আলমডাঙ্গায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা উপজেলার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার বকসিপুর-মাজু গ্রামের মাঠে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনার কর্মসূচি পালন করা হয়।

মাঠ দিবস ও কারিগরি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার ডিডি, ডিএই, কৃষিবিদ মো: মাসুদুর রহমান সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, সরিষা তেলজাতীয় ফসল। এই ফসলের মাধ্যমে তিনটি উপাদান পাওয়া যায়। সেগুলো হলো তেল, মধু ও জ্বালানি কাঠ পাওয়া যায়। সরিষা চাষে যেমন শারীরিক উপকারে আসে তেমনি আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী করে তোলে। আপনাদের এলাকায় সরিষা চাষে ব্যাপক সাড়া পাওয়াই এঅঞ্চলে মৌসুমে হলুদ ফুলে ছেয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যশোর আঞ্চলিক তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ এ,এইচ,এম জাহাঙ্গীর আলম, উপসহকারী কৃষি আবু জাফর ওবাইদুল্লাহ, উপসহকারী কৃষি অফিসার হুমায়ন কবির, রফিকুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, পাপিয়া খাতুন, শারমিন আক্তার, সেলিনুর রহমান। এছাড়া আলোচনা সভার আগে কৃষকদের মাঝে সরিষা ও ভুট্রা উৎপাদনে বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।




শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আরও তিনজন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

শপথ নেওয়া তিন উপদেষ্টা হলেন- ১. সেখ বশির উদ্দিন, ২. মো. মাহফুজ আলম, ৩. মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এর আগে চার দফায় শপথগ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

এরপর গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।

সূত্র: কালবেলা




চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা: চ্যাম্পিয়ন ইতিহাস বিভাগ

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কৃষিশিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ কে এম সাইফুর রশীদ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন জয়-পরাজয় মিলেই খেলাধুলা। এটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে অত্যন্ত জরুরী। খেলাধুলা শারীরিক গঠন, মানসিক বিকাশ ও নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা একান্তভাবে জরুরী। তিনি বিজয়ী, বিজিত ও খেলায় অংশগ্রহণকারী- সবাইকে অভিনন্দন জানান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট খেলোয়াড় দরকার। তাই বেশি বেশি খেলার অনুশীলনী করতে হবে। যারা খেলাধুলা করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে, তাঁরা শান্তিতে থাকেন। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা থেকে দূরে থাকেন। এ সময় তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বেশি বেশি সকল প্রকার খেলাধুলা আয়োজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং আগামীতে আরও বড় প্রতিসরে খেলা আয়োজনে হবে বলে জানান তিনি। পুরুষ্কার বিতরণ শেষে টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএসিসি সদস্য সকলকে আন্তরিকতার সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নিজস্ব তত্বাবধানে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। মোট ১৫টি বিভাগের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ টুর্নামেন্টে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ফাইনাল খেলায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগ অংশগ্রহণ করে। নিদিষ্ট সময় শেষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইতিহাস বিভাগ। খেলায় নিদিষ্ট সময় পার হলেও কোন দল গোল না পাওয়াই খেলা গড়াই ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকারে ৫টি শুট আউট করে ইতিহাস ৪ ও অর্থনীতি বিভাগ ৩ গোল করতে সক্ষম হয়।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধাক্ষ্য ফারজানা কেতকী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক আবু বক্কর সিদ্দিক,সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মতিউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, প্রভাষক ইয়াজিদ হোসেন, প্রভাষক তুষার আহমেদ, প্রভাষক আজিম হোসেন সহ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে ইতিহাস বিভাগের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও অর্থনীতি বিভাগের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশীদ।




মুজিবনগরে ভারতীয় পেঁয়াজের বীজসহ পালাতক চোরাকারবারী আটক

মুজিবনগরে ২১ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের বীজ সহ জাকির হোসেন নামের এক পালাতক চোরাকারবারীকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে আটক হওয়া পেঁয়াজের বীজ থানায় নিতে আসলে তাকে আটক করা হয়। আটকৃত জাকির হোসেন মুজিবনগর উপজেলার আনন্দ বাস গ্রামের সাপুরের ছেলে।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরীনগর গ্রামে ভারতীয় পেঁয়াজের বীজ আটক করতে গেলে বীজ ফেলে রেখে চোরা কারবারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চিহ্নিতকরণ করে আনন্দবাস গ্রামের জাকির হোসেন ও সোনাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মি: দিকে ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পেঁয়াজের বীজ নিয়ে গৌরিনগর গ্রামের খালের ধার দিয়ে গৌরিনগর গ্রামের দিকে যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা কারবারীরা পেঁয়াজের বীজ ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ।

পরে থানায় এসে উল্লেখ দুইজনসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে রবিবার দুপুরে এদের মধ্যে জাকির নামের ওই ব্যক্তি থানায় বীজ নিতে আসলে তাকে আটক করা হয়।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেন।




মেহেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার( ১০ নভেম্বর) সকাল দশটার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম, সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রনি আলম নুর, এন এস আই’র ডিডি মিজানুর রহমান, মেহেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট সাজ্জাদ মাহমুদ, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ,গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতীম কুমার সাহা, সদর উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মূয়ীদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দীন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীর, জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষচন্দ্র বালা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম প্রমুখ।




হরিণাকুন্ডুতে কৃষি ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখা অফিস স্থানান্তর চেষ্টার প্রতিবাদে এলাকাবাসি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

আজ রোববার দুপুরে কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী বাজারে ব্যাংকের শত শত গ্রাহক ও এলাবাসি এই কর্মসুচি পালন করেন।

মানববন্ধন শেষে ভালকী বাজারে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধ ও সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল ইসলাম, মহিউদ্দীন মাষ্টার, স্থানীয় মসজিদের ইমাম কুতুব উদ্দীন মন্ডল, বিসিআইসি সার ডিলার আব্দুল খালেক, স্কুল শিক্ষক ফয়জুর রহমান ফয়েজ, মোয়াজ্জেম হোসেন, খালেদুর রহমান, জাফর আলতাফ সোনা, সোহরাব হোসেন মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য সালাহউদ্দীন, প্রভাষক ওলিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান ও লিন্টু মন্ডল।

ব্যক্তিগন বলেন, হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার বহু পুরানো জনপদ। এখানে চাকরিজীবী ও বড় বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন। এই ব্যাংকে তাদের একাউন্ট রয়েছে। ব্যাংকটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে গ্রাহকরা নিরাপত্তহীনতায় পড়তে পারে। গ্রাহক ও গ্রামবাসি ব্যাংকটি যাতে অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়া হয় সে বিষয়ে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।




ঝিনাইদহে গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইডিইবি) ৫৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস পালিত হয়।

আজ রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বকুল চন্দ্র কবিরাজ।

বক্তব্য রাখেন আইডিইবি ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আবু সাইদ, কাউন্সিলর স্বপন কুমার বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম ও সাব্বির আহমেদ প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যহীনতা দূর করতে প্রকৌশলীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।




ঝিনাইদহে ৩ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মিছিল

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিৎ করতে ঝিনাইদহে মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।

আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠ থেকে তারা মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।

তাদের দাবিগুলো হলো: বাস-ট্রেনসহ সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিৎ করতে হবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত হাফ ভাড়ার নিয়ম কার্যকর থাকবে এবং সরকারি ছুটিসহ সপ্তাহে ৭দিন হাফ ভাড়ার নিয়ম চালু থাকবে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা শাখার আহ্বায়ক শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।




ঝিনাইদহে জুলাই বিপ্লবে নিহত দুই পরিবারের পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঝিনাইদহে শহীদ প্রকৌশলী রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে সহানুভুতি ও দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও দলের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন তারেক রহমানের পক্ষে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় এক অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বুয়েট ছাত্র নেতা প্রকৌশলী হাসনাইন মনজুর ইমন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আমরা বিএনপির পরিবার’র সদস্য শাহাদাত হোসেন, মোস্তাফিজ বিল্লাহ, ফরহাদ আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মেসবাহ, ঝিনাইদহ বিএনপির মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, সাজেদুর রহমান পাপপু, শৈলকুপা বিএনপির হুমায়ন বাবর ফিরোজ ও হরিণাকুন্ডু বিএনপির জিন্নাতুল হক প্রমুখ উপিস্থত ছেলেন।

আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন শহীদ প্রকৌশলী রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে শান্তনা ও সহানুভুতি জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে পারবো না। কিন্তু তারা দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্র তৈরী করেছিল বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় চব্বিশ সালের আগষ্ট-জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল।

তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছেন, তারা শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার বদৌলতে দেশ সংস্কারে এগিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমান সরকারের প্রতি আহকবান জানিয়ে রুমন রহমান বলেন, যারা পুলিশের গুলিতে শহীদ বা আহত হয়েছেন তাদের সবার অর্থিক সহায়তা দরকার নেই। বরং যে পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিটি হারিয়ে আজ অসহায় তাদের সহায়তা করুন, সেই পরিবারের সদস্যদের চাকরী দেন। তিনি বলেন, বিএনপির সুদিন আসলে শহীদ রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের নামে বিভিন্ন সড়ক ও সরকারী বেসরকারী স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব শহীদ পরিবারের পাশে আছে এবং সব সময় থাকবেন।

অনুষ্ঠান শেষে দুই শহীদ পরিবারের পিতামাতার কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিশেষ অর্থিক অনুদান পৌছে দেন এবং শহীদ রাকিবের কবর জিয়ারত করেন।




বিনা খরচে অনলাইনে বাংলায় প্রোগ্রামিং শিখবেন যেভাবে

প্রোগ্রামিংয়ের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে প্রোগ্রামিং শেখার আগ্রহ। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে শেখা অনেকটা ব্যয়বহুল। তবে অনেকের শখ অল্পতেই ঝরে যায়।

তবে এবার প্রোগ্রামিং শিখতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন চ্যালেন ও ওয়েবসাইট। যেখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিনামূল্যে বাংলায় প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে-

লার্ন উইথ সুমিত

বাংলাদেশি প্রোগ্রামার সুমিত সাহা এই ইউটিউব চ্যানেলটি পরিচালনা করেন। ‘লার্ন উইথ সুমিত’ চ্যানেলে মলূত JavaScript, React, Node.js এর মতো আধুনিক ওয়েব টেকনোলজি নিয়ে সহজ ভিডিও পাওয়া যায়। এখানে কাজগুলো-বাস্তব প্রজেক্টের মাধ্যমে শেখানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখার সুযোগ করে দেয়।

প্রোগ্রামিং হিরো

‘প্রোগ্রামিং হিরো’ একটি মোবাইল অ্যাপ। যেখানে বাংলায় প্রোগ্রামিং শেখানো হয়। অ্যাপটিতে মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখার কোর্স রয়েছে, যা নতুন প্রোগ্রামারদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে বিভিন্ন গেমের মাধ্যমে কোডিং শেখানো হয়, যা শেখার প্রক্রিয়াকে সহজ ও আনন্দময় করে তোলে।

তামিম শাহরিয়ার সুবিন

তামিম শাহরিয়ার সুবিন একাধারে একজন লেখক ও প্রোগ্রামার। তিনি বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং এর বই লেখেন। তার ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামিং’ বইটি নতুনদের মধ্যে প্রোগ্রামিং শেখার আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি, তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রোগ্রামিং বিষয়ক দিকনির্দেশনাও পাওয়া যায়। তার ইউটিউব চ্যানেলে C, Python, ML (মেশিন লার্নিং) এর উপর নানাবিধ ভিডিও রয়েছে।

শিখুন ডট নেট

‘শিখুন ডট নেট’ একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট। যেখানে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়। এখানে WordPress, Laravel, Shopify এর মতো জনপ্রিয় টেকনোলজি এখানে শেখানো হয়। এ ছাড়াও HTML, CSS, PHP ও JavaScript শেখানো হয়।

আনিসুল ইসলাম

আনিসুল ইসলাম একজন প্রোগ্রামিং শিক্ষক, যিনি বাংলায় প্রোগ্রামিং শেখান। তার চ্যানেলে C, Java ও Python এর মতো ভাষা শেখানো হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করার কারণে তার চ্যানেলটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

স্ট্যাক লার্নার

‘স্ট্যাক লার্নার’ ইউটিউব চ্যানেলটি প্রোগ্রামিং। যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখানো হয়। এখানে JavaScript, React ও অন্যান্য আধুনিক টেকনোলজি শেখানো হয়। যারা নতুন প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার, তাদের জন্য এই চ্যানেলটি বেশ কাজে আসতে পারে।

যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চান, কিন্তু শুধু ভাষাগত কারণে পিছিয়ে রয়েছেন, তারা এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আজই শেখা শুরু করতে পারেন।
সূত্র: কালবেলা