দামুড়হুদার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাব, কেরু এ্যান্ড কোম্পানির সিবিএ নেতা সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে দর্শনা থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
মামলাসুত্রে জানাগেছে, গত ০৭-১২-২২ সালে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দর্শনা পরানপুর মসজিদপাড়ায় আমার বাস ভবনের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। গত ০৭/১২/২০২২ ইং তারিখে সন্ধা আনুমানিক ৭টার দিকে আমার নিজ বাড়ী ১নং আসামীর নির্দেশে এবং হুকুমে ২নং ও ৩নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আমার বাড়ীতে আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার বাড়ীতে থাকা নগদ ৭০হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরি পরিমাণ স্বর্ণের গলার চেইন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। সেই সময় আমার জীবন রক্ষার্থে আমার বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, দিয়ে আমাকে ধাওয়া করে আমি কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে যায়।
পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে ধরে ফেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য ১নং আসামীর বাস ভবনে নিয়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে এবং অমানুষিক ভাবে রাতভর নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের কারণে আমি অজ্ঞান হয়ে যায় এরপর আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার ডান ‘পা’ ভেঙ্গে গেছে। এবং ১নং আসামীর বাস ভবনে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা পা ভাঙ্গা অবস্থায় আমাকে ০৮/১২/২০২২ তারিখ সকালে দর্শনা থানায় পুলিশের কাছে দেয় এবং পুলিশ আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা ভোগ করি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়রানি, নির্যাতন ও জীবন নাশের হুমকি ও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার কারণে আমি এজহার ও মামলা করিতে সাহস পায়নি।আজ ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করি।
মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু , ফারুক হোসেন, মোঃ মুন, আব্দুল হান্নান ছোট, মোঃ মিঠু, মোঃ রাসেল (৩৫), অপু (৩৫), জয়নাল আবেদীন নফর (৪৭), মোঃ মাসুদুর (৬০), মোঃ মোটা সাইদ (৪৫), মোঃ মিল্লাত (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩৫), মোঃ দাউদ (৩৫), মোঃ ডালিম (৪০), খাইরুল (৪০), পিতাঃ হাশেম, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৬। মোঃ রাশেদ (৪০), পিতাঃ আমির, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৭। লাল্টু (৪২), পিতাঃ মৃত লুৎফর রহমান, সাং ইসলাম বাজার, ১৮। মোঃ সৌমিক হাসান রুপম (৩৭), পিতাঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাং- কেরু মিল পাড়া, ১৯। মোঃ জুয়েল (৩৮), পিতাঃ দুলাল, সাং- ইসলাম বাজার, ২০। মোঃ শরীফ (৫০), পিতাঃ কালু কসাই, সাং- চটকাতলা, ২১। আব্দুল জলিল (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা, আজমপুর, ২২। মোঃ রানা (৩০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারক পাড়া, ২৩। মোঃ আক্তার (৩০), পিতাঃ মৃত হানিফ, সাং- মোবারক পাড়া, ২৪। মোঃ আশিক (২৮), পিতাঃ ইমারত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৫। মোঃ মারুফ বিল্লাল (জিসান (২৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৬। মোঃ ইকবাল (৫৫), পিতাঃ জমির, সাং- মেমনগর, ২৭। মোঃ নোমান (৪২), পিতাঃ মৃত ডাবি, সাং- রামনগর, ২৮। মোঃ রেজাউল (৩২), পিতাঃ খেদের সাং- রামনগর, ২৯। মোঃ পিয়াস (২০),পিতা অজ্ঞাত সর্বসাং- মোবারকপাড়া, ৩০। পিকু (২০), পিতাঃ মনু সর্দার, সাং- রামনগর, ৩১। মোঃ আব্দুল মান্নান (৫০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারকপাড়া, ৩২। মোঃ শেখ আসলাম তোতা (৫০), পিতাঃ মৃত করিম, সাং- মোবারকপাড়া, ৩৩। মোঃ সানি (২৮), পিতাঃ ইজা, সাং- পরানপুর, ৩৪। মোঃ জাকারিয়া আলম (৫৫), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- পুরাতন বাজার ‘স’ মিল পাড়া, ৩৫। মোঃ ছলেমান (৫৫), পিতাঃ আফসার আলী, সাং- বামনগর, ৩৬। মোঃ শাহ আলী (৩০), পিতাঃ আফসার। আলী, সাং- মেমনগর, ৩৭। মোঃ আব্দুল হাকিম (৫৫), পিতাঃ আবু তাহের, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৩৮। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫৫), পিতাঃ মোঃ বদর উদ্দীন, সাং- দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়া, ৩৯। মোঃ সাধন (৪৪), পিতাঃ টিপু ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪০। মোঃ রুস্তম আলী (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং দর্শনা শ্যামপুর হিন্দু পাড়া, ৪১। ইদ্রিস আলী (৫৫), পিতাঃ মৃত সুন্নত আলী, সাং- দর্শনা ইসলাম বাজার, ৪২। মোঃ হায়দার আলী (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৪৩। মোঃ শহীদুল ইসলাম (৫০), পিতাঃ মান্দার ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪৪। মোঃ হিরন (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা আমতলাপাড়া, ৪৫। মোঃ আব্দুল জলিল (৪০), পিতাঃ আব্দুল কাদের, সাং- আজমপুর, ৪৬। মোহাম্মদ আলী (৪০), পিতাঃ ছোট, সাং- কলেজপাড়া, ৪৭। মোঃ ফয়সাল (৪৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৮। ফলেহার (৩৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৯। সুমন (৩০), পিতাঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৫০। মোঃ তপু (৩৫), পিতাঃ ছবিল, সাং- দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর, ৫১। পারভেজ (৩৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কলেজপাড়া, ৫২। শাহ আলম ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কেরু স্কুল পাড়া, ৫৩। আব্দুস সালাম (৩৫), পিতাঃ আব্দুস সাত্তার, সাং- হঠাৎপাড়া, ৫৪। সুমন (৩০), পিতাঃ মোঃ ইউসুফ, সাং- বড় দুধ পাথিলা দক্ষিনপাড়া, ৫৫। রিপন (৩৫), পিতাঃ আজিজুর রহমান, সাং- কেরু প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৫৬। মোঃ ফরাদ হোসেন, (৪০), পিতাঃ মৃত ফজলুল করিম, সাং- দর্শনা আজমপুর, ৫৭। ফারদিন সোহেল (৪০), পিতাঃ আব্দুর রশিদ, সাং- কেরু হাসপাতালপাড়া, ৫৮। হবা জোয়াদ্দার (৫৫), পিতাঃ মৃত আপু জোয়াদ্দার, ৫৯। মামুন শাহ (৪৩), পিতাঃ মৃত কাউসার আলী, ৬০। মাসুম (৩৫), পিতাঃ হুজুর আলী, উভয়সাং- দক্ষিন চাঁদপুর, ৬১। মোঃ রবিউল হক সুমন (৫০) পিতাঃ মৃত শহর আলী মোল্লা, সাং- আজমপুর, ৬২। বিল্লাল হোসেন (৫৫) পিতাঃ রবজেল মিয়া, সাং- জুড়া বটতলা শ্যামপুর, ৬৩। মোঃ ফাহিম (২০), পিতাঃ মৃত- মনজু, সাং- দর্শনা থানা পাড়া, ৬৪। আশরাফুল ইসলাম (৪২), পিতাঃ খাদিমুল হক, সাং- কেনা প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৬৫। নাসির (৪৫), পিতাঃ ফৌজো, ৬৬। আজিজ ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, উভয়সাং আনোয়ারপুর, ৬৭। গোলাম ফারুক আরিফ (৫৫), পিতাঃ মৃত মজিবর রহমান, সাংৎ দর্শনা ইসলাম বাজার, ৬৮। সান্টু (৫৫), পিতাঃ মৃত বাদশা, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৬৯। রহমান (৪৫), পিতাৎ মৃত রওশন কাসারী, সাং- ইসলাম বাজার, সর্ব থানা- দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি এজহার দাখিল হয়েছে।