মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে নারী-পুরুষসহ আটক ৬

মুজিবনগরের ৬ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধার দিকে মুজিবনগর থানার এস আই মেজবাহুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের ডেভিড দফাদারের বাড়ির সামনে গোপন বৈঠক করার সময় তাদের আটক করে।

আটকৃতরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের ডেভিট দফাদারের স্ত্রী সপ্না মন্ডল (৪৭), একই গ্রামের জোসেফ মন্ডলের ছেলে সুদিপ মন্ডল (৩৩) আনন্দবাস (খন্দকারপাড়ার) ফকির মোহাম্মদের ছেলে আ: আজিজ (৪৬), একই গ্রামের শওকত মোড়লের ছেলে মেহেদী হাসান (২২)মানিকনগর গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের স্ত্রী আসমা (৩২) ও আনন্দবাস গ্রামের এনামুলের স্ত্রী লাল ভানু (৪৫)।

থানা সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত আসামীগন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের সংগঠনের ব্যানারে একযোগে সারা বাংলাদেশের ন্যায় মুজিবনগর থানা এলাকার মধ্যে ১৫০০ থেকে ২০০০ সাধারণ মানুষকে সুদ মুক্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রলোভনের মাধ্যমে আগামী ২৫শে নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে সম্মেলনের নামে জমায়েত হওয়ার আহব্বান করে আসামীগণ ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে চলমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পরিস্থিতিকে অশান্ত করার জন্য মুজিবনগর থানা এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ও স্পর্শকাতর স্থানে অন্তর্ঘাত ও নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড করে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সকলে একত্রিত হয়ে ভবরপাড়া গ্রামের ডেভিট দফাদারের বাড়ির সামনে পরিকল্পনা করছিলো এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানার টহল টিম সেখানে অভিযান চালায়।

এমন সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে আসামী ৬ জনকে আটক করে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান,আসামীগণ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একে-অপরের সহায়তায় ও প্ররোচনায় অন্তর্ঘাত ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার জন্য একত্রিত হয়ে অবৈধ কার্য সম্পাদনের পরিকল্পনা করিয়া 15(3)/25D The Special Powers Act, 1974 ধারায় অপরাধ করিয়াছে তাই তাদের আটক করা হয়েছে।

আসামীদের নামে নাশকতার মামলা দিয়ে আজ রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে।




আইপিএলের মেগা নিলাম আজ

তিন বছর পর আবারো ঘুরে এলো মেগা নিলাম। প্রতিবছরই আইপিএলে খেলোয়াড় বিক্রির জন্য নিলাম হয়। তবে মেগা নিলাম হয় তিন বছর পর পর। মেগা নিলামের বছর দলগুলো আগের মৌসুম থেকে সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারে। দলগুলোকে বাকি সব খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়ে নিলাম থেকে আবার কিনতে হয়।

মেগা নিলাম ছাড়া বাকি নিলামগুলোয় খেলোয়াড় বিক্রির পরিমাণ থাকে কম। কারণ, জায়গাই তখন কম খালি থাকে। মেগা নিলামে বেশি খেলোয়াড় বিক্রি হয় বলে এটি দুই দিনব্যাপী হয়।

আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ১৫৭৪ জন খেলোয়াড়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত নিলামে জায়গা পেয়েছেন ৫৭৫ জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয়, ২০৯ জন বিদেশি (অ-ভারতীয়)। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ৪৮ জনের এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে (ক্যাপড), ৩১৮ জন এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় (আনক্যাপড)।

বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের ৩৮ জন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ৩৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকার আছেন ৩১ জন, নিউজিল্যান্ডের ২৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২২, শ্রীলঙ্কার ১৯, আফগানিস্তানের ১৮, বাংলাদেশের ১২, জিম্বাবুয়ের ৩, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ২ জন করে, স্কটল্যান্ডের ১ জন।

এবারের নিলামে অংশ নেবে ২০২৫ আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ২৫ ও সর্বনিম্ন ১৮ জনের স্কোয়াড তৈরি করতে পারবে। সুতরাং ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে সর্বোচ্চ ২৫০ জন খেলোয়াড় নিতে পারবে। এর মধ্যে ১০টি দল মিলে আগেই তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে। তার মানে সর্বোচ্চ ২০৪ জন খেলোয়াড় বিক্রি হবেন এবারের নিলামে। কোনো দল যদি ২৫ জনের স্কোয়াড না করে আরও ছোট স্কোয়াড করে, তাহলে সংখ্যাটা আরও কমে আসবে।

মেগা নিলামে একটা দল সর্বোচ্চ ১২০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগেই চুক্তিবদ্ধ ৫ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে, যাঁদের পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এরই মধ্যে ৭৫ কোটি রুপি খরচ হয়ে গেছে। সুতরাং অন্তত ১৮ জনের স্কোয়াড গঠন করতে হলে মুম্বাইকে বাকি ৪৫ কোটি রুপি দিয়ে আরও ১৩ জন খেলোয়াড় কিনতে হবে।

কোন দল কাদের ধরে রেখেছে
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: জসপ্রীত বুমরা (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬.৩৫), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬.৩৫), রোহিত শর্মা (১৬.৩০), তিলক বর্মা (৮ কোটি)।

চেন্নাই সুপার কিংস: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাতিশা পাতিরানা (১৩ কোটি), শিবম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাতিদার (১১ কোটি), যশ দয়াল (৫ কোটি)।

দিল্লি ক্যাপিটালস: অক্ষর প্যাটেল (১৬.৫ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩.২৫ কোটি), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)।

কলকাতা নাইট রাইডার্স: রিংকু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারাইন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণয় (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নীতিশ রেড্ডি (৬ কোটি), হাইনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি)।

গুজরাট টাইটানস: রশিদ খান (১৮ কোটি), শুবমান গিল (১৬.৫ কোটি), সাই সুদর্শন (৮.৫ কোটি), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)।

পাঞ্জাব কিংস: শশাঙ্ক সিং (৫.৫ কোটি), প্রভসিমরন সিং (৪ কোটি)।

রাজস্থান রয়্যালস: সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সোয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)।

মেগা নিলামে মার্কি খেলোয়াড়

দলগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে নিলামে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা করা হয়েছে। তাঁদের বলা হচ্ছে মার্কি খেলোয়াড়। এবার নিলামে মার্কি খেলোয়াড়দের দুটি সেট করা হয়েছে। প্রতি সেটে থাকছেন ৬ জন খেলোয়াড়। প্রথম সেটে থাকছে জস বাটলার, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্ত, কাগিসো রাবাদা, অর্শদীপ সিং ও মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় সেটে থাকছে যুজবেন্দ্র চাহাল, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মিলার, লোকেশ রাহুল, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।

যেভাবে হবে নিলাম

সবার আগে নিলামে উঠবেন মার্কি খেলোয়াড়েরা। তারপর এরই মধ্যে যাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে, তাঁদের নিজ নিজ বিশেষত্ব অনুযায়ী ভাগ করে নিলামে তোলা হবে, যেমন ব্যাটসম্যান, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার, স্পিনার। এরপর একইভাবে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের তোলা হবে নিলামে। ৫৭৪ জনের নিলাম শেষ হলে দলগুলো অবিক্রীত খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা দেবে। সেই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের আবার নিলামে তোলা হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত না দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে- মাসুদ অরুন

মানুষের সম্পদ যারা লুণ্ঠিত করেছে, তারা যদি তা ফেরত না দেয়, তাহলে জনগণ দাবি করলে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। যারা দালালি করে লক্ষ-কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের সেই টাকা জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে আমঝুপি বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গরিব মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। তবে, অতীতে দেখা গেছে, ১০ কেজি চাল নিতে হলেও বা বিধবা ভাতা নিতে হলেও মানুষকে “জয় বাংলা” বলতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা গরিব মানুষের প্রতি বৈষম্যহীন নীতিতে বিশ্বাস করি।

আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, গরিবের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। দুনিয়ার মেহনতী মানুষদের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই, শত্রুতা কেবল তাদের সঙ্গেই, যারা জনগণকে কষ্ট দিয়েছে এবং তাদের অধিকার হরণ করেছে। লড়াই এখনো শেষ হয়নি। যতক্ষণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না আসবে, ততক্ষণ বিএনপির কর্মীরা সতর্ক থাকবে। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে।

সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, রোমানা আহমেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল রহমান জাহিদ, ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ ফজলে রাব্বিসহ হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




গণফোরামের মেহেরপুর জেলা কমিটি গঠন

অর্থবহ পরিবর্তন ও সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়ে গণফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম পথিক কে আহবায়ক,জাহাঙ্গীর আলম যুগ্ম আহবায়ক ও মো সেন্টু কে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য মেহেরপুর জেলা কমিটি করা হয়।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কমিটি গঠন উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রফিকুল ইসলাম পথিকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাবুল হোসেন, হুমায়ন কবির, আহনাফ আবিদ, আসাদ বিশ্বাস , আবেদীন আশা।

সভায় রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আমুল সংস্কার করা জরুরি। ৫৪ বছর ধরেই লুটপাটতন্ত্র চর্চা হয়েছে, কেউ কম কেউ বেশি।




গাংনীতে সুজনের উপজেলা কমিটি গঠন

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) গাংনী উপজেলা সম্মেলন ও কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গাংনী এরিয়া অফিসে আয়োজিত সম্মেলনে করমদি ডিগ্রী কলজের শিক্ষক ও সুজনের উপজেলা শাখার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাদ মোহাম্মদ সায়েম পল্টুর সভাপতিত্বে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীনের এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের জেলা সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুল, নাগরিক কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবু্ব আলম, গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মহিবুর রহমান মিন্টু , বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলীমুজ্জামান ও কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আক্তারুজ্জামান লাভলু।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আগামী দুই বছরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও করমদি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক আবু সাদাদ মোহাস্মদ সায়েম পল্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট গাংনী উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মহিবুর রহমান মিন্টু, দিলরুবা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক বাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলীমুজ্জামান, করমদি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান লাভলু, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শাওন ও প্রচার সম্পাদক আঃ হাদি।




সদর ও গাংনী উপজেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীদের শপথ গ্রহণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীর মাওলানা সোহেল রানা ও গাংনী উপজেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীর ডাক্তার মো: রবিউল ইসলামকে শপথ করানো হয়েছে।

২০২৫-২৬ সেশনের জন্য তাঁদের মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত করা হয়।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে গাংনী দারুল এয়াতিমখানা হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা জামায়াতের আমীর হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। পরে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এসময় মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, জেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক জারজিস হুসাইন, গাংনী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নাজমুল হুদা, গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, জেলা জামায়াতের সূ্রা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, দুপুরের দিকে মেহেরপুর ট্রাষ্ট মসজিদে শপথ পাঠ করানো হয় সদর উপজেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমির মাওলানা সোহেল রানাকে। জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান তাঁকে শপথ পাঠ করান।

এসময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, জেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক জারজিস হুসাইন, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলারসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

২০২৫-২৬ সেশনে মাওলানা সোহেল রানা সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও ডাক্তার মো: রবিউল ইসলাম গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর  হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জামায়াতের উপজেলা নির্বাচন বিভাগের ৬৫ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী রোকনদের প্রত্যক্ষ ভোটগ্রহণ করে। পরে জেলা আমিরের কাছে ফলাফল হস্তান্তর করে।




চাকরি দিচ্ছে কানাডা হাইকমিশন

ঢাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডা হাইকমিশন। প্রতিষ্ঠানটি দুই ক্যাটাগরির পদে দুজন জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পদের নাম : সিনিয়র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স অফিসার

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন, মনিটরিং ও ইভালুয়েশনে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার পদে অন্তত দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো কূটনৈতিক মিশনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স ও এর ট্রেন্ড সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। কানাডার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসি ও প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক

কর্মঘণ্টা : সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা (সপ্তাহে দুই দিন ছুটি)

কর্মস্থল : ঢাকা (কানাডার হাইকমিশন)

বেতন : বছরে বেতন ৩৫,০৩,০৪১ টাকা।

পদের নাম : ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স অফিসার

পদসংখ্যা : ১

যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন, মনিটরিং ও ইভালুয়েশনে অন্তত তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্রাইসিস রেসপন্স বা হিউম্যানিটারিয়ান রেসপন্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স ও এর ট্রেন্ড সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। কোনো কূটনৈতিক মিশনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। কানাডার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসি ও প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অথবা রোহিঙ্গা ভাষা জানা থাকতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক

কর্মঘণ্টা : সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা (সপ্তাহে দুই দিন ছুটি)

কর্মস্থল : ঢাকা (কানাডার হাইকমিশন)

বেতন : বছরে বেতন ২০,৭৩,১২১ টাকা।

আবেদন : আগ্রহী প্রার্থীদের হাইকমিশন অব কানাডার ওয়েবসাইটের এই লিংক  থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। আবেদনের সময় কোনো সমস্যা হলে LES-E-Recruitment-MANIL@international.gc.ca এ ঠিকানায় মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।

আবেদনের শেষ সময় : ৪ ডিসেম্বর ২০২৪।

সূত্র: কালবেলা




দর্শনা সীমান্তে ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২২ টি স্বর্ণের গহনা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তৈরি কৃত ৩শ ৬ গ্রাম ওজনের ২২টি স্বর্ণের তৈরিকৃত গহনা উদ্ধার করেছে। তবে এ ঘটনায় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনী।

বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন ৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামে। এ সময় সুলতান ক্যাম্পের হাবিলদার আরিফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৭/৫- হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার পাশে এ্যাম্বুশ করে।

এ সময় বিজিবির টহল দল সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে মোটর সাইকেলযোগে উক্ত এলাকা দিয়ে সীমান্ত হতে দর্শনা অভিমুখে দিকে যেতে দেখে। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল আরোহীগণ মোটর সাইকেল ঘুরিয়ে সীমান্ত অভিমুখে পালানোর চেষ্টা করে। পরে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করলে মোটরসাইকেলের পিছনে থাকা আরোহী তার সাথে থাকা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ ফেলে দৌড়ে বাগানের ভিতর পালিয়ে যায়।

এ সময় বিজিবি চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া প্লাষ্টিকের ব্যাগটি জব্দ করে। জব্দকৃত প্লাষ্টিকের ভিতর হতে স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো ৩শ ৬ গ্রাম ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত ২২টি স্বর্ণের গহনা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক সোনার গহনার মৃল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

এ ঘটনায় হাবিলদার মোঃ আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে জব্দকৃত স্বর্ণের গহনাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়া শেষ করে ট্রেজারী অফিসে জমা দেন ।




আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

মাত্র একদিনের অপেক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসরের মেগা নিলাম। সেই নিলামের আগে দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হলেন তারা।

জানা গেছে, বিসিসিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। তাদের বোলিং অ্যাকশনও সন্দেহজনক তালিকায় রয়েছে। আইপিএল নিলামের আগে সব দলকে চিঠি পাঠিয়ে এই ৫ ক্রিকেটারের কথা জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড।

মানীশ, দীপকরা আইপিএলের নিয়মিত প্লেয়ার। মানীশ কেকেআরের হয়ে আইপিএল জিতেছেন। গত মৌসুমে ছোট নিলামে কেকেআর কিনেছিল তাকে। একাধিক ম্যাচে পরের দিকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে দল তাকে রাখেনি।

যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আগামীকাল (রোববার) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের মেগা নিলাম। দুই দিনব্যাপী এই মহাযজ্ঞে নিলামে তোলা হবে মোট ৫৭৫ জন ক্রিকেটারকে। তাদের মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। বাকি ২০৯ জন বিদেশি ক্রিকেটার। নিলামে বাংলাদেশ থেকে আছেন ১২ জন।

আর খেলা মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ১৪ মার্চ। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটি চলবে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। ২৫ মে ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে আসর। এবারের আইপিএল আগের সব আসরকে ছাপিয়ে যাবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে মাছ আর ভেড়া চাষে বদলে গেছে জামির হোসেনের পরিবার

মাছ আর ভেড়া চাষে বদলে গেছে জামির হোসেনের পরিবার। উদ্যোক্তাদের অনুকরণীয় হতে পারেন ওই পরিবারটি। প্রথমত স্বপ্ন থাকতে হবে, আর ওই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলেই সফলতা আসবেই বলে জানালেন উদ্যোক্তা জামির হোসেন । এই পরিবারটি বসবাস করেন কোটচাঁদপুর উপজেলার সংলগ্ন চুয়াডাঙ্গার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ভোমরাডাঙ্গা বাজার। ওই বাজার সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দা জামির হোসেনের পরিবার। সে বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। জামির হোসেন। বয়স ৩২ বছর।

তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে জামির হোসেন সবার ছোট। লেখা পড়া বেশি দুর করতে পারেনি সে। পরিবারের উপর অভিমান করে ২০০৬ সালের দিকে ঢাকা চলে যান জামির হোসেন। কাজ নেন গার্মেন্টসে। পাশাপাশি করতেন ব্যবসা। এভাবে চলে দীর্ঘ ১০ বছর।

এরপর ২০১৬ সালের দিকে বাড়িতে এসে ব্যবসার সাথে শুরু করেন মাছের চাষ। সেই থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁর। বর্তমানে ৯০ বিঘা পুকুরে মাছের চাষ করছেন জামির হোসেনের । এ ছাড়া ৯০ টি ভাড়া, গরু ও ছাগল রয়েছে তাদের ফার্মে। যা দেখা শোনো করেন পিতা ওমর আলী।

এ সব নিয়ে উদ্যোক্তাতা জামির হোসেন বলেন, তিন ভাই এক বোন আর পিতা-মাতা নিয়ে আমাদের পরিবার। পিতা ছিলেন দিন মুজুর। আমরা বড় হওয়ার পর লেখা পড়ার পাশাপাশি কাজ শুরু করি।

তবে কোন এক কারনে জীবনে লেখা পড়া বেশি দুর করা হয়নি। এরপর ২০০৬ সালের দিকে পরিবারের মানুষদের উপর অভিমান করে ঢাকা চলে যায়। ওখানে গিয়ে গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করি। পাশাপাশি ছিল ব্যবসা।

২০১৬ সালের দিকে বাড়িতে ফিরে এসে ব্যবসার পাশাপাশি শুরু করি মাছের চাষ। ব্যবসা ও মাছ চাষের বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঢাকাতে থাকতে কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম। সেই টাকা দিয়ে প্রথমে ৩০ বিঘা পুকুর বর্গা নিয়ে চাষ শুরু করেছিলাম। গেল ৭ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৯০ বিঘা জমি। বর্তমানে আমি ওই ৯০ বিঘা জমিতে মাছে চাষ করছি।

আর পিতা ওমর আলী আমাদের ছোট বেলা থেকেই ভেড়া চাষ করতেন। আমি শুনেছিলাম মাত্র ৫ টি ভেড়া পালন করতেন। এখন তাঁর খামারেও রয়েছে ছোট বড় ৯০ টি ভেড়া।

জামির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমার আরো দুই ভাই আমির হোসেন ও জমির হোসেনও মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদেরও রয়েছে পৃথক পুকুর।

ওই উদ্যোক্তা বলেন, এখন আমাদের পুরো পরিবারটি মাছ আর ভেড়া চাষ নিয়েই আছি। নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমার কি পরামর্শ, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথমত স্বপ্ন থাকতে হবে,আর ওই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলেই সফলতা আসবেই।
তিনি আরো বলেন, স্বপ্ন দেখে যদি কেউ মোবাইল আর চায়ের দোকানে সময় নষ্ট করেন। তাহলে কোন দিন স্বপ্ন সফল হবে না। সফল হতে হলে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে হবে।

ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ হোসেন বলেন,ওমর আলী ছিলেন দিন মুজুর। তিন ছেলে আর এক মেয়ে তাঁর। প্রথম জীবনে তিনি দিন মুজুর করে জীবিকা চালাত। আর সেই সময় থেকে দুই একটা করে ভেড়ার চাষ করতেন। এখন অনেক ভেড়া রয়েছে তাঁর ঘরে।

এ ছাড়া জামির হোসেন নামের এক ছেলে ঢাকা থেকে ফিরে এসে শুরু করেন মাছের চাষ। আর সেটা দেখে অনুপ্রেনিত হয়ে আরো দুই ভাই আমির হোসেন ও জমির হোসেনও মাছ চাষ করছেন। এখন পুরো পরিবার মাছ আর ভেড়া চাষ করছেন। আর ওই চাষেই বদলে গেছে তাদের পরিবার এটা বলা যায়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। সব জায়গায় এখনও যাওয়া হয়নি। এ ধরনের উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানানো উচিত। আপনারা বিষয়টি বললেন,আমি অবশ্যই ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিবো এবং আমার সাধ্যমত ওনার জন্য যা করার সেটা করবো।