একই দিনে মা ও বোনকে হারালেন মারায়া ক্যারি

খুবই বেদনাদায়ক এক ঘটনা ঘটে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের গায়িকা মারায়া ক্যারির জীবনে, তার মা ও বোন একই দিনে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ক্যারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তার মা প্যাট্রিসিয়া এবং বোন অ্যালিসন মারা গেছে গত সপ্তাহের শেষ দিনে।

পাঁচবারের গ্র্যামিজয়ী গায়িকা ক্যারি সোমবার (২৬ আগস্ট) বলেছেন, ‘আমার মন ভেঙে গেছে।’ তবে দুজনের কারো মৃত্যুর কারণ বিবৃতিতে বলেননি ক্যারি।

এই শিল্পীর মা প্যাট্রিসিয়ার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর, তিনি একজন অপেরা শিল্পী ছিলেন।

২০২০ সালে প্রকাশিত স্মৃতিকথা ‘দ্য মিনিং অব মারায়া ক্যারি’তে মায়ের সঙ্গে নিজের অম্নমধুর সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন ক্যারি। ৫৫ বছর বছর বয়সী ক্যারির ভাষ্য ছিল, মা-মেয়ের সম্পর্কে ক্যারিয়ার নিয়ে প্রতিযোগিতার বিষয়টি চলে এসেছিল।

ক্যারির কথায়, যার সাথে পেশাগত ইর্ষা সাফল্য জড়িয়ে যায়, আর সেই মানুষটি যখন নিজের মা হন, তখন ব্যাপারটি বিশেষভাবে ‘বেদনাদায়ক’। তবে মায়ের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসার কথাও তিনি প্রকাশ করেছেন সেই বইয়ে।

বইয়ের উৎসর্গপত্রে এই গায়িকা লিখেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, তিনি সংগীতের মাধ্যমে (প্যাট্রিসিয়া) তার সেরা কাজ করে চলেছেন। আমি তোমাকে সবসময় ভালোবাসব।’

বই প্রকাশের দুবছর পর এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা বলেছিলেন, তার বড় হওয়ার সময় তার মায়ের কাছ থেকে যেসব বিষয়ে সাবধানবাণী বা সমালোচনা পেয়েছিলেন, সেসব তার জীবনে ‘প্রভাব’ ফেলেছিল।

বিবিসি লিখেছে, বড় বোন ৬৩ বছর বয়সী অ্যালিসনের সঙ্গেও সম্পর্কে ‘জটিলতা’ ছিল মারায় ক্যারির। স্মৃতিকথায় তিনি লিখেছেন, বড় বোন অ্যালিসন এবং বড় ভাই মরগানের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। এবং এই বিচ্ছিন্নতায় তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ‘নিরাপদ’ বোধ করছেন।

ওই স্মৃতিকথা প্রকাশের পর ‘মানসিক আঘাত’ পাওয়ার অভিযোগে ১.২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন তার বড় বোন।

এর আগে ২০২২ সালে বাবা আলফ্রেডকে হারান মারায়া ক্যারি।

যুক্তরাষ্ট্রে তাকে অন্যতম একজন সফল গায়িকা ধরে নেওয়া হয়। তার হলিডে সিঙ্গেল ‘অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ’ এখন পর্যন্ত কোনো নারী শিল্পীর সবচেয়ে বেশী বিক্রি হওয়া ক্রিসমাসের রেকর্ড।

ক্যারি গানের রিয়েলিটি শো আমেরিকান আইডল বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।




দর্শনায় বিজিবির অভিযানে ৪৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবক আটক

দর্শনায় ৬ বিজিবি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সবুজ আহমেদকে (৩২) আটক করে। আটককৃত সবুজ ঝিনাইদহ জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রিয়াজুল মোল্লার ছেলে।

জানাযায় গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির নেতৃত্বে, অভিযান চালায় দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে।

এ সময় দর্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ৭৭/৪-এস হতে আনুমানিক ৩.৫ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঈশ্বরচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশ করে। বিজিবি একজন বাংলাদেশী নাগরিককে সন্দেহ হলে মোটরসাইকেলসহ তাকে তল্লাশি করে। পরে সবুজের কাছ থেকে ৪৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ০১টি মোটর সাইকেল, ০২ টি মোবাইল এবং ০৩ টি সীম কার্ড উদ্ধার করে। পরে দর্শনা বিওপি কমান্ডার বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে।




সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ, ইতিহাসের দুয়ারে বাংলাদেশ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠানরত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। ললিতপুরে আনফা কমপ্লেক্সে বেলা পৌনে ৩টায় খেলা শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আবার সেই নেপালকে ফাইনালে পেয়েছেন কোচ মারুফুল হকের দল।

এবার ফাইনাল নিয়ে ভিন্ন চোখ। কারণ নেপালের মাঠে খেলা, সেখানে বাংলাদেশের জন্য কঠিন লড়াই হবে। দর্শক থাকবে নেপালিরা। গতকাল কোচ মারুফুল হক সেটাই বুঝিয়েছেন তার দলের খেলোয়াড়দের। ‘আমি খেলোয়াড়দেরকে বলেছি সবকিছুর বিরুদ্ধে খেলতে হবে। মাঠ, প্রতিপক্ষ এবং পরিবেশ থাকবে তোমাদের বিরুদ্ধে। এটা মাথায় রেখে খেলতে হবে। এটা শুধু একটা ফাইনাল নয়। একই সঙ্গে বলতে হয় এটি কঠিন ফাইনাল। তৃতীয় কোনো দেশে হচ্ছে না। এখানে রেফারি কোথাকার সেটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু নেই। নিজ নিজ খেলার দিকে মন দিতে হবে।’- সোজাসাপটা কথা কোচ মারুফুল হকের।

ফাইনালে মাঠের বাইরের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না কোচ। তিনি বললেন, ‘সুবিধা অসুবিধা থাকবে। হেরে গেলে বলব অমুকটার কারণে হেরে গিয়েছি-এটি বলতে চাই না। আমি বলব আমার কাছে সবই নিজেদের অনুকূলে।’ অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকিংয়ে জয় পেয়ে ফাইনালে উঠে।

ভারতকে বিদায় করতে বেক পেতে হয়েছে। গোল করে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ গোল হজম করেছিল, ১-১। টাইব্রেকিংয়ে ৪-৩ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। ৯০ মিনিটের খেলায় বাংলাদেশের জন্য যেটি ক্ষতি হয়েছে দলের স্টপার কামাচাই মারমা দুই হলুদ কার্ডে লালকার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন।

এই ডিফেন্ডার না থাকায় দলের জন্য বড় ক্ষতি হলেও এটি পূরণ করতে কোচ বিকল্প ডিফেন্ডার খুঁজছেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেননি। কোচ মারুফুল হক নেপাল থেকে জানিয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন। শুধু এখানেই নয় গোলপোস্টের নিচেও সমস্যা। দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান শ্রাবণ ভারতের বিপক্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় কোচ মারুফুল হক হাসপাতালে যাওয়ার আগে কাঠমান্ডু হতে জানিয়েছিলেন শ্রাবণ কপালে ব্যথা পেয়েছেন। গতকাল মারুফ জানালেন কপালে না, নাকের পাশে এবং চোখের নিচের হাঁড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। রাতে হাসপাতালে ছিল শ্রাবণ। আজ (গতকাল) সকালে হোটেলে ফিরেছে।

শ্রাবণ বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক, ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা শ্রাবণকে ঢাকায় এসে পুনরায় চিকিৎসা করাবে। আপাতত নেপালে দলের সঙ্গেই থাকবেন শ্রাবণ। শ্রাবণের অনুপস্থিতি দলকে দুশ্চিন্তায় রাখছে কিনা? শ্রাবণের পরিবর্তে ভারতের বিপক্ষে গোলরক্ষক আসিফ খেলেছেন। টাইব্রেকিংয়ে ভারতের দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে জয়ের নায়ক বনে গিয়েছেন বদলি খেলতে নামা আসিফ। এটাই এখন গোলপোস্টের নিচে আস্থা জোগাচ্ছে। কোচ মারুফুল হক বলছেন, ‘হ্যাঁ একদিকে আমার জন্য আস্থা, ওর জন্যও আস্থা।’

আসিফ আজকে ফাইনালে লড়াই করবেন। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ২০২২ সালে। এর আগে প্রথম আসর হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮, এরপর সেটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে আগেও। অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে দুই বার ফাইনাল খেলেছে এবং প্রথমে ভারতের কাছে পরে নেপালের বিপক্ষে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। আর কোনো বারই নেপালের বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ। আজকের ফাইনালে সেই রেকর্ডও গড়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। নেপালকে হারাতে এবার পারবে তো বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় আলী মুনছুর বাবুসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা

দামুড়হুদার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাব, কেরু এ্যান্ড কোম্পানির সিবিএ নেতা সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে দর্শনা থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলাসুত্রে জানাগেছে, গত ০৭-১২-২২ সালে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দর্শনা পরানপুর মসজিদপাড়ায় আমার বাস ভবনের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। গত ০৭/১২/২০২২ ইং তারিখে সন্ধা আনুমানিক ৭টার দিকে আমার নিজ বাড়ী ১নং আসামীর নির্দেশে এবং হুকুমে ২নং ও ৩নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আমার বাড়ীতে আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার বাড়ীতে থাকা নগদ ৭০হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরি পরিমাণ স্বর্ণের গলার চেইন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। সেই সময় আমার জীবন রক্ষার্থে আমার বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, দিয়ে আমাকে ধাওয়া করে আমি কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে যায়।

পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে ধরে ফেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য ১নং আসামীর বাস ভবনে নিয়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে এবং অমানুষিক ভাবে রাতভর নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের কারণে আমি অজ্ঞান হয়ে যায় এরপর আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার ডান ‘পা’ ভেঙ্গে গেছে। এবং ১নং আসামীর বাস ভবনে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা পা ভাঙ্গা অবস্থায় আমাকে ০৮/১২/২০২২ তারিখ সকালে দর্শনা থানায় পুলিশের কাছে দেয় এবং পুলিশ আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা ভোগ করি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়রানি, নির্যাতন ও জীবন নাশের হুমকি ও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার কারণে আমি এজহার ও মামলা করিতে সাহস পায়নি।আজ ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু , ফারুক হোসেন, মোঃ মুন, আব্দুল হান্নান ছোট, মোঃ মিঠু, মোঃ রাসেল (৩৫), অপু (৩৫), জয়নাল আবেদীন নফর (৪৭), মোঃ মাসুদুর (৬০), মোঃ মোটা সাইদ (৪৫), মোঃ মিল্লাত (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩৫), মোঃ দাউদ (৩৫), মোঃ ডালিম (৪০), খাইরুল (৪০), পিতাঃ হাশেম, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৬। মোঃ রাশেদ (৪০), পিতাঃ আমির, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৭। লাল্টু (৪২), পিতাঃ মৃত লুৎফর রহমান, সাং ইসলাম বাজার, ১৮। মোঃ সৌমিক হাসান রুপম (৩৭), পিতাঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাং- কেরু মিল পাড়া, ১৯। মোঃ জুয়েল (৩৮), পিতাঃ দুলাল, সাং- ইসলাম বাজার, ২০। মোঃ শরীফ (৫০), পিতাঃ কালু কসাই, সাং- চটকাতলা, ২১। আব্দুল জলিল (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা, আজমপুর, ২২। মোঃ রানা (৩০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারক পাড়া, ২৩। মোঃ আক্তার (৩০), পিতাঃ মৃত হানিফ, সাং- মোবারক পাড়া, ২৪। মোঃ আশিক (২৮), পিতাঃ ইমারত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৫। মোঃ মারুফ বিল্লাল (জিসান (২৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৬। মোঃ ইকবাল (৫৫), পিতাঃ জমির, সাং- মেমনগর, ২৭। মোঃ নোমান (৪২), পিতাঃ মৃত ডাবি, সাং- রামনগর, ২৮। মোঃ রেজাউল (৩২), পিতাঃ খেদের সাং- রামনগর, ২৯। মোঃ পিয়াস (২০),পিতা অজ্ঞাত সর্বসাং- মোবারকপাড়া, ৩০। পিকু (২০), পিতাঃ মনু সর্দার, সাং- রামনগর, ৩১। মোঃ আব্দুল মান্নান (৫০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারকপাড়া, ৩২। মোঃ শেখ আসলাম তোতা (৫০), পিতাঃ মৃত করিম, সাং- মোবারকপাড়া, ৩৩। মোঃ সানি (২৮), পিতাঃ ইজা, সাং- পরানপুর, ৩৪। মোঃ জাকারিয়া আলম (৫৫), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- পুরাতন বাজার ‘স’ মিল পাড়া, ৩৫। মোঃ ছলেমান (৫৫), পিতাঃ আফসার আলী, সাং- বামনগর, ৩৬। মোঃ শাহ আলী (৩০), পিতাঃ আফসার। আলী, সাং- মেমনগর, ৩৭। মোঃ আব্দুল হাকিম (৫৫), পিতাঃ আবু তাহের, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৩৮। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫৫), পিতাঃ মোঃ বদর উদ্দীন, সাং- দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়া, ৩৯। মোঃ সাধন (৪৪), পিতাঃ টিপু ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪০। মোঃ রুস্তম আলী (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং দর্শনা শ্যামপুর হিন্দু পাড়া, ৪১। ইদ্রিস আলী (৫৫), পিতাঃ মৃত সুন্নত আলী, সাং- দর্শনা ইসলাম বাজার, ৪২। মোঃ হায়দার আলী (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৪৩। মোঃ শহীদুল ইসলাম (৫০), পিতাঃ মান্দার ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪৪। মোঃ হিরন (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা আমতলাপাড়া, ৪৫। মোঃ আব্দুল জলিল (৪০), পিতাঃ আব্দুল কাদের, সাং- আজমপুর, ৪৬। মোহাম্মদ আলী (৪০), পিতাঃ ছোট, সাং- কলেজপাড়া, ৪৭। মোঃ ফয়সাল (৪৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৮। ফলেহার (৩৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৯। সুমন (৩০), পিতাঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৫০। মোঃ তপু (৩৫), পিতাঃ ছবিল, সাং- দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর, ৫১। পারভেজ (৩৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কলেজপাড়া, ৫২। শাহ আলম ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কেরু স্কুল পাড়া, ৫৩। আব্দুস সালাম (৩৫), পিতাঃ আব্দুস সাত্তার, সাং- হঠাৎপাড়া, ৫৪। সুমন (৩০), পিতাঃ মোঃ ইউসুফ, সাং- বড় দুধ পাথিলা দক্ষিনপাড়া, ৫৫। রিপন (৩৫), পিতাঃ আজিজুর রহমান, সাং- কেরু প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৫৬। মোঃ ফরাদ হোসেন, (৪০), পিতাঃ মৃত ফজলুল করিম, সাং- দর্শনা আজমপুর, ৫৭। ফারদিন সোহেল (৪০), পিতাঃ আব্দুর রশিদ, সাং- কেরু হাসপাতালপাড়া, ৫৮। হবা জোয়াদ্দার (৫৫), পিতাঃ মৃত আপু জোয়াদ্দার, ৫৯। মামুন শাহ (৪৩), পিতাঃ মৃত কাউসার আলী, ৬০। মাসুম (৩৫), পিতাঃ হুজুর আলী, উভয়সাং- দক্ষিন চাঁদপুর, ৬১। মোঃ রবিউল হক সুমন (৫০) পিতাঃ মৃত শহর আলী মোল্লা, সাং- আজমপুর, ৬২। বিল্লাল হোসেন (৫৫) পিতাঃ রবজেল মিয়া, সাং- জুড়া বটতলা শ্যামপুর, ৬৩। মোঃ ফাহিম (২০), পিতাঃ মৃত- মনজু, সাং- দর্শনা থানা পাড়া, ৬৪। আশরাফুল ইসলাম (৪২), পিতাঃ খাদিমুল হক, সাং- কেনা প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৬৫। নাসির (৪৫), পিতাঃ ফৌজো, ৬৬। আজিজ ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, উভয়সাং আনোয়ারপুর, ৬৭। গোলাম ফারুক আরিফ (৫৫), পিতাঃ মৃত মজিবর রহমান, সাংৎ দর্শনা ইসলাম বাজার, ৬৮। সান্টু (৫৫), পিতাঃ মৃত বাদশা, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৬৯। রহমান (৪৫), পিতাৎ মৃত রওশন কাসারী, সাং- ইসলাম বাজার, সর্ব থানা- দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি এজহার দাখিল হয়েছে।




মেহেরপুরে আ.লীগ নেতা মোমিনসহ ৫১ জনের নামে ২টি মামলা

মেহেরপুরে বিএনপি কর্মী মোঃ আশরাফুজ্জামানের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডের অপরাধে সদর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামসহ ৫১ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ শারমিন নাহারের আদালতে মামলা ২টি দায়ের করা হয়। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী জেলহার হোসেন, কাওছার আলী, মিলন শেখ, ওমর আলী, মামুন শেখ, সিরাজ মিয়া, হিয়া শেখ, শফিকুল ইসলাম, ইন্তু মিয়া, রিন্টু মিয়া, মামুন কারিকর, শামিম রেজা, আবু রাসেলসহ অন্যান্যারা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাতের বেলায় হঠাৎ বাড়িতে আক্রমন করে। বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে আমি, আমার স্ত্রী সন্তান, বাবা মাকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এসময় তারা বাড়িতে লোহার ফটকটি ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আসবাব পত্র সব নিয়ে যায়। ঘরের দরজা জানালার লোহার গ্রিল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মুল্যবান স্বর্নের গহনা নিয়ে যায়। তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে থানা এ ব্যাপারে কোন মামলা নেয়নি। দির্ঘদিন থেকে তারা নানা অজুহাতে হয়রানি, মামলা করে আসছে। তাদের সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডের জন্য নিজের বাড়িতে অবস্থান করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বাড়ির গরু ছাগল, হাস মুরগিও ছাড় পাইনি। যাওয়ার সময় লেপ তোশক, আসবাব পত্র, পোশাক আশাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।




মেহেরপুরের ফতেপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকের প্রাণহানি

মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেপুরে ইটভাটার কাছে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সানোয়ার হোসেন (৫০) নামের এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সানোয়ার হোসেন মেহেরপুর শহরের শিশুবাগান পাড়ার মৃত আইনুদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভ্যানচালক সানোয়ার হোসেন মেহেরপুর থেকে শোলমারীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফতেপুর ইয়াসিন আলীর ভাটার কাছে পৌছালে অপরদিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানচালক সানোয়ার গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালেই তিনি মারা যান।




জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে বন্দিদের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণ

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বী কারাবন্দিদের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল (২৬ আগস্ট) দুপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে জেলা কারাগারের আয়োজনে সনাতন ধর্মাম্বলী কারা বন্দি ও স্টাফদের মাঝে এ মিষ্টান্নবিতরণ করা হয়।

জেলা কারাগারের জেলার শেখ মোঃ মহি উদ্দিন হায়দার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক নতুন উচ্চতায় এই প্রার্থনা সবার। এসময় তাদের মাঝে লুচি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ খাবার পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। তাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।




মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

ভয়ংকর মাদক LSD সহ ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি’র হাতে আটক তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করে। বিজিবি মহেশপুর (৫৮) ব্যাটালিয়ানের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় ২৭ আগস্ট আনুমানিক ১২টার সময় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৬১/৭-এস এর নিকট দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার হবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুসুমপুর বিওপির নায়েব সুবেদার আব্দুস ছালাম এর নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি চৌকষ আভিযানিক দল বিত্তিপাড়া গ্রামের মোঃ আজাদ এর আম বাগানের মধ্যে মাদক চোরাকারবারীদের ধরার জন্য সাড়ে টা হতে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে অপেক্ষ করতে থাকে।

একপর্যায়ে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কয়েকজন চোরাকারবারী মাথায় বস্তা নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। চোরাকারবারীরা টহল দলের নিকটবর্তী হলে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা প্রথমে বস্তাসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ৩ জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃরিয়াজ (২২), পিতা-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-পিপুলবাড়িয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন (৩৯), পিতা-জাফর শেখ, গ্রাম-কালাচাঁদপুর, লোহাগাড়া, নড়াইল ও মোবারক আলী (২৬), পিতা-শের আলী, মহেশখালী, কক্সবাজার।

এছাড়া আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ আনা ৭ বোতল এলএসডি (প্রতি বোতল ১০০ এমএল), মোবাইল, জর্জেট শাড়ী, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স, ঔষধ ও বিবিধ মালামাল জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৭,৩৪,৬৯,৪০৪/-(৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৪) টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস পালন

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গায় ২৭ শে আগষ্ট মঙ্গলবার (১২ ই ভাদ্র বাংলা) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর চত্বরে কবীর স্মৃতি স্তম্ভে সকাল সাড়ে ১০ টায় পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল,মধু বিশ্বাস, আপেল হোসেন, উসমান গনি প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাও: নুরুল আমিন।

নজরুল স্মৃতি বিজরিত আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল তিনি কবি নজরুল ইসলামের কার্পাসডাঙ্গায় আগমনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণ বয়সে অনেকবার এসেছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ কার্পাসডাঙ্গায়। তার স্মৃতিবিজড়িত খড়ের আটচালা ঘরটি এখনো সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ঘরটি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। কবি যে এ ঘরেই অনেক দিন-রজনি কাটিয়েছেন, সে ব্যাপারে কারও দ্বিমত বা বিতর্ক নেই। তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদের তীরবর্তী কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ার সরকার পরিবার ছিল জ্ঞান-গরিমায় বেশ সম্ভ্রান্ত। এ পরিবারের সন্তান শ্রী মহিম সরকার চাকরির সুবাদে থাকতেন কলকাতায়। কলকতা আমহার্স্ট স্ট্রিটে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। মহিম সরকারের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই সখ্য ছিল। তার বাড়িতে কবির আসা-যাওয়া ছিল আপনজনের মতো। তার দুই মেয়ে আভা রানি সরকার ও শিউলী রানি সরকার নজরুলগীতি চর্চা করতেন। তাদের গানের তালিম দিতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজে। পরবর্তীতে আভা রানি সরকারের গানের রেকর্ডও বের হয়। প্রখ্যাত লেখক ড. আশরাফ সিদ্দিকী অনুসন্ধান করে নজরুলের কথা ও সুরে আভা রানি সরকারের ছয়টি গানের রেকর্ড-তথ্য পান।

একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, মহিম সরকারের পারিবারিক আমন্ত্রণে একাধিকবার কবি নজরুল কার্পাসডাঙ্গায় এসেছেন। তবে ১৯২৬ সালে ২৭ বছর বয়সে কবি সপরিবারে এখানে বেড়াতে আসেন। এ সময় প্রায় দুই মাস কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান করেন। তার সঙ্গে এসেছিলেন শাশুড়ি গিরিবালা, স্ত্রী প্রমীলা ও বড় ছেলে বুলবুল। তারা কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে দর্শনায় নেমে ছয় মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গরুর গাড়িতে করে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন।




গাংনীর কাথুলী ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন হোসাইন মোহাম্মদ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতে তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা ছুটি নেওয়ায় এখন থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান হোসাইন মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল হক, কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক বাদল হোসেন, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন,জিনারুল ইসলাম,আশরাফুল হোসেন,কাবের আলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতা কর্মীসহ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ দায়িত্ব পালন কালে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।