কোটচাঁদপুরে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু

মটর সাইকেল দূর্ঘটনার ১২ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে মারা গেলেন ফারুক হোসেন (৬৫) নামের এক কাঠ সমিতি মিলের ম্যানেজার। তিনি কোটচাঁদপুর গাবতলা পাড়ার মৃত ডাক্তার ইউসুফ আলীর ছেলে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃতের ছেলে ফরিদ হোসেন বলেন, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আমার পিতা তাঁর কর্মস্থল সমিতির কাঠ মিলের অফিস থেকে বাড়ি আসছিলেন। এ সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে মটর সাইকেলের ধা্ক্কায় পড়ে যান। এতে করে গুরুতর আহত হন তিনি।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার কোন পরিবর্তন না দেখে রাতেই ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকাল ৭ টা দিকে ওনি মারা যান।
ফারুক হোসেন (৬৫) ছিলেন ৭ সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুর কাঠ সমিতি মিলের ম্যানেজার। ওখানেই তিনি তাঁর জীবনের ২৬ বছর পার করেছেন।

এ দিকে ফারুক হোসেনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছেন পরিবারটিতে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাড়িতে অসংখ্য গুনাগ্রহীরা ভিত জমাতে থাকেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি থানায়। অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বৃষ্টি

বর্ষাকালে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি যখন ঝরে,
টাপুরটুপুর বৃষ্টির ধ্বনি
হৃদয় হরণ করে।

বৃষ্টি দেহে আনে স্বস্তি
উষ্ণতা করে দূর,
মুষলধারার বৃষ্টির জলে
ভিজতে লাগে মধুর।

বৃষ্টির জলে ভরা নদী
ইশারায় যে ডাকে,
মাছের ঝাঁকের খেলা দেখতে
বসে তারই বাঁকে।

সাদা-হলদে কদম ফুলে
সদা ছড়ায় শোভা,
বৃষ্টির ফাঁকে দেয় যে উঁকি
দিবাকরের প্রভা।

জুঁই কামিনী কেয়া ফুলে
সুবাস ছড়ায় বনে,
রিমঝিম বৃষ্টি দেখতে মজা
বসে ঘরের কোণে।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গাজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গাজা ও নগদ অর্থ সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে শৈলকুপা পুলিশ। গতকাল রবিবার( ১৫ জুলাই) মধ্য রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত শৈলকুপা উপজেলায় উমেদপুর ইউনিয়ন গাড়াগঞ্জ এর গারাখোলা গ্রামের মৃত মান্নান শেখ এর ছেলে মুক্তর হোসেন ( ৫০)।

শৈলকূপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান মুক্তার দীর্ঘদিন ধরে গাড়াগঞ্জ , গাড়াখোলা, চন্ডিপুর, মধুপুর,সহ বিভিন্ন এলাকায় গাঁজার ব্যবসা করে আসছিল। তার জের ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মধ্য রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয় এই সময় মুক্তরের বাড়ি থেকে তল্লাসি চালিয়ে (৫২৫) গ্রাম গাজা ও নগদ এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার ( ১,১৪১০০) টাকা উদ্ধার করা হয়। তনি আরো বলেন এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।




কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এআই প্রস্তুতি সূচকে ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম। ডিজিটাল অবকাঠামো, মানবপুঁজি ও শ্রমবাজার নীতি, উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক একীকরণ, নিয়ন্ত্রণ ও নীতি- এই চারটি ভিত্তির ওপর সূচক তৈরি করা হয়েছে। এই সূচকে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া। আর কেনিয়া, রুয়ান্ডা, ঘানা, সেনেগালের মতো আফ্রিকার দেশগুলোও এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। এআইয়ের প্রস্তুতির সূচকে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর।

এই সূচক প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এটা আসলে এআই ব্যবহারের অবস্থা নয়, প্রস্তুতির সূচক। এটা করা হয়েছে যাতে দেশগুলো তাদের পলিসি ও প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখানে অবকাঠামো, দক্ষ মানবসম্পদ, শ্রম আইন – এইসব বিষয় তারা বিবেচনায় নিয়েছে। তাতে স্পষ্ট- এআইর জন্য যে মানবসম্পদ দরকার, সেদিকে আমাদের উদ্যোগ তেমন নেই।

আইএমএফ বলছে, এআই উৎপাদনশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আয় বাড়াতে পারে। অনেক লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে এটা বৈষম্যও বাড়াতে পারে, কাজও হারাতে পারেন অনেকে।

আইএমএফের গবেষণা অনুযায়ী এআই উন্নত অর্থনীতির দেশের ৩৩ শতাংশ, উদীয়মান অর্থনীতির দেশের ২৪ শতাংশ ও নিম্ন আয়ের দেশে ১৮ শতাংশ চাকরিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে৷ অন্যদিকে এআই বিদ্যমান চাকরির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা নিয়ে আসছে৷

ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, চাকরি হারানোর ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি নতুন কর্মসংস্থানও হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন হবে উচ্চ দক্ষতা।

‘পাচশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান এআই নিয়ে কাজ করছে’

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআই এর ব্যবহার বাড়ছে৷ বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং৷ কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানান এআই নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান টেক গার্লিক এর প্রধান নির্বাহী পরাগ ওবায়েদ। তিনি জানান, বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন- এরকম মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ লাখ। বাংলাদেশে ২০০৮-৯ সাল থেকে এআই নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় বলে জানান তিনি।

পরাগ ওবায়েদ বলেন, ‘মোবাইল ফোন কোম্পানি, মোবাইল ব্যাংকিংসহ অনেক কর্পোরেট হাউজ এখন এআই টেকনোলজির সুবিধা নিচ্ছে৷ বাংলাদেশের কৃষিখাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।’ তার প্রতিষ্ঠানটি কৃষিখাতে জলসেচের জন্য এআই প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে।

তার মতে, বাংলাদেশের সব খাতেই এআই এর সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে এআই এর ব্যবহার অনেক ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন ওবায়েদ।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে যারা কাজ করেন, তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করছেন। প্রতিদিনই এটা পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ এটা একটা সার্বক্ষণিক শিখন প্রক্রিয়া। দক্ষতা ও প্রচণ্ড আগ্রহ না থাকলে এটা সম্ভব নয়। আবার এই খাতে বিনিয়োগ করতে ব্যাংক ঋণও তেমন পাওয়া যায় না।

‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার’

বন্ডস্টেইন টেকনোলজিস-এর কো-ফাউন্ডার শাহরুখ ইসলাম জানান, এখন মার্কেটিংয়ে দেশীয় এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পাচ্ছে। তবে আমাদের মাইন্ডসেটের এখনো তেমন পরিবর্তন আসেনি। আগে যখন কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয় তখন চাকরি যাওয়ার ভয়ে অনেকে কম্পিউটার ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতো। এখনো আমরা দেখছি বিমান বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পরে কম্পিউটার বন্ধ করে রেখেছে। আসলে নতুন টেকনোলজিকে ওয়েলকাম করতে হবে।

তার কথা, এজন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। ভারত সরকার গত এপ্রিল মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এআই কোম্পানির কাছে এক লাখ গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) অর্ডার করেছে। জিপিইউ হলো এআই-এর কাঁচামাল। আর আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এগুলো ইউএসএ বা সিঙ্গাপুর থেকে আনি। আমাদের প্রচুর ডলার খরচ হয়। সরকার যদি একটা এআই সেন্টার করে জিপিইউ এনে আমাদের কাছে ভাড়া দেয় তাহলে আমরা উদ্যোক্তারা লাভবান হবো।

বন্ডস্টেইন টেকনোলজিস এর শাহরুখ ইসলাম বলেন, আর এআই কোনো স্পর্শযোগ্য পণ্য বা বস্তু নয়। বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এই পণ্য উৎপাদনের জন্য ঋণ দেয় না। তারা দেয় হার্ডওয়্যারের জন্য। ফলে আমরা ঋণ পাই না। আমাদের নানাভাবে অর্থ জোগাড় করতে হয়। সরকারের এটা দেখা দরকার।

তারপরও বাংলাদেশের সাত-আটটি প্রতিষ্ঠান এখন দেশের বাইরেও এআই সলিউশন দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সেঁজুতি রহমান বলেন, আমরা আসলে এখনো এআই প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুত নই। আমরা এখনো ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রযুক্তির তৃতীয় যুগে যেতে হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত তরুণ লাগবে। সেই ব্যবস্থা আমাদের এখানে নেই, প্রতিষ্ঠান নেই। আবার যারা তৈরি হচ্ছে, তাদের আমরা ধরে রাখতে পারছি না, তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের ধরে রাখার ব্যবস্থা যেমন করতে হবে, তেমনি এআই আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষায় যুক্ত করতে হবে।

তার কথা, আমাদের পাশের দেশে এআই নিয়ে অনেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে সরকার নানাভাবে সহায়তা করছে। কিন্তু আমাদের এখানে হচ্ছে না৷ তরুণ গবেষকদের ফান্ড দিতে হবে।

অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, মনে রাখতে হবে ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরির দক্ষতা আর এআই এর দক্ষতা এক নয়৷ ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য শর্ট টার্মে কিছু প্রশিক্ষণ দিলেই হতো৷ কিন্তু এখানে সেটা সম্ভব নয়৷ আমাদের টেকনোলজি তৈরি করতে হবে৷ সেই দক্ষতা লাগবে।

তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি হলো তাকে যে তথ্য দিয়ে রেডি করা হবে সে সেই ভাবে বিশ্লেষণ করবে৷ তার চিন্তা মানুষের মতো না৷ ফলে তাকে দিয়ে গুজব ছড়ানো বা একপেশে বিশ্লেষণ করানো সম্ভব।

ড. সেঁজুতি রহমান বলেন, অ্যামাজন তাদের একটি টেকনিক্যাল রিক্রুটমেন্টের সিভি বাছাইয়ের জন্য মানুষের পরিবর্তে এইআইকে দায়িত্ব দেয়৷ তখন দেখা গেলো শুরুতেই এআই সব নারীর সিভি বাদ দিয়ে দেয়৷ আসলে তাকে যেভাবে প্রশিক্ষিত করা হয় সে সেইভাবে ফল দেয়। সুতরাং এআই ব্যবহারের নানা ঝুঁকিও আছে৷ সেটা অবশ্য নির্ভর করে মানুষের ওপর। আমরা কীভাবে ব্যবহার করতে চাই৷ এটা ক্ষতিকর কাজেও ব্যবহার করা যায়।

আইন তৈরির উদ্যোগ

বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে এআই নিয়ে একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইন অবশ্যই এর অপব্যবহার রোধে প্রয়োজন। একই সঙ্গে এআই এর জন্য অবকাঠামো, দক্ষ মানবসম্পদ, প্রযুক্তিগত সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সম্প্রতি আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে সরকারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ব্রেইন-এর উদ্বোধন করেছেন। স্টার্টআপ জিপিটি, কনস্টিটিউশন জিপিটি ও বাজেট জিপিটি এই তিনটি ফিচার নিয়ে উদ্বোধন করা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সরকারের জিপিটি প্ল্যাটফর্ম। তিনি সেখানে জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনের খসড়া আসছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ট্রফি জয়ে সবার শীর্ষে মেসি

ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ট্রফি জয়ে এখন সবার শীর্ষে লিওনেল মেসি। এই রেকর্ডটি ছিল এতদিন দখলে ছিল মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ দানি আলভেজের। এবার সেই রেকর্ড নিজের করে নিলেন এলএমটেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৬তম শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এতেই ৪৫টি ট্রফি জয়ে এখন সবার শীর্ষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ২০০৫ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতে শুরু মেসির।

এরপর বার্সেলোনার হয়ে ১০টি লা লিগা, ৭টি কোপা দেল রে, ৭টি স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন মেসি। এছাড়া কাতালানদের হয়ে ৩টি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। বার্সার হয়ে মোট ৩৪টি শিরোপা জেতেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার।

বার্সার পাট চুকিয়ে পিএসজিতে গিয়েও সাফল্য পান মেসি। সেখানে দুটি ট্রফি জয়ের স্বাদ পান তিনি। এরপর ইন্টার মায়ামির হয়ে জেতেন একটি লিগ কাপ। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অলিম্পিকে গোল্ড, দুটি কোপা আমেরিকা, একটি বিশ্বকাপ ও লা ফিনিলিসিয়াম জয় করেন মেসি।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে সামাজিক অবক্ষয় রোধে শিক্ষার্থীদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

মেহেরপুরের গাংনীতে অরাজনৈতিক ও শিক্ষা বিষয়ক সামাজিক সংগঠণ ‘প্রস্ফুটন’ এর উদ্যোগে সামাজিক অবক্ষয় রোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও নেতৃত্ব বিকাশে শিক্ষার্থীদের করনীয় শীর্ষক কর্মশালা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্র্রাক্তন শিক্ষক মুহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহর সভাপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান পলাশ, সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, প্রষ্ফুটনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ সালমান সাইফ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রস্ফুটন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও স্কুল প্রোগ্রামের আহবায়ক সদস্য সাহান উল্লাহ, মাকসুদুল আজম বাঁধন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রস্ফুটন সদস্য মো: মিফতাহুল ইসলাম।

অতিথিরা কুইজ অনুষ্ঠানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে দুটি করে গাছ রোপনের জন্য তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ৩০০টির মতো গাছ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপ প্রবাহের কারে প্রস্ফুটন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও স্কুল কর্মশালা শুরু করেছে । এ বছর প্রস্ফুটন প্রায় ৫০০০ এর অধিক গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে বিতরণ করা হবে।
‘প্রস্ফুটন’ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সংঘ। ‘শিক্ষা ও ঐক্যে আনি মুক্তি’ এই স্লোগানে ২০১৩ সাল থেকে কল্যাণমূলক এই সংঘটি সফলতা ও সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।




মেহেরপুরে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে জেলা মেহেরপুর শহরের কাশ্যবপাড়ায় এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ সুমন পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ হামিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খেলাফত আলী, শহর জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনছারুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি খাইরুল বাসার মিঠু, জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি সরোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




আলমডাঙ্গায় দোকানীকে হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় জমি কেন্দ্রিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে দোকান ব্যবসায়ীর হাত-পা বেধে দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার দিবাগত রাত ২ টার দিকে পৌর এলাকার রেল ফোকট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকান ঘর মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- গোবিন্দপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মুকুল হাজী (৫২), আবু বক্করের ছেলে ওসমান আলী (৩৮), মহি উদ্দীন (৫৫) , মকবুল হোসেন (৫০) বন্ডবিল এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস আলী (৫০) সহ আরো তিন জনের নাম উল্লেখ করেছেন।

জানাগেছে, পৌর এলাকার স্টেশন পাড়ার মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল গত ১০ বছর আগে বাস রেল ফোকট সংলগ্নে ২০১০ সালে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় করেন মৃত সদর উদ্দীন গং, রাবেয়া খাতুন ও মকবুল হোসেনের নিকট। ওই জমিতে দুটি পাঁকা দোকানও নির্মাণ করেছেন। এছাড়া একটি বাঁশ টিনে নির্মিত মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মানোয়ারুল প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাত ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। আমার দোকানের মধ্যে পাশের দোকানদার লিটন রাতে অবস্থান করে। তার হাত-পা বেধে দোকান ভাঙচুর করে। এছাড়া দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী লিটন জানান, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে কয়েকজন এসে রামদা ও হাসুয়া ধরে আমার হাত-পা বেধে ফেলে। পরে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং চিৎকার করতে নিষেধ করে। এসময় দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

দোকান মালিক মানোয়ারুল ইসলাম টুটুল বলেন, ঘটনার রাতে মাছ চাষের পুকুরে পানি দেওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিল গোবিন্দপুর গ্রামের সজিব। সে লিটনের হাত-পা বাধা দেখে ওই রাতে ফোন দিলে আমি দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, দোকান ভাঙচুরের ঘটনা আমার পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে রকিব প্যানেল জয়ী

দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে রকিব প্যানেলের সদস্যরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে।

আজ রবিবার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শান্তি পূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে রকিব প্যানেলর পক্ষে আব্দুস সালাম ২০৮ ভোট পেয়ে ১ম, মোঃ রকিবুর ২০৪ ভোট পেয়ে ২য়, আব্দুর রহমান ২০৩ ভোট পেয়ে ৩য়, মোঃ পটল ১৯৯ ভোট পেয়ে ৪র্থ এবং মহিলা অবিভাবক সদস্য পদে কাজল রেখা ২২৮ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করে। অপরপক্ষে আক্তার প্যানেলের প্রাপ্ত ভোট হলো জাবেদ আলী ১৮৭, আশাদুল হক ১৮৫, ছাব্বির হোসেন ১৮১, সাদেকুল ইসলাম ১৭৫ এবং মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে সাবানা খাতুন ১৭৪ ভোট পান।

আলোচিত-সমালোচিত এই ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার রাফিজুল ইসলাম বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে আমরা অনেক চাপে ছিলাম সেজন্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ন করতে প্রায় ৩৬ জন পুলিশ সদস্যসহ গোয়েন্দা সদস্য মোতায়ন করতে হয়। আমি আশা রাখবো যারা এই নির্বাচনে জয়লাভ করছে আগামীতে শিক্ষার মান্নোনয়নে কাজ করবে।




গাংনী পৌর মেয়র আহাম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার শিপু’র সংবাদ সম্মেলন

যথাযথ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাংনী বাজারে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এবং মেয়র আহমেদ আলীর দেয়া ফেসবুক লাইভের বক্তব্যেও প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ শাহিদুজ্জামান শিপু।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শিপু’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহামেদ আলীর ফেসবুক লাইভে অসৌজন্যমুলক দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শাহিদুজ্জামান শিপু।

সংবাদ সম্মেলনে শিপু বলেন, গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীদের জোর করে উচ্ছেদ করে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে সেই জমির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম মার্কেট নির্মাণ করতে চাইলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মার্কেট নির্মাণ করতে ব্যার্থ হন। কিন্তু বর্তমান মেয়র আহমেদ আলী ক্ষমতার দাপটে ওই জমিতে জোরপুর্বক মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবী জানিয়ে শিপু বলেন, মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধে আলফারুক বাবুল ইতোমধ্যে আদালতের সরনাপন্ন হয়েছেন। যেহেতু জমিটি সরকারি জমি হিসেবে আমরা জানি। ওই জমি রক্ষার সরকার পক্ষে মালিক জেলা প্রশাসক। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে ।

এসময় সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু বলেন, মেয়র আহমেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে সর্বসাকুল্যে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালিক ছিলেন। কিন্তু তিনি দুবার মেয়র হয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওই সব টাকার উৎস কোথায় তা জনস্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)কে অনুসন্ধান করার দাবী করেন।

তিনি আরও বলেন,মেয়র আহমেদ আলী কথায় কথায় আমাকে ‘কাসিনো সম্রাট’ বলে আমার সম্মানের হানি করেন। আমি কোথায় ক্যাসিনো খেলায় সম্পৃক্ত তা প্রমান করতে না পারলে মেয়র আহমেদ আলীর বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করতে বাধ্য হবো। মেয়র আহমেদ আলী আমাকে গাংনী ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে। তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাকে ভয় দেখিয়ে অবৈধ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। মেয়র আহমেদ আলীর। মেয়র আহমেদ আলী নির্বাচিত হওয়ার পর গাংনীতে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে তা উন্নয়নের নামে টেন্ডারবাজিসহ লুটতরাজ হয়েছে। আগামী পৌর সভার নির্বাচনে পৌরবাসী তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করার কারনে শিশূকারে আমি পতিৃহারাা হয়েছি। আমার প্রয়াত মামা কামরুজ্জামান বুড়ো গাংনীর মাঠ কাপানো একজন আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। তার জীবনকালে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। কখনো অর্থের লোভ করেনি। আমওি তার আদর্শে লালিত হয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গাংনীর উন্নয়ন চাই। তবে,কারও পেটে লাথি মেরে উন্নয়ন চাইনি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা কারও আহার কেড়ে নেননি। বরং ক্ষুধার্থ মানুষের পেটের আহার জুগিয়েছেন। অথচ মেয়র আহমেদ আলী মানুষের পেটে লাথি মেরে উন্নয়নের গল্প ছাড়াচ্ছেন এবং জমির কাগজপত্র ঠিক না করে মার্কেট নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট,অনলাইন ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।