মুজিবনগরে সার ও কীটনাশকের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সার ও কীটনাশকের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ১ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার সময় মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দরপুর বাজারে বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অলিলুর রহমানের মেসার্স অলিল এন্ড ব্রাদার্স এর গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অলিলুর রহমান অনুমোদিত লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে না পারায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান,  এ উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত সার অন্য জেলা বা উপজেলায় বিক্রয় না করতে, সারের মূল্য তালিকা টানাতে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সার, বীজ বা কীটনাশক বিক্রয় না করতে, মেয়াদোত্তীর্ণ সার বা কীটনাশক বিক্রয় না করতে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, ছাত্র সমন্বয়ক শাওন শেখ ও তামিমুর রহমান তুষার।

এছাড়াও মুজিবনগর থানার এস আই আশরাফুল এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ও কৃষি অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন।




আলমডাঙ্গায় ট্রাক-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে শ্রমিকের প্রাণহানি

আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে খবির উদ্দিন (৪৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের আসমানখালি বাজারের অদূরে বন্দর মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খবির উদ্দিন আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের বড় হাপানিয়া গ্রামের দক্ষিনপাড়ার মৃত. ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই খবির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাকের চালকের আসনে হেলপার হুসাইন ছিল। বন্দর মোড়ে পৌছালে পিছন বাইসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ট্রাকের চাকার পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই খবির উদ্দিন মারা যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করেছে।

চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আইনাল বলেন, নিহত খবির সম্পর্কে আমার চাচা। তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




চুয়াডাঙ্গায় কালু’র হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারে অবস্থিত সুনামধন্য কালুর হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কর্মচারীরা টয়লেট শেষে হাত না ধুয়েই খাবার তৈরি করা, যত্রতত্র নোংরা ও মাছিতে ভরপুর মেঝেতে রান্না করা ও বিভিন্ন রেডি খাবার খোলা অবস্থায় রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে কালুর হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, অভিযানে মেসার্স কালু হোটেল নামক প্রতিষ্ঠানে আগে সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আজ তদারকিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। হোটেলের স্যানিটারি লাইসেন্স না থাকা, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ না থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা, নোংরা জিনিসের পাশে রেডি খাবার উন্মুক্ত রাখা পাওয়া যায়।

এছাড়া কর্মচারীরা টয়লেট শেষে হাত না ধুয়েই খাবার তৈরি করছেন। যত্রতত্র নোংরা ও মাছিতে ভরপুর মেঝেতে রান্না করা ও বিভিন্ন রেডি খাবার খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকরভাবে খাবার পণ্য তৈরি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শহিদুল ইসলাম কালুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় পুনরায় তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার তৈরির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল, ছাত্র প্রতিনিধি মুশফিকুর রহিম, ক্যাব প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারেন্ট অফিসার মাসুদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস টিম।




নিয়োগ দিবে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক

ম্যানেজার পদে লোক নেবে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড । প্রতিষ্ঠানটি শোরুম ডিভিশনে ডিভিশনাল ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর থেকে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও টি/এ, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এক নজরে মিনিস্টারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

প্রতিষ্ঠানের নাম : মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড

চাকরির ধরন : বেসরকারি চাকরি

প্রকাশের তারিখ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪

পদ ও লোকবল : নির্ধারিত নয়

আবেদন করার মাধ্যম : অনলাইন

আবেদন শুরুর তারিখ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪

আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট : https://ministerbd.com

আবেদন করার লিংক : অফিশিয়াল নোটিশের নিচে

প্রতিষ্ঠানের নাম : মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড

পদের নাম : ডিভিশনাল ম্যানেজার

বিভাগ : শোরুম ডিভিশন

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মার্কেটিংয়ে বিবিএ/এমবিএ

অন্য যোগ্যতা : কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে (এমএস অফিস, ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল)।

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ০৫-০৯ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : পুরুষ

বয়সসীমা : ৩০-৪০ বছর

কর্মস্থল : দেশের যেকোনো স্থান

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অন্য সুবিধা : টি/এ, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি

উৎসব বোনাসসহ কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আরও অন্য সুবিধা।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
সূত্র: কালবেলা




দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরে বিরোধপূর্ণ জমির বসত বাড়িতে অগ্নিকান্ড

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ দিন ধরে কখনও খোলা আকাশের নীচে ও পরের বাড়িতে বসবাস করছে এক নীরীহ পরিবার। দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মৃত্য আবুল হোসেনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিলাম।

গত ২০ নভেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বসত ঘর পুড়িয়ে দেয় দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের মৃত্য নাজিম উদ্দিনের ছেলে নিজাম, হাসান ও সিংনগর গ্রামের তোতা বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে মোমিনুল ইসলাম।

এ বিষয়ে মৃত্য নাজিম উদ্দীনের ছেলে নিজাম জানান, জমি আমার জমির দলিল ও খাজনা খারিজ সব আছে। তাই আমি ঘর ভেঙ্গে দিয়েছি। তবে বসত বাড়িতে কারা আগুন দিয়েছে আমার জানা নেই। এ ঘটনায় মোমিনুল ইসলাম কোন উপায়ন্তর না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।




যুক্ত হলো হোয়াটসঅ্যাপে নতুন টাইপিং ইন্ডিকেটর

মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। আর ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে মেটা। এবার এক নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ।

সংবাদমাধ্যম এমএসএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই ফিচারটি মূলত টাইপিং ইন্ডিকেটার্স। অর্থাৎ ওয়ান-অন-ওয়ান চ্যাট হোক কিংবা গ্রুপ চ্যাট, কেউ টাইপ করতে শুরু করলেই বাকিরা দেখতে পাবেন তিনটি বিন্দুর ‘বাবল’। যা বুঝিয়ে দেবে কে টাইপ করছেন।

শুধু তাই নয়, ওই তিনটি বিন্দুর পাশেই দেখা যাবে সেই ইউজারের প্রোফাইল ছবি। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড, দুই ধরনের ডিভাইসেই এই ফিচার চালু করা হয়েছে। ইউজারদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতেই এই পরিকল্পনা বলে জানা যাচ্ছে।

বিশেষ করে গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রে এই ফিচার বিশেষ ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে ইউজারদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে গ্রুপে এই মুহূর্তে কারা অ্যাকটিভ আছেন। ফলে ‘রিয়েল টাইমে’ ভাবনার আদান-প্রদান আরও সহজ হবে।

এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ এনেছে আর এক ফিচার। যার নাম ‘লিস্টস’। এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা নিজেদের চ্যাটকে আলাদা করে সাজাতে পারবেন। যেমন ‘পরিবার’, ‘অফিস’ এমনকি ‘প্রতিবেশী’ ইত্যাদি ভাগে ভাগ করে নিলে প্রতিটি গ্রুপই আলাদা স্পেস পাবে। যারা নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপে বহু ইউজারের সঙ্গে চ্যাট করেন তাদের জন্য এই ফিচারটি কাজে দিবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনা সীমান্তে ৯ টি স্বর্নের বারসহ শ্যামপুর গ্রামের রুহুল আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৯ টি স্বর্নের বারসহ দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিনকে (২১)আটক করা হয়েছে।

বিজিবি জানায় আজ রবিবার ৮ ডিসেম্ভর দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবির) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির নেতৃত্বে অভিযান চালায় দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজারের পাকা রাস্তার উপর। এ সময় দর্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমান, পিবিজিএম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্তের পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ০৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডুগডুগি বাজার পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশ করে। সে সময় বিজিবি সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল যোগে উক্ত এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে দেখে তাকে গতিরোধ করে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি পলায়নের চেষ্টা করলে টহল দল তাকে ধাওয়া করে মোটরসাইকেলসহ রুহুল আমিনকে আটক করে। পরে তার মোটরসাইকেলের অভিনব কায়দায় লুকানো হেড নাটের কভারের মধ্যে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আনুমানিক ১ কেজি ১৭৮ গ্রাম ওজনের ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মৃল্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

আটককৃত আসামীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর পূর্বক জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় দর্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবির) অধিনস্থ মুজিবনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ১০৮/৩-এস হতে আনুমানিক ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাজিরাকোনা মাঠের মধ্যে হাবিলদার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ পিস ভারতীয় শাড়ী, ১৫ পিস থ্রীপিছ এবং ২৯ পিস শাল চাদর আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মৃল্য ১০ লাখ টাকা।




ভারতকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের

ব্যাটনটা হাত বদল হতে দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। বরং রাজত্বর সময়কাল আরো এক বছর বাড়িয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে। দুবাইয়ে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আয়ুশ মাহত্রেকে (১) আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আল ফাহাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বৈভব সূর্যবংশীকে (৯) দলীয় ২৪ রানের মধ্যে ফিরিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। তবে এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল ভারত।

এমন সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল একটা মোমেন্টাম। সেই মোমেন্টামটাই এনে দিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। ২১তম ওভারে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন এই পেসার। নিজের ফিরতি ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা অনেকটাই সেরে রাখেন তিনি। ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নেন উদীয়মান এই পেসার।

৮১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশের জয়ের পথের কাঁটা হিসেবে তখন ছিলেন মোহাম্মেদ আমান। ভারতীয় অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে সেই আশা কিছুদূর গিয়ে মিইয়ে যায়। দলীয় ১১৫ রানের সময় আজিজুল হাকিমের বলে তিনি ২৬ রানে বোল্ড হলে।

শেষ দিকে ২৪ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হার্দিক রাজ। ১৩৯ রানে ভারতীয় ‍যুবারা অলআউট হলে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
ভারতের শেষ ব্যাটার চেতন শর্মার ক্যাচ বাউন্ডারিতে কালাম সিদ্দিকি ধরার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে উঠে পুরো বাংলাদেশ দল। যুবাদের উল্লাস তখন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্যালারিতে। বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আজ অসংখ্য দর্শক মাঠে হাজির ছিলেন। ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশের পতাকা হাতে ওভারল্যাপ দেওয়ার সময় প্রবাসী দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে যুবারা।

এর আগে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টস ভাগ্যে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ করতে পারে ১৯৮ রান। অথচ, একটা সময় বাংলাদেশের রান কমপক্ষে ২২০ হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি মাঝে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয়। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান মোহাম্মেদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দুজনে ৬২ রানের জুটি গড়েন। জেমস ৪০ রানে বিদায় নেওয়ার পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

কেননা জেমসের দেখানো পথেই দ্রুত ফেরেন দেবাশীষ দেবা (১) ও রিজান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন রিজান। শেষ দিকে বাংলাদেশকে দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন ফরিদ হাসান। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ রান করেন তিনি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা কাম্য নয়: কবীর সুমন

বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি। একদিনের এই সফর সংক্ষিপ্ত হলেও এই সময়ে এই সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা। এর মধ্যেই উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে ‘শান্তিসেতু’ নিয়ে এসেছেন ভারতীয় গীতিকার, সংগীতশিল্পী ও সাবেক লোকসভা সদস্য কবীর সুমন।

এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে একটা অকাম্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক বিষয়ে পারস্পরিক দোষারোপ। আমাদের এই দুটি দেশই সরাসরি প্রতিবেশী। জীবনের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে এই দুটি দেশের বিবিধ দৈনন্দিন অভ্যেস ও সংস্কৃতি এক নয়। সবচেয়ে যা উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক, যদিও বাংলাদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্য ভাষাভাষী মানুষও থাকেন। বছরের মৌসুমগুলোর প্রকৃতি দুই দেশে অভিন্ন। এসব সত্ত্বেও অল্পেই আমরা এ ওর ব্যাপারে উত্তেজিত হয়ে পড়ি, কখনও কখনও এ ওকে সন্দেহ করি, এমনকি ভয় পাই।’

তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক, বয়স ছিয়াত্তর চলছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের একাধিক বার্তা সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম যে ধরনের অর্ধসত্য ও মিথ্যে খবর দিয়ে চলেছেন, তাতে ভয় হয় যে বাংলাদেশের মানুষজন আমাদের ভুল বুঝছেন ও ভুল বুঝবেন। তেমনি বাংলাদেশ সম্পর্কেও আমার দেশের অনেকের কিছু ভুল ধারণা আছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে গেলে প্রথমত দরকার দুই দেশের মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি। সেই লক্ষ্যেই আমরা তৈরি করে নিয়েছি ‘শান্তিসেতু’। এখানে দুই দেশের মানুষ খোলা মনে যে যার বক্তব্য রাখতে পারবেন।’

‘শান্তিসেতুর একটা বড় কাজ হচ্ছে মিথ্যে খবরগুলোকে চিহ্নিত করা এবং আসল কথাগুলো সকলের সামনে তুলে ধরা’ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘এ ছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে আত্মিক লেনদেনের, ভাবনা ও ভাব বিনিময়ের আরও অনেক দিক ক্রমশ খুলে যেতে বাধ্য। এগুলো আমরা ক্রমশ দেখতে পাব।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ট জনজীবন

মেহেরপুরের গাংনীতে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর কারনে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। একই সাথে অতিষ্ঠ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রোগীরাও। প্রশাসনিক ভুমিকা না থাকায় বেপরোয়া ভাবে প্রায় সব সময়ই উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হচ্ছে। উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর বিরুদ্ধে বারবার গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যেরাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচি, ভোগ্যপণ্য, ডাক্তারের সন্ধান, গরু-ছাগল হারানো সহ নানা প্রচারণা চালানো হয়। ফলে সড়কের পাশে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমার দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

মাইকের উচ্চ আওয়াজে শিক্ষার্থীরা রাতের বেলায় যেমন পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না তেমনি রোগী ও তার স্বজনা মাইকের শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের অবহেলা আর নিস্ক্রিতার কারনে বেপরোয়া ভাবে যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার বাড়ছে। এতে করে শ্রবন শক্তি হারানোর পাশাপাশি নানা সমস্যায় পড়ছে এলাকাবাসি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শব্দ দূষণে শরীরের প্রথম আক্রান্ত হয় কান এবং শ্রবণশক্তি, অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে থাকেন তারা ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারাতে থাকেন। শব্দদূষণের কারণে শিশু মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হতে পারে। অতিরিক্ত শব্দে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, মানসিক অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় এছাড়া মানসিক ক্লান্তি উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুবিক সমস্যা, অমনোযোগিতা সৃষ্টি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে শব্দদূষণের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই মাইকে নানা প্রচার প্রচারনা শুরু। মাইকের শব্দে কান ঝালাপালা অবস্থা। সঙ্গে আছে গাড়ির হর্নের শব্দ দূষণ। এই শব্দ দূষনের যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্তি চাই।

গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এখন পরীক্ষা চলছে। দিন রাত্রী সমানতালে মাইক বাজানো হচ্ছে। মাইকের আওয়াজে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায় না।

গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন, উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর ফলে ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। একারণে পাঠদান ব্যহত হয়। তাই উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।

আইনজীবিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫এর ক্ষমতাবলে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ এবং বিধিমালায় ‘নীরব’ ‘আবাসিক’, ‘মিশ্র’, ‘বাণিজ্যিক’ ও ‘শিল্প পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

বিধিমালার আওতায় নীরব এলাকায় দিনে (ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫০ ডেসিবেল ও রাতে (রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা) ৪০ ডেসিবলের বেশি আওয়াজ করা যাবে না। একইভাবে আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৫০ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ ও রাতে ৬০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ও রাতে ৭০ ডেসিবেল শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ দেখভাল না করার কারনে যত্রতত্র মাইক বাজানো হচ্ছে।

কয়েকজন মাইক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ক্রেতা ও শ্রতাদেরকে আকৃষ্ট করতে উচ্চ শব্দে মাইক বাজাতে হয়। সবাই তো মাইক বাজাচ্ছে, তাই আমরাও বাজাচ্ছি। মাইক বাজাতে প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাইক বাজাতে অনুমতি নেওয়া লাগে নাকি। বাজারে যেভাবে মাইক বাজানো হয় ঠিক সেভাবেই প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তো মাইক বাজানো হয়।

এবিষয়ে কথা বলতে পরিবেশ অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাফ্ফর হোসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন (রিসিভ করেননি) ধরেন নি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আবারো বলা হবে। জনসচেতনার জন্য এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য আহবান জানান তিনি।

উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন বিষয়টা দেখছি।