ইংলিশদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেন কার্সলি

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে হ্যারি কেইন-বেলিংহামদের দায়িত্ব ছাড়েন গ্যারেথ সাউথগেট। এরপর থেকে গুঞ্জন শুরু হয় কার হাতে উঠবে ইংলিশদের দায়িত্ব। গুঞ্জন ছিল জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ দিতে চাচ্ছেন ইংল্যান্ডের দায়িত্ব। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন সাবেক লিভারপুলের এই কোচ।

তবে এবার আর গুঞ্জন নয়, নিজেদের কোচ নিয়ে গতকাল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেই বিবৃতি বলা হয়, কোচ না পাওয়া পর্যন্ত ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন লি কার্সলি। ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলে কার্সলি খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। মূলত আগামী মাসে শুরু হবে উয়েফা নেশন্স লিগ। এই টুর্নামেন্টের জন্যই কার্সলির হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের ৭ তারিখে নেশন্স লিগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা।

এর আগে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২০ ও ২১ ফুটবল দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কার্সলি। আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪০টি ম্যাচ। ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব এভারটনের হয়ে খেলেছেন তিনি। একাধিক ক্লাবের হয়ে সর্বমোট খেলেছেন ৪৭২ ম্যাচ। ম্যানেজার ছিলেন ব্রেন্টফোর্ডের। এছাড়া কভেন্ট্রি সিটি ও বার্মিংহাম সিটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন কার্সলি।
সূত্র ইত্তেফাক




প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ

বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।

আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দেন।

এর আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও ৫ বিচারপতি।

সূত্র: কালেবলা




‘স্বাধীন ফিল্ম মেকিংয়ে সেন্সর বোর্ড বড় অন্তরায়’

‘মহানগর বানানোর সময় ভেবেচিন্তে বানাতে হয়েছে। স্বাধীনতা ছিল না বলে অনেক ইস্যু দেখাতে পারিনি। জনগণ চায় মহানগরের একটার পর একটা সিরিজ আসতে থাকুক। তাদের এই চাওয়াটাকে আমি রেসপেক্ট করি। ১৯ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে যখন ফিল্ম মেকিং করতে ঢাকা আসি, তখন ভাবিনি যে আমার একটি সিরিজ বা চরিত্র কিংবা সিনেমার জন্য মানুষ এত আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। এটা আমার জন্য যেমন আশীর্বাদ, তেমন চাপের। আমি সারাজীবন মানুষের আশীর্বাদের চাপে থাকতে চাই।’

সদ্য বিদায়ী সরকারের সময় নির্মাণ স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। এদিকে কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে নিয়ে একটি সিরিজ নির্মাণ করছেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারণে পেছাতে হয়েছে শুটিং। এছাড়া বাধাহীনভাবে মহানগরের নতুন সিজন শুরু করা নিয়েও পরিকল্পনা করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে নিপুন বলেন, ‘হইচইয়ের জন্য জিম্মি নির্মাণের কাজ করছি। জয়া আহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে এটি কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে শুটিং পিছিয়েছে। না হলে এ মাসেই শুরু হতো। এছাড়া সিরিজ, সিনেমা একটার পর একটা করার জন্য লাইনআপে আছে। এগুলোর পাশাপাশি প্রতিকূল সময়ে মহানগর বানিয়েছিলাম। মানুষের প্রত্যাশা, অনুকূল সময়ে যেন আরো সাহস করে মহানগরের নতুন সিজন বানাতে পারি, সেই বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। এমনকি সরকার পতনের পর দেশে বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র নির্মাতারা নতুন বাংলাদেশে নতুন করে সব শুরু করতে পারবেন। পাশাপাশি বিগত সরকারের সময় সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা সিনেমাগুলোও আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করছেন তিনি।

আশফাক নিপুন বলেন, ‘শনিবার বিকেল, কাঠগোলাপ, নমুনা, অমীমাংসিত, বাইসাইকেল, মর থেংগারি, মেকআপ সিনেমাগুলো সেন্সরে আটকে আছে। আমরা সবাই জানি, আমাদের প্রাক ঐতিহাসিক সেন্সর বোর্ড আছে। যারা চাইলেই যেকোনো সিনেমা আটকে দিতে পারে। অনেক সিনেমা কাটছাঁট করে ছাড়া হয়। স্বাধীন ফিল্ম মেকিংয়ে এই সেন্সর বোর্ড সবচেয়ে বড় অন্তরায়। এমনটা না থাকলে আরো কয়েকডজন সিনেমা নির্মিত হতো। নতুন স্বাধীনতা অর্জনে আমি আশা করব, সেন্সর বোর্ড প্রথা উঠে সেন্সর সার্টিফিকেশন চালু হবে। যেখানে গ্রেডিং দিয়ে বলা থাকবে কোন সিনেমা কোন বয়সের দর্শকের উপযোগী।

সূত্র: ই্ত্তেফাক




দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দর্শনা পৌর শাখার উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহার সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দর্শনায় সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে তাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেওয়া হয়। মতবিনিময় জামায়াত নেতৃবৃন্দ্ব জানান- ৫ তারিখের ক্লান্তিলগ্নে জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা সারা রাত জেগে দর্শনা পুরাতন বাজারস্থ সংখ্যালঘু পল্লীতে যেন কোন দূর্বৃত্তরা হামলা করতে না পারে সে জন্য পাহারা দিয়েছে। তারা ইতি মধ্যেই হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ্বের সাথে বসে তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে।

সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাদের, দর্শনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারী মাহাবুবুর রহমান টুকু, পৌর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাবেক কমিশনার সাহিকুল আলম অপু, আমজাদ হোসেন, মাসুমবিল্লাহ, তানজীল হোসেন প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা তাদের আন্তবিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।




দর্শনায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে দর্শনা সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রেফিং করেছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানায় পুলিশ – বিজিবির যৌথ উদ্যোগে এ প্রেসব্রেফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রেসব্রেফিংয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, দেশের স্বার্থে দর্শনা থানা পুলিশ কে মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিয়োজিত থাকার আহ্বান করেন। প্রয়োজনে বিজিবি সার্বক্ষণিক তাদেরকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

তিনিও আরও বলেন সীমান্ত এলাকা এই এলাকায় কোন প্রকার ডাকাতি ছিনতাই অবৈধ মাদক চাঁদাদাবিসহ যে দলেরই হোক কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন,আমাদের ১১ দফা দাবি দিয়েছি এ দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা সবাই আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ। সে সাথে বলেন আমরা প্রয়োজনে যৌথভাবে টহল জোরদার করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,দর্শনা থানার ওসি অপারেশন শফিকুল ইসলাম, এস আই তারেক, এ এস আই আবু হানিফসহ পুলিশ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার মোড়ে মোড়ে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

অগোছালো আলমডাঙ্গা পৌর শহরের যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্বপালন করছে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। গত তিন দিন যাবৎ শহরের আলতায়েবা মোড়, চারতলার মোড়, রেল স্টেশন, সাদাব্রিজ ও লালব্রিজ এলাকায় তাদের দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়। ছাত্রদের পাশাপাশি রয়েছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার সদস্যরাও।

আজ শনিবার সকালে লালব্রিজ মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন কয়েকজন ছাত্র। দায়িত্বপালনে কথা হয় আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সজিব আহমে¥দের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নাজুক অবস্থায় পৌর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা। এ শহরে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও দীর্ঘদিন ট্রাফিক কোন ব্যবস্থা ছিল না। যত্রতত্র পাকিং ও শৃঙ্খলা বিহীন যানবহন চলাচলে শহরে যানজট লেগেই থাকত। আমরা শহরের গুরুত্বপূণ মোড়ে মোড়ে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্ঠা করছি।

আরেক শিক্ষার্থী সাজেদুর রহমান সানজিদ বলেন, দেশের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের শহর সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। বৈষম্য ছাত্র সংগঠনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে সড়ক পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হয়েছে।

ছাত্রদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে পৌর এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ। তারা দাবি করেন, এ শহরে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে যানজট, ফুটপথ দখল , যত্রতত্র যানবাহন পাকিং করায় চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। পৌর কতৃপক্ষ জলাবদ্ধতা দুরীকরণেও কোন সময় উদ্যোগ নেয়নি। এ শহরে যানবহন বাড়লেও ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেনি তারা। সড়কে পরিচ্ছন্নতার নামে তামাশা করে। আজকের ছাত্র আলমডাঙ্গা পৌরবাসীকে দেখিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছা করলেই সব কিছু সম্ভব।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর শহরে কোন পুলিশ নেই। শহরের শৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্রদের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও দায়িত্বপালন করছেন। এ অবস্থায় শহরবাসীর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি।




বারাদী বাজারে শাপলা ফ্যাশানে চুরির অভিযোগ দোকান মালিকের

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজারে শাপলা ফ্যাশনে চুরির অভিযোগ তোলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলী। গতকাল শনিবার সকালে দোকানে এসে তিনি তার দোকানের মালামাল চুরির অভিযোগ তোলেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল বেলায় দোকান মালিক ফিরোজ আলী দোকানে এসে দোকানে শাটারের তালা বিহীন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দোকানের শাটার তুলে তিনি দেখেন দোকানের শোকেসের গ্যালারির সমস্থ মালামাল লোপাট হয়ে গেছে। দোকান মালিক ফিরোজ আলী তার দোকানে চুরির অভিযোগ তুললে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ভিড় জমতে শুরু হয় দোকানের সামনে। শাপলা ফ্যাশানে চুরির ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় চারিদিকে। শাপলা ফ্যাশানের এমন দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে বারাদী বাজারের নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সদস্যরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। শুরু করেন তদন্ত ডাকা হয় বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীদের।

বাজারের নৈশ প্রহরী কিসমত আলী বলেন, সারারাত বাজার পাহারা শেষে আমি বাড়ি যাওয়ার সময় সকল দোকানের তালা চেক করে যায়। তখনো শাপলা ফ্যাশানের দোকানে তালাবদ্ধ ছিল। তাছাড়া দোকান মালিক কর্তৃক দোকানে চুরির অভিযোগ তুললেও দোকানের তালা বা শাটার ভাঙ্গা এবং দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরা বা ক্যাশবাক্স ভাঙার কোন আলামত পাওয়া যায় না এবং দোকানের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস দেখতে না পাওয়ায় জনমনে সৃষ্ট হয় সন্দেহ।

ইতিমধ্যে রাসেল নামের এক ইজিবাইক চালক জানায় তিনদিন আগে তিনি শাপলা ফ্যাশান থেকে মালামাল নিয়ে দোকান মালিক ফিরোজ আলীর পৈতৃক বাড়ী হিজুলী গ্রামে রেখে আসেন। তখন বাজারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তার বাবার বাড়ীতে দুই বস্তা ও তার পাশ্ববর্তী চাচার বাড়ীতে গিয়ে চার বস্তা চুরি যাওয়া মালামালের দেখা পায়। এ সময় বস্তার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় দোকানের কর্মচারী সুলতান আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সুলতান আহমদ দোকানের মালামাল সরানো ও চুরির ঘটনা স্বীকার করে। সুলতান বলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলীর নির্দেশে কয়েক দিন আগেই দোকানের মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়, তাছাড়া শুক্রবার দিনগত রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার আগে আমরা গ্যালারীর মালামাল সরিয়ে দোকানের প্লাস্টিকের বক্সে ভরে রাখি এবং সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খুলে নিয়ে যায়। পরে ভোরের দিকে এসে আমি দোকানের তালা খুলে নিয়ে যায়। কি উদ্দেশ্যে বা কেন তারা এই চুরির নাটক সাজিয়েছে এমন প্রশ্নের সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কমিটির সদস্যরা বলেন, বাজারের নতুন কমিটিকে ফাঁসাতে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্যই দোকান মালিক এই নাটক সাজিয়েছে।

এবিষয়ে সাধারণ মানুষেরা বলেন, কারো কুবুদ্ধিতে বা ইন্ধনে দোকান মালিক এমন টা করতে পারে। তবে দুপুরের পর থেকে দোকান মালিক ফিরোজ আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

বারাদী বাজারের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মুকুল (মেম্বার) বলেন, এটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে দোকান মালিক এই চুরির নাটক সাজিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই সাজানো নাটকের বিচার করা হবে।




কালীগঞ্জে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দিল ফারিয়া

ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এ্যাসেসিয়েশন (ফারিয়া) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শাখার উদোগে শহরের মেইন বাসটার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে শিক্সার্থীদের মধ্যে দুপুরের খাবারের বিতরণ করেন। শিক্ষার্থী গত কয়েকদিন ধরে শহরের উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিকের কাজ করছে। ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি।

আজ শনিবার শহরের ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করে ২৮ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন ফারিয়া। উপস্থিত ছিলেন সংগটনের সভাপতি আশিকুর রহমান সোহাগ, সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিকুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ।

একই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানিয় ও কমল পানি বিতরণ করেন আরটিভির জেলা প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিপলু জামান।




ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন

সারা দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। আজ শনিবার সকালে শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বৈরশাসকের পতনের পর জেলার বিভিন্নস্থানে হানাহানি, দখল, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা নৈরাজ্য সংগঠিত হচ্ছে। এমন ক্ষয়ক্ষতিতে ছাত্রসমাজ দারুন ব্যথিত। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য এ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। জেলায় নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ। সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্ররা পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জনগনের নিকট জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও চলমান সংকটে জনমানুষের নিরাপত্তায় অনতিবিলম্বে পুলিশের দায়িত্বে ফেরার আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন এ দেশের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারে মানবিক, জবাবদীহী ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ আন্দোলনের সফল হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের রাজপথে থেকে তৎকালীন স্বৈরাশাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চলামান রেখেছিল। আপনারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্যামেরার পিছন থেকে, আবার কেউ কলম দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামকে সফলতা আনতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। তাদেরকে রাজনৈতিক সংগঠনের আজ্ঞাবহ না থেকে গণমানুষ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে থাকার আহবান জানান।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এলমা খাতুন, আবু হুরাইরা, রায়হান হোসেন রিহান, শারমিন সুলতানা, রত্না খাতুন, সাজেদুর রহমান, নুসরাত জাহান সাথী, আনিছুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়ায় বাজার মনিটরিং করছে শিক্ষার্থীরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বের পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। আর এসবের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে পৌরবাজারে মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন।

জেলা শহরের পৌর বাজারে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখছেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাজারের সব বিক্রেতাকে বলে আসেন তারা যেন কোনো পণ্যের দাম অতিরিক্ত না নেন এবং যেন কাউকে চাঁদা না দেন। এ ছাড়া অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তারা।

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বিক্রেতারা বলেন, ইজারা ফি কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া সুলতান পাবনী জানান, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এইজন্যই আমরা কুষ্টিয়ার পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যায়। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। উনারা আমাদের জানিয়েছেন উনারা এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন।

তেজগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারিফ মোস্তাফিজ বলেন, মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেট মোকাবিলায় আমরা সদা তৎপর। সেজন্য বাজারের ক্রেতাদের এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করি। আমরা তাদের বলেছি কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে যেন আমাদের জানায়। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বাগত মাহমুদ বলেন, আমরা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছি। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতা রাব্বু হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ঘন ঘন বাজার মনিটরিং করে তাহলে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। যারা বিভিন্ন অজুহাতে সিন্ডিকেট করছেন তারা বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না।