মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নের পবিত্র ঈদুল-আজহার জামাত

আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সাথে মেহেরপুর জেলাবাসিও ঈদুল-আজহার নামাজ আদায় করবে।

এ দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের গ্রাম গুলো তাদের ঈদুল-আজহার নামাজের সময় সুচি প্রকাশ করেছে।

আমঝুপি কেন্দ্রীয় ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, আমঝুপি উত্তরপাড়া গন্ধরাজপুর ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, আমঝুপি উত্তরপাড়া সকাল ৭.৩০ মিনিটে, আমঝুপি মীরপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে, খোকসা সেখপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, খোকসা কদমতলাপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, খোকসা মল্লিকপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.০০ টায়, ইসলামনগর ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, হিজুলী ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, রঘুনাথপুর ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, রঘুনাথপুর ছটাঙ্গা ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, কোলা বাবুপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৬ টায়, কোলা খালপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, কোলা নাটনাপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, কোলা কারিকরপাড়া ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, দফরপুর ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, চাঁদবিল ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, চাঁদবিল আহলেহাদিস ঈদগায়ে সকাল ৬ টায়, ময়ামারী ঈদগায়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ঈদুল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে উল্লেখিত গ্রাম গুলির ঈদগাহ কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা সকলে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে ঈদগাহে একযোগে নামাজ আদায় করবো ও দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য আল্লাহ্ কাছে দোয়া করবো।

 




আবারও আইনি বিপাকে শিল্পা-রাজ

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তার ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রা আবারও আইনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ দম্পতির বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি-রাজ কুন্দ্রা দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতরণার অভিযোগ এনেছেন মুম্বাইয়ের এক বিখ্যাত স্বর্ণব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ সরেমাল কোঠারি।

পৃথ্বীরাজের দাবি ‘সত্যযুগ গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শিল্পা ও রাজ। ২০১৪ সালে এই সংস্থার অধীনে একটি যোজনা চালু হয়। সোনায় লগ্নি করলে বিনিয়োগকারীদের বড় অঙ্কের লাভের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষে সোনার বাজারমূল্য যা-ই থাকুক, সেই হারেই সোনা ফেরত দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে মুম্বাই দায়রা আদালত এ তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

পৃথ্বীরাজ জানান, শিল্পা রাজ ও তাদের সহযোগীদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরই তিনি এই স্কিমে বিনিয়োগ করেছিলেন। সময়মতো সোনা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। উভয়ের আশ্বাসে পৃথ্বীরাজ এই স্কিমে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ৫ বছর পরে শিল্পা এবং রাজের কোম্পানি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।

তিনি আরও জানান, বিনিয়োগ করার সময়ে শিল্পা শেঠি এবং রাজ নিরাপদে বিনিয়োগের উৎসাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা না হওয়ায় তিনি মুম্বাই পুলিশকে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন।

জানা যায়, সমস্ত জরুরি নথিতে শিল্পা ও রাজের স্বাক্ষর রয়েছে। বিচারক এনপি মেহতা বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিল্পা-রাজের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে এঘটনা নিয়ে শিল্পা ও রাজের তরফ থেকে এখনও কোন বিবৃতি মেলেনি।




মেহেরপুরে রোগীদের মাঝে সমাজসেবার চেক বিতরণ

মেহেরপুরে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস স্ট্রোক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৩৪ জন রোগীর মাঝে ১৭ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই চেক বিতরণ করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি তার নিজ বাসভবনে এই চেক বিতরণ করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪ জনের মাঝে ৭ লক্ষ টাকা, গাংনী উপজেলায় ১০ জনের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ও মুজিবনগর উপজেলা ১০ জনের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি, মেহেরপুর শহর সমাজসেবা পরিষদের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন, জেলা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আবুল মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা প্রেসক্লাবের দায়িত্ব হস্তান্তর

দর্শনা প্রেসক্লাবের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাব ভবনে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটির অনুমোদন করা হয়।

সভায় নির্বাচিত কমিটি পর্যায়ক্রমে ২ বছর মেয়াদকালে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির দায়িত্ব পালন করে। সেই মোতাবক এবার দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হলেন, মাই টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল, ও সাধারণ সম্পাদক হলেন ডেইলি অবজারভার পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার দর্শনা ব্যুরো প্রধান ওসমান আলী এবং সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হলেন, দৈনিক পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি মো: জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা দর্শনা সহকারি ব্যুরো প্রধান হানিফ মন্ডল।

প্রেসক্লাবের ১৩ সদস্য র মধ্যে সহ-সভাপতি হয়েছেন মাহমুদ হাসান রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসমত আলী, দপ্তর সম্পাদক সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাব্বির আলিম, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াসিম রয়েল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জামান তারিক, কার্যনির্বাহী সদস্য-এফএ আলমগীর, আহসান হাবিব মামুন, ফরহাদ হোসেন।
সাংবাদিক সমিতির সহসভাপতি হলেন, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আবিদ হাসান রিফাত, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ। কার্যনির্বাহী সদস্য- মনিরুজ্জামান ধীরু, আওয়াল হোসেন, চঞ্চল মেহমুদ।




হরিণাকুণ্ডুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল খেলা গোল শুন্য ভাবে ড্র হয়। পরে উভয় দলের মধ্যে টাই-বেকার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত টাই-বেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্সআপ হয় দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের েেময়েরা।

একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৪-২ গোলের ব্যবধানে পারবর্তীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্সআপ হয় হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত টুর্ণামেন্টের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম ইশা। এছাড়াও হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রিগ্যান আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সবুজ মল্লিক, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক খুরশিদ সোয়াইব বাবুল।




আলমডাঙ্গায় মেম্বারের বিরুদ্ধে টিসিবির কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড খাসবাগুন্দা গ্রামের মেম্বার ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে টিসিবির কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টিসিবির কার্ডধারিদের না দিয়ে নিজ আত্মিয় ও নিজের লোকজনদের কার্ড দিয়েছেন তিনি। কার্ড চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার আইলহাঁস ইউনিয়নের খাসবাগুন্দা গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে হাজেরা, জলিলের ছেলে রকিবুল, বিশার মেয়ে সামেলা, উসমানের ছেলে রাসেল, শুকুর আলীর ছেলে মোতালেব, তবির আলীর ছেলে হাফিজুল, আজগরের ছেলে মজিবার ও একই গ্রামের লতা, শামসুল, জামাল, মোহাম্মদের ছেলে সোহাগী, রওশনের মেয়ে লিলি, ভাদু মন্ডলের ছেলে মিজানুর, রমজানের ছেলে জালাল সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ফজলুর রহমান নির্বাচিত হবার পর থেকে তার ওর্য়াডের অনেকেই টিসিবি কার্ড পাচ্ছে না, সে কারণে টিসিবির পণ্য নিতে পাচ্ছে না। নিজ নামের কার্ড চাইতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করে।

গতকাল শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য নেবার জন্য গেলে ওই মেম্বর কার্ড না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। তারা আরো বলেন, ইউনিয়নে মোট টিসিবি কার্ড ১ হাজার ২ শত ৫০ টা, খাসবাগুন্দা ও পোলবাগুন্দা মিলে ৮ নং ওর্য়াড, যেখানে কার্ড সংখ্যা ১ শত ৪৫ টি। এতো গুলো কার্ড যায় কোথায়? মেম্বর নিজে কার্ড রেখে লোকদিয়ে টিসিবি মাল তুলে বাড়িতে নিয়ে যায়। এছাড়া প্রকৃত কার্ডধারদের কার্ড রেখে দিয়ে নিজের লোক ও আত্মীয়দের র্কাড দেয়। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভুগি মহল।
এব্যপারে জানাতে চাইলে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ৮২ টি কার্ড পেয়েছি, তা সঠিক ভাবে বিতরণ করেছি।

এ ব্যপারে আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। ইউপি সদস্যর সাথে কথা বলব যেন আগামীতে এমন না হয়।




টানা নয়দিনের সরকারি সফরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী মেহেরপুরে

টানা ৯ দিনের সরকারি সফরে মেহেরপুর আসছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে সড়ক পথে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফারহাদ হোসেন মেহেরপুরে এসে পৌঁছান।

৯ দিনের সফরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফারহাদ হোসেন প্রতিদিন নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎকারের কর্মসূচি রয়েছে।

আগামী ২২ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ঢাকার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করার কথা।




দর্শনায় বিভিন্ন মামলায় ৮ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮ জন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভোরে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর, এসআই ফাহিম হোসেন, এএসআই আবু বক্কর সিদ্দীক, এএসআই শাহিন সরদার, এএসআই মারুফুল ইসলাম, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঙ্গীয় ফোর্সসহ বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮ জন দীর্ঘ দিনের পরোয়ানাভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত হলো দর্শনা পৌরসভার দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেম মন্ডলের ছেলে জি আর মামালার আসামী মোমিনুল্লাহ মন্ডল, মোমিন ট্যারা (৫০),দর্শনা থানার ৬২ নং আড়িয়া গ্রামের মসজিদপাড়ার মৃত গউর চন্দ্র মধু খার ছেলে জিআর-২২৩/২১ মামরার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামী শ্রী বিকাশ চন্দ্র সাহা (৩৫),দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে,বিপুল মিয়া,(৪০) দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার আছের আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৪), দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা মসজিদপাড়া গ্রামের মৃত রবিউল কাজীর ছেলে,শহিদুল ইসলাম ওরফে বেল্টু(৩৬), দর্শনা রামনগর ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে শিপন(২৩),দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের আমিন লসকারের ছেলে মাদুস (৪০) ও দর্শনা আজিমপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ওরফে জোর হোসেন মিজির ছেলে শফিউল উদ্দিন ওরফে শফিউল উদ্দিনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে।

আজকেই ৮ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন এরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলো ওরা ৮ জনই দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করেছি।




গাংনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ১ কোটি ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৬ টাকা সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়ায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক (অধ্যক্ষ) আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নীল কমল পাল বাদি হয়ে গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নীল কমল পাল জানান, প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দাখিল করেছেন তার সাথে বাস্তব সম্পদ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার দুদকের কাছে লুকিয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যে কারনে বিচারের লক্ষ্যে মামলাটি দায়ের করেছে দুদক।

দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগের বিবরণীতে জানা গেছে, আফজাল হোসেন তার নিজের আয়ের টাকা দিয়ে ২০১০ সালে গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়ীয়া মৌজায় স্ত্রী সেলিনা আক্তারের নামে ৮.২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। জমির দলিল মূল্য দেখানো হয় মাত্র ৪০ হাজার টাকা। ওই জমিতে ২০১২ সালে তিনি নির্মান করেছেন একটি দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল ভবন।

আফজাল হোসেন দুদকে যে আয়ের বিবরণী দিয়েছেন তাতে বাড়ি নির্মান ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুজন প্রতিনিধি আফজাল হোসনকে সাথে নিয়ে প্রকৃত নির্মান ব্যয় নির্ধারণ করেছেন ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৩ টাকা। অর্থাৎ বাড়ি নির্মান কাজের প্রকৃত ব্যয় তিনি গোপন করেছেন।

এদিকে সম্পদের বিবরণীতে আফজাল হোসেন তার নিজ নামীয় ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমার তথ্য গোপন করেছেন। গাংনীর দুটি ব্যাংকে তার একাউন্টে পাওয়া গেছে ১ লাখ ৯২ টাকার স্থিতি।

আফজাল হোসেন ও তার ছোট মেয়ে সুজানা পারভীনের নামে মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র রয়েছে। দুদুককে দেওয়া তথ্য বিবরণীতে এতথ্যও গোপন করেছেন তিনি।

আফজাল হোসেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দাখিল করেছেন তাতে গোপন করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৯ টাকা।

মামলার আর্জিতে সার্বিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে আফজাল হোসেনের মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮০ টাকা। তার চাকুরির বেতন ভাতাদিসহ আর্থিক সুবিধা আয়, গৃহসম্পতি আয় ও কৃষি আয় রয়েছে। যার মাসিক আয় হিসেব করে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৬ টাকা। এ সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন কোন প্রকার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এ টাকার সম্পদ অর্জন করে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যে কারনে বিচারের লক্ষ্যে মামলাটি দায়ের করেছে দুদক।

এদিকে গতকালই মামলাটি রেকর্ড করেছেন দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম। দুদক আইনে মামলাটির বিচার কার্যক্রম গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের একটি বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা গেছে, আফজাল হোসেন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান হিসেবে যোগদানের পরপরই শুরু করেন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য।

সূত্রমতে, কলেজ শাখায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন ২১ জন, কাম কম্পিউটার অপারেটর ২ জন, হিসাব রক্ষক ১ জন, অফিস সহায়ক (পিয়ন) ৩ জন। বিদ্যালয়ের জেনারেল শাখায় বিকেল শিফটের জন্য ব্যাক ডেটে নিয়োগ দিয়েছেন ৭ জন, কোনো পদ না থাকলেও অতিরিক্ত অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়েছেন ৫ জনকে। অফিস সহায়ক পদের একজন প্রার্থী সিয়াম হোসেনকে নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে না দেওয়ায় সম্প্রতি গাংনী হাসপাতাল বাজারে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষার্থী না থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে শিফট খুলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৫ জন শিক্ষক মাধ্যমিক পর্যায়ের সকাল শিফটের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩ জন শিক্ষক। ওই সুত্রটি জানায়, এসব শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের ডোনেশন। যেখানে নতুন শিক্ষকদের জন্য ১৫ থেকে ১৮ লাখ এবং পুরাতন শিক্ষকদের নেওয়া হয়েছিল ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন ইতোমধ্যে গাংনী উপজেলা পরিষদের পাশে একটি বাড়ি, বাঁশবাড়িয়াতে সোয়া ৮ শতক জমির উপর পৌণে এক কোটি টাকা খরচ করে একটি বাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলা শহরের র‌্যাব ক্যাম্পের পেছনে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমিসহ একটি একতলা বাড়ি কিনে দোতালায় পরিণত করেছেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে একাধিক জমির প্লট ও মাঠান জমি।




ডাচদের উড়িয়ে দিয়ে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ

টার্গেট ১৬০ রানের। এক সময় মনে হচ্ছিল এই টার্গেট অনায়াসেই করে ফেলবে নেদারল্যান্ডস। ঠিক সেই সময় এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। এরপর টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৫ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।

এই জয়ে সুপার এইটের স্বপ্ন বেশ ভালোভাবে জিইয়ে রাখলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালেই সেরা আট নিশ্চিত করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পরে বাংলাদেশ।

তবে সাকিব আল হাসানের ফিফটি ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ৪৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া তানজিদ তামিম ২৬ বলে ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২১ বলে ২৫ রান।

১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে নেদারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও’দাউদ। উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান যোগ করেন তারা।

এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। ১৬ বলে ১৮ রান করা লেভিটকে আউট করেন এই টাইগার পেসার।

এরপর দলীয় ৩২ রানে ডাচ শিবিরে আঘাত হানেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ১৬ বলে ১২ রান করা ম্যাক্স ও’দাউদকে আউট করেন সাকিব। এরপর সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিক্রমজিত সিং।

তবে দলীয় ৬৯ রানে ১৬ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান বিক্রমজিত। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে সঙ্গে নিয়ে রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন এঙ্গেলব্রেখট।

দলীয় ১১১ রানে এঙ্গেলব্রেখটকে আউট করে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন দেন রিশাদ হোসেন। ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন এঙ্গেলব্রেখট। একই ওভারে বাস ডি লিডকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই লেগ স্পিনার।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে হারিয়ে ডাচদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রিশাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয় ডাচরা। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ নেন ৩টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক