মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, ক্ষোভ প্রকাশ সৃজিতের

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ। সকলের মুখেই একটার দাবি, ‘বিচার চাই’। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক দাবিতে যখন উত্তাল রাজপথ তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ইতোমধ্যেই বিষয়টাকে সামনে এনে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন অভিনেত্রী নিজে। এবার মিমির পাশে দাড়াঁলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাকে হুমকি দেয়ার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করলেন।

হুমকি দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।’

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, ‘আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?’

এদিকে এরকম একটি কমেন্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সেলেবদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।’

তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে। মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।




১২ বছর পর পদত্যাগ করলেন বিসিবি সভাপতি পাপন

১২ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকে বিসিবি। সচিবালয়ে অবস্থিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের এই বৈঠকে অনলাইনে যোগ দিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। সর্বসম্মতিক্রমে তার পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে।

গত ৫ই আগস্ট হাসিনা পালানোর পর সরকার পতন হয়। এরপর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন পাপন। এর কিছুদিন পর বিসিবির এক পরিচালককে ফোন করে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

এরপর আজ গঠনতন্ত্র অনুসারে সভা ডাকেন পাপন। এরপর সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।

২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপন।

নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা।। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

দীর্ঘ দেড় যুগ পরে গাংনীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিনশেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আলােচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক।

আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, গাংনী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইন্সু,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডাম সুমন, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন প্রমুখ । সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।

বক্তারা বলেন, সৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা করেছে। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। পরাজিত খুনি হাসিনার দোষররা এখনো দেশে অশান্তি, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা লিপ্ত আছে।

বক্তারা আরও বলেন, খুনী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশের মধ্যে গোপন ষড়যন্ত্র চলছে। সৈরাচারী হাসিনা বিগত ১৭ বছর আমাদের পথে নামতে দেয়নি। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নেতা কর্মী অংশগ্রহন করে এবং খুনি হাসিনা বিরোধী নানা শ্লোগান দেয়।




মেহেরপুরে ইমারত নির্মাণ ইউনিয়ন শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- ১২১৪) এর অবৈধ কমিটি বাতিল ও দ্রুত নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফুরকান আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সদস্য মোঃ নুরু বলেন, চলমান কমিটি দলিয় প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক ভোট করিয়ে ক্ষমতায় আছে, কোন সাধারণ শ্রমিকদের খাতে হিসেব দিতে পারেনা, বেকার বয়স্ক শ্রমিকদের ১১ মাস বেকার ভাতা দেয় নাই, অফিস কার্যালয়ে ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে তিনজন অফিস কর্মকর্তা ৩-৬ জন অফিস কর্মকর্তা অফিস পরিচালনা করছে। এমনকি ইউনিয়নের তহবিলের হিসাব পর্যন্ত উক্ত কমিটি দেয়নি। ফলে সাধারন সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে।

আমরা অবিলম্বে অবৈধ কমিটি বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক ক্রিয়া সম্পাদন মোঃ খলিল, সদস্য সাইফুল ইসলাম, রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




প্রশাসক হিসাবে দর্শনা পৌরসভায় তাসফিকুর রহমানের যোগদান

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় হওয়ার পর গত ১৯ আগষ্ট সারা দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের মেয়র পদ অপসারন করেন। অপসারনের পর দর্শনা পৌরসভার পৌর প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর ১ শাখার ১৮ আগস্টে ২০২৪ ইং তাং নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ১৯ শে আগস্ট দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ১ম কর্ম দিবসে দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে বিকাল ৪ টায় পৌর হলরুমে মত বিনিময় করেন।

দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক তাসফিকুর রহমান বলেন মানুষের সেবায় হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, দর্শনা পৌরবাসি সেবা গ্রহণ করতে এসে কেউ যেন হয়রানি শিকার না হয়। আমি শুনেছি পূর্বের মেয়র সাহেব ভালমনের মানুষ ছিলেন। মেয়র সাহেবের কাছে সেবা নিতে এসে খুশি মনে বাড়ি ফিরতেন পৌরবাসি। সেই সেবা আপনাদের মাধ্যমে দিতেন। আমিও চায় আপনাদের সাথে নিয়ে মানুষের সেবা দিতে। একই সাথে আপনাদের কে হুশিয়ারী করে বলতে চায় এখানে কোন দুর্নীতির সুযোগ নাই যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাথে সাথে আইনি ব্যবস্থা নেব। জনগণের চাহিদা থাকে রাস্তাঘাট ড্রেন পরিষ্কার, রোড লাইট সহ জন্ম মৃত্যু সনদ সহজে সহায়তা করা। একই সাথে পৌর কর্মচারীদের বকেয়া বেতনভাতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। মত বিনিময় সভায় আরও আলোচনা করেন দর্শনা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজেদুল আলম, পৌর কর নির্ধারক সরোয়ার হোসেন, কর আদায়কারী আরিফিন হোসেন, কার্য সহকারী হারুন অর রশিদ, লাইসেন্স পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম, সহকারী কর আদায়কারী জাহিদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।




মেহেরপুরে পৌর ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া মাহফিল

আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং শহীদ আবু সাঈদ সহ রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করা শহীদদে রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫টার সময় নতুন পাড়া চুলকুনি মোড়ে মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর বিএনপি নেতা আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর উপজেলা সদর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন।

এসময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমুল হোসেন মোল্লা মিন্টু।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবনেতা রেজা, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মশিউল আলম দিপু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মুকুল, ৮ নাম্বার ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তার মুকতা, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রেজা, জেলা যুবদলের নেতা মশিউর আলম দিপু খান, জেলা যা চাস সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ, মো ইসমাইল হোসেন, মাওলানা মোখলেসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।




দামুড়হুদায় চক্রান্তকরে ছেলেকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় চক্রান্তকরে হেরোইন দিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজি মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে পাঠ করেন আমিনা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গোরস্থানপাড়ার গাফফার আলী’র স্ত্রী মোছাঃ আমিনা খাতুন (৪০) লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার চিৎলা গ্রামের শাহিদুল মালিতার ছেলে মোঃ স্বপন আলী (৩৮) এবং আশাদুল হোসেন এর ছেলে মোঃ তুষার (৩০) এরা এলাকার আওয়ামীলীগের ক্যাডার ও চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ী, এদের সহিত পূর্ব হতে আমার ছেলে মোঃ শাহিন রেজা (১৮) এর বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সুবাদে উক্ত বিবাদীদ্বয় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত ইং ৩১/০৭/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন বদনপুর গ্রামস্থ আমাদের বাড়ির সামনে আসিয়া আমার ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকে। ঐ সময়ে আমার ছেলে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর গেলে উক্ত বিবাদীদ্বয় আমার ছেলেকে পুলিশের নিকট ধরিয়ে দেয়। তারপর আমার ছেলেকে হেরোইন মামলায় চালান দেয়। বর্তমানে আমার ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে আছে। আমার ছেলের নিকট কোন হেরোইন না থাকা সত্ত্বেও উক্ত দুইজনের যোগসাজশে আমার ছেলেকে মিথ্যা দোষারোপ করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে হেরোইন এর মামলা দেয়। পরবর্তীতে স্বপন ও তুষার এর নিকট যেয়ে আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দুজনেই আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ জীবনের মতো শেষ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করিতে থাকে। ইহা ছাড়াও তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে খুন-জখমের ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকী প্রদান করিয়া বলে যে, তোদেরকে কুপিয়ে এইখানেই মাটি চাপা দিয়ে দেবো। তারা আরোও বলে যে, ঘটনার বিষয়ে যদি থানা-পুলিশ করিস তাহলে তোকে ও তোর পরিবারের লোকজনকে রাতের আধারে খুন করে তোদের লাশ পুড়িয়ে ফেলবো মর্মে হুমকি প্রদান করে আসতেছে। বিবাদীর এমন অত্যাচারের কারনে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন খুবই আশংকাজনক ভাবে জীবন-যাপন করছি।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন অবগত আছেন। আমার ধারনা তারা দুজন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে যে কোন সময়ে খুন-জখম সহ বড় ধরণের ক্ষতি-স্বাধন করতে পারে। উক্ত বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবারের সহিত আলাপ আলোচনা করে আপনাদের কার্যালয়ে আসিয়া সংবাদ সম্মেলন করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।



ঝিনাইদহে দেওয়ালে গ্রাফিতি লিখন করছে শিক্ষার্থীরা

ঝিনাইদহ শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে গ্রাফিতি ও দেওয়াল লিখন কার্যক্রম করছেন শিক্ষার্থীরা। লিখছেন সমাজ সংস্কারের বিভিন্ন প্রতিবাদী লিখন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার করার পাশাপাশি দেওয়ালে দেওয়ালে গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন ও মোছার এ কার্যক্রম চালান তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেয়ালগুলো আমরা রঙ্গিন করে সাজাতে চাই। দেশের বীরত্বগাথা দিয়ে ভরে ফেলতে চাই। আমাদের শহরটাকে আমরা আমাদের মনের মতন করে সাজাবো।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, দেওয়ালকে বর্ণমালা আর ছবিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন তারা। তারুণ্যের শক্তিতে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। প্রাণের টানে তারা এসেছেন, কাজ করছেন। অন্যায় প্রতিরোধ ও দেশ গড়ার কাজে তারা কখনো পিছিয়ে থাকবেন না।
এছাড়াও দেয়ালে নতুন করে আঁকছেন ইসলামি ক্যালিগ্রাফিসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। সেই সঙ্গে দেশ সংস্কারের শ্লোগানও লিখছে তারা। রং নিয়ে ব্রাশের মাধ্যমে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল রঙ্গিন করে তোলা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী সাজিদ মাহমুদ জানায়, এই লিখনীতে তুলে ধরা হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে সহায়তা করবে।




এইচএসসি পাসেই নিয়োগ দিচ্ছে আগোরা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আগোরা লিমিটেড। সুপারভাইজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আগোরা লিমিটেড

পদের নাম : সুপারভাইজার

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৪ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট (সিলেট সদর)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৫ আগস্ট ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

অন্যান্য যোগ্যতা : রিটেল স্টোর, গ্রুপ অব কোম্পানিতে কাজের দক্ষতা

অন্যান্য সুবিধা : প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




গাংনীতে খালেক ও আহম্মেদ আলীসহ ৩৭ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আরো ১০০ জন

মেহেরপুরের গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে রেজানুল হক ইমন (২৫) বাদী হয়ে ধারা ২০০৯ সাল (সংশোধনী/২০১২) এর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(ক)/৭(৬)(খ)/১০/১১/২/১৩ ধারায় বিজ্ঞ “সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে” মামলাটি দায়ের করেন। গাংনী থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২০/০৮/২০২৪ মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম গাংনী থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআরভ’ক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কসবা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বিপ্লব হোসেন (৩০), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিশিরপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে জীবন আকবর (৩০), গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ধর্মচাকী গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে শাহিনুজ্জামান (২৫), চৌগাছা গ্রামের হান্নানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা পিন্টু (২৮), গাংনী মাদ্রাসাপাড়ার খোকন দেওয়ানের ছেলে রেজাউল হক (২৫), গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু (৩৮), চৌগাছা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে যুবলীগ নেতা মিলন (৪০), জালশুকা গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল (২৫), চৌগাছা গ্রামের মৃত আজিমের ছেলে রকিব(৩৮), থানাপাড়া এলাকার ইব্রাহিম জোয়ার্দারের ছেলে হাবিবুর(২৮), শিশিরপাড়া গ্রামের খলিলের ছেলে রমজান আলী (৪৫), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বান্টু (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মৃত মোজাহার আলীর ছেলে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক (৫৭), মৃত নুর হকের ছেলে গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক (২২), শিমুলতলা গ্রামের হারান মন্ডলের ছেলে রাশি (৪০), জোড়পুকুর গ্রামের ফড়ং এর ছেলে ইমারুল (৪০), খোকার ছেলে ফয়সাল (৪০), ময়নাল হকের ছেলে খোকন (৪৫), হাবিবুর রহমানের ছেলে হাসান (৩৮), গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার হাসেম ফকিরের ছেলে মনি (৪০), হাড়িয়াদহ গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে ও রাইপুর ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) রাজু আহমেদ (৪০), গাংনী উত্তরপাড়া এলাকার সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও এমপি মকবুল হোসেনের পিএস শাহিদুজ্জামান শিপু (৪০), নওপাড়া গ্রামের কছিমদ্দীনের ছেলে ইয়ারুল ইসলাম (৫০), মুকুল হোসেন (৪৫), গাংনী র‌্যাব ক্যাম্পপাড়া এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল (৪০), চৌগাছা গ্রামের মৃত জুলহাসের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম মিয়া (৫৫), মেহেরপুর ভূমি অফিসপাড়া এলাকার খবির উদ্দীনের ছেলে তুফান (৫২) সদর উপজেলার বুঁড়িপোতা গ্রামের মো: মামুন (৩৮) ও মো: সুমন (৩৫)।

মামলার বাদি রেজানুল হক ইমন বলেন, আদালতে এজাহার দিলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গাংনী থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করতে গেলে আসামিরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

আসামীগণসহ অজ্ঞাত আরো ১০০ জন অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, বাঁশের লাঠি সহ এসে ভয়ভীতি, খুন, জখম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভিতি সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে। আসামীদের হামলায় এদিক সেদিক ছোটাছুটি করাকালীন আসামীরা ছাত্র ও উপস্থিত জনতাকে খুন জখমের হুমিক প্রদান করে। আসামীগণের প্রকাশ্য হুকুমে অন্যান্য আসামীগণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে।