‘মহানগর বানানোর সময় ভেবেচিন্তে বানাতে হয়েছে। স্বাধীনতা ছিল না বলে অনেক ইস্যু দেখাতে পারিনি। জনগণ চায় মহানগরের একটার পর একটা সিরিজ আসতে থাকুক। তাদের এই চাওয়াটাকে আমি রেসপেক্ট করি। ১৯ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে যখন ফিল্ম মেকিং করতে ঢাকা আসি, তখন ভাবিনি যে আমার একটি সিরিজ বা চরিত্র কিংবা সিনেমার জন্য মানুষ এত আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। এটা আমার জন্য যেমন আশীর্বাদ, তেমন চাপের। আমি সারাজীবন মানুষের আশীর্বাদের চাপে থাকতে চাই।’
সদ্য বিদায়ী সরকারের সময় নির্মাণ স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। এদিকে কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে নিয়ে একটি সিরিজ নির্মাণ করছেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারণে পেছাতে হয়েছে শুটিং। এছাড়া বাধাহীনভাবে মহানগরের নতুন সিজন শুরু করা নিয়েও পরিকল্পনা করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে নিপুন বলেন, ‘হইচইয়ের জন্য জিম্মি নির্মাণের কাজ করছি। জয়া আহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে এটি কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে শুটিং পিছিয়েছে। না হলে এ মাসেই শুরু হতো। এছাড়া সিরিজ, সিনেমা একটার পর একটা করার জন্য লাইনআপে আছে। এগুলোর পাশাপাশি প্রতিকূল সময়ে মহানগর বানিয়েছিলাম। মানুষের প্রত্যাশা, অনুকূল সময়ে যেন আরো সাহস করে মহানগরের নতুন সিজন বানাতে পারি, সেই বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। এমনকি সরকার পতনের পর দেশে বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র নির্মাতারা নতুন বাংলাদেশে নতুন করে সব শুরু করতে পারবেন। পাশাপাশি বিগত সরকারের সময় সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা সিনেমাগুলোও আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করছেন তিনি।
আশফাক নিপুন বলেন, ‘শনিবার বিকেল, কাঠগোলাপ, নমুনা, অমীমাংসিত, বাইসাইকেল, মর থেংগারি, মেকআপ সিনেমাগুলো সেন্সরে আটকে আছে। আমরা সবাই জানি, আমাদের প্রাক ঐতিহাসিক সেন্সর বোর্ড আছে। যারা চাইলেই যেকোনো সিনেমা আটকে দিতে পারে। অনেক সিনেমা কাটছাঁট করে ছাড়া হয়। স্বাধীন ফিল্ম মেকিংয়ে এই সেন্সর বোর্ড সবচেয়ে বড় অন্তরায়। এমনটা না থাকলে আরো কয়েকডজন সিনেমা নির্মিত হতো। নতুন স্বাধীনতা অর্জনে আমি আশা করব, সেন্সর বোর্ড প্রথা উঠে সেন্সর সার্টিফিকেশন চালু হবে। যেখানে গ্রেডিং দিয়ে বলা থাকবে কোন সিনেমা কোন বয়সের দর্শকের উপযোগী।
সূত্র: ই্ত্তেফাক