৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি। এতে ৩ হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাছাড়া নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ২০১ জনকে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদসমূহ প্রতিযোগিতামূলক ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর মাধ্যমে পূরণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করা হলো। আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, সাধারণ ক্যাডারসমূহে ৬২৭টি, প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারসমূহে ১ হাজার ৮৮৩টি, সাধারণ শিক্ষায় ৯২৯টি, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সমূহের জন্য ০৯টি, সরকারি মাদ্রাসায়ে আলিয়ার জন্য ২৭টি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের জন্য ১২টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

তবে ক্যাডারভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্যে। এই ক্যাডার সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ২০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১৫, পুলিশ ১০০, আনসারে ০৮, নিরীক্ষা ও হিসাবে ২৩, করে ১০৪, শুল্ক ও আবগারিতে ৫০, সমবায় ০৪, রেলওয়েতে ০৪, তথ্যে ৪৩, ডাকে ১৩, পরিবার পরিকল্পনায় ৬২, এবং খাদ্যে ০১টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ, সময় ও নির্দেশনা যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে জানানো হবে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে দুই ঘণ্টায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে।

এই বিসিএসের আবেদন ফি ৭০০ টাকা। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা।

এই বিসিএসে আবেদনের জন্য ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সব ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

৪৭তম বিসিএসের বিস্তারিত তথ্য দেখতে এখানে ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে যুবশক্তি-জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বা সম্পদ হচ্ছে যুবশক্তি। আমরা যদি এই যুব শক্তিকে সত্যিকার অর্থে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের বাংলাদেশ বির্নিমাণ করা অসম্ভব নয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুষ্টিয়ায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি প্রশাসক নই। আমি আপনাদের ভাই। প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাকে আপনাদের শত্রু ভাববেন না। আমি আপনাদের সেবক হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।

জেলা প্রশাসনের এনডিসি তাফসিরুল হক মুনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, যশোর সেনা নিবাসের রওশন আরা রেজিমেন্টের সিও লেঃ কর্নেল মাহবুবুল আলম শিকদার, ৪৭বিজিবি অধিনায়ক মাহবুব মোর্শেদ, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আকুল উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, আন্দোলনে আহত রাকিবুল হাসান রিংকু, শরিফুল ইসলাম, আন্দোলনে নিহত মো: সবুজের স্ত্রী রেশমা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো: আব্দুস সামাদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেক বিতরণ করা হয়।




ডিভোর্স-চর্চা তুঙ্গে ‘বচ্চন’ উপাধি ছেঁটে দিলেন ঐশ্বরিয়া রাই

বলিউডের তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে গত একবছর থেকে সরগরম স্যোশাল মিডিয়া। এ জুটির সাংসারিক নানা ঘটনা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোন না খবর সামনে আসে।

যদিও এত গুঞ্জন রটলেও, অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে ঘি ঢালল নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও। যা দেখে নিন্দুকরা নিশ্চিত, অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স হচ্ছেই!

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

দুবাই উইমেন ইস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পিছনে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে শুধুমাত্র ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটি।

বরাবরই অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটাকে না দেখে, আবার উঠছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ।

এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রোল করেছিল, তারা আজ কোণায় বসে কাঁদছে’। অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা ঐশ্বরিয়া নিজেই।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি এখনও ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়েরও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে’!

উক্ত অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একটি সিলভার কাজ করা নীল গাউনে দেখা গেছে। তার গ্ল্যমারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল স্মোকি আই। খোলা চুলে সফট কার্লে মোহনীয় লাগছিল এই অভিনেত্রীকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কারাতের বেল্ট পরীক্ষায় ব্ল্যাক বেল্ট অর্জণ করল ঝিনাইদহের দুই প্রতিযোগী

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের আয়োজনে বেল্ট পরীক্ষায় ঝিনাইদহের তাহমিদা আহম্মেদ আবরার এবং মিত্তাহুল জান্নাত ব্ল্যাক বেল্ট অর্জণ করেছে।

গতকাল রাতে এই ফলাফল হাতে পেয়েছে তারা। গত ২২ নভেম্বর ঢাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ স্টেডিয়ামে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় সারাদেশের ১৪৪জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহন করে। প্রশিক্ষক কাজী আলী আহম্মেদ লিকুর নেতৃত্বে ঝিনাইদহের সোতোকান কারাতে দো’র দুই জন প্রশিক্ষণার্থী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ব্ল্যাকবেল্ট অর্জণ করেছে। তাদের এই সফলতায় ঝিনাইদহের ক্রীড়ামোদিদের মাঝে উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে এবং কারাতের সাথে জড়িত প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ বিষয়ে সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক ও প্রশিক্ষক কাজী আলী আহম্মেদ লিকু বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝিনাইদহের অনকে সুনাম বয়ে নিয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন আমাদের এখানে কোন আধুনিক কারাতে মেট বা জিমনেশিয়াম না থাকায় আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছি। একটি কারাতে মেট হলে এবং সরকারী পিষ্টপোষকতা পেলে আমরা আরও ভাল করার আশারাখি।




সহজ ম্যাচ হেরে হতাশ রংপুরের অধিনায়ক

গ্লোবাল সুপার লিগে উড়ন্ত শুরু পেতে পারতো রংপুর রাইডার্স। ম্যাচ ছিলে একাবারে হাতের নাগালে। জয়ের জন্য দরকার ২৫ বলে ১৭ রান। তখনও হাতে ছিল ৬ উইকেট। এমন সহজ ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে গিয়ে হ্যাম্পশায়ারের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এমন সহজ ম্যাচ হেরে তাই বেশ হতাশ রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

ম্যাচ শেষে রংপুরের অধিনায়ক বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। টুর্নামেন্ট ভালোভাবে শুরু করার খুব দারুণ সুযোগ ছিল। এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। কিন্তু আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করলাম।’

রংপুরের পক্ষে ২৩ রান খরচায় নেন ৫টি উইকেট নেন ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেল। এ প্রসঙ্গে সোহান আরও বলেন, ‘সে (জ্যাক চ্যাপেল) সত্যিই খুব ভালো বোলিং করেছে। আমার মনে হয় সে আমাদেরকে ছন্দটা ধরিয়ে দিয়েছিল। প্রথম দশ ওভারের পর আমরা বেশ ভালো অবস্থায় ছিলাম। পনেরো ওভার পর আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম। এরপর আমরা এটা মিস করেছি। আমার মনে হয় রান আউট দুইটির কারণে আমাদের ম্যাচ হারতে হয়েছে।’

গায়ানার উইকেটের আচরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘উইকেটটা একটু ট্রিকি ছিল। তাই ব্যাটসম্যানদের উইকেটের দিকে ফোকাস করার প্রয়োজন ছিল। বল মাঝে-মাঝে নিচু হয়ে আসছিল। কিন্তু ব্যাটে খুব ভালোভাবে আসছিল।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে চার বছরের শিশু ধর্ষণ মামলা বৃদ্ধর যাবজ্জীবন জেল

মেহেরপুরের মুজিবনগরে চার বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে তছলেম উদ্দিন (৫৯) নামের এক বৃদ্ধর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ, ও নারী ও শিশু নিযার্তন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিত তছলেম উদ্দিন মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের মৃত বিলাত মিস্ত্রির ছেলে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ আগষ্ট দুপুরে প্রতিবেশী চার বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই দিন রাতে ওই শিশু কন্যার মা বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা তছলেম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন, ভিকটিমের জবানবন্দী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ পযার্লোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ, ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মামলার রায় ঘোষনার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

আর মামলায় বাদি পক্ষের আইনজিবী ছিলেন অ্যাড. রোকেয়া ও আসামি পক্ষের আইনজিবী ছিলেন একেএম আসাদুল আলম।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আলগামন চালক নিহত

নির্মাণাধীন রাস্তার ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লেগে স্যালোইঞ্জিন চালিত আলগামন সড়কের উপর উল্টে চালক আব্দুল আজিজ (৪০) নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান চেরাগীপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল আজিজ মুজিবনগর উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে। সে আলগামন চালিয়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানায় নেওয়া হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি বানী ইসরাইল বলেন, সকাল ৮ টার দিকে নিহত আব্দুল আজিজ আলগামন চালিয়ে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। বামন্দী বাজারের আদুরে ছাতিয়ান চেরাগীপাড়া নামক স্থানে নির্মাণাধীন রাস্তার ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে বামন্দী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক হোসেন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, আলগামন চালক আব্দুল আজিজ মোল্লা টাইলস নিতে কুষ্টিয়াতে যাচ্ছিলেন।

বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা পরিদর্শক রুবেল রানা বলেন, “রোড ডিভাইডারের সাথে স্যালো ইঞ্জিন চালিত আলগামনের ধাক্কা লেগে চালক আব্দুল আজিজ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

http://


গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফারুক হোসেন বলেন, “আব্দুল আজিজ মোল্লাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।”

স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় ও অবহেলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যত্রতত্রভাবে নির্মাণ কাজ করছেন। ধারাবাহিকভাবে রাস্তার কাজ না করে মাঝে মধ্যে উচুঁ নিচু করে রেখেছেন। যে কারনে, যানবাহন সঠিকভাবে চলতে পারেনা। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর যত্রতত্র ফেলে রাখায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি, বামন্দীর আদুরে ফাঁয়ার সার্ভিস অফিসের কাছেই বালির স্তুপের সাথে ধাক্কা খেয়ে একজন ও গাংনী পল্লী বিদ্যুতের সামনে রাস্তার পাথরের স্তুপে ধাক্কা খেয়ে এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

এছাড়া গাংনী বাজারে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ রাখায় দূর্ভোগে পড়ছে পথচারী। সড়ক বিভাগের নিজস্ব জায়গা ফেলে রেখে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জেলা পরিষদের জায়গা দখল নিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান গাংনী বাজারের প্রধান বাসস্ট্যান্ডের নিকট প্রায় ২০০ ফিট রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক বিভাগের এসডিই মিজানুর রহমান এর আগে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলামের প্ররোচনায় গাংনী উপজেলার তেরাইল বাজারে বিএনপি নেতা আজগর আলীর নিজস্ব জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেছিল।

তেরাইল বাজারে নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রেখে জনদুর্ভোগ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে ওই বিএনপি নেতা আদালতে মামলা দেওয়ার পর দখলদারিত্ব থেকে সরে আসেন তিনি। পরে সেখানে রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ করেন।




তিন বছরেও শেষ হয়নি ভবন কাজ, লাপাত্তা ঠিকাদার

সময় সীমা তিন বছর পার হলেও শেষ হয়নি ভবন নির্মানের অনেক কাজ। ভবন হস্তান্তর না পেয়ে পুরাতন ভবনে গাদাগাদি করে ক্লাশ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে দাবী শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের। এদিকে নির্মান কাজের অনেক বাকী থাকলেও , অতিরিক্ত ৩২ লাখ টাকা তুলে নিয়ে লাপাত্তা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে এসবের দায় নিচ্ছেন না শিক্ষা প্রোকৌলী বিভাগ। এমন তথ্য পাওয়া গেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার করমদি দারুসুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার বহুতল ভবন কাজে।

২০২১ সালে কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। হস্তান্তর হয়নি মাদ্রাসা ভবন। এক প্রকার বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ও মেঝেতে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সার্বিক সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তবে এসবের দায় নিতে চান না বর্তমান জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী।

প্রাপ্ত তথ্য মতে. ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মাদ্রাসা উন্নয়ন প্রকল্পে আওতায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি দারুসুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় ৪ তালা বহুতল ভবনের কাজ পায় কুষ্টিয়ার আনিসুর রহমান নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৭৫ ভাগ। তার বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫ হাজার টাকার। কাজ শেষ না করার পরও ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও কাজ শেষ হওয়ার আগেই পিজি (পার্সোনাল গ্যারান্টেড) থাকা প্রায় ১৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করতে সহযোগিতা করেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুত্তাকিন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় পর্যাপ্ত বিল্ডিং না থাকায় শিক্ষার্থীরা মান্দার মেঝে ও পরিত্যক্ত বিল্ডিং গুলোতে ক্লাস করছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বিল্ডিং না থাকাই শিক্ষা কার্যক্রম ও বিভিন্ন ব্যবহারিক ক্লাস থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এক রুমেই অনেকজন গাদাগাদি করে আবার কখনও কখনও খোলা আকাশের নিচে ও মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হয়। সঠিকভাবে লেখাপড়ার পরিবেশ না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান তারা। শিক্ষার্থীদের দাবী, নব নির্মিত ভবনের কাজ শেষ করে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর জানান, পরিত্যাক্ত বিল্ডিং এর শিক্ষা পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় ঝড় বৃষ্টির সম্মুখক্ষণ হতে হয়। অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক ক্লাসসহ অন্যান্য ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংয়ের কাজ দ্রুতই শেষ করে হস্তান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে বলতে চাইলে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, কত টাকা বিল কিভাবে দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাজ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তথ্য দেওয়া বাকিটা নির্বাহী প্রকৌশলী জানেন বলে জানান সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুস্তাকিন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লোকজন দুই থেকে তিনটি কাজ নেওয়ার ফলে এই বিল্ডিং এ কাজ করতে পারেননি। নিজের কিছুটা দায় গাফেলতি স্বীকার করে সংবাদটি প্রচার না করার অনুরোধ জানান সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেল, যোগদানের পর থেকে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কি কারণে অতিরিক্ত ৩২ লাখ টাকা বিল দিয়েছেন বিষয়টি আমার জানা নেই। এ দায়ভার আমি নিতে চাই না বলে জানান বর্তমান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।




দামুড়হুদায় জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমীরের শপথ অনুষ্ঠান

দামুড়হুদায় জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত আমীরের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ বুধবার বিকাল ৩টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজ রুমে শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ২০২৫-২০২৬ বছরে কর্ম পরিষদ সদস্য ও সূরা সদস্য সহ নতুন কমিটির সবাইকে সংগঠনের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ রুহুল আমীন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনের অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। স্বৈরাচারের দোসররা এখনো আছে। সেগুলোকে একটু পরিবর্তন করা গেলেও গোটা প্রশাসনের নিচের লেবেলে যারা আছে তারা এখনো ঠিকমত কাজ করছেনা। এক জেলায় দূর্নীতি করে আবার নতুন জেলায় গিয়ে নতুন আঙ্গিকে দুর্নীতি করছে। আমরা এর অবসান চাই। কারন আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমরা আর এদেশকে বর্গীদের হাতে তুলে দিতে চাইনা। আজকের শপথ অনুষ্ঠানে যারা শপথ গ্রহণ করলেন, যারা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দুই বছরের কমিটি এই সময়ের মধ্যে যদি আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হবে।

জামায়াতে ইসলামীর দামুড়হুদা উপজেলা শাখার আমীর নায়েব আলীর সভাপতিত্বে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এ্যাড. মোঃ আসাদুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত কমিটির আমীর মোঃ নায়েব আলী, নায়েবী আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর, সেক্রেটারী মোঃ আবেদৌলা, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ আবুল বাশার, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম জিয়া।




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে বিনামূল্যে মৎস্য উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনীতে বেসরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির অধীনে সদস্যেদের মাঝে অফ ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাস মাছের পোনাসহ চাষের উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে সংগঠিত সমিতির ২৫ জন সদস্যের মাঝে সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাতের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উত্তম ব্যবস্থাপনায় অফ- ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাস মাছ চাষ প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উক্ত উপকরণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির সহকারি পরিচালক ( প্রশিক্ষণ) মোহাঃ সাইফুল ইসলাম, বামুন্দি শাখা ব্যবস্থাপক মোহাঃ মনিরুল ইসলাম , পিএসকেএসের মৎস্য কর্মকর্তা মোহাঃ ইকরামুল হাসান ও সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো: খালেদ কবির।