নিয়োগ দিবে আকিজ গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ গ্রুপ। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড

পদের নাম : সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছর

বয়সসীমা : কমপক্ষে ২৪ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা (ধামরাই)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ আগস্ট ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ সময় : ৩১ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা

অন্যান্য যোগ্যতা : ফিলার মেশিন/ব্লো মোল্ড মেশিন বিষয়ে ভালো দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী ওভার টাইম সুবিধা, দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




দর্শনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে রাজধানী ষ্টোরে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন তদারকি অভিযান চালিয়ে রেলবাজার রাজধানী স্টোরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা রেল বাজারে অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

এ সময় দর্শনা রেল বাজারের রাজধানী স্টোরের সত্তা অধিকারী জয়নাল আবেদীনকে বিদেশী প্রসাধনী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভাক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানাসহ একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়।




বন্যার্তদের পাশে মডার্ণ প্লাইউড, ট্রাকে করে পাঠিয়েছেন ত্রান

স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন নানান শ্রেণিপেশার মানুষ।

বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়ার মডার্ণ প্লাইউড এন্ড উড প্রসেসিং লি: এর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বাবু। আকরাম হোসেন বাবু বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে দুইটি কাভার্ডভ্যান করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।

ত্রাণের মধ্যে রয়েছে, চিড়া, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, খেজুরসহ প্রয়োজনীয় পণ্য।

আকরাম হোসেন বাবুর এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করেন তার সহকারী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

তরিকুল ইসলাম বলেন, আকরাম হোসেন বাবু সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশ মতো দিনরাত পরিশ্রম করে প্যাকেটজাত পণ্য বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আকরাম হোসেন বাবু এ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়া এবং এপেক্স ক্লাব অব কুষ্টিয়া সব বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে মেলে ধরেছেন। ব্যক্তিগত ছাড়াও প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের মাধ্যমেও সহযোগিতা প্রদান করে চলেছেন। পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান।

আকরাম হোসেন বাবু বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়কালীন সময়ে মডার্ণ প্লাইউড এন্ড উড প্রসেসিং কোম্পানি লি: পূর্বের ন্যায় এবারও দেশের জনগনের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, মডার্ণ প্লাইউড এন্ড উড প্রসেসিং কোম্পানি লি: এ এক হাজারের অধিক কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন।




ঝিনাইদহ আ’লীগের সাবেক তিন সাংসদসহ ৩২৯ জনের নামে মামলা

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. এমএ মজিদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আ’লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৩২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

গতকাল রোববার জেলা বিএনপি’র সভাপতির ভাতিজা রিপন বিশ্বাস বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা নং- ২৭/২৪।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের কলাবাগান পাড়ার বাসায় ঢুকে ভাংচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়িতে থাকা ৩টি এসি, ১টি আলমারী, ৩টি মিটিং টেবিল, ১৭০টি প্লাস্টিক চেয়ার, ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি মটরসাইকেল ও বাসার মুল্যবান আসবাবপত্র ভস্মিভুত হয়। এরফলে ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস, আ’লীগ নেতা জেএম রশিদুল আলম, বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, আশফাক মাহমুদ জন, কালীচরণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও শ্রমিকলীগ নেতা আক্কাচ আলীসহ ৩২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭০০/৮০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আ’লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্যকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন উদ্দিন জানান, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতির বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ আগষ্ট ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র অফিস পোড়ানোর ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করা হয়। এই মামলায় ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ রোববার অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেফতার করে সদর থানায় সোপর্দ করেছে।




সচিবালয়ের সামনে ছাত্রদের উপরে হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল

সচিবালয়ের সামনে ছাত্রদের ওপর আনসার সদস্যদের হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার রাত এগারোটার সময় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

সমাবেশ শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক হয়ে শহরের আনসার ক্যাম্পের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আনসারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে ওখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমতিযাজ আহম্মেদ,তামিম, মাহিনুর ইসরাম,আসিকসহ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশে

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা তাজ উদ্দিন খান বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী দেই ৭৫ সালে শেখ মজিবর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর তার জানাজা জোটেনি। তার মেয়ে শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় পরণের কাপড়টাও গুছিয়ে নিতে পারেনি।

এতো দাপট, এতো কলিজা এতো ক্ষমতা অথচ, আওয়ামী লীগকে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৫ বছরে মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিরাট গণমিছিল ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাওলানা তাজ উদ্দিন খান।

গতকাল রবিবার বিকালে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নহর উদ্যাণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাক্তার রবিউল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর খান জাহান আলী, গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সাব্বির হুসাইন, পৌর শিবিরের সভাপতি বকুল হোসাইন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা তাজ উদ্দিন খান আরো বলেন, জুলাইয়ের ৫ তারিখ পর্যন্ত যারা অত্যাচার জুলুম করেছে, অস্ত্র, বন্দুক, লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্র জনতাকে গুলি করে মেরেছে, সারাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন করেছে এখন সময়ের দাবি তাদেরকে আইনীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা এলাকার সম্মানিত নেতাকর্মীদের জুডিশিয়াল কিলিং (বিচারিক হত্যা) করেছে, আমরা সেই ঘাতকদের বিচার চাই।

তাজ উদ্দিন খান আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের খাঁচার মধ্যে বন্দী করে রেখেছিল। এই ১৫ বছরে আমাদের স্বাধীনতা নেই অথচ, তারা আমাদের স্বাধীনতার গল্প শোনায়, বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের গল্প শোনায়।

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার ছোট্ট জেলা মেহেরপুরে জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে ৮৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতের ১০০ নারী কর্মীসহ এক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেল দিয়ে বারবার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি ঘর। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে রাজনীতি করতে গিয়ে এতো ত্যাগ, এতো কোরবানি আর কোনো রাজনৈতিক দলকে দিতে হয়নি।

এমন কোনো অপরাধ নেই যা জামায়াতের উপর করা হয়নি। আর কত জুলুম নির্যাতন করলে জুলুমের শেষ হয় তা আমাদের জানা নেই। আমাদের হাজারো নেতাকর্মী তাদের বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। মাঠে ঘাটে ঘুমিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে। বিগত ১৭ বছর যাবৎ জামায়াত শিবিরকে এসব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন আমরা কি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছি? তারপরেও জামায়াত ছিলো, জামায়াত আছে, আগামীতেও জামায়াত থাকবে।

এটা যে এতো অবিচার ছিলো শেখ হাসিনার পালানো দেখলেই বোঝা যায়। পালানোর সময় তার নেতাকর্মীর দিকে তাকানোর সময় ছিলোনা শেখ হাসিনার।

মাওলানা তাজ উদ্দিন খান আরো বলেন, মেহেরপুর জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও তৎকালিন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। যারা পরামর্শ করে ঠান্ডা মাথায় প্রশাসন দিয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

যারা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, সোলাইমান হোসেন, দেলওয়ার হোসেন, আব্বাছ আলীকে হত্যা করেছে আমরা সেইসব খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এসব খুনের বিচার করতে না পারলে মহান রবের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।

ছাত্র আন্দোলন ও তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু এবং যারা আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

জামায়াতের জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বন্যাদূর্গত বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে তাজউদ্দিন খানের নেতৃত্বে একটি বিশাল গণ মিছিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর শহীদ ড. শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে গণ মিছিলে যোগ দেন।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর রাজত্বে চরম শূন্যতা

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মেহেরপুরের বাড়ি এখন জনশূন্য। দুর্দান্ত প্রতাবশালী ফরহাদের বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তার নিজ আসনের সব শ্রেণির মানুষ।

গত ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত শহরের প্রাণকেন্দ্রে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে কাঠাতিনেক খোলা জায়গা ছাড়িয়ে বাইরে প্রধান সড়কের পাশে অগণিত প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের সারি থাকতো। মন্ত্রীর কারণে বাড়িটিতে কোন রাত নামতো না। দলীয় কার্যক্রম ছাড়াও সামাজিক কার্যক্রম আর দেনদরবারের নারী পুরুষের ভিড় লেগে থাকতো। বাড়িটিতে হাজিরা না দিলে মন্ত্রীর আস্থা হারিয়ে যেত। জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীও হাজিরা দিতে বাধ্য হতেন। নাহলে তাকে হতে হতো হয়রানীর শিকার।

জেলাজুড়ে সরকারি কর্মকর্তা, দলীয় নেতা-কর্মীকে উঠতো বসতে হতো মন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনাতে। আহা- সেই বাড়ি এখন শুনসান নিরবতা। ক্ষুব্ধ মানুষের ক্ষোভের চিহ্ন সেই বাড়ির সামনে। আর এইসব ক্ষোভের বহিপ্রকাশ- দলে মারাত্মকভাবে বিভাজন তৈরী করা। প্রশাসনকে অধিনস্ত কর্মচারীর মতো দেখা, দলে নেতৃত্ব সৃস্টি হতে না দেয়া। একক সিদ্ধান্তে সব কিছু করা, ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন, পরিবার ও নিকটাত্বীয়দের মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করা, অনুগত না হলে কী প্রশাসন, কী সংবাদকর্মী বা দলীয় নেতা তাকে শকুনের দৃষ্টিতে দেখা, মিডিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটতে মধ্যরাতে সংবাদকর্মীকে তার বাড়িতে গিয়ে কেক কাটা ও মন্ত্রীর শুভকামনার ফুটেজ নিতে বাধ্য করা। রাস্ট্রের উন্নয়ন ঠিকেদারী কাজে সেজ ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও দুলাভাই আবদুস সামাদ বাবলু বিশ^াসকে পাইয়ে দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা মন্ত্রীর রাজত্বের পতন ঘটিয়েছে। চাউর আছে ৪ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিল মন্ত্রী। এখন ঢাকাতেই আত্মগোপনে আছে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই দাপটে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে এখন নেই কোন জনমানব। বাড়ির পাশের গাছগুলোতেও পাখিরা বসছেনা। ক্ষুব্ধ মানুষের ক্ষোভের চিহ্ন বাড়িটি দেখতে গ্রাম থেকে মানুষ আসছে। অনেকে থুতু দিচ্ছেন বাড়ির আঙ্গিনায়। কেউ কেউ জায়গাটিতে জলবিয়োগও করছেন।

শনিবার সকাল ৮ টায় ও বেলা ১১টায় বাড়ির গেটে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কেউ কোন উত্তর দেননি। পাশের ব্যবসায়ীরাদের দু‘জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান- এখন মন্ত্রীর বড়ভাই কথিত মুক্তিযোদ্ধা শহিদ সাদিক হোসেন বাবলু, মেজভাই শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল অবস্থান করছেন। তবে তারা কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেনা। নিকট স্বজনরা গোপনে আনাজপাতিসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে রাতের বেলা গোপনে দিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকায় শিক্ষকতা ছেড়ে ২০১৪ সালে বিতর্কিত ভোটে এমপি এবং ২০১৮ সালে ফের বিতর্কিতভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন ফরহাদ হোসেন। ২০২৪ ৩য়বারের মতো আবারও বিতর্কিত ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হন।

ফরহাদ হোসেন মন্ত্রী হয়ে মারাত্মক বেপরোয়া হয়ে পড়ে । জনপ্রশাসন মন্ত্রী হবার পরপরই তিনি নিয়োগ বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। মেহেরপুরের বারাদি ইউনিয়নের সচিব পদে কামরুজ্জামান নামে একজনকে নিয়োগ দিতে ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া ফেসবুকে চরমভাবে ভাইরাল হয়। মেহেরপুর পৌর কলেজকে সরকারি করণে কলেজের নাম পরিবর্তণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বাবার নামে ‘ছহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজ’ নাম করণ করে। এবং কলেজ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়ার কথা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য ছিলো স্মরণ কালের।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচার হবার সাথে সাথে বিক্ষুদ্ধ জনতা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। মন্ত্রী পরিচালিত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় মন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি পুলিশের কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় মেহেরপুর জেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। মন্ত্রীর বাড়ির সামনের অংশে যখন ভাংচুর শুরু হয় তখন ঝিঁঝি পোকারাও ডাক বন্ধ করে দিয়েছে। সামনের ভেটুল গাছটিসহ আশপাশের গাছগুলোতে আশ্রয়ে থাকা পাখিরাও হামলাকারীদের প্রতিরোধে হাঁক ডাক, চিৎকার করা বন্ধ করে দেয়। এসময় ত্রাণকর্তা হয়ে ক্রসফায়ারের নামে নিহত তারিক মোহাম্মদের ভাই মোহাম্মদ তাওফিকুল ইসলাম বুক আগলে ক্ষুব্ধ জনতাকে প্রতিরোধ করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।

তাওফিকুল ইসলাম শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর পৌর কমিটির সভাপতি। মন্ত্রীর নির্দেশে যেখানে বন্দুক যুদ্ধের নামে ভাইকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার কথা। সেখানে মন্ত্রীর বাড়ি রক্ষায় বুক আগলে প্রতিরোধ করে মেহেরপুরে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে তাওফিকুল ইসলাম।

মেহেরপু পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো অথচ মেহেরপুর পৌরসভার দূর্ভাগ্য যে পৌরসভার উন্নয়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রী নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, কোন সরকারি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র হিসেবে আমাকে আমন্ত্রিত করা হলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হতেন না মন্ত্রী। তিনি যেসব অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন সেসব অনুষ্ঠানের ব্যানার থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে নতুন করে ব্যানার করতে হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে। এজন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।

দলীয় দ্বন্দ্ব প্রশ্নে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়াজান আলী বলেন, দির্ঘ প্রায় দেড়যুগ সবকিছু হয়েছে মন্ত্রীর ইচ্ছামতো, পদ বণ্টন হয়েছে মন্ত্রীর স্বজনদের মধ্যে। দলের কোন নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে বিচার প্রার্থণা করে আসছিলাম। প্রকৃতিই তার প্রতিশোধ নিয়েছে।




মেহেরপুরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

 আজ রবিবার বিকেল চারটায় মেহেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫০০ টি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক আরজুল্লাহ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিতা পারভীন এর উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক আরজুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ও সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির লক্ষ্যে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। এসময় ব্যাংকের অনান্য কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদা চিৎলায় জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা সদরে চিৎলা গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এই সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা নায়েবে আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ মো: আজিজুর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমরা জামায়াতের নেতা কর্মীরা ঠিক মতো একটি রাতো ভালো ভাবে ঘুমাতে পারিনি, একেরপর এক গায়েবি মামলা দেওয়া হতো আমাদের নামে,আর আমরা যখন জেলে যেতাম মনে হতো আমরা বড় সন্ত্রাসী তখন আমাদের জায়গা হতো জেলের মধ্যে আরেকটা জেল তার নাম সেল ,আর সেই সেলে থাকাটা খুবই কষ্টকর। তার পরও আমরা জেলে গেছি সম্মানের সহিত এবং বের হয়েছি সম্মানের সহিত। আল্লাহ কোথায় দেখেন আজ সেই স্বৈরাচারী সরকারের এক মন্ত্রী যিনি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধংসের দ্বার প্রান্তে নিতে সফল হয়েছে, তিনি হলেন স্বৈরাচারী সরকারের প্রথম হলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী তারপর শিক্ষা মন্ত্রী, শেষে হলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, আমরা প্রথমে মনে করছিলাম উনি মনে হয় ভালো, কিন্তু পরে দেখি ভালো মধ্যে কালো কিন্তু কালোর মধ্যে যে এত কালো আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। সেই মন্ত্রীকে যখন আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সাধারণ মানুষ তাকে ঘুষি, লাথি, থুতু মেরে ধিক্কার জানাচ্ছিল, এই হলো কর্মের প্রতিদান।তাই এদের থেকে এই জাতিকে শিক্ষা নেওয়া দরকার, জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম পরিপূর্ণভাবে শান্তি ও সমাধানের জীবন বিধান। আমরা সেই আলোকেই নিজেদেরকে গড়ে তুলি সেভাবেই দলকে, কর্মীদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের ডিকশনারিতে নাশকতার কোনো স্থান নেই। দীর্ঘদিন পরে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। উপজেলার কোথাও কোন নাশকতা ভাঙচুর করা যাবে না, যারা করবে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। সম্পদ নষ্ট করলে তা আমাদের দেশের জন্য মানে আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে। আমরা কোথাও কোন নাশকতা হতে দেব না কোথাও কোনো নাশকতার সংবাদ পেলে সাথে সাথে তা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আমির মো: আবুল বাশার এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা আমির মো: নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমির মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারী মাও: মো: আব্দুল গফুর, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম জিয়া, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: আবেদ উদ্দৌলা। হাউলী ইউনিয়ন আমির মো: ওবায়দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আমির মো: আব্দুর রশিদ, নাটুদা ইউনিয়ন আমির, মাওঃ ফজলুল হক, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আবু হানিফা, মো: মুহসিন আলী, এখতিয়ার রহমান শামসুজ্জুহা মাওঃ আব্দুল খালেক, মো: ইসমাঈল হোসেন, মো: আব্দুল গাফফার, মো: আবুস সাত্তার মো: হাবিবুর রহমান, মো: শামসুল ইসলাম, এ্যাডঃ হাসিবুল ইসলাম সহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজার পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশ অবস্থান কর্মসূচি করে।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবৈধ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম রেজার পদত্যাগের দাবীতে এ অবস্থান কর্মসূচির পালন করা হয়।

অবস্থা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অবৈধ ভোটে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সাধারণ মানুষদের হয়রানি করেছে। আমরা জেলা প্রশাসককের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই ইউনিয়ন পরিষদকে দ্রুত প্রশাসনের আওতায় আনার জন্য।

এছাড়াও এসময় জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, বিএনপি নেতা ফরিদুল হক, রেজাউল, খাইরুল, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহবুব সানিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।