মেহেরপুরে দুটি দোকানে অভিযান ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুর শহরে একটি বেকারি ও একটি ফলভান্ডারে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (১৯শে আগস্ট) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ শহরের বড়বাজার এলাকায় এই অভিযান চালান। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, মিষ্টির মুল্য তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা, মোড়কীকরণ বিধি যথাযথভাবে না মানা, লাইসেন্স না নিয়েও বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করাসহ নানা অপরাধে মেসার্স জোসনা বেকারীর মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৪ ধারায় ২০ হাজার টাকা এবং পুর্বে সতর্ক করা স্বত্তেও ফ্রিজে প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ চকলেট সংরক্ষণ করে বিক্রয়, মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য বিক্রয় ও ফলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে একই আইনের ৩৮ ও ৫১ ধারায় মেসার্স আসিফ ফল ভান্ডার নামক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: মোমিনুল হক, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।




ঝিনাইদহে বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাংচুর সাবেক ৩ এমপিসহ ৪৬৮ জনের নামে মামলা

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে আজ সোমবার সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি’র জেলা কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ ঘটনায় জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। মামলায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, সদর পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানসহ সর্বমোট ৪৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা নং- ১৬, তারিখ: ১৯ আগস্ট, ২০২৪।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো শাহীন উদ্দিন জানান, জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা বিএনপির এক নেতা।




ঝিনাইদহে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গালো ছাত্র-জনতা

বিপ্লবের আদর্শকে তারুণ্যের রূদয়ে ছড়ানো ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ শহরে “টিম-দুর্বার” নামের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উদ্দ্যোগে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোরে শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে পায়রা চত্বর হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো কর্মসুচি পালন করা হয়। শহরের বিভিন্ন সড়কের বিদুৎ লাইটিং এর পোলে লাল রঙের ফেস্টুন টাঙ্গানো শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

“টিম-দুর্বার” এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজিদ মাহমুদ, এইচ এম জহুরুল ইসলাম, ওসমান গনি, সিদ্দিকুর রহমান, ইসহাক আলী, মনিরুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, শরিফ খান, তুহিন মোল্লা, শাহেদ মাহমুদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সাজিদ মাহমুদ বলেন, কোনো অফিসে যদি সরকারি ফি এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, তাহলে নিজে প্রতিবাদ করুন। না হলে আমাদেরকে জানান। ছাত্র সমাজ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সবাই সহযোগিতা না করলে, দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে না। আমরা কাউকে ঘুষ দিবো না। কারোর পকেটে মোটা করতে আমরা টাকা দিবো না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে অবস্থান করতে হবে। সমাজ থেকে চাঁদাবাজি ও দূর্নীতি দূর করবো। শান্তি সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।




কারা পেলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলায় প্রশাসকের দায়িত্ব

মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে জেলা পরিষদের প্রশাসক, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক (ডিডি এলজি) কে মেহেরপুর পৌর সভার প্রশাসক , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)কে গাংনী পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার এতদ্বারা ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর ধারা-৮২ক প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সকল (পার্বত্য ৩টি জেলা ব্যতীত) জেলা পরিষদগুলোতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ করলো।

আটটি বিভাগীয় জেলায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের (সার্বিক) জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৩ জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া মেহেরপুরের তিন উপজেলার স্ব স্ব ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দীদের মুক্তির দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন, বিক্ষাভ ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যর ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। তারা বিভিন্ন দাবী লেখা প্লকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এসব প্লকার্ড লেখা ছিল, ‘খালাস পেয়েও ১৬ বছর মুক্তি মেলেনি’, ‘৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার নির্দেশ দাতাদের বিচার চাই’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্য এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনকেই নিখোঁজ রয়েছেন। ১৮ হাজার বিডিআর সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদের ও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরী ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান তারা।

মানববন্ধন উপস্তিত ছিলন, মোজাম্মল হক, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ, দিদার আলী, মিজানুর রহমান, বকুল আহম্মদ প্রমুখ।




কর্মক্ষেত্রে জেন-জি’রা যেমন

নব্বই দশকের শেষভাগ থেকে ২০১০ এর দশকের প্রথম দিকের যারা তাদের বলা হয় জেনারেশন জেড বা জেন-জি। এই প্রজন্মের তরুণদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। এর আগের প্রজন্ম অর্থাৎ মিলেনিয়ালদের মধ্যে পূর্বসূরিদের কিছু প্রথাগত বৈশিষ্ট্য রয়েই গেছে। কিন্তু মিলেনিয়াল আর জেন জির মধ্যে বৈশিষ্ট্যে তো মিল নেই-ই, বরং ব্যবধান অনেক বেশি।

কর্মক্ষেত্রগুলোয় ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে এই প্রজন্মের তরুণরা, সময়ের সঙ্গে যে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। জেন-জির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এখন থেকেই তাই কর্মক্ষেত্রগুলোর উচিত এই প্রজন্ম সম্পর্কে জানাশোনা বাড়ানো, তাদের বোঝার চেষ্টা করা। জেনজিকে কর্মক্ষেত্রে স্বাগত জানানোর এই চর্চাটিকেই গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

টেক-স্যাভি বা দারুণ প্রযুক্তি-বান্ধব:
সবচেয়ে প্রযুক্তি-বান্ধব প্রজন্ম হিসেবে তারা খুব সহজেই বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং এই দক্ষতা খুব সহজেই কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে।

কাজের ধরণ:
জেন-জি যেন কঠোর নিয়মানুবর্তিতার উল্টোদিকে হাঁটে। বরং তাদের পছন্দ তুলনামূলক নমনীয়-সহনীয় কাজের পরিবেশ। তারা এমন পদ্ধতিতে কাজ করতে ভালোবাসে যেখানে তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা যায় এবং তারা যেন তাদের সেরাটা সেখানে দিতে পারে।

কাজের পরিবেশ যেমন হবে:
জেন-জির তরুণরা কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পছন্দ করে। সে কারণেই দৈনন্দিন রুটিনে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। তারা চায় কাজের পরিবেশ হবে নমনীয়। তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত যাতে না করে। জীবন সম্পর্কে শিথিল দৃষ্টিভঙ্গি দেখে হতবাক হলে হবে না। জেন-জির তরুণরা অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং যেখানেই থাকুক না কেন তারা সেখানে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি করে নিতে সবসময় প্রস্তুত। পাশাপাশি তারা সবসময় নতুন কিছু শিখতে চায়, দক্ষতা বাড়াতে চায়, এমন সুযোগ চায় যেখানে তারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

যোগাযোগ বাড়াতে:
প্রথাগত যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ইমেইল বা টেলিফোনের চেয়ে জেন-জির পছন্দ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপসহ ডিজিটাল যোগাযোগের অন্যান্য পদ্ধতি। এটাও প্রযুক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। স্ল্যাক, মাইক্রোসফট টিমস ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে খুব সহজেই তারা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারে।

ব্যবধান কমাবেন যেভাবে:
জীবন সম্পর্কে জেন-জির যে অনন্য ধারণা আছে, তা হয়তো কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। পরিবর্তন করতে গেলে কিছু বাধা আসবেই, আবার কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখেও তাদের পড়তে হতে পারে। জেনজির সঙ্গে যোগাযোগের দূরত্ব পূরণে কর্মক্ষেত্রেই সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, এমন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে উদার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জেন-জিকে নির্বিঘ্নে মিশে যাওয়ার সুযোগ দিতে হলে সেখানে অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে উদার হতে হবে, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে যেকোনো বয়সের মানুষের কাজকে মূল্যায়ন করা হবে, যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে হবে, কাজের প্রশংসা করতে হবে।

দলগত কাজ করার প্রক্রিয়া:
বিভিন্ন টিম-বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি বা দলগতভাবে করা যায় এমন কাজের ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে বয়স্ক ও তরুণরা একসঙ্গে মিলে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন। এজন্য কর্মশালা বা কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের আয়োজন করা যেতে পারে। এর ফলে কেবল যে তাদের প্রজন্মের বাইরে গিয়ে দলগত কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে তা-ই নয়, বরং স্টেরিওটাইপ বা কারও সম্পর্কে কাঠামোবদ্ধ ধারণা ভেঙে দেবে এবং সহানুভূতি তৈরি করবে। কর্মক্ষেত্রগুলো যত বিকশিত হবে, যত গতিশীল হয়ে উঠবে, প্রতিষ্ঠানকে তত বেশি পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে শিখতে হবে। যদি ইতিহাস থেকে আমরা কিছু শিখে থাকি, তাহলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই উন্নয়নের জন্য জেন-জির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ হলো জেন-জি, তাই আমাদের এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন তারা কাজের ক্ষেত্রে যথাযথ সুবিধা পায় এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সাম্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা স্বৈরাচারী ফ্যাস্টিট হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দামুড়হুদা উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। আগামীতে সার্বিক বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য করনীয় শীর্ষক আলোচনা করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মেজর খান সজিবুল ইসলাম পিপিএম,পিএসসি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও: আজিজুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নায়েব আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ হেলনা আক্তার নিপা, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক হিমেল রানা , দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, দর্শনা থানা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সাবেক উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার রেজাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, আব্দুল হাই, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক শামসুজোহা পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সদস্য সচিব তানজির ফয়সাল, দর্শনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক পিপুল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি উত্তম রঞ্জন দেবনাথ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিতু আহসান, তানভীর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইনস্ট্রাক্টর রোকনুজ্জামান, উপজেলা তথ্য অফিসার সানজিদা আফরিন, আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ সাজিদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজস্ব কর্মকর্তা দর্শনা জাহিদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ, দামুড়হুদা ডিএস মাদ্রসার সুপার মোজাফফর হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান রতন, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতী মামুনুর রশীদ প্রমূখ।




‘অমীমাংসিত’ আসছে: রাফী

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বেশ কয়েটি সিনেমার সঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’ও আটকে দেওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে। এবার বিগত সরকারের পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটি মুক্তির দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ভাবনায় ফের ‘অমীমাংসিত’র মুক্তি নিয়ে ভাবছেন রাফী নিজেও।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘অমীমাংসিত’র প্রচারণামূলক একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাফী। যেখানে শহীদুল আলম সাচ্চুকে দেখা যায়।

পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে নির্মাতা লিখেছেন, জনগণকে আর বোকা ভাবা যাবে না! অমীমাংসিত আসছে…আসতেই হবে।’ এরপরেই ওয়েব ফিল্মটির মুক্তি নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চায় মেতে উঠেছেন রাফী ভক্তরা।

‘অমীমাংসিত’ মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে নির্মাতা বলেন, শিগগির ‘অমীমাংসিত’আবার সেন্সরে দেব। আমরা সবাই চাই, দ্রুত সিরিজটি রিলিজ হোক। যেহেতু আইনগতভাবে আটকে রাখা হয়েছে, আমরা আইনগতভাবে সমাধান করব। আশা করছি, দ্রুত সবকিছু সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও ওটিটিতে সেন্সরের নিয়ম নেই। তবুও আমাদের সেন্সর করতে বলা হয়েছিল। আমরা সেন্সর করেও ফেলেছিলাম।

পরে হঠাৎ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, আমরা ‘অমীমাংসিত’ দর্শকদের দেখাতে পারব না। আমরা পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করতে যাচ্ছি। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চাইব, ‘অমীমাংসিত’যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে গুঞ্জন রয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির খুনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘অমীমাংসিত’।

বিষয়টি নিয়ে রাফী বলেন, একটি কাল্পনিক কাহিনি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি এবং সেই কেসটি ‘অমীমাংসিত’। বাংলাদেশে এমন অনেক কেস আটকে আছে। এখন গল্প যদি বাস্তবের সঙ্গে কিছুটা মিলে গেলেই তা দেখানো যাবে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




পদত্যাগ করলেন জালাল ইউনুস

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে ছিলেন তিনি।

এছাড়াও আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকেও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে এনএসসি থেকে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি।

অন্যদিকে এনএসসির কাছে নিজেই পদত্যাগ পত্র জমান দেন জালাল ইউনুস। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর ২০২১ সালে ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান হিসেবে আকরাম খান পদত্যাগ করলে দায়িত্ব পান জালাল ইউনুস।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরসহ ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপসারণ

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা. আব্দুস সালামসহ ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেও পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের আইন সংশোধনের আলাদা আলাদা অধ্যাদেশ গত শনিবার জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।