টাকার সংকট মেটাতে ভ্যান ছিনতাই করে চালককে হত্যা তিন আসামী

চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলম (৪১) হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর্থিক সংকটে থাকায় হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামিরা। হত্যার পর ছিনতাই হওয়া ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গা শিবপুর গ্রামের সবেদ আলীর ছেলে জিনারুল হক, আলমডাঙ্গা আইন্দিপুর গ্রামের মৃত হাফিজুলের ছেলে ইমরান (২৪), আলমডাঙ্গা আইন্দিপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মাসুম (২০)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা ভালাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলমগীর হোসেন পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। গত ২ অক্টোবর রাতে মোটরচালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ফিরে না আসায় আলমগীরের মোবাইল ফোনে কল দিলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ৪ অক্টোবর সকালে আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠে ভাইমারা খালে কচুড়িপানার নিচে আলমগীরের মরদেহ দেখতে পায় আলমগীরের পরিবার।

এঘটনায় আলমগীরের মা জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে। গত ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বড়দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমরান ও মাসুম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গতকাল ১১ ডিসেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা জিনারুল হককে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।

আসামীরা জানায়, আসামীরা তিনজন আর্থিক সংকটে থাকায় ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ভালাইপুর থেকে ৩হাত নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের ভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংণীর উদ্দেশ্য রওনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভ্যান থামাতে মাসুম ইচ্ছাকৃতভাবে তার পায়ের স্যান্ডেল ফেলে দেয়। ভ্যান থামালে জিনারুল চালকের জামার কলার ধরে নিচে নামিয়ে ধস্তাধস্তি করে গর্তে ফেলে দেয়।

একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর মরদেহ রাস্তা পার করে খালের কচুড়িপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ছিনতাই করা পাখিভ্যানটি ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রয় করে তিনজন প্রত্যেকে ১৬ হাজার টাকা করে সমান ভাগ করে নেয়।




আলমডাঙ্গায় ৩৭ পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ৩৭ জন বেকার উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যাওয়ার পথে দালালদের হাতে বন্দি মুক্তিপণ দিতে গিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, আলমডাঙ্গায় ইতালি নেয়ার পথে লিবিয়ায় দালালদের হাতে বন্দি হয়ে আছেন আলমডাঙ্গার ৩৭ জন যুবক। তাদের ওপর চালানো হচ্ছে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। ভিডিও কলের মাধ্যমে সেই অমানবিক নির্যাতনের চিত্র দেখিয়ে পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করছে চক্রটি। অভিযোগ উঠেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের জীবন আহম্মেদ ৩৭ জন নিরীহ যুবককে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে না পাঠিয়ে প্রতারণা করছে। এ চক্রের সাথে রয়েছে জীবনের ভাই লিবিয়া প্রবাসী বেলগাছি গ্রামের সাগর। নির্মম এ নির্যাতনের ভিডিও দেখে স্বজনরা হয়ে পড়েছেন উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের জান্টু মেম্বরের ছেলে জীবন আহম্মেদ নিরীহ যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে বলেন- তার ভাই সাগরের মাধ্যমে ইতালি গেলে পাওয়া যাবে মোটা অংকের বেতনের চাকরি। বিনিময়ে প্রত্যেককে ১৩ লাখ টাকা দিতে হবে। এই টাকার বিনিময়ে তাদের দুবাই থেকে ইতালি পাঠানো হবে। তার প্রলোভনে পড়ে ওই গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে জীম ও ঠান্ডুর স্ত্রী বেদানা খাতুন, বজলুর রহমানের ছেলে সবুজের মাধ্যমে হাউসপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ, খেজুরতলা গ্রামের তামসের আলীর ছেলে মিঠুন, একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে তুহিন হক, আব্দুল মজিদের ছেলে তিতাস, আজগর আলীর ছেলে জুয়েল রানা, সাজাহান আলীর ছেলে হাসিবুল ইসলাম, তমেজ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, হাসান মন্ডলের ছেলে বকুল হোসেন, শওকত আলীর ছেলে নয়ন হক, ফারুক হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, জমসেদ আলীর জুনায়েদ হাসান প্লাবন, আল মামুনের ছেলে আবু জাফর, মহাবুল হোসেনের ছেলে সাগর আলী, মনির উদ্দিন মন্ডলেল ছেলে মিল্টন আলী, অহিদুল ইসলামের ছেলে মোশারফ আলী, নজরুল ইসলামের ছেলে বিপুল হোসেন, নাসির উদ্দিনের ছেলে নিশান মিয়া, আনিছ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ জাহিদ, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন, ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় আহমেদ টিটন, জহুরুল নগরের লাল্টু রহমানের ছেলে সবুজ আলী, কাবিলনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বিপ্লব হোসেন, ঘোলদাড়ি গ্রামের শ্রী চিত্তরঞ্জনের ছেলে শ্রী সনজিত কুমার, কেশবপুর গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে মামুন আলী, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের সমীর আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামসহ ৩৭ জন বিদেশের উদ্দেশে পাড়ি জমায়।

বিভিন্ন তারিখে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা করে পরিশোধ করে। টাকা পেয়ে জীবন গং ভুক্তভোগীদের দুবাই নিয়ে যায়। দুবাই থেকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রতারণা করে দুবাই থেকে লিবিয়া নিয়ে যায়। লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে একটি গোপন কক্ষে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করে। লিবিয়ায় অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলের মাধ্যেমে দেশে এসব যুবকদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পরও তারা ওইসব যুবকদের সেখানে আটকিয়ে রেখে জন প্রতি আরও ২২ লাখ টাকা দাবী করছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী যুবকদের স্বজনরা মোবাইলে এ দৃশ্য দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা না পারছেন টাকা পাঠাতে না পারছেন সেখান থেকে তাদের মুক্ত করতে। কোন উপায় না পেয়ে সঠিক পথ খুঁজে পেতে ও বিচারের আশায় যাদবপুর গ্রামের আব্দুস সুবহানের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন, খেজুরতলা গ্রামের নাসির উদ্দিনের স্ত্রী সাবানা খাতুন ও জুয়েল আলীর স্ত্রী পলি খাতুন হাউসপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুদ রানা, খেজুর তলা গ্রামের ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী কল্পনা খাতুন থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতারকদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ৩৭ জনের পরিবারের সদস্যরা।  সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী জুয়েল রানার স্ত্রী পলি খাতুন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন বলেন, আমরা ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দালালদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি। একইসাথে এটা নিয়ে সিআইডির সাথে কথা হয়েছে। তারাও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনসহ অপরাধী সনাক্ত ও আটকে কাজ করবে।




মেহেরপুরের তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও চাষী উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক মাঠ দিবস

মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের “তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পে’র অর্থায়নে তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও চাষী উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে পাটকেলপোতা গ্রামে দিবসটি পালিত হয়।

মেহেরপুর সদরের পাটকেলপোতা গ্রামের ৪০ জন কৃষক নিয়ে তুলা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও এর সম্প্রসারণ, তোলার বীজ বপন গাছের পরিচর্যা রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এর মাত্রা নির্ণয় তুলার ফল এর বল আকৃতি থাকা কালীন সময়ে রোগ মুক্ত করণ পদ্ধতি তোলা সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম এজাজুল ইসলাম, বারাদী ইউনিটের কটন ইউনিট অফিসার জাকারিয়া ইকবাল।




দর্শনায় সাবেক ইউপি সদস্য আবু সালেসহ গ্রেফতার ৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলার সাবেক ইউপি সদস্য আবুসালেসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দোস্ত গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত হলো দর্শনা থানার দোস্ত গ্রামের বসতি পাড়ার বাবু ছেলে ইমন (২৮) সাবেক বেগমপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কাজীর ছেলে আবু সালেহ (৫০) আবু সালের ছেলে তুষার (২৫) ও তুহিন (২৭) কে গ্রেফতার করেছে। আজ তাদের ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




মুজিবনগরের গড়তে ইয়ুথ পিস এ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠনের সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুব সমাজকে সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নিতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ (MIPS) প্রকল্পের অধীনে ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াই.পি.এ.জি) গঠনের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর ) সকালে মুজিবনগরের পর্যটন মোটেলের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগরের পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সমন্বয়কারী মো: ওয়াজেদ আলী খানের সভাপতিত্বে এবং তারই সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সভার সভাপতি মো: ওয়াজেদ আলী খান, এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: আশরাফুজ্জামান।

সভায় পিস এম্বাসেডর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হাসান , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিনিধি মো. খাইরুল বাশার , শিক্ষিকা ঝরনা খাতুন, মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক, সাংবাদিক মো হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক মো রিয়াজ সেখকে ওয়াই.পি.এ.জি কো-অর্ডিনেটর এবং সহ-সমন্বয়কারী হিসেবে মুজিবনগর ব্লাড গ্রুপের ও পলাশি পাড়া সংগঠনের সভাপতি মোছা: মুক্তা খাতুনকে এবং নাদিম আনজুম বিন রেজাকে নির্বাচিত করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০ সদস্যের ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াই.পি.এ.জি) কমিটি গঠন করা হয়। উপস্থিত সবাই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সহিংসতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন এবং শপথ গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠীগত সহিংসতা নিরসনে ওয়াই.পি.এ.জি পিএফজির সাথে একযোগে কাজ করবে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সকল জনগণকে সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নেবে এই প্রতিজ্ঞায় সভা শেষ হয়।




মুজিবনগরে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক-সমাবেশের অংশ হিসাবে মুজিবনগরের দারিয়াপুর ইউনিয়নে কৃষক-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্প্রতিবার বিকালে দারিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আয়োজনে পুরন্দরপুর মোড়ে কৃষকদলের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি রিপন আহম্মেদের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহব্বায়ক মাহাবুব রহমান, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের আহব্বায়ক আরমান আলী, সদস্য সচিব কুন্নত মিয়া, মোনাখালী ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক ইউনূচ আলী, দারিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক আবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির।

কৃষক সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া বাংলার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য যেসব কার্যক্রম করেছিলেন সেই সব উন্নয়ন মূলক তথ্য তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লেখা একটি পত্র উপস্থিত কৃষকদের মাঝে পাঠ করে শোনানো হয়।

সেই সাথে তৃণমূলের কৃষকরা তাদের সমস্যার কথা, তারেক রহমানের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য সমাবেশে তুলে ধরেন।




ঝিনাইদহে দাফনের ৬১ দিন পর স্কুল ছাত্র সোহানের লাশ উত্তোলন

লাশ দাফনের ৬১ দিন পর আদালতের নির্দেশে ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রর লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে সোহানের লাশ উত্তোলন করে। সোহান ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। গত ১৮ সেপ্টম্বর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় সোহানের। ২১ সেপ্টম্বর ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে সোহানের লাশ একটি মহল ঝিনাইদহের নগরবাথান গ্রামে দাফন করে।

লাশ দাফনের পর সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রচার হলে ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার পিতা শহিদুল ইসলাম ৮জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করলে ঝিনাইদহ সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
সোহানের মা সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার পূর্বাচলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের পিতা সাকিবকে ফোন করে। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের পিতাকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে।

খবর পেয়ে সোহানের পিতা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। সোহানের পিতা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে থাকতেই সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোন ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন তার মোবাইল ফোনে।

এছাড়াও সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেন পুলিশ গেলে আমি যেন তাদের বলি সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
গ্রামবাসি জানায়, আসামী সাকিবের ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা ঢাকায় মানুষের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির ব্যবসা করে। এই অপকর্ম করে তারা ইতিমধ্যে ঢাকা ও ঝিনাইদহ শহরের একাধিক স্থানে বহুতল ভবন তৈরী ও জায়গা জমি কিনেছেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের এসআই শরীফ জানান, আদালতে এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা-আল মামুন জানান, আমি আদালতের মাধ্যমে জানতে পারি সোহানের পিতা ৮জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।

এরই অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে সোহানের লাশ উত্তোলন করেছে। আর এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয় এখানে আমার বলার কিছু নেই। এটা আদালতেই বিচার হবে।




ঝিনাইদহে ওয়ালটনের সুরক্ষা সহায়তা প্রদান

ঝিনাইদহে মৃত ক্রেতার পরিবারকে ওয়ালটনের সুরক্ষা সহায়তা হিসাবে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মুজিব চত্বর মোড় ওয়ালটন প্লাজার আয়োজনে মৃত কিস্তি ক্রেতা জেলার শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামের আসমত আলী বিশ্বাসের স্ত্রী খাদিজা বেগমের হাতে আর্থিক সুবিধার নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ ওয়ালটনের এরিয়া রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার সাগর আহমেদ। সেসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ ওয়ালটন প্লাজার চুয়াডাঙ্গা মোড় শাখা ব্যবস্থাপক এস এম সাদিক ই-নুর, ওয়ালটন প্লাজার এইচ এস এস সড়কের শাখা ব্যবস্থাপক তোতা মিয়া, এসএটিভি ও দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ, দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও দৈনিক রানার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি বসির আহাম্মেদ, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জিকু, সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম এইচ রুবেল, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান, আলমঙ্গীর হোসেন, হোন্ডা শোরুমের ম্যানেজার আঃ মতিন ও মৃত ক্রেতা আসমত আলী বিশ্বাসের স্ত্রী খাদিজা বেগমসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।




ঝিনাইদহে ভোক্তা আধিকার বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়া আমেনা খাতুন কলেজ মিলনায়তনে ভোক্তা আধিকার বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ” আইনের যথাযথ প্রয়োগই পারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করতে”।

গতকাল বুধবার জাতীয় ভোক্তা আধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঝিনাইদহ জেলা কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে কলেজর অধ্যক্ষ মহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা পিপিএ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভোক্তা আধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু।

মডারেটরের দয়িত্ব পালন করেন কলেজের প্রভাষক সাজ্জাদুল ইসলাম মিটু এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস সালাম। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঝিনাইদহ দুঃখী মাহমুদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক এম এ কবীর, ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভিন ও মিয়াকুন্ডু মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সওকত হোসেন। প্রতিযোগিতায় বিপক্ষ দল বিজীয় হয় এবং মারিয়া আক্তার তামান্না শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়।

অন্যান্য বিতার্কিকরা ছিলেন কামরুন্নাহার, আরিফা খাতুন, মৌসুমি আক্তার, রুপা খাতুন ও ফুরকানুল ইসলাম। বিজয়ী দল এবং শ্রেষ্ঠ বক্তাসহ সকল বিতার্কিককে পুরস্কৃত করা হয়।




দামুড়হুদায় শীতের আগাম প্রস্তুতি! লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় 

শীত নিরাময় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ প্রস্তুতি নিতে উপজেলার লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ভীড় জমতে লক্ষ্য করা গেছে। ভীড়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগর সহ দোকান মালিকদেরকে।

দামুড়হুদা,উপজেলার প্রায় সকল লেপ- তোষকের দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকতে দেখা গেছে কমবেশি।কেউ যাচ্ছে ওর্ডার দিতে, আবার কেউ যাচ্ছেন নিদিষ্ট একটা মাপ দিয়ে কেমন মজুরি পড়বে জানতে। অবশ্য এবছরে অন্যআন্য মালামালের সাথে সাথে বেড়েছে লেপ তোষক তৈরির ব্যবহারের পন্য সামগ্রি।সেজন্য লেপের কাপড়, ফোম, মজুরির দামটাও একটু বেশি বলে বিক্রতা সহ ক্রেতাদের দাবি।

উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠাল তলা বাজারের লেপ ব্যবসায়ী আলী আজগার জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে  এ পেশায় নিয়োজিত। এবার শীতে দোকানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভিড় হচ্ছে, কিন্তু দাম একটু বেশি হাওয়ায় কাস্টমার ফিরে যাচ্ছে।

গত বারের তুলনায় এবার মালা মালের দাম বেশি,যে তুলা কিনতাম ১২০ টাকা কেজি সেই তুলা কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি,আর যে কাপড় কিনতাম ৩০ টাকা গজ, এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা গজ,সুকলা কিনতাম ২০ কেজির ব্যাল্ট ৪০০ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, কারিগরদের আগে লেপ প্রতি হাজিরা দিতে হতো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, এবছরে দিতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

কারিগর করিম হোসেন বলেন, আমি ১০ রকমের লেপ তোষক তৈরি করতে পারি। সিঙ্গেল লেপ বিক্রি করছি সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ডাবল লেপ ১৫০০/৩০০০ টাকা। কিন্তু জিনিসের দাম একটু বেশি হাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার একটু বেচাকেনা কম হচ্ছে।

জয়রামপুর গ্রামের ডালিম হোসেন বলেন, আমি তিন টা লেপ তোষক অর্ডার দেওয়ার জন্য দোকানে গিয়ে ছিলাম কিন্তু এবারে দাম অনেক বেশি বলছে, দোকানদার বলছে আমরা কি করিবো যেমন দামে জিনিস পত্র কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। তিনি আরো বলেন গত বছরে যে তোষক কিনে ছিলাম ১.৫০০ টাকায় এবার কিনতে হচ্ছে ২.৫০০ থেকে ৩.০০০ টাকায়।