কর্মক্ষেত্রে জেন-জি’রা যেমন

নব্বই দশকের শেষভাগ থেকে ২০১০ এর দশকের প্রথম দিকের যারা তাদের বলা হয় জেনারেশন জেড বা জেন-জি। এই প্রজন্মের তরুণদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। এর আগের প্রজন্ম অর্থাৎ মিলেনিয়ালদের মধ্যে পূর্বসূরিদের কিছু প্রথাগত বৈশিষ্ট্য রয়েই গেছে। কিন্তু মিলেনিয়াল আর জেন জির মধ্যে বৈশিষ্ট্যে তো মিল নেই-ই, বরং ব্যবধান অনেক বেশি।

কর্মক্ষেত্রগুলোয় ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে এই প্রজন্মের তরুণরা, সময়ের সঙ্গে যে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। জেন-জির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এখন থেকেই তাই কর্মক্ষেত্রগুলোর উচিত এই প্রজন্ম সম্পর্কে জানাশোনা বাড়ানো, তাদের বোঝার চেষ্টা করা। জেনজিকে কর্মক্ষেত্রে স্বাগত জানানোর এই চর্চাটিকেই গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

টেক-স্যাভি বা দারুণ প্রযুক্তি-বান্ধব:
সবচেয়ে প্রযুক্তি-বান্ধব প্রজন্ম হিসেবে তারা খুব সহজেই বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং এই দক্ষতা খুব সহজেই কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে।

কাজের ধরণ:
জেন-জি যেন কঠোর নিয়মানুবর্তিতার উল্টোদিকে হাঁটে। বরং তাদের পছন্দ তুলনামূলক নমনীয়-সহনীয় কাজের পরিবেশ। তারা এমন পদ্ধতিতে কাজ করতে ভালোবাসে যেখানে তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা যায় এবং তারা যেন তাদের সেরাটা সেখানে দিতে পারে।

কাজের পরিবেশ যেমন হবে:
জেন-জির তরুণরা কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পছন্দ করে। সে কারণেই দৈনন্দিন রুটিনে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। তারা চায় কাজের পরিবেশ হবে নমনীয়। তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত যাতে না করে। জীবন সম্পর্কে শিথিল দৃষ্টিভঙ্গি দেখে হতবাক হলে হবে না। জেন-জির তরুণরা অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং যেখানেই থাকুক না কেন তারা সেখানে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি করে নিতে সবসময় প্রস্তুত। পাশাপাশি তারা সবসময় নতুন কিছু শিখতে চায়, দক্ষতা বাড়াতে চায়, এমন সুযোগ চায় যেখানে তারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

যোগাযোগ বাড়াতে:
প্রথাগত যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ইমেইল বা টেলিফোনের চেয়ে জেন-জির পছন্দ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপসহ ডিজিটাল যোগাযোগের অন্যান্য পদ্ধতি। এটাও প্রযুক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। স্ল্যাক, মাইক্রোসফট টিমস ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে খুব সহজেই তারা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারে।

ব্যবধান কমাবেন যেভাবে:
জীবন সম্পর্কে জেন-জির যে অনন্য ধারণা আছে, তা হয়তো কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। পরিবর্তন করতে গেলে কিছু বাধা আসবেই, আবার কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখেও তাদের পড়তে হতে পারে। জেনজির সঙ্গে যোগাযোগের দূরত্ব পূরণে কর্মক্ষেত্রেই সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, এমন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে উদার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জেন-জিকে নির্বিঘ্নে মিশে যাওয়ার সুযোগ দিতে হলে সেখানে অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে উদার হতে হবে, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে যেকোনো বয়সের মানুষের কাজকে মূল্যায়ন করা হবে, যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে হবে, কাজের প্রশংসা করতে হবে।

দলগত কাজ করার প্রক্রিয়া:
বিভিন্ন টিম-বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি বা দলগতভাবে করা যায় এমন কাজের ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে বয়স্ক ও তরুণরা একসঙ্গে মিলে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন। এজন্য কর্মশালা বা কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের আয়োজন করা যেতে পারে। এর ফলে কেবল যে তাদের প্রজন্মের বাইরে গিয়ে দলগত কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে তা-ই নয়, বরং স্টেরিওটাইপ বা কারও সম্পর্কে কাঠামোবদ্ধ ধারণা ভেঙে দেবে এবং সহানুভূতি তৈরি করবে। কর্মক্ষেত্রগুলো যত বিকশিত হবে, যত গতিশীল হয়ে উঠবে, প্রতিষ্ঠানকে তত বেশি পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে শিখতে হবে। যদি ইতিহাস থেকে আমরা কিছু শিখে থাকি, তাহলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই উন্নয়নের জন্য জেন-জির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ হলো জেন-জি, তাই আমাদের এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন তারা কাজের ক্ষেত্রে যথাযথ সুবিধা পায় এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সাম্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা স্বৈরাচারী ফ্যাস্টিট হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দামুড়হুদা উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। আগামীতে সার্বিক বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য করনীয় শীর্ষক আলোচনা করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মেজর খান সজিবুল ইসলাম পিপিএম,পিএসসি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও: আজিজুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নায়েব আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ হেলনা আক্তার নিপা, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক হিমেল রানা , দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, দর্শনা থানা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সাবেক উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার রেজাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, আব্দুল হাই, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক শামসুজোহা পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সদস্য সচিব তানজির ফয়সাল, দর্শনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক পিপুল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি উত্তম রঞ্জন দেবনাথ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিতু আহসান, তানভীর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইনস্ট্রাক্টর রোকনুজ্জামান, উপজেলা তথ্য অফিসার সানজিদা আফরিন, আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ সাজিদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজস্ব কর্মকর্তা দর্শনা জাহিদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ, দামুড়হুদা ডিএস মাদ্রসার সুপার মোজাফফর হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান রতন, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতী মামুনুর রশীদ প্রমূখ।




‘অমীমাংসিত’ আসছে: রাফী

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বেশ কয়েটি সিনেমার সঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’ও আটকে দেওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে। এবার বিগত সরকারের পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটি মুক্তির দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ভাবনায় ফের ‘অমীমাংসিত’র মুক্তি নিয়ে ভাবছেন রাফী নিজেও।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘অমীমাংসিত’র প্রচারণামূলক একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাফী। যেখানে শহীদুল আলম সাচ্চুকে দেখা যায়।

পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে নির্মাতা লিখেছেন, জনগণকে আর বোকা ভাবা যাবে না! অমীমাংসিত আসছে…আসতেই হবে।’ এরপরেই ওয়েব ফিল্মটির মুক্তি নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চায় মেতে উঠেছেন রাফী ভক্তরা।

‘অমীমাংসিত’ মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে নির্মাতা বলেন, শিগগির ‘অমীমাংসিত’আবার সেন্সরে দেব। আমরা সবাই চাই, দ্রুত সিরিজটি রিলিজ হোক। যেহেতু আইনগতভাবে আটকে রাখা হয়েছে, আমরা আইনগতভাবে সমাধান করব। আশা করছি, দ্রুত সবকিছু সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও ওটিটিতে সেন্সরের নিয়ম নেই। তবুও আমাদের সেন্সর করতে বলা হয়েছিল। আমরা সেন্সর করেও ফেলেছিলাম।

পরে হঠাৎ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, আমরা ‘অমীমাংসিত’ দর্শকদের দেখাতে পারব না। আমরা পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করতে যাচ্ছি। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চাইব, ‘অমীমাংসিত’যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে গুঞ্জন রয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির খুনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘অমীমাংসিত’।

বিষয়টি নিয়ে রাফী বলেন, একটি কাল্পনিক কাহিনি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি এবং সেই কেসটি ‘অমীমাংসিত’। বাংলাদেশে এমন অনেক কেস আটকে আছে। এখন গল্প যদি বাস্তবের সঙ্গে কিছুটা মিলে গেলেই তা দেখানো যাবে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




পদত্যাগ করলেন জালাল ইউনুস

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে ছিলেন তিনি।

এছাড়াও আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকেও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে এনএসসি থেকে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি।

অন্যদিকে এনএসসির কাছে নিজেই পদত্যাগ পত্র জমান দেন জালাল ইউনুস। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর ২০২১ সালে ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান হিসেবে আকরাম খান পদত্যাগ করলে দায়িত্ব পান জালাল ইউনুস।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরসহ ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপসারণ

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা. আব্দুস সালামসহ ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেও পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের আইন সংশোধনের আলাদা আলাদা অধ্যাদেশ গত শনিবার জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।




মেহেরপুরের তিনটিসহ ৪৯৫ উপজেলা চেয়ারম্যান অপসারণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুসহ ৪৯৫ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভার মেয়র ও ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।




মেহেরপুর ও গাংনীসহ ৩২৩ পৌর মেয়র অপসারণ

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলীসহ দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এসকল মেয়রগণ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।




মুজিবনগরে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিতাড়িত করে পরিষদ কার্যালয়ে তালা

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজকে বিতাড়িত করেছে এলাকাবাসী,ও তার মেয়াদের নির্যাতিত কয়েকজন মেম্বার।

আজ রবিবার সকালে, সরজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ের পর মোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর, আজ রবিবার, সকালে চেয়ারম্যান তার অফিস কার্যালয়ে আসেন। পরে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, সহ ৮ নং ৯ নং ৭ নং ৬ নং ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বাররা ইউনিয়ন চত্বরে জড়ো হয়ে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে বিতাড়িত করে, পরিষদ কার্যালয়ে তালা মেরে দেয়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন চেয়ারম্যান মফিজ, সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, স্বজন প্রীতি ও মাদক সেবনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে রেখেছিল তাই আমরা তাকে বিতাড়িত করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন আমি গত দুইবার জনগণের ভোটে মেম্বার হয়ে জনগণের কোন উপকার করতে পারেনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন আমি বিএনপি করার কারণে ওই চেয়ারম্যান আমাকে কোন কাজ বা উন্নয়নমূলক কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি এবং পরিষদে আসতেও বাধাগ্রস্থ করেছে, তাই আমি এলাকাবাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পালু বলেন চেয়ারম্যান মাদক সেবনকারী, তাই আমার গ্রামের মাদক সেবীদের সাথে আতাত করে আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছে, তাই আমিও এলাকাবাসীর পক্ষে।

১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, চেয়ারম্যান আমার বন্ধু এটা আমি বলি, কিন্তু ওই মফিজ আমাকে তো কোন ধরনের কাজ দেয়নি ও পরন্ত তার মাদক সেবী বাহিনী দিয়ে আমার উপরে হামলা করে ও মারাত্মক আহত করে। আমি কোন বিচার পাইনি, অবিলম্বে তার অপসারণ চাই।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মফিজুরের আস্থাভাজন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ডালিম বলেন আমি তেমন কিছু জানি না, বোর্ডে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন চেয়ারম্যান কে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পরিষদে আসতে নিষেধ করে এবং পরিষদ চত্বরে তালা মেরে দেয়।

ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিবেন না।

এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে অবগত নয় এবং আমাকে কেউ জানায়নি, তবে আমি জানতে পারলে অবশ্যই আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।




দর্শনা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দু’ আওয়ামীলীগ নেতা আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট বিহীন অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় দু’আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করেছে বিজিবি।

এ সময় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে একটি ল্যাপটপ, অসংখ্য সীল, দলীয় প্যাড, সার্টিফিকেট উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, আজ রবিবার (১৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা আন্তর্জাতিক জয়নগর চেকপোস্ট সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল এই দু’জন। এ সময় বিজিবির টহলদলের নজরদারিতে এ দুজন ধরা পড়ে।

আটককৃত দুজন রাজশাহী বাগমারা থানার খাজুরা গ্রামের মনির হকের ছেলে ফজলুলু হক (৩৭) ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার কাজিহাটা গ্রামের আশরাফুল আহমেদের ছেলে বুলবুল আহমেদ (৪০)। এরা আওয়ামী প্রজন্ম লীগের নেতা।

এদেরকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হবে বলে বিজিবি জানায়। তবে এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরা দুজন অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল বিজিবি তাদেরকে আটক করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করেছে।




ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ ছাড়লেন ডিসি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। এছাড়া ঝিনাইদহ ছেড়ে যেতে বাধ্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এস আই ফরিদ।

আজ রবিবার সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ৩দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছাড়লেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। একই সময়ে সরিয়ে দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদ কে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীযকরণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের তোপের মুখে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ৩দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়ে যান। এরপর ছাত্ররা ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে তারা সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানান। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদেরকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান। আশ্বাস পেয়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দ সেখান থেকে ফিরে আসেন।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু, সাকিব আল হাসান, আব্দুস সালামসহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।