শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে দর্শনার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে দর্শনার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পেরে অনেক আনন্দিত। শিক্ষকরাও কর্মে যোগদান করায় আগের রুপে ফিরতে শুরু করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।

শিক্ষার্থীরা জানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আমরা পড়াশোনায় কিছুটা পিছিয়ে পরেছি। আমাদের সিলেবাস কভার করবো কিভাবে চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। সেই সাথে বাসায় বসে থাকতে থাকতে আমাদের বিরক্ত লাগছিল। বন্ধুদের সাথে দেখা করা ও খেলাধুলা ইত্যাদি সবকিছু থেকেই বঞ্চিত ছিলাম। আবার সামনে আমাদের এস,এসসি পরিক্ষা। গত রবিবার থেকে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়েছে।

এতে করে আমরা অনেক আনন্দিত তেমনি আমাদের সামনে যে পরিক্ষা আছে সেটার প্রস্তুতি নিতে পারবো। কোন অসুবিধা হলে আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে সব রকম পরামর্শ নিতে পারবো। এ বিষয়ে শিক্ষকরা জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা পিছিয়ে পরেছে। আমরা শিক্ষকরা চেষ্টা করব ছাত্র-ছাত্রীদের সকল বিষয়ে সহযোগিতা করার।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে ক্লাস গুলোতে। আমরাও নিয়মিত ক্লাস নিতে পেরে আনন্দিত।




কোটচাঁদপুরে কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে জামায়াতে মতবিনিময়

সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসারে কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আজিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম, বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার এস এম নাজমুল সাকিব শাহীন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, মঈন উদ্দিন খান প্রমুখ।

সে সময় রিটেলারদের সাথে কৃষি কাজে ব্যাবহারিত সকল সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অতিথিরা। এ সময় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালা।

চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে। এরমধ্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও দাবি তোলে অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান করতে নির্দেশনা দেন।

এরই পেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটারের মান সম্পন্ন নয়, সিজারিয়ানে একই ডাক্তার এনেসথেসিয়া দেয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।

এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসী নামে এক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে। অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।




কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে জামায়াতে মতবিনিময়

সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ শে আগষ্ট) বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসারে কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আজিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম,বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার এস এম নাজমুল সাকিব শাহীন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, মঈন উদ্দিন খান প্রমুখ।

সে সময় রিটেলারদের সাথে কৃষি কাজে ব্যাবহারিত সকল সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অতিথিরা। এ সময় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন




মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী মোনালিসা হোসেন, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলসহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদির আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, ১৬৬ জনের নামে একটি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় প্রথমে ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়েছে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও পরবর্তিতে জানা যায় ১৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পরিস্কার করে কথা বলতে কেউই রাজি হননি।

মামলার বাদি হাসনাত জামান বলেন, আদালতে এজাহার জমা দিয়েছি। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানিনা।

জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জন—সাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজামায়েত ও দাবীর পক্ষের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বক্তব্য পেশ করা অবস্থায় আসামীগণসহ অজ্ঞাত আরো ১০০ জন সহ অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভিতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং আসামীদের হামলায় এদিক—সেদিক ছোটাছুটি করাকালীন আসামীরা ছাত্র ও উপস্থিত জনতাকে খুন—জখমের হুমিক প্রদান করে। আসামীগণের প্রকাশ্য হুকুমে অন্যান্য আসামীগণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে।

২য় ঘটনাস্থলে শহরের ভূমি অফিস মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজামায়েত ও দাবীর পক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জন—সাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। আসামীরা অজ্ঞাত শতাধিক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্রসহ ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটরসাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়।




মেহেরপুরে দুটি দোকানে অভিযান ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুর শহরে একটি বেকারি ও একটি ফলভান্ডারে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (১৯শে আগস্ট) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ শহরের বড়বাজার এলাকায় এই অভিযান চালান। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, মিষ্টির মুল্য তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা, মোড়কীকরণ বিধি যথাযথভাবে না মানা, লাইসেন্স না নিয়েও বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করাসহ নানা অপরাধে মেসার্স জোসনা বেকারীর মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৪ ধারায় ২০ হাজার টাকা এবং পুর্বে সতর্ক করা স্বত্তেও ফ্রিজে প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ চকলেট সংরক্ষণ করে বিক্রয়, মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য বিক্রয় ও ফলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে একই আইনের ৩৮ ও ৫১ ধারায় মেসার্স আসিফ ফল ভান্ডার নামক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: মোমিনুল হক, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।




ঝিনাইদহে বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাংচুর সাবেক ৩ এমপিসহ ৪৬৮ জনের নামে মামলা

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে আজ সোমবার সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি’র জেলা কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ ঘটনায় জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। মামলায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, সদর পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানসহ সর্বমোট ৪৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা নং- ১৬, তারিখ: ১৯ আগস্ট, ২০২৪।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো শাহীন উদ্দিন জানান, জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা বিএনপির এক নেতা।




ঝিনাইদহে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গালো ছাত্র-জনতা

বিপ্লবের আদর্শকে তারুণ্যের রূদয়ে ছড়ানো ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ শহরে “টিম-দুর্বার” নামের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উদ্দ্যোগে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোরে শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে পায়রা চত্বর হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো কর্মসুচি পালন করা হয়। শহরের বিভিন্ন সড়কের বিদুৎ লাইটিং এর পোলে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

“টিম-দুর্বার” এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজিদ মাহমুদ, এইচ এম জহুরুল ইসলাম, ওসমান গনি, সিদ্দিকুর রহমান, ইসহাক আলী, মনিরুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, শরিফ খান, তুহিন মোল্লা, শাহেদ মাহমুদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সাজিদ মাহমুদ বলেন, কোনো অফিসে যদি সরকারি ফি এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, তাহলে নিজে প্রতিবাদ করুন। না হলে আমাদেরকে জানান। ছাত্র সমাজ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সবাই সহযোগিতা না করলে, দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে না। আমরা কাউকে ঘুষ দিবো না। কারোর পকেটে মোটা করতে আমরা টাকা দিবো না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে অবস্থান করতে হবে। সমাজ থেকে চাঁদাবাজি ও দূর্নীতি দূর করবো। শান্তি সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।




কারা পেলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলায় প্রশাসকের দায়িত্ব

মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে জেলা পরিষদের প্রশাসক, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক (ডিডি এলজি) কে মেহেরপুর পৌর সভার প্রশাসক , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)কে গাংনী পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার এতদ্বারা ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর ধারা-৮২ক প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সকল (পার্বত্য ৩টি জেলা ব্যতীত) জেলা পরিষদগুলোতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ করলো।

আটটি বিভাগীয় জেলায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের (সার্বিক) জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৩ জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া মেহেরপুরের তিন উপজেলার স্ব স্ব ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দীদের মুক্তির দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন, বিক্ষাভ ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যর ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। তারা বিভিন্ন দাবী লেখা প্লকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এসব প্লকার্ড লেখা ছিল, ‘খালাস পেয়েও ১৬ বছর মুক্তি মেলেনি’, ‘৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার নির্দেশ দাতাদের বিচার চাই’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্য এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনকেই নিখোঁজ রয়েছেন। ১৮ হাজার বিডিআর সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদের ও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরী ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান তারা।

মানববন্ধন উপস্তিত ছিলন, মোজাম্মল হক, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ, দিদার আলী, মিজানুর রহমান, বকুল আহম্মদ প্রমুখ।