চুয়াডাঙ্গায় বাঁধন সংগঠনের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

“রক্তদানে সাতাশে বাঁধন, স্বপ্ন জয় করবে সাধন” প্রতিপাদ্যে বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিট, পদ্মা জোন এ রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ এর ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটাই বাঁধন সংগঠনের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিট পদ্মা জোন এর পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়।

র‍্যালিটি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে কোর্ট মোড় ঘুরে আবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা, কেক কাটা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিট, পদ্মা জোন এর সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুরো আয়োজন জুড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ,কে,এম সাইফুর রশীদ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, বাঁধন সংগঠন একটি সেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও জনকল্যাণমূলক রক্তদাতাদের একটি সংগঠন। বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিট, পদ্মা জোন যেদিন থেকে কার্যক্রম শুরু করছে সেদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গার মানুষের আর রক্ত নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। চুয়াডাঙ্গার মানুষের আস্থার সংগঠন হয়ে উঠেছে বাঁধন সংগঠন। বিনা স্বার্থে মানুষের উপকারে কাজ করে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের একঝাঁক সেচ্ছাসেবক। এ সময় বাঁধন সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে সকল রক্তদাতা সেচ্ছাসেবকদের ও নতুন কর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, “একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন” স্লোগান নিয়ে বাঁধন সংগঠন ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবরে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল থেকে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশের ৫৪টি জেলায় ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্তদাতাদের বাঁধন সেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিটে ৪২৭ ব্যাগ রক্তের চাহিদায় তারা ৪০০ ব্যাগ রক্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রোগীদের ম্যানেজ করে দিয়েছে এবং ফ্রী রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছেন ১২০০ জনের।

২৭ বছর পূর্তির আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধাক্ষ্য প্রফেসর ফারজানা কেতকী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিট এর শিক্ষক উপদেষ্টা সফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান, আবু বকর ছিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান, মাসুম হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান, ইব্রাহিম হোসেন, তৌফিক শুভ, সজিবুল ইসলাম, সুজাউদ্দীন টুটুল, হাফিজুর রহমান, অনামিকা জোয়ার্দ্দার, বাঁধন পদ্মা জোনাল পরিষদের সভাপতি আজিজুর রহমান, বাঁধন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মিকাইল হোসেন, সাকিব বিশ্বাস, সামিউল, হাসিবুল, রাসেল,মর্তুজা,রিমা,মুসলিমা, রাজীব,আশিক,মনিরুল, অপূর্ব সহ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় উপজেলার নবাগত ইউএনও এবং ওসিকে ফুলের শুভেচ্ছা

দামুড়হুদায় মানব সেবা সেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের পক্ষথেকে দামুড়হুদা উপলেজার নাবাগত উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল ও দামুড়হুদা মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির কে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দুই নবাগত কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মানব সেবা সেচ্ছায় রক্ত দান সংগঠনে সভাপতি এনামুল হক, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আকাশ মিয়া, দামুড়হুদা সদর ইউনিয় শাখার সভাপতি তালহা জুবায়ের, অর্থ সম্পাদক আকরাম মিয়া, সাংগনিক সম্পাদক আহসাফ মিয়া, প্রাচার সম্পাদক সাকিব মিয়া, হাউলী ইউনিয় শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আল আমিন, অর্থ সম্পাদক রিওন, কারপাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি রাহিমুল্লাহ, জুড়ানপুর ইউনিয় শাখার সহ সভাপতি বাবুল মিয়া, সহ সেক্রেটারি আবির, নাটুদাহ ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি হুসাইন মিয়া, সেক্রেটারি আহাদ আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয় শাখার সভাপতি রাহিমুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক আল আমিন রজব প্রাচার সম্পাদক আবু জিহাদ সিফাত, ক্রিয়া সম্পাদক রাব্বি, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি আকাশ মিয়া, অর্থ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, প্রাচার সম্পাদক রিফাত মিয়া সহ রক্তদান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও যুব রেডক্রিসেন্ট সৌসাইটির দামুড়হুদা উপজেলার যুব প্রধান মোঃ আব্দুর রহিম প্রমূখ।




মেহেরপুরে ওয়েভ ফাউন্ডেশন আরএমটিপি প্রকল্পের মেশিন ও চেক বিতরণ

মেহেরপুরে ওয়েভ ফাউন্ডেশন আরএমটিপি প্রকল্পের মেশিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার সময় ফুলবাগান পাড়ায় মেহেরপুর সদর উপজেলা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ইউনিট অফিসে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ডেনমার্ক দূতাবাস (ড্যানিডা) এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফর্মেশন প্রজেক্ট আরএমটিপি’র আওতায় নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধ জাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ডেইরি খামারিদের মাঝে ঘাস ও খড় কাটার মেশিন, দানাদার খাদ্য ভাঙানো মেশিন এবং অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় ।

উক্ত মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরএমটিপি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক  ডা.আবু সালেহ্ মোঃ শহীদ, ইউনিট ম্যানেজার মোঃ মাজিদুল ইসলাম , ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর কৃষিবিদ সাজেদুল হক , এলএসপি শাহিনুল ইসলাম এবং স্বপন মিয়া সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন ।

মেশিন বিতরণকালে প্রকল্প ব্যবস্থাপক সামগ্রিকভাবে প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন ।

এ সময় ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ আশরাফুল হক খামারিদের উদ্দেশ্যে মেশিন ব্যবহারের সামগ্রিক গুরুত্ব ও সময় অপচয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোছাঃ সহিবা খাতুন ।




মেহেরপুরে বিআরটিএ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

মেহেরপুর বিআরটিএ’র মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে একটি পক্ষকে মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র (টিটিসি)ড্রাইভিং ট্রেডের পরীক্ষার্থীরা।

বিআরটিএ’র মাধ্যমে যারা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে তাদের সকলকেই গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানো হয়েছে অপর দিকে টিটিসি’র পরীক্ষার্থীরা ঘুষ না দেওয়ায় তাদের ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন কে পাশ করানো হয়। পরে পরীক্ষার্থীরা খাতা পুনরায় নিরীক্ষার আবেদন জানায়, তাতে আরও ২০ জন পাশ করে। এমন অভিযোগে ফুৃঁসে ওঠেন তারা। তাদের অভিযোগের পরে আগের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, টিটিসি’তে তিন মাসের ড্রাইভিং কোর্স শেষ করে ৭৬ জন পরীক্ষার্থী ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ২৭ জন পাশ করেছে। এদিকে কোন রকম প্রাকটিক্যাল ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ না নিয়ে ১শ ৩৫ জন ড্রাইভিং পরিক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ১শ ৩০ জনকে ঘুষের বিনিময়ে পাশ করানো হয়েছে। টিটিসি থেকে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের খাতা পুণঃ পরীক্ষনে ২০ জন পুনরায় পাশ করে। এতে প্রমানিত হয় খাতা নিরীক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। তাদের আরো অভিযোগ বিগত দিনে টিটিসি থেকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় জনপ্রতি বিআরটিএ অফিসে দুই হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হতো। কিন্তু এবার তারা সে ঘুষ পদ্ধতি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তাদের ইচ্ছা করে ফেল করানো হয়েছে। তবে পুনঃ পরীক্ষায় টিটিসি থেকে ৬২ জন অংশ গ্রহণ করে ৫৫ জন লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে তবে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন পাশ করে। অপর দিকে বিআরটিএ দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর স্বাধীনের বিরুদ্ধে বায়োমেট্রিক গ্রহণের সময় জনপ্রতি ১শ টাকা করে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিআরটিএ দপ্তরের মোটর ভেহিকল ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান বলেন কোন অনিয়ম হয়নি। তবে খাতা দেখায় কিছু ভুল হয়েছিলো।

মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগের পরীক্ষাটি বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল

ছাত্রলীগকে সরকার নিষিদ্ধ করায় দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে তারা জয়রামপুর থেকে মিছিল নিয়ে হাউলী ইউনিয়নের প্রত্যেক টা গ্রাম ঘুরে জয়রামপুর এসে সমাবেশ করে।

মিছিলে তারা বলেন এই মুহূর্তে খবর এলো-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো, ছাত্রলীগ জঙ্গি খুনি হাসিনার সঙ্গী, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত, ছাত্রলীগ গর্তে, খুনি হাসিনা ভারতে, হই হই রই রই, ছাত্রলীগ গেলি কই, আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম, এসব স্লোগান দেন।

এসময় নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়। কারণ, ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা হত্যাকাণ্ড, গুম, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ছিল। আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু নোমান পাপন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, সদস্য দেলোয়ার হোসাইন, হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, সদস্য রাকিব হাসান, সোলায়মান হক, হাউলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দামুড়হুদা থানা যুবদলের সদস্য মেজবাহুল হক সুমন, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, জাহিদুল ইসলাম, লাজিব সিদ্দিকী, নাজমুল, রব, মহাসিন, নয়ন।

আরো উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক হোসাইন বাবু, সাধারণ সম্পাদক তামিম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মল্লিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রকি, দপ্তর সম্পাদক নাবিদ ফয়সাল, সদস্য আশরাফুল, নয়ন, জসিম, শাকিল, কিরণ, স্বপন, সাগর, স্বাধীন, সায়েম, আলিফ প্রমুখ।




সকলকে একত্ববদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে-আব্দুর রশিদ

ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার চাপে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে ঠিকই।কিন্তু অলিতে গলিতে তার প্রেত-আত্মারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সব সময় তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। তাই আমাদের সকলকে একত্ববদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে সকলকে একত্ববদ্ধ থেকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটারদের উপর আমাদের কোন ক্ষোভ নেই। তবে বাগোয়ানবাসীকে বলে দিতে চাই, যে সকল আওয়ামী লীগের নেতারা পরিচয় দিয়ে গেছে আমি মন্ত্রীর খালাতো ভাই, খালাতো বোন, মন্ত্রীর কাছের লোক।

এসব বলে তারা আমাদের উপর যে অত্যাচার করেছে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে এ সকল লোকদের ক্ষমা করা হবে না।

উক্ত আলোচনা সভায় মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও (সাবেক মেম্বার) আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শাহীনুর রহমান (শাহিন), উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রমজান আলী, জেলা যুবদলের সদস্য আরিফ হোসেন ও তুষার।

এ সময় জুলাই- আগস্ট এ নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।




ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব, মেহেরপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেলের দিকে বৃষ্টি বাড়লেও প্রায় ঘন্টাখানেক পর আবারও শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।

এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী, এলাঙ্গী, কাজিপুর, মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। এখনও অব্যহত রয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সাথে বইছে হালকা ঠান্ডা হাওয়া।

সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা রয়েছে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাত বেড়েছে।

এদিকে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণ ঘরের বাইরে খুব একচা বের হচ্ছেনা।




মেহেরপুরের আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত 

দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রচলিত সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে বিতর্ক অন্যতম। বাগ্মিতা, চিন্তনদক্ষতা ও যুগের সঙ্গে অতি প্রাসঙ্গিক গুণগুলোর ব্যাপারে শিক্ষা ও চর্চা হয় এর মাধ্যমে।

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বল্প পরিষরে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)।

এরই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মেহেরপুর সদর উপজেলার সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুবিবাহ নিয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: মোস্তাক আহাম্মদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদ।

সহকারি প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মিনারুল ইসলাম, মীর শফিকুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা এবং মো: আবু তালেব।

বিতর্কে বিবাহ আইন, বাল্যবিয়ের কুফল, আইনগত তথ্য, দেনমহর, রেজিষ্টেশন সহ শিশুবিবাহের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য উপস্থাপনা করে।




স্ত্রী হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করলো র‍্যাব-১২ মেহেরপুর ক্যাম্প

যৌতুকের দাবিতে নিজ স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী রাসেল ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাসেল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন সেন্টার ( সিপিসি-৩) মেহেরপুর ক্যাম্প ও র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১০) ফরিদপুর ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদপুরের মুন্সিবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ এর মেহেরপুর সিপিস-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আশরাফউল্লাহ।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে মরদেহ ফেলে রাখার অভিযোগে রাসেল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি জানান, আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুর এলাকার শীলা খাতুন (২০) ও বোয়াকুলী গ্রামের রাসেল ইসলামের প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্নভাবে স্বামীর পরিবার শীলাকে অত্যাচার করত।

গত ২১ অক্টোবর রাসেলের সঙ্গে শীলার কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাসেল তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে রাতে মরদেহ মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ওপর ফেলে পালিয়ে যান।

সকালে রেললাইনে রক্তাক্ত মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ তখন জানায়, নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় শীলার ভাই বাদী হয়ে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর র‌্যাব অভিযানে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি সাহায্যে রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ফরিদপুরের মুন্সিবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে।

র‌্যাব-১২ এর মেহেরপুর সিপিস-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আশরাফউল্লাহ জানান, র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর ও র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুরের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।




দেড় বছরে ভাঙ্গলো তিনবার!

কপোতাক্ষ নদের পাড় ঘেষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের মহেশপুর পৌরসভার সামনে ১০২ মিটারের সড়কের ভাঙ্গন ঠেকাতে মাত্র তিন মাস আগে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু কোনো কাজেই আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এরও এক বছর পূর্বে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও কোনো কাজে আসেনি। বছর যেতে না যেতেই ধস নামে সড়কের ওই অংশের।

স্থানীয়রা বলছেন, সংষ্কার কাজ হয় কিন্তু তার মান সঠিক থাকে না। যে কারনে ২/৪ মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। আর সড়ক বিভাগের দাবি দুই বছর পূর্বে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন তারা যেভাবেই চেষ্টা করুন না কেন কোনো কাজে আসছে না। তবে তারা এবার শক্ত ভাবে বাঁধ দিয়ে সড়ক সংষ্কার করবেন বলে আশা করছেন।

এদিকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়কটি এভাবে ভেঙ্গে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল করছে মারাত্বক ঝুকি নিয়ে। বড় বড় গাড়িগুলো প্রচন্ড যানজট এড়াতে উপজেলা শহরের ভিতর দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আর ছোট ছোট যানবাহনগুলো ভাঙ্গনের পাশ দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা মহেশপুর। ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় এটির গুরুত্ব অনেক। এই উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য প্রধান সড়ক হিসেবে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের খালিশপুর থেকে চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদ এর ধার দিয়ে মহেশপুর শহর পেরিয়ে দত্তনগর হয়ে জীন্নানগর পেরিয়ে যাদবপুর গেছে। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। ইতিপূর্বে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় এলাকাবাসি দাবি জানিয়ে আসছিল মেরামতের। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ করা হয়। যার মহেশপুর শহরের কিছু রয়েছে কপোতাক্ষ নদ এর ধার ঘেষে। এই সংষ্কারের পর মহেশপুরবাসি ভালোভাবে চলাচল করে আসছিলেন।

এই অবস্থায় গত ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটির মহেশপুর শহরের মহেশপুর পৌরসভা ভবনের পাশে কপোতাক্ষ নদ এর ধারে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর বসে যেতে শুরু করে। এরপর দেখা দেয় ভাঙ্গন। অল্পদিনের মধ্যে সড়কটির উত্তর পাস ধসে কপোতাক্ষ নদ এর মধ্যে চয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটি ভাঙ্গন অবস্থায় তারা ঝুকি নিয়ে চলাচল করছিলেন। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে একদফা সংষ্কার করা হয়। কিন্তু সেটা বেশি দিন টেকেনি। সংষ্কার কাজের ৮ থেকে ৯ মাস পরই আবারো ধস দেখা দেয়। এই অবস্থায় চলতি বছরের জুন মাসের দিকে দ্বিতীয় দফা সংষ্কার কাজ করেন। এবার মাত্র তিন মাস যেতে না যেতেই গত দুই সপ্তাহ হলো তৃতীয় দফা ধস নেমেছে। এবার সড়কটির অর্ধেক অংশের বেশি নদ এর মধ্যে চলে গেছে। কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ হলো বালি দিয়ে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করেছেন। সেটাও হয়নি, ইতিমধ্যে বালিও বসে গেছে। অনুমান করা হচ্ছে তলদেশ দিয়ে বালি সরে নদ এর মধ্যে চলে গেছে।

ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহি বাসের চালক শমসের আলী জানান, তারা যশোর থেকে কালীগঞ্জ হয়ে জিন্নানগর পর্যন্ত চলাচল করে থাকেন। এই ধসের কারনে তাদের মহেশপুর শহর ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই শহরের মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ঘটনা মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে বলে জানান। তিনি বলেন, এই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ জরুরী।

আর সড়ক বিভাগে খোঁজ নিতে গেলে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, তারাও সড়কটি নিয়ে চিন্তিত। কোনো ভাবেই এই ধস সামলাতে পারছেন না। সর্বশেষ তারা ৩২ লাখ টাকা খরচ করে রিটেনিং ওয়াল দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। সেটাতেও এই ধস নামায় তারা বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে এই জায়গাটি রক্ষা করবেন।

বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, তারাও এটি নিয়ে চিন্তিত।

তিনি বলেন, সড়কটির ৩ বছর পূর্বে যখন সংষ্কার হয়েছিল তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের কাজ করা হয়। তিনি আরো বলেন, সাধারণত নদ-নদী খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের উপর রাখা হয়েছিল, সেই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যে কারনে ভাঙ্গন স্থানের তলদেশের মাটি আলগা থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে টেকসই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।