কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিটিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দাউদ কবিরাজ (৭১) নামে একজন বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা শিমুলিয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ভিকু কবিরাজের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ওহিদুল কবিরাজের নেতৃত্বে ইলেন কবিরাজ, হাবিদুল কবিরাজসহ ১০/১২ জন দাউদ কবিরাজকে বেধড়ক মারপিট ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। হামলায় দাউদ কবিরাজ গুরুতর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দাউদ কবিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে মঙ্গলবার সকালের দিকে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের রানাখড়িয়া বালুঘাটের সম্মুখে থেকে এক অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের দেওয়া খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতর পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে তার শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডল জানান, কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কে রানাখড়িয়া বালুঘাটের সম্মুখে সম্ভবত সোমবার রাতে কে বা কারা এই যুবককে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায়। এখন পর্যন্ত ব্যক্তির কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।




দর্শনায় একাধাকি ট্রাক চুরি মামলার আসামী রিয়াদ জনতার হাতে আটক, আহত ৫

একাধাকি ট্রাক চুরি মামলার আসামী রিয়াদ এবার জনতার হাতে পাকড়াও হয়েছে। যশোর থেকে ট্রাক চুরি করে আনার পথে পথে ঘটিয়েছে একাধীক সড়ক দূর্ঘটনা। আহত হয়েছে ৫ জন। ছাগল মরেছে ৬টি। ভেঙ্গেছে মোটর সাইকেল ও পাখি ভ্যান। ট্রাক উল্টে খাদে ফেলে পালানোর সময় জনতার হাতে আটকের পর দেয়া হয়েছে উত্তম মাধ্যম। বিজিবি পৌছাতে রক্ষা পেলে জীবন। যশোর শেকাটি বাবলা তলার ইমরান আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন বাড়ির সামনের ঢাকা রোডে তার ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১১-৬৫২৭) রাখেন।

প্রতিদিনের মত গত পরশু সোমবার ওই স্থানে ট্রাক রেখে বাড়িতে যান মুরাদ। সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় রাত দেড়টার দিকে ৩ জন ট্রাকটি চুরি করে পালাতে। ট্রাক চুরি করে চালিয়ে আসছিলো দর্শনা মোহাম্মদপুরের শফি উদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে একাধীক ট্রাক চুরি মামলার আসামী রিয়াদ (২২)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে ট্রাক চুরি করে আনার পথে পথে ঘটিয়েছে সড়ক দূর্ঘটনা। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার সাথে সাথে দেশব্যাপী বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের বাসভবনে আগুন দেয়। পরে রিয়াদ রাতে টগরের বাড়িতে চুরি করতে গেলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এতে তার দুই হাত নাক পুড়ে যায়। দুইদিন চিকিৎসার পর যশোর থেকে ট্র্যাক চুরি করে পলানোর সময় আটক হয় রিয়াদ।

জানা গেছে জীবননগরে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুতগতিতে আসার পথে দর্শনা আকন্দবাড়িয়া বটতলায় কয়েকটি টোঙ দোকান ভেঙ্গেছে ট্রাকে। বটতলা থেকেই ট্রাকের পিছু নেয় ক্ষতিগ্রস্থরা।

এ সময় আকন্দবাড়িয়া গাংপাড়ার মালেকের মোটর সাইকেল ট্রাকের চাকায় গুড়িয়ে দেয়। কলুপাড়ার লিখনের ছেলে আবু সাঈদের হাত ও পা ভাঙ্গে। একই সড়কে ৬টি ছাগল মরেছে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে। ছাগলের মালিকেরা হলেন হেগো মিয়ার ছেলে শরিফুল ও শমসের মন্ডলের ছেলে মুকুল। আকন্দবাড়িয়া শামসুল ইসলাম সড়কের ধারে গাছের তলে বসে থাকা ভ্যান চালক সহ ১২ জনের মধ্যে ৮ জন রক্ষা পেলেও আহত হয়েছে ৪ জন।

আহতরা হলেন আকন্দবাড়িয়া ফার্মপাড়ার রহমতুল্লাহর ছেলে ভ্যান চালক ওয়াজেদ আলী (৪৬), চাঁদ আলীর ছেলে আক্তার (৬০), নুর ইসলামের ছেলে হারুন (৩০) ও আশা মন্ডলের ছেলে মিন্টু (৪০)। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ দিকে ওয়াজেদের ভ্যান ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। এ সময় ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার ধারের খাদে পরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে চালক অভিযুক্ত চোর রিয়াদ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয় ঈশ্বরচন্দ্রপুর থেকে। দেয়া হয় গণধোলাই। এক পর্যায়ে উথলী বিশেষ ক্যাম্পের টহল বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে রিয়াদকে নেয় তাদের হেফাজতে। পরে বিজিবি সদস্যরা রিয়াদকে সোপর্দ করেছে দর্শনা থানা পুলিশে। পরপরই দর্শনা থানা পুলিশ পৌছায় ঘটনাস্থলে।

এ দিকে খবর পেয়ে ট্রাক মালিক দুপুর ১২ টার দিকে পৌছান ঘটনা ট্রাক মালিক মুরাদ আলী। খাদ থেকে ট্রাক উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় মুরাদ আলী বাদি হয়ে যশোর সদর থানায় আটককৃত রিয়াদ সহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন,আমরা রিয়াদকে ৫৪ ধারায় কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছি তবে তার বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।




নিয়োগ দেবে যমুনা গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান/এমডি/পরিচালকের জন্য ‘প্রটোকল অফিসার/বডি গার্ড’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : যমুনা গ্রুপ

পদের নাম : প্রটোকল অফিসার/বডি গার্ড

পদসংখ্যা : ০৫টি

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১/২ বছর

বয়সসীমা : ২৫ থেকে ৪০ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৩ আগস্ট ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিস

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ সময় : ৩১ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি/এইচএসসি পাস

অন্যান্য যোগ্যতা : প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট/পার্সোনাল বডিগার্ড, কূটনৈতিক পরিসেবায় সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা

অন্যান্য সুবিধা : বছরে ২টি উৎসব বোনাস,কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আরও অন্যান্য সুবিধা।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




দর্শনা আন্তজার্তিক রেল বন্দরে ২০ দিন আমদানী রপ্তানি বন্ধ

টানা ২০ দিন দর্শনা আন্তজার্তিক রেল বন্দরে ভারত বাংলাদেশ আমদানী রপ্তানি বন্ধ রয়েছে কমেছে কয়েক গুন সরকারী রাজস্ব।

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় কোন মালবাহি ট্রেন প্রবেশ করেনি, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২০ দিনে ভারত থেকে আমদানিকৃত কোন মালবাহী ওয়াগন বন্দরে আসেনি। ফলে বন্দরের শ্রমিক, সি এন্ড এফ কর্মচারি ও সারা দেশ থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার হেলফার বেকার ও অলস সময় পার করছে। সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু সহ সংশ্লিষ্টরা জানালেন দু দেশের রাজস্ব হ্রাস পেতে পারে।

দর্শনা রেল বন্দর সুত্রে জানা যায় সম্প্রতি সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারনে ও ভারতীয় রেল পরিচালক ও আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তা সহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ রেল কতৃপক্ষ দেশের স্বাভাবিক অবস্থায় যখন গতকাল মঙ্গলবার থেকে মালবাহি ও লোকাল ট্রেন চালানোর সিন্ধান্ত নেন, সে সময় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে ভারতীয় মালবাহি ট্রেন প্রবেশ করার কথা থাকলেও তা আসেনি বলে দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার জানান। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম আরো জানালেন গত ২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোন ভারতীয় মালবাহি ওয়াগন আসেনি, তিনি বলেন আমদানি কারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা ওয়াগন পাঠাচ্ছে না। কি কারনে পাঠানো হচ্ছে না তা অবশ্য তারা জানায়নি । এ দিকে বন্দর শ্রমিক, সি এন্ড এফ এজেন্ট, কর্মচারি ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্রাকচালক ও হেলফারগন বেকার ও অলস হয়ে পড়ে আছে।

দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম জানান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলভাড়া বাবদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১শ ১৬ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় অনেক গুণ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরি জানান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১শ ৭৮ কোটি টাকা সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা যা লক্ষ মাত্রা তুলনায় অনেক গুণ কম।

দর্শনা সি এন্ড এফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু জানান দু দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহি ওয়াগন প্রবেশ দরকার।




১৫ বছর কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান তার কণ্ঠের মাদকতায় মাতিছেন কোটি দর্শক। তবে এই সংগীতশিল্পীর গান জনপ্রিয় হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারি বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে দেখতে পাননি দর্শক-শ্রোতা।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার খবরে বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে নানান প্রসঙ্গে কথা বলছেন অনেকেই। তাই এতদিন নিশ্চুপ থাকলেও এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পী মনির।

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মনির। সেখানে নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া অন্যায় ও অনিয়মের কথা জানান তিনি।

মনির খান বলেন, ‘১৫ বছর। হ্যাঁ, ১৫ বছরই তো! বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট আর বোবা কণ্ঠ নিয়ে কেটে গেল এতগুলো বছর। আমি একজন সংগীতশিল্পী। কিন্তু বিটিভি, বেতার কেন্দ্র, শিল্পকলা এবং সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি এই সময়ে। এমনকি অনেক বেসরকারি অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি।

এই গায়ক বলেন, আমার নামে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতার মতো মিথ্যা, হাস্যকর রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। কী অপরাধ ছিল আমার? হয়তো ভিন্ন মতের মানুষ ছিলাম-এটাই ছিল আমার অপরাধ। কখনও বলিনি আমি।

অঞ্জনা খ্যাত গায়ক বলেন, ছাত্র ও তরুণ সমাজের আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে এখন বাক স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, তাই বললাম। শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় কোনো বাঁধা বা দেয়াল থাকতে নেই। শিল্পীর কণ্ঠকে রোধ করতে নেই। আশা করি স্বাধীনতার এই নতুন সূর্যের আলোয় নতুন করে পাখা মেলবে শিল্প-সংস্কৃতি।’

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে দুই টাকায় দুপুরের খাবার ইয়াতিম শিশুদের মুখে তৃপ্তির হাঁসি

মাত্র দুই টাকায় দুপুরের খাবার। এখন আর দুই টাকা দিয়ে লজেন্স ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না। ভিখারিকে দিলেও অনেক সময় নিতে চাই না। আর সেই সামান্য দুই টাকার বিনিময়ে ইয়াতিম শিশুদের হাতে দুপুরের খাবার তুলে দিয়েছে ঝিনাইদহের প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে “দুই টাকায় হাসি” এর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। “তৃপ্তির হাসি ফুটুক ইয়াতিম শিশুদের মুখে মুখে” এই শ্লোগানে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানায় এ খাবার বিতরণ করা হয়। প্রতি মাসের নিয়মিত আয়োজনের ৭ম পর্বে মঙ্গলবার ঝিনাইদহে মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানার প্রায় ৪০ জন ইয়াতিম শিশুদের মাত্র ২ টাকায় দুপুরের খাবার সাদা ভাত ও গরুর মাংসের আয়োজন করা হয়। দুই টাকায় দুপুরের খার যা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।

মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানার ছাত্র আজিজ মিয়া মাত্র দুই টাকায় দুপুরের খাবার পেয়ে বললেন, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। দুই টাকায় খাবার পাবো এটা কখনও ভাবিনী।

খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম, দুই টাকায় হাসি পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ ওসমান গনিসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নচারু একাডেমি অব ফাইন আর্টস এর পরিচালক শাহিন চারুদেশ ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।

স্বপ্নচারু একাডেমি অব ফাইন আর্টস এর পরিচালক শাহিন চারুদেশ বলেন, প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর দুই টাকায় হাসি কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করি এবং এই কার্যক্রম শুধুমাত্র ঝিনাইদহে নয় বরং পুরো দেশব্যাপী যেন চলমান থাকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের এই মুখের হাঁসি যেন সদ্য ফোঁটা গোলাপের ন্যায় ফুটে উঠেছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম জানান, অসহায় ইয়াতিম শিশু, শ্রমজীবী ও অসহায়রাও তাদের মতো করে আত্মসম্মান নিয়ে সমাজে বসবাস করছেন। সম্পূর্ণ ফ্রিতে খাবার দেয়া হলে তাদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করা হবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ফ্রিতে না দিয়ে দুই টাকায় তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে। প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের কত টাকা তো এদিক-সেদিক খরচ হয়। আমাদের চারপাশে থাকা ইয়াতিম, শ্রমজীবি ছিন্নমূল পথশিশুদের জন্য কি আমরা এই সামান্য অর্থ ব্যয় করতে পারি না। আমরা মনে করি সমাজের পিচিয়ে পড়া এসব মানুষের সহযোগিতা করার জন্য অঢেল ধনসম্পদের চেয়ে সুন্দর মানসিকতাই বড়। এমন চিন্তা থেকে একদিন বন্ধু-বান্ধবের সাথে টোং দোকানের আড্ডা বাদ দিয়ে সেই টাকা অসহায় ইয়াতিম শিশুদের ও সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফুটানোর প্রতিজ্ঞা করি। তারপর থেকেই আমাদের সংগঠনের পথচলা শুরু করি।




মাছির উপদ্রবে নাজেহাল?

বর্ষার এই সময়ে মাছির ভীষণ উপদ্রব। অসুস্থতা এড়াতে মাছির উৎপাত থেকে বাঁচা ভীষণ জরুরি। কয়েকটি সহজ পরামর্শ অনুসরণ করলেই মাছি সহজে তাড়ানো সম্ভব। রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতাও।

পুদিনা পাতা ও ভিনেগার
রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগাতে পারেন। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি রান্নাঘরে থাকতে পারবে না। রান্নাঘরের কোণগুলিতে নিয়ম করে ভিনিগার স্প্রে করুন। ভিনিগার মাছির যম। এ ছাড়া ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলেও মাছি আপনার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকবে।

দারুচিনির তাজা গন্ধ
দারচিনির তাজা গন্ধেও রান্নাঘর থেকে মাছি দূরে থাকবে। রান্নাঘরের জানলায় দুই টুকরো দারচিনি রাখুন। লবঙ্গের গন্ধও মাছি সহ্য করতে পারে না। লবঙ্গ ছড়িয়ে রেখে দিলে সহজেই মাছি তাড়াতে পারবেন।

ধূপ আছে
বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে কোনো ক্যামিকেল স্প্রে না ব্যবহারই ভালো। মাছি তাড়ানোর সব থেকে ভাল উপায় হল রোজ সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালানো। ধুনোর গন্ধে সব পোকামাকড়ই চম্পট দেয়। আরও ভাল ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিতে পারেন। দেখবেন মাছি আর থাকবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




পাপন কোথায় জানেন না কেউ

বিসিবি সভাপতি ও সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ এখনো মেলেনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পরে আওয়ামী লীগের অনেকের মতো পাপনও গা ঢাকা দিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিসিবির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে বিসিবিতে রদবদলের জন্য অনেকে নেমেছেন আন্দোলনে। কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও কিছু করতে পারছেন না। নিয়ম না মেনে কাজ করলেই আইসিসি থেকে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। তাই উভয় সংকটে পড়েছে বিসিবি, ভূগছে সিদ্ধান্তহীনতায়।

গতকাল গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন পাপনের বিষয়ে বলেছেন, ‘কোনো যোগাযোগ হয়নি উনার সঙ্গে এখনো। জানিও না উনি কোথায় আছেন। সুতরাং বলতে পারব না। যদি যোগাযোগ হয় তাহলে কথা বলতে পারব। কিন্তু এখন যেহেতু পাপন ভাই নেই, যদিও উনি সভাপতি হিসেবে আছেন, এখনো পদত্যাগ যেহেতু করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন উপদেষ্টা হিসেবে, উনিই এখন সিদ্ধান্ত নিবেন, সবকিছু নির্ভর করছে উনার ওপরে। উনি যোগ্য ব্যক্তিকে তুলে নিবেন, সেটা উনিই চিন্তা করবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য অঙ্গনে কারা নেতৃত্ব দেবেন বা কারা সঠিক পথে নিয়ে যাবেন, সেটি উনি চিন্তা করবেন। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা একটি নির্বাচিত বোর্ড, সেই বোর্ডে কী হবে, সেটি সময় বলে দিবে।’

বিসিবিতে রদবদলের বিষয়ে সুজন বলেছেন, ‘উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তবে আমাদের সংবিধান, গঠনতন্ত্র ও আইনের নিয়মকানুন দেখতে হবে, দেখে তাকে একটু জানাতে হবে। তার পরে হয়তো বোর্ড থেকে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।’ আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, কেন করছেন আমি জানি না। তবে হ্যাঁ, একটা পট পরিবর্তন হলে অনেক কিছু হয়। সেটার ধারাবাহিকতায় হয়তো এগুলো হচ্ছে। বিসিবি তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আমি থাকি বা না থাকি সেটা সময় বলে দিবে। আর যারা আসবে তাদেরও স্বাগত জানাই। আমি সারা জীবনের জন্য বিসিবিতে থাকব, এমন নাতো। এটা আমার চাকরি নাতো। বিসিবির দুটি নির্বাচন করেই আমি পরিচালক হয়েছি। এখন যেই আসুক বোর্ড ভালোভাবে চলুক, উন্নয়ন হোক, সেটি আমরা সবাই চাই।’

ভবিষ্যৎ নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমরা অনেকে অনেক কথা বলছি। যা এই মুহূর্তে ঠিক না বলে আমি মনে করি। দেশকে আমরা আগে গড়ার চিন্তা করি। এখন দেশ গড়ার সময়। দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিগুলো ঠিক করার চেষ্টা করি। সবাই সবার জায়গা থেকে চেষ্টা করি। আমার জায়গা রাজনীতি না, ফুটবল না, আমার জায়গা ক্রিকেট। তো সেসব জায়গা থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা অনেক কিছু নিয়ে পড়ে আছি। অনেকে অনেক কিছুর স্বপ্ন দেখছে, দেখতেই পারেন। বোর্ড সভাপতি হবেন, বোর্ড ডিরেক্টর হবেন, সেটা হতেই পারেন। সময় আসলে সবাই সবকিছু হবেন। কিন্তু এখন সেই সময় না। একটা নতুন সরকার আসছে, যেন ভালো কিছু হয় আমরা সেই পথেই যেতে চাই। সবাই সবার পিছে না লেগে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হলে দেশ গড়ার কাজে লাগতে হবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় মাছ লুটপাটের ঘটনা পরিদর্শনে সেনা সদস্যরা

দামুড়হুদা ডুগডুগী কাটান বিলে মাছ লুটপাটের ঘটনায় হারুন শাকিলদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে বিলে বিষ দিয়ে ৫০ বিঘা জলমহালের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪শ মন মাছ লুটপাট করে হারুন শাকিলরা। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুগডুগি কাটান নামক বিল/জলকার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে লীজ গ্রহন করে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০০০ সাল হতে মাছ চাষ করে দেশের আমিষ যোগানে সহযোগিতা করে আসছে। যাহার পরিমান প্রায় ৫০ বিঘার মতো হবে। গত ইং- ০৫/০৮/২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ- মঙ্গলবার, সকাল- ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ হারুন এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর হোসেন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন আমার বিলে বিষ প্রয়োগ করে এবং লোকনাথপুর গ্রামের দরা কসাই এর ছেলে মোঃ নজু সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে ডোরা জাল দিয়া সকাল ১০টা হইতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরিয়া লুট করিয়া লইয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।

বিলের গার্ড সাধন ও আব্দুস সালাম বাঁধা দিলে ওরা তাদেরকে লাঠি দ্বারা মারধর করিয়া জীবন নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বিল হতে চলে যেতে বাধ্য করে। এঘটনা এলাকার শত-শত মানুষ দেখেছে এবং সাক্ষী আছে। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন, দৈনিক খাস খবর পত্রিকায় অভিযুক্ত দের নাম দিয়ে খবর ছাপা হয় এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঘটনার পরিদর্শন পূর্বক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপর যদি ওদের কোন রাগ থাকে বা কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আমাকে জানাতে পারতো, কিন্তু কোন কিছু না বলেই তারা আমার গাং এ বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে দিয়েছে। ছোট ছোট চারা মাছ সব শেষ করে দিয়েছে। বড় মাছগুলো সব বেড় জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর সুস্থ বিচার চাই।




মুজিবনগরে বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দম্পতিকে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী (৫০) ও তার স্ত্রী নুরজাহান (৪০) বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে একরাম আলী ও তার ছেলে শাহীন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাইলে মেহেরপুরের আর্মি ক্যাম্পের মাধ্যমে মুজিবনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়।

এ ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামের একরাম আলী তার ছেলে শাহীন আলী ও মেয়ে বিথী খাতুনকে আসামী করে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আহত ইউনুস আলীর বাড়িতে একরামুল আলীর ছাগল চলে যায়। পরে ইউনুস আলী সেই ছাগলকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইউনুস আলী ও তার স্ত্রীকে একরামুল ও তার ছেলে, মেয়ে মিলে হাসুয়া ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ ব্যাপারে একরামুলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ঘটনা ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।