দামুড়হুদায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বাজার মনিটরিং ও ট্রাফিকের দায়িত্বে

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কারী ছাত্র-ছাত্রীরা দামুড়হুদা উপজেলা শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বাজার মনিটরিং ও ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুল, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, ফাস্ট মাল্টিমিডিয়া, রোভার স্কাউট, স্কাউট সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দামুড়হুদা উপজেলার সমন্বয়ক দর্শনা সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জিতু আহসান বলেন, রবিবার সকালে আমাদের শিক্ষার্থীরা দামুড়হুদা উপজেলা শহর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বাজার মনিটরিং কর্মসূচি পালন করে। পরে দুপুর থেকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে সড়কে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনে।




কোটচাঁদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জান মালের নিরাপত্তা দেবে কোটচাঁদপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ কোটচাঁদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর জামান মনা।

আজ রবিবার (১১ আগষ্ট) বিকালে মেইন বাজারে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের সভাপতি শিক্ষক দিবস চন্দ্র সিংহ।

বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারান চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান মিন্টু,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান শেখর, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল মাখন,ঝিনাইদহ সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন বসু মুক্ত, জেলা বিএনপির সদস্য ইকরামুল হক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান, দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভুইঁয়া প্রমুখ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সিদ্দিক।

এ সময় উপস্থিত ছিল উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ




বিটিআরসি চেয়ারম্যানের পিএসসহ দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিবসহ (পিএস) দুই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক ও চেয়ারম্যানের পিএস আমজাদ হোসেন নিপু এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স (ইঅ্যান্ডও) বিভাগের উপপরিচালক মাহদী আহমেদ।

কমিশনের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবির মুখে এ দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকেও পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।

রোববার (১১ আগস্ট) সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করেন প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় চেয়ারম্যানসহ ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক এবং কমিশনার দেলোয়ার হোসাইন কমিশনে ছিলেন না। তবে অন্য দুই কমিশনার প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ (স্পেকট্রাম) এবং ড. মুশফিক মান্না চৌধুরী (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) কমিশনে উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ এবং তার ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমজাদ হোসেন ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বিটিআরসিতে নিয়োগ পান এবং পরবর্তীতে বিটিআরসিতেও ব্যাপক দলীয়করণ এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। এসব কাজে তাদের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণাধীন ইঅ্যান্ডও বিভাগের উপপরিচালক মাহদী আহমেদ।

বিক্ষোভের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আমীন বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি, দলীয়করণ এবং স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। এ কাজে তাদের সহযোগী ছিলেন আমজাদ এবং মাহদী। চেয়ারম্যান বুয়েটে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং আমজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তাদের কারণে অনেক মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা তাদের পদত্যাগ চাই। চেয়ারম্যান আজ (রোববার) অফিসে আসেননি এবং তার পিএস আমজাদ পালিয়েছে। মাহদীকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। পদত্যাগ না করলে তাকে ছাড়া হবে না।

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে চেয়ার‍ম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক জানান, ডায়রিয়ায় অসুস্থ বলে তাকে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

বিক্ষোভকারীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল হক কালবেলাকে বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের সভায় বিটিআরসির প্রতিনিধিত্ব করতে সকাল থেকে সচিবালয়ে ছিলাম। সভাশেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বিষয়টি জানতে পারি।

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু সবার একটা সেন্টিমেন্ট (অনুভূতি) আছে, সেটাকে একেবারে অবহেলা করা যায় না। তাদের সেই সেন্টিমেন্ট কীভাবে প্রশমিত করা যায় সেজন্য বিধিমালা দেখছি। বিধিসম্মত এবং সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

এর প্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পৃথক পৃথক অফিস আদেশ জারি করে কমিশন। কমিশনের প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আফতাব মো. রাশেদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশগুলোতে বলা হয়, ওই কর্মকর্তার (আমজাদ ও মাহদী) বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় অসাধু সিন্ডিকেটে জড়িত থেকে দুর্নীতি করেছেন মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এবং কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে নিপীড়ন ও নিষ্পেষনের প্রেক্ষিতে তাকে বিটিআরসি চাকরি প্রবিধিমালা ২০২২ বিধি-৪৮ ও ৫৪ ধারা এবং সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩ (খ), (ঘ), (ই) ও বিধি-১২ (১) অনুযায়ী কমিশনের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে উল্লেখ করে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: কালবেলা




প্রকিউরমেন্ট অফিসার নেবে এসিআই

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)। প্রতিষ্ঠানটি প্রকিউরমেন্ট অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)

পদের নাম: প্রকিউরমেন্ট অফিসার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল ও সাপ্লাই চেইনে দক্ষতা

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর, তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করা যাবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিস

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৯ আগস্ট ২০২৪




ঝিনাইদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে জেলা জামায়াতের মতবিনিময়

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও হামলা আতংক দূর করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা জামায়াত। গতকাল শনিবার রাতে শহরের শ্রী শ্রী বড় মাঠ কালি মন্দিরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যপক আলী আযম, সেক্রেটারি মো: আব্দুল আওয়াল, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আব্দুল আলীম, শহর আমীর হারুন আর রশিদ সিনিয়র এডভোকেট আব্দুর রশিদ, এডভোকেট ইসমাইল হোসেন, শিবির সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। প্রয়োজনে মন্দির বা বাসা-বাড়ি পাহারা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে। সনাতন ধর্মাবলম্বী যেকারো সাথে অন্যায় করা হলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

আলোচনা সভা শেষে গত ১৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় পঙ্গুত্ববরণকারী রিক্সাচালক কান্ত দাশের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেন তারা।




পুলিশ সদস্যদের চার দিনের আল্টিমেটাম

পুলিশের যেসব সদস্য এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি তাদের আগামী বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশে পুলিশ ফিরে না এলে কী অবস্থা হতে পারে তা আপনারা জানেন। একটু আগে ব্যাংকের মধ্যে মারামারি দেখলাম। মনে হচ্ছে, যার মতো যা পারে দখল করতে করছে। আমি প্রথমেই বলতে চাই, যারা এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি তাদের ফেরার সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে যোগদান না করলে আমরা ধরে নেব, আপনারা চাকরি করতে ইচ্ছুক নন। এ বিষয়ে পুলিশের আইজিপি, র‍্যাবের ডিজি এবং ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার স্থানে চলে যাবেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আপনারা ডিউটিতে থাকবেন। কারও গায়ে অহেতুক কেউ হাত দিবেন না। বিচারের প্রক্রিয়াটা করব আমরা। কিন্তু বিচার বিভাগ তাদের বিচার করবে। বড় বা ছোট যারা দোষী হবেন তাদের পানিশমেন্ট দেওয়া হবে। কাউকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা যাবে না।

জনগণের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আপনারা পুলিশের গায়ে হাত উঠাবেন না। আপনারা নিজেরাই সাফার করছেন। রাতে আমার কাছে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে বলে ফোন আসে। আমি বলি, আল্লাহ আল্লাহ করো। ডাকাতি হলে পুলিশ না থাকলে কী করবে?

তিনি আরও বলেন, পুলিশের আহতদের আমি এইমাত্র দেখে এসেছি। আমাদের যতদূর করা দরকার তা আমরা করব। আপনারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে জয়েন করেন। এটা প্রথম প্রায়োরিটি। একটু আগে দেখলাম আনসারের একটা অংশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। তাদের কিন্তু দাবি দাওয়া আছে। সবার দাবি দাওয়া আছে। আমারও দাবি দাওয়া আছে। আমার দাবি দাওয়া হচ্ছে আপনারা ফিরে যান আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে যতটুকু করা দরকার ইমিডিয়েটলি করব। আমি কোনো রাজনৈতিক লোক না। আমি যা বলব তাই করব।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে ৫ দফা দাবীসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন

সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়, সুরক্ষা কমিটি গঠন, সংসদীয় আসন বরাদ্দসহ ৫ দফা দাবী আদায় ও নিরাপত্তার দাবীতে ঝিনাইদহের মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

আজ রোববার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মধুগঞ্জ বাজারে কালীগঞ্জ সনাতনী সম্প্রদায়ের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে কালীগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি তিথি রানী ভদ্র, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত খা, কালীগঞ্জ সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিশীথ বরণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক অমিলন্দন বিশ্বাস সাধনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, তাদের দাবী মেনে নেওয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়ে সকলের নিরাপত্তার দাবীও জানান।




হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে হামলা ভাংচুর ও বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দেলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরধরে প্রশাসনিক সংকটকালীন সময়ে বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপরে হামলা বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৫ আগস্ট থেকে প্রতিদিন এই ঘটনা অব্যাহত আছে। ভোক্তভোগীদের তথ্যমতে গত ৯ আগস্ট কুলবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন (৬০) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করলো একই গ্রামের বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম রফি। কামাল হোসেন গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে আকস্মিক ভাবে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। কামাল হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানা গেছে। আহত অবস্থায় তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তিকরে। আহত কামাল কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলী মন্ডলের ছেলে।

আহত কামাল হোসেন জানান, কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত জের আলী মন্ডলের ছেলে ও সাবেক বিএনপি নেতা মৃত মসলেম মন্ডলের ছোট ভাই রফি মন্ডল আমাকে কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালানো অবস্থায় মাজায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে ফেলে দেয়।এরপর বাম হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাথারি মারতে থাকে এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয় লোকজন আমার পরিবারকে খবর দিলে আমার ছেলে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।

এদিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নজীর বীরের ছেলে বীর বছিরের বাড়ীতে পুরাতন বিরোধের জের ধরে জামায়াত কর্মী এনায়েতুল্লার নেতৃত্বে একদল জামায়াত কর্মী হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানান বীর বছিরের সাথে এনায়েতুল্লার পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জের ধরে এনায়েতুল্লা বছিরের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে তখন বীর বছির রাগান্বিত হয়ে তার উপরে তেড়ে আসে এবং মারধর করার চেষ্টা করে এসময় এনায়েতুল্লাহ তার কর্মী সমর্থক নিয়ে বছিরের বাড়িতে হামলা চালাই এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে তবে বছিরকে হাতে না পাওয়ায় তার প্রাণে রক্ষা হয়। বছির আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা যায়। এব্যাপারে উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেও থানায় কর্মবিরতি থাকার কারনে তা পারেননি।

এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপি’র উৎশৃঙ্খ কিছু কর্মী-সমর্থকদের হামলার ভয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গা ঢাকা দিয়েছে।

এছাড়া গত ৫ আগস্ট উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামে দুইটি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীরা। দুর্বৃত্তরা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে এ্যাড. সালমা ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী রবিউল ইসলামের বাড়িতে। এব্যাপারে তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। এ্যাড, সালমা জানান আমার কারও সাথে কোন শত্রুতা নেয় আমার দোষ আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী। সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাট করেছে এবং আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেখানে ভাই ও বৃদ্ধা মা থাকেন। এছাড়া চাদপুর ইউনিয়নের বেড় বিনি, শেখপাড়া বিন্নিসহ বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে।

এ ব্যাপারে জামায়াত বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী সমাজে শান্তি বজায় রাখতে চাই। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা জানান, যদি পুরাতন কোন দেনা পাওনা থাকে সেটা আইনের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেননা। কারও গায়ে হাত দেবেন না এর দায় ভার দল নিবে না, দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হবে বলে জানান।




গভর্নরের দায়িত্বে নূরুন নাহার

রোববার (১১ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিসের সই করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগজনিত কারণে ১১ আগস্ট থেকে নতুন গভর্নরের যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার গভর্নরের দৈনিক ডাক দেখবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবেন।

২০২৩ সালের ২ জুলাই ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব নেন নূরুন নাহার। ডেপুটি গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন এবং ২০১৯ সালে নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।

সূত্র: ইত্তেফাক




শপথ নিলেন আরো দুই উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আরও দুজন শপথ নিয়েছেন। রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শপথ নেওয়া দুজন হলেন বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ জন উপদেষ্টা শপথ নিলেন।

নতুন এই সরকারের শপথ নেওয়ার বাকি ছিলেন তিনজন। এদের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিলেও ফারুক-ই-আজম এখনো শপথ নেননি।

প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন। সে সময় ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

সূত্র: কালবেলা