আমি আপনাদের পাহারাদার হতে চায় কোটচাঁদপুর শোকরানা সমাবেশ মতিয়ার রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ সমন্বয়কের হাত ধরে ও বংপুরের পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে শোকরানা সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর ঝিনাইদহ-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।

তিনি আরো বলেন, এই বিজয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে। সকলকে হানাহানি লুটপাট এবং আগুন সন্ত্রাস বন্ধ করতে অনুরোধ জানান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শাহাদৎ বরন করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে মেইন বাজার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আমীর মোঃ আজিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যার মওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যার মোঃ মোয়াবিয়া হোসেন।

শোকরানা সমাবেশ সঞ্চলনা করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম। সে সময় শোকরানা সমাবেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি ছাত্র শিবির সহ বিভিন্ন দায়িত্ব শীল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য দোয়া অনুষ্টিত

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র/ছাত্রীর জন্য দোয়া অনুষ্টিত দর্শনা পৌরসভার সকল মসজিদে। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে দর্শনা পৌরসভা এলাকায় সকল মসজিদে মসজিদে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র/ছাত্রীর জন্য দোয়া অনুষ্ঠান ও বিশৃ্খংলা থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।

এছাড়া দর্শনা পৌর বিএনপির উদ্যোগে মসজিদে আসা মুসুর্ল্লীদের উদ্যোশে বলা হয় কেউ কোথাও বিশৃঙ্খলা ও জন-সাধারণের জানমাল বিনষ্ট করা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা না হয়।

দর্শনা পরানপুর মসজিদে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বকারী হাবিবুর রহমান বুলেট উপস্থিত থেকে সকল গার্জিয়ানকে সর্তক করে বলেন, আপনাদের সন্তানদেরকে বলবেন কেউ যদি জন-সাধারণের শান্তি নষ্ট বা কোথাও হামলা করে তাহলে আমরা তাকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সোর্পদ করবো। এছাড়া প্রতিটি পৌর এলাকার মসজিদে মসজিদে এ সর্তক করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের অফিস কক্ষে আগুন দেওয়া দর্শনা বাস স্ট্যান্ডে শালিস বৈঠক করে সকলকে সর্তক করেন। এবং বলেন আর যদি কোন প্রকার জ্বালাও পোড়াও করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া ও গ্রহন করা হবে। এ থেকে কেউ রেহায় পাবে না বলে কঠিন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন খাজা আবুল হাসনাত, দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বেগমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন আহম্মদ আলী, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়াক হাবিবুর রহমান বুলেট, দর্শনা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন, পৌর সমন্বকারী সদস্য জালাল উদ্দিন লিটন ও জালাল উদ্দিন।




দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বিএনসিসি

দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক আইল্যান্ড চৌরাস্তায় দায়িত্ব পালন করছে দর্শনা সরকারী কলেজের বিএনসিসির সদস্যরা।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বি এন সি সি সদস্যরা দেশের এই সংকটময় সময় নিজেরাই ট্রফিকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। বিএনসিসির প্রেট্রো লিডার মাহফুজ উদ্দিনের নেত্রীত্বে বিএনসিসির সদস্য মাসুদ রানা, সাব্বির হোসেন, আব্দুল্লাহ, খালিদ হাসান, মুন্না ও জিহাদ হোসেন সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।

সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে বেশ কিছু অনিয়মিত আনছার সদস্য তাদের সাথে যোগ দিয়ে মহা সড়কে নির্বিঘ্নে গাড়ী চলাচলে পথচারীদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে গাড়ি চালকরা তাদের সাধুবাদ জানায়। ভাল সব কাজে ছাত্ররা পাশে থেকে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। আর কোনো সংঘাত চাই না। চাই শান্তি রক্ষা। এবার দেশটাকে নতুন ভাবে সাঝাবে সাধারণ ছাত্ররা। আর এখন শহরের পুলিশ না থাকাতে আমরা ছাত্ররা মিলে ও অন্যানরা সহ সবাই মিলে শহরের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য কাজ করছি। শহরটাকে পরিস্কার পরিছন্ন ও সু-শৃঙ্খল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে। আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ।




মেহেরপুরে সেনাবাহিনী ও বিজিবির নিরাপত্তা তিন থানার কার্যক্রম শুরু

সেনাবাহিনী ও বিজিবির নিরাপত্তায় মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানার কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় সেনাবাহিনী ও মুজিবনগর থানায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি সেনাটহলও অব্যহত রয়েছে।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম মেহেরপুর প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। মুজিবনগরে বিজিবি মোতায়েনের আদেশ হয়েছে তারাও পুলিশকে সহযোগীতা করবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় ভাংচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগকরা হলে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে কর্মবিরতীতে যায়। ফলে এই সময়ের মধ্যে মেহেরপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় দূবৃত্তরা। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। শুক্রবার সারাদেশে দেশের সকল থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহযোগীতা প্রদান করে।




কোটচাঁদপুর শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে বিএনসিসির শিক্ষার্থীরা

কোটচাঁদপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করছেন সরকারি কে এম এইচ কলেজের বিএনসিসির শিক্ষার্থীর।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড পাইকারী কাঁচা বাজার,মেইন বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল মোড় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রন করতে দেখা যায় তাদের। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসেতে দেখা গেছে। কাঁচা বাজার মামা ভাগ্নে ওয়াকসপের মালিক তরিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দেখছি বিএনসিসির ড্রেস পরে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। হাট বারে এখানে প্রচুর পরিমানে যানজট সৃষ্টি হয়। যাতে সাধারণ মানুষের প্রচুর পরিমানে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আজ আর সেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। আমি খুশি হয়ে তাদের সকালের নাস্তা কিনে দিয়েছি।

সরকারি কে এম এইচ কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বিএনসিসির ক্যাডেট মনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনসিসির সদর দপ্তরের আদেশে কে এম এইচ কলেজে ১৫-২০ জন ছাত্র, ছাত্রী আমরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ভুগান্তী কুমাতে দায়িত্ব পালন করছি। এতে সাধারণ পথচারীরা আমাদের প্রতি সাধুবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি সবাই সহায়তা করছে। এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানান তিন ।




মেহেরপুরে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহযোগীতায় তিন থানার কার্যক্রম শুরু

সেনাবাহিনী ও বিজিবির নিরাপত্তায় মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানার কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরের পর থেকে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় সেনাবাহিনী ও মুজিবনগর থানায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি সেনাটহলও অব্যহত রয়েছে।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম মেহেরপুর প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। মুজিবনগরে বিজিবি মোতায়েনের আদেশ হয়েছে তারাও পুলিশকে সহযোগীতা করবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় ভাংচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগকরা হলে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে কর্মবিরতীতে যায়। ফলে এই সময়ের মধ্যে মেহেরপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় দূবৃত্তরা। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। শুক্রবার সারাদেশে দেশের সকল থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহযোগীতা প্রদান করে।




কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের সাথে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, বৈষম্য বিরোধী সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জান্নাতুল মাওয়া, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান,কৃষিকর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির আজিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক, পৌর আমির মাওলানা নাজির আহমেদ, পৌর সেক্রেটারি আবদুল কাইয়ুম, কুশনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিটো খান, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভুইয়া, পৌর বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম কবির, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, মইন উদ্দিন খান, এস এম রায়হান উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ঢাকা কমার্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নাছিম আল মামুন, ঝিনাইদহ কেসি কলেজের ছাত্র আল শাহরিয়ার ওভিক, তানভীর আহমেদ রিজভী, সিফাত খান ফাহিম, রফিকুল ইসলাম,নাছিম আল মামুন আলী হোসেন, হৃদয় আহাম্মেদ প্রমুখ।

সে সময় উপজেলার বর্তমান সময়ের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অতিথিরা। এ সময় শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, ছাত্র সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




ড. ইউনূসকে স্বাগত জানালেন সেনাপ্রধান ও সমন্বয়করা

দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।

এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।

জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।

গতকাল বুধবার দেশবাসীর উদ্দেশে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের কোনো প্রকার ভুলের কারণে এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়।’

এ সময় তিনি সবাইকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসতা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন।

সূত্র: কালবেলা




এখন যা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্র : ড. ইউনূস

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। সরকারের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সবার আগের দেশের সহিংসতা রোধ করতে হবে। এখন যা হচ্ছে তা ষরযন্ত্র।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে দেশের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো ষরযন্ত্র। এটাকে রোধ করতে হবে। তাদের লাঠিপেটা করলে হবে না। সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না। ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারো ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকবো না।

নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না। তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। এসময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।

এর আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে। গত মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র: কালবেলা




চুয়াডাঙ্গায় সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রোভার বিএনসিসি

চুয়াডাঙ্গা সড়ক শৃংখলা ফেরাতে ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা । আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে ছাত্ররা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে সহযোগিতা করে। ছাত্রদের এ উদ্যোগে পাশে দাড়িয়েছেন রোভার স্কাউটস বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল থেকে ছাত্ররা চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বর, কোর্ট চত্বর, একাডেমি মোড়, রেলগেইট সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় ছাত্ররা সাধারণ মানুষের চলাচলে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করে। শহরের বিভিন্ন গাড়ি চলাচলে যানজট নিরোসনে কাজ করে। এছাড়া সড়কে চলার পথে পথচারি ও গাড়ি চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সেজন্য ছাত্ররা ঠান্ডা কোমল পানি, বিস্কুট ও বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর ফলের আয়োজন করেন চলাচলকারিদের জন্য।

এসময় কথা হয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট আল মুতাকাব্বির সাকিব বলেন, ভাল সব কাজে ছাত্ররা পাশে থেকে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। আর কোনো সংঘাত চাই না। চাই শান্তি রক্ষা। এবার দেশটাকে নতুন ভাবে সাঝাবে সাধারণ ছাত্ররা। আর এখন শহরের পুলিশ না থাকাতে আমরা ছাত্ররা মিলে ও অন্যানরা সহ সবাই মিলে শহরের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য কাজ করছি। শহরটাকে পরিস্কার পরিছন্ন ও সু-শৃঙ্খল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে। আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ।