কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে চর দখলকে কেন্দ্র করে তৌহিদুল সরদার (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইদ্রিস সরদার (৫৫)-কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার খন্দকার গোলাম মর্তুজা।

গ্রেফতারকৃত ইদ্রিস সরদার মিরপুর উপজেলার নওদা খাদিমপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে।

র‍্যাব-১২ জানায়, গত রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদিমপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে জেগে উঠা চর দখলকে কেন্দ্র করে আগ্নেয়‍াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় তৌহিদুল সরদার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর ০৭।

এদিকে, এই হত্যার ঘটনায় র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করলে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার হিড়িমদিয়া গ্রাম থেকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ইদ্রিস সরদারকে আটক করা হয়। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মিরপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১২।




শাহরুখকে হত্যার হুমকি দেওয়া সেই আইনজীবী গ্রেপ্তার

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার জন্য এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদ ফায়জান খান নামের এ আইনজীবীর ফোন থেকে অভিনেতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ রুপি দাবি করা হয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ছত্তীসগড়ে নিজ বাড়ি থেকে ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশকে বোকা বানাচ্ছিলেন এ আইনজীবী।

এর আগে তিনি পুলিশকে জানায়, তার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায় গত সপ্তাহে যেটি দিয়ে শাহরুখ খানকে হুমকি দেয়া হয়েছিল।

কিছুদিন আগেই মুম্বাই পুলিশকে একটি হুমকি বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তাতে জানিয়েছিলেন, ৫০ লাখ টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে শাহরুখ খানকে।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফোন নম্বর ট্রেস করে ফইজান খানের খোঁজ পায়। ওই সময় মুম্বাই পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার ফোন চুরি হয়ে গেছে। আর মিথ্যা বলে গত ২ নভেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন।

মুম্বাই পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে বলেছিল ওই আইনজীবীকে। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতীয় সংহিতার ৩০৮(৪) ধারা (খুনের হুমকি দিয়ে টাকা দাবি) এবং ৩৫১(৩)(৪) (অপরাধমূলক উদ্দেশ্য)-এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে বলিউড তারকাকে খুনের হুমকি দেওয়ার পরই ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বর্তমানে তার সঙ্গে সবসময় ৬ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকেন। এর আগে থাকতেন দু’জন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু

পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়ে মোমিন (৬ বছর) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মোমিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ধর্মচাকী পশ্চিমপাড়া গ্রামে শিশু মৃত্যুর এঘটনা ঘটে।

মোমিনের পিতা আব্দুস সালাম জানান,বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ইসলাম পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অন্য শিশুরা আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা তাড়াতাড়ি আমার ছেলেকে পুকুরের পানিতে খুজতে থাকি। অনেক পরে ছেলে মোমিন পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠে। মোমিনকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল আল মারুফ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ দাফন করা হয়।




ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের কথা ভাবছে পাকিস্তান

সময় যত এগুচ্ছে তত জটিলতা বাড়ছে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে। কিছু দিন আগেই খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ইস্যু দাঁড় করিয়ে ভারত আইসিসিকে জানিয়েছে যে, তারা খেলতে যাবে না পাকিস্তানে। যা নিয়ে আয়োজকরা চটেছে। এবার এ বিষয়ে পিসিবি শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, শুধু তাই নয়, পরিকল্পনাও করছে ভারতে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার।

শোনা যাচ্ছে, আইসিসিকে জানানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে পিসিবি। তাতে দিনে দিনে দীর্ঘদিন পর আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ ঘোলাটে হচ্ছে। আট দল নিয়ে তিন ভেন্যুতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে বসবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। ইতিমধ্যে আয়োজকরা ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের শেষ সময়ের প্রস্তুতিও প্রায় সেরে ফেলেছে। কিন্তু হঠাৎ খেলতে না যাওয়ার কথা জানিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ভারত।

যদিও বিষয়টি নতুন কিছু নয়, এমনটি আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। কেননা সবশেষ এশিয়া কাপেরও আয়োজক ছিল পাকিস্তান সেবারও খেলতে যায়নি রোহিত-বিরাটরা, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় আয়োজন করা হয়েছিল টুর্নামেন্ট। তাই এবারও ধারণা করা হচ্ছিল এমন কিছুই হবে। তবে পাকিস্তান এবার ধৈর্য হারিয়ে হাঁটছে ভিন্ন পথে, এবার আর হাইব্রিড মডেল নয়, ভারতকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কথাই ভাবছে। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এমনটি সামনে এসেছে।

পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সূত্রে মতে, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। তারপর আগামী দুই দিনের মধ্যে আইসিসিকে চিঠি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চাইবে তারা। শোনা যাচ্ছে, পিসিবি ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ ও আইসিসিকে প্রশ্ন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে কেন পাকিস্তানে আসবে না তারা। আর এর ব্যাখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবেই চায় আয়োজকরা। যদি কোনো সদুত্তর না দিতে পারে তাহলে ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে তারা, তবুও এবার আর হাইব্রিড মডেলে যাবে না তারা।

আর যদি হাইব্রিড মডেলে শেষ অবদি যেতেই হয় তাহলে আয়োজক থেকে সরে দাঁড়াবে পাকিস্তান। এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ছাড়াও যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব সেই বিষয়ে শক্তিশালী উদাহরণও হাতে রেখেছে পিসিবি। উদাহরণস্বরূপ তারা দুটি বিশ্বকাপকে সামনে আনতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেগুলো হলো ১৯৯৬ এবং ২০০৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিরাপত্তাজনিত কারণে শ্রীলঙ্কায় না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তবুও আইসিসি আয়োজক দেশ পরিবর্তনের পরিবর্তে তাদের প্রতিপক্ষকে পয়েন্ট প্রদান করে।

একইভাবে, ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড যথাক্রমে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐবারও একই ভাবে ম্যাচের পয়েন্ট প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেয় আইসিসি। এই উদাহরণগুলোই আইসিসির সামনে দাঁড় করাবে এবার পিসিবি যাতে ভারতকে বাদ দিয়েও টুর্নামেন্ট আয়োজনে আইসিসি কোনো প্রশ্ন দাঁড় না করাতে পারে পিসিবির সামনে।

এখানেই শেষ নয়, শেষ পর্যন্ত যদি ভারত এলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না যায় তাহলে ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যে কোনো মঞ্চে ক্রিকেট ম্যাচ না খেলার অবস্থান নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দেশটির সরকারের অবস্থান বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের একজন পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলে, ‘কোনো টুর্নামেন্টেই আমরা ভারতের সঙ্গে খেলব না, যতক্ষণ না ওরা পাকিস্তানে এসে খেলতে চাইবে।’

যদিও ভারতকে বাদ দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে ব্যাপক লসের মুখে পড়তে হতে পারে পাকিস্তানকে। কেননা সম্প্রচার স্বত্বসহ আইসিসির আয়ের বড় অংশই আসে ভারতের বাজার থেকে। তবে পিসিবির মতে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ বয়কট করলে ক্ষতি শুধু পাকিস্তানেরই হবে না, ভারতেরও হবে। যে কোনো টুর্নামেন্টে উত্তেজনার পারদ বাড়াতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তে বারবার অনড় থাকবে আর পিসিবি বারবার নরম হয়ে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে তা হতে পারে না। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ঐ আসরের আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস। ফাইনাল খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান। যেখানে দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতে পাকিস্তান।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লক্ষ টাকা জিতলেন কলেজ ছাত্র রাশেদ

২০ লক্ষ টাকা দিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি কৃষি জমি কিনে মা ও বাবার নামে দেবেন কলেজ ছাত্র রাশেদ। লটারিতে পাওয়া ২০ লক্ষ টাকা পাওয়া কলেজ ছাত্র রাশেদ তার অনুভুতি বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি যখন ২০ লাখ টাকার লটারি জিতেছি এমন একটি ফোন পাই। আমি ভয়ে ফোন কেটে দিই। মনে করেছিলাম কোন প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছি। পরে একাধিকবার ফোনে আমাকে নিশ্চিত করে। কথাটি প্রথমে আমার মাকে বলতে গিয়ে আমার চোখ ভিজে গিয়েছিল। এই টাকা আমার ভাগ্য বদলের সহায়ক হবে। আমাদের অভাবের সংসার। তিন ভাই বোন ও মা বাবা মিলে ৫ জনের সংসারে বাবার রোজগারে সংসার চলে। মাঠে তেমন জমিজমাও নেই। এই টাকায় আমার বাবার হাতে তুলে দিয়ে বাবাকে সহায়তা করতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।

লটারি বিজয়ী রাশেদ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের বাথানপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের ছেলে ও গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

কলেজ ছাত্র রাশেদ জানান,গাংনীর ওয়ালটন শোরুম মেসার্স সাজু এন্টারপ্রাইজ থেকে ফ্রিজ ক্রয় করি গত ২৭ অক্টোবর। ডাবল মিলিয়ন অফার চলাকালিন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার পাই। গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান তার হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

রাশেদের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন,এই টাকা দিয়ে আমার ছেলের জীবন বদলে দেবো। তাকে লেখা পড়া শিখে মানুষ হতে হবে।

মা বেলিয়ারা খাতুন বলেন,আমি প্রথমে বিশ্নাস করতে পারছিলাম না। গরিবের কপালে এতবড় পাওয়া আল্লাহ্‌র কাছে হাজার শুকরিয়া।

গাংনীর ওয়ালটন শোরুম সাজু এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহবুবুল বারী সাজু জানান, কলেজ ছাত্র ,রাশেদ ওয়ার এইচ ফাইভ মডেলের একটি ফ্রিজ ক্রয় করে ডাবল মিলিয়ন অফারে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান সহ ওয়ালটনের কর্মকর্তারা তার হাতে চেক তুলে দিতে গাংনী আসেন।

তিনি বলেন, ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এই অফার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছে তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে সময় বৃদ্ধি হতে পারে।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন একটি দেশীয় পণ্য। এপণ্য যত কিনবেন দেশ ততই সমৃদ্ধ হবে, আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন এখন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। এপণ্য কিনে দেশের কয়েক হাজার মানুষ পুরুস্কার জিতে সাবলম্বি হয়েছে। ওয়ালটনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ওয়ালটন কারও সাথে প্রতারনা করেনা। আমরা ঢাকা থেকে গাংনীতে পুরুস্কারের টাকা পৌছে দিতে এসেছি। আমরা এটাই প্রমান করেছি ওয়ালটন আছে দেশের প্রতিটি গ্রামে। প্রতিটি মানুষের মনে প্রাণে।

পুরস্কার বিতরন উপলক্ষে এর আগে গাংনী বাজারের ওয়ালটন শোরুম থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে শেষ হয়। পরে মঞ্চে সংঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পীরা।

পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডিস্ট্রিবিউটর টেওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মনিরুল হক এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম সাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহাবুবুল বারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘‘মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন’’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার আমীর তাজউদ্দিন আহমেদ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ই আগস্টের বিপ্লবের পর থেকে আমাদের জামায়াত সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের উদ্বেগ ও দুর্দিনে সহায়তা প্রদান করেছি। শহীদ ভাইদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আহত ভাইদের চিকিৎসার জন্যও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবেই আমরা জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবো।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে, ড. শফিকুল রহমান ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, এবং জামায়াতে ইসলামী তাদের সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাই, আগামী নির্বাচনে জামায়াত কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং জাতি একটি ইনসাফপূর্ণ ও সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হবে।

জেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইনের পরিচালনায় সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর এ্যাড. রুহুল আমিন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, জেলা নায়েবে আমীর মাওঃ মাহবুব-উল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে বক্তারা বলেন, মানবতার সেবা, দেশ পরিচালনার দক্ষতা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীকে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও ন্যায়বিচারের আন্দোলন হিসেবে তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমরা চাই একটি সাম্যভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার অধিকার পাবেন।’’

এছাড়াও এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা আমীর মাওঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওঃ কাজী রুহুল আমিন, পৌর আমীর সোহেল রানা ডলারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জামায়াতের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের শেষে মেহেরপুর জেলা আমীর দেশ ও জাতির কল্যাণে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ পাঠের পর সংগঠনের উন্নতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করানো হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে জেলা মজলিসে শুরার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এবং গিফট বিতরণ করা হয়।

এছাড়া, সম্মেলনে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের ঐক্য ও আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।




ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী মন্ত্রী পত্নী মোনালিসা, কিনেছেন কানাডায় বাড়ি

অডিও ক্লিপ ভাইরাল : পর্ব—১

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী মোনালিসা গত ১০ বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে খোদ স্বীকার করেছেন তার ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এ তথ্য দিয়েছেন তিনি। অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মন্ত্রী পত্নী মোনালিসা হোসেনকে। মন্ত্রী দম্পত্তি গত ১০ বছরে মেহেরপুরের অনলাইন ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এমন কোন খাত নেই যেখানে দুনীর্তি করেননি। আর এসকল কর্মকাণ্ড করে গড়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক। কানাডায় বাড়ি কিনেছেন বলে এতদিন ধরে যে খবর রটেছিলো সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করলেন তারই ছোট ভাই মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল। শুধু কানাডায়ই না বিভিন্ন যায়গায় বাড়ি কিনেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে অডিও ক্লিপে অপর প্রান্তে কে কথা বলছেন তা জানা যায়নি। হতে পারে কোন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অথবা সাংবাদিক।

অডিও ক্লিপে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলূ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খোকন এরা সকলেই অনলাইন ক্যাসিনোর সাথে জড়িত ছিলেন। অনলাইন ক্যাসিনোর এজেন্টরা মৃদুল, বাঁধন, খোকন ও মোনালিসা সাথে সখ্যতা তৈরি করে মেহেরপুরকে অনলাইন ক্যাসিনোর স্বর্গরাজ্যতে পরিণত করেছিলেন, যার প্রভাব এখনো বিদ্যামান। মন্ত্রী দম্পত্তির সুপারিশে অনলাইন জুয়ার মূল হোতারা সবসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায়।

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আসেন মেহেরপুরে। বসন্তের কোকিল হয়ে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। একতরফা ওই নির্বাচনে মেহেরপুর—১ আসনে জয়ী হয়ে পরের বছর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ পেয়ে যান। এরপর ধীরে ধীরে মেহেরপুরে দলীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারি পর্যন্ত সবই চলে যায় ফরহাদ হোসেনের পরিবারের দখলে।

আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীরা বলছেন, পরিবারের সদস্য, স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের দলীয় বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (দোদুল)। তাঁদের অনেককে জনপ্রতিনিধিও বানিয়েছেন। তাঁদের দিয়েই জেলার ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। বিপরীতে কোণঠাসা করেছেন দলের ত্যাগী নেতাদের। তাঁর বিপক্ষে গেলে দলীয় নেতা—কর্মীদের নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। ফরহাদের ভাই ও ভগ্নিপতির দাপটে দলীয় নেতা—কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তটস্থ থাকতেন।

কলেজশিক্ষক থেকে মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা ছহিউদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি। তবে সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার আগপর্যন্ত দলে কোনো পদ ছিল না ফরহাদের। এলাকায় সজ্জন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো বোন সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে মেহেরপুর—১ আসনের এমপি হওয়ার পর ২০১৫ সালের অক্টোবরে সরাসরি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বনে যান। সবশেষ ২০২২ সালেও দলের সম্মেলনে তিনি একই পদ পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ফরহাদ হোসেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এমপি হয়ে এক মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন ফরহাদ হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মেহেরপুরে সাবেক এই মন্ত্রীর বাসভবনের সামনের গাড়ি রাখার টিনের ছাউনি ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফরহাদ হোসেনের ‘ব্যক্তিগত কার্যালয়ে’ ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে শহরের বড়বাজার সড়কে পৌর কমিউনিটি হলের সামনে ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেনের বাণিজ্যিক তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি দোকান পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর আদাবর থানার পোশাককর্মী রুবেল হত্যা মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরহাদ হোসেনকে রাজধানীর ইস্কাটন থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

ফরহাদ হোসেন এমপি হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকার মানুষ প্যারাসিটামল বিক্রেতা হিসেবে চিনত সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে। পৌরসভার পাশে ছোট একটি ফার্মেসীর দোকান ছিল তার। ভাই ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার পরপরই তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত হন। প্রভাব বিস্তার করে দরপত্র বাগিয়ে নিতেন। এরপর তিনি পৌরসভা কমিউনিটির সামনে বড় বাজার সড়কের পাশে ৬ কাটা জমি কিনে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করেন।

মেহেরপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উন্নয়নকাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি বাবলু বিশ্বাস ও ভাই সরফরাজ হোসেন। মূলত অন্যদের প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে বাবলু বিশ্বাস তা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারেরা।

গত বছরের ২০ অক্টোবর সরফরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের (ডিজঅনার) মামলা করেছেন দেবাশীষ বাগচি নামের এক ব্যক্তি। একসময় তিনি সরফরাজের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি সরফরাজের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৫টি দরপত্র তিনি প্রভাব খাটিয়ে বাগিয়ে নেন। এর আনুমানিক মূল্য ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালে জানুয়ারিতে সরফরাজ হঠাৎ কিছু না বলে তাঁকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন। পাওয়া টাকা চাইলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি শুরু করেন। একপর্যায়ে পাওনা টাকা বাবদ গত বছরের ১২ জুলাই ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে, ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা নেই। পরে আদালতে মামলা করেন।

মেহেরপুর সরকারি বালিকা ও বালক উচ্চবিদ্যালয়ে দুটি ছয়তলাবিশিষ্ট একাডেমি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি টাকা। বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ঠিকাদার বাবলু বিশ্বাস, বালক বিদ্যালয়টির ঠিকাদার সরফরাজ হোসেন। পাশাপাশি অবস্থিত বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেদের অভিযোগ, তাঁরা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে ভবন নির্মাণের সামগ্রী রেখেছিলেন। বালক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ফজলুল হক বলেন, ‘একাডেমি ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সদ্য সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস। তাঁকে মাঠ পরিষ্কার রাখতে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিতে বলার ক্ষমতা আমাদের ছিল না।’

অডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার নামে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন ও তার ভাই অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন বলে অভিযুক্ত করেন সরফরাজ হোসেন মৃদুল। এর আগেও মাসুদ অরুন টাকা নিয়ে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে ভারতে পার করে দিয়েছেন বলে গুজব উঠেছিলো। কিন্তু পরবর্তিতে ঢাকা থেকে র‌্যাব ফরাহদ হোসেনকে আটক করে।

ফলে অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

তবে অডিও ক্লিপে অভিযুক্ত করা জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনকে মেহেরপুর প্রতিদিন থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও গুজব তোলা হয়েছিলো। এখনও গুজব তোলা হচ্ছে। তবে অডিওতে একজন কাউকে অভিযুক্ত করলেই সে অভিযুক্ত হয়ে গেলো না। বিষয়টি যাচাই বাছাই করার আহবান জানান তিনি।

মেহেরপুর প্রতিদিনও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই বাছাই করে পরবর্তি পর্ব (অডিও ক্লিপের বাকি অংশ) প্রকাশ করবে।




মুজিবনগরে নাইমএমএ পিস্তল ও গুলিসহ যুবক আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের অনলাইন ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেনকে (৩২) নাইন এমএম পিস্তল ও অস্ত্র গুলিসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

আজ সোমবার রাত ৯ দিকে এ অভিযান চালানো হয়। আটক সোহাগ হোসেন মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অনলাইন ক্যাসিনো এবং মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

অভিযান সুত্রে জানা গেছে, অনলাইন ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসায়ীরা অস্ত্র গুলি নিয়ে এসেছে এমন গোপন খবর পায় যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে সোহাগকে তার বাড়ি থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল ও ২টি মোবাইল ফোন কয়েকটি সিমসহ আটক করা হয়। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তিতে সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের ঝুকিপাড়া শশ্মানঘাট সংলগ্ন মাঠ থেকে জার্মানির তৈরী একটি নাইনএমএম পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি এবং ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। আটক সোহাগের নামের অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান।




“গ্রাম পুলিশ সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী”–ডিসি সিফাত মেহনাজ

মেহেরপুরের গাংনীতে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের জন্য ৩০ দিনব্যাপী ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্স শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের জন্য ৩০ দিনব্যাপী ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের আয়োজন করে ঢাকা জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এনআইএলজি’র জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউট। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপ্ত হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাংনী উপজেলায় এই ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন করেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ।

ভাচুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মো: আব্দুল কাইয়ূম।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোর্স সমন্বয়ক যথাক্রমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী নিরঞ্জন চক্রবর্তী, এনআইএলজি প্রকল্পের প্রকাশনা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মল্লিক ও আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশেদ আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী নিরঞ্জন চক্রবর্তী।

প্রশিক্ষণ কোর্সে গাংনী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৪০ জন গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্য অংশ নিয়েছেন।

প্রধান অতিথি সিফাত মেহনাজ বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম পুলিশ সনকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। বর্তমান সরকার দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষণ সেই পদক্ষেপের একটি অংশ।

মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি সিফাত মেহনাজ।

শুরুতেই প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে ব্যাগসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের ভিত্তি গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) ও বিধিমালা-২০১৬ নিয়ে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এসময় গাংনী উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে আওয়ামীলীগের ৬ নেতাকর্মী আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা পুলিশ বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

জানাযায় গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালায় বিভিন্ন এলাকায় দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভার জয়নগর গ্রামে।

এ সময় পুলিশ জয়নগর গ্রামের আজের আলীর ছেলে ইকরামুল (৪৪) তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান ঝন্টু(৫৮)দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামের এসকাতের ছেলে সোহাদ আলী (৫৫) ও তিতুদহ ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আনিছুর রহমান (৪৪)গড়াইটুপি ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের আব্দুল মতিন(৫৩)নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের রবজেল হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলামকে (৫৫)আটক করে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এরা প্রত্যকেই তদন্ত মামলার আসামি যার মামলা নং ৯। আজ তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।