৬৪ জেলায় নতুন ডিসি হচ্ছেন যারা

দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হবে জানা গেছে। এরপর নতুন করে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপসচিবসহ বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের মানদণ্ড হবে মেধা, দক্ষতা ও সততা।

ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত পাঁচ কর্মকর্তার সহায়তা নেওয়া হবে। তারা হলেন- বিসিএস ২৪ ব্যাচের নুরজাহান খানম ও নজরুল ইসলাম, ২৫ ব্যাচের নুরুল করিম ভুইয়া ও ফরিদা খানম এবং ২৭ ব্যাচের সারোয়ার আলম।

জানা গেছে, সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে ডিসি হতে ইচ্ছুক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যেই নতুন ডিসি নিয়োগ হবে।

সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।

এ ছাড়াও ৯৮৮ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এতদ্বারা উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১০২৪ এর খারা ১০ম প্রয়োগ করে নিম্নবর্ণিত সব ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদকে উপজেলা পরিষদের স্বত্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থী অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে আসামি মো. মামুনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকার সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অস্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মো. মামুনসহ চারজন অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা প্রদান না করে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র‌্যাবকে অবহিত করে। ঘটনার দুই দিন পর মাহফুজ আলম সজিবের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির ঢাকনা খোলা সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মোঃ আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। আসামি মো. মামুন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মোঃ মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ মামুনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী। মামলায় রায়ে আসামিকে আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।




বলিউডে থিতু হতে পারছেন না প্রজ্ঞা

প্রজ্ঞা জয়সওয়াল একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি মূলত তেলেগু চলচ্চিত্রে কাজ করেন জয়সওয়াল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সাউথ এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার তার বুলিতে।

২০১৪ সালে তামিল ভাষার চলচ্চিত্র ‘বিরাটত্ত’র মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তেলেগু পিরিয়ড ড্রামা কাঞ্চের (২০১৫) মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। ‘টিটু এমবিএ’-এর মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু। তারপর আবার দক্ষিণের সিনেমায় মন দেন।

দীর্ঘ বিরতির পর আবার বলিউডে ২০২৪-এর ১৫ আগস্ট মুক্তি পেল তার কমেডি মুভি ‘খেল খেল মে’। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, বাণি কাপুর, তাপসী পান্নু প্রমুখ। একই সময়ে ‘স্ত্রী-২’ ও ‘ভেদা’ মুক্তি পাওয়ায় ‘খেল খেল মে’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বলা যায় এই অভিনেত্রীর এখন খারাপ সময় যাচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী আছেন সন্দেহে শিবপুরে তল্লাশি, পাওয়া যায়নি তাকে

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন আছেন এমন সন্দেহে মেহেরপুরের শিবপুরে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু এ সময় সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত ৩টায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের কবরস্থান পাড়ার একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা দাবি করেন, সোমবার রাত থেকে ফরহাদ হোসেন সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানতে পারেন তারা।

একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানতে পেরে মেহেরপুর জেলা যুবদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী রাত পৌনে ১টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে বাড়ির ভেতর থেকে বলা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেনাসদস্যরা না এলে গেট খোলা হবে না।

এভাবে এক ঘণ্টারও অধিক সময় পার হয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত হন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মুজিবনগর থানার ওসি। অতঃপর বাড়ির ভেতর থেকে গেটটি খুলে দেওয়া হলে বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। তবে তল্লাশি করে ফরহাদ হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশি অভিযানকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন- মেহেরপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লেয়ার, আব্দুস সালম, মাসুদ, বখতিয়ারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।

উপস্থিত জনগণ বলেন, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সহযোগিতায় ফরহাদ হোসেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর পেয়ে তারা বাড়িটি ঘেরাও করেন এবং পুলিশে খবর দেন।

অভিযান পরিচালনায় স্বচ্ছতার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকে বাড়িটির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং সন্ত্রাস দমন আইনে সদ্য দায়ের একটি মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন শিবপুরের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটকের জন্য বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি অভিযানে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িতে মানুষের উপস্থিতি ছিল এমন আলামত পাওয়া গেছে।




আপডেট: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীসহ ১৬৬ আসামি , কারা হলেন আসামি

মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তাঁর স্ত্রী মোনালিসা হোসেন, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলসহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজামাল, শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বারাদি ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম সাজেদুল, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধন, মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আবদুুল্লাহ বাপ্পি, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুরুল কবির রিপন, স্টেডিয়ামপাড়ার সবুজের ছেলে জয় খান, ওমর আলীর ছেলে মো: দুলাল, গোরস্থানপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে মো: বাবলু, হোটেল বাজারের বিপ্লবের ছেলে মোঃ রাতুল, ঘাটপাড়ার কালুর ছেলে মোঃ অনিক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুকুলের ছেলে মোঃ সুইট, ছাত্রলীগ নেতা আমদহ গ্রামের দরুদ আলীর ছেলে মোঃ কুতুব উদ্দিন, চকশ্যামনগর গ্রামের নিফাজ বিশ^াসের ছেলে শামারুল, খোকনের ছেলে মহিবুল, আব্বাসের ছেলে রাশিম, সরকারি কলেজের দাড়োয়ান নওশাদ বাবলু,দিঘীরপাড়ার হাসেম আলী, হোটেল বাজারের আব্বাস আলীর ছেলে মোঃ আক্কাচ আলী, ভূমি অফিস পাড়ার তুফানের ছেলে মোঃ আলিফ, বোসপাড়ার বাদশার ছেলে মোঃ স্বাধীন, ফুলবাগানপাড়ার জিয়ার ছেলে মোঃ সাজ্জাদ, শিশু বাগানপাড়ার গোমেজের ছেলে মোঃ সম্রাট গোমেজ, উজুলপুর গ্রামের আসাদের ছেলে মোঃ আকাশ, স্টেডিয়াম পাড়ার আলালের ছেলে মোঃ আসিক, টিএণ্ডটি রোডের মান্নানের ছেলে মোঃ শুভ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা, এশিয়ানেট মোড়ের মকলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ বায়েজিদ, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিয়াদ আজিম, নতুন পাড়ার কাদেরের ছেলে মোঃ হৃদয়, তাহের ক্লিনিক পাড়ার আয়ুবের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ, মোঃ মোমিনুল হায়দার মোমিন, জে আর কাউন্টার পাড়ার দুলুর ছেলে ইমরান, যাদবপুর রোডের মৃত পাচু শেখের ছেলে যুবলীগ নেতা সারাফত আলী, টিএণ্ডটি রোডের ছামুর ছেলে মোঃ জাহিদ, তাঁতীপাড়ার মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে শরিফত আলী, শেখ পাড়ার মৃত মাজেদের ছেলে মোঃ নুরু দর্জি, তাঁতীপাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে রায়হান, আব্দুর রশিদের ছেলে নুরুজ্জামান রাজিব, মৃত রেজাউল হকের ছেলে মো: রিপন, আবুল হোসেনের ছেলে মো: হাবিব, জটা শাহের ছেলে শাহাজাহান, মফিজুর রহমানের ছেলে মিজান, বড়বাজারের আনারুল ভাংড়ির ছেলে শাওন, মৃত মাবুদের ছেলে মো: রবিন, মৃত নকিব হেলালীর ছেলে ইমরান হেলালী প্রিন্স, মুখাজীর্পাড়ার মিন্টু খার ছেলে জাহাঙ্গীর, ফুলবাগান পাড়ার উমর আলীর ছেলে শরিফ, সিন্দুর কোটা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রকিবুল, আমঝুপি শেখপাড়ার শরিফ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম সাগর, টিএণ্ডটি পাড়ার ছায়েম বিশ^াসের ছেলে রাহিনুরজামান পোলন (মাস্টার), নতুন পাড়ার মৃত ছামাদের ছেলে আশরাফ, চক্রপাড়ার কাওছারের ছেলে মো: তারিক, মালোপাড়ার বরকত আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হিরন, ভুমি অফিস পাড়ার মৃত বাক্কার চেয়ারম্যানের ছেলে সুইট, নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ বকুল, স্টেডিয়াম পাড়ার রমজান আলীর ছেলে মো: রানা, ভূমি অফিসপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে মো: মিজান, ফতেপুর গ্রামের মৃত জটির ছেলে মিলন, নজরুল স্কুল পাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আবু হুরাইরা, বোসপাড়ার কায়দার ছেলে মোঃ আরিফ, স্টেডিয়ামপাড়ার মৃত মুক্তার আলীর ছেলে মোঃ আনারুল ইসলাম, শেখ পাড়ার নুরুল হুদার ছেলে মো: হেদায়েত, শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদ লতিফ, তাঁতীপাড়ার বাবলুর ছেলে শিশির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মাহফুজুর রহমান পলেন, বামনপাড়ার হযরত আলীর ছেলে মোঃ জুয়েল, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আকতার শেখের ছেলে মো: সেলিম, ঘোষপাড়ার আখের আলীর ছেলে মো: হাসান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের শামিমের ছেলে নয়ন, ঘোষপাড়ার সেকেন্দারের ছেলে মোঃ রাজ্জাক, আসান শেখের ছেলে নেহাল, ভুমি অফিস পাড়ার খবির শেখের রিন্টু রহমান, নতুন পাড়ার মৃত ইসলামের ছেলে শাহীন ইসলাম তানিম, ভূমি অফিস পাড়ার খবির শেখের ছেলে মো: তুফান, লর্ড মার্কেটের ঠিকাদার মোঃ আসলাম খান পিন্টু,নতুন পাড়ার জলিল শেখের ছেলে মো: কাদের, সিরাজের ছেলে মোঃ তানসেন, রফিকুলের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম, ঘোষপাড়ার শ্রী গোপাল, রহমান ঘোড়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম, মিশন স্কুল পাড়ার সোভন খান, পিয়াদাপাড়ার যুবলীগ নেতা ডালিম, জুয়েল রানা, স্টেডিয়ামপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে মুকুল, নতুন পাড়ার জাহানের ছেলে মো: রাজিব, সবুজের ছেলে হৃদয়, ঘোষপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে আতাউর রহমান, কুতুবপুর গ্রামের গফুরের ছেলে রকিব, বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত রহমতুল্লাহের মেয়ে হাসিনা খাতুন, মোজাম্মেলের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওমর ফারুক, রহমতুল্লাহের ছেলে মোঃ চাঁদ আলী,আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড ইব্রাহীম শাহিনের ছেলে তিশান, মেয়ে তিতলী, নতুন পাড়ার ধুলুর ছেলে মামুন, আমদহের ছেলে মৃত বরুহান আলীর ছেলে ফিরোজ আলী, নতুন পাড়ার আনারুলের ছেলে সাকিব, মোমিনের ছেলে আলা, কবি নজরুল সড়কের মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে নাজিরুল ইসলাম, খান পাড়ার মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে জোহানী, নতুন পাড়ার হায়াত আলীর ছেলে সেলিম, জলিল কারির ছেলে মাসুদ, সুরাতের ছেলে শাহীন, দারিয়াপুরের কলিমদ্দিনের ছেলে হুমায়ন কবির, ভূমি অফিস পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবু, বোসপাড়ার বাহাদুর ড্রাইভারের ছেলে বাধন খান, ভুমি অফিস পাড়ার বাবলার ছেলে মাহফুজ, বুড়িপোতার রসিদুলের ছেলে রাশেদ খান, বাজিতপুর ক্যাম্পপাড়ার অদ্ভুতের ছেলে বাসারুল, হালদারপাড়ার সেলিমের ছেলে রবিন, শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ফাহাদ, কুদ্দুসের ছেলে রুস্তুম, আমদহের আসিফ মীর, শাহজীপাড়ার হবির ছেলে রানা, কাশ্যবপাড়ার মিথেন, ঝাউবাড়িয়ার সৌরভ, দিঘীরপাড়ার আতিয়ার, মোঃ শিশির, ঘোষপাড়ার মোঃ বাদশা, কুলবাড়িয়ার মোঃ জুয়েল, মণ্ডল পাড়ার ছাত্রলীগ নেতা আবু মোরশেদ শোভন, উজুলপুরের মোঃ আকাশ, গোলামের ছেলে মোঃ বাঁধন, গাংনীর সেলিম, যুবলীগ নেতা সাজু, সিন্দুর কোটার মোঃ ইসমাইল হোসেন, হালাদার পাড়ার জাফর আলীর ছেলে মোঃ অনিক, ভুমি অফিস পাড়ার বাবলুর ছেলে মোঃ সোহাগ, বোসপাড়ার বাদশার ছেলে মোঃ স্বাধীন, কুতুবপুরের রকির স্ত্রী মোছাঃ রুমা খাতুন, পুরাতন পোস্টঅফিস পাড়ার লিখন, বোসপাড়ার মতি, আশকারের ছেলে হাসান, বেড়পাড়ার কাশেম কমাণ্ডারের ছেলে চুন্নি, পান্না, শেখপাড়ার মৃত কাকুর ছেলে সুমন, থানাপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে মোঃ সেলিম, বলিয়ারপুরের বিল্লালের ছেলে মোঃ আনারুল, বেড়পাড়ার হোমিও চিকিৎ ইমদাদুম হক জীবন, কাশেম ডাক্তারের ছেলে জুয়েল, পিরোজপুরের আজাহারের ছেলে লালন, রবজেল মাস্টারের ছেলে সেলিম, মৃত মল্লিকের ছেলে মোঃ ডাবলু, রবজেল ধামার ছেলে বাবলু ধামা, মৃত কুদ্দুস মণ্ডলের ছেলে ই¯্রাফিল, মৃত খলিল বিশ^াসের ছেলে মোঃ সানি, আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ আতিয়ার, আজগারের ছেলে গাজী, মৃত কৃদ্দুস মেম্বারের ছেলে মোঃ ওদুদ।

মামলার বাদির আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, ১৬৬ জনের নামে একটি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় প্রথমে ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়েছে এমন গুঞ্জন শোনা যায় এবং তার একটি খসড়া এজাহারও মেহেরপুর প্রতিদিনে পৌছায়। কিন্তু পরবর্তিতে ১৬৬ জনকে আসামি করা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন আইনজীবীর সাথে কথা বলা হলেও তারা পরিস্কার কিছু বলতে চাননি। মেহেরপুর প্রতিদিন তার অনুসন্ধানী টিম কাজে লাগিয়ে মামলার এজাহার সংগ্রহ করে। যেখানে ১৬৬ জন আসামির নাম উল্লেখ রয়েছে। যার মামলা নম্বর ০১/২০২৪, তারিখ ১৯/০৮/২০২৪ ইং।

মামলার বাদি হাসনাত জামান বলেন, আদালতে এজাহার জমা দিয়েছি। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানিনা।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জন—সাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজামায়েত ও দাবীর পক্ষের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বক্তব্য পেশ করা অবস্থায় আসামীগণসহ অজ্ঞাত আরো ১০০ জন সহ অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভিতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং আসামীদের হামলায় এদিক—সেদিক ছোটাছুটি করাকালীন আসামীরা ছাত্র ও উপস্থিত জনতাকে খুন—জখমের হুমিক প্রদান করে। আসামীগণের প্রকাশ্য হুকুমে অন্যান্য আসামীগণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। ২য় ঘটনাস্থলে শহরের ভূমি অফিস মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজামায়েত ও দাবীর পক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জন—সাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। আসামীরা অজ্ঞাত শতাধিক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্রসহ ভয়ভিতি, খুন, জখম করিবার উদ্দেশ্যে মটরসাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে উপস্থিত হয়।




কুষ্টিয়ায় হানিফের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এক কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মাহবুব উল আলম হানিফের পাশাপাশি তাঁর চাচাতো ভাই সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, সহসভাপতি কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. অনুপ নন্দী, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আবদুল্লাহ নামের এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ২০ জনকে।
গত রবিবার রাতে হওয়া হত্যা মামলায় মোট ৭৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে।

নিহত ইউসুফ শেখের (৬৬) মেয়ে মোছা. সীমা বাদী হয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

ইউসুফ শেখ কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার মৃত এদাত আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন। ৫ আগস্ট বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইউসুফ শেখ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের নূর টেইলার্স গলির ভেতরে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরা তাঁকে দেখে ধাওয়া করেন। এরপর হানিফ ও তাঁর চাচাতো ভাই আতাউর রহমানের নির্দেশে আসামিরা তাঁকে গুলি করেন। অন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




আলমডাঙ্গায় দু’দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ স্কুলছাত্র লাবিবের

আলমডাঙ্গা উপজেলার জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র আহমেদ আব্দুল্লাহ লাবিব (১৪)। গত রবিবার নিখোঁজের দিন সকালে তার মায়ের নিকট টাকা নিয়ে পারকুলা বাজারে নাস্তা করতে যায়। সে আর ফিরে আসেনি। ইতিমধ্যে সব আত্মীয়- স্বজনের বাড়ি খোঁজ করা শেষ, কিন্তু হদিস মেলেনি লাবিবের। তারা দুই ভায়ের মধ্যে লাবিব ছোট।

গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সে। ছোট ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মুদি দোকান ব্যবসায়ী বাবা মো: জান্নাত আলী আর গহিণী মা কহিনুর খাতুন। তাঁর ছেলে কি সত্যি নিখোঁজ আছে নাকি কোনো অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন এই দম্পতি।

এ নিয়ে পরের দিন সোমবার লাবিবের বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ আরেকদিন খোঁজাখুঁজির পর জিডি করার পরামর্শ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মুদি দোকানী জান্নাত আলীর ছোট ছেলে লাবিব। সে স্থানীয় জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। গত রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়া নিয়ে তার মায়ের সাথে মনোমালিন্য হয়। পরে বাড়ির পাশে প্রাইভেট শেষে তার মায়ের নিকট থেকে টাকা নিয়ে পারকুলা বাজারে নাস্তা করতে যায়। পরে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটতম সকল আত্নীয়-স্বজনের

বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি করেছে। লাবিবের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। গায়ের রঙ শ্যামলা। বাড়ি থেকে যাবার সময় জিন্সের প্যান্ট ও কালো রঙের টি-শার্ট পড়েছিল। এরপর থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে শিশুটি। ছেলেটির কোন সংবাদ পেয়ে থাকলে ০১৭৪৬-৯২৬৯৪৫, ০১৭৯৩-৪১৯২৬২ এ নাম্বারে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।




শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে দর্শনার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে দর্শনার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পেরে অনেক আনন্দিত। শিক্ষকরাও কর্মে যোগদান করায় আগের রুপে ফিরতে শুরু করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।

শিক্ষার্থীরা জানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আমরা পড়াশোনায় কিছুটা পিছিয়ে পরেছি। আমাদের সিলেবাস কভার করবো কিভাবে চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। সেই সাথে বাসায় বসে থাকতে থাকতে আমাদের বিরক্ত লাগছিল। বন্ধুদের সাথে দেখা করা ও খেলাধুলা ইত্যাদি সবকিছু থেকেই বঞ্চিত ছিলাম। আবার সামনে আমাদের এস,এসসি পরিক্ষা। গত রবিবার থেকে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়েছে।

এতে করে আমরা অনেক আনন্দিত তেমনি আমাদের সামনে যে পরিক্ষা আছে সেটার প্রস্তুতি নিতে পারবো। কোন অসুবিধা হলে আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে সব রকম পরামর্শ নিতে পারবো। এ বিষয়ে শিক্ষকরা জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ মাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা পিছিয়ে পরেছে। আমরা শিক্ষকরা চেষ্টা করব ছাত্র-ছাত্রীদের সকল বিষয়ে সহযোগিতা করার।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে ক্লাস গুলোতে। আমরাও নিয়মিত ক্লাস নিতে পেরে আনন্দিত।




কোটচাঁদপুরে কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে জামায়াতে মতবিনিময়

সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটেলারদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসারে কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আজিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম, বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার এস এম নাজমুল সাকিব শাহীন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, মঈন উদ্দিন খান প্রমুখ।

সে সময় রিটেলারদের সাথে কৃষি কাজে ব্যাবহারিত সকল সারের সঠিক মুল্য নির্ধারণ সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অতিথিরা। এ সময় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালা।

চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে। এরমধ্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও দাবি তোলে অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান করতে নির্দেশনা দেন।

এরই পেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটারের মান সম্পন্ন নয়, সিজারিয়ানে একই ডাক্তার এনেসথেসিয়া দেয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।

এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসী নামে এক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে। অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।