দীর্ঘ জীবনের বাড়তি সময়ের মর্মান্তিক তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তি একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। যদিও মানুষের আয়ুষ্কাল বা জীবনকাল বেড়েছে, তবুও অনেকেই এই বাড়তি সময় সুস্থভাবে কাটাতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘায়ু পাওয়ার চেয়ে এখন বেশি জরুরি সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে আধুনিক চিকিৎসা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার কারণে। আগের তুলনায় এখন মানুষ অনেক বেশি দিন বাঁচছেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই দীর্ঘ জীবন কেমনভাবে কাটাচ্ছেন?

অনেকেই দীর্ঘ জীবন কাটালেও তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না, যার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচও বাড়ে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এখন মানুষের আয়ুষ্কাল (লাইফস্প্যান) ও সুস্থ জীবনকালের (হেলথস্প্যান) মধ্যে অনেক ফারাক তৈরি হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান বর্তমানে প্রায় ৯.৬ বছর। অর্থাৎ, মানুষের জীবনের শেষ দশক প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা শারীরিক সমস্যায় কাটে। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।

যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যবধান আরও উদ্বেগজনক। সেখানে জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান ১২.৪ বছর। অর্থাৎ, সেখানে মানুষ তাদের শেষ বয়সে অনেক বছর ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গবেষকরা এটিকে ‘স্বর্ণযুগের’ এক মর্মান্তিক বাস্তবতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে দীর্ঘ জীবনের বাড়তি সময় কষ্টের মধ্যে কাটছে।

এছাড়া, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি বাঁচে, কিন্তু তাদের অতিরিক্ত সময়ের বেশিরভাগই অসুস্থতায় কাটে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান নারীদের জন্য ২.৪ বছর বেশি এবং জার্মানিতে এটি ৩.৬ বছর।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মাদকাসক্তি, আর্থ্রাইটিস (হাড়ের ক্ষয়), পিঠের ব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে এই ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। নারীরা এসব সমস্যায় বেশি ভুগছেন, যা তাদের দীর্ঘ জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালকে আরও বিভক্ত করে ফেলছে।

গবেষকরা বলছেন, যেসব দেশে গড় আয়ু বেশি, সেসব দেশেই আয়ুষ্কাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান আরও বড় হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে জীবনকাল বাড়লেও, পরবর্তী জীবনের স্বাস্থ্য মান উন্নত হয়নি। তাই সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করার দিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে নারীদের মাঝে বিনামুল্যে বাছুর বিতরণ

নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়াতে ঝিনাইদহে হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে বিনামূল্যে গাভী গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার সকালে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝিনাইদহের যৌথ অগ্রসরমান সৃজক সংস্থা (জাগো)।

জাগো’র নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল শরীফ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি। সেসময় উপস্থিত ছিলেন হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল বারী, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সালমা খাতুন, জাগোর নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়ক এস এম নাজির আরেফিনসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের ৫ জন নারীর মাঝে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। এর আগে গাভী পালনের উপর ওই নারীদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন সদর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: তারেক হাসান মুসা।




হেড-স্মিথের সেঞ্চুরিতে কোণঠাসা ভারত

অস্ট্রেলিয়া-ভারতের মধ্যকার তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। খেলা হয় মাত্র ৮০ বল। তবে দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে পুরো তিন সেশন। এ দিন ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ। তাদের ব্যাটে ভর করে চারশো পেরিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

বিনা উইকেটে ২৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় অজিরা। উসমান খাজা ২১ ও ম্যাকসুয়েনি ৯ রান করে আউট হন। তাদের দুজনকেই সাজঘরে ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ।

তাদের বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি মার্নাস লেবুশানে। দলীয় ৭৫ রানে ৫৫ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর হেডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন স্মিথ। ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হন এই দুই ব্যাটার।

দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। হেড ১১৫ ও স্মিথ ১৮৩ বলে ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান। ২৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ৩১৬ রানে ১৯০ বলে ১০১ রান করে আউট হন স্মিথ। অন্যদিকে ব্যাট চালিয়ে দেড়শো পূর্ণ করেন হেড। আউট হওয়ার আগে ১৬০ বলে ১৫২ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন শেষে ১০১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪০৫ রান সংগ্রহ করেছে অজিরা। অ্যালেক্স ক্যারি ৪৫ ও মিচেল স্টার্ক ৭ রানে অপরাজিত আছেন। হেড-স্মিথের তাণ্ডবের মধ্যে ৫ উইকেট শিকার করেছেন বুমরাহ।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ১৩ লাখ টাকার ব্রীজ ৫ মাসেই জলে!

১৩ লাখ টাকার ব্রীজের মেয়াদ মাত্র ৫ মাস!। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটি হচ্ছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে। কয়েক মাস আগে করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রীজ ভেঙ্গে সেখানে এখন আবার নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

সরেজমিনে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কণ্যাদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় জিকে সেচ খালের উপর গত ৫ মাস আগে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রীজটি। ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের বরাদ্দ অনুযায়ি জিকে সেচ খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রীজের গায়ে এখনও মোড়ানো রয়েছে নতুন পলিথিন। শেষ হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অডিটও। কিন্তু একই স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে ওই স্থানেই আবার একটি কালভার্ট নির্মাণ করবেন তারা। যে কারণে নতুন ব্রীজটি ভেঙে আবারো কালভার্ট করার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। ফলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও দুই বিভাগের সমন্বয়ের অভাবে সরকারের গচ্চা যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদিকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় উপকারভোগীরা।

ওই গ্রামের আরশেদ আলী নামের এক কৃষক বলেন, ব্রীজটি নির্মাণেও করা হয়েছে অনিয়ম। সড়ক অনুযায়ী ব্রীজ না করায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রীজটি যখন নির্মাণ করা হয় তখন তারাই বলেছিলো কয়েকদিন পর আবারো নতুন ব্রীজ হবে। আমার নিষেধ করার পরও তারা নিম্নমানের এই ব্রীজটি নির্মাণ করেছেন।

রাশেদ হক নামের এক বাসিন্দা বলেন, সরকারের কত টাকা হয়েছে যে ৫ মাসের মাথায় নতুন ব্রীজ ভেঙ্গে আবারো ব্রীজ করবে। নতুন ব্রীজই যদি করবে তাহলে এই ব্রীজটি করার দরকার ছিলো না। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপথ সমন্বয় করলে সরকারের এই বাড়তি টাকা গচ্ছা যেত না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, জিকে সেচ খাল যেহেতু আমাদের আওতাধীন তাই আমরা ব্রীজটি নির্মাণ করেছি। কারণে অনেকদিন আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছিলো। সেই ভোগান্তি দুর করতেই আমরা ব্রীজটি নির্মাণ করেছি। সড়ক ও জনপথ যদি ওই স্থানে ব্রীজ করে তাহলে আমাদের কাছ থেকে এনওসি নিয়ে করতে হবে। কিন্তু তারা এনওসি না নিয়েই স্টিমেট করেছে। আগামীতে সওজ বা এলজিইডি যদি জিকে সেচ খালের উপর ব্রীজ করে আমাদের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করলে এই ভুলবোঝাবুঝি হবে না। এ ব্যাপারে আমরাও সচেষ্ট থাকব।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ব্রীজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময় করা। ব্রীজটি যখন নির্মাণ করা হয় সেসময় আমার আগের নির্বাহী প্রকৌশলী দু’দফা চিঠিও দিয়েছিলো কিন্তু তাদের মাঝে সমন্বয় হয়নি। ব্রীজটি নতুন হলেও এলাকার মানুষের চলাচলের অনুপযোগী। তাই এলাকার মানুষের ভোগান্তি দুর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে নতুন ব্রীজের কাজ শুরু হবে। এতে আশা করি এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।




মুজিবনগরে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ২ বহনকারী পলাতক

মুজিবনগরে মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ এ সময় ফেন্সিডিয়াল ফেলে পালিয়ে যায় দুই মাদক ব্যবসায়ী।

শনিবার রাত ৯ টার সময় জয়পুর তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে এসব ফেনসিডিল আটক করা হয়।

পুলিশের এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুজিবনগর থানার জয়পুর মোড়োতলা বিলের দিক থেকে আনন্দবাস গ্রামের দিকে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ি মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে এসআই উত্তম কুমার সংগীয় ফোর্স পিএসআই সাইফুল ইসলাম, এএআই ( ইলিয়াস হোসেন, কং হেলাল উদ্দিন, কং বিপ্লব হোসন শনিবার রাত ৯ টার দিকে জয়পুর গ্রামের জয়পুর-তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে জনৈক সেন্টুর পুকুরের পাশে গোপনে অবস্থান করে।

কিছুক্ষণ পরে দুইজন লোক হাতে করে দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে পুলিশের নিকটবর্তী রাস্তার উপর পৌছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাদের পিছু পিছু ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আসামী উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের (পূর্বপাড়া) মৃত সদর মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) এবং আনন্দবাস খ্রিষ্টানপাড়ার আরশাদ আলীর ছেলে সেলিম (৩৭) ২ টি প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে পালিয়ে যায়।আসামীদের ফেলে যাওয়া ০২ (দুই) টি বাজার করা প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত সর্বমোট (২৫+২৫)= ৫০ (পঞ্চাশ) বোতল অবৈধ মাদক দ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পলাতক আসামীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে আসামীরা এলাকার চিহ্নিত ও পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা পরস্পর যোগসাজসে ও সহায়তায় ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রেখে এলাকায় বিক্রয় করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।

পলাতক আসামীদের বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল হেফাজতে রেখে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১৪(খ) ধারার অপরাধ করেছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩ জন আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩ জন আটক হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ তাদের আটক করা হয়।।

আটককৃতরা হলো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচরা এলাকার আব্দুল হাকিম ওরফে আকমলের ছেলে মো. আশিকুজ্জামান (৩২), একই এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আবু জাফর (৩২) ও রবিউল সরদারের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৫)।

দৌলতপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের জয়রামপুর এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেক পোষ্টে তল্লাশী অভিযান চলাকালে একটি সিএনজি থামিয়ে তাতে তল্লাশী চালানো হয়। এসময় সিএনজিতে থাকা যাত্রী বেশে মো. আশিকুজ্জামান,নমো. আবু জাফর ও মো. রাসেল হোসেনকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ আটক করে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় পুলিশি চেক পোষ্টে একটি সিএনজিতে ৩জন যাত্রীবেশে অস্ত্র পাচারকালে পুলিশের সন্দেহ হলে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।




মাইকেল জ্যাকসনের ১২টি অপ্রকাশিত গানের ক্যাসেটের সন্ধান

অবিশ্বাস্যভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্টুরা কাউন্টির একটি পরিত্যক্ত স্টোরেজ ইউনিট থেকে প্রয়াত বিশ্ববিখ্যাত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের ১২টি অপ্রকাশিত গানের ক্যাসেট উদ্ধার করা হয়েছে। গানগুলো ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছিল, যা কিংবদন্তি শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের সৃষ্টিশীল সময়ের একটি দুর্লভ চিত্র তুলে ধরছে।

এই বিরল আবিষ্কারটি করেন একজন প্রাক্তন ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে প্যাট্রোল অফিসার গ্রেগ মুসগ্রোভ। শখের বসে ‘ট্রেজার হান্টিং’ অর্থাৎ লুকিয়ে থাকা মূল্যবান সামগ্রী খোঁজার একটি অভিযান শুরু করেন তিনি। সেই সূত্রেই তিনি ব্রায়ান লরেন-এর পুরাতন স্টোরেজ ইউনিটটি খুঁজে পান। ব্রায়ান লরেন ছিলেন একজন বিখ্যাত সংগীত প্রযোজক, যিনি মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

স্টোরেজ ইউনিট থেকে উদ্ধার হওয়া গানের মধ্যে রয়েছে ‘ডোন্ট বিলিভ ইট’, ‘সন অব থ্রিলার’, ‘ট্রুথ অন ইয়োথ’। এই গানগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সাক্ষী, যখন মাইকেল জ্যাকসন তার বিখ্যাত ‘ডেঞ্জারাস’ অ্যালবাম প্রকাশের জন্য বিভিন্ন ধারার সংগীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।

আইনি জটিলতা: গ্রেগ মুসগ্রোভ এই গানের টেপগুলো আবিষ্কার করার পর তিনি মাইকেল জ্যাকসন এস্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এস্টেট জানায়, তারা এই বিশেষ ক্যাসেট কপির মালিক নয়, কিন্তু মূল মাস্টার রেকর্ডিংগুলোর স্বত্ব তাদের কাছেই সংরক্ষিত আছে। এই আইনি অবস্থানের কারণে গানগুলো জনসমক্ষে প্রকাশের বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।

যদিও এস্টেট এই ক্যাসেটগুলো কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেনি, তবে গানগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহারের অধিকার তারা সংরক্ষণ করে রেখেছে। তবে মুসগ্রোভ ও তার আইনজীবী গানগুলো মাইকেল জ্যাকসন স্মারক সংগ্রাহকদের কাছে বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কিছু সৌভাগ্যবান ব্যক্তিই হয়তো গানগুলো পুরোপুরি শোনার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে গানগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এগুলো প্রকাশিত হলে তা নিঃসন্দেহে সংগীত জগতে একটি বড় ঘটনা হবে। কিন্তু আইনি এবং নৈতিক দিকগুলো বিবেচনায় রেখে মুসগ্রোভ এই গানগুলো ভবিষ্যতে কী করবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের সুবিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

মেহেরপুরে সরকারি বিধি না মেনে সেচ পাম্প স্থাপনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন জন আহত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় ৮ জন কে অভিযুক্ত করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- সুবিদপুর গ্রামের মৃত ইমাজ উদ্দিনের ছেলে মো: হাফিজুর রহমান (৬০), মো: শহিদুল ইসলাম (৫৭), মো: ইয়ারুল ইসলাম (৫০), মো: আসাদুল (৫৫), একই গ্রামের মো: হুসাইন (৩৮) ,মো: আশরাফুল ইসলাম (৩৮), মো: আতিকুর রহমান (৪৮), মো: শামসুজ্জোহা (৫০)।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে সৌর সেচ প্রকল্প বসানোকে কেন্দ্র করে সুবিদপুর কুসু বেড়ে মাঠে কথকাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ইয়ারুল ইসলাম ও তার ভাই জিয়ারুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে। বর্তমানে আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।




কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নসিমন চালক নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইজিবাইক ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে জুয়েল (৩৫) নামে এক শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন চালক নিহত হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের বালুচর মোড় নামক স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত করিমন চালক জুয়েল চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাংগা উপজেলার দুর্লভপুর এলাকার বাবলুর ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়-কুষ্টিয়া থেকে ফিড বিক্রি করে খালি নসিমন নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলো নসিমন চালক জুয়েল। এ সময় আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী ইজিবাইক বালুচর মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নসিমন চালক জুয়েল গুরুতর আহত হলে তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভর্তি।করলে চিকিৎসাদীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩ জন আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩জন আটক হয়েছে।

গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ তাদের আটক করা হয়।।

আটককৃতরা হলো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচরা এলাকার আব্দুল হাকিম ওরফে আকমলের ছেলে মো. আশিকুজ্জামান (৩২), একই এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আবু জাফর (৩২) ও রবিউল সরদারের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৫)।

দৌলতপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের জয়রামপুর এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেক পোষ্টে তল্লাশী অভিযান চলাকালে একটি সিএনজি থামিয়ে তাতে তল্লাশী চালানো হয়। এসময় সিএনজিতে থাকা যাত্রী বেশে মো. আশিকুজ্জামান,নমো. আবু জাফর ও মো. রাসেল হোসেনকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ আটক করে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় পুলিশি চেক পোষ্টে একটি সিএনজিতে ৩জন যাত্রীবেশে অস্ত্র পাচারকালে পুলিশের সন্দেহ হলে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।