দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত

দেশব্যাপী মানুষের উচ্ছাসের যেনো শেষ নেই। আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের আয়জনে বিশাল এক বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে দামুড়হুদার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও অগণিত সাধারণ মানুষের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে বিজয় মিছিলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান জনি, ছাত্রদলের সভাপতি আফজালুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইকরামুল হোসেন, সদস্য সচিব জাকির হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কবির, বিএনপি নেতা জামাল, সোনা, আলিম মেম্বার হামিদ মেম্বার, বিল্লাল হোসেন আলিফ খান, দেলোয়ার হোসেন, আশরাফুল, আজাদ, জাহাঙ্গীর, বকুল, সেলিম উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিএনপি যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল ও এলাকার সচেতন মহল বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটি গঠন

দীর্ঘ ১৬ বছর পর অসাংবাদিক এর হাত থেকে মুক্তি পেল দামুড়হুদা প্রেসক্লাব। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এক জরুরী মিটিং এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী ভার্চুয়ালী কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এবিষয়ে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসক্লাবের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এসময় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে উপস্থিত সকল সদস্যের সর্ব সম্মতি ক্রমে সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ কে আহবায়ক, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ কে যুগ্ম আহবায়ক ও তানজির ফয়সাল কে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন, হাফিজুর রহমান কাজল, হাবিবুর রহমান, তাসির আহাম্মেদ, মোজাম্মেল শিশির, শাহাজামাল বাবু, আরিফুল ইসলাম মিলন, জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও রকিবুল হাসান তোতা। সভায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিএনপি ও জামায়াতের আনন্দ মিছিল দোয়া অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় বিক্ষোভ ও আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও জামাত, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও দর্শনা থানা শাখার উদ্যোগে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ে কেন্দ্র ঘোষিত শোকরানা মিছিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর রাজপথের এসব মিছিলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকল অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর ও আয়কর আইনজীবী মোঃ রুহুল আমিন, জেলা নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, দামুড়হুদা থানা আমীর মোঃ নায়েব আলী, দর্শনা থানা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, আলমডাঙ্গা থানা আমীর মোঃ দারুস সালাম ও আব্বাছ আলী এবং জেলা নেতৃবৃন্দ।

এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে প্রধান অতিথি বিজয়ের এই আনন্দে অতিসয্য হয়ে কেউ যেন আইনকে হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ হবার নির্দেশ দেন। আওয়ামীলীগের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের মাওলানা নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আইনের মারপ্যাচে শহীদ করে যে কুলাঙ্গারের পরিচয় দিয়েছেন আমরা তার প্রতিশোধ নিতে চাইনে, কিন্তু এখনোও যদি কোন রকম ঘাপটি মেরে ক্ষতি করতে চান তবে কাউকে আর ছাড় দেয়া হবেনা।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়। আগামীতে সুযোগ আসছে, এ সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে এদেশের মাটি, এদেশের মানুষ, এ দেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায় জামায়াতে ইসলামীর কাছে আমানত। জামায়াত এ আমানত শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের এসব মিছিল সকাল সাড়ে ৯টায় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক ঘুরে দেউলীর মোড়ে শেষ হয়। দর্শনায় বাসস্ট্যান্ড হতে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে রেলবাজার আওয়ামীলীগের মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ ও দোয়া শেষে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। আলমডাঙ্গায় উপজেলা মুক্তমঞ্চে সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আল তায়বার মোড়ে এসে শেষ হয় এবং উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ফুটবল মাঠে শোকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে দর্শনা পুরাতন বাজার থেকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপির উদ্দ্যগে ছাত্রজনতার আনন্দরালী অনুষ্টিত হয়েছে।

এ আনন্দ র‌্যালিটি দর্শনা পুরাতনবাজার থেকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উৎসহপৃর্ন স্লোগান দেয়। র‌্যালি শেষে সম্প্রতি নিহত ছাত্র জনতার আত্নার মাগফেরাত কামনা করে দোয় ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেটের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, নাহারুল মাষ্টার, মসিউর রহমান, লুৎফর রহমান, আরিফ উদ্দীন, নাসির উদ্দীন খেদু, দর্শনা থানা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, জালাল উদ্দীন, ফারুক মিয়া মহন মিয়া, আরাফাত, জাহান আলী, আশরাফুল প্রমুখ ।




মুজিবনগর থানার নবনিযুক্ত ওসি সাইফুল আলম

মুজিবনগর থানার গেটে ছাত্র জনতার বিজয় মিছিল দেখে দৌড়ে থানা থেকে পালিয়ে যান ওসি। এ সময় পুলিশের নিরস্ত্র সদস্যরা সহ নারী কনস্টেবলগণ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। অনেক পরে পরিস্থিতি বুঝে আবারো থানায় ফিরে আসলে সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যগন বিদ্রোহ করে বসেন এবং তার অধীনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সময় পুলিশ সুপার বাধ্য হন থানার ওসি পরিবর্তন করতে।

সোমবার (৫ আগষ্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর পেয়ে সারা দেশের ন্যায় মুজিবনগরেও বিকাল ৫ টার দিকে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র জনতা। এ সময় তাদের সাথে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরাও যোগ দেয়। মিছিলটি মুজিবনগর থানার মূল ফটকের সামনে পৌঁছালে সেখানে দাঁড়িয়ে তারা কিছুক্ষণ উচ্চস্বরে স্লোগান দেয়। স্লোগানের শব্দে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জল কুমার দত্ত দৌড়ে প্রাচীর ও তারকাটা পার হয়ে পালিয়ে যান।

এ সময় থানায় কর্মরত পুলিশের নিরস্ত্র সদস্যরা সহ নারী কনস্টেবলগণ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তারা করণীয় নিয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এবং খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে যোগাযোগ করেন। পুলিশ সুপার ও রেঞ্জ ডিআইজি পলাতক ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলমকে মুজিবনগর থানায় পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার নির্দেশ দেন। রাত দশটার পরে থানাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত ফিরে আসলে তার অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন। এবং পুলিশ সুপারকে জানান এই ওসি পরিবর্তন না করলে তারা সকলে পদত্যাগ করবেন। ওসি পরিবর্তনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলমকে মুজিবনগর থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়।

ঘটনাটি জানতে মুজিবনগর থানার সদ্য সাবেক ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নবনিযুক্ত মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরিস্থিতির সাময়িক সমাধানে সোমবার রাত আটটার সময় মুজিবনগর থানায় আসি। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাকে ওসি মুজিবনগর হিসেবে পোষ্টিং করা হয়েছে।’

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান মঙ্গলবার বিকালে মুজিবনগর থানার ওসি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্সপেক্টর উজ্জল কুমার দত্ত আপাতত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। তার ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’




সরানো হল হাসিনাসহ মন্ত্রী-এমপিদের তথ্য

দেশের বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টাদের তথ্য। এসব তথ্যের মধ্যে তাদের ছবি, জীবনবৃত্তান্ত, বাণীসহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ছিল। এসব তথ্য সরানোর জন্য দিনভর বন্ধ ছিল সরকারি ওয়েবসাইটগুলো।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ওয়েবসাইট থেকে উল্লিখিত কনটেন্টগুলো সরানোর দাবি করেছিলেন বলে জানায় একটি সূত্র।

মঙ্গলবার দিনভর সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ জানান অনেক ব্যবহারকারী।  বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ওয়েবসাইট অচল। এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। জানা যায়, দেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ন্যাশনাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্কের সাথে যুক্ত। বিষয়টির কারিগরি দিকগুলো দেখভাল করে এটুআই। তবে এটুআই এর নিজস্ব ওয়েবসাইটই ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত না। ফলে প্রায় সবগুলো সরকারি ওয়েবসাইট অচল থাকলেও, সচল রয়েছে এটুআই এর ওয়েবসাইট।

এটুআই এর কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ কনসালটেন্ট আদনান ফয়সল মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ওয়েবসাইটগুলোর মেইনটেন্যান্স (রক্ষণাবেক্ষণ) এর কাজ চলছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার ওয়েবসাইটগুলো পুনরায় চালু হয়।

পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওয়েবসাইটগুলোতে কিছু সাইবার আক্রমণ হয়েছিল। সব ঠিকঠাক করে দ্রুত সেগুলো সচল করতে কাজ চলছে।

এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া ওয়েবসাইট বন্ধের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে শেখ হাসিনার ছবি, বাণী এবং এ ধরনের অন্যান্য কনটেন্ট সরানো হচ্ছে। এগুলো দীর্ঘদিনের অনেক কনটেন্ট যা সরাতে প্রচুর সময় লাগে। এগুলো এখনো ওয়েবসাইটে থাকলে সেটাও ভালো দেখায় না। সেগুলো সরিয়ে দ্রুত ওয়েবসাইট সচল করা হবে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওয়েবসাইটগুলো চালু হয়। তখন দেখা যায়, এসব ওয়েবসাইট থেকে শেখ হাসিনা, সংশ্লিষ্ট সাবেক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সাবেক উপদেষ্টাদের তথ্য সরানো হয়েছে। ওয়েবসাইটগুলোতে বর্তমানে শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সংশ্লিষ্ট সচিবদের তথ্য রয়েছে শুধু।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল  

মেহেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ  মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল  ১০ টার সময় মিছিলটি বের হয়  শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মেহেরপুর শহরের প্রধান  প্রধান সড়কে প্রদক্ষিন করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে  আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক  দলের  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন  আহসান হাবীব সোনা ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর শ্রমিক দলের  সাধারণ সম্পাদক  নাসিম খান,  মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রমেজ উদ্দিন, খোকন, আজম, মিজান, বিপুল, তুহিন, মাসুদ, রজব, আব্দুস সালাম, শরিফুল ইসলাম, রিপন, আসাদুল, এরশাদ, সোহেল, জাকির প্রমুখ।




ঝিনাইদহে সদর থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদককে পুড়িয়ে হত্যা 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন ও তার গাড়ীচালক আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হিরন চেয়ারম্যানের লাশ শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে টাঙ্গিয়ে রাখা হয়। সেখানে দর্শকরা তার লাশে জুতা সেন্ডেল মারতে থাকে।

গতকাল সোমবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটায়। পরে তার লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত শহিদুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে ভাংচুর করতে যায়। সেসময় হিরন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ডগুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তার ব্যক্তিগত গাড়ী চালক আক্তারকে কুপিয়ে যখম করে। আক্তারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বাড়ির ৩য় তলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হিরন। সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে মারা গেলে আন্দোলনকারীরা তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ বের করে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে এনে টাঙ্গিয়ে রাখে। এসময় তার লাশের উপর আন্দোলনকারীরা জুতা সেন্ডেল দিয়ে মারতে থাকে। পের সেখান থেকে গভীর রাতে লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

অপরদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে ২ আন্দোলনকারী। সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার ঢাকালে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, শেখ হাসিনা’র দেশ ত্যাগের ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ঢাকালে পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয়। এর মধ্যে রাব্বি ও মুজাহিদ নামে দুই আন্দোলনকারী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন ধরাতে গেলে তারা আর নিচে নামতে পারেনি। ফলে সেখানেই পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রাব্বির বাড়ি ওই উপজেলার ফয়লা ও মুজাহিদের বাড়ি খয়েরতলা এলাকায় বলে জানা গেছে।




বিমানবন্দরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আটক

বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার বিকালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার শেখ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন এই সাবেক মন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার খোঁজের বিষয়ে সরব দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।

পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই নিজ বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এদিকে এর আগে সদ্য সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পলক।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে বিজয় মিছিল 

স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পদত্যাগে বাংলাদেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হলো। মুখরিত মুহুর মুহুর স্লোগানে দামুড়হুদায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে বিজয় মিছিল ও শুকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে শুকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বিজয় মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শুকরানা নামাজ ও বিজয় মিছিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির মো: রুহুল আমিন। আরও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক তনু, জেলা নায়েবে আমির মাওঃ মো: আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান দামুড়হুদা উপজেলা আমির মো: নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমির মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারী মাও মো: আব্দুল গফুর, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম জিয়া, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আমির মো: আবুল বাশার, হাউলী ইউনিয়ন আমির মো: ওবায়দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আমির মো: আব্দুর রশিদ, নাটুদা ইউনিয়ন আমির, মাওঃ ফজলুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিবিরের সভাপতি মহশিন আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আবু হানিফা, মো: মুহসিন আলী, এখতিয়ার রহমান শামসুজ্জুহা মাওঃ আব্দুল খালেক, মো: ইসমাঈল হোসেন, মো: আব্দুল গাফফার, মো: আবুস সাত্তার মো: হাবিবুর রহমান, মো: শামসুল ইসলাম, এ্যাড হাসিবুল ইসলাম সহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: আবেদ উদ্দোলা।




খালেদা জিয়া মুক্ত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আরো বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত যান। এরপর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

সূত্র: ইত্তেফাক