নতুনদের চাকরির সুযোগ দিচ্ছে স্যামসাং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্যামসাং আরঅ্যান্ডডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্টার্ন’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : স্যামসাং আরঅ্যান্ডডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ লিমিটেড

পদের নাম : অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্টার্ন

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

অভিজ্ঞতা : প্রযোজ্য নয়

বয়সসীমা : কমপক্ষে ২১ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৯ জুলাই, ২০২৪

চাকরির ধরন : ইন্টার্নশিপ

কর্মক্ষেত্র : অফিস

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৮ আগস্ট, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট/ম্যানেজমেন্টে বিবিএ ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : ডিজিটাল আকারে তথ্য প্রস্তুত, সংগঠিত এবং সংরক্ষণ করা, দুপুরের খাবার ও প্রাতঃরাশ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, রিপোর্ট প্রস্তুতি, সম্পদ পরিদর্শন, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহায়তা করতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগ।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শ্রমিক লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খান।

জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুসা আলী খান, শাহিনুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, সাদ্দাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল হাসান মিন্টু, শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি দেওয়ান মাসুদুর রহমান স্বপন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক খোমিনী আহাম্মদ, জেলা যুব শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সজল হোসেন, ফকির আলাউদ্দিন, মোঃ আরিফ হোসেন, সৈকত হোসেন, মোঃ মহাসিন রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে রাজধানীসহ সারাদেশে কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, ২১ জুলাই আপিল বিভাগ যখন কোটা সংস্কার করে রায় দিলেন- দেশবাসী ভেবেছিলেন আন্দোলনের আর প্রয়োজন হবে না। কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের যা প্রত্যাশা ছিল তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর নতুন মাত্রায় সহিংসতা শুরু হলো। কারণ বিএনপি-জামায়াত সরকার পতনের একদফা দাবি বাস্তবায়নে কৌশলে ছাত্রদের পেছনে অবস্থান নিলো।

বক্তারা আরও বলেন, দেশব্যাপী জামাত-বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা যেভাবে বর্বরতা নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা মানব ইতিহাসের কলঙ্ক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। দেশীয় এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সারাদেশে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগুনে জ্বালিয়ে ধ্বংস করেছে এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেলা শ্রমিকলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।




লাল প্রোফাইলে সয়লাব ফেসবুক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি অনলাইনে প্রচার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেসবুকজুড়ে এখন শুধুই লাল রংয়ের প্রোফাইল ফটো। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের প্রোফাইল, গ্রুপ ও পেইজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তুলে তা অনলাইনে প্রচারের জন্য কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

এরই অংশ হিসেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি অনলাইনে প্রচার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেসবুক ছেয়ে গেছে লাল রংয়ের প্রোফাইলে। লাল ছবি দেয়ার পাশাপাশি অনেককে চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে একক ও দলীয় ছবিও দিতে দেখা যায়।

লাল কাপড় বাঁধার কারণ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, সরকার দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়ে তারপর ছাত্রদের আন্দোলনকে ‘সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের স্মরণে শোক দিবস ঘোষণা করে নিহত শহিদদের সঙ্গে তামাশা করেছে।

এর প্রতিবাদে আমরা তাদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিকে বয়কট করেছি। এখনো তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। তাই আমাদের কর্মসূচি লাল কাপড় মুখ ও চোখে বেঁধে অনলাইন ক্যাম্পেইন করা।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে। শোক পালনের দিন মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় হবে বিশেষ প্রার্থনা। ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলা আইন- শৃঙ্খলা, চোরা চালান, নাশকতা, মানবপাচার এবং নারি ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার নিপা, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবীর, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইনস্ট্রাক্টর রোকনুজ্জামান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, মদনা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঃ রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ সাজিদ, উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা, কোম্পানি কমান্ডার ঠাকুরপুর বিজিবি সুবেদার সাইফুল ইসলাম, কোম্পানি কমান্ডার মুন্সিপুর বিজিবি নায়েক সুবেদার শ্রী তাপস কুমার, কোম্পানি কমান্ডার দর্শনা বিজিবি আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ,দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, দামুড়হুদা মডেল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতী মামুনুর রশীদ প্রমূখ।

সভায় বক্তারা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দামুড়হুদা উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে সার্বিক বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য করনীয় শীর্ষক আলোচনা করেন।




যোগব্যায়ামের মাধ্যমে থাকুন ফিট

মানুষের দেহ, মন ও এনার্জি বা শক্তি- এ তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে আমাদের শরীর চলে। এর কোনো একটি যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করবে না। আর ইয়োগা বা যোগব্যায়ামের কাজ হলো শরীর, মন ও আত্মার সমন্বয় ঘটিয়ে শান্তি ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করা।

যোগব্যায়ামের ইংরেজি নাম ইয়োগা, যার সাধারণ অর্থ ইউনিয়ন বা মিলন। সুতরাং শরীর, মন ও আত্মার মিলনে প্রাচীনকাল থেকে এ উপমহাদেশে শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে যোগব্যায়াম বা ইয়োগা।

ইয়োগা কোনও একটি ব্যায়ামের নাম নয়। এটি তিন ধরনের চর্চার সমন্বয়-আসন, প্রাণায়াম ও ধ্যান। ইয়োগার আসনেরও আছে অনেক ধরণ।

যোগব্যায়াম
আজকাল ফিটনেসের ক্ষেত্রে নিয়মিত যোগব্যায়ামকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন আধুনিক ফিজিওথেরাপিস্টরাও। এক্ষেত্রে ফিজিওলোজিস্ট মাইশা মোমতাজ একজন সুস্থ ও ফিটফাট মানুষ হিসেবে বাঁচতে হলে নিয়মিত ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন।

.নিয়মিত ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করলে শরীরে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঠিকভাবে সঞ্চার ঘটে। যার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও সঠিকভাবে বজায় থাকে। অন্যদিকে, এই কারণের জন্য শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা থাকলে তাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসে। অন্যদিকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভাল থাকে।
.যাদের হাঁপানির টান বা শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ধীরে ধীরে তাদের সমস্যাও কমে যায় এবং সচল থাকে।
.নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। যাদের গ্যাস, অম্বলের সমস্যা রয়েছে তাদের ফিট থাকতে যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই। পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করলে শরীরে একাধিক রোগ কমে যায়। পাচনতন্ত্র যত সঠিকভাবে কাজ করবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও তত সহজ হবে। সুতরাং ওজন যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে যোগব্যায়াম অবশ্যই করতে হবে।
.শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম না থাকলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়, যেমন রক্তচাপ কমে যাওয়া, থাইরয়েড ইত্যাদি। অন্যদিকে সোডিয়াম মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে খাদ্যের পাশাপাশি যোগব্যায়াম। যোগব্যায়াম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে হ্রাস পায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। অন্যদিকে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যোগাসন।

যোগব্যায়াম
.ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। এই কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের সব সময় যোগ ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
.যোগ ব্যায়াম করলে যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। লাল রক্তকণিকার পরিমাণ সঠিক থাকার অর্থ হল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকা। এর ফলে অ্যানিমিয়ার মত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু বাড়ে, যোগাসন করলে রক্তে লাল লোহিত কণিকার পরিমাণও বেড়ে যায়।
.বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের নানান জায়গায় ব্যথা দেখা যায়। যোগাসন করলে আর্থারাইটিসের সমস্যা থেকেও মুক্ত পাওয়া যায়। অন্যদিকে, মাইগ্রেনের মত স্নায়ুর সমস্যাকেও প্রতিরোধ করে যোগাসন।
.এছাড়াও ইয়োগার নানা আসন শরীরের বিভিন্ন পেশি ও অঙ্গের শক্তি এবং নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে অসুস্থ শরীর রোগমুক্ত ও সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সুস্থ শরীর আরও তেজ ও সতেজ হয়ে উঠে।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় ফসলের খেতে নবজাতক বাঘডাশা ; উদ্ধার করে বন বিভাগে

আলমডাঙ্গা উপজেলার টেক পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে দুটি বাঘডাশা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের পাঁচলিয়ার মাঠ থেকে এই বাঘডাশা দুটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন চাষি মাঠে যাওয়ার সময় বাঘডাশা সাদৃশ্য ডোরাকাটা দুটি বাচ্চা দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে আরও লোকজন এসে বাচ্চা দুটি উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে দুটি বাচ্চাই তাদের মাকে হারিয়ে ফসলের মাঠের খোলা জায়গায় বের হয়ে আসে।

এদিকে গত কয়েক দিন রাতে পাঁচলিয়া গ্রামে অচেনা প্রাণীর আক্রমণের জখম হয়েছে তিন-চারটি ছাগল। ছাগল মালিকেরা বলেন, ‘রাতে ছাগলের ছটফট শব্দ শুনে দৌড়ে ছাগলের ঘরে পৌঁছাতেই একটি অচেনা প্রাণী পালিয়ে যায়। এ সময় আমার একটি ছাগলের গলায় কামড়ানোর দাগ ও রক্ত দেখা যায়। গ্রামের আরও তিনজনের তিনটি ছাগলের একই অবস্থা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই বাঘডাশার আক্রমণেই ছাগলগুলো জখম হয়েছে।’

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাঘডাশার দুটি বাচ্চা এলাকাবাসীর হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে পাঁচলিয়া গ্রামের একটি জঙ্গলে বাঘডাশা দুটি বাচ্চা ছেড়ে দেওয়া হয়।




মারা গেলেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

মারা গেলেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই সংগীতশিল্পী।

৯০-এর দশকে ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি।

এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন হলো’।

এ ছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ৬০ লিটার চোলাই মদসহ ৩ জন গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬০ লিটার চোলাই মদসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানাযায় গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা রেল বাজার থেকে তাদের ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে রিপন (৩৭) দর্শনা শান্তিপাড়ার টুকু মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া (৪৪) ও ঈশ্বর চন্দ্রপুর গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে রাজিব উদ্দিনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে।

দর্শনা পুলিশ জানায়,দর্শনা রেল বাজারস্থ মনোরঞ্জন মার্কেটের দক্ষিন পাশে মেসার্স লিখন এন্টারপ্রাইজ এর সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর থেকে প্লাস্টিকের ৬ কন্টনেটার ভর্তি বাংলা মদ কেনাবেচা করছে। এ সময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) তারেক হাসান সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ৬০ লিটার চোলাই মদসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।




নারী শুটিংয়ে স্কুলছাত্রীর স্বর্ণপদক জয়

বয়স মাত্র ১৬, পড়েন স্কুলে। তবে এসব যেন ভুলেই গিয়েছিলেন কোরিয়ান তরুণী বান হিউজিন। সাবলীলভাবে লক্ষ্য ঠিক রেখে নিজের বন্দুক থেকে একের পর এক বুলেট ছুড়ছিলেন। শেষ অবদি দেশকে এনে দেন পদকও। যা কি না গ্রীষ্ম অলিম্পিকের কোরিয়ার শততম স্বর্ণ পদক। আর শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে হিউজিন হারিয়েছেন চীনের হুয়াং ইউটিংকে। যার ঝুলিতে কি না ইতিমধ্যে একটি স্বর্ণপদক রয়েছে।

গেল শনিবার ইউটিং ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মিশ্র ইভেন্টে শেং লিহাও-এর সঙ্গে জুটি গড়ে হারিয়েছিল বান হিউজিন এর দেশেকেই। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের লড়াইয়ে বলতে গেলে সেটারই প্রতিশোধ নিয়ে নিলেন হিউজিন। হিউজিন আর ইউটিংয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক বছর। তবে দুজনের লক্ষ্যই দুর্দান্ত। যা দেখা গিয়েছিল গতকালের লড়াইয়ে। এই দুই তরুণীর স্কোরও ছিল সমান সমান ২৫১.৮। পরে শুটঅফে স্বর্ণ পদক জয়ী চূড়ান্ত হয়। যদিও সেখানেও হয়েছিল তুমুল লড়াই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছিলেন না। তবে শেষ অবদি হিউজিনের হাতেই ওঠে স্বর্ণ পদক। আর ইউটিং-এর হাতে ওঠে রূপা।

এছাড়া এ লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের অস্ত্রে গগনিয়াট জেতেন ব্রোঞ্জ। এদিকে যখন হিউজিন বুঝতে পারলেন যে তিনি স্বর্ণ জিতেছেন, তখন তিনি উপরে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে তার রাইফেলটি নামানোর আগে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন। পরে তার কোচকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার সহকর্মী পদকপ্রাপ্তদের সঙ্গে পোজ দেওয়ার সময় চোখের জল মুছছিলেন তখন তিনি আবেগে কাঁপছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। হয়তো তিনি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন নিজের এই অর্জনকে।

পরে তিনি বলেন, ‘এই অল্প বয়সে, যখন আমি আমার পরিবার ছাড়া একা এই গেমসে অংশ নিতে ফ্রান্সে আসি তখন নিজের মধ্যে অনেক চাপ অনুভব করছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পর দেখলাম স্বদেশবাসী আমার জন্য উল্লাস করছে তখন আমার মনে হয়েছে, অবশেষে।’

দুই শট বাকি থাকতেই ১.৩ পয়েন্টের তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যময় লিড থাকার পরও হিউজিনের মনে হয়েছে তিনি স্বর্ণপদক হারিয়েছেন। ততক্ষণে তার একটি শট বাদে সবগুলোই সম্ভাব্য ১০.৯ এর কমপক্ষে ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছিল, তবে তারপরে তিনি ৯.৯ এবং ৯.৬ শট করেছিলেন যাতে ইউটিং ব্যবধানটি কমাতে পারে এবং টাইব্রেকার শ্যুট-অফ যাতে ম্যাচটি যায়। সেখানে হিউজিন ১০.৪ স্কোর করে আর ইউটিং ১০.৩ স্কোর করেন।




গাংনীতে জামার নিতে গিয়ে দর্জির শ্লিলতাহানির চেষ্টা, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

দর্জির শ্লীলতাহানির চেষ্টার অপমান সইতে না পেরে বৃষ্টি খাতুন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃষ্টি খাতুন গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার আসাদুল হকের মেয়ে ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী।

গতকাল সােমবার (২৯ জুলাই) সকালের দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। সেখানেই তার ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃষ্টির বড় চাচা আনারুল ইসলাম জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় পােষাক তৈরী করতে বৃষ্টি প্রতিবেশী দর্জি শরিফুল ইসলামের বাড়িতে যায়। শরিফুল পােষাক তৈরীর মাপ নিতে গিয়ে বৃষ্টির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।  পরে বাড়িতে এসে বৃষ্টি খাতুন বিষয়টি তার দাদি মাজেদা খাতুনকে জানায়। শুনার পর দাদি মাজেদা নাতনীর শ্লীলতাহানির অভিযােগ নিয়ে শরিফুলের কাছে যান। তবে শরিফুল ইসলাম এটি মিথ্যা দাবি করেন।

বৃষ্টি বিষয়টি তার দাদিকে জানানোর পর শরিফুলের বাড়িতে যাওয়ার পরপরই নিজ কক্ষের দরজা লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাজেদা খাতুন শরিফুলের বাড়ি থেকে ফিরে বৃষ্টির কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ পান। প্রতিবেশীদের সহায়তায় কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখেন।

এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন চিকিৎসক। গতকাল সােমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

এদিকে দর্জি শরিফুল ইসলাম নিজের দোষ ঢাকতে উল্টো বৃষ্টিকেই চরিত্রহীন অপবাদ দিয়েছেন। বৃষ্টি এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের সাথে প্রেম করে বেড়াতাে বলে অপবাদ দেন।

এদিকে বৃষ্টির মা সাগরি খাতুন তার মৃত্যুর জন্য দর্জি শরিফুল ইসলামকে দোষারুপ করে তার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, শরিফুলের শ্লিতাহানির চেষ্টার কারনেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

অভিযুক্ত দর্জি শরিফুল ইসলাম জুগিন্দা গ্রামের বাজারপাড়ার সদর আলীর ছেলে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। অভিযােগ পেলে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।