার্তা সহ হাত পা ভাঙ্গা এবং মারধরের হুমকি প্রদান করে। পরিষদের সদষ্যদের কোনরুপ মতামত গ্রহণ না করিয়া চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতামূলক বিভিন্ন কার্যকলাপের নিজের খেয়াল খুশি মত বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত আছে।

এ সময় ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির তদন্তপূর্বক তাকে অপসারণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, এরকম একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি আমি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি যে নির্দেশনা দিবেন সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মুজিবনগরে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও গাছের চারা বিতরণ

মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, পরিবেশ রক্ষার জন্য পরিবেশ বিষয়ের সচেতনামূলক প্রচারণা ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার এবং গাছের চারা বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।

সচেতনতা মূলক প্রচারণা ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা বিতরণের উদ্বোধন করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুক হরেন্দ্র বিশ্বাস, গুডনেইবারর্স এর সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ।

গুডনেইবারর্স এর উদ্যোগে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬শত ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছের বিতরণ করা হবে।




অনূর্ধ্ব-২০ সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই কিছু শঙ্কা থাকলেও ফাইনালে মাঠে লড়াইয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একক আধিপত্য বিস্তার ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মিরাজুল ইসলামের জোড়া গোলে আয়োজক নেপালকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধও নিল মিরাজুল-আসিফরা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে আনফা কমপ্লেক্সের গ্যালারি ছিল নেপালি সমর্থকে ভর্তি। তবে মাঠের পারফরম্যান্স আর কোচ মারুফল হকের কৌশলের কাছে পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা।

মিরাজুল ইসলামের দুই এবং রাব্বি হোসেন ও পিয়াস আহমেদের একটি করে গোলে প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এর আগ বয়সভিত্তিক সাফের সাম্ভব্য সবগুলো ট্রফি জেতা হলেও ধরা দিচ্ছিল না অনূর্ধ্ব-২০-এর শিরোপা। তবে এবার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন বাংলাদেশের যুবারা।

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর নেপালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে খেলে সেমিফাইনালে।

এর আগে ২০২২ সালের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। এবার তাদের টাইব্রেকে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেয় মারুফুল হকে শিষ্যরা।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৮ মিনিটে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফ হোসেনকে। নিরাজন ধামীর দুরপাল্লার শট অনেকটা লাফিয়ে ওঠে কোনো মতে দলকে রক্ষা করেন তিনি। এরপর কয়েক দফা আক্রমণ করে গোল আদায় করতে পারেনি নেপালিরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ দিকে মিরাজুরের দৃষ্টিনন্দন ফ্রি-গোলে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট।

বাংলাদেশ নম্বর টেনের বুলেট গতির শট আটকানো কোনো সুযোগ পাননি নেপালের গোলকিপার জয়রথ শিখ। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ হয় বাংলাদেশের। বাঁদিক থেকে লং পাসে দূরের পোস্টে থাকা আসাদুল মোল্লাকে পাস দেন আসাদুল ইসলাম সাকিব।

আসাদুল হেডে পাস দেন মিরাজুলকে। সেই হেড দিয়েই লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। এতে জেতেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। ৭০ মিনিটে তৃতীয় গোল পেলে জয় অনেকেটা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। মিরাজুলের ছোট পাস ধরে দলতে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন রাব্বী হোসেন রাহুল।

১০ মিনিট পর নেপালের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন সমীর। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে রাব্বীর আড়াআড়ি পাসে গোলপোস্টে শট নোভা। নেপালের ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলেও, আগেই পেরিয়ে গোল গোললাইন। এতে ৪-১ গোলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের শিরোপা জয়।

সূত্র: কালবেলা




হোয়াটসঅ্যাপে খোয়া গেল ৯০ লাখ টাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। মেটার মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। পারিবারিক থেকে অফিসিয়াল তথ্য আদান-প্রদানে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। যার সুযোগে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে প্রতারক চক্র। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভনে কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।

যেখানে ভুয়া ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপের ফাঁদে ফেলে একজনের কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। প্রতারণা চক্রটি প্রথমে বিদেশি এক্সপার্টদের একটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে। প্রতারক চক্রটি এই গ্রুপের মাধ্যমে কম সময়ে বেশি মুনাফা লাভের জন্য গ্রুপ মেম্বারদের ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভন দেখাত।

এরপর প্রতারিত এই ভুয়া গ্রুপের নাম এবং এতে দেওয়া তথ্য দেখে আকৃষ্ট হন এবং বিনিয়োগে রাজি হন ভুক্তভোগী। এরপর চক্রটি তাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে প্ররোচিত করতে শুরু করে এবং ব্যবহারকারীকে প্লে স্টোর থেকে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতেও বলা হয়। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর প্রতারণা চক্রটি ওই ব্যক্তিকে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০ লাখ টাকা জমা দিতে বলে।

ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করতে চক্রটি তাকে শুরুতে ১৫ কোটি টাকা আয়ের ভুয়া তথ্য দেখায়। কিছুদিন পরে সে টাকা ট্রান্সফার করতে গিয়ে সে ব্যক্তি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারকরা তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় এবং লাভের ১০ শতাংশ বা প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর প্রতারিত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ইনভেস্টমেন্ট প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে :

১. বিনিয়োগ স্কিমগুলোকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না এবং অজানা নম্বর থেকে প্রাপ্ত মেসেজ যাচাই করবেন। ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিগুলো এভাবে ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে ইনভেস্ট করতে বলে না।

২. বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনো কথোপকথন শুরু করার আগে মেসেজ প্রেরকের পরিচয় যাচাই করে নিন। রেজিস্টার্ড কোম্পানির হলে আপনি অ্যাকাউন্টে একটি নীল চেকমার্ক দেখতে পাবেন।

৩. যদি আপনাকে কোনো মেসেজ পাঠিয়ে বা কল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করা হয়, তবে অবিলম্বে সতর্ক হন। এছাড়াও যদি কেউ আপনাকে ভালো রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয় তবে আপনি অতি সহজে বিশ্বাস করবেন না।

সূত্র: কালবেলা




সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ ১৬৩ জন আসামি

মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সহযোগী আমাম হোসেন মিলুসহ ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার মেহেরপুরের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরের বড়বাজার মোড় ও কলেজ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র ও জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নির্দেশে আসামীগণ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জন অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভিতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং আসামীদের হামলায় এদিক—সেদিক ছোটাছুটি করাকালীন আসামীরা ছাত্র ও উপস্থিত জনতাকে খুন—জখমের হুমিক প্রদান করে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল, শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বারাদি ইউপি চেয়ারম্যান ও মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম সাজেদুল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান রিটন, আওয়ামী লীগ নেতা উপপ্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরণ, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টেডিয়াম পাড়ার আনারুল ইসলাম, রাশেদ লতিফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান পোলেন, ভুমি অফিস পাড়ার তুফান, মো: আবু, অঙ্কুর, ঘোষপাড়ার আতাউর রহমান, বলিয়ারপুরের স্বপন, জুয়েল, রফিকুল, বেল্টু, টুঙ্গি গ্রামের শরিফ, খোকসা শেখ পাড়ার আনারুল,কদর আলী, সাজ্জাদ, দিঘীরপাড়ার আতিয়ার রহমান, খলিলুর রহমান, হাশেম আলী, ভেটা, মনিরুল , রানা, পিয়াদাপাড়ার চপল, বোসপাড়ার মো: মতি, বাধন খান, থানা রোডের মেজবাহ, তাহের ক্লিনিক পাড়ার মো: আরিফ, মালোপাড়ার মো: অনিক, পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার জুয়েল, গোরস্থানপাড়ার মো: বাবুল, পিরোজপুরের তোফা মোল্লা, নাসির উদ্দিন, সাধন, লুতফর রহমান, বাহার গজারি, মিঠুন, মো: সোহাগ, বকুল, মো: আদম মেম্বার, বলিয়াপুর গ্রামের মো: সাত্তার, মো: আবদুল্লাহ, মোস্তফা, ইজারুল, মসলেম, মো: সুমন, আনারুল, ডাবলু, বাবলু, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, ইসরাফিল, ওয়াদুদ, পঁচা, মিয়ারুল ইসলাম পড়–, পঁচা, আজাহার আলী, জাহাঙ্গীর, সরোয়ার, সাইদুল, জুয়েল, জুয়েল, সোহেল, আলাই, আখের, মন্টু, শরিফুল, ইসরাফিল, সাজাহান, উজ্জল, লালন, সেলিম, সাহাবুল, টুটুল, মুন্তাজ, শফিকুল, সালাম, হাকিম, মন্টু, শাহিন, কালাম, লিজন, জুয়েল, লাল, কালু, আজি, হাফি, কুদ্দুস, শরিফুল, মুকুল, মইদুল, হাসান,রিপন, ফজল, খালেক, শহিদুল মাস্টার, কালু, কালূ মেম্বার, পশ্চিম সিংহাটি গ্রামের মো: আলা, যুগিন্দা গ্রামের মো: রাকিব, পাটকেল পোতার আনারুল মাস্টার, বারাদি কলোনিপাড়ার মামুন, বর্শিবাড়িয়ার মকবুল, জুয়েল, মো: লিটন, রাজনগর গ্রামের মো: মুক্তি, মো: ওলি, কলাইডাঙ্গা গ্রামের নাইস, চাঁদপুর গ্রামের লিটন, আমঝুপি ইউনিয়ের প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে সেলিম রেজা, আমঝুপি শহিদুল ইসলাম সাগর, আনিছুর রহমান, সোহেল রানা সবুজ, মতিয়ার রহমান, সামসুজ্জামান, আলফাজ হোসেন, মো: টুটুল, আলমগীর হোসেন, আবু লায়েছ, মো: চানা, নতুন মদনাডাঙ্গার মো: সোহাগ, ইসলামনগর গ্রামের কাশেম মেম্বার, নুরপুরের সুমন, ফতেপুর গ্রামের মিলন, বামনপাড়ার আব্দুল আউয়াল, ফারুক, লিটন, ২ নম্বর ওয়ার্ড মালোপাড়ার বোরহান, রকি, নতুন দরবেশপুরের টনিক বিশ^াস, মোনাখালীর আঙ্গুর, দক্ষিণ শালিকার কালাম।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, মামলাটি আমলা নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

 




মেহেরপুরে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা

মেহেরপুরে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে বুধবার (২৮ আগষ্ট) বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান।

এসময় তিনি বলেন,  প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।

এ সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ উল আলম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জয়নুল ইসলাম, আসাফুদ্দৌলা শামীম, শফিকুর রহমান, জহুরুল হক, ইন্সট্রাক্টর আব্দুল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে এক সার ব্যবসায়ীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুর শহরের বড়বাজার কাথুলী রোডের শাহজি পাড়ার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগষ্ট ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শাহজি পাড়ার মোড়ে ফখরুল ট্রেডার্সে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সরকার নির্ধারিত মূল্য উপেক্ষা করে অধিক মূল্যে সার বিক্রয় করা ও সঠিক মূল্য তালিকা প্রদর্শণ না করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে ফখরুল ট্রেডার্স সারের দোকানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আদালত পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। সহযোগিতায় ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তাজিমুল হক ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর (ক) ৪০ ধারায় অপরাধী সাব্যস্থ হাওয়ায় ফখরুল ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




নিয়োগ দিবে আকিজ গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ গ্রুপ। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড

পদের নাম : সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছর

বয়সসীমা : কমপক্ষে ২৪ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা (ধামরাই)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ আগস্ট ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ সময় : ৩১ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা

অন্যান্য যোগ্যতা : ফিলার মেশিন/ব্লো মোল্ড মেশিন বিষয়ে ভালো দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী ওভার টাইম সুবিধা, দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ সদস্যের অনাস্থা

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ইউপি সদস্যরা।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তারা চেয়ারম্যানের অব্যাহতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অনাস্থা দিয়েছে পরিষদের ১২ জন সদস্য।

মাহমুদুল হাসান চঞ্চল উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ২০২১ সালের ২৮শে নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন ইউপি সদস্য হারুন মন্ডল, শাহাদত হোসেন, রবিউল ইসলাম, মেহেরাজ আলী, ঠান্ডু আলী, শামিম রেজা, সেন্টুু মালিতা, লাল্টু আলী, শ্রীমতি লিনা বিশ্বাস, তাপসী নেছা, মজিরন খাতুন ও রাহান উদ্দীন।

লিখিত ওই প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩২ মাসের বেতন না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। পরিষদের উন্নয়ন মূলক কাজের আয়-ব্যায়ের হিসাব মাসিক সভায় পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যদের সাক্ষর করে নেয়। এছাড়া তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে গৃহীত প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করে নেন। হতদরিদ্র কর্মসূচি প্রকল্পের ৬৪ জন শ্রমিকের মোবাইলের সিম কার্ড তার হেফাজতে রেখে দেয়। ওই প্রকল্পের শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই তুলে আত্নসাৎ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারের ১২ লাখ টাকা চেয়ারম্যান নিজেই (পিআইসি) হয়ে নামমাত্র কাজ করে বিল তুলে নেয়।

তারা অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গত তিন বছরে ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ২৪/২৫ লাখ টাকা ট্যাক্স আদায় হয়েছে। পরিষদের (সচিব) লিমন শেখ কাছে জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে নির্দেশ দেন। এবিষয়ে চেয়ারম্যান চঞ্চলের কাছে জানতে গেলে ইউপি সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে গভীর নলকূপ সাবমার্সেবল টিউবওয়েল নির্মাণের জন্য সচিবের নিকট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আত্নসাৎ করেছে। পরিষদে সাপ্তাহিক গ্রাম্য সালিশে বাদি-বিবাদী যে জরিমানা করা হয়, চেয়ারম্যান ওই টাকাও আত্নসাৎ করে নেয়। তাঁর এমন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে অনাস্থা করেছি এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুন মন্ডল বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভীষণ কষ্টে দিন পার করতেছি। মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা পাই। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার পাই রাজস্ব খাত থেকে বাকি সাড়ে পাঁচ হাজার পাই পরিষদের আয় থেকে। প্রায় তিন বছর ধরে পরিষদের অংশের কোনো ভাতা পাই না।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল মুঠোফোনে বলেন, ‘সব সময় তাঁরা (ইউপি সদস্যরা) অসহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যদের অবহিত করা হয়। ডাকলেও তাঁরা আসেননি।’ সদস্যদের ভাতা না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পরিষদের আয়ের ওপরেই ভাতা পাওয়া নাপাওয়া নির্ভর করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, এখনো আমি কাগজ হাতে পায়নি। তবে একজন সিনিয়র অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। সরকারি বিধি মোতাবেক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।