শাহরুখ জানালেন নারীদের মন জয়ের মন্ত্র!  

শাহরুখ খানের ভক্ত অনুরাগীদের সংখ্যা অগুনতি। তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু নারীরা কেন তার এত ভক্ত? এর উত্তর দিয়েছেন কিং খান নিজেই।

শাহরুখ বলেন, “নারীরা কেন আমাকে পছন্দ করেন, আমি মনে হয় এর কারণটা বুঝে গিয়েছি। ৯, ১৬, ৬০, বা ৯০ সব বয়সের নারীর প্রতি আমার সম্মানবোধ প্রবল। মূলমন্ত্র হল, যে কোনো বয়সের নারীর সঙ্গেই আমার দেখা হোক না কেন, আমি তাদের এত সম্মান দিই যে সবাই আমাকে ভালোবেসে ফেলেন।”

নারীরা পুরুষদের কাছ থেকে অন্য সবকিছুর পাশাপাশি সম্মানটাই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা করেন বলেও জানান শাহরুখ।

“আমি কিন্তু অনেক অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে মজার মজার গল্প করি, তাদের সঙ্গে গান গাই, নাচি-এটা তারা পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো আমাকে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে পছন্দ করার মূল কারণ না এবং আমার চেহারার জন্যতো নয়ই। তাদের প্রতি আমার সম্মান প্রদর্শনই পছন্দের মূল কারণ বলে মনে করি আমি। সম্মান দিলে ভালোবাসা মেলে।”

এর আগে বিবিসি এক বিশ্লেষণে বলেছিল, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা রোমান্টিক নায়ক বলা যেতে পারে শাহরুখকে। আশেপাশে দেখা প্রেমের সঙ্গে মেলানো যায় তার অভিনীত সিনেমাকে। সিনেমায় তার চরিত্র, নারী চরিত্রটির প্রতি আলাদা আবেগ নিয়ে চলে, যা অন্য বলিউড নায়কদের চরিত্রের বেলায় দেখা যায় না।




শৈলকুপায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটার ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোপনকৃত ১ হাজার গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।

সোমবার (৮জুলাই) সকালে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, শাখা কর্মকর্তা কাজী মহসিনসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। কর্তৃপক্ষ জানান, খালের গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় তারা শৈলকুপা থানায় মামলা জমা দিয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, গাছ কাটা, ফসল কাটার মত জঘন্য কাজ যারা করে তারা মানুষ না। যারা গাছ উপড়ানোর মত কাজ করেছে আমি চাই তারা আইনের আওতায় আসুক। সে যদি আমার নিজের লোকও হোক না কেন আমি তাকে ছাড় দিব না। আমি চাই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনুক।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে ৩ হাজার গাছ লাগিয়েছে। গাছগুলো লাগানোর পর কে বা কাহার গাছগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা চাই যারা এই কাজগুলো করেছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এ ব্যাপারে থানায় এফআইআর জমা দিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোপনকৃত ১ হাজার গাছের চারা উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।




ঝিনাইদহে গাজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহ শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গাজাসহ মনিরুল বিশ্বাস (৫৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ জুলাই) ভোররাতে শহরের টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী মনিরুল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জমেদ আলীর ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, টার্মিনাল এলাকায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালায় সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম। সেসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মনিরুল বিশ্বাসকে। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ কেজি গাজা। পার্বত্য এলাকা থেকে গাজা এনে ঝিনাইদহে বিক্রি করা হচ্ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।




হরিণাকুন্ডে ৬৫০জন কৃষকের মাঝে ধান, পেঁয়াজবীজ ও সার বিতরণ

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডে ৬৫০জন কৃষকরে মাঝে বিনামূল্যে ধান, পেঁয়াজবীজ ও সার বিতরণ করা হয়ছে।

সোমবার  সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ ও (২৪-২৫) মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম টানু মল্লিক।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম ইশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার, উপজলো কৃষি কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে ৬৫০ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সরকারী ধান বীজ, পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে।




নরসিংদীতে রেললাইনে কাটা পড়ে ৫জনের মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরায় রেললাইনের পাশে ৫টি ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনে কাটা পড়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুর নামক স্থানে এসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মেথিকান্দা স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাত আলী ৫ ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেল লাইনের পাশে পাঁচটি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। তবে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে নাকি রেল লাইনে বসে থাকা অবস্থায় কাটা পড়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেথিকান্দা স্টেশন থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থল কমলপুর। ঘটনাস্থলে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এখানে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় কেউ কাটা পরার কথা না। এটি ট্রেনে কাটা না হত্যা তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
জামাল নামে স্থানীয় একজন বলেন, নিহতরা কেউ এলাকার নয়। এই স্থানে কাটা পড়ে মৃত্যু হওয়ার কথা না। এটা হত্যা নাকি দুর্ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে বলতে পারবে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বলেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পিবিআই ও সিআইডি। তারা ঘটনার কারণ উদ্ধারে কাজ শুরু করছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।




আলমডাঙ্গায় ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৮ মামলার ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ মায়া আটক

মায়া খাতুন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত। জেল হাজতে যাওয়া যেন তার কাছে ডালভাত। এক যুগে মামলা হয়েছে ৮ বার। গ্রেপ্তারও হয়েছেন প্রায় ১৫ বার। বের হয়ে আবারও মাদক বেচাকেনায় জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে পৌর এলাকার এক্সচেঞ্জ পাড়া এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মায়া খাতুন (৩৫) মৃত জাহাঙ্গীর আলম ওল্টুর স্ত্রী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী মায়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি তল্লাশি করে ৬৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মায়ার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিকবার জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও পুরনো পেশায় ফিরে যায় মায়া।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বলেন, ‘অন্তত ১৫ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন মায়া খাতুন। প্রতিবার জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক কেনা বেচায় জড়িয়ে পড়েন। তাকে গ্রেপ্তারের পর আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনি মামলা হয়েছে।




৮১ বছরের রানী হামিদ যাচ্ছেন দাবা অলিম্পিয়াডে

আগামী সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বসবে দাবা অলিম্পিয়াড। এখানে যাবেন মহিলা দাবার শীর্ষে থাকা পাঁচ দাবাড়ু। দুই বোন ওয়াদিফা ও ওয়ালিজা, নোশিম আঞ্জুম, নুশরাত জাহান আলো ও রানী হামিদ।

দেশের কিংবদন্তি রানী হামিদ শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ুর তালিকায় ছিলেন না। পঞ্চম স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। কিন্তু শিরিন পারিবারিক কারণে যেতে পারছেন না বলে দাবা ফেডারেশন জানিয়েছে। শিরিনের ঘরে এক বছরের শিশুসন্তান রয়েছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা রানী হামিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।

দাবার বোর্ডে রানী হামিদ
দাবা অলিম্পিয়াড খুব মর্যাদার একটি আসর। মহিলা দাবার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। তিনি যেতে না পারায় আক্ষেপ আছে। কিন্তু শিশুসন্তান রেখে যাওয়াটা সম্ভবও নয়। বাধ্য হয়ে এত বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছে। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিরিন নাম প্রত্যাহার করায় রানী আপার নামটি অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ওয়ালিজা ও রানী হামিদ যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন। প্লেঅফে রানী হামিদকে হারিয়ে ওয়ালিজা অলিম্পিয়াডে খেলা নিশ্চিত করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ৮০ পেরিয়ে ৮১ বছরে পা দিয়েছেন রানী হামিদ। এখনো তিনি দাবার বোর্ড নিয়ে আছেন। দাবা খেলার প্রতি এতটুকু অনীহা নেই। মহাখালী ডিওএইচএস থেকে চলে আসনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে, দাবা ফেডারেশনে। এখনো তিনি দাবার প্রতি অনেক বেশি উত্সাহী। খুব খুশি হয়েছেন অলিম্পিয়াডে যাবেন বলে। একসময় রানী হামিদের সঙ্গে খেলেছেন আন্তর্জাতিক অনেক দাবাড়ুর সঙ্গেও এবার দেখা হতে পারে। এটাই তার কাছে অনেক আনন্দের।

সূত্র: ইত্তেফাক




হ্যাকিংয়ের তথ্য গোপন করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই

ইন্টারনেট দুনিয়াতে নানা ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। বড় বড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। সাধারণত প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আতঙ্কিত না করতে বা সরকারের চাপ মোকাবিলায় তারা এমনটি করে। এখনকার সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ওপেনএআই। এই প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তৈরি করে এআই নির্ভর প্রযুক্তির বিকাশে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছিল। অজ্ঞাত হ্যাকার প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ এক বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল। ম্যাশেবলের তথ্যমতে, সেই হ্যাকার কর্মীদের আলাপ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত বেশকিছু প্রযুক্তির নকশা চুরি করেছে বলে জানা গেছে।

ওপেনএআইয়ের কর্মীরা সেই মেসেজ সিস্টেমে চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ মডেলের কাজ ও নকশা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। অবশ্য হ্যাকার শুধু ডিসকাশন ফোরামে প্রবেশ করেছিল। ওপেনএআইয়ের মূল সিস্টেম বা চ্যাটজিপিটির কোনো সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি। সেই পরিস্থিতিতে ওপেনএআইয়ের নির্বাহীরা বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন।

হ্যাকিংয়ের ঘটনা যদি কোনো চীনা হ্যাকার ঘটায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তদন্তের মুখে পড়ার ভয় ছিল। এফবিআইসহ মার্কিন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কোনো সংস্থাকে তখন ওপেনএআই কোনো তথ্য জানায়নি। নিজেদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরিচালনা পর্ষদকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা জানানো হয়। তথ্য চুরি না হওয়ায় হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওপেনএআইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা অনেক বছর ধরেই প্রশ্ন তুলছেন। হ্যাকিং বা বিদেশি শক্তি চ্যাটজিপিটির মতো এআইকে হ্যাক করলে বিকল্প কী উপায় আছে তা নিয়ে ওপেনএআই কখনোই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। এ বছর ওপেনএআইয়ের জিপিটি স্টোরের কিছু প্লাগিনসের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যায়। সব মিলিয়ে মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়লেও ওপেনএআই থেকে কোনো উত্তর মিলছে না।




আগাছানাশক বিষ প্রয়োগে পুড়েছে দেড়শ বিঘা ধান

গাংনীর চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালকের অদক্ষতায় আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে প্রায় দেড় শ বিঘা জমির ধান। এতে সরকার হারাচ্ছে প্রায় কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে ওই খামারের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম এখন নিরবতা পালন করছেন।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে দেখা গেছে বিস্তির্ণ ধানের মাঠ এখন সবুজের পরিবর্তে হলুদ হয়ে গেছে। পঁচে গেছে ধানের গোড়া। পুড়ে গেছে ধানের সব পাতা ও কান্ড।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে ১২০ একর জমিতে ব্রী ২১ ও ব্রী ৭২ উচ্চ ফলনশীল আউস ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। ধান রোপনের পর ধানের জমিতে আগাছা বৃদ্ধি পেয়েছে। খামারের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিন ধানের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার জন্য কর্মরত শ্রমিকদের নির্দেশ দেন। নাজিম উদ্দিন নিজেই কীটনাশক বালতিতে ভরে শ্রমিকদের কাছে দেন। চলতি মাসের ২ তারিখে শ্রমিকরা ধানক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের চারা গাছ গুলো মরতে শুরু করে।

তবে কি ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি কর্মরত শ্রমিকদের। জানা গেছে নিম্নমানের কীটনাশক ও সার, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত শ্রমিক নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার একটি দোকান থেকে নিয়ে আসেন। নিম্নমানের কোম্পানীর সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় এই খামারে দিন দিন কমেছে ফলন।

এই ব্যাপারে যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা নিষেধ আছে বলে জানান তিনি। তিনি একাধিকবার বলেন, মন্ত্রী এবং আমার ডিপার্টমেন্ট সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক সর্দার আব্দুল মান্নান, বলছেন, ধানের জমিতে অনেক আগাছা জন্মেয়. তাই নাজিম উদ্দিন তাদেরকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলেন। সেই কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে জমির ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে কতটুকু কীটনাশক দিতে হবে নাজিম উদ্দীন আমাদের বলে দিয়েছেন। সেমতে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে।

মাস্টার রোলের শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের যুগ্ম পরিচালক স্যারের লোক নাজিম উদ্দীন কীটনাশক পানির সাথে মিশিয়ে দেন। আমরা তার নির্দেশমত জমিতে স্প্রে করি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, জমির ধান মরে যাওয়া শুরু হলে ওই কীটনাশকের বোতলের আলামত নষ্ট করার জন্য তড়িঘড়ি করে নাজিম উদ্দিন বোতলগুলো পুড়িয়ে ফেলেন। তাদের মতে, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিনের দেওয়া নিম্নমানের কীটনাশকের থাবায় মাঠের পর মাঠের এই ধান পুড়ে গেছে।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, নাজিম উদ্দিনের অনুমতি ব্যতীত কোন কাজ করতে পারেন না শ্রমিক ও খামারের উপসহকারী কর্মকর্তারা (ডিএডি)।

নাজিমুদ্দিন এই খামারের যুগ্ম পরিচালকের ভাব নিয়ে কাজ করেন। এই ক্ষমতার উৎস যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম বলে জানান শ্রমিকরা।

খামারের যুগ্ম পরিচালক বা সহকারি যুগ্ম পরিচালক নয়, এখন ফার্মের সকল কার্যক্রম চলছে যুগ্ম পরিচালকের একান্ত কাছের লোক শ্রমিক নাজিম উদ্দীনের নির্দেশে।

এঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক দেখে যুগ্ম পরিচালকের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিন লুকিয়ে পড়েন।
অভিযোগ উঠেছে, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম এই ফার্মে যোগদানের পর থেকেই তার অদক্ষতায় প্রতিবারই লোকসান গুনছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে কীটনাশকের বোতল সংগ্রহ করে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের কাছে নিলে তিনি বলেন, এগুলো আগাছা নাশক কীটনাশক। এসব মানের কীটনাশক জমিতে বেশি ব্যবহার করলে ধান গাছের গোড়ায় ধীরে ধীরে পচন ধরবে। মরে যাবে ধানের ক্ষেত।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি চিৎলা ফার্মের যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম।




আলমডাঙ্গায় ইজিবাইক নিয়ে ছাগল চুরি: ৪ ছাগল চোরকে গণধোলাই

আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে ইজিবাইকে ছাগল চুরি করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। গত  শনিবার দুপুরে জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ ছাগল চোরকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।

চোরচক্রের সদস্যরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বুজরুগড়গড়ি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফেরদৌস, হাটকালুগঞ্জের মৃত লতফর রহমানের ছেলে ফজলে, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর, একই গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন। তারা চুরির ঘটনা অকপটে স্বীকার করে ও কোনদিন চুরি করবে না বলে অঙ্গিকার করে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার দুপুরে জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে ৪ চোর ছাগল চুরি করতে আসে। ইজিবাইকে থাকা ৩ চোর কৃষ্ণপুর ক্যানাল পাড়ার রাস্তায় ৩ টি ছাগল দেখে দাড়িয়ে যায়। সেখানে রাস্তার পাশে ভুট্টা ছিটিয়ে দিয়ে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। ছাগল গাড়ির কাছাকাছি আসলেই সুযোগ বুঝে ছাগল ধরে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।

এই ঘটনা বাড়ির ছাদে বসে দেখছিল এক যুবক। যুবকটি দ্রুত তাদের তাড়িয়ে ধরে ফেলে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে ওই ৪ চোর পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করে গণধোলাই শেষে ছেড়ে দেয় বলে গ্রাম সূত্রে জানাগেছে।