উল্লাসে যা করবেন না
আনন্দ উদযাপনে তো ক্ষতি নেই। তবে অনেক সময় তা করতে গিয়ে অনেকেই হিতাহিতজ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েন। আবেগ আর উত্তেজনার বশে অনেক কাজই করেন যা ঠিক নয়। খেলাধুলা থেকে কোনো অর্জনের ক্ষেত্রেও তা সত্য। এই আবেগ প্রশমনে যা করা উচিত।
প্রতিহিংসা নয়
রেষারেষি থাকতেই পারে। যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক বিষয়েও আপনি সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইবেন। এগুলো সবই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো মানুষের সামনে নিজের প্রতিহিংসার প্রকাশ ঘটাবেন না। হিংস্র আচরণ করবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
উস্কানি বা গুজব নয়
এমন কিছু বলবেন না, যা থেকে উত্তেজনা ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে। কখনোই কাউকে ছোট করে কথা বলবেন না। কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করে কোনো কথা বলবেন না। কারো পারিবারিক পেশাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। কাউকে হুমকি দেবেন না। সবচেয়ে বড় কথা উস্কানি শুনে গুজব ছড়াবেন না।
সাম্প্রদায়িক আচরণ
সাম্প্রদায়িক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। বাংলাদেশের সংবিধানেই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। অন্য কোনো সম্প্রদায়কে খাটো করে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এমন কাজ করবেন না, যাতে কোনো উপাসনালয় ও মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, অবমাননা হয়।
ধ্বংস নয়
অন্যের সম্পদ ‘নিজের’ বলে দাবি করবেন না বা নিয়ে নেবেন না। কাউকে তাঁর আবাসস্থল থেকে সরে যেতে বাধ্য করবেন না। রাষ্ট্রীয় সম্পদকেও কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন করে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারো সম্পদ নষ্ট করবেন না।
অন্যের অসুবিধার সৃষ্টি করবেন না
আপনার আনন্দ-উল্লাসে যাতে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আবাসিক এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ করবেন না। উৎকট আওয়াজে অসুস্থ ব্যক্তির অসুবিধা হতে পারে। উদযাপনের ভঙ্গিটি যেন এমন না হয়, যাতে অন্যের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়।
সূত্র: ইত্তেফাক