পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি, কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা

পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন, দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তবে মামলা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশে হারুন অর রশিদের পুকুর ও সোয়াদি গ্রামের আনিসুর রহমানের পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে বেশ কয়েক বার সর্তক করেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা অব্যহত রেখেছিল।

এ কারনে গেল ২১ জুলাই পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করেন,দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে,তেঘরি গ্রামের পুকুর মালিক হারুন অর রশিদ,মাটি কাটার সহযোগী আব্দুর রহিম, শাহিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কায়দার আলী, আব্দার আলী, সোয়াদি গ্রামের পুকুর মালিক আনিসুন রহমান, সহযোগী পারভেজ হোসেন ও মনা বিশ্বাস।

এদিকে থানায় এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলাটি নথিভূক্ত হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা ও সোয়াদি গ্রামের পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন ওই এলাকার প্রভাশালী মাটি ব্যবসায়িরা।

এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্তক করা হলেও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।

এরপর উপজেলা নির্বাহী স্যারের নির্দেশে গেল ২১ জুলাই কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করা হয়। এদিকে এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলা নথিভুক্ত করা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে এমন অভিযোগ ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তার।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছাঃ শারমিন আক্তার বলেন,মামলা হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এ কারনে মামলা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন মামলাটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি নিয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট নায়েব এজাহার করেছেন। আপনারা ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।




ঝিনাইদহে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ

ঝিনাইদহ কলেজ (সিটি কলেজ)’র অধ্যক্ষ বাদশা আলমের বিরুদ্ধে পাহাড়সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। এদিকে অধ্যক্ষ বাদশা আলম আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গাঢাকা দিয়েছে।

তিনি ৫আগস্ট থেকে আর কলেজে আসছেন না। শোনা যাচ্ছে কলেজ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ কলেজের অধ্যক্ষ বাদশা আলম আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ। এক সময় তিনি ঝিনাইদহ সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকের কাজ করতেন। এখনো দলিল লেখকদের তালিকায় তার নাম রয়েছে।

তিনি ঝিনাইদহ কলেজে (সিটি কলেজ)’র প্রথমে প্রভাষক ও পরে এক বছরের জন্য উপাধ্যক্ষ হন। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগ্যতা না থাকার পরও প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষের পদ দখল করেন। তিনি কলেজে ঠিক মতো আসতেন না। আসলেও দুপুরের পর যে করণে কলেজের কাজকর্ম ব্যহত হতো।

দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ পদে আসার আগে তিনি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলেও জেলা শহরের আরাপপুর এলাকায় এখন তার দুইটি আলীশান বাড়ি। যার মধ্যে একটি পাঁচতলা ও একটি চারতলা বাড়ি। বাড়ি দুইটির আনুমানিক মুল্য ২০ কোটি টাকা হবে বলে তার প্রতিবেশিরা দাবী করেন। বেসরকারী কলেজের একজন অধ্যক্ষের এমন দুইটি আলিশান বাড়ি কি ভাবে হলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনি ১৩ বছর অধ্যক্ষ হওয়ার সুবাদে কলেজের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে ভর্তির সময় নেওয়া টাকার কোন হিসাব নেই। লাইব্রেরী ফান্ডে টাকা নেওয়া হলেও বই কেনা হয় না। শিক্ষার্থীদের আইডি বাবদ ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হয় কিন্তু আইডি দেওয়া হয়না। ভর্তির সময় বিজ্ঞানাগারের জন্য টাকা কেটে রাখা হলেও ১৩ বছরে কোন যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি।

আইসিটি ও কৃষি শিক্ষার ব্যবহারীর পরীক্ষায় বাধ্যতামুলক ভাবে ৩০০ টাকা করে জোর পুর্বক আদায় করেন অধ্যক্ষ বাদশা আলম। অনার্স লেভেলে ইনকোর্স পরীক্ষার নামে প্রতি ছাত্রের কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে আদায় করেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ভাইবা পরীক্ষার নামে ছাত্র প্রতি ২০০০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।

এ নিয়ে ২০২৩ সালে ছাত্রলীগ কলেজে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করলেও অধ্যক্ষ বাদশা আলম এখনো জোরপুর্বক টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছেন। কলেজে প্রতিটি নিয়োগে কয়েক কোটি টাকার বানিজ্য করা হয়েছে। খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ার শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজ করেন না। এ জন্য তাদের প্রতি মাসে অধ্যক্ষকে মাসোহারা দিতে হয়। ডিগ্রী ও উন্মুক্ত পরীক্ষায় নকল সরবরাহের জন্য কলেজের মালি আসলামের মাধ্যমে অর্থ আদায় করেন অধ্যক্ষ বাদশা আলম। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় উন্নয়ন ফি বাবদ টাকা আদায় করা হলেও ১৩ বছরে কলেজের ফান্ড থেকে দৃশ্যত কোন উন্নয়ন করা হয়নি। অথচ কলেজের ৬টি একাউন্ট থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে একাউটেন্ট মোঃ আইয়ুব হোসেনের সহায়তায় অন্তত ২কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে দুইটি বাড়ি নির্মান করেছেন।

এছাড়া অধ্যক্ষ বাদশা আলমের চাকরীর বয়স শেষ হলেও জাতীয় বিশ^বিদ্যলয়ের জাল কাগজ করে জোরপুর্বক অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে বসে আছেন। অর্থ আত্মসাৎ ও অবসরের পরও অবৈধ ভাবে চেয়ার দখল করা নিয়ে অধ্যক্ষ বাদশা আলমের কাছে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার অফিসে গিয়ে জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস জানান, অধ্যক্ষ বাদশা আলমের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তিনি তদন্ত করবেন। তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবেন।




ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রতিবাদ সভা

‘সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়। সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে। এজন্য গণমাধ্যমের উপর যে কোনো হামলা-মামলা মেনে নেয়া হবে না।’ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মানিক আকবর। অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক মানিক আকবর, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার প্রমাণ দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা কারো পক্ষের না। এরা রাষ্ট্রের সম্পদ। গণমাধ্যমে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা।
শেষে গণমাধ্যমেকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে।




ভূয়া নার্স বাতিলসহ ১১ দফা দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্সদের নিয়োগ বাতিলসহ ১১ দফা দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে শহরের হামদহ এলাকায় সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নার্সরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকে ভুয়া নার্সের কারণে ভুল চিকিৎসায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যে কারণে নার্সদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত এসব ভুয়া নার্স অপসারণ, নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদন, বাস্তবায়ন ও উচ্চশিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে ছেলে ১০% ও মেয়ে ৯০% কোটা বৈষম্য বাতিলসহ ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।




ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল

ভারতীয় আগ্রাসন ও সকল প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবীতে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পায়রা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন করে ছাত্র জনতার প্রতিনিধিরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা শুরু করেন।

এ সময় সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা, আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রিহান হোসেন রায়হান, নুসরাত জাহান সাথী ও এলমা খাতুন বক্তব্য রাখেন।

বক্তরা বলেন, ভারতের সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার রুখে দাড়ানোর উপযুক্ত সময়। প্রতিবেশি পরিচয়ে ভারত পানি আগ্রাসন, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা ও বাংলাদেশে মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটছে। সময় হয়েছে ভারতের এসব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। বক্তরা ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষের জীবন ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

পায়রা চত্বরে আয়েজিত সমাবেশে সমন্বয়ক আবু হুরায়রা বলেন, ঝিনাইদহের পাসপোর্ট অফিস, শিক্ষা অফিস, জেলার সকল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ও বিআরটিএ অফিসে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের আহবান জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতি বন্ধ না হলে ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মীরা কঠোর হতে বাধ্য হবে।




মুজিবনগরে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের গীর্জা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গীর্জা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তারা উপজেলার ভবেরপাড়া গীর্জা, এতিমখানা, বল্লভপুর গীর্জা, বল্লভপুর মিশন হাসপাতাল এবং এতিমখানা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তারা ভবরপাড়া গীর্জার ফাদার আলবিনো সরকার, সিষ্টার মালোতি মালো এবং বল্লভপুর গীর্জার ফাদার রেভা: মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, হাসপাতালের এডমিন আলফ্রেড বিনিময় বিশ্বাস এবং সিস্টার জিলিয়ান এম রোজসহ কর্মকর্তাদের সাথে গীর্জার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় মুজিবনগর নির্বাহী অফিসার তাদেরকে বলেন, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সংখ্যালঘুর ধোয়া তুলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। আপনারা এই সমস্ত প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করবেন না স্বাধীন বাংলাদেশ সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। এই বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান। আপনারা নিশ্চিত মনে থাকবেন আপনাদের পাশে আমরা আছি।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, যারা সংখ্যালঘু ধোয়া তুলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তারা কখনোই এই দেশকে ভালোবাসে না। এই দেশে আমার যতটুকু অধিকার আপনাদের ততটুকু অধিকার। এই বাংলাদেশে ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার। সংখ্যালঘুর ধোয়া তুলে কেউ যদি পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাই সে যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা নিশ্চিত মনে থাকবেন কারণ আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক এই দেশের সন্তান আপনাদের উদ্যোগের কোন কারণ নেই।বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে যে কোন প্রয়োজনে আপনারা আমার কাছে ফোন দিবেন সঙ্গে সঙ্গে আমার পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।




নিয়োগ দেবে স্যামসাং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্যামসাং আর অ্যান্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি সফটওয়্যার টেস্ট ইন্টার্ন পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। গতকাল ২০ আগস্ট থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: সফটওয়্যার টেস্ট ইন্টার্ন

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি পাশ থাকতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেস্টিংয়ের উপর ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। নারী-পুরুষ (উভয়) প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

প্রয়োজন নেই।

চাকরির ধরন: ইন্টার্নশিপ

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ আগস্ট ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের হামলা-নির্যাতনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বর্বরোচিত হামলার ঘটনার বর্ণনা করলেন চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক মাস পর এই প্রথম জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা মুখ খুললেন।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের তিন তারকা মানের হোটেল সাহিদ প্যালেসে ‘অভিজ্ঞতা : ঘটনার বর্ণন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লোমহর্ষক হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের গল্প শোনান এই শিক্ষার্থীরা। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে হামলার শিকার হয়ে আহত, কারাবরণকারী শিক্ষার্থীরা আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। অশ্রুশিক্ত নয়নে কথা বলেন ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া চুয়াডাঙ্গার সন্তান শাহরিয়ার শুভ’র পিতা।

জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ‘অভিজ্ঞতা : ঘটনার বর্ণন’ শিরোনামে বুধবার প্রথম শিক্ষার্থীরা এই ভিন্ন আয়োজন করে। চুয়াডাঙ্গা শহর, সরোজগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ভালাইপুর, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগরসহ জেলার যেখানে যেখানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন সেখনেই তারা হামলার শিকার হন। হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা নানাভাবে মানসিক নিপিড়নের শিকার হন সেটিও উঠে আসে এই আয়োজনে। শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মী, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও আইনজীবীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাদের এবং তাদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন চাপের বিষয়টিও তুলে আনেন এ অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু ও অ্যাড. মানি খন্দকার। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ সাংবাদিক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ মামুন।

শিক্ষার্থীদের পাশে শুরু থেকেই ছিলেন চুয়াডাঙ্গার কৃর্তি সন্তান, এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট ও সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। তিনি এই অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে পুনরায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার অভিব্যক্তি জানান।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাফফাতুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক এম এম আলাউদ্দীন, দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, সিনিয়র সাংবাদিক রফিক রহমান, সাংবাদিক জামান আক্তার, মশিউর রহমান, মাহফুজ মামুন, মফিজ জোয়ার্দ্দার, জিসান আহমেদ, মেহেরাব্বিন সানভী, শামসুজ্জোহা রানা, রুদ্র রাসেল, পলাশ উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম, সাকিব, ফাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গার সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল হৃদয় প্রমুখ।

আবেগঘন বক্তব্য রাখেন, আন্দোলন করে মিথ্যা মামলায় চুয়াডাঙ্গাতে কারাবরণকারী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার প্রান্ত। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্রী সিরাজুম মুনীরা, হাসনা জাহান খুশবু, মহিলা কলেজের অনিমা ইসলাম, ভাঙবাড়িয়া গ্রামের আসাদুজ্জামান, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র আরাফাত হোসেন, সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজের ছাত্র তানজিল হোসেন, আলমডাঙ্গা এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের হারুন অর রশিদ, বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র তামিম হোসেন, দামুড়হুদার তাসলিম আল মাহমুদ, সরোজগঞ্জের সাব্বির আহমেদ, হাটবোয়ালিয়ার মাহফুজ আনাম, মুন্সিগঞ্জের উৎসবসহ আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গাতে এবং ঢাকায় সরাসরি অংশ নিয়ে নানাভাবে আহত হওয়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া শাহরিয়ার শুভ’র পিতা আবু সাঈদ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারাতে বসা শিক্ষার্থী আল মেরাজকে জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে দিয়ে সম্মান জানান শিক্ষার্থীরা।

‘অভিজ্ঞতা: ঘটনার বর্ণন’ অনুষ্ঠানে আহত শিক্ষার্থীরা করুণ ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। কিভাবে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে কিভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে সেসব নির্মম ঘটনার বর্ণনা দেন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বস্ত করেন। বিচারের জন্য মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় সকল প্রকার সহযোগীতা করার কথা দেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দ্রুতই মামলা করা হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।




আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রি ও কৃষকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিংয়ের সময় ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

অভিযান চলাকালীন সময়ে সজল আহম্মেদ বলেন, আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বুধবার দুপুরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে আড়ত, সবজি, ডিম ও বীজ দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

তদারকিকালে মেসার্স শফিউল স্টোরে পূর্বে সতর্ক করা স্বত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শফিউল হককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় দুই হাজার টাকা এবং ছলেমান স্টোর নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বিপ্লব মিয়াকে একই অপরাধ ও ধারায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মেসার্স মা-মণি বীজ ভান্ডার নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে প্রচুর মেয়াদোত্তীর্ণ শাক-সবজি ও ফলের বীজ জব্দ করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রি ও কৃষকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লাল্টু মিয়াকে ৫১ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জব্দকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ জনসম্মুখে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

এ সময় সবজি বাজার, মুদি দোকান, আলু পেঁয়াজের আড়তসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয় বলে জানান তিনি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সজল আহম্মেদ।




ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ

ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বেশি পরিচিত। যার জন্য প্রতারকরা ফেসবুকেই সবচেয়ে বেশি প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখে। আর জালিয়াতকারীরা এমনভাবে তথ্য চুরি করে হুবহু একই রকম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যে, ব্যবহারকারীরা তা জানতেই পারে না। যা ‘ফেসবুক আইডি ক্লোন’ নামে পরিচিত।

এভাবে সাধারণত বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রী ও শিল্পীদের প্রোফাইল ক্লোন করে জালিয়াতকারীরা অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে সাধারণ মানুষও রক্ষা পাচ্ছেন না অভিনব এই জালিয়াতির খপ্পর থেকে।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতারকদের কাছে জালিয়াতির এক নতুন উপায় হলো এই ফেসবুক ক্লোন। এরা মূলত যারা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তাদের শিকার বানায়। হুবহু একই রকম অন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হয়। ক্লোন করা এই ফেসবুক আইডি থেকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠানো হয় ভুক্তভোগীর চেনা পরিচিতদের কাছে। আর তা ‘অ্যাকসেপ্ট’ করলেই শুরু হয়ে যায় জালিয়াতি। ব্যক্তিগত তথ্য, অর্থ, ই-মেইল এমনকি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের পাসওয়ার্ডও চুরি করতে পারে অপরাধীরা। তারপর জালিয়াতি শুরু হয় পরিচিতদের সঙ্গে।

এ ধরনের ফাঁদ এড়াতে ভীত না হয়ে প্রথমেই বিষয়টি পরিচিতদের জানাতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আত্মীয়, বন্ধুদের সতর্ক করতে হবে যেন তারা এমন কোনো ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ অ্যাকসেপ্ট না করে।

নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পোস্ট করতে পারেন। পোস্টটি সবার নজরে আনতে মন্তব্যের বক্সে ‘অ্যাট হাইলাইট’ বা ‘অ্যাট ফলোয়ার’ লিখতে পারেন। এছাড়াও ক্লোন অ্যাকাউন্টটি দেখলেই রিপোর্ট করার জন্য পরিচিতদের বলতে পারেন।

ভুয়া অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করবেন যেভাবে:

প্রথমে ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে গিয়ে সেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজে ফেসবুক পেজে যেতে হবে। সেখানে প্রোফাইলের ৩টি ‘ডট’ চিহ্নে ক্লিক করলেই ‘রিপোর্ট প্রোফাইল’ অপশন আসবে।

তারপর কেন ওই প্রোফাইল আপনি রিপোর্ট করতে চান সে বিষয়ে ফেসবুক কারণের তালিকা দিয়ে জানতে চাইবে। এরপর সঠিক কারণে ক্লিক করলেই সম্পন্ন হবে ক্লোন অ্যাকাউন্টের রিপোর্ট করার প্রক্রিয়া।

সূত্র: কালবেলা