ঝিনাইদহে দুই টাকায় দুপুরের খাবার ইয়াতিম শিশুদের মুখে তৃপ্তির হাঁসি

মাত্র দুই টাকায় দুপুরের খাবার। এখন আর দুই টাকা দিয়ে লজেন্স ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না। ভিখারিকে দিলেও অনেক সময় নিতে চাই না। আর সেই সামান্য দুই টাকার বিনিময়ে ইয়াতিম শিশুদের হাতে দুপুরের খাবার তুলে দিয়েছে ঝিনাইদহের প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে “দুই টাকায় হাসি” এর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। “তৃপ্তির হাসি ফুটুক ইয়াতিম শিশুদের মুখে মুখে” এই শ্লোগানে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানায় এ খাবার বিতরণ করা হয়। প্রতি মাসের নিয়মিত আয়োজনের ৭ম পর্বে মঙ্গলবার ঝিনাইদহে মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানার প্রায় ৪০ জন ইয়াতিম শিশুদের মাত্র ২ টাকায় দুপুরের খাবার সাদা ভাত ও গরুর মাংসের আয়োজন করা হয়। দুই টাকায় দুপুরের খার যা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।

মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানার ছাত্র আজিজ মিয়া মাত্র দুই টাকায় দুপুরের খাবার পেয়ে বললেন, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। দুই টাকায় খাবার পাবো এটা কখনও ভাবিনী।

খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম, দুই টাকায় হাসি পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ ওসমান গনিসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নচারু একাডেমি অব ফাইন আর্টস এর পরিচালক শাহিন চারুদেশ ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।

স্বপ্নচারু একাডেমি অব ফাইন আর্টস এর পরিচালক শাহিন চারুদেশ বলেন, প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর দুই টাকায় হাসি কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করি এবং এই কার্যক্রম শুধুমাত্র ঝিনাইদহে নয় বরং পুরো দেশব্যাপী যেন চলমান থাকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের এই মুখের হাঁসি যেন সদ্য ফোঁটা গোলাপের ন্যায় ফুটে উঠেছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম জানান, অসহায় ইয়াতিম শিশু, শ্রমজীবী ও অসহায়রাও তাদের মতো করে আত্মসম্মান নিয়ে সমাজে বসবাস করছেন। সম্পূর্ণ ফ্রিতে খাবার দেয়া হলে তাদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করা হবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ফ্রিতে না দিয়ে দুই টাকায় তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে। প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের কত টাকা তো এদিক-সেদিক খরচ হয়। আমাদের চারপাশে থাকা ইয়াতিম, শ্রমজীবি ছিন্নমূল পথশিশুদের জন্য কি আমরা এই সামান্য অর্থ ব্যয় করতে পারি না। আমরা মনে করি সমাজের পিচিয়ে পড়া এসব মানুষের সহযোগিতা করার জন্য অঢেল ধনসম্পদের চেয়ে সুন্দর মানসিকতাই বড়। এমন চিন্তা থেকে একদিন বন্ধু-বান্ধবের সাথে টোং দোকানের আড্ডা বাদ দিয়ে সেই টাকা অসহায় ইয়াতিম শিশুদের ও সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফুটানোর প্রতিজ্ঞা করি। তারপর থেকেই আমাদের সংগঠনের পথচলা শুরু করি।




মাছির উপদ্রবে নাজেহাল?

বর্ষার এই সময়ে মাছির ভীষণ উপদ্রব। অসুস্থতা এড়াতে মাছির উৎপাত থেকে বাঁচা ভীষণ জরুরি। কয়েকটি সহজ পরামর্শ অনুসরণ করলেই মাছি সহজে তাড়ানো সম্ভব। রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতাও।

পুদিনা পাতা ও ভিনেগার
রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগাতে পারেন। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি রান্নাঘরে থাকতে পারবে না। রান্নাঘরের কোণগুলিতে নিয়ম করে ভিনিগার স্প্রে করুন। ভিনিগার মাছির যম। এ ছাড়া ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলেও মাছি আপনার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকবে।

দারুচিনির তাজা গন্ধ
দারচিনির তাজা গন্ধেও রান্নাঘর থেকে মাছি দূরে থাকবে। রান্নাঘরের জানলায় দুই টুকরো দারচিনি রাখুন। লবঙ্গের গন্ধও মাছি সহ্য করতে পারে না। লবঙ্গ ছড়িয়ে রেখে দিলে সহজেই মাছি তাড়াতে পারবেন।

ধূপ আছে
বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে কোনো ক্যামিকেল স্প্রে না ব্যবহারই ভালো। মাছি তাড়ানোর সব থেকে ভাল উপায় হল রোজ সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালানো। ধুনোর গন্ধে সব পোকামাকড়ই চম্পট দেয়। আরও ভাল ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিতে পারেন। দেখবেন মাছি আর থাকবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




পাপন কোথায় জানেন না কেউ

বিসিবি সভাপতি ও সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ এখনো মেলেনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পরে আওয়ামী লীগের অনেকের মতো পাপনও গা ঢাকা দিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিসিবির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে বিসিবিতে রদবদলের জন্য অনেকে নেমেছেন আন্দোলনে। কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও কিছু করতে পারছেন না। নিয়ম না মেনে কাজ করলেই আইসিসি থেকে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। তাই উভয় সংকটে পড়েছে বিসিবি, ভূগছে সিদ্ধান্তহীনতায়।

গতকাল গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন পাপনের বিষয়ে বলেছেন, ‘কোনো যোগাযোগ হয়নি উনার সঙ্গে এখনো। জানিও না উনি কোথায় আছেন। সুতরাং বলতে পারব না। যদি যোগাযোগ হয় তাহলে কথা বলতে পারব। কিন্তু এখন যেহেতু পাপন ভাই নেই, যদিও উনি সভাপতি হিসেবে আছেন, এখনো পদত্যাগ যেহেতু করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন উপদেষ্টা হিসেবে, উনিই এখন সিদ্ধান্ত নিবেন, সবকিছু নির্ভর করছে উনার ওপরে। উনি যোগ্য ব্যক্তিকে তুলে নিবেন, সেটা উনিই চিন্তা করবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য অঙ্গনে কারা নেতৃত্ব দেবেন বা কারা সঠিক পথে নিয়ে যাবেন, সেটি উনি চিন্তা করবেন। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা একটি নির্বাচিত বোর্ড, সেই বোর্ডে কী হবে, সেটি সময় বলে দিবে।’

বিসিবিতে রদবদলের বিষয়ে সুজন বলেছেন, ‘উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তবে আমাদের সংবিধান, গঠনতন্ত্র ও আইনের নিয়মকানুন দেখতে হবে, দেখে তাকে একটু জানাতে হবে। তার পরে হয়তো বোর্ড থেকে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।’ আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, কেন করছেন আমি জানি না। তবে হ্যাঁ, একটা পট পরিবর্তন হলে অনেক কিছু হয়। সেটার ধারাবাহিকতায় হয়তো এগুলো হচ্ছে। বিসিবি তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আমি থাকি বা না থাকি সেটা সময় বলে দিবে। আর যারা আসবে তাদেরও স্বাগত জানাই। আমি সারা জীবনের জন্য বিসিবিতে থাকব, এমন নাতো। এটা আমার চাকরি নাতো। বিসিবির দুটি নির্বাচন করেই আমি পরিচালক হয়েছি। এখন যেই আসুক বোর্ড ভালোভাবে চলুক, উন্নয়ন হোক, সেটি আমরা সবাই চাই।’

ভবিষ্যৎ নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমরা অনেকে অনেক কথা বলছি। যা এই মুহূর্তে ঠিক না বলে আমি মনে করি। দেশকে আমরা আগে গড়ার চিন্তা করি। এখন দেশ গড়ার সময়। দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিগুলো ঠিক করার চেষ্টা করি। সবাই সবার জায়গা থেকে চেষ্টা করি। আমার জায়গা রাজনীতি না, ফুটবল না, আমার জায়গা ক্রিকেট। তো সেসব জায়গা থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা অনেক কিছু নিয়ে পড়ে আছি। অনেকে অনেক কিছুর স্বপ্ন দেখছে, দেখতেই পারেন। বোর্ড সভাপতি হবেন, বোর্ড ডিরেক্টর হবেন, সেটা হতেই পারেন। সময় আসলে সবাই সবকিছু হবেন। কিন্তু এখন সেই সময় না। একটা নতুন সরকার আসছে, যেন ভালো কিছু হয় আমরা সেই পথেই যেতে চাই। সবাই সবার পিছে না লেগে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হলে দেশ গড়ার কাজে লাগতে হবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় মাছ লুটপাটের ঘটনা পরিদর্শনে সেনা সদস্যরা

দামুড়হুদা ডুগডুগী কাটান বিলে মাছ লুটপাটের ঘটনায় হারুন শাকিলদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে বিলে বিষ দিয়ে ৫০ বিঘা জলমহালের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪শ মন মাছ লুটপাট করে হারুন শাকিলরা। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুগডুগি কাটান নামক বিল/জলকার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে লীজ গ্রহন করে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০০০ সাল হতে মাছ চাষ করে দেশের আমিষ যোগানে সহযোগিতা করে আসছে। যাহার পরিমান প্রায় ৫০ বিঘার মতো হবে। গত ইং- ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ- মঙ্গলবার, সকাল- ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ হারুন এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর হোসেন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন আমার বিলে বিষ প্রয়োগ করে এবং লোকনাথপুর গ্রামের দরা কসাই এর ছেলে মোঃ নজু সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে ডোরা জাল দিয়া সকাল ১০টা হইতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরিয়া লুট করিয়া লইয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।

বিলের গার্ড সাধন ও আব্দুস সালাম বাঁধা দিলে ওরা তাদেরকে লাঠি দ্বারা মারধর করিয়া জীবন নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বিল হতে চলে যেতে বাধ্য করে। এঘটনা এলাকার শত-শত মানুষ দেখেছে এবং সাক্ষী আছে। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, দৈনিক খাস খবর পত্রিকায় অভিযুক্ত দের নাম দিয়ে খবর ছাপা হয় এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঘটনার পরিদর্শন পূর্বক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপর যদি ওদের কোন রাগ থাকে বা কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আমাকে জানাতে পারতো, কিন্তু কোন কিছু না বলেই তারা আমার গাং এ বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে দিয়েছে। ছোট ছোট চারা মাছ সব শেষ করে দিয়েছে। বড় মাছগুলো সব বেড় জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর সুস্থ বিচার চাই।




মুজিবনগরে বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দম্পতিকে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী (৫০) ও তার স্ত্রী নুরজাহান (৪০) বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে একরাম আলী ও তার ছেলে শাহীন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাইলে মেহেরপুরের আর্মি ক্যাম্পের মাধ্যমে মুজিবনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়।

এ ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামের একরাম আলী তার ছেলে শাহীন আলী ও মেয়ে বিথী খাতুনকে আসামী করে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আহত ইউনুস আলীর বাড়িতে একরামুল আলীর ছাগল চলে যায়। পরে ইউনুস আলী সেই ছাগলকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইউনুস আলী ও তার স্ত্রীকে একরামুল ও তার ছেলে, মেয়ে মিলে হাসুয়া ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ ব্যাপারে একরামুলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ঘটনা ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।




সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক আটক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও শিল্পপতি সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আটক গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট থেকে নিউমার্কেট থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. মাইনুল হাসান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সূত্র: কালবেলা




আইনি জটিলতায় সোহিনী

টালিউড তারকা সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায় একবছর চুটিয়ে প্রেমের পর গত ১৫ জুলাই গাঁটছড়া বেঁধেছেন। এদিকে বিয়ের একমাস না কাটতেই আইনি জটিলতায় জড়ালেন সোহিনী সরকার।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোহিনী-শোভনের বিয়ের পর তাদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তুমুল বির্তকের মুখে পড়েন সোহিনীর প্রক্তন রণজয় বিষ্ণু।

অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা অভিযোগ করে একটি পোস্ট করেছিলেন, রণজয় নাকি তার প্রাক্তন প্রেমিকাদের এটিএম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। আর সে অভিযোগের জেরে তাকে সোহিনী আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এতে নাম জড়িয়েছে রণজয়ের আরেক প্রাক্তন প্রেমিকা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতারও।

জানা যায়, সোহিনী সরকার নাকি আগে রণজয়কে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারপর সায়ন্তনীও একই কাজ করেন। যদিও এই বিষয়ে তারা কেউই মুখ খোলেননি। অভিনেতারও উত্তর এক। তিনিও কিছু জানাতে চাননি।

তার নামে সায়ন্তনী একগুচ্ছ অভিযোগ আনার পরেই রণজয় বলেন, বিগত দিনের বেশ কিছু খবরে আমি এবং আমার পরিবার ব্যথিত ও মর্মাহত। আমরা পরিবার হিসেবে প্রস্তুত ছিলাম না এরকম অনভিপ্রেত কিছু ঘটনার জন্য। যে ঘটনাগুলোতে আমার ও আমার পরিবারের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত। আমার কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত। যে সমস্ত মানুষজন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা ও বক্তব্য পাব্লিক ফোরাম এবং মিডিয়া পোর্টালের কাছে অবতারনা করে বর্তমান সময়ে গুরুত্ব পাওয়ার করুণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা রইল।

রণজয় আরও বলেন, আমি জানি স্যোশাল মিডিয়া বা নিউজ আর্টিকেলে তার প্রত্যুত্তর সম্ভব নয়, কারণ আমার বিরুদ্ধে বলা মিথ্যে কথাগুলো ক্রিমিনাল অফেন্স এবং কথাগুলো যদি সত্যি হয় আমি ক্রাইমের সাথে যুক্ত।

তাই এই সব মিথ্যা কথার উত্তর আমি আইনি পথেই দেব এবং শুধুমাত্র প্রচারের লোভে যারা এই অন্যায় ক্রমাগত করে চলেছেন তাদের যাবতীয় উত্তর আইন দেবে। আমি এবং আমার পরিবারের মর্যাদা যারা শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থ আর ক্ষুদ্র প্রচারের লোভে ক্ষুণ্ণ করলেন তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি।

যদিও রণজয় বলেছিলেন যে তিনি দুই প্রাক্তনকে আইনি নোটিশ পাঠাবেন কিন্তু জানা যাচ্ছে এক সপ্তাহ আগে সোহিনী ও সায়ন্তনীর পাঠানো আইনি নোটিশ পেয়েছেন রণজয়। তারপর থেকে দুই পক্ষের আইনজীবী বিষয়টি দেখছেন। যদিও এই বিষয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাননি তিনজনের কেউই।

এক সময় সোহিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন রণজয় বিঞ্চু। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সম্প্রতি গায়ক শোভন গাঙ্গুলিকে বিয়ে করেন সোহিনী।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ সমাবেশ ও মিছিল

দেশে অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মেহেরপুরে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ১১ টার সময় মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ছাত্র প্লাবণের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এর সহকারী অধ্যক্ষ খন্দকার মুইজ, এএমআইই এর প্রাক্তন ছাত্র তামীম হাসান,  মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কভারতের আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: হাসনাত জামান সৈকত, মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ইমতিয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাইম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র হাবিবুর রহমান, ইউ আই এস টির ছাত্র নাসিম রানা বাধন সহ শত শত ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলটি মেহেরপুর শহরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে এখনো অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। যারাই দেশের বিরুদ্ধে অশান্তির অপচেষ্টা চালাবে তাদেরই প্রতিরোধ করবে এদেশের ছাত্র-জনতা।

মিছিলে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।




শেখ হাসিনার-কাদের ও কামালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন

মুদি দোকানকার মোহাহাম্মদ আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজধানীর একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মো. হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

এছাড়া অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা বা পুলিশের সদস্য ও তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী এস এম আমীর হামজা শাতিল আদাবর এলাকার বাসিন্দা। সচেতন নাগরিক হিসেবে নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে তিনি মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে- সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। অনেক ছাত্র জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত মুদি দোকানকার মোহাহাম্মদ আবু সায়েদের শুভাকাঙ্ক্ষী আমীর হামজা বাদী হয়ে মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




শপথ নিলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

অন্তর্বর্তী সরকারের আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম শপথ নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন।

এর আগে, গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ উপদেষ্টা শপথ নেন। এরপর রোববার (১১ আগস্ট) আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে গত ৮ আগস্ট শপথ নিতে পারেননি। তিনি রোববার (১১ আগস্ট) রাতে দেশে পৌঁছান।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক