মেহেরপুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর ২টি ওয়ার্ডের অফিস উদ্বোধন

মেহেরপুর পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত আটটার সময় টিএনটি রোড জামে মসজিদে সামনে মেহেরপুর পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে।

অফিস উদ্বোধন সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমীর মাওলানা মোঃ তাজউদ্দিন খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারী ইকবাল হুসাইন, পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার, পৌর সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান

সৈয়দ মনজুরুল হাসান টুটুলের উপস্থাপনা আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ দুই ওয়ার্ডের অন্যান্য সদস্যরাও।




মেহেরপুরে রেড ক্রিসেন্টের সাবেক যুব প্রধানের বাড়ি থেকে ১৮৯ কম্বল উদ্ধার

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর ইউনিটের সাবেক যুব প্রধান ও নির্বাহী সদস্য খন্দকার সামসুজ্জোহা সোহাগের বাড়ি থেকে ১৮৯ পিস কম্বল জব্দ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।

আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন এসব কম্বল দুস্থদের বিতরণের জন্য হলেও ব্যক্তিগত স্বার্থে আটকে রাখা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এক্সিকিউটিভ সদস্য খন্দকার সামসুজ্জোহা সোহাগের বাড়িতে কম্বল মজুত রয়েছে। এ তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার বাড়িতে উপস্থিত হন। সেখানে বিষয়টি জানালে, তারা নিজেরাই প্রথমে তিন বস্তা কম্বল বের করে দেন।

তবে, আরও কম্বল মজুত রয়েছে এমন সন্দেহ সৃষ্টি হয়। বাড়ির ভেতরে পাঁচটি সাব বাক্স দেখে সেটি খোলার অনুরোধ জানানো হয়। বাক্সগুলো খুলে দেখা যায়, এর ভেতরে আরও ১০০টি কম্বল রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া এসব কম্বল জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। খন্দকার সামসুজ্জোহা সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাড়িতে আসছেন বলে আর আসেন না।




চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধূর প্রাণহানি

চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত গৃহবধূ মুক্তা খাতুন(৩২) চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার শেকড়াতলার মাঝের পাড়ার মাসুদ রানা রিন্টুর স্ত্রী। তার দুটি কন্যা সন্তান আছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সময় ধরে ডেঙ্গু পরিক্ষার কোন ডিভাইস নাই।

নিহত গৃহবধূ মুক্তা খাতুনের ভাই মনিরুল জানান, ১২ দিন আগে বোনটার জ্বর হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করি। সেখানে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চারদিন আগে জ্বর ভয়াবহ হলে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নিই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ৪ ডিসেম্বর রাত্রে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেলে দু’দিন ভর্তি ছিল। এরপর আজ শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার পর আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা মুক্তা খাতুন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠায়। তবে ডেঙ্গু জ্বরে তার লিভার ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য তিনি মারা গেছেন।

পৌরসভা এবং মহল্লাবাসীর অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মশক নিধন অভিযান নেই। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনাও নেই। সদর হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ আমজাদুল ইসলাম জানান, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে আসলে তাকে প্রাথমিকভাবে এনএস ওয়ান পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত কিনা তা ধরা পড়ে। এরপর জ্বর ১ থেকে ৩ দিন সর্বোচ্চ ৫ দিন পর্যন্ত হলে আইজিজি এবং আইজিএম পরীক্ষা না করলে ডেঙ্গু পজিটিভ কিনা ধরা পড়ে না। গত ১৫ দিন হলো সদর হাসপাতালে আইজিজি, আইজিএম ডিভাইস শেষ হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার চাহিদা দিয়েও পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ১ মাসে ২৫৬ জন রোগী পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সরকারী নম্বরটি বন্ধ পাওয়ার কারণে যোগাযোগ করা যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, হাসপাতালের কোন বিষয় আমি জানি না। হাসপাতালের ওষুধ, পরীক্ষার ডিভাইস, রোগীর চিকিৎসা এটি তত্ত্বাবধায়কের দ্বায়িত্ব।

তবে  চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বর্তমানে ৯ জন ডেঙ্গু পজিটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন।




দর্শনায় মোটরসাইকেল মিস্ত্রী হেলালসহ আটক ২

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৬ টি সোনার বারের মত লোহার টুকুরো ও ২ লাখ ৩৪ টাকা চেক বই ৪টি মোবাইল ও একটি এ্যাপাচি মোটরসাইকেলসহ মিস্ত্রী হেলাল (২৮) ও সৌরভ (১৬) কে আটক করেছে।

আটককৃত হেলাল ও সৌরভ দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে সৌরভ পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আশরাফুলের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দর্শনা বিওপির বিশেষ টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর মেইন গেটের লিয়াকত আলী মার্কেটের দোকান নং-০৫, আব্দুল্লাহ আল আমিন অটো (হোন্ডা গ্যারেজে।

এ সময় বিজিবি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ০৩ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের ভিতরে গ্যারেজ ও মোটরসাইকেল তল্লাশি করে। সে সময় বিজিবি তাদের কাছ থেকে ১২টি স্বর্ণের বারের মতো তৈরীকৃত লোহার টুকরো (সোনালী রং করা), ০৪টি স্বর্ণের বারের মতো তৈরীকৃত লোহার টুকরো (রং বিহীন), বাংলাদেশী নগদ ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা, বিভিন্ন নামে ০৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ০১টি স্বর্ণ চোরাচালানে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের খালি ব্যাটারি, ০৩টি মোটর সাইকেল এর নাম্বার প্লেট, ০১টি জনতা ব্যাংক এর চেক বই, ০১টি আইএফ আইসি ব্যাংক এর চেক বই উদ্ধার করেছে।

আটককৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা বিওপি কমান্ডার জিয়াউর বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।




কোটচাঁদপুরে বসত ঘর ভেঙ্গে রাস্তা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বসত ঘর ভেঙ্গে রাস্তা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন। আজ শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুরের জালালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেনের পিতা,মাতা,ভাই ও বোনেরা।

তিনি বলেন,কোটচাদপুর উপজেলার ৫৩ নং জালালপুর মৌজার জমিতে আমাদের পৈত্রিক বসত বাড়ি। ওই
জমিতে আমরা দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। বেশ কিছু দিন ধরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ছবদুল বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা আমাদের ওই বসত ঘর ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা তৈরী করতে বিভিন্ন ধরনের বাহানা ও হুমকি ধামকি সহ মারপিটেরও ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,ছবদুল বিশ্বাস ইতোমধ্যে আমাদের বসতবাড়ীর উত্তর পার্শ্বের ০৩ ফুট জমি দখল করেছেন। তৈরি করেছেন ওই দখল করা জমিতে গরুর ফার্ম। তিনি এখন ওই গরুর ফার্মের ময়লা আবর্জনা, গরুর মলমূত্র আমার বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় ফেলছেন। যাতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি আমরা। বিনস্ট হচ্ছে আমাদের ফলজ গাছসহ অনেক গাছগাছালি।

বিষয়টি নিয় পূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে নিষের করা হয়েছে। তবে তিনি তা কর্ণপাত করেননি। এখন ছবদুল বিশ্বাস নির্দেশে তাঁর সহযোগী অহিদুল ইসলাম ও আহসান হোসেন মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। তারা এখন জোরপূর্বক আমার বসত ঘর ভেঙ্গে দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরির পায়তারা করছেন।

আয়ুব হোসেন বলেন,ঘটনাটি আমরা জানার পর তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় তারা আমার ও আমার পরিবারের কয়েক জনকে মারপিট করেন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। এতে করে ছবদুল বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। এরপেক্ষিতে তারা গেল ০২/১২/২০২৪ তারিখে রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের বসত বাড়ি, রান্নাঘর, কবুতরঘর ভেঙ্গে দেন। কেটে দেন ফলজ ও বনজ গাছ-পাছালি।

এ সময় আমি কোটচাদপুর মডেল থানা ও তালসার পুলিশ ক্যাম্পে কল করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কেউ কোন সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এরপর তারা আমাকে ঢিল দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমি গুরুতর আহত হয়। পরে প্রাণভয়ে চিৎকার করে আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে খুঁজে বেড়ায় এবং বলেন যেখানেই পাইবে আমাকে সেখানেই শেষ করে দেবে।

বর্তমানে আমার ও আমার পরিবারের মানুষের প্রাণ সংশয় রয়েছে। এ কারন কোন উপায় না দেখে আমি আপনাদের সহায়তা কামনা করছি। আপনারা আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা সমাজের মানুষের মাঝে তুলে ধরেন। সাথে সাথে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন।

এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ছবদুল বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে মিটিং চলছিল। এ সময় মিটিং থাকা কিছু ছেলেরা এ কাজটি করেছেন। যা করা তাদের ঠিক হয়নি। তবে ওই ঘটনার পুরো দোষারোপ তারা আমাকে করছেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ছাড়া তারা ওই ঘটনা নিয়ে থানায় একটা অভিযোগ ও করেছেন। আমি বিষয়টি দেখার জন্য ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগটি পাঠিয়েছি।




মুজিবনগর হানাদার মুক্ত দিবস পালন

বিজয়ের এই মাসে ঐতিহাসিক ৬ই ডিসেম্বর মুজিবনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হানাদার পাক বাহিনী মুজিবনগর থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয় মুক্ত হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করেছে।মুজিবনগর

হালদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে সকাল দশটার সময় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং স্মৃতিসৌধের পাদদেশে জাতীয় সংগীতেরে তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ৬ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) মিজানুর রহমান, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র সমন্বয়ক শাওন, মুজিবনগর উপজেলা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তাযোদ্ধা আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব হোসেন, দারিয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি কমান্ড মোখলেছুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।




মেহেরপুরে আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

এসো জ্ঞানের আশায় ফিরে যাও দেশের সেবাই,পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন এ প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটার সময় মেহেরপুর সরকারি কলেজের সামনে ডা: আব্দুল সালাম ক্লিনিকে (পুরাতন) অবস্থিত মেহেরপুর আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসা এ অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করে।

মেহেরপুরে আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার পরিচালক ডা: আব্দুল সালাম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মোঃ তাজউদ্দীন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসা উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুব উল আলম, আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার উপদেষ্টা ইকবাল হোসাইন,

অভিভাবক সমাবেশ স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল হেরা আইডিয়াল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সোহেল রানা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলারসহ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।




মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালন

নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে মুক্ত দিবস উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় একে একে ভেঙে যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের শক্তিশালী সামরিক বলয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে হানাদার বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে।

৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্রবাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা মিত্রবাহিনীর সাথে জয়ের উল্লাসে যোগ দেয়। রাজনৈতিক মর্যাদাপূর্ণ মেহেরপুর জেলা হয় হানাদার মুক্ত ।

এর আগে ২ ডিসেম্বর, জেলার গাংনী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিতমুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও)তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনীও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করেন। সীমান্তে পাকবাহিনীরস্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর পুরোপুরিভাবে হানাদার মুক্ত হয় ৬ডিসেম্বর।

মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে  আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সারাদিন এ জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ,পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। সকাল সাড়ে ৮টা ৩০মিনিটের সময় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিতকেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটের সময়ে কলেজ মোড় এলাকা থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মোড় পর্যন্ত র‌্যালি, সকাল ৯ টার সময়ে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয়।

আলোচনা সভার আগে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ,পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল।

এর পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাকক্ষে আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম,বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনসারুল হক প্রমুখ।




আজ ৬ ডিসেম্বর, মেহেরপুর মুক্ত দিবস

আজ শুক্রবার (৬ডিসেম্বর) স্বাধীনতার সূতিকাগার বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত হয়েছিল স্বাধীনতারআঁতুড়ঘর ঐতিহাসিক মেহেরপুর জেলা। মুক্তিযোদ্ধাদেরগেরিলা হামলায় পিছুহাঁটা পাক হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকেগোপনে মেহেরপুর ছাঁড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

এরআগে ২ ডিসেম্বর, জেলার গাংনী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিতমুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও)তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনীও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করেন। সীমান্তে পাকবাহিনীরস্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর পুরোপুরিভাবে হানাদার মুক্ত হয় ৬ডিসেম্বর।

ওই দিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং আপামর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাসকরেন। এর আগে, তৎকালিন সময়ে ছাত্র-জনতা, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগর আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথমসরকার শপথ গ্রহন করে।

মেহেরপুরমুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ পাতান জানান, ১৯৭১সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রথম সরকারে শপথ গ্রহণের পর মেহেরপুর কার্যত হানাদার বাহিনীরলক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়। সে অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রেসজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে উপুর্যপুরি হামলা চালায়। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, ভোকেশনালট্রেনিং ইন্সটিউট ও কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাক বাহিনী তাঁদেরশক্তিশালী দুর্গ গড়ে তোলে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে দিশেহারা পাক সেনারা মেহেরপুরথেকে পালাবার সময় দিনদত্ত ব্রিজ, খলিশাকুন্ডি ও তেরাইল ব্রিজ এবং বৈদ্যুতিকসহ বিভিন্নস্থাপনা ধ্বংস করে।

তিনি জানান, দীর্ঘ ৯মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই পাক বাহিনী গোপনেমেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী মেহেরপুর শহরেপ্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা তাদের সঙ্গে বিজয়ের উল্লাসে যোগ দেয়। এদিন লাল-সবুজের পতাকাটাঙ্গিয়ে দেয় স্বাধীনতাকামি জনতা। সাবেকমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধকালে জেলারভাটপাড়া থেকে অনতিদূরে সাহারবাটি টেঁপুখালি, হিন্দা, লক্ষ্মী নারায়ণপুর, ধলা,গাড়াবাড়িয়া, জোড়পুকুরিয়া, ভোমরদহ, ধর্মচাকীর বহু মানুষ গনহত্যার শিকার হন। ৬ ডিসেম্বরসকাল থেকে লাল-সবুজ পতাকায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেহেরপুর।

মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সারাদিন এ জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। সকাল সাড়ে ৮টার সময় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড় অবস্থিতকেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটের সময়ে কলেজ মোড় এলাকা থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মোড় পর্যন্ত র‌্যালি, সকাল ৯ টার সময়ে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হবে।




ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস আজ

ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর)। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের হটিয়ে ঝিনাইদহকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিকামী বাংলার তরুণ বীর দামাল ছেলেরা। ঝিনাইদহে প্রথম উদিত হয় লাল-সবুজের পতাকা।

ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ জেলার নওজোয়ানরা মুক্তিবাহিনীর নির্দেশ মতো নিজেদের ভেতরে ও তাদের দোসর রাজাকারদের সমূলে বিনাশ করতে জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশে প্রথম যে সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয় তা হয়েছিল ১এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালীতে। এই দিনে পাকবাহিনী যশোর ক্যান্টমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকে।

এ আক্রমণের খবর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা পেয়ে যান। তারা যুদ্ধের অন্যতম স্থান হিসেবে বেছে নেন বিষয়খালীর বেগবতী নদীর তীরে তাদেরকে প্রবল বাঁধার সৃষ্টি করে। পাকবাহিনীকে রুখতে নদীর তীরের সেতু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এখানে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর প্রায় ৮ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। নদীর তীরের সম্মুখ যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফিরে যাই যশোর ক্যান্টনমেন্টের দিকে।

৪ এপ্রিল শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, ৪ আগস্ট একই উপজেলার আলফাপুর যুদ্ধ, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ ও ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধ। এছাড়াও ৬ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ১১নভেম্বর জেলার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭১ এর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একদিকে গেরিলা যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে অপরদিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে (মিত্রবাহিনী) সীমান্ত অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে শত্রুমুক্ত হওয়ার সংবাদ আসতে থাকে। মুক্তিসেনাদের সাঁড়াশি আক্রমণে পাকহানাদাররা যশোর ক্যান্টনমেন্টর দিকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৩ ডিসেম্বর মুক্ত হয় মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর এবং ৫ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ মুক্ত হয়।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা এলাকা দিয়ে কপোতাক্ষ ও চিত্রানদী অতিক্রম করে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিকামীরা ঝিনাইদহে প্রবেশ করে জেলা শহর মুক্ত করে। এসব যুদ্ধে সারা জেলায় ২’শত ৭৬ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন জেলায় মাত্র দুজন। তারা হলেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন বলেন, ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘর থেকে দলে দলে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। ফুল দিয়ে তারা মুক্তিসেনাদের বরণ করে নেন। ঝিনাইদহবাসীর কাছে দিনটি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিজয় শুধু আনন্দ নিয়েই আসে না, স্বজন হারানোর বেদনাও নিয়ে আসে। তবে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার দাবি জানান ১৯৭১ এর এই বীর সেনা।