ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন

সারা দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। আজ শনিবার সকালে শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বৈরশাসকের পতনের পর জেলার বিভিন্নস্থানে হানাহানি, দখল, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা নৈরাজ্য সংগঠিত হচ্ছে। এমন ক্ষয়ক্ষতিতে ছাত্রসমাজ দারুন ব্যথিত। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য এ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। জেলায় নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ। সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্ররা পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জনগনের নিকট জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও চলমান সংকটে জনমানুষের নিরাপত্তায় অনতিবিলম্বে পুলিশের দায়িত্বে ফেরার আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন এ দেশের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারে মানবিক, জবাবদীহী ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ আন্দোলনের সফল হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের রাজপথে থেকে তৎকালীন স্বৈরাশাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চলামান রেখেছিল। আপনারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্যামেরার পিছন থেকে, আবার কেউ কলম দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামকে সফলতা আনতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। তাদেরকে রাজনৈতিক সংগঠনের আজ্ঞাবহ না থেকে গণমানুষ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে থাকার আহবান জানান।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এলমা খাতুন, আবু হুরাইরা, রায়হান হোসেন রিহান, শারমিন সুলতানা, রত্না খাতুন, সাজেদুর রহমান, নুসরাত জাহান সাথী, আনিছুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়ায় বাজার মনিটরিং করছে শিক্ষার্থীরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বের পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। আর এসবের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে পৌরবাজারে মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন।

জেলা শহরের পৌর বাজারে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখছেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাজারের সব বিক্রেতাকে বলে আসেন তারা যেন কোনো পণ্যের দাম অতিরিক্ত না নেন এবং যেন কাউকে চাঁদা না দেন। এ ছাড়া অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তারা।

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বিক্রেতারা বলেন, ইজারা ফি কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া সুলতান পাবনী জানান, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এইজন্যই আমরা কুষ্টিয়ার পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যায়। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। উনারা আমাদের জানিয়েছেন উনারা এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন।

তেজগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারিফ মোস্তাফিজ বলেন, মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেট মোকাবিলায় আমরা সদা তৎপর। সেজন্য বাজারের ক্রেতাদের এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করি। আমরা তাদের বলেছি কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে যেন আমাদের জানায়। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বাগত মাহমুদ বলেন, আমরা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছি। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতা রাব্বু হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ঘন ঘন বাজার মনিটরিং করে তাহলে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। যারা বিভিন্ন অজুহাতে সিন্ডিকেট করছেন তারা বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না।




উল্লাসে যা করবেন না

আনন্দ উদযাপনে তো ক্ষতি নেই। তবে অনেক সময় তা করতে গিয়ে অনেকেই হিতাহিতজ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েন। আবেগ আর উত্তেজনার বশে অনেক কাজই করেন যা ঠিক নয়। খেলাধুলা থেকে কোনো অর্জনের ক্ষেত্রেও তা সত্য। এই আবেগ প্রশমনে যা করা উচিত।

প্রতিহিংসা নয়
রেষারেষি থাকতেই পারে। যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক বিষয়েও আপনি সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইবেন। এগুলো সবই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো মানুষের সামনে নিজের প্রতিহিংসার প্রকাশ ঘটাবেন না। হিংস্র আচরণ করবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

উস্কানি বা গুজব নয়
এমন কিছু বলবেন না, যা থেকে উত্তেজনা ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে। কখনোই কাউকে ছোট করে কথা বলবেন না। কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করে কোনো কথা বলবেন না। কারো পারিবারিক পেশাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। কাউকে হুমকি দেবেন না। সবচেয়ে বড় কথা উস্কানি শুনে গুজব ছড়াবেন না।

সাম্প্রদায়িক আচরণ
সাম্প্রদায়িক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। বাংলাদেশের সংবিধানেই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। অন্য কোনো সম্প্রদায়কে খাটো করে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এমন কাজ করবেন না, যাতে কোনো উপাসনালয় ও মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, অবমাননা হয়।

ধ্বংস নয়
অন্যের সম্পদ ‘নিজের’ বলে দাবি করবেন না বা নিয়ে নেবেন না। কাউকে তাঁর আবাসস্থল থেকে সরে যেতে বাধ্য করবেন না। রাষ্ট্রীয় সম্পদকেও কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন করে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারো সম্পদ নষ্ট করবেন না।

অন্যের অসুবিধার সৃষ্টি করবেন না
আপনার আনন্দ-উল্লাসে যাতে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আবাসিক এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ করবেন না। উৎকট আওয়াজে অসুস্থ ব্যক্তির অসুবিধা হতে পারে। উদযাপনের ভঙ্গিটি যেন এমন না হয়, যাতে অন্যের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইন উপদেষ্টা ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আমাদের প্রধান বিচারপতি কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এটা উপযুক্ত প্রসেসিংয়ের জন্য কালবিলম্ব না করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবো এবং আমরা আশা করবো, খুব দ্রুত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আমরা কেবল প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র পেয়েছি, অন্যদের বিষয়ে কোনও আপডেট নেই।

আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ সন্দেহ করে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলে আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করবো।

তবে পদত্যাগের খবর জানিয়ে নতুন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন। দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।

এর আগে প্রধান বিচারপতি গনমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি সন্ধ্যার মধ্যে নিয়ম অনুসারে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। অন্যান্য বিচারপতিরা কী করবেন, প্রশ্ন করলে তাদের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রধান বিচারপতি।
সূত্র: ইত্তেফাক




ইঞ্জিনিয়ার নেবে মেঘনা গ্রুপ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটির আরসিসি স্ট্রাকচার বিভাগ ড্রাফটিং ইঞ্জিনিয়ার পদে জনবল নেবে।আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ

পদের নাম: ড্রাফটিং ইঞ্জিনিয়ার

বিভাগ: আরসিসি স্ট্রাকচার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা

অন্যান্য যোগ্যতা: স্থাপত্য, এবং কাঠামোগত স্ট্রাকচার আঁকতে অটো সিএডিতে দক্ষতা, কারখানা ভবন, আবাসিক ও বাণিজ্যিক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য আরসিসি নির্মাণ অঙ্কনে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা (উত্তরা)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৬ আগস্ট ২০২৪




মেহেরপুরের ক্ষতিগ্রস্থ ইসকন মন্দিরে পরিদর্শন করলেন আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার পৌর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসকন মন্দির পরিদর্শন করেন মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

আজ শনিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সদরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.মারুফ আহাম্মেদ বিজনের নেতৃত্বে আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেন।

এসময় পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান স্বপনসহ বিএনপি পন্থী আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দরা উপসস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে  মন্দিরের পুরোহিতের কাছে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।




পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, আমি পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ধ্যার মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবো।

এর আগে, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার পর হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে, হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করব, প্রতিরোধ করব। এজন্য সবাই রাজপথে নেমে আসুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্ষত ভুলে শুটিংয়ে

ক’দিন আগেই প্রবল বৃষ্টির কারণে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিল বহুল আলোচিত এবং তারকাবহুল সিনেমা ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’। ভিলে পার্লের গোল্ডেন টোব্যাকো স্টুডিওতে তৈরি একটি বিশাল সেট নষ্ট হয়ে যায়।

ফলে অক্ষয় কুমার, দিশা পাটানি, সুনীল শেঠি, রাভিনা ট্যান্ডন, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের কমেডি এই সিনেমার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তখন নানা মাধ্যমে কষ্টের কথা জানিয়েছিলেন তারা। তবে অবশেষে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিনেমাটির টিম। গতকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে শুটিং।

জানা গেছে, বৃষ্টি কমে যাওয়ার সাথে সাথে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় নষ্ট করেনি সংশ্লিষ্টরা। এমনকি আগের চেয়েও বড় পরিসরে সেট নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটির নির্মাতা আহমেদ খান বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুতেই লসের মুখে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে আমার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আগের চেয়ে বড় সেট নির্মাণ করেছি। পাশাপাশি আমরা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে আজ (গতকাল) থেকে আবারও শুটিং শুরু করেছি। আশারা করছি ক্ষত ভুলে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারবো।’

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন সঞ্জয় দত্ত, আরশাদ ওয়ার্সি, পরেশ রাওয়ালসহ অনেকে। জানা গেছে, সিনেমাটি আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ফুটবলকে বিদায় জানালেন ডিফেন্ডার পেপে

ডিফেন্ডারও যে একজন কিংবদন্তি হতে পারে সেটাই প্রমাণ করে গেলেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ডিফেন্স লাইনে চীনের সেই মহা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন তিনি। তাকে ডিঙেয়ে গোল বারে শর্ট নিয়ে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হতো বিশ্বের সব বাঘা বাঘা ফরোয়ার্ডদের। গেল মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। তখনো অনেকে আঁচ করেছিল। খুব তাড়াতাড়ি ফুটবলকে বিদায় জানাবেন এই কিংবদন্তি। এবার সেটাই সত্যি হলো।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মধ্যে দিয়ে ফুটবলে নিজের অধ্যায় শেষের কথা জানান এই পর্তুগিজ। সেই পোস্ট নিজের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে ৪১ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ আমার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আপনারা আমাকে সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়েছেন।’

জাতীয় দলের পেপের সবচেয়ে ভালো বন্ধু কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন রোনালদো ও পেপে। প্রিয় বন্ধু বিদায় বেলায় এক পোস্টের মধ্যে দিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আমার বন্ধু, তুমি আমার কাছে কী বোঝাতে চা-ও, তা প্রকাশ করার কোনো ভাষা নেই। মাঠে একসঙ্গে আমরা সবকিছু জিতেছি। তবে সবচেয়ে বড় জয় হলো বন্ধুত্ব। তোমার প্রতি আমার যে সম্মান আছে তা হলো-তুমি অনন্য, আমার ভাই। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’

এছাড়াও বিদায় বেলায় পেপেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ফার্নান্দো গোমেস। সেইসঙ্গে পেপে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় বলে আখ্যা দিয়েছেন ফার্নান্দো। তিনি বলেন, ‘অসাধারণ পেশাদারিত্ব ছিল তার মধ্যে। ফুটবলের প্রতি তার যে আবেগ, এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

১৯৮৩ সালে ব্রাজিলের জন্মগ্রহণ করলেও পর্তুগালে থাকার সুবাদে ২০০৭ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় পেপের। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৪১টি ম্যাচ। ডিফেন্ডার হয়েও গোল করেছেন ৮টি। জাতীয় দলের হয়ে জাতীয় দলের হয়ে একমাত্র সাফল্য ২০১৬ ইউরোতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা। এছাড়াও জাতীয় উয়েফা নেশনস লিগ ও ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে শিরোপা জিতেন পেপে।

তবে ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদে সোনালি সময় কেটেছে পেপের। মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন তিনটি লা লিগা, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং দুটি ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। ক্লাব ফুটবলে পেপের ক্যারিয়ারের শুরু পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোয়। এরপর ২০০৭ সালের যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে এক দশক কাটিয়ে ২০১৭ সালে পাড়ি জমান রিয়াল ছেড়ে বেসিকতাসে। দুই মৌসুম তুর্কি ক্লাবটিতে খেলে ২০১৯ সালে ফিরে যান নিজের প্রথম ক্লাব পোর্তোয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




দুপুর ১ টার মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার পর হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে, হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করব, প্রতিরোধ করব। এজন্য সবাই রাজপথে নেমে আসুন।

সূত্র: ইত্তেফাক