চার বছর পর ফের ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’

লোকসংগীত বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। সংগীতের এ ধারায় মিশে আছে জীবনের গভীর দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, প্রেম আর মাটির ঘ্রাণ। বাংলার লোকসংগীতকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তবে ২০১৯ সালে উৎসবের পঞ্চম আসরের পর এটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছরের পরিক্রমায় সংগীতপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’। সেটি বন্ধ হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা।

আশার কথা হলো, চার বছরের বিরতি কাটিয়ে আবারো ফিরতে চলেছে লোক গানের উৎসবটি। এরই মধ্যে ফোকফেস্ট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সান ফাউন্ডেশনের আলোচনা শুরু হয়েছে। শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়াও চলছে। সাধারণত শীতকালেই বসে গানের উৎসবটি। সেই ভাবনা থেকে আসছে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হতে পারে ফোকফেস্ট।

আগের মতো এবারও আর্মি স্টেডিয়ামেই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগের বছরগুলোর চেয়েও আরো জাঁকজমক করে এটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। শিল্পী তালিকাতেও থাকবে চমক। ২০১৫ সাল থেকে হওয়া উৎসবটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ দেশের ৫০০ লোকসংগীত শিল্পী এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে আবারও ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বোমা, কাফড়ের কাপড় ও সাবান উদ্ধার

আবারও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাতবোমা, কাফনের কাপড়, সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার কড়ইগাছি গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন আলীর বাড়ির হেসেল ঘরের সামনে থেকে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

এনিয়ে গত এক মাসে গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি স্থানে হাতবোমা, কাফনের কাপড় ও চিরকুট রেখে গেছে।

গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ির মালিকের ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুটি শাবান ও আগরবাতি উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তা সুমনের বাড়ির হেসেল ঘরের চুলার পাশে এগুলো রেখেছিল দূবৃর্ত্তরা। বোমা দুটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে।

গৃহকর্তা সুমন আলী জানান, সকালের আমার স্ত্রী রান্না করতে গিয়ে এগুলো দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ এসে এগুলো উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য বা কাউকে ফাঁসানোর জন্য হয়তো দূর্বৃত্তরা একাজ করেছে।

সুমন আলী আরও জানান, কয়েকদিন আগে গ্রামের মামা সম্পর্কের ইকবার আলী, মিয়াজান আলী আমাকে গ্রাম থেকে ৫/৬ মাসের মত চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার আগে ৬ আগষ্ট কড়ইগাছি বাজারে আমার জুদ সেন্ডেল ও কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাত বোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুইটি সাবান, আগরবাতি উদ্ধার করা হয়েছে। কাউকে ফাঁসানোর জন্য নাকি হুমকী দেওয়ার জন্য এগুলো রেখে গেছে পুলিশ তদন্ত করছে। এঘটনায় মামলা হবে।




৩৬৯ দিন পর নেইমারের মাঠে ফেরা

ক্যারিয়ারের একটা বড় অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করেই পার করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টার বয় নেইমার জুনিয়র। তবে গেল এক বছরের বেশি সময় এরকম টানা অপেক্ষা হয়ত নেইমারকে আর কখনোই করতে হয়নি।

এসিএল আর হাঁটুর চোটে নেইমার মাঠের বাইরে ছিলেন ঠিক এক বছর চার দিন। নেইমারের মতো ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার?

এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো সোমবার রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই।

নেইমারের মাঠে ফেরার দিনে গ্যালারিতে ছিলেন তার প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দি। পারিবারিক সঙ্গী ছিলেন আরও দুজন। তাকে মাঠে ফিরতে দেখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে প্রিয়জন ও ভক্তদের মুখে।

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা। আল আইনের মাঠে আল হিলালের ৫-৪ গোলে জয় আর দুই হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে এই ম্যাচে নেইমারের মাঠে ফেরাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় খবর।

বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সেটি কাজে লাগাতে না পারলেও তাঁর মাঠে ফেরাটাই বড় স্বস্তি হবে ভক্তদের জন্য।

নেইমার নিজেও এই ফেরার দিন গুনেছেন। সেটি বোঝা গেল ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোস্টেই, ‘এই অনুভূতিটা আবারও জেগে ওঠায় ভালো লাগছে। ম্যাচের আগে স্নায়ুচাপে ভোগাটা দারুণ…আশা করি স্বাস্থ্যকর প্রত্যাবর্তন হবে।’

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা।

গত বছর আগস্টে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। হাঁটুর চোটে পড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেন। তাকে সৌদি প্রো লিগে এখনো নিবন্ধিত করতে পারেনি আল হিলাল। জানুয়ারির আগে নিবন্ধিত করার সুযোগ না থাকায় আপাতত সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নেইমারকে দেখা যাবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন 

ছাত্র-জনতা অঙ্গীকার নিরাপদ সড়ক হোক সবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২অক্টোবর ) সকালে ১০টার সময় জেলা প্রশাসক ও বিআরটিএ আয়োজন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী, সিনিয়র শিক্ষক হাসান ফেরদৌস, মেহেরপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধ আশিক রাব্বি, বিআরটিএ অফিস সহায়ক আবুল কালাম আজাদ।

এ সময় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর বিআরটিএ ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান।




রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে মশাল মিছিল

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার রাত ৮ টায় মেহেরপুর শহীদ ডক্টর শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এই সময় বক্তারা বলেন দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করতে হবে এবং তাকে জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে আমাদের উপর যারা হামলা করেছে আমরা তাদের দ্রুত বিচার চাই অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা আমার ভাইদের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমতিয়াজ আহমেদ, আশিক রাব্বি, তামিম ইসলাম, নাসিম রানা বাঁধন ও সাইদ আহমেদ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইন থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, সিলাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সন্নিকট এলাকা থেকে গৃহবধূ সিলা খাতুনের মরহেদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিলা খাতুন (২৪) সে জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের হার্ডওয়ার্ক ব্যবসায়ী রাসেল হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে।

ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তবে নিহত সিলার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন রাসেল ও তার পরিবারের লোকজন ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে রাসেল ও সিলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই রাসেল মাদক সেবন করতো। এনিয়ে সিলা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন রাসেল।  গতকাল রোববার দুপুরে ১৫০ টাকা চুরির অভিযোগ তুলে সিলাকে মারধর করে রাসেল। ওই দিন রাত ১২ টার সিলা নিখোঁজ বলে রাসেল তার শ্বশুর পরিবারকে ফোনে জানান। রাতভর সিলার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে  আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ এলাকার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই সাহেব আলী জানান, গতকাল রোববার দুপুরে সিলাকে মারপিট করে রাসেল। রাতে মোবাইলে জানান বোন বাড়ি থেকে চলে গেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের পাশ থেকে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, তার বোনকে রাসেল পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) জহির হোসেন বলেন, লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের কাটার চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন দোকান অপসারণে সরেজমিনে তদন্ত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন (মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার) দোকান ঘর অপসারণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছে জেলা প্রশাসক গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় জড়ে হয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তদন্ত কমিটির কাছে জনগনের চাওয়া ও দাবীকে গুরুত্বের সাথে দেখে অপসারণ কাজ দ্রত বাস্তবায়ন চান উপস্থিতিরা।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা।

গাংনী বাজার দারুচ্ছালাম মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মহসিনের সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটির আহবায়ক মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এবং মেহেরপুর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন , আমি আসার সময় দেখেছি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গাংনী বাজারের প্রত্যেকটা দোকানদার তাদের দোকান বন্ধ করে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। এটাকে আমি শ্রদ্ধা করি এবং আমার ভালো লেগেছে। সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। এই যে একতা এটাকে সকলে মিলে ধরে রাখবেন। একটা ভালো কাজের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জনগণ সকলে মিলে এক হওয়া এটা অনেক ভালো। জনতার যে দাবি সকলে একত্রিত থাকলে সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়। দুশ্চিন্তার কোন কিছু নেই। জনগনের দাবীর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী পৌর প্রশাসক প্রীতম সাহা, গাংনী বাজারের এস এম প্লাজার স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন, গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম স্বপন।

পরে তদন্ত কমিটির সদসরা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির সামনে গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যাত্রী ছাউনি ও সংলগ্ন মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভাণ্ডার অপসারণের জোর দাবী জানান।

তদন্ত কমিটিতে মেহেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে হাটবোয়ালীয়া সড়কের সংযোগ স্থলে যাত্রী ছাউনি ও তৎসংলগ্ন আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার অপসারণে দাবীতে গত ২৪/০৯/২০২৪ ইং তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক,সড়ক ও জানপদ বিভাগ, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা। উক্ত স্মারকলিপি অনুযায়ী জনগুরুক্তপুর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।




শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু

মুজিবনগরে মাটিতে এই প্রথম সদস্যদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের একমাত্র সাংবাদিকদের সংগঠন মুজিবনগর প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের গণপূর্ত রেস্ট হাউসে আজ সোমবার দিনব্যাপী এক উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সকল সদস্য সম্মতিক্রমে মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্সকে পুনরায় সভাপতি ও ভোরের কাগজের ও মেহেরপুর প্রতিদিন এর মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মোস্তাফিজুর রহমান (শের খান) কে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কমিটি ঘোষনা করেন।

মেহেরপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি জৈষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুস টিটো উপস্থিত থেকে সকল সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি খাইরুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন ডালিম, কোষাধক্ষ্য মাথাভাঙ্গা ও যায়যায় দিন প্রতিনিধি শেখ শফিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক জবাবদিহি প্রতিনিধি শাকিল রেজা।

নির্বাহী সদস্যরা হলেন, সময়ের সমীকরনের প্রতিনিধি সোহাগ মন্ডল, আকাশ খবরের প্রতিনিধি রেজাউল করিম, দৈনিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকার প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, দৈনিক সত্য খবরের প্রতিনিধি তুহিন আলী।

এর আগে প্রথম সেশনে কমিটির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং সবার মতামত গ্রহন সাপেক্ষে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। দুপুরের বিরতির পরে দ্বিতীয় সেশনে নতুন কমিটি ঘোষনা এবং শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন ( ২৮) নামের যুবকের মৃত্যু হয়। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মৃত. মনির উদ্দিনের ছেলে। নিহত সেলিম হোসেন দুই সন্তানের জনক ছিলেন।

নিহতের স্বজনেরা বলেন, রাতে সাপে কামড়ানোর পরই একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয় সেলিমকে। হাসপাতালে সরকারিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) সাপ্লাই ছিল না। বাইরে থেকে অ্যান্টিভেনম কেনার পরামর্শ দেয়া হয়। অত্যান্ত দারিদ্র পরিবার তারা। সঙ্গে করে মাত্র সাত হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল। আর এক ডোজ অ্যান্টিভেনমের (১০ পিচ) মূল্য ১৪ হাজার টাকা। ফার্মেসি দোকানদার বাকি দিতে না চাওয়ায় ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চাবি বন্ধক রাখা হয়। এরপরই এক ডোজ অ্যান্টিভেনম আমাদের দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় এক ঘন্টা পর অ্যান্টিভেনম তার শরীরে পুশ করা হয়। এরপরও সেলিমকে বাচানো গেল না। যদি হাসপাতালে কিংবা ফার্মেসি থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো সেলিমকে বাচানো সম্ভব হতো।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাতে যে কোন সময় একটি বিষধর সাপ সেলিমের গলায় পেচিয়ে ধরে গলাতেই কামড় দেয়। এরপরই রাত ২টার দিকে সেলিমকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেলিমের দুটি ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। তার মা অন্যের বাড়িতে কর্ম করেন। সেলিমও দিনমজুর ছিলেন। তার মৃত্যুতে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম বলেন, সাপের কামড়ে রাতে একজন যুবক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অ্যান্টিভেনম পুশ করা হয়েছিল। পরে ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার হাদিউজ্জামান বলেন, প্রায় মাস খানেকের বেশি দিন যাবত হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই নেই। বেশ কয়েকবার ঢাকাতে যোগাযোগ করেছি। এখনো অ্যান্টিভেনম দেয়নি।




ঝিনাইদহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংখ্যালঘুর জমি দখল

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না ওই প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সংখ্যালঘু ভরত দাস ও তার ভাই সম্ভু দাস পৈতৃক সুত্রে পাওয়া গ্রামের হামিদপুর মৌজার ২৮৬১ খতিয়ানের ৪০৩৯ ও ৪০৪০ দাগের মোট ২০৭ শতক জমির আরএস রেকর্ডীয় মালিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেস্বর ওই গ্রামের বিএনপি নেতা শামসুল গাজী ও তার ছেলে ইলিয়াস গাজী এবং যুবদল নেতা তবিবর রহমান লোকজন দিয়ে ওই জমি দখল করে নেয়। জমিতে থাকা ফসল, গাছপালা কেটে তছরূপ করে। এতে বাঁধা দিলে উল্টো পিটিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভরত দাস আদালতে মামলা দায়ের করলে ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদালত। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৫ অক্টোববর গোপালপুর গ্রামের শাকিল, আলমগীর, ইকরামুল, রঞ্জু, বিপুল, খালিদ এবং তুহিনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন প্রকাশ্যেই জমির মোটর ঘর ভেঙ্গে দেয়। এসময় জমির চারদিক ঘেরা বাঁশের বেড়া লুট করে নিয়ে যায় তারা। পরে জমিতে বপন করা সরিষাও চষে দেয় প্রভাবশালীরা।

আজ সোমবার ভুক্তভোগী ভরত দাস সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গেল দুই মাস ধরে একটি চক্র তার জমি দখল করে খেলার মাঠ বানানোর পায়তারা করছে। আমি মামলা করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর মহেশপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বালিরগর্ত বাজারে চক্রটি দা, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাজারের লোকজন ছুটে এসে আমাদের রক্ষা করে। এ ঘটনায় আমার প্রতিবেশী রিপন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত হচ্ছি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে এর আগে জমি দখল ও ফসল নষ্টের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে অভিযোগ গঠন করেছে। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন কমিশনের চেয়ারম্যান। একই সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আদেশ দেয়া হয়। এরপরও জমি দখল, অত্যাচার, নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না ওই সংখ্যালঘু পরিবারটি।

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যদি কেউ জমিতে যায় স্বেক্ষেত্রে আইনগত যা ব্যবস্থা হয় সেটা নেওয়া হবে।