গণভবনে সাধারণ মানুষের ঢল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গণভবনে ঢুকে গেছে লাখো লাখো মানুষ। করছেন উচ্ছ্বাস।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিকেল ৩টার দিকে গণভবনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা।

সোমবার (৫ আগস্ট) মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে সেনাবাহিনী বাধা দেয়। কিন্তু আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।

এরপর দুপুর পর গণভবন দখল করেন আন্দোলনকারীরা। গণভবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে উল্লাস করছেন তারা।
এদিকে উত্তরায় দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা আশপাশের গলি থেকে মূল সড়কের দিকে আসতে থাকেন। এ সময় উত্তরা-আজমপুর মূল সড়কে তারকাঁটার ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তায় আটকে রাখে সেনাসদস্যরা। মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

প্রায় আধাঘণ্টা পাশের সড়কে বিক্ষোভ করার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মূল সড়কে উঠে আসেন। পরে তারা শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।

রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে সেই সংঘর্ষের মধ্যেও তারা শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শাহবাগ অভিমুখে জনতার ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছেন সময় সংবাদের প্রতিনিধিরা




পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও রেহানা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি ইতোমধ্যে দেশও ছেড়েছেন। সাথে তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

এদিকে দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে সেনাপ্রধানের আলোচনা চলছে।

বর্তমান সংকট নিরসনে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআরের পরিচালক শাম্মী আহমেদ। তিনি বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

সূত্র: ইত্তেফাক




দুপুর ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে আইএসপিআর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…




গাংনীতে কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

গাংনীতে গোপনে গঠিত আর বি জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আজ রবিবার সকাল ১০ টার সময় আর বি জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোপনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। যেটা আমাদের অজানা। আমরা এই কমিটি মানিনা। আমরা অতি দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার জোর দাবি জানদচ্ছি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আর বি জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সবুজ খান।

রামনগর গ্রামের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম করে আসছে।এমনকি গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছে। এলাকাবাসী জানে না।তাই এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।তাছাড়া প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করে।

মানববন্ধনের সমন্বয়ক মো. বিপ্লব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের গোপনে কমিটি গঠনসহ নানা অনিয়ম রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার দাবি জানাচ্ছি সেই সাথে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করছি।

আর বি জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হাশেম খান বলেন, প্রধান শিক্ষক কিভাবে কমিটি গঠন করেছে তা আমি কিছুই জানিনা। আমি চায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুন্দর কমিটি গঠন করা হোক।মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আর বি জিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান লিখন বলেন, আমি নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করিনি। সবকিছু নিয়মের মাধ্যমে হয়েছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হোসনে মোবারক বলেন, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কোটচাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা

কোটচাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ভাংচুর চালিয়েছেন আওয়ামীলীগ কার্যালয়েও। রবিবার বিকেলে গণমিছিলের পর এ ঘটনা ঘটান আন্দোলনকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল ৩ টার সময় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোটচাঁদপুরে গনমিছিলের হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি মাইকিং করেন। এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় শহরের সব দোকান পাট। অফিসগুলো ও দেখা যায় তালা বদ্ধ।

এরপর আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণমিছিল করেন। পরে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে বাজার ঘুরে আবার মেইন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

তবে এর আগে আন্দোলনকারীরা কোটচাঁদপুর বাজারের পৌর শহরের মুক্তি যোদ্ধা ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। পরে ভাংচুর চালান কোটচাঁদপুর মেইনবাসস্ট্যান্ডে সড়কের আওয়ামীলীগ অফিসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী । তিনি বলেন,যাদের ভাংচুর করার তারাই করেছেন। তবে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই। ভাল হয় অন্য নেতাদের কাছ থেকে তথ্যটি জেনে নেয়া। তারা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।

কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, আমরা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি।




কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন পুলিশের সঙ্গে ছাত্র–জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে দশটা থেকে শহরজুড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আন্দোলনকারী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে মজমপুর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, এনএস রোডে পাঁচরাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, থানা মোড়ে মডেল থানার প্রধান ফটক, জেলা পরিষদ ভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা–ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মার্কেটে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দফায় দফায় কাদানে গ্যাসের শেল ও ছররা গুলি ছুড়েছে। তবে এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের কোথাও দেখা যায়নি। এসব ঘটনায় ছয় সংবাদকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ আন্দোলনকারী, পথচারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে শহরের মজমপুর বাস ডিপো মসজিদের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা। পরে বেলা ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এ সময় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশ থেকে শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। পরে তাঁরা চৌড়হাস মোড়ে গিয়ে সেখানে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এ সময় কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে সেখানে ছয়-সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। চৌড়হাস মোড়ে মুক্তিমিত্র স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর করা হয়।

চৌড়হাস মোড়ে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর ছাত্র-জনতা আবার মিছিল নিয়ে মজমপুর রেলগেটের দিকে রওনা হয়।
পরে রাইফেলস ক্লাবের পাশে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কার্যালয় ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সাদ্দাম বাজার মোড়ে শেখ রাসেল মার্কেটের দোতলায় কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মানজিয়ার রহমান চঞ্চলের ব্যক্তিগত কার্যালয় ও নিচতলায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এরপর মিছিলকারীরা একে একে মজমপুর রেলগেটে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে তাণ্ডব চালান; আগুন ধরিয়ে দেন।

পরে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়া মডেল থানা ও জেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়। হামলার সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েক নেতা-কর্মী শান্তি সমাবেশ করছিলেন। এ ছাড়া বড়বাজার রেলগেটের কাছে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। বেলা দুটোর পর আন্দোলনকারীরা পুনরায় মজমপুর বাস ডিপো মসজিদের সামনে জড়ো হন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরা পারসন এস আই সুমন, একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি শাহিন আলী, স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক শিকল এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, দেশ টিভির ক্যামেরাপারসন ইরফান রানা ছররা গুলিতে আহত হন। এ ছাড়া দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বিকেল সাড়ে চারটার দিকেও চলছিল। এতে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।

এসব বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সর্তক অবস্থানে ছিল। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের স্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়েন।




মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল

সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের শামসুদ্দোহা পার্কে এসে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

মিছিলটির নেতৃত্ব দেন বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিনুল ইসলাম মোমিন।

এসময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন, উপ-প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামান, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ সহজেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




একদিন এগিয়ে সোমবার ‘মার্চ টু ঢাকা’

আন্দোলনকারীদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

রোববার (৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। অর্থাৎ আগামীকালই সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আজ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি হয়েছে। চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার সময় এসে গেছে। বিশেষ করে আশপাশের জেলাগুলো থেকে সবাই ঢাকায় আসবেন এবং যারা পারবেন আজই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। ঢাকায় এসে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা রাজপথগুলোতে অবস্থান নিন।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, চূড়ান্ত লড়াই, এই ছাত্র নাগরিক অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত স্বাক্ষর রাখার সময় এসে গেছে। ইতিহাসের অংশ থেকে সবাই ঢাকায় আসুন। যে যেভাবে পারেন ঢাকায় কালকের মধ্যে ঢাকায় চলে আসুন। ছাত্র-জনতা এক নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাবে।

এর আগে, এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) সারা দেশে শহীদদের স্মরণে শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করার কথা জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া শাহবাগে সকাল ১১টায় শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকেল ৫টায় নারী সমাবেশে ডাক দেওয়া হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সারা দেশের ছাত্র-নাগরিক-শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়। যেটিকে লংমার্চ টু ঢাকা নাম দেওয়া হয়েছে। এখন লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে আনল আন্দোলনকারীরা।

এদিকে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ১৪ জেলায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জে দুজন, মাগুরায় পাঁচজন, পাবনায় তিনজন, রংপুরে তিনজন, সিরাজগঞ্জে সাতজন, বরিশালে একজন, ভোলায় তিনজন নিহত, বগুড়ায় দুজন, জয়পুরহাটে একজন, ফেনীতে পাঁচজন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, কুমিল্লার দেবিদ্বারে একজন নরসিংদীতে ছয়জন ও সিলেটে দুজন নিহত হয়েছেন।

সূত্র: কালবেলা




তিন দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক

আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) বন্ধ থাকবে ব্যাংক। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে সারা দেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে, বিকালে দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ও জীবননগরে কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ

একদফা দাবীতে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে কর্মসূচী পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন তারা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। জেলাজুড়ে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত আছে। রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।

এসময় তারা একদফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে যান চলাচল বন্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কের দু পাশে সৃষ্টি হয় যানজট। একই সময় জেলা শহরের কোর্টমোড় এলাকাতে বিক্ষোভ করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। শহরের হাসপাতাল সড়কে সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালে সেখানে ৩ জন আহত হন।

দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শহরে ছাত্র ছাত্রী ও জামাতের লোকজন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে জড়ো হলে কিছুটা চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।তারপর মানুষের মনে আতঙ্কসৃষ্টি হয়। মুহূর্তে জনশূন্য পরিনত হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। রোকসানা মিতা প্রশাশন সাথে নিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ দর্শনাকে শান্ত করার জন্য মটরসাইকেল মহড়া দেয় এবং তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য প্রকাশ্যে পটকা ফুটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া জেলার বদরগঞ্জ, জীবননগর ও আলমডাঙ্গাতেও সড়কে নামে আন্দোলনকারীরা। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে জেলাজুড়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।