মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

ভয়ংকর মাদক LSD সহ ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি’র হাতে আটক তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করে। বিজিবি মহেশপুর (৫৮) ব্যাটালিয়ানের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় ২৭ আগস্ট আনুমানিক ১২টার সময় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৬১/৭-এস এর নিকট দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার হবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুসুমপুর বিওপির নায়েব সুবেদার আব্দুস ছালাম এর নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি চৌকষ আভিযানিক দল বিত্তিপাড়া গ্রামের মোঃ আজাদ এর আম বাগানের মধ্যে মাদক চোরাকারবারীদের ধরার জন্য সাড়ে টা হতে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে অপেক্ষ করতে থাকে।

একপর্যায়ে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কয়েকজন চোরাকারবারী মাথায় বস্তা নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। চোরাকারবারীরা টহল দলের নিকটবর্তী হলে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা প্রথমে বস্তাসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ৩ জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃরিয়াজ (২২), পিতা-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-পিপুলবাড়িয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন (৩৯), পিতা-জাফর শেখ, গ্রাম-কালাচাঁদপুর, লোহাগাড়া, নড়াইল ও মোবারক আলী (২৬), পিতা-শের আলী, মহেশখালী, কক্সবাজার।

এছাড়া আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ আনা ৭ বোতল এলএসডি (প্রতি বোতল ১০০ এমএল), মোবাইল, জর্জেট শাড়ী, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স, ঔষধ ও বিবিধ মালামাল জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৭,৩৪,৬৯,৪০৪/-(৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৪) টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস পালন

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গায় ২৭ শে আগষ্ট মঙ্গলবার (১২ ই ভাদ্র বাংলা) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর চত্বরে কবীর স্মৃতি স্তম্ভে সকাল সাড়ে ১০ টায় পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল,মধু বিশ্বাস, আপেল হোসেন, উসমান গনি প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাও: নুরুল আমিন।

নজরুল স্মৃতি বিজরিত আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল তিনি কবি নজরুল ইসলামের কার্পাসডাঙ্গায় আগমনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণ বয়সে অনেকবার এসেছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ কার্পাসডাঙ্গায়। তার স্মৃতিবিজড়িত খড়ের আটচালা ঘরটি এখনো সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ঘরটি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। কবি যে এ ঘরেই অনেক দিন-রজনি কাটিয়েছেন, সে ব্যাপারে কারও দ্বিমত বা বিতর্ক নেই। তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদের তীরবর্তী কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ার সরকার পরিবার ছিল জ্ঞান-গরিমায় বেশ সম্ভ্রান্ত। এ পরিবারের সন্তান শ্রী মহিম সরকার চাকরির সুবাদে থাকতেন কলকাতায়। কলকতা আমহার্স্ট স্ট্রিটে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। মহিম সরকারের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই সখ্য ছিল। তার বাড়িতে কবির আসা-যাওয়া ছিল আপনজনের মতো। তার দুই মেয়ে আভা রানি সরকার ও শিউলী রানি সরকার নজরুলগীতি চর্চা করতেন। তাদের গানের তালিম দিতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজে। পরবর্তীতে আভা রানি সরকারের গানের রেকর্ডও বের হয়। প্রখ্যাত লেখক ড. আশরাফ সিদ্দিকী অনুসন্ধান করে নজরুলের কথা ও সুরে আভা রানি সরকারের ছয়টি গানের রেকর্ড-তথ্য পান।

একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, মহিম সরকারের পারিবারিক আমন্ত্রণে একাধিকবার কবি নজরুল কার্পাসডাঙ্গায় এসেছেন। তবে ১৯২৬ সালে ২৭ বছর বয়সে কবি সপরিবারে এখানে বেড়াতে আসেন। এ সময় প্রায় দুই মাস কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান করেন। তার সঙ্গে এসেছিলেন শাশুড়ি গিরিবালা, স্ত্রী প্রমীলা ও বড় ছেলে বুলবুল। তারা কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে দর্শনায় নেমে ছয় মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গরুর গাড়িতে করে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন।




গাংনীর কাথুলী ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন হোসাইন মোহাম্মদ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতে তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা ছুটি নেওয়ায় এখন থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান হোসাইন মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল হক, কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক বাদল হোসেন, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন,জিনারুল ইসলাম,আশরাফুল হোসেন,কাবের আলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতা কর্মীসহ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ দায়িত্ব পালন কালে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।




সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আটক

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তিনি রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকা থেকে আটক হন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

 মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।সম্প্রতি সাবেক এই তথ্য প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন বলে গত ১৪ আগস্ট এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাকার ফরাসি দূতাবাস।

ফ্রান্স দূতাবাস জানায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন, এমন গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

তবে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।এদিকে গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত ছিলেন।

টক শোতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষে কথা বলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।




মেহেরপুরে পাবলিক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে মামলা, সহযোগী আসামি ১৮১

অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনী গঠণ করে নীরিহ মানুষদের মামলা, খুন ও গুমের ভয় দেখিয়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে হাজির হয়ে কামাল হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পিপির সহযোগী হিসেবে ১৮১ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনার আবেদন করেছেন বাদি।

 

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহ্রা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ১৮১ সহযোগী আসামির মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবুল বিশ্বাস, বুড়িপোতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ জামান চৌধুরী, বারাদি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মাস্টার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফুয়ান আহমেদ রুপক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হিরণ, ছাত্রলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন।

 

মামলার এজাহারে বাদি বলেন, মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য প্রভাব খাটিয়ে সরকারের গুরত্বপূর্ণ পদ দখলে নিয়ে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন এবং নিরীহ লোকদের মামলা, খুন ও গুম এর ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিগত ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫৯টি মামলার আসামিদের কাছে থেকে সহযোগী আসামিদের দিয়ে নিরীহ লোকদের তাহার বাড়ীতে বা তাহার চেম্বারে ডেকে নিয়ে এসে টাকা আদায় করেছেন। যেসব লোকজন আসামীকে টাকা দিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহাদের উপরে উল্লেখিত মামলায় আসামী করিয়াছে এবং উল্লেখিত মামলায় আসামীর সংখ্যা অনুমান দেড় থেকে দুই হাজার হইবে এই আসামীদের সহিত জামিনের মুক্তি বা চার্জ হইতে খালাস বা খালাস প্রদানের নামে আসামীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও সাজা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিন কোটি টাকা আদায় করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদী তাহার দলীয় সংগঠনের পক্ষ হইতে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করিবার দায়িত্ব থাকায় আসামী তাহাকে তাহার নিজস্ব বাড়ীর ‘ল’ চেম্বারে ডেকে নেন। এবং সাক্ষীগণদের উপস্থিতিতে ১১ জন আসামীর জামিনের জন্য ৪ লাখ টাকা চাঁদা গ্রহণ করেন।

 

উল্লেখ্য, পল্লব ভট্টাচার্য ২০১৪ সাল থেকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি দুই মাসের ছুটিতে জাপানে অবস্থান করছেন।




ঝিনাইদহে জামায়াত কর্মী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

ঝিনাইদহে ২০১৩ সালে জামায়াত কর্মী আব্দুস ছালাম হত্যার ঘটনায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিহতের শ্বশুর আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলা নাম্বার ৩০।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকি সমী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদ, ডিএসবির সাবেক ওয়াচার মুরাদসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত দেড়’শ দুইশ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারের কটুক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ওলামা মাশায়েখের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলা চালিয়ে জামায়াত কর্মী ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস ছালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।




মুজিবনগরে আদর্শ বাবা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, গুড ড্যাডি ক্যাম্পেইন (আদর্শ বাবা সমাবেশ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হল রুমে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল-আজাদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ ,গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, গুডনেইবারস মেহেরপুর সিডিপির সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বাবা সমাবেশের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য, আদর্শ বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুডনেইবারস বাংলাদেশ এর কম’কান্ড, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ।

শেষে আদর্শ বাবা সমাবেশে আমন্ত্রিত বাবারা শিশু বিবাহ না দেওয়ার নিন্মের শপথ বাক্য পাঠ ও অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর করেন। আমি এই মর্মে উপস্থিত সকলের সামনে অঙ্গীকার করছি যে, আমাদের দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং আমার মেয়ের শারীরিক, মানসিক ও সামগ্রিক বৃদ্ধির তথা শিশু অধিকার বিষয় নিশ্চিত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমার মেয়ের বয়স ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি তার বিয়ে দিব না তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমি এই অঙ্গীকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকব এবং অন্যদের দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে আমার মেয়ের সুন্দর ও নিরাপদ ভবিষ্যত গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলাম।

অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৩ জন আদর্শ বাবাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। আদর্শ বাবা সমাবেশে ৫০ জন বাবা ও তাদের মেয়েরা অংশগ্রহণ করে।




বন্যায় খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ

ভয়াবহ বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, জ্বালানি, ব্যাকটেরিয়ার মত দূষকগুলো বন্যার পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাবার পানি অনেকদিন পর্যন্ত বন্যার দূষিত পানিতে পূর্ণ থাকে। তাই এই সময়টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার পানি পরিশোধিত করার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে খাবার পানির বিশুদ্ধকরণের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন ফার্মাসিস্ট সাদিয়া সিদ্দিকী। চলুন জেনে নেই-

১. পানি ফুটানো-

পানি ফুটালে এতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীসহ রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু মরে যায়। এই পানি সিদ্ধ করার কাজটি বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে।

পানি ফুটতে শুরু করলে, প্রথমে একটি পরিষ্কার কাপড়, কাগজের তোয়ালে বা কফি ফিল্টার দিয়ে ছেকে নিতে হবে এবং ফুটন্ত পানিকে স্থির হতে দিতে হবে। এভাবে পাওয়া পরিষ্কার পানিকে এক মিনিটের জন্য আবার ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত বিশুদ্ধ পানি ঠান্ডা হওয়ার পর আঁটসাঁট কভারসহ পরিষ্কার স্যানিটাইজড পাত্রে তা সংরক্ষণ করতে হবে।

সিদ্ধ পানির স্বাদ ভালো করার জন্য এটি এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতি লিটার সিদ্ধ পানিতে এক চিমটি লবণ যোগ করেও স্বাদ উন্নত করা যায়।

২. রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার-

পানি ফুটানো সম্ভব না হলে রাসায়নিক জীবাণুনাশক যেমন গন্ধহীন ক্লোরিন ব্লিচ, আয়োডিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেট ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ পানি পান করার জন্য নিরাপদ করতে পারেন। এগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি চিকিৎসা করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।

জীবাণুনাশকগুলো বেশির ভাগ ক্ষতিকারক বা রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়ার মতো আরও প্রতিরোধী জীবাণু মারার জন্য এই পদ্ধতি কার্যকর নয়। এর জন্য পানি ফুটাতে হবে।

তবে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেটগুলো ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু এর জন্য ট্যাবলেটের লেবেল বা প্যাকেজে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পানিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকলে সেখানে একটি জীবাণুনাশক যোগ করলেই তা পানযোগ্য হবে না। আয়োডিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা পানি গর্ভবতী নারীদের, থাইরয়েড সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের বা আয়োডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলদের জন্য ক্ষতিকর। এটি ক্রমাগত ব্যবহারের করাও ঠিক নয়। একবারে সর্বোচ্চ কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. ব্লিচ ব্যবহার-

ব্লিচের বিভিন্ন ঘনত্বের হয়ে থাকে। ব্লিচ দিয়ে পানি জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি শুরুর আগে এর ঘনত্ব জানতে হবে। আর এটি পাওয়া যাবে ব্লিচের লেবেলে। একেক দেশে ঘনত্ব একেক রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ব্লিচে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের ঘনত্ব ৫ থেকে ৬ শতাংশ।

ব্লিচ দিয়ে জল জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রথমেই পানি ফুটিয়ে পরিষ্কার পানি আলাদা করে নিতে হবে।

সাধারণত খাবার পানি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা ব্লিচের লেবেলেই দেওয়া থাকে। তবে তা না থাকলে, লেবেলে উল্লেখিত ‘সক্রিয় উপাদান’থেকে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট শতাংশ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

তারপর একদম অতি সামান্য পরিমাণে ব্লিচ চা-চামচে নিয়ে বিশুদ্ধ পানির প্রতি লিটারে যোগ করতে হবে। মিশ্রণটি ভালো করে নাড়াতে হবে। এরপর কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। জীবাণুমুক্ত পানি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজড পাত্রে শক্ত কভারসহ সংরক্ষণ করতে হবে।

৪. ফিল্টার-এর মাধ্যমে পরিশোধন

কিছু পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার আছে, যা খাবার পানি থেকে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী যেমন- ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়া দূর করতে পারে।

অধিকাংশ পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে না। তাই ফিল্টার নির্বাচনে বেশ সাবধানী হতে হবে। অধিক প্রতিরোধী পরজীবীগুলোকে অপসারণ করার জন্য ফিল্টারের ছিদ্রের আকার যথেষ্ট ছোট হতে হবে।

আকারে যা প্রায় এক মাইক্রন বা তার থেকে ছোট। পানি ফিল্টারের সময় এর লেবেলে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সতর্কতার সঙ্গে পড়ে অনুসরণ করতে হবে।

ফিল্টার করার পরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস নিশ্চিত করতে ফিল্টার করা পানিতে আয়োডিন, ক্লোরিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইডের মতো জীবাণুনাশক যোগ করা যেতে পারে।

৫. পাতন প্রক্রিয়া-

পানিতে থাকা অন্যান্য দূষিত এবং রোগ সৃষ্টিকারী উপাদানের তুলনায় পানি অল্প তাপেই ফুটতে শুরু করে।

এ পদ্ধতিতে স্ফুটনাঙ্কে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পানিতে তাপ দিতে হয়। তারপর এটি বাষ্পীভূত না হওয়া পর্যন্ত ফুটন্ত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়। এই বাষ্প ঠান্ডা করার জন্য একটি কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়। শীতল হওয়ার পরে বাষ্প পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানযোগ্য পানিতে পরিণত হয়। উচ্চতর স্ফুটনাঙ্কযুক্ত অন্যান্য পদার্থগুলো পাত্রে পলি হিসেবে রেখে দেওয়া হয়।

এই পদ্ধতি ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, লবণ এবং অন্যান্য ভারী ধাতু যেমন সীসা, পারদ এবং আর্সেনিক দূর করতে কার্যকর। পাতন কাঁচা ও অপরিশোধিত পানির জন্য আদর্শ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হল এটি পানি বিশুদ্ধকরণের সব থেকে ধীর প্রক্রিয়া।

তবে এই পরিশোধন কাজটি করার জন্য একটি তাপীয় উৎস প্রয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সস্তা তাপীয় উৎস তৈরি হলেও পাতনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা এখনো ব্যয়বহুল প্রক্রিয়াই রয়ে গেছে। এটি অল্প পরিমাণে পানি বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী। বড় আকারের, বাণিজ্যিক বা শিল্প পর্যায়ে পানি পরিশোধনের জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরসহ ২৪ পুলিশ সুপার বদলি

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম কে বদলি করা হয়েছে।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাকে নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ২৩ পুলিশ সুপারকে রদবদল করা হয়েছে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।

তবে এখনও মেহেরপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে কে দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানা যায়নি।




চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে কিশোর সাকিব কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের কিশোর সাকিব মিয়া (১৬) কে কুপিয়ে জখম ও হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল সোমাবার বিকাল চারটাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দার পুর গ্রামের উত্তর পাড়াতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মেম্বার আজিবার মালিথার ছেলে ও তার সহপাঠীরা একত্রে হয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা এবং হামলার ঘটনা ঘটাই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এবং পরিবারের লোকজন। কিশোর সাকিব মিয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মইনুল ইসলামের ছোট ছেলে। বর্তমানে সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার সাকিব মিয়া গ্রামের মধ্যে যাওয়ার সময় হটাৎ পিছন থেকে তাকে আক্রমণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে থাকে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয় ।

সাকিব মিয়া বলেন কৃষি কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছিলো সে হটাৎ তাকে গ্রামের স্থানীয় মেম্বার আজিবার মালিথার ছেলে সহ ১০-১৫ তাকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি রড লাঠি চা পাতি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামের স্থানীয় লোকজন চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ বিষয় মামলা দায়ের করতে এসেছিলো পরিবারের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে বলা হয়েছে।