ঝিনাইদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে জেলা জামায়াতের মতবিনিময়

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও হামলা আতংক দূর করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা জামায়াত। গতকাল শনিবার রাতে শহরের শ্রী শ্রী বড় মাঠ কালি মন্দিরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যপক আলী আযম, সেক্রেটারি মো: আব্দুল আওয়াল, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আব্দুল আলীম, শহর আমীর হারুন আর রশিদ সিনিয়র এডভোকেট আব্দুর রশিদ, এডভোকেট ইসমাইল হোসেন, শিবির সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। প্রয়োজনে মন্দির বা বাসা-বাড়ি পাহারা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে। সনাতন ধর্মাবলম্বী যেকারো সাথে অন্যায় করা হলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

আলোচনা সভা শেষে গত ১৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় পঙ্গুত্ববরণকারী রিক্সাচালক কান্ত দাশের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেন তারা।




পুলিশ সদস্যদের চার দিনের আল্টিমেটাম

পুলিশের যেসব সদস্য এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি তাদের আগামী বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশে পুলিশ ফিরে না এলে কী অবস্থা হতে পারে তা আপনারা জানেন। একটু আগে ব্যাংকের মধ্যে মারামারি দেখলাম। মনে হচ্ছে, যার মতো যা পারে দখল করতে করছে। আমি প্রথমেই বলতে চাই, যারা এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি তাদের ফেরার সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে যোগদান না করলে আমরা ধরে নেব, আপনারা চাকরি করতে ইচ্ছুক নন। এ বিষয়ে পুলিশের আইজিপি, র‍্যাবের ডিজি এবং ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার স্থানে চলে যাবেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আপনারা ডিউটিতে থাকবেন। কারও গায়ে অহেতুক কেউ হাত দিবেন না। বিচারের প্রক্রিয়াটা করব আমরা। কিন্তু বিচার বিভাগ তাদের বিচার করবে। বড় বা ছোট যারা দোষী হবেন তাদের পানিশমেন্ট দেওয়া হবে। কাউকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা যাবে না।

জনগণের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আপনারা পুলিশের গায়ে হাত উঠাবেন না। আপনারা নিজেরাই সাফার করছেন। রাতে আমার কাছে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে বলে ফোন আসে। আমি বলি, আল্লাহ আল্লাহ করো। ডাকাতি হলে পুলিশ না থাকলে কী করবে?

তিনি আরও বলেন, পুলিশের আহতদের আমি এইমাত্র দেখে এসেছি। আমাদের যতদূর করা দরকার তা আমরা করব। আপনারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে জয়েন করেন। এটা প্রথম প্রায়োরিটি। একটু আগে দেখলাম আনসারের একটা অংশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। তাদের কিন্তু দাবি দাওয়া আছে। সবার দাবি দাওয়া আছে। আমারও দাবি দাওয়া আছে। আমার দাবি দাওয়া হচ্ছে আপনারা ফিরে যান আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে যতটুকু করা দরকার ইমিডিয়েটলি করব। আমি কোনো রাজনৈতিক লোক না। আমি যা বলব তাই করব।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে ৫ দফা দাবীসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন

সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়, সুরক্ষা কমিটি গঠন, সংসদীয় আসন বরাদ্দসহ ৫ দফা দাবী আদায় ও নিরাপত্তার দাবীতে ঝিনাইদহের মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

আজ রোববার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মধুগঞ্জ বাজারে কালীগঞ্জ সনাতনী সম্প্রদায়ের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে কালীগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি তিথি রানী ভদ্র, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত খা, কালীগঞ্জ সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিশীথ বরণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক অমিলন্দন বিশ্বাস সাধনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, তাদের দাবী মেনে নেওয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়ে সকলের নিরাপত্তার দাবীও জানান।




হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে হামলা ভাংচুর ও বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দেলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরধরে প্রশাসনিক সংকটকালীন সময়ে বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপরে হামলা বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৫ আগস্ট থেকে প্রতিদিন এই ঘটনা অব্যাহত আছে। ভোক্তভোগীদের তথ্যমতে গত ৯ আগস্ট কুলবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন (৬০) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করলো একই গ্রামের বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম রফি। কামাল হোসেন গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে আকস্মিক ভাবে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। কামাল হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানা গেছে। আহত অবস্থায় তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তিকরে। আহত কামাল কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলী মন্ডলের ছেলে।

আহত কামাল হোসেন জানান, কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত জের আলী মন্ডলের ছেলে ও সাবেক বিএনপি নেতা মৃত মসলেম মন্ডলের ছোট ভাই রফি মন্ডল আমাকে কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালানো অবস্থায় মাজায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে ফেলে দেয়।এরপর বাম হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাথারি মারতে থাকে এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয় লোকজন আমার পরিবারকে খবর দিলে আমার ছেলে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।

এদিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নজীর বীরের ছেলে বীর বছিরের বাড়ীতে পুরাতন বিরোধের জের ধরে জামায়াত কর্মী এনায়েতুল্লার নেতৃত্বে একদল জামায়াত কর্মী হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানান বীর বছিরের সাথে এনায়েতুল্লার পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জের ধরে এনায়েতুল্লা বছিরের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে তখন বীর বছির রাগান্বিত হয়ে তার উপরে তেড়ে আসে এবং মারধর করার চেষ্টা করে এসময় এনায়েতুল্লাহ তার কর্মী সমর্থক নিয়ে বছিরের বাড়িতে হামলা চালাই এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে তবে বছিরকে হাতে না পাওয়ায় তার প্রাণে রক্ষা হয়। বছির আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা যায়। এব্যাপারে উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেও থানায় কর্মবিরতি থাকার কারনে তা পারেননি।

এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপি’র উৎশৃঙ্খ কিছু কর্মী-সমর্থকদের হামলার ভয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গা ঢাকা দিয়েছে।

এছাড়া গত ৫ আগস্ট উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামে দুইটি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীরা। দুর্বৃত্তরা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে এ্যাড. সালমা ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী রবিউল ইসলামের বাড়িতে। এব্যাপারে তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। এ্যাড, সালমা জানান আমার কারও সাথে কোন শত্রুতা নেয় আমার দোষ আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী। সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাট করেছে এবং আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেখানে ভাই ও বৃদ্ধা মা থাকেন। এছাড়া চাদপুর ইউনিয়নের বেড় বিনি, শেখপাড়া বিন্নিসহ বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে।

এ ব্যাপারে জামায়াত বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী সমাজে শান্তি বজায় রাখতে চাই। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা জানান, যদি পুরাতন কোন দেনা পাওনা থাকে সেটা আইনের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেননা। কারও গায়ে হাত দেবেন না এর দায় ভার দল নিবে না, দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হবে বলে জানান।




গভর্নরের দায়িত্বে নূরুন নাহার

রোববার (১১ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিসের সই করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগজনিত কারণে ১১ আগস্ট থেকে নতুন গভর্নরের যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার গভর্নরের দৈনিক ডাক দেখবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবেন।

২০২৩ সালের ২ জুলাই ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব নেন নূরুন নাহার। ডেপুটি গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন এবং ২০১৯ সালে নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।

সূত্র: ইত্তেফাক




শপথ নিলেন আরো দুই উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আরও দুজন শপথ নিয়েছেন। রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শপথ নেওয়া দুজন হলেন বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ জন উপদেষ্টা শপথ নিলেন।

নতুন এই সরকারের শপথ নেওয়ার বাকি ছিলেন তিনজন। এদের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিলেও ফারুক-ই-আজম এখনো শপথ নেননি।

প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন। সে সময় ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

সূত্র: কালবেলা




ইংলিশদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেন কার্সলি

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। এরপর থেকে গুঞ্জন শুরু হয় কার হাতে উঠবে ইংলিশদের দায়িত্ব। গুঞ্জন ছিল জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ দিতে চাচ্ছেন ইংল্যান্ডের দায়িত্ব। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন সাবেক লিভারপুলের এই কোচ।

তবে এবার আর গুঞ্জন নয়, নিজেদের কোচ নিয়ে গতকাল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেই বিবৃতি বলা হয়, কোচ না পাওয়া পর্যন্ত ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন লি কার্সলি। ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলে কার্সলি খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। মূলত আগামী মাসে শুরু হবে উয়েফা নেশন্স লিগ। এই টুর্নামেন্টের জন্যই কার্সলির হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের ৭ তারিখে নেশন্স লিগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা।

এর আগে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২০ ও ২১ ফুটবল দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কার্সলি। আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪০টি ম্যাচ। ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব এভারটনের হয়ে খেলেছেন তিনি। একাধিক ক্লাবের হয়ে সর্বমোট খেলেছেন ৪৭২ ম্যাচ। ম্যানেজার ছিলেন ব্রেন্টফোর্ডের। এছাড়া কভেন্ট্রি সিটি ও বার্মিংহাম সিটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন কার্সলি।
সূত্র ইত্তেফাক




প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ

বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।

আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দেন।

এর আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও ৫ বিচারপতি।

সূত্র: কালেবলা




‘স্বাধীন ফিল্ম মেকিংয়ে সেন্সর বোর্ড বড় অন্তরায়’

‘মহানগর বানানোর সময় ভেবেচিন্তে বানাতে হয়েছে। স্বাধীনতা ছিল না বলে অনেক ইস্যু দেখাতে পারিনি। জনগণ চায় মহানগরের একটার পর একটা সিরিজ আসতে থাকুক। তাদের এই চাওয়াটাকে আমি রেসপেক্ট করি। ১৯ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে যখন ফিল্ম মেকিং করতে ঢাকা আসি, তখন ভাবিনি যে আমার একটি সিরিজ বা চরিত্র কিংবা সিনেমার জন্য মানুষ এত আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। এটা আমার জন্য যেমন আশীর্বাদ, তেমন চাপের। আমি সারাজীবন মানুষের আশীর্বাদের চাপে থাকতে চাই।’

সদ্য বিদায়ী সরকারের সময় নির্মাণ স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। এদিকে কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে নিয়ে একটি সিরিজ নির্মাণ করছেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারণে পেছাতে হয়েছে শুটিং। এছাড়া বাধাহীনভাবে মহানগরের নতুন সিজন শুরু করা নিয়েও পরিকল্পনা করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে নিপুন বলেন, ‘হইচইয়ের জন্য জিম্মি নির্মাণের কাজ করছি। জয়া আহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে এটি কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে শুটিং পিছিয়েছে। না হলে এ মাসেই শুরু হতো। এছাড়া সিরিজ, সিনেমা একটার পর একটা করার জন্য লাইনআপে আছে। এগুলোর পাশাপাশি প্রতিকূল সময়ে মহানগর বানিয়েছিলাম। মানুষের প্রত্যাশা, অনুকূল সময়ে যেন আরো সাহস করে মহানগরের নতুন সিজন বানাতে পারি, সেই বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। এমনকি সরকার পতনের পর দেশে বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র নির্মাতারা নতুন বাংলাদেশে নতুন করে সব শুরু করতে পারবেন। পাশাপাশি বিগত সরকারের সময় সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা সিনেমাগুলোও আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করছেন তিনি।

আশফাক নিপুন বলেন, ‘শনিবার বিকেল, কাঠগোলাপ, নমুনা, অমীমাংসিত, বাইসাইকেল, মর থেংগারি, মেকআপ সিনেমাগুলো সেন্সরে আটকে আছে। আমরা সবাই জানি, আমাদের প্রাক ঐতিহাসিক সেন্সর বোর্ড আছে। যারা চাইলেই যেকোনো সিনেমা আটকে দিতে পারে। অনেক সিনেমা কাটছাঁট করে ছাড়া হয়। স্বাধীন ফিল্ম মেকিংয়ে এই সেন্সর বোর্ড সবচেয়ে বড় অন্তরায়। এমনটা না থাকলে আরো কয়েকডজন সিনেমা নির্মিত হতো। নতুন স্বাধীনতা অর্জনে আমি আশা করব, সেন্সর বোর্ড প্রথা উঠে সেন্সর সার্টিফিকেশন চালু হবে। যেখানে গ্রেডিং দিয়ে বলা থাকবে কোন সিনেমা কোন বয়সের দর্শকের উপযোগী।

সূত্র: ই্ত্তেফাক




দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দর্শনা পৌর শাখার উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহার সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দর্শনায় সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে তাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেওয়া হয়। মতবিনিময় জামায়াত নেতৃবৃন্দ্ব জানান- ৫ তারিখের ক্লান্তিলগ্নে জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা সারা রাত জেগে দর্শনা পুরাতন বাজারস্থ সংখ্যালঘু পল্লীতে যেন কোন দূর্বৃত্তরা হামলা করতে না পারে সে জন্য পাহারা দিয়েছে। তারা ইতি মধ্যেই হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ্বের সাথে বসে তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে।

সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাদের, দর্শনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারী মাহাবুবুর রহমান টুকু, পৌর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাবেক কমিশনার সাহিকুল আলম অপু, আমজাদ হোসেন, মাসুমবিল্লাহ, তানজীল হোসেন প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা তাদের আন্তবিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।