ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ

ঢাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেবে। এ মন্ত্রণালয়ে ৫ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ১০ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

১. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ৩

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড–১৩)

২. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

৩. পদের নাম : ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম : ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৫. পদের নাম : অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা : ৪

যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল : ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা : ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। তবে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই  লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা alljobs.query@teletalk.com.bd ও admin_sec1@mora.gov.bd ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের জবপোর্টালের  ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে। মেইল বা মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি : অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা, অনলাইন ফি ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং ৫ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা, অনলাইন ফি ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: কালবেলা




কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় প্রাণ গেলো মাদক ব্যবসায়ীর: ৩ পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়ে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনতারা। এ ঘটনায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একটি মোটরসাইকেল।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ৪নং ব্রিজের নিকট এ ঘটনা ঘটে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাত দশটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।

নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের ছোট ভাই এবং ওই এলাকার আজিজ মণ্ডলের পুত্র।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেড়ামারা থানা পুলিশের এসআই সালাউদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায়। মাদক ট্যাপেন্ডলসহ তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্রিজ থেকে রফিকুল ইসলাম দুদু লাফ দেন ওই মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জাসদ নেতাকর্মীরা পুলিশের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এর মধ্যে ৩ জনকে ধরে ফেলে বেধড়ক পেটায়। তাদেরকে জাসদ অফিসে আটকে রাখা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের উদ্দেশেই পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পালাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং ৩ পুলিশকে বেধড়ক মারপিট করে জাসদ অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভেড়ামারা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত ১০টার দিকে অবরুদ্ধ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, পুলিশ দুদুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় সে যেতে চায়নি। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে করে মেরে ফেলেছে। এই হত্যার দায় পুলিশের। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

কুষ্টিয়ার এসপি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।




সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরো কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরো একটু কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে, ঠান্ডা হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন অসহায় ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষ। অন্য বছর সরকারিভাবে তাদের মাঝে কম্বল বা গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও এ বছর তা এখনো শুরু হয়নি। ফলে শীতে এক প্রকার কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা। এছাড়া তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।




এক রাত হাজতে কাটিয়ে মুক্ত হলেন আল্লু অর্জুন

তেলেগু অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে হায়দরাবাদের চঞ্চলগুড়া জেলের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে জেলগেট থেকে নিতে তারা বাবা আল্লু অরবিন্দ এবং শ্বশুর কাঞ্চরলা চন্দ্রশেখর রেড্ডি আসেন। পরে তাদের সঙ্গে অভিনেতার জুবিলি হিল্‌সের বাড়িতে যান।

আল্লু অর্জুনের আইনজীবী অশোক রেড্ডি বলেছেন, অভিনেতা আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার ‘অবৈধ আটক’ ছিল। কারণ শুক্রবার তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরেও জেল কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়নি। তাদের জবাব দিতে হবে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।

এদিকে আদালত বলেছে, ‘শুধু একজন অভিনেতা বলে তাকে এভাবে আটক করা যাবে না।’ অভিনেতাকে নিয়মিত জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পরে, নিহত নারীর স্বামী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান। তিনি বলেছেন, আমি মামলা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। আমি গ্রেপ্তারের বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমার স্ত্রী পদদলিত হয়ে মারা যাওয়ার সঙ্গে আল্লু অর্জুনের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে বেশ কিছু রাজনীতিবিদ এবং চলচ্চিত্র শিল্পের লোকেরা আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রদেশটির বিআরএস নেতা কেটি রামা রাও বলেছেন, ‘আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকারকে আঘাত করা হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই সরকারের এই রকম আচরণের জন্য।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্সে লিখেছেন, আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারে প্রমাণ করে- সন্ধ্যা থিয়েটারে দুর্ঘটনাটি রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বল ব্যবস্থার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। তেলেঙ্গানা সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা। আর চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ না করে, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া।

‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৯ বছর বয়সী এক নারীর। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গতকাল শুক্রবার হায়দরাবাদের তার জুবিলি হিলসের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে দেশটির একটি নিম্ন আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তার স্বাধীনতার অধিকারের কথা উল্লেখ করে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এইদিকে এই মামলায় প্রেক্ষাগৃহের মালিক, মহাব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপককে গত ৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জামিন দেয়নি আদালত।

সূত্র: এনডিটিভি




মেহেরপুরের নানা আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

মেহেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও মুক্তিযোদ্ধারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রনি আলম নূর, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবীর হোসেন, মোঃ সাজেদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ.কে.এম নজরুল কবির, মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মুহা. আবদুল্লাহ আল-আমিন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।




ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের মেয়েদের

চলতি বছরের অক্টোবরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এর মধ্যেই র‍্যাঙ্কিংয়ে এসেছে বড় সুখবর। নারী ফুটবলের হালনাগাদ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

নারী ফুটবলের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলার বাঘিনীদের অবস্থান এখন ১৩২ নম্বরে। সর্বশেষ আগস্টে ১৩৯–এ ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বর্তমান র‍্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আছে তৃতীয় স্থানে। সাবিনা-সানজিদাদের ওপরে অবস্থান ভারত ও নেপালের।

সাফের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হারা নেপাল র‍্যঙ্কিংয়ে ৪ ধাপ পিছিয়েছে। তাদের বর্তমান অবস্থান ১০৪। আর ভারত এক ধাপ পিছিয়ে এখন ৬৯-এ। বাংলাদেশের পর আছে পাকিস্তান (১৫৭), শ্রীলঙ্কা (১৫৮), মালদ্বীপ (১৬৩) ও ভুটান (১৭২)।

২০২৪ সালের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে নারী ফুটবলের ১ নম্বর দল যুক্তরাষ্ট্র, আগেও শীর্ষে ছিল তারা। এক ধাপ করে এগিয়ে দুই ও তিনে উঠেছে যথাক্রমে স্পেন ও জার্মানি। ইংল্যান্ড দুই ধাপ পিছিয়ে চারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সারের কৃত্রিম সঙ্কট, ভোগান্তিতে কৃষক

মেহেরপুরে গম, ভুট্টা, তামাক ও আলুর আবাদের ভরা মৌসুমে সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা। এক বস্তা সার সংগ্রহ করতেই চাষিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সার মিললেও বস্তাপ্রতি ক্ষেত্রবিশেষে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

এদিকে ডিলারদের দাবি, একই কৃষক তাদের বিভিন্ন আত্মীয়ের নামে বার বার সার তুলছেন। যার ফলে সার দিতে একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামের সার ডিলারদের গুদামের সামনে সারের জন্য আইডি কার্ড হাতে কৃষকদের দীর্ঘ লাইন। কখন মিলবে সার এমন প্রতিক্ষায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে কৃষক ও কৃষাণিরা। কেউ সার নিয়ে ফিরছেন বাড়ি, আবার অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে। কৃষকদের অভিযোগ ডিলার ও সাব ডিলারদের অনিয়মের কারণে এবং ডিলাররা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রির কারণে সারের এমন কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলেও চাষিরা অভিযোগ তুলেছেন।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সারের কোনো সংকট নেই। কারখানায় সার উৎপাদনে কিছুটা দেরি হওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক অনুমোদিত সার ডিলার রয়েছেন ৩৫ জন এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক অনুমোদিত সার ডিলার রয়েছেন ৬৮ জন। এসব ডিলারদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, মুজিবনগর উপজেলায় ১০ জন এবং গাংনী উপজেলায় ১২ জন ডিলার রয়েছেন। এদের সঙ্গে কৃষকদের সারের সংকট কাটাতে শুধুমাত্র গাংনী উপজেলাতে বিএডিসি এবং বিসিআইসির সাব ডিলার রয়েছেন ১৫৪ জন। এসব ডিলার ও সাব ডিলাররা প্রতিবছর সার বরাদ্দ পান। জেলা কৃষি সম্প্রসারণের তথ্যে জানা গেছে, টিএসপি ১৫ হাজার ২৯৯ টন, ইউরিয়া ৩ হাজার ৬৩৭ টন, ডিএপি ১৪ হাজার ৮৬১ টন এবং পটাশ ১২ হাজার ৯৩৯ টন সার বরাদ্দ পান।

তবে ডিসেম্বর মাসের চাহিদায় টিএসপি ১ হাজার ৭৮১ টন, ডিএিপ ২ হাজার ৪৪২ টন, ইউরিয়া ৪ হাজার ৯৬৪ টন এবং পটাশিয়াম ২ হাজার ৮২৪ টন সার পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে চলতি মাসের (ডিসেম্বর) সব সারই তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ডিলাররা। ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সারের সরকারি মুল্য ১৩৫০ টাকা। ডিএপি ১০৫০ টাকা, এমওপি ১০০০ টাকা এবং ইউরিয়া ১৩৫০ টাকা।

কিন্তু ডিলারদের নিকট থেকে প্রয়োজন মোতাবেক সার না পেয়ে কৃষকদের বিভিন্ন দেকান থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার কয়েকটি ডিলারদের গুদামের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কয়েকশ মানুষ সারের জন্য অপেক্ষা করছে। বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগে বলেন, আমরা দুদিন সার কিনতে এসে ফিরে গেছি। অনেক মানুষের লাইন। আজকে পাব কি না তা জানি না।

একই ব্যক্তিকে বিসিআইসি ও বিএডিসি ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ডিলাররা দুই স্থান থেকে উত্তোলনকৃত সার দিচ্ছেন। লোকবল সংকটের কারনে সার দিতে দেরী হওয়ার কথা জানান কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, একই ব্যক্তিকে দুই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না দিয়ে পৃথক পৃথক ব্যক্তিকে ডিলার নিয়োগ করা হলে আমরা তাড়াতাড়ি সার পেতাম।

শুধু তাই নয়, মেহেরপুর গাংনী শহরের সার ব্যবসায়ী বিএডিসি ডিলার তরিকুল ইসলামের দোকানে সার ক্রয় করতে গিয়েও সার না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে অনেক কৃষককে। এছাড়া জেলা কৃষক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ তার নিজের নামে বিএডিসি ও বিসিআইসি থেকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ৪টি ডিলার নিয়োগ নিয়ে গাংনী উপজেলার চাষিদের মাঝে সার বিক্রয় করছেন।

এদিকে বিসিআইসি ডিলার সমিতির মেহেরপুর জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান হাপির রয়েছে হক এন্টারপ্রাইজ, সম্রাট এন্টারপ্রাইজ ও আকছেদ এন্টারপ্রাইজ নামে ৩টি ডিলারশিপ। পৃথক নামে হলেও সবই পরিচালনা করেন হাফিজুর রহমান।

গাংনীর ষোলটাকা গ্রামের কৃষক ছামিদুল ইসলাম বলেন, ষোলটাকা ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার গাংনী হাসপাতাল বাজারে ব্যবসা করে থাকে ইউনিয়নে তার কোন সারের ব্যবসা নেই।

বানিয়াপুকুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আকবর জানান, ইউনিয়নে কোনো সার ডিলার না থাকায় ১০ কেজি সারের প্রয়োজন হলেও বাজারে সার কিনতে যেতে হয়।

বিসিআইসির সাব ডিলার তেরাইল গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ডিসেম্বর মাসের বরাদ্দ প্রতি মাসে ১৩৮ ইউরিয়া, ৫৬ ডিএপি, ফসফেট ৪৯ বস্তা, পটাশ ৩০ বস্তা। এমন বরাদ্দকৃত সারে কৃষকের চাহিদা পূরুণ হচ্ছে না।

খুচরা ডিলার সভাপতি মো. শাহিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, ১৪ মাস খুচরা ডিলাররা সার পায় না। তিনবার জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। খুচরা ব্যবসায়ীদের সার দিলে এমন সমস্যা তৈরী হতোনা।

সাধার সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন বলেন, বিসিআইসির ডিলাররা আমাদের সার দেয়নি প্রায় এক বছর। আমাদের মাধ্যমে সার দিলে কোন কৃষকের সারের অভাব হবে না।

বিসিআইসি ডিলার সমিতির মেহেরপুর জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান হাপি বলেন, কৃষকদের সার দেওয়ায় নিয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কৃষকরা একটু ধৈর্য্য ধরলে সবাই সার পাবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের অনিচ্ছা থাকা সত্বেও দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিলারশীপ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর তামাক কোম্পানিগুলো প্রণোদনা হিসেবে সার দিত তামাক চাষিদের।এবার সার না দিয়ে নগদ টাকা দিয়েতে তাই সারের প্রয়োনীয়তা বেড়ে গেছে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, জেলায় চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছি। মেহেরপুর জেলায় প্রতিবছর এসময় কৃষকরা আলু,তামাক,তুলা,গম,ভুট্রার আবাদ করেন। যার ফলে সারের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেছে। এছাড়া সার কারখানায় সার উৎপাদনেও কিছুটা ধীরগতি। তবে শিঘ্রই সমস্যা কেটে যাবে।




দর্শনায় ৪ জন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জি আর সি আর মামলার ৪ ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

জানাযায় আজ শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় বিভিন্ন গ্রামে।

এ সময় দর্শনা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে। সে সময় পুলিশ মৃত্য খোয়াজ আলী ওরফে ফুয়াদ আলীর ছেলে জি আর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ডাবলু (৩৭) পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসলামের ছেলে সি আর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সপুর আলী (৪৫) দর্শনা থানার দোস্ত গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে জি আর মামলার নিয়মিত মামলার আসামী নয়ন (৩২) ও দর্শনা থানার চাকুলিয়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী মনির হোসেনকে (৪৫) নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের ৪ ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে।




দর্শনায় শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ স্মৃতি ফুটবল টুনার্মেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দর্শনা রামনগর মাথাভাঙ্গা যুব সংঘের উদ্যোগে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ স্মৃতি ফটবল টুনার্মেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার পাবনা আযূব খান স্মৃতি সংঘকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে দর্শনা বয়েজ ক্লাব। দ্বিতীয় পর্বের খেলায় পাবনা আয়ুব স্মৃতি সংঘকে দর্শনা বয়েজ ক্লাব ফুটবল একাদশের ১১ নং খেলোয়ার সিফাত হোসেন আলী ৪৭ মিনিটের সময় ১ম গোলটি করেন। খেলার শেষ পর্যন্ত পাবনা আয়ুব খান স্মৃতি ফুটবল একাদশ গোলটি পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে খেলায় চ্যাম্পিয়ান ট্রফি সিফাতের হাতে তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি মাহমুদ হাসান খান বাবু। এছাড়া সেরা খেলোয়ার, সেরা গোলদাতা ও ম্যানঅবদ্যা খেলোয়ারদের পুরুস্কার তুলে দেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু এসময় ববক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বলেন,খেলা ধুলা খেললে মানুষের মনকে বিকাশিত ঘটায়। খেলাধুলা খেললে মাদক থেকে দৃরে থাকা যায় এবং যুব সমাজ ধংসের দার প্রান্ত থেকে রক্ষা পায়। তাই আপনাদের সন্তনদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলা ধুলায় মনোনিবেশ করেন। এতে যুব সমাজ মাদকের হাত থেকে রেহায় পাবে।

তিনি আরও বলেন, দর্শনায় শুধু বিএনপি কমিটি নিয়ে ঝামেলা হয়। এখন দেখছি এত সুন্দর শান্ত পরিবেশে উৎসব মুখোর পরিবেশে ফুটবল খেলো দেখে আমি অভিভুত হয়েছি। আমি বা আমার দলের সরকার যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে মেমনগর ফুটবল মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম করে দেবো। এরপর বিজয়ী ও পরাজিত দলকে তাদের নৈপূর্ন খেলা পরিবেশন করায় অভিনন্দন জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন। রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন ফেরদৌস আহম্মেদ, সহকারী রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন, ইকরামুল হাসান নিপুন এবং মোসাফিজুর রহমান।

রামাযুষের সভাপতি জহির রায়হানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খাঁজা আবুল হাসনাত ও দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সাবেক চেয়ারম্যান নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, দামুড়হুদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তনু, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন, জীবননগর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খোকন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাজী খন্দকার শওকত আলী, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, দর্শনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শামীম উদ্দিন দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি হারুন অর রশিদ, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক এনামুল হক শাহ মুকুল, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সভাপতি শফি উদ্দিন, দর্শনা পৌরসভার সাবেক ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন,দর্শনা পৌর বিএনপির যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল হাসান, সাবেক থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম। মদনা পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নাসির উদ্দিন খেদু, জালার উদ্দিন লিটন ও রেজাউল ইসলাম।

খেলায় হাজার হাজার দর্শক মাঠের চারপাশের গ্যালারীতে ছিলো পরিপূর্ণ উপচে পড়া ভীড় ও মাঠ ভর্তি দর্শক ছিলো চোখে পড়ার মত। সমগ্র ফুটবল খেলার ধারা ভাষ্য দেন হাসান গাজী, সবুজ হোসেন ও শামীম আহম্মেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাহান আলী ও মোরশেদ লিংকন। সার্বিক তত্তাবধায়নে ছিলেন রামাযুষের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।




মুজিবনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের শোভা যাত্রা ও আনন্দ মিছিল

মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদের দুই দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র কর্ণধার আমিরুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ন আহবায়ক হয় মুজিবনগরে নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ-বন্যা বইছে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ঘোষণার পরপরই মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি যুবদল কৃষকদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভা যাত্রার মাধ্যমে আমিরুল ইসলামকে মেহেরপুর থেকে মুজিবনগর নিয়ে আসেন উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে উপজেলা বিএনপি’র ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।

এ সময় কেদারগঞ্জ বাজারে জড়ো হওয়া নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশে মেহেরপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে আমাকে ১ নং যুগ্ন আহবায়ক করায় আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন এই জেলা সহ মুজিবনগর এর বিএনপির সকল স্তরের নেতা কর্মীকে নিয়ে তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতা নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ। আসুন সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা তলে সমবেত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করি।

দেশ কে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা মাঠে আছি মাঠে থাকবো সমস্ত ষড়যন্ত্র ভেদ করে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগওয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সহ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাত্রদল যুবদল কৃষক দল স্বেচ্ছাসেক দলের নেতা কর্মীবৃন্দ।