কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের সাথে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, বৈষম্য বিরোধী সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জান্নাতুল মাওয়া, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান,কৃষিকর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির আজিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক, পৌর আমির মাওলানা নাজির আহমেদ, পৌর সেক্রেটারি আবদুল কাইয়ুম, কুশনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিটো খান, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভুইয়া, পৌর বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম কবির, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, মইন উদ্দিন খান, এস এম রায়হান উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ঢাকা কমার্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নাছিম আল মামুন, ঝিনাইদহ কেসি কলেজের ছাত্র আল শাহরিয়ার ওভিক, তানভীর আহমেদ রিজভী, সিফাত খান ফাহিম, রফিকুল ইসলাম,নাছিম আল মামুন আলী হোসেন, হৃদয় আহাম্মেদ প্রমুখ।

সে সময় উপজেলার বর্তমান সময়ের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অতিথিরা। এ সময় শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, ছাত্র সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




ড. ইউনূসকে স্বাগত জানালেন সেনাপ্রধান ও সমন্বয়করা

দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।

এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।

জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।

গতকাল বুধবার দেশবাসীর উদ্দেশে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের কোনো প্রকার ভুলের কারণে এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়।’

এ সময় তিনি সবাইকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসতা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন।

সূত্র: কালবেলা




এখন যা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্র : ড. ইউনূস

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। সরকারের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সবার আগের দেশের সহিংসতা রোধ করতে হবে। এখন যা হচ্ছে তা ষরযন্ত্র।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে দেশের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো ষরযন্ত্র। এটাকে রোধ করতে হবে। তাদের লাঠিপেটা করলে হবে না। সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না। ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারো ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকবো না।

নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না। তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। এসময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।

এর আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে। গত মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র: কালবেলা




চুয়াডাঙ্গায় সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রোভার বিএনসিসি

চুয়াডাঙ্গা সড়ক শৃংখলা ফেরাতে ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা । আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে ছাত্ররা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে সহযোগিতা করে। ছাত্রদের এ উদ্যোগে পাশে দাড়িয়েছেন রোভার স্কাউটস বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল থেকে ছাত্ররা চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বর, কোর্ট চত্বর, একাডেমি মোড়, রেলগেইট সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় ছাত্ররা সাধারণ মানুষের চলাচলে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করে। শহরের বিভিন্ন গাড়ি চলাচলে যানজট নিরোসনে কাজ করে। এছাড়া সড়কে চলার পথে পথচারি ও গাড়ি চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সেজন্য ছাত্ররা ঠান্ডা কোমল পানি, বিস্কুট ও বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর ফলের আয়োজন করেন চলাচলকারিদের জন্য।

এসময় কথা হয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট আল মুতাকাব্বির সাকিব বলেন, ভাল সব কাজে ছাত্ররা পাশে থেকে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। আর কোনো সংঘাত চাই না। চাই শান্তি রক্ষা। এবার দেশটাকে নতুন ভাবে সাঝাবে সাধারণ ছাত্ররা। আর এখন শহরের পুলিশ না থাকাতে আমরা ছাত্ররা মিলে ও অন্যানরা সহ সবাই মিলে শহরের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য কাজ করছি। শহরটাকে পরিস্কার পরিছন্ন ও সু-শৃঙ্খল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে। আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ।




বিদ্যুত বিভাগ মেহেরপুরের গাফিলতিতে বাড়ি বাড়িতে মৃত্যু ফাঁদ

বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইন থেকে আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন সতর্কতা মূলক নীতির তোয়াক্কা করছে না মেহেরপুরের বিদ্যুত বিভাগ। ফলে পৌর শহর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িগুলি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গত এক বছরে জেলাতে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক, এরমধ্যে অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক সংযোগের কারনে মৃত্যুর সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। এরকমই একটি দূর্ঘটনাতে প্রায় মৃত্যুর দারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিলেন মল্লিক পাড়ার খান মাহমুদ আল রাজি ওরফে রক্তিম।

বুধবার (৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ টার সময় মল্লিক পাড়ার রমেশ ক্লিনিকের সন্নিকটে ছায়াপথ ভবনের প্রাচীর, প্রধান ফটক, তারকাটা ও একটি টিনের চালা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এসময় বাড়ির বাইরে বের হতে যেয়ে প্রধান ফটকে হাত দিয়ে বিদ্যুতায়িত হন রক্তিম। কয়েক সেকেণ্ড বিদ্যুতায়িত থেকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। বাড়িটি মেহেরপুর প্রতিদিন অনলাইনের সাবেক ইনচার্জ ও কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার রাফির মাতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুনের।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ছায়াপথ ভবনের পিছনে পশ্চিম পাশে হাসিব নামের এক ঠিকাদারের বাড়ির বৈদুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে। কোন রকম খুঁটি ছাড়া সামনের বাড়ির কাঠাল গাছের ডালে পেচিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও তারকাঁটার উপর দিয়ে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে মেইন সংযোগের তারটি। সেখান থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত বাড়িটিতে সংযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বৈদুতিক তার মাটিতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় বিদ্যুতায়িত ছায়াপথ ভবনের প্রাচীরের তার কাটার বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ওজোপাডিকো মেহেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন কে মোবাইলে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী নির্দেশে ওজোপাডিকোর রেসকিউ টিম এসে বৈদুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় ঠিকাদার হাসিব বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ম মেনে অন্য একটি পোল থেকে খুটির মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংযোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তার অনুরোধে সে সময় ওজোপাডিকো কর্মচারীরা আবার তার বৈদ্যুতিক সংযোগটি একই যায়গায় সংযুক্ত করে দেন।

জানাযায়, একই কারনে ছায়াপথ ভবনটি ইতোপূর্বে আরও ৪ বার বিদ্যুতায়িত হয়েছিলো। এছাড়াও বাড়িটির মালিক মাহমুদা খাতুন বিদ্যুত অফিসে তার সরাতে ২০১৯ ও ২০২১ সালে দুইবার লিখিত অভিযোগ করলেও বিদ্যুত সঞ্চালন তারটি এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি। ঠিকাদারি সূত্রে ওজোপাডিকোর কর্মচারীদের সংগে সুসম্পর্ক থাকায় তাদের মাধ্যমে বিষয়টিতে প্রভাব খাটিয়েছেন ঠিকাদার হাসিব।

দূর্ঘটনার শিকার রক্তিম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন,’বিকালে বৃষ্টি ছেড়েগেলে আমি পার্শবর্তী মুদী দোকানের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলাম। গেটে হাত দিতেই প্রচণ্ডভাবে শক খেয়ে আমি মাটিতে পড়ে যায়। গতবছর আমার বড় ভাবিও একই ঘটনার শিকার হয়েছিলো। এখানে কোন মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত মনেহয় বিদ্যুত বিভাগের টনক নড়বে না।

এসময় প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সেখানে উপস্থিত ওজোপাডিকোর লাইন ম্যান ও রেসকিউ টিমের সাথে। এসময় তারা বৃহস্পতিবার সকালেই অন্য একটি পোল থেকে বাশের খুঁটির মাধ্যমে সংযোগ লাইনটি সরিয়ে দেবেন বলে জানান।

ছায়াপথ ভবনের মালিক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘এধরণের দূর্ঘটনা এবারই প্রথম না। প্রতিবছরই দুই-একবার করে একই কারনে রাড়ির সদস্যরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ওজোপাডিকো বরাবর আমি দু-দফা লিখিত অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এবারও যদি লাইনটি না সরানে হয় তবে আগামীকালকেই আমি জানমালের নিরাপত্তার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হবো।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে শহরে এ ধরনের অনেকগুলি ঝুকিপূর্ণ বৈদুতিক সংযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারাবাহিক ভাবে বিষয়গুলি প্রকাশ করা হবে।




স্বাভাবিক হয়েছে দেশের প্রযুক্তি খাত

প্রযুক্তি ডেস্কদেশে স্বাভাবিকভাবেই চলছে ইন্টারনেট। বেশ দে কয়েকদিন বন্ধ-চালুর এই অবস্থা থাকার পর অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বাভাবিক হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ব্রডব্যান্ডের পর স্বাভাবিকভাবে চলছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট। গত সোমবার বিকেল ৪টায় মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এ সময় উন্মুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কমিউনিকেশন অ্যাপ। এর মাধ্যমে গত এক মাস টানা ইন্টারনেট ব্যবহারের বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হলেন নেট ব্যবহারকারীরা। এর আগে দুই দফায় ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে দেশ। সব মিলিয়ে দুই দফায় ১৫ দিনের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি তারা। সরকারের হিসেবেই এতে ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আইসিটি খাতের প্রতিটি খাতই ভেঙে পড়েছে এই কয় দিনে।

বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে বেসিস। এরপর এতে যুক্ত হয় বিএফডিএ, বাক্কো ও ই- ক্যাব। কিন্তু কখনো সার্ভার পুড়ে যাওয়া কিংবা নাশকতার কারণে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং সবশেষ গুজব প্রতিরোধের যুক্তিতে। এমন পরিস্থিতিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও সরকারবিরোধী ট্যাগের ভয়ে এ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি এই খাতের নেতারা। কেবল বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ইন্টারনেট বন্ধকে ইন্টারনেট সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বিভিন্ন গ্রুপে ইন্টারনেট নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন বেসিস সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর ও সৈয়দ আলমাস কবির। তবে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক সরকারের কণ্ঠে সুর মিলিয়েছেন। ই- ক্যাবও সংবাদ সম্মেলন করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার

ফলে ই-কমার্স খাতের ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। ইন্টারনেট একাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে তির্যক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সমালোচনার মুখে পড়েন নিজে ফেসবুক ব্যবহার করেও সবার জন্য তা বন্ধ রেখে। পরে অবশ্য তিনি করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছেন নিজ এলাকায় দেওয়া এক বক্তব্যে। গতকাল ভারতের রাজধানী দিল্লি পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বিকেল ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে। আগামীতে কোনো অজুহাতেই যেন ইন্টারনেট বন্ধ না করা হয় এই দাবি জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ দিন আমরা ইন্টারনেটে যে স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম তা পুনরুদ্ধার হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনা শহর পরিস্কারে মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীরা

দর্শনায় স্বৈরচার শেখ হাসিনার পতনের পর দুর্বৃত্তরা দর্শনা শহরের সড়কে অগ্নি-সংযোগ ও ভাংচুর করেন। গতকাল সকাল ১০টায় দর্শনা মুজিবনগর সড়কে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের চিহ্ন পরিস্কার করতে উদ্যোগ নেয় বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও ছাত্রীরা।

সকালে দর্শনা সড়কের আকাশ টাওয়ারের সামনে, পূবার্শা কাউন্টার, দর্শনা পুরাতন বাজার ও দর্শনা থানার সামনে সড়ক পরিস্কার করে। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দেলনের সমন্বায়ক আবিদ হাসান রিফাত, সাদমান সাকিব ও অনিকের নেত্রীত্বে লিন্জা, মিতু, মোহিনী, শান্ত, ইসমাইল, তপু, সোহন, ইমন ও কাফি।

এসময় আবিদ হাসান রিফাত বলেন, আমরা কোটা আনন্দোলনে সাথে যেমন ছিলাম তেমনী দেশের সকল জরুরী সময় দেশের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। এসময় তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন, সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, আওয়াল হোসেন, ইকরামুল হক পিপুল ও মাস্ক দিয়ে সহযোগিতা করেন শিক্ষক জুয়েল ও রাজা।




পুলিশকে হাসি ও ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করার আহ্বান ফারুকীর

পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।

এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট?

কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘গতকাল আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম।

তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য!

এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!

সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’

সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রিকেটাররা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদ্য বিদায়ী সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত শিক্ষার্থীকে শহিদ করেছে। মৃত্যুর মিছিলে নাম লিখিয়েছেন সাধারণ জনতাও। শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলনের নাম হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের এক দফা দাবি তুলে সেটি সফল করেই ঘরে ফেরেন। লাখ লাখ মানুষের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা কেবল পদত্যাগ নয়, গোপনে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।

দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। সে কারণে ক্রীড়াঙ্গনেও রাজনীতির প্রভাবের বাইরে ছিল না। এবার স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন ধরে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তারা মুখ খুলেছেন। বসে নেই ক্রিকেট কর্তারাও। মাঠে নেমে তারাও দিয়েছেন পরিবর্তনের ডাক। তাতে বিসিবিতে চলছে টালমাটাল অবস্থা। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখনও বিসিবির কার্যালয়ে আসেননি। কোনো পরিচালকের দেখাও পাওয়া যায়নি।

গতকাল মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। শহিদদের স্মরণে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম চতুরে টানানো হয়েছে ব্যানার। আবু সাঈদ, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধদের ছবি সংবলিত সেই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘জাতীয় এই আন্দোলনে সব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা’। আরেক ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত’। গত এক মাসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রত্যেকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে অনুশীলন শুরু করেন ক্রিকেটাররা। সে সময় সেখানে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, এনামুল হক বিজয়, নাঈম হাসান, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসানরা।

গত পরশু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সফর বাতিল করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল তাদের উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরে দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এ দিকে সরকার পতনের পরে একের পর এক ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন পেসার রুবেল হোসেন। এবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা দেখলাম বলতেছে দেশে সুশাসন চায়। শুধুমাত্র অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণে অসংখ্য ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার পালা বদল দেখে রং বদলানোর চেষ্টায় আছে। একইভাবে চন্ডিকা হাতুরুসিংহেসহ তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করা ব্যক্তিদের অন্তত আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।’

এই লেখাকে সমর্থন করে নুরুল হাসান সোহান লিখেছেন, ‘ভাই অনেক কিছু বলতে চাই। কিন্তু কিছু বলেতছি না। তবে কতক্ষণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারবো জানি না।’ কেবল ক্রিকেটাঙ্গন নয়, আরও বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সোহান।

ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো প্রবাসী ভাইকে যেন এয়ারপোর্টে হেনস্তা হতে না হয়। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কিছু ব্যক্তি দ্বারা প্রায়ই হেনস্তার শিকার হন। তাই আশা করব, ভবিষ্যতে সব প্রবাসীরা যেন এয়ারপোর্টে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা পায়। এয়ারপোর্টের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত যারা আছেন, তারা এই ব্যাপারটি অনুগ্রহ করে গুরুত্বসহকারে দেখবেন, যাতে কোনো প্রবাসী যেন হেনস্তার শিকার না হয়।’

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্যাসিনো গডফাদার মিলু ও ক্যাসিনো সম্রাট বাঁধন কোথায়?

মেহেরপুরের অনলাইন জুয়ার গডফাদার মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার ভাতিজা ক্যাসিনো সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন আত্মগোপনে রয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এলাকায় তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনলাইন জুয়া ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই দুই চাচা-ভাতিজা।

অনলাইন জুয়ার অপরাধে প্রায় অর্ধশত এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর হুকুম না থাকায় এই দুই চাচা-ভাতিজাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই সময় আক্ষেপ ছিলো। তবে তা প্রকাশ করতে পারেনি।

মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয় থেকে তাদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এলাকাবাসীও জানেন না তারা কোথায় পালিয়েছেন।

মহাজনপুর ইউনিয়নের যতারপুর গ্রামের তালিকাভুক্ত রাজাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে আমাম হোসেন মিলু। তিনি মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুস সালাম বাঁধন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা দুজনই রাজাকার পরিবারের সন্তান হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। রাজাকারের সন্তান হলেও আমাম হোসেন মিলু সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের আস্থাভাজন। যে কারণে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে মহাজনপুর ইউনিয়নে নির্বাচন করলে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ায় তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তার আস্থাভাজনের কারণেই বড় কোন পদে না থেকেও তার ভাতিজা আব্দুস সালাম বাঁধন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হলেও গঠণতন্ত্র অমান্য করে তিনি বিয়ে করেছেন, এক কন্যা সন্তানের পিতা, পেশায় ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ছাত্রলীগের জেলা কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও কোন সম্মেলনও করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা কমিটির সভাপতি বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের বাবা। তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে মূলত অনলাইন জুয়ার অন্যতম সম্রাট। ক্ষমতায় থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে না পারলেও মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বের হয়ে আসছে।

এবং ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিটের কমিটিগুলো অনেক বিবাহিত নেতা দেখা যাচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান রাখার কথা সেটা পারছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলায় কয়েকটি ইউনিটের কোন কমিটি নেই। নতুন কোন নেতাকর্মীও তৈরি হচ্ছে না। যারা কমিটি আসতে চাচ্ছেন অর্থ এবং ক্ষমতার লোভে আসছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে নেতাদের পাওয়া যাচ্ছে না।

ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে তিনি হয়েছেন কোটিপতি। ছাত্র না থাকলেও তিনি মায়ের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করছেন। অনলাইন জুয়ার সাথেও রয়েছে তার সখ্যতা। নিজেও অনলাইন জুয়ার পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত চাচা মিলুর উপর ভর করেই তার এ শক্তি। তারা চাচা আমাম হোসেন মিলু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ওই নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন সরাসরি নির্বাচনে প্রচারণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা কমিটির সভাপতি বিবাহিত এবং ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিটের কমিটিগুলো অনেক বিবাহিত নেতা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি।

এই দুই চাচা-ভাতিজার দুর্নীতির আদ্যপান্ত খুব শীঘ্রই মেহেরপুর প্রতিদিন প্রকাশ করবে।