মেহেরপুরের তিনটিসহ ৪৯৫ উপজেলা চেয়ারম্যান অপসারণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুসহ ৪৯৫ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভার মেয়র ও ৬০ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।




মেহেরপুর ও গাংনীসহ ৩২৩ পৌর মেয়র অপসারণ

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলীসহ দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এসকল মেয়রগণ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।




মুজিবনগরে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিতাড়িত করে পরিষদ কার্যালয়ে তালা

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজকে বিতাড়িত করেছে এলাকাবাসী,ও তার মেয়াদের নির্যাতিত কয়েকজন মেম্বার।

আজ রবিবার সকালে, সরজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ের পর মোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর, আজ রবিবার, সকালে চেয়ারম্যান তার অফিস কার্যালয়ে আসেন। পরে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, সহ ৮ নং ৯ নং ৭ নং ৬ নং ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বাররা ইউনিয়ন চত্বরে জড়ো হয়ে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে বিতাড়িত করে, পরিষদ কার্যালয়ে তালা মেরে দেয়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন চেয়ারম্যান মফিজ, সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, স্বজন প্রীতি ও মাদক সেবনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে রেখেছিল তাই আমরা তাকে বিতাড়িত করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন আমি গত দুইবার জনগণের ভোটে মেম্বার হয়ে জনগণের কোন উপকার করতে পারেনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন আমি বিএনপি করার কারণে ওই চেয়ারম্যান আমাকে কোন কাজ বা উন্নয়নমূলক কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি এবং পরিষদে আসতেও বাধাগ্রস্থ করেছে, তাই আমি এলাকাবাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পালু বলেন চেয়ারম্যান মাদক সেবনকারী, তাই আমার গ্রামের মাদক সেবীদের সাথে আতাত করে আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছে, তাই আমিও এলাকাবাসীর পক্ষে।

১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, চেয়ারম্যান আমার বন্ধু এটা আমি বলি, কিন্তু ওই মফিজ আমাকে তো কোন ধরনের কাজ দেয়নি ও পরন্ত তার মাদক সেবী বাহিনী দিয়ে আমার উপরে হামলা করে ও মারাত্মক আহত করে। আমি কোন বিচার পাইনি, অবিলম্বে তার অপসারণ চাই।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মফিজুরের আস্থাভাজন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ডালিম বলেন আমি তেমন কিছু জানি না, বোর্ডে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন চেয়ারম্যান কে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পরিষদে আসতে নিষেধ করে এবং পরিষদ চত্বরে তালা মেরে দেয়।

ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিবেন না।

এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে অবগত নয় এবং আমাকে কেউ জানায়নি, তবে আমি জানতে পারলে অবশ্যই আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।




দর্শনা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দু’ আওয়ামীলীগ নেতা আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট বিহীন অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় দু’আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করেছে বিজিবি।

এ সময় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে একটি ল্যাপটপ, অসংখ্য সীল, দলীয় প্যাড, সার্টিফিকেট উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, আজ রবিবার (১৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা আন্তর্জাতিক জয়নগর চেকপোস্ট সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল এই দু’জন। এ সময় বিজিবির টহলদলের নজরদারিতে এ দুজন ধরা পড়ে।

আটককৃত দুজন রাজশাহী বাগমারা থানার খাজুরা গ্রামের মনির হকের ছেলে ফজলুলু হক (৩৭) ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার কাজিহাটা গ্রামের আশরাফুল আহমেদের ছেলে বুলবুল আহমেদ (৪০)। এরা আওয়ামী প্রজন্ম লীগের নেতা।

এদেরকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হবে বলে বিজিবি জানায়। তবে এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরা দুজন অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল বিজিবি তাদেরকে আটক করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করেছে।




ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ ছাড়লেন ডিসি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। এছাড়া ঝিনাইদহ ছেড়ে যেতে বাধ্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এস আই ফরিদ।

আজ রবিবার সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ৩দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছাড়লেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। একই সময়ে সরিয়ে দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদ কে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীযকরণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের তোপের মুখে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ৩দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়ে যান। এরপর ছাত্ররা ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে তারা সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানান। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদেরকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান। আশ্বাস পেয়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দ সেখান থেকে ফিরে আসেন।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু, সাকিব আল হাসান, আব্দুস সালামসহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর কাথুলী ইউপিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল দশটার সময় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা।

এ সময় ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য জিনারুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল আলম, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হোসাইন, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আজমাইন হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য কাদের আলী, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আনারুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফরিদা বেগম, জোছনা আরা, আরিফা খাতুন ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ সহ এলাকার সেবা প্রত্যাশী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এলাকায় শান্তির শৃঙ্খলা রক্ষা, এলাকার উন্নয়ন, জনগণের সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।




এক মাস পর খুললো মেহেরপুরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে মেহেরপুর সহ দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা গত ৭ আগষ্ট খুলে থাকলেও উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নিরাপত্তার স্বার্থে অনেকেই সন্তানকে স্কুলে পাঠাননি। অবশেষে আজ রোববার মেহেরপুর সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরো দমে খুলেছে।

সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মেহেরপুরে স্কুল ও কলেজের নিরাপত্তায় আরো কড়াকড়ি করেছে প্রতিষ্ঠান গুলো। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ছাড়া কাউকেই ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

গত ১৫ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাঃ রহিমা আক্তারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার (১৮ আগস্ট) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। একই দিন রাতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।




ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামালের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামালের পদত্যাগের দাবিতে ইউনিয়নবাসীর অবস্থান কর্মসূচি করে ।

আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০ টার সময় বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবৈধ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ জামালের পদত্যাগের দাবীতে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বাসী এ অবস্থান কর্মসূচির পালন করে।

এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে এস এম সাইদুল রাজ্জাক টোটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল সামাদ, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক  বকুল মাস্টার,  মেহেরপুর সদর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হোসেন, যুবদলের সদস্য সচিব জিয়ারুল রহমান, যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, যুবদলের প্রচার সম্পাদক রাশেদুল শরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নীহার নবি প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন শরিফুল ইসলাম।




ফোনে আড়িপাতা সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্তির দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নাগরিকের মুঠোফোনে আড়িপাতা, ডিভাইস নজরদারিতে রাখা, ফেসবুক-মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইভার, ইমো ও স্কাইপিতে এমন কি ওয়েবসাইট ব্লক ও ই-মেইলে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত টেলি যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ সংস্থার কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থি। সংবিধানের ৪৩ (খ) অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালে বিতর্কিত বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে এ সংস্থাটি গঠন করা হয়।

তিনি আরও জানান, মূলত নজরদারিতে রাখার জন্য নাগরিকের যোগাযোগে আড়িপাতা এবং সে সঙ্গে ফোনকল ফোনালাপ রেকর্ড, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন অ্যাপে আড়িপাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজই করেনি এ সংস্থাটি। এ সংস্থাটি মোবাইল অপারেটরদেরও বিভিন্ন ধরনের মেসেজ গ্রাহকদের মাঝে প্রদান করতে বাধ্য করত। ফোনালাপ রেকর্ড এমনকি ভিডিও কলিং রেকর্ড করে অনেক সম্ভ্রান্ত নাগরিককে হেনস্তা করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিক্যাল মাউন্টেন ডাটা ইন্টার সেপ্টর, বিকেল মাউন্টেন মোবাইল ইন্টার সেপ্টরের মতো ভয়ানক যন্ত্র ব্যবহার করে আসছিল এ সংস্থাটি। এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন বিতর্কিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাই ওয়্যার ক্রয় করা হয়েছিল বলে দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং তদন্ত চেয়েছিলাম । যদিও সরকার এ বিষয়ে বক্তব্য বলেছিল, এ ধরনের যন্ত্রপাতি ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়নি।

তিনি দাবি করেন, পেগাসাস স্পাইবার অ্যাপটি গ্রাহকের কাছে ম্যালুয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হতো সংস্থার পক্ষ থেকে। অনেক গ্রাহক না বুঝেই ইন্সটল করলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের ব্যবহৃত ডিভাইসটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে চলে আসত। এভাবে নাগরিকদের সব কার্যক্রমের তথ্য হাতিয়ে নিত এ বিতর্কিত সংস্থাটি। এছাড়াও তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং সংবিধান পরিপন্থি। সে সঙ্গে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই দেশ, জাতি এবং সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এ ধরনের সংস্থা বিলুপ্তি সময়ের দাবি এবং আবশ্যক। তাছাড়া এ সংস্থার অবৈধ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।

এ সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ও সুরক্ষার স্বার্থে নাগরিকদের পক্ষ থেকে এনটিএমসির বিলুপ্তির জন্য শিগগিরই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দু-একদিনের মধ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সূত্র: কালবেলা




ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পাতানো নির্বাচনের অবৈধ ফলাফলের ফসল বারাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিনের পদত্যাগ ও প্রশাসক নিয়োগের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র জনতা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সকালে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বারাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন এর পদত্যাগ ও প্রশাসক নিয়োগের দাবীতে ইউনিয়নয়ের ষোল গ্রামের ছাত্র জনতা এ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান অবৈধ হাসিনা সরকারের অনির্বাচিত অবৈধ ফসল। অবিলম্বে আমরা তার পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি সেই সাথে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার জনপ্রতিনিধি দেখতে চায়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরজুল্লাহ রহমান বাবলু মাষ্টার, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহঃ সভাপতি মাহফুজুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজন, আলমগীর কবির, জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদ লিপন মোল্লা, থানা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বার, ইউ পি সদস্য কামরুজ্জামান মুকুল, আফারুল ইসলাম ডাবলু, সংগ্রাম, লিটন প্রমুখ।