মুজিবনগরে আনন্দবাস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

“আমাদের অঙ্গীকার মাদকমুক্ত পরিবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আনন্দবাস এক্সপ্রেস এর আয়োজনে আনন্দবাস খেলার মাঠে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।

আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্দবাস এক্সপ্রেস এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলমগীর হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দবাস মিয়ামুনসুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুল হাসান ব্যাট দিয়ে বল মেরে খেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী খেলায় একদিকে অংশগ্রহণ করেছে মেহেরপুর ৫ নং ওয়ার্ড একাদশ এবং অপরদিকে অংশগ্রহণ করেছে সুবিদপুর একাদশ।

উদ্বোধনী খেলায় মেহেরপুর ৫ নং ওয়ার্ড একাদশ টসে জিতে ব্যাট নিয়ে ১২৯ রান করে জবাবে সুবিদপুর একাদশ ১৩০ রান করতে সক্ষম হয়। ১ রানে জয় পায় সুবিদপুর একাদশ। খেলাটি পরিচালনা করেন, আরিফ রেজা ও সাদিক হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনা এবং খেলার ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন শামীম শিশির, নুরু জাম্মান নাহিদ এবং হক সাহেব হাসা।

এবারের আনন্দবাস এক্সপ্রেস প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের নক আউট ভিত্তিক খেলায় ৩২টি দল অংশগ্রহণ করছে। আগামীকাল আনন্দবাস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলায় একদিকে অংশগ্রহণ করবেন খলিশা গাড়ি একাদশ বনাম ঝাউবাড়ি একাদশ।




সবুজ সংঘ ফুটবল টুর্নামেন্টে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গায় সবুজ সংঘ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় হোগলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমানের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির এ সময় তিনি বলেন নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলেরা সব মাঠে থাকবে, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, ফলে মাদক থেকে দূরে থাকবে সেজন্য আমাদের সকলকে নিয়মিত সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে ।

খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন দামুড়হুদা থানা বিএনপি’র সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম,সুধীজন ইসমাইল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য ইকরামুল হোসেন।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় যে দুটি দল অংশগ্রহণ করে তারা হলো, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব বনাম হোগল ডাঙ্গা সবুজ সংঘ একাদশ।খেলায় প্রথমার্ধে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ইমরান দুইটি গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।পরবর্তীতে আর কোন গোল না হওয়ায় দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব ২ শূন্য গোলে জয়লাভ করে । ফলে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং হোগলডাঙ্গা সবুজ সংঘ ফুটবল একাদশ রানার্সআপ হয়। টুর্নামেন্টে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের ইমরান হোসেন।

খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন স্বপন আহমেদ। খেলা শেষে অতিথিদের হাত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং চ্যাম্পিয়ন দলকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হয়।

টুর্নামেন্ট দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব জয় লাভ করায় খেলায় অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়ার, ক্লাবের সকল কর্মকর্তা, পৃষ্ঠপোষক ও দর্শকসহ সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দামুড়হুদা স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি এখলাস উদ্দীন সুজন ও স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ শহীদ আজম সদু একই সময় তিনারা বলেন এই সিজনে টানা তিনটি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব। জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করি।




দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর: থানায় অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে দর্শনা সরকারি ফুড গোডাউনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শাহরিয়ার সাদিত কিমন (১৮) দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের শাহিনুজ্জামান টুটুলের ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ৮ তারিখ শুক্রবার দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল চলাকালীন সময়ে জীবন (১৮) ও মো: রিফাত (২০) মেয়েদেরকে উত্যাক্ত করার সময় শাহরিয়ার সাদিত কিমন (১৮) নিষেধ করায় কিমনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় এর এক পর্যায়ে তাকে হুমকি ধামকি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে কিমন প্রাইভেট পড়া শেষ করে পাখি ভ্যানে করে তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় পতিমধ্যে দর্শনা সরকারি ফুড গোডাউনের নিকট পৌঁছালে জীবন (১৮) ও মো: রিফাত (২০) সহ প্রায় ২০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন কিমনকে ভ্যান থেকে জোর পূর্বক নামিয়ে গোডাউনের পাশে একটি মাদরাসার নির্মাণাধীন ঘরের ভিতরে নিয়ে যেয়ে লোহার রড, এস এস পাইপ ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে আহত কিমের পিতা শাহিনুজ্জামান টুটুল বাদি হয়ে দর্শনা থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তরা হলেন, দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের নজুর ছেলে জীবন (১৮), ওয়াসিমের ছেলে মো: সিদাত (২০) রিফাত (২০), পিতা- অজ্ঞাত, ইসমাইলের ছেলে আরাফাত (১৯),নাজিমের ছেলে রাসেল (১৮) মজিদের ছেলে গাফফার (১৯)তোহিদের ছেলে নজু (৫০) খোকনের ছেলে সোহান (১৯) ও আজমপুর গ্রামের বুলেটের ছেলে বিজয় (১৮)




দামুড়হুদা চন্দ্রবাসে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল ইসলামের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। রফিকুল ইসলাম (৪০) চন্দ্রবাস মাঝ পাড়ার মৃত এরশাদ আলির ছেলে।গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে চন্দ্রবাস বাজারে আঃ আলিমের সারের দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর এ দূর্ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃত এরশাদ আলির ছেলে রফিকুল ইসলাম চা পান করার জন্য পাকা রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় মেইন রাস্তার উপরে সিটকে পড়ে। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানার সকল কার্যক্রম শেষ করে শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চন্দ্রবাস গ্রামে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় রফিকুল নামের একজন নিহত হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।




সৈনিক পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২৫ সালে মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনস্ট্যাবিউলারি (এমওডিসি) সেন্টার অ্যান্ড রেকর্ডস, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে সৈনিক পদে (শুধু মাত্র পুরুষ প্রার্থী) ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর আবেদন শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

পদের নাম : এমওডিসি সৈনিক

পদসংখ্যা : জেলা ভিত্তিক

সৈনিক পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরি
বয়সসীমা : আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৭ বছরের কম এবং ২৫ বছরের বেশি হবে না (এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়)।

বেতন ও ভাতা : প্রশিক্ষণকালীন মাসিক বেতন টাকা ৮,৮০০/- এবং প্রশিক্ষণ শেষে যৌথ বাহিনী নির্দেশাবলী জেএসআই অনুযায়ী বেতন ও ভাতা প্রাপ্য হবে।

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রার্থীর ধরন : শুধু মাত্র পুরুষ প্রার্থী

শিক্ষাগত যোগ্যতা ১.সাধারণ ট্রেড (GD)। এসএসসি / সমমান পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ-২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। ২. করণিক ট্রেড (CLK)। এসএসসি / সমমান পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ-৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। ৩. আর্মোরার ট্রেড (ARMR)। এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ-৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ (বিজ্ঞান বিভাগ)।

উচ্চতা : ১.৬৮ মিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় ব্যতীত। বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের জন্য ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি)। ওজন : ৪৯.৯০ কেজি (১১০ পাউন্ড)।

বুকের মাপ : স্বাভাবিক ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি), স্ফীত ০.৮১ মিটার (৩২ ইঞ্চি)।

চোখ : ৬/৬ এবং স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন (বর্ণান্ধ গ্রহণযোগ্য নয়)।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা : স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য

সাঁতার : অত্যাবশ্যক (নূন্যতম ৫০ মিটার)। বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত (বিপত্নীক/ বিবাহ বিচ্ছেদকারী/তালাকপ্রাপ্ত নয়)। আবেদনের শেষ সময় : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪




আলমডাঙ্গার মোটরসাইকেল সহ যুবক পুড়িয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও গ্রেফতার ৩

আলমডাঙ্গায় মোটর সাইকেলসহ সবুজ নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত  বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাগর (২২) ও জহুরুল ইসলাম (৪৬) নামের দু’জনকে আটক করে পুলিশ। আটক সাগর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে আটকৃতদের তথ্যের ভিত্তিত পাপ্পু নামের আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় সহকারি পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত এ তথ্য জানিয়েছেন।

আটক আটক সাগর (২২) পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে ও জহুরুল ইসলাম (৪৬)। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে পুরাতন মোটর সাইকেল ব্যবসায়ী সবুজকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যায় ঘতকরা । তারা ফরিদপুর গজারিয়ার মাঠের একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশের পরিচয় গোপন রাখতে নিহতের মোটরসাইকেলসহ তাকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য দিক নির্দেশনা দেন। এসপির দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান,আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম গত ১৪ নভেম্বর ভোরে অভিযান পরিচালরা করেন। এ সময় পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে সাগর আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মৃত ইউসুফ আলী বিশ্বাসের ছেলে জহুরুল ইসলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বকসিপুর গ্রামের লাল্টু আলীর ছেলে নাজমুল হক পাপ্পুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আমামী সাগর হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অকপটে হত্যার বর্ণনা প্রদান করে। এবং স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয় এ হত্যাকান্ডের আগে পৌর এলাকায় অবস্থিত সরকারি ফুড গোডাউনের মধ্যে হত্যার বিষয়ে ফুড গোডাউনের নৈশপ্রহরী জহুরুল ইসলামসহ কয়েকজন একাধিক বৈঠক করে বলে পুলিশের তদন্তে এ তথ্য উঠেছে । ঘটনার সাথে জড়িত আরও কয়েকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া-কাশিপুর সড়কের গজারিয়া মাঠের বিজন মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ ১৩ নভেম্বর সকালে বাদেমাজু গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সবুজ আলীকে মোটরসাইকেল চাপা দেওয়া অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা লাশ উদ্ধার করে । সবুজ পুরাতন মোটর সাইকেল কেনা বেচার ব্যবসা করতো। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জনৈক অনিকের ফোন পেয়ে। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে পোড়ানে লাশ উদ্ধার হয়। এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গত ১৪ নভেম্বর এজাহার দায়ের করেন নিহত সবুজের পিতা জয়নাল আবেদীন।

নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায় ও,আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ তত্বাবধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন এজেন্সির তৎপরতা, এক সাথে অসাধারণ টিমওয়ার্কের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ প্রশাসন।




তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর শাখার আইডি কার্ড বিতরণ ও পরিচিতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির আইডি কার্ড বিতরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩ টার দিকে মেহেরপুর জেলা শহরের মল্লিকপাড়া কবি নজরুল স্কুল সড়কের হেল্প ফাউন্ডেশনের কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

 

ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের (পৌর কলেজে) সাবেক অধ্যক্ষ একরামুল আযীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. গাজী রহমান।

 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মানবাধিকার রক্ষা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে নতুন কমিটির সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ দিলারা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক রফিক উল আলম, পরিচালক এম এ মুহিদ, আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল কাসেম অনুরাগীসহ গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সমাজকর্মীরা‌ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফাউন্ডেশনের নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যদের আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়।

 

নতুন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, মেহেরপুর জেলায় মানবাধিকার সুরক্ষা এবং নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবেন।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে কর্মী সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়।

মোঃ হামিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা আমীর মাওঃ তাজউদ্দিন খান।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুড়িপোতা ইউনিয়নের আমীর ডা. জামাল উদ্দিন।

জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক আবু জাফর সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর মাওঃ মাহবুব-উল আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমীর মাওঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওঃ কাজী রুহুল আমিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ (মুকুল) প্রমুখ।
এছাড়াও এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে কমেছে সবজি দাম, পেঁয়াজ-আলুর বাজারে অস্বস্তি

কার্তিক মাসের শেষে এসে মেহেরপুরের বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এর ফলে আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। পুরোনো আলুর দাম কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মেহেরপুরের হোটেল বাজার এবং বড়বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজি সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহন্তে কমেছে মরিচ, রসুন ও আদার দাম। কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে।

জানা গেছে ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শাকসবজি বিক্রি করছেন ।
বাজারে আলুর কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৫০ টাকা কেজি, লাউ কেজিতে ৪০ টাকা, কলা ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পটল কেজিতে ৫০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, টমেটো এক শত টাকা এবং লেবু হালিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২ শত টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ২ শত ৫০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা কেজি দরে। সপ্তাহন্তে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা।

বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।

কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা হালিম নামের এক ক্রেতা বলেন, হালকা হালকা শীত পড়াই বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম গত সপ্তাহের থেকে কম তাই বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।

হোটেল বাজারে আসা রোকন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে কিছুটা। কিন্তু আলুর দাম বেড়েই চলেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আশা করি, শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।




আলমডাঙ্গায় যুবক সবুজ হত্যার ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবক সবুজকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার মাস্টারমাইন্ডসহ দু আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে গ্রেফতারকৃত আসামী সাগর। গতকাল দুপুরে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এদিকে, নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জঘন্য এ হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায় প্রশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা -চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন। তবে, আসামীরা কী ধরণের স্বীকারুক্তি দিয়েছেন সে ব্যাপারে তথ্য,দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ। আজ ১৫ নভেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, বাদেমাজুর যুবক সবুজ হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখে। এদের মধ্যে নিহত সবুজের সাবেক ব্যবসায়ী পার্টনার একই গ্রামের সৈকত, বর্তমান পার্টনার বন্ডবিল গ্রামের জিহাদ ও গোবিন্দপুর গ্রামের রঙমিস্ত্রি রাহাতের ছেলে মোটরসাইকেল মেকানিক সাগরকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আলমডাঙ্গা ফুড গোডাউনের নৈশপ্রহরী জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। জহুরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

ওয়াকিবহালসূত্র জানিয়েছে — দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট মুখ খোলেন দুজন সাগর ও জহুরুল। তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অন্য দুজনের এ হত্যাকান্ডে পুলিশ সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি। তবে এখনই এ দুজন সন্দেহমুক্ত নন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনের মধ্যে সাগর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। নিজেকে ওই হত্যাকান্ডে জড়িত করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন বলে জানা যায়।

আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজি করতে গিয়েই এ নৃশংস হত্যাকান্ডের সূত্রপাত। সবুজ ইতালি চলে যাবেন। মোটরসাইকেল কেনাবেচার ব্যবসা করেন। তাছাড়া, টিভিএস ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল বিক্রির কথা চলছিল। তার নিকট থেকে সব টাকা হাতিয়ে নিতেই ঘাতকরা অপারেশন চালান।

আলমডাঙ্গার একাধিকসূত্রে জানা যায় – খাদ্যগুদামের নৈশপ্রহরী হওয়ার সুবাদে জহুরুল ইসলাম উপজেলা গেটের সামনের সরকারি গোডাউনের কোয়ার্টারে সপরিবারে বসবাস করতেন। হত্যাকান্ডের দুদিন আগে রাতে এ ফুড গোডাউনের ভেতরে জহুরুল সাগরসহ বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে মিটিং করেন। সেই মিটিং-এ সবুজসহ বেশ কয়েক জনের নিকট চাঁদাবাজির সিদ্ধান্ত নেন। এ কাজে প্রয়োজনে খুন করতেও পিছুপা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

হত্যার পূর্বে তারা সবুজের সাথে অন্তরঙ্গ আচরণ শুরু করেন। এভাবেই বন্ধুত্বের ফাঁদ পাতেন। তাদেরকে আলমডাঙ্গার অনেকেই একসাথে পুরি ও ফুচকা খেতে দেখেছেন। অনেকে দাবি করেছেন যে ঘটনার রাতে পোয়ামারী গ্রামে গিয়ে তারা এক সাথে বাউল গান শুনেছেন।

এক পর্যায়ে ঘটনার স্থলে নির্জন বাগানে নিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে ঘাতকচক্র নিরীহ যুবক সবুজকে পিটিয়ে হত্যা করে।

পরে, এ হত্যাকান্ডের আলামত বিনষ্ট করতে তারা সবুজের লাশের উপর তার নিজের মোটরসাইকেল রেখে আগুন জ্বেলে দেওয়া হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় মেহগনি বাগান উজ্জ্বল হয়ে উঠে। ভয় পেয়ে ঘাতকচক্ত দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া-কাশিপুর সড়কের গজারিয়া মাঠের বিজন মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ ১৩ নভেম্বর সকালে মোটরসাইকেল চাপা দেওয়া অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তিন যুবককে থানায় নিয়ে গেছেন।

নিহত যুবকের নাম সবুজ আলী (২১)। তিনি উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয়বিক্রয় ব্যবসা করতেন। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জনৈক অনিকের ফোন পেয়ে। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। নিহত সবুজের বোন জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে সবুজের মোবাইলফোনে রিং হচ্ছিল। সে সময় সবুজের মা রিং রিসিভ করতে যেতে চাইলে সবুজ নিজেই গিয়ে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হন। ১২ নভেম্বর বিকেলে এক ব্যক্তি নিজেকে অনিক নামে পরিচয় দিয়ে সবুজকে ফোন করে মোটরসাইকেল কেনার জন্য দেখা করতে বলে। সবুজ তখন তার সাথে কথা বলতে বলতে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফেরেন নি।

এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গতকাল ১৪ নভেম্বর এজাহার দায়ের করেছেন নিহত সবুজের পিতা জয়নাল আবেদীন।

নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জঘন্য এ হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায়, ঘাতকের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা -চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ তত্বাবধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন এজেন্সির তৎপরতা, এক সাথে অসাধারণ টিমওয়ার্ক ছিল চোখে পড়ার মত। সব মিলিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ প্রশাসন।