৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা

দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (০৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন বলেন, তিন দিন সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগির এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন চলছে। রাজধানীর শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫২ জন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে গণবিক্ষোভের নামে ছাত্র-জনতার তান্ডব, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত ২৫

ঝিনাইদহে গণবিক্ষোভের নামে ছাত্র-জনতার তান্ডব, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পুলিশের রাবার বুলেট সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থপনা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করেছে আনোদলনকারীরা। একজন সাংবাদিকসহ আহত ২৫।

আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল প্রায় ২টা পর্যন্ত চলে এই তান্ডব ও গণ মিছিল। আন্দোলনকারীরা পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ, থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এছাড়া আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, বঙ্গবন্দু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত আওয়ামী লীগ নেতাদের পোস্টার, ব্যানার, ছাত্রলীগের অফিস ও ঝিনাইদহ ডাকঘরের গ্লাসসহ বিভিন্ন স্থপনা ভাংচুরের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসুচির প্রথম দিন অতিবাহিত হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলে শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হন। ভাংচুর করা হয় দুইটি পুলিশ বক্সও। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও কয়েক জনকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, সাবিক, সবুজ, আপন, মহিবুল্লাহ, আল-কাবির, মৃদুল, পারভেজ, সিফাত, পিকুল, ফয়সাল সোয়াদ, সজল রাব্বি, সাব্বির, রাজু, হাসিব, মেহেদী, আসিফ, নয়ন, আবিদ, সাগর ও শাওন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ নুসরাত জাহান জানান, আহত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ১৩ জনের গায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। বাকীরা কাঁদানে গ্যাসে আহত হয়েছেন।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের ছবি তুলতে গিয়ে সময়ের আলোর সাংবাদিক কাজী আলী আহম্মেদ লিকু, সাংবাদিক মিরাজ, সুজন, ও হাসান বিক্ষোভকারীদের হাতে আহত হন।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত ‘ঝিনেদা টিভি’ নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক মিডিয়া অফিসের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকা বিক্ষোভকারীদের দখলে ছিল। জেলা সদরের সব পুলিশ এ সময় সদর থানার মধ্যে অবস্থান গ্রহন করে।

আজ রোববার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট দখল করে নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। বেল ১১টা থেকে জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্ররা ঝিনাইদহ শহরে সমবেত হতে থাকেন। এরপর ঝিনাইদহ পাবলিক হেলথ জামে মসজিদ, আরাপপুর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে এক যোগে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল ও শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঝিনাইদহ শহর। প্রথম থেকেই ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। দুপুরের দিকে মিছিলটি পায়রা চত্বর থেকে থানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা জানতে পারে তাদের দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের ছাড়াতে ছাত্র জনতা জোটবদ্ধ হয়ে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় বিক্ষোভকারীরাও থানার মধ্যে অবস্থান নেয়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘন্টাব্যাপী চলার পর আবারো জোটবদ্ধ হয়ে তারা পায়রাচত্বর ও পোষ্ট অফিস মোড়ে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যানার, ফেষ্টুন, দুইটি পুলিশ বক্স, প্রেরণা একাত্তরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী শারমিন সুলতানা, রায়হান ও হুসাইন কর্মসুচি শেষ করার ঘোষনা দেয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফেরার পথে পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন, শহরের মডার্ন মোড়ে নির্মিত আ’লীগের সভামঞ্চ ও বিদ্যুত উন্নয়ন অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করতে দেখা যায়। এসময় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে তারা বিকাল ৪টার পর মাঠে নামেন এবং একটি শান্তি মিছিল করেণ।




শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সমর্থনে ফেসবুক লাল করলেন তাপস

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুক লাল করে ফেললেন গান বাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস। ফেসবুকে ‘লাল রঙ’ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে একটি বার্তাও দিয়েছেন কৌশিক হোসেন তাপস।

তিনি লিখেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি ব্যথিত, মর্মাহত। একজন সচেতন নাগরিক, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বোপর একজন মানুষ হিসেবে আর চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। যা ঘটেছে তা অন্যায়।

হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বন্ধ হোক সকল হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা। ধ্বংসযজ্ঞ চাই না, সুবিচার চাই। কে নিশ্চিত করবেন? মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী কী জবাব দেবেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সবসময় মানবতার পাশে ছিলেন, এই দুর্দিনে আপনি জানাবেন কি এর সমাধান কোথায়?

এর আগে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে লাল রঙের মাঝে মানচিত্রের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। যেই একই ছবি প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বনামধন্য গীতিকার প্রিন্স মাহমুদকেও।

সূত্র: ইত্তেফাক




 মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি

সারা বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে জামাত-বিএনপি’র যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তার মোকাবেলা এবং জনগণের জানমাল রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ।

মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে বেলা বারোটা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা গাইন,দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন, দারিয়াপুর চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম রবি, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীবৃন্দ।

এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেওয়ার সময় সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী রাস্তাদিয়ে মটরসাইকেরে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগকে টোকায় লীগ বলে কটুক্তি করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীর এগিয়ে গিয়ে ছেলেটিকে রক্ষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।




সংঘর্ষ-গুলিতে উত্তাল দেশ, নিহত বেড়ে ৫২

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, এ সময় অস্ত্র হাতে হামলা করতে দেখা যায়
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, এ সময় অস্ত্র হাতে হামলা করতে দেখা যায়
বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন চলছে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ। বেড়েই চলছে নিহতের সংখ্যা। আন্দোলন প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে নরসিংদীতে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, রংপুরে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, পাবনায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, রাজধানী ঢাকায় ২ জন, কুমিল্লায় ১ জন, জয়পুরহাটে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৩৮ জন নিহতসহ আরও অনেকেই।

বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতের খবর

পাবনা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে শহরের এ হামিদ রোডের ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলো, মহিবুল (১৬), জাহিদ (১৯) ও ফাহিম।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক পৃথক হামলা চালায়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

মাগুরা: মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

রংপুর: রংপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাসুম, খায়রুল ইসলাম খসরু, পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রসিকের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে শহরজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুপক্ষই অবস্থান নেয়।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শহরের সব রুট দখলে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের এসএস রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, যুবদল নেতা রন্জু (৪০), ছাত্রদল নেতা সুমন (৩০) ও যুবদল কর্মী আব্দুল লতিব (৪২)।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা। এ সময় তারা ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাসা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসা, আওয়ামী নেতা বিমল কুমার দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চয়ন ইসলাম এমপির বাসা ভাঙচুর করা হয়। বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ। সদর থানার ওসির সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তিনজন নিহতের খবর শুনেছি। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারিনি।

বরিশাল: বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়িতে হামলার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় মহানগর ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরী নিহত হয়েছেন। পরে আন্দোলকারী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়ির সামনে ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।

ভোলা: ভোলার নতুন বাজারে আইনশৃঙ্খলনা রক্ষাকারী বাহিনী গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিন (৭০) নামে একজন ছাতা শ্রমিকের পরিচয় জানা গেলেও দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর বলে জানা গেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা আ.লীগ অফিস, শ্রমিক লীগ অফিস ও পৌরসভা ভাঙচুর চালিয়ে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় ডিসি অফিসের দুটি গাড়িতেও আগুন দেয় তারা।

বগুড়া: বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। রোববার বগুড়ার সাতমাথায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযাগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ফেনী: ফেনীতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী মহিপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। ফেনী ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ৫৬ জন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ, শনির আখড়া, নয়াবাজার, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, প্রেসক্লাব এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৫৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আগামীকাল থেকে তিনদিনের সাধারণ ছুটি

চলমান অবস্থায় আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আজ রোববার নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলছে। গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশে অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এই সমাবেশেই অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে উপজেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে উপজেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজীব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন,সহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী সহ স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।

সভায় দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জনগণের জানমাল রক্ষা ও সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।

এ সময় বক্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেই সমস্ত গুজব থেকে অভিভাবক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকে কান না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদেরকে সচেতন করে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানোর বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।




বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটচাঁদপুরে গণমিছিল

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটচাঁদপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে শান্তিপূর্ন গণমিছিলের কর্মসূচী পালিত করেছেন। আজ রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় মেইনবাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি বের হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার বিকেল ৩ টার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি মেইনবাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে বলুহর স্ট্যান্ডে যায়। এরপর কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে বাজার ঘুরে আবার মেইন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

এ মিছিলের সঙ্গে একত্রতা প্রকাশ করেন বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরাও। এ ছাড়া মিছিলে নারীদের অংশ গ্রহনও ছিল চোখে পড়ার মত। মিছিলটিতে ১০ হাজারের উপর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

তবে মিছিলের আগে পরে পুলিশের কোন উপস্থিতি দেখা যায়নি।




প্যারিস অলিম্পিকে উগান্ডার চেপতেগেই রেকর্ড

প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ হাজার মিটার দৌড় ইভেন্টে চরম নাটকীয়তা দেখল বিশ্ব। যেখানে রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন উগান্ডার ২৭ বছর বয়সী অ্যাথলেট জোশুয়া চেপতেগেই। তার হাত ধরেই এবারের অলিম্পিকে প্রথম পদকের দেখা পেল উগান্ডা। তবে এই পদক জয়ের পেছনে রয়েছে মিশ্র অভিজ্ঞতা।

গত পরশু রাতে লড়াইয়ে নেমেছিলেন ১৩ অ্যাথলেট। সেখানে ইথিওপিয়া থেকে সেলেমন বারেগা, ইয়োমিফ কেজেলচা ও বেরিহু আরেগায়ি ছিলেন। এর মধ্যে বেরিহু আরেগায়ি তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, গেলবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তিনিসহ দেশটির আরও দুই অ্যাথলেট দৌড়ানোর সময়ে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। শুরু থেকে বোঝা না গেলেও কিছুক্ষণ পরে সকলের সামনে সেটি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। নিজেদের কৌশল নিয়ে আরেগায়ি বলেছেন, ‘আমরা দলগতভাবে একটা কৌশল গ্রহণ করেছিলাম। আমরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখে বাকিদের পেছনে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমরা স্বর্ণ জিততে পারলাম না।’

মূলত ইথিওপিয়ার এই তিন অ্যাথলেট চেয়েছিলেন, নিজেদের দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে। এজন্য শুরু থেকেই ভাগ হয়ে কখনো একসঙ্গে দৌড়ে বাকিদের আলাদা রাখতে চেয়েছেন। যারা এগিয়ে যেতে চেয়েছেন তারা এই তিন জনের বাধার মুখে পড়েছেন। চেপতেগেই শুরু থেকেই সেটি বুঝতে পেরেছিলেন বেশির ভাগ সময় মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষদিকে এসে আসল শক্তি দেখিয়ে দিয়েছেন। শেষের ৪০০ মিটার আগেও উগান্ডার এই দৌড়বিদ ছিলেন পেছনে। সেখান থেকে গতি বাড়িয়ে সবার আগে চলে আসেন। পেছন থেকে আরেগায়ি হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করেও পারেননি।

অন্যদিকে চেপতেগেইয়ের মতো ‘শেষ ভালো’ করে পদক তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ট ফিশার। স্তাদে দে ফ্রান্সে চেপতেগেই ১০ হাজার মিটার দৌড় শেষ করেছেন ২৬ মিনিট ৪৩.১৪ সেকেন্ডে। অলিম্পিকের এই ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে কম সময়ে দৌড় শেষ করার রেকর্ড। এর আগে রেকর্ড গড়েছিলেন ইথিওপিয়ার কেনেনিস বেকেলের। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে তিনি ২৭ মিনিট ১.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরে সেই আসন দখল করলেন চেপতেগেই। ২৬ মিনিট ৪৩.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য জিতেছেন আরেগায়ি। তার থেকে মাত্র ০.০২ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ফিশার। এ দিকে ছেলেদের অ্যাথলেটিকসে ১০ হাজার মিটার ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডও চেপতেগেইরই দখলে তিনি ২৬ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




১২ জেলায় ৩১ জন নিহত

বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ১১ জেলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জে দুজন, মাগুরায় পাঁচ জন, পাবনায় তিনজন, রংপুরে তিনজন, সিরাজগঞ্জে তিনজন, বরিশালে একজন, ভোলায় তিনজন নিহত, বগুড়ায় একজন, জয়পুরহাটে একজন, ফেনীতে পাঁচজন, কিশোরঘঞ্জে ৩ জন ও কুমিল্লার দেবিদ্বারে একজন নিহত হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৪ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।

মাগুরা : মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (০৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শহরের পারনানন্দুয়ালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বী নিহতের বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর : রংপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার (০৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাসুম, খায়রুল ইসলাম খসরু ও পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে শহরজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুপক্ষই অবস্থান নেয়।

পাবনা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে পাবনায় গুলিতে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার (০৪ আগস্ট) দুপুরে শহরের এ হামিদ রোডের ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলো, মহিবুল (১৬), জাহিদ (১৯) ও ফাহিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা সদর হাসপাতাল সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শহরের সব রুট দখলে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের এসএস রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, যুবদল নেতা রন্জু (৪০), ছাত্রদল নেতা সুমন (৩০) ও যুবদল কর্মী আব্দুল লতিব (৪২)।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্র ও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাসা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসা, আওয়ামী নেতা বিমল কুমার দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চয়ন ইসলাম এমপির বাসা ভাঙচুর করা হয়। বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসির সিরাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা তিনজন নিহতের খবর শুনেছি। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারিনি।

বরিশাল : বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়িতে হামলার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় মহানগর ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরী নিহত হয়েছেন। পরে আন্দোলকারী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়ির সামনে ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।

ভোলা : ভোলার নতুন বাজারে আইনশৃঙ্খলনা রক্ষাকারী বাহিনী গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিন (৭০) নামে একজন ছাতা শ্রমিকের পরিচয় জানা গেলেও দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর বলে জানা গেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এসময় আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা আ.লীগ অফিস, শ্রমিক লীগ অফিস ও পৌরসভা ভাঙচুর চালিয়ে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় ডিসি অফিসের দুটি গাড়িতেও আগুন দেয় তারা।

বগুড়া : বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

রোববার (০৪ আগস্ট) বগুড়ার সাতমাথায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

এদিকে আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা এলাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে পুরো শহর।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযাগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজা চৌধুরী, মীর মোয়াজ্জেম, মাহমুদ হোসেন হিমু, অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফেনী : ফেনীতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী মহিপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম টিটুর বাসার আগুন নেভানোর সময় দুইজন কেয়ারটেকার ও স্ট্রোক করে একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : কুমিল্লার দেবিদ্বারে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন।

নিহত যুবকের নাম আব্দুর রাজ্জাক রুবেল (৩৩)। তিনি দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান। তিনি বলেন, রুবেলের মরদেহ শনিবার দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থা নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। স্বাধীনতা চত্বর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন রুবেল।




মেহেরপুরে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল, সাংবাদিক আহত

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেহেরপুরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা।

সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন এবং সরকার পতনের দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান তোলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা শ্লোগান দেন, “এক দফা এক দাবী, শেখ হাসিনা কবে যাবি, আমার ভাই মরলো কেনো শেখ হাসিনা জবাব দে”।

আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে আটকে পড়ে শহরের বিভিন্ন যানবাহন। আটকে দেওয়া হয় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও মুজিবনগর সড়ক। ফলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের ‘একদফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ’,  দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, – আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, সোনার বাংলায় বৈষম্যের কোন ঠাই হবে না। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল মারা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ভাই, সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছে। এখন আমরা এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে , মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ লাঠি দিয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদকে বেদম মারধর করে। আবু সাঈদকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের ছবি নিতে গেলে যুগান্তরের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দেন তারা।

এদিকে মেহেরপুর শহরে যুবলীগ, গাংনীতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।